ঘরের কাজঃ কান্না-পাওয়া থেকে না-করতে-পারলে-মন-খারাপ ক্রমানুসারে
অনেক সময় হয় না, একটা লোককে অনেক দিন চোখের চেনা হওয়ার পর সে লোকটার সঙ্গে পরিচয়, ক্রমে এতখানি ঘনিষ্ঠতাও হয়, যে ওই চোখে চোখে চেনার সময় লোকটা আপনার সম্পর্কে কী ধারণা করেছিল সেটা সে আপনার কাছে স্বীকারও করে? আমার যে ক’জনের সঙ্গে এ রকম হয়েছে, তারা মূলত তিনটে বিষয় আমার কাছে স্বীকার করেছে, যেগুলো তারা আমার সম্পর্কে ভেবেছিল।
প্রথম দর্শনেই নাকি তারা ধরে ফেলেছিল, আমি বাঙালি। দু’দিন দেখে নিশ্চিত হয়েছিল, আমি বদমেজাজী, রাগী বাঙালি। ধমকাতেও হবে না, ভুরু কুঁচকে তাকালেই গরু দুধের বদলে দই দিতে শুরু করবে। আরও কিছুদিন আমাকে অবজার্ভ করে তাদের মনে হয়েছিল আমার কোনও কাজ নেই। দুশ্চিন্তা নেই, দায়িত্ব নেই, কর্তব্য নেই। জোয়াল ঠেলছি না, যেন আতর মেখে হুঁকো টানতে টানতে চলেছি জীবনের মধ্যে দিয়ে। তারা অবশ্য ওপরের উপমাটা ব্যবহার করেনি, কারণ তারা হুঁকো জানে না, হুকা বার জানে। (একটা জিনিস জেনে আমি চমকে গেছি। হুকা বারের হুঁকোতে নাকি তামাকটামাক থাকে না, স্রেফ গন্ধওয়ালা ধোঁয়া! সেটাই লোকে গুচ্ছ পয়সা খরচ করে গুড়ুক গুড়ুক টানতে থাকে! ) তারা আমার এই ভঙ্গি বর্ণনা করার সময় বলেছিলেন, “মুংফলি খাতে খাতে, গানা গাতে গাতে।”
এই তৃতীয় অবজার্ভেশনটা স্বীকার করার সময় লোকে খুব লজ্জা লজ্জা মুখ করে। আমাকে দেখে যে দামি এবং ভারী মনে হয় না, মনে হয় না আমার ডায়রিতে জায়গা পাওয়ার জন্য মিটিং এবং টেলিকনরা গুঁতোগুঁতি করছে, এটা মনে করিয়ে দিলে পাছে আমি অফেন্স নিই।
আশ্বস্ত করি। অফেন্স মোটেই নিইনি, নিলে ভণ্ডামি হবে। কারণ সত্যিই দায়িত্বকর্তব্য আমার অভিধানের প্রিয়তম শব্দ নয়, আজ কী কী কাজ না করে ফেলে রাখা যেতে পারে, রোজ ভোরে চোখ খোলারও আগে আমার সে চিন্তা শুরু হয়। অফিসের কাজ করি পেটের দায়ে, বাড়ির কাজ করি লোকলজ্জায়।
মুখে বলি বটে, কিন্তু মনে মনে মনখারাপও হয়। কেন ভগবান আমাকে এরকম ফাঁকিবাজ করে বানালেন। এক ঠোঙা মুংফলি কিনে অফিসের দিকে হাঁটতে থাকি, কিন্তু গানা আসে না গলায়। আঁতিপাঁতি করে খুঁজতে থাকি, সব কাজ একটা লোকের কী করে খারাপ লাগতে পারে, দুয়েকটা নিশ্চয় বেরোবে যেগুলো করতে ভালো লাগে? অন্তত, কম খারাপ? অফিস বরাবরের মতোই হতাশ করে। জল খাওয়া আর আন্টিজির দোকানে যাওয়া ছাড়া আর পাতে দেওয়ার মতো কাজ খুঁজে পাই না।
বুক বেঁধে বাড়ির দিকে তাকাই। একমনে ভাবতে ভাবতে একটা ক্ষীণ আলোর রেখা দেখা যায়। আছে আছে, কাজ আছে! যেগুলো করতে আমার কান্না পায় না, এমনকি রীতিমত ভালোও লাগে।
আমার কান্না পাওয়া থেকে ভালো লাগার ক্রম অনুযায়ী কয়েকটা সাংসারিক কাজের একটা লিস্ট এই রইল। আপনাদের সঙ্গে কী মিলল, কী মিলল না জানতে কৌতূহলী রইলাম।
ইস্তিরি করাঃ অ্যাকচুয়ালি, ইস্তিরি করাকে এই লিস্টে রাখা ইস্তিরি করা-কে অপমান, কারণ লিস্টের বাকি কাজগুলোর প্রতি আমার খারাপ লাগাদের যোগ করে, যোগফলের বর্গফল বার করলেও সে খারাপ লাগা ইস্তিরি করার খারাপ লাগাকে ছুঁতে পারবে না। তাই আমি একে অফিশিয়াল লিস্টের বাইরে রাখলাম।
কেন এত খারাপ লাগে সেটা বুঝিয়ে বলা মুশকিল, একটা হতে পারে, আমি বিষয়টাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করি। পরিষ্কার জামা, ছেঁড়াফাটা নয়, সেটা আবার টানটান হতে হবে কে বলল? তার ওপর যখন রোহিত বাল কলসি থেকে বার করা জামা প্যান্ট পরে রাজদ্বার থেকে ম্যাগাজিন কভার দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন? সে বেলা?
“ওটা লিনেন।” ইস্তিরি-পুলিস চোখ বন্ধ করে মাথা নেড়ে বলেন।
সামনের জন্মের আগে আমার গোটা ওয়ার্ডরোব লিনেন-এ বদল করার আগে কোনও সম্ভাবনা দেখছি না, কাজেই এ যমযন্ত্রণা আপাতত চলবে। (কারও কারও আবার শুধু জামা ইস্তিরি করে কুলোয় না, মাথার চুলও রোজ ইস্তিরি না করে তাঁরা প্রকাশ্যে পা রাখেন না। সাষ্টাঙ্গ প্রণাম ছাড়া তাঁদের আমার আর কিছু বলার নেই।)
৭। ফ্রিজ পরিষ্কারঃ যেদিন যেদিন ঘুম থেকে উঠে মনে হয়, বাঃ, মনটা বেশ খুশি খুশি লাগছে, ডেডলাইন নেই, আফসোস নেই, দিগন্তে অপরাধবোধের ছায়া পর্যন্ত নেই, মোটামুটি নব্বই শতাংশ নিশ্চিত হয়ে বলা যায় সেইদিনই, ঠিক সেইদিনই আমার ফ্রিজ পরিষ্কার করার দিন।
একটা গোটা দিনকে মাটি করার ক্ষমতা, আমার অফিসের কিছু কিছু লোকের আছে, আর আছে আমার ফ্রিজের। ফ্রিজ না বলে অন্ধকূপ বলাই ভালো। কিংবা ‘হাউস অফ লিভস’ গল্পের সেই ভৌতিক করিডোরের মতো। বহিরঙ্গের সঙ্গে অন্দরের কোনও সম্পর্ক নেই। বাইরে থেকে দেখে মনে হয়, এইটুকু, অবশ্য দু’জনের সংসারে আর কত বড়ই বা লাগে। আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করি, যত ছোট দেখতে লাগছে জিনিসটা আসলে তত ছোট নয়। আড়াল আবডাল থেকে কত কিছু যে বেরোয়, কল বেরোনো ছোলা, হারিয়ে যাওয়া টিফিনবাক্সের ভেতর একটুকরো পাতিলেবু। আধবাটি চাউমিন, দু’ চামচ মুগের ডাল। শুধু আয়তনই যে ডিসেপটিভ তা নয়, আমার ধারণা ফ্রিজটার একটা অলৌকিক শক্তি আছে, খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার।
পরিণাম, ধরে ধরে খাবার ফেলা, এবং নিজের প্রিভিলেজের এই রকম নির্লজ্জ অপব্যবহারে শিউরে শিউরে ওঠা।
৬। ধুলো ঝাড়া/ ঝাঁট দেওয়াঃ ধুলো ঝাড়তে আমার ভালো লাগে না, তারও পেছনে অপরাধবোধ। প্রতিটি জিনিস হাতে তুলে মুছতে গিয়ে মনে পড়ে, কী আবোলতাবোল জঞ্জালে বাড়ি ভর্তি করে রেখেছি। বসের বকুনি খেয়ে অনলাইনে ‘কিপ কাম অ্যান্ড ড্রিংক টি’ কিনেছিলাম। দীপাবলীতে অফিস থেকে কুৎসিত মোমবাতি দিয়েছিল, এখনও জুতোর কেসের ওপর অধিষ্ঠান করছে। ধুলো ঝাড়ার আরেকটা খারাপ ব্যাপার হচ্ছে সিদ্ধান্ত নেওয়া। রাখব না ফেলব।
ধুলো ঝাড়ার পরে আসে ঝাঁট দেওয়ার পালা। ধুলো ঝাড়ার থেকে কম বিরক্তিকর, তবে ফ্যান বন্ধ করতে হয়, সেটা আরামদায়ক নয়। আবার কিছু বেয়াদপ ঝুল থাকে, শুয়ে পড়ে খাটের তলা থেকে বার করে আনার পর তারা আবার উড়ে উড়ে খাটের তলায় সেঁধোতে থাকে, আমার নাকের ডগা দিয়ে, সেটাও আত্মবিশ্বাসের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৫। কাপড় কাচাঃ কাপড় কাচায় এ ধরণের মানসিক চাপ নেই। পরিশ্রম আছে বিস্তর। কাচার পর তোয়ালে নিংড়ে জল বার করেছেন যাঁরা, জানেন। কাপড় কাচার যে ব্যাপারটা আমাকে ভাবায় সেটা হচ্ছে কাজটার, বা কাজটার নামের অন্তর্লীন অসততা।
কাপড় কাচা আসলে কাপড় কাচা নয়। কাপড় কাচা হল জামা বাছা, ভেজানো, কাচা, মেলা। মনে করে ক্লিপ লাগানো। না হলে অফিস থেকে এসে দেখা কাল ঝাঁট দেব বলে ফেলে রাখা বারান্দার মেঝেতে তারা গড়াগড়ি খাওয়ারত অবস্থায় আবিষ্কার করা। শুকোলে মনে করে তোলা। না তুললে, বৃষ্টি গ্যারান্টি। এবং আমার একটিমাত্র জিনস ভিজে গোবর।
৪। বাজার করাঃ কাপড় কাচার মতো এই শেষ হয়েও হইল না শেষ দোষটা বাজার করারও আছে। স্রেফ ওই তোয়ালে চেপা, ক্লিপ দেওয়ার অংশটা নেই বলে কান ঘেঁষে বাজার করা জিতে গেল। বাজার করা কখনওই শেষ হয় না। চাল আনলে আটা ফুরোয়, লাইজল আনলে মনে পড়ে ওডোনিলও আনতে হত। আলু কিনে পোস্ত ভুলে যাই, পোস্ত কিনলে পাঁপড়, পাঁপড় পাঁপড় জপতে জপতে বাজারে গিয়ে যদি বা মনে করে তাকে ব্যাগে পুরি, রবিবার বিকেলে চা বানিয়ে আবিষ্কার হয় পপকর্ন নেই।
একটা ছিল না?! বাজার যাওয়ার আগে দেখলাম যে!
মাথায় হাত দিয়ে বসি। এখন কী খাব আমরা?
শেলফের ওপর থেকে পাঁপড়গুলো চোখ পিটপিট করে।
আমার দুঃখ দ্বিগুণ হয়। পাঁপড়? মাগো, পাঁপড় মানুষে খায়?
তবু বাজার করা আমার লিস্টের এত নিচের দিকে কেন? ধড়াচূড়া পরে বাইরে বেরোতে হওয়া সত্ত্বেও এবং মানুষের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে হওয়া সত্ত্বেও? কারণ বাজার করার এতগুলো খারাপ দিক আছে বলেই আমি প্রতিবার বাজার করতে গিয়ে দু’প্লেট করে ফুচকা খাই।
এবং বাজার করা ভালো লাগা কাজের লিস্টে হইহই করে ওপরে উঠে আসে।
৩। রান্না করাঃ রান্না করতে আমার খারাপ লাগে না। মাঝে মাঝে সিম করে এসে টিভি দেখা যায়, ভালো হলে ভালো, খারাপ হলেও অসুবিধে নেই, নিজের হাতের রান্না খেতে কারওরই খারাপ লাগে না, আর অর্চিষ্মান ভালোখারাপ যেমনই হোক না কেন, মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করে। খারাপ লাগার বিশেষ কিছুই নেই।
তবু যে এক নম্বরে জায়গা পেল নাতার কারণ হচ্ছে রান্না রোজ করতে হয়, চট করে শেষ হয়ে যায়, তখন আবার রান্না করতে বসতে হয়। বিশেষ করে ভালো খেতে হলে তো অসুবিধেজনক রকম তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়। (তখন আমাদের অলৌকিক ফ্রিজ কোনও কম্মে লাগেন না।)
২। গাছে জল দেওয়াঃ গাছে জল দেওয়া যে আমার লিস্টের এক নম্বর ভালো লাগা কাজ নয় সেটা দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছি। একটু ভাবতেই অবশ্য কারণটা বেরিয়ে পড়ল।
ভালো লাগার কারণ তো বুঝিয়ে বলার কিছু নেই। জল দিলে গাছ সাড়া দেয়। ছোট ছোট পাতা বার করে মাথা নাড়ে। পা উঁচু করে জানালা দিয়ে বাইরে উঁকি মারে।
ঠিক উল্টো ব্যাপারটা হয় ফেলে রেখে বেড়াতে চলে গেলে। নিজেরা হেসে খেলে বেড়িয়ে ফিরে আসি, দেখি গাছ নেতিয়ে পড়েছে। জল না পেয়ে আধমরা। এবং সবথেকে খারাপ দিকটা হচ্ছে, ওকে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলার জন্য গাছের আমার প্রতি কোনও অভিযোগ নেই। চুপ করে মরে যাবে। এবং তাৎক্ষণিক হলেও, ওর মৃত্যুর তুলনায় হাস্যকররকম অকিঞ্চিৎকর হলেও, আমাকেও খানিকটা মেরে যাবে।
অতএব? বাকি কী রইল? আমি মনে মনে জানতাম এর জেতার একটা জোর সম্ভাবনা রয়েছে, সে সম্ভাবনা নিশ্চয়তায় রূপান্তরিত হয়েছে।
১। বাসন মাজাঃ বাসন মাজার কোনও খারাপ দিক, এই মুহূর্তে আমি খুঁজে পাচ্ছি না। একজায়গায় দাঁড়িয়ে করা যায়, কারও সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকট করতে হয় না, লেবুগন্ধের প্রিল দিয়ে কবজি একবার আলতো করে ঘোরাতে না ঘোরাতেই চকচকে। (একমাত্র রাইস কুকারটা মাজতে একটু অসুবিধে হয়, সাইজে বেঢপ বলে বেসিনের সাইডে লেগে ঘটর ঘটর আওয়াজ করে।)
আর যদি পাজামার পকেট থাকে, আর মোবাইলটা যদি সেই পকেটে ফেলে রাখা যায়, আর কোন চ্যানেলে যদি এই গানটা দেয়, তাহলে বাসন মাজা রীতিমত লোভনীয় টাইমপাস। এমন অনেক সময় হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটায় টেলিকনফারেন্সে, একটাই কথা পাঁচটা লোকের মুখে পাঁচশো রকম ভাবে শোনার পর, আমার রান্নাঘরের বাসন মাজার ছোট্ট কোণটার কথা মনে পড়ে বুক মুচড়ে উঠেছে।
আরও একটা কারণ আছে বাসন মাজতে ভালো লাগার। অর্চিষ্মান বেসিনের দিকে এগোলেই “না না, এগুলো আমি ম্যানেজ করে নেব, তুমি বরং ইস্তিরির দিকটা দেখো গিয়ে” বলে ঝাঁপিয়ে গিয়ে পড়ার। যে কারণটা আমি আগে কাউকে বলিনি, এই আপনাদের বলছি। আগাথা ক্রিস্টি নামের একজন খুব বুদ্ধিমান আর সফল লেখক বলেছিলেন, তাঁর বেস্ট আইডিয়াগুলো তিনি সব পেয়েছেন বাসন মাজতে মাজতে।
দুঃখের বিষয়, আমার সঙ্গে সে রকম কিছু ঘটেনি এখনও। তবু আমি হাল ছাড়ছি না। এখনও অনেক বাসন মাজার আছে, আজ না হোক কাল না হোক, একদিন না একদিন আইডিয়াকে এসে ধরা দিতেই হবে। যতদিন না আসছে,ততদিন আমার ভালো লাগা কাজের লিস্টে বাসন মাজার সিংহাসন কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
দুঃখের বিষয়, আমার সঙ্গে সে রকম কিছু ঘটেনি এখনও। তবু আমি হাল ছাড়ছি না। এখনও অনেক বাসন মাজার আছে, আজ না হোক কাল না হোক, একদিন না একদিন আইডিয়াকে এসে ধরা দিতেই হবে। যতদিন না আসছে,ততদিন আমার ভালো লাগা কাজের লিস্টে বাসন মাজার সিংহাসন কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
Bason majte bhalo lage? Hay re.. Hookah baar e oi gondho khawar agei mone hoy nesha hoy.. Kichudin age cc2 te giye dekho ekta dokaner dorjay ekta jatiyo potaka sticker ulto lagano.. Dorja thele uki diye ekta chele k daklam.. Se bollo madam eta hookah bar ache.. Ami bollam jai hok flag ta ulto lagano keno? Bollo je lagiyeche se ulto lagiyeche . Bole 5 second takiye thaklo Amar dike. Bollam to tumi soja korcho na Kano? Tokhon hya dicchi bole soja korlo.. Vetore ontoto 15-16 jon chilo.. Karur kichui chokhe lageni...
ReplyDeleteকেন, আমার যুক্তি মেনে তো বাসন মাজার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে দিলাম, ঊর্মি।
Deletetomar sathe amar apato drishti te bhoyanok sob omil thakar poreo ato mil khuje pele jarpornai anondo hoy. bason maja, hands down, amar sobcheye priyo kaj. ak aka somoy mone hoy eta kore besh parttime kichu rojgar o kore felte pari. jhat deya/ghor poriskar kora khub baje kaj. gaye ghamer sathe dhulo lepte thakar khub bicchiri feeling.
ReplyDeletegach more jawa, ki bolbo kuntala di, sedin ma bolchilo baba ke, issh joljyanto ucche gach ta more gache go. amar buker bhetor ta kirom kore uthlo. bujhlam Jagadish babu'r abiskar ta bangali shira uposhira te sedhiye gache, ota beronor kono chance nei ei jonme.
সিরিয়াসলি, কুহেলি। ঘামতে ঘামতে ঘর ঝাঁট দেওয়া ইজ দ্য ওয়ার্স্ট। গাছ মরে যাওয়ার ফিলিংটা কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
DeleteIron korar byapar e Hi Hi Ten!! bor Sunday dupur e kheye iron korte bose, tokhon amar gulo chu(n)re chu(N)re dei..:D, Bason majar byapar e sunechhilam oite naki stress releif hoi, tobe amar dryer theke jamakapor ber kore fold korle sanghatik stress releif hoi [on god, Maa Kalir dibyi]. Bishal pahar er moto jamakapor dhire dhire column hochhe eita amar darun lage.. ei sotyi ta janar por amar friend der anekei amar dhare kachhe shift korar kotha bolechhe. : Papiya
ReplyDeleteঅ্যান্টি ইস্তিরি সেন্টিমেন্টে হাই টেন, পাপিয়া। বাসন মাজলে স্ট্রেস রিলিফের ব্যাপারটা কিন্তু সত্যি।
DeleteSob theke beshi bhalo lage ghumate r Internet er misuse korte. Ranna, bazaar bhalo lage, bason maja r vacuum kora joghonyo lage. Amar aar ejonme ms Marple Hoya holo na
Deleteনা না, মার্পল তো এসব কাজ নিজে হাতে করতেন না, অরফ্যানেজের মেয়েদের দিয়ে করাতেন। সস্তায় পাওয়া যেত (মিস মার্পলের সুবিধে), আর মেয়েগুলো ভবিষ্যতে কাজের জন্য ট্রেনিং পেত (মেয়েগুলোর সুবিধে)। মিস মার্পল হতে চাইলে শুধু বাগান করা, উল বোনা, আর পরের জীবনে নাক গলানোই যথেষ্ট।
DeleteAmar o bason majhte Bhalo lage. R majhe majhe ranna korte provided keo amake recipe niye uttoktto korche na. Istri ebong kapor kacha Amar du cokkher bis, Ami istri chara jama porchi last 4 bochor Holo...karon ekdin porar por istri jama kychke jai ar na istri jama Kichu ta hole oo pat pat dekhai.
ReplyDeleteBazar korte Amar bhalo I lage. Ar gache jol dite oo. Post Bhalo laglo kuntala Di. R age r post e comments korte bhule gechi..tai ekhane IRA or onek ador ar bhalobasa janalam.
রেসিপি দেখে রান্না করা মহা বিরক্তিকর। আর সত্যিই তো, এটা ভেবে দেখিনি, এবার থেকে কেউ কোঁচকানো জামা নিয়ে কিছু বলতে এলে বলব, গতকাল এটা ইস্তিরি করেছিলাম তো। ইরাকে শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রিয়াঙ্কা।
Deletedarun laglo eta pore.. aamaar somosto kaaj korte khub bicchiri laage.. apatoto osobhyotar porjaye kaajer lok rakha hoyeche, tai pray kichui kori na..
ReplyDeleteranna korte bhalo lage, jodi roj na korte hoy.. roj ki ranna hobe bhaba, tar ingredients sob hajir rakha, aar tar por specially jokhon goldghormo rannar moddhe keu dnaat baar kore "aaj ki menu re?" bole tokhon khub raag hoy.. on a separate note, aami recipe dekhe ranna korte bhalobasi.. onekbar kora rannao aarekbar recipe dekhi..
istri kora osombhob baje byapar.. kapor kachao totodhik irritating... ei sob e apatoto outsourced.. pore kokhono korte hole kanna pabe.. gaach maarar bhoye aami gaach er resposnibility theke dur e thaki..
bason majte aamaaro relatively bhalo laage.. stress relief er byapar ta sotti.. tobe onek somoy komor o dhore jay.. and ekhon anyway outsourced..
aamaar bajar jeteo bicchiri lage.. motamuti online shopping kore chalai..
seriously, aamio kichu kaaj e bhebe pacchi na jeta aamaar bhalo lage.. coding korte (office e) aamaar oi bason maja type er ekta moderate bhalo lage..
aami just bhebei pacchi na, je amar sob kaaj e baje lage kyano..
bhalo thakben
Indrani
আমি একমত, ইন্দ্রাণী, রান্না যত না খারাপ তার থেকে খারাপ রান্নার আগেপরের আনুষঙ্গিক। কী রান্না এবং খাওয়া হবে, এই স্থির করতেই প্রাণান্ত। অনলাইন তরিতরকারি বাজার এখনও শুরু করিনি, অচিরেই করতে পারি, লক্ষণ যে রকম বুঝছি।
Deleteকাজ করতে ভালো না লাগা সুস্থতার লক্ষণ, কাজেই চিন্তা করবেন না।
বাসন মাজা আমারও ফেভারিট সাংসারিক কাজের মধ্যে অন্যতম। যে কাজটা করতে ঘোরতর অপছন্দ করি, সেটা হল গিফট র্যাপ। রান্না করতে, ঘর ঝাঁট দিতে, ইস্তিরি করতে খারাপ লাগে না। মানে কাজ-আছে-করতে-হবে ধরণের আরকি। বাজার করতে, বিশেষত মাছ কিনতে ভালোই লাগে... বাঙাল কিনা! কাপড় তো মেশিন কেচে দেয়।
ReplyDeleteমেশিন রাখার আমাদের জায়গা নেই, না হলে দুই মা অনেকদিনই বলছেন। মেশিন রাখার জায়গাওয়ালা বাড়িতে যাওয়া যায়, তাহলে আবার বেশি জায়গা, বেশি ঘেমে ঝাঁট দিতে হবে।
Deleteগিফট যারা র্যাপ করে আমি তাঁদের ভয়ানক শ্রদ্ধার চোখে দেখি, দেবাশিস। আপনাকেও স্যালুট করছি। আমি তো বাজারের প্যাকেটই হেঁ হেঁ করে ধরিয়ে দিই।
Amar bason majte bhison kharap lage. Tarpor kharap lage jhant dite. Gache jol deoa tarpore ashbe...ota mone thakena. Baki sob cholbe. Ranna korte bhalobashi.
ReplyDeleteএ বাবা, বাসন মাজা মিলল না, রুণা। তবে ঝাঁট দেওয়ার খারাপ লাগাটা মিলেছে।
Deleteufff ei list er songe tomake HIGH FIVE janalam
ReplyDeleteহাই ফাইভ, ইচ্ছাডানা।
Deleteebaba,istiri kora to 20 bochor age chere diyechi.. ekhane sabai knochkano jama pore ghore baire, amrao tai pori :)
ReplyDeleteআমার অফিসে আবার সবাই এত পরিপাটি, যে আমি অলরেডি তার মধ্যে উজ্জ্বল উদ্ধার, কাকলি। তবে তার সঙ্গে কোঁচকানো জামা জুড়লে কতই বা ক্ষতি হবে। নাঃ, ছেড়েই দেব।
Deleteএখনো বোধহয় আমার লেভেলে পৌঁছাওনি। আজকে গ্রূপ ফটো তোলা হবে তাই সবাইকে ফর্মাল ড্রেসে সেজেগুজে আসতে বলা হয়েছিল। মেমো পেয়ে আমিও একটা ফর্মাল ড্রেস পরে, চুলটা ভালো করে আঁচড়ে, চোখে কাজল লাগিয়ে অফিস যাচ্ছিলাম। আমার রোজকার ট্রেনের টিকেট চেকার আমাকে দেখেই একগাল হেসে জিগেস করলেন "আজকে কি অফিসে পার্টি আছে?"
Deleteiron korte lage na erokom jamakapor keno. Ekta baje kajer theke mukti pabe. ami last kobe istri korechhi nijei bhule gechhi.
ReplyDeleteRanna korte bhalobasi kintu bason maja ar kapor kacha dutoi ghor opochhondo. Kapor jodi machine e kache tao oi kapor niye niche jete hobe, kachte diye, sukote diye abar bhaj kore tulte hobe bhablei kanna pay.
সেটাই তো চুপকথা, কাপড় কাচা কথাটা ভয়ানক ডিসেপটিভ। আরও কত কাজ যে ওর মধ্যে লুকিয়ে আছে।
Delete"বসের বকুনি খেয়ে অনলাইনে ‘কিপ কাম অ্যান্ড ড্রিংক টি’ কিনেছিলাম।" Maane boss bokuni diye kiniyechhilo? Naki bokuni khabaar por mon bhalo korar jonyo?
ReplyDeleteদ্বিতীয়টা, অর্পণ।
Deleteরোজ রাত্তিরে মশারি টাঙ্গাতে ভালো লাগে?? মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করতে? আমার এগুলো সব থেকে খারাপ লাগে।
ReplyDeleteখাবার গরম করতে আমার খারাপ লাগে না, তবে মশারি টাঙাতে হলে খুবই খারাপ লাগত, মানছি শাল্মলী।
Deleteইস্তিরি করা সবচেয়ে খারাপ কাজ এ কথার সাথে দুহাজার কোটি ভাবে সমর্থন । বাসন মাজতে আমার খারাপ লাগেনা খুব , তবে যে কোনো কাজ করতেই আমার খারাপ লাগে :(
ReplyDeleteইস্তিরি জঘন্যতম, হাই ফাইভ, প্রদীপ্ত।
Deleteiron kora- ufff! ufff! eto baje kaj pritihibite duto nei..ami kosminkaleo korina...USA te sob wrinkle free chilo ...ekhon campus er iron wala jug jug jio :) in fact meyeke school e admit korar aage ami reetimoton atonkito chilam ei kaj ta every weekend korte habe bhebe... but uniform ta bhari bhalo iron korar dorkar porena :) Bratati.
ReplyDeleteবাঁচা গেছে, ব্রততী। আমাদের বাজে লাগা কাজটা মিলে গেছে দেখে খুশি হলাম।
Delete