শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ
আমার পাশে খেতে বসেছিলেন ছোটমা, ছোটমার উল্টোদিকে খোকনকাকিমা (কাকিমার নাম, বলা বাহুল্য, খোকন নয়। একবার ভেবেছিলাম কাকিমাকে ওঁর নিজের নামটা জিজ্ঞাসা করি, সহবতের মুখ চেয়ে করলাম না।) খোকনকাকিমার পাশে নিষ্ঠা। নিষ্ঠা জৈন। দিল্লির মেয়ে, বম্বেতে থাকে, কলকাতায় এসেছে ডকুমেন্টারি বানাতে। ডকুমেন্টারি বিষয় এ পোস্টে অবান্তর, কিন্তু আমি বলবই। বিষয় হচ্ছে রিষড়ার হেস্টিংস জুট মিল, ভারতবর্ষের প্রথম পাটকল। নিষ্ঠা বাংলা জানে না, ছোটমা খোকনকাকিমা হিন্দি ইংরিজি জানেন না, আমারও না জানার মতোই।
তবু গোটা নেমন্তন্ন বাড়িতে আমাদের টেবিলটাতেই সবথেকে বেশি কথাবার্তা, রসিকতা হয়েছে। কার বাড়ি কোথায়, সে বাড়িতে কে কে থাকে, জৈনদের প্রয়ুশন-এর নিয়মকানুন, বাঙালিদের মুখেভাতের নিয়মকানুন, ক্ষীরের সঙ্গে পায়েসের মিল ও অমিল, নিষ্ঠার পরিচিত সেলিব্রিটিদের হাঁড়ির খবর, ইলিশমাছ খাওয়ার প্রণালী, সঅঅঅব।
কারও কিচ্ছু বুঝতে, কাউকে বুঝতে অসুবিধে হয়নি। কারও মনে হয়নি, “মা গো, এ/এরা ভাষাটা জানে না কেন” কারও মনে জাগেনি, “হে ভগবান, আমি ভাষাটা জানি না কেন, অবিলম্বে আমার দড়িকলসির খোঁজে বেরোনো উচিত।” সবাই একে অপরকে জানতে জেনুইনলি আগ্রহী ছিল, জেনেওছে। কোনও ভাষা সে জানায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি।
ভাষায় কিছু আটকায় না। আটকায় কুণ্ঠায়। সংকোচে। নিজেকে অপ্রতুল ভাবায়।
*****
তার একটু আগেই বাটি বাটি সুখাদ্য সামনে সাজিয়ে রেখে তর্জনীর ডগায় ওঠা পায়েসের দুধ ইরার জিভে ছোঁয়ানো হয়েছে, তারপর বাকি সবাই কবজি ডুবিয়ে ইলিশ থেকে ধোকা থেকে চমচম কিচ্ছু বাদ দেয়নি। খেয়েদেয়ে উঠে সবে জানালার পাশে আধাশোয়া হয়ে পড়েছি (ইচ্ছে ছিল লম্বা দেওয়ার, কিন্তু সবার মাঝে চিৎপাত হয়ে পড়া যায় না বলে চারপাঁচটা বালিশে পিঠটা কোনওরকমে ঠ্যাকনা দিয়ে থুয়েছিলাম) অমনি হুড়ুমদুড়ুম মেঘ ডেকে বৃষ্টি এসে গেল।
সবাই বলছে, “ওরে বাবা, ওলা ডাক, জিনিস তোল, ইরাকে ভালো করে প্যাঁচা ঠাণ্ডা না লেগে যায়,” আর আমি জানালা দিয়ে দেখছি পাশের বাড়ির শ্যাওলাধরা কলসি রেলিং, রেলিং-এর গায়ে এলিয়ে থাকা গাছের পাতার মহানন্দ স্নান।
*****
আপনাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আজ সকালে যে কলাটা খেয়ে আপনি অফিসে এলেন সেটা আপনার জীবনের ক’নম্বর কলা, আমি দশ টাকা বাজি ধরতে রাজি আছি, আপনি বলতে পারবেন না।
এক হাত লম্বা একটা শরীরের মধ্যে নিখুঁত সবকিছুর এঁটে যাওয়া, কনুই এবং হাঁটু এবং আঙুলের নখ; ফুরফুরে চুলে অসম্ভব সুন্দর গন্ধ, পাঞ্জার সঙ্গে আঙুলের জোড়ের জায়গায় টিপ টিপ টিপ টিপ গর্ত চারখানা, ইরার আগাগোড়াই চমকে দেওয়ার মতো। আরও চমকপ্রদ হচ্ছে উদ্দেশ্যসাধনের (কোলে চড়া) জন্য ওইটুকু মাথা খাটিয়ে হাসি এবং কান্নার এমন সুচিন্তিত প্রয়োগ।
কিন্তু এসব ছাপিয়ে যখনই মনে পড়ছে, একটা লোক আমার চোখের সামনে তার জীবনের প্রথম কলাটা খেল এবং পরদিন সকালে জীবনের দ্বিতীয় কলাখানা, আমার বিস্ময় আর বাধা মানছে না। মানুষ এত নতুন হতে পারে?
কিন্তু এসব ছাপিয়ে যখনই মনে পড়ছে, একটা লোক আমার চোখের সামনে তার জীবনের প্রথম কলাটা খেল এবং পরদিন সকালে জীবনের দ্বিতীয় কলাখানা, আমার বিস্ময় আর বাধা মানছে না। মানুষ এত নতুন হতে পারে?
*****
সেই যে সায়কদের বাড়িতে থাকতে থাকতে হল, তারপর আর বৃষ্টির দেখাসাক্ষাৎ নেই। রসগোল্লার রসে চোবানো একটা পাতলা চাদর যেন গায়ে সর্বক্ষণ জড়িয়ে রেখেছি। এদিকে লক্ষ্মীপুজোর আর মাসখানেক বাকি, আকাশে চাঁদ বিপজ্জনক রকম বড় এবং গোল হয়ে উঠেছে। রাতে খাটে শুলে জানালা দিয়ে চোখে চোখে রেখে প্যাট করে তাকিয়ে থাকে। মা সেদিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর বলেন, “নিকট শোভা দূর জল/ দূর শোভা নিকট জল”। অর্থাৎ চাঁদের শোভা যখন স্তিমিত এবং ঘোলা, তখন বৃষ্টির সম্ভাবনা অধিক এবং ভাইসি ভার্সা।
নামল তো নামল ঠিক বুধবারের বারবেলায়। বেলা তিনটে পার করে। যেদিন আমাদের ফেরা। তপাকাকু নিতে আসবে সাড়ে পাঁচটায়। এয়ারপোর্টের সামনে জল জমলে কেমন মজা হয় সেটা আসার দিন অর্চিষ্মান টের পেয়েছে, কিন্তু কতক্ষণ আর বৃষ্টি হবে, থেমে যাবে এক্ষুনি ধরে নিয়ে আমরা টেনশন না করার সিদ্ধান্ত নিলাম। দু’রকমের বৃষ্টির কথা জানা ছিল, এক বউ নাচানো, দুই, কেরানি ভেজানো। বুধবারের বৃষ্টির জাত ছাত্র ভেজানো। স্কুল সবে ছুটি হয়েছে। তার মধ্যে সাইকেল করে ফিরছে সব। কুড়ি বছর আগের আমিরা সামনে দিয়ে সাঁ সাঁ করে সাইকেল চালিয়ে যেতে লাগল, মাথার লাল ফিতের ফুল নেতিয়ে শুয়ে পড়েছে, চশমা বেয়ে জলের ধারা, লাল পাড় সাদা শাড়ি গায়ের সঙ্গে সেঁটে পতপত করছে। স্পষ্ট কল্পনা করতে পারলাম, ওই অবস্থায় সাইকেলের প্যাডেল ঠেলা কী যন্ত্রণা। ‘আহা উহু’ করছি, মাবাবা বললেন, “তোর যত কষ্ট হচ্ছে ওদের হচ্ছে না। ওদের ভালোই লাগছে। নিজের কথা মনে করে দেখ।” মনে করে দেখলাম, সত্যিই কষ্ট মনে হয়নি কখনও। বৃষ্টির এদিকে কমার কোনও লক্ষণ নেই, আমাদের বাগান থইথই, রাস্তা দিয়ে জল ছুটেছে নায়াগ্রার গতিতে। বুবুনের বউ গোপা কাকভেজা হয়ে সাইকেল চড়ে ফিরল হাসপাতালের ডিউটি সেরে।
এসবের মধ্যে মা দেখি উঠে রান্নাঘরের দিকে চলেছেন। মনে পড়ে গেল, আমারই দোষ। আসার আগে বলেছিলাম, উপমা খাব মা। আমাদের বাড়িতে উপমা স্টেপল জলখাবার, অর্চিষ্মান দু’চক্ষে দেখতে পারে না বলে আমার আর একার জন্য বানিয়ে খাওয়া হয় না। আজই বাড়িতে শেষ দিন, আজ সকালে উপমা খাওয়ানোর জন্য মা রেডি ছিলেন, শেষমুহূর্তে আমিই মত বদলে চাউমিনের বায়না ধরেছি। বাপি রোল সেন্টারের কান মুলে দেওয়ার মতো মীরামাসির হাতের গাজর, বিন, ক্যাপসিকাম দেওয়া ঝুরঝুরে চাউমিন সকালবেলা খেয়েছি আরাম করে। কিন্তু উপমা না খাইয়ে মা ছাড়বেন না। বেরোনোর আগে খেতে হবে।
এইবারে একটা দ্বিতীয় সমস্যার উদয় হল। কারি পাতা নেই। মানে আছে প্রচুর, কিন্তু সবই গাছে। আর গাছ বাগানের মধিখানে। পুকুরের মাঝখানে দ্বীপের মতো জেগে আছে। বারান্দা কিংবা ঠাকুমার ঘরের জানালা থেকে লগা দিয়ে টেনে তার ডাল পর্যন্ত পৌঁছনো যায়, কিন্তু টেনে কাছে আনা যায় না। আমি যত বলি, কারিপাতাহীন উপমাই চলবে, আমার পারফেকশনিস্ট মা শুনবেন না। উপমা হবে, এবং কারিপাতা দিয়েই হবে। অবশেষে লগা নিয়ে খানিকক্ষণ ব্যর্থ ধস্তাধস্তির পর, বাবা খপরখপর করে জল ভেঙে গেলেন কারিপাতা ছিঁড়তে।
আমি মনে মনে ভাবলাম, ভাগ্যিস অর্চিষ্মান সাক্ষী নেই, তাহলে এখন কিছু বলত না, সব দেখে রাখত, পরে বলত, “বাঁদর কি সাধে হয়েছ?”’
*****
প্লেন ছাড়ল কুড়ি মিনিট লেটে। জেটে আবার খাবার ফ্রি। বাড়ি থেকে অত সাধনার উপমা খেয়ে বেরিয়েছি, কিন্তু ফ্রি মিল দেবে শুনে পেটে ছুঁচোর দল মার্চপাস্ট লাগিয়েছে। মাইন্ড ওভার ম্যাটার করতে সিটের পকেট থেকে ম্যাগাজিন খুলে পড়তে শুরু করলাম। ট্যারো রিডিং অনুযায়ী রাশিফল দিয়ে রেখেছে। এ মাসেও আমার ফেমাস হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই দেখে বিরক্ত হয়ে অর্চিষ্মানেরটা দেখতে গেছি, অমনি হাত পা পেটের মধ্যে। বলে কি না, পসিবিলিটি অফ নিউ রোম্যান্স! অর্চিষ্মান বলল, “দিল্লি গিয়েই তোমার চশমা বদলাতে হবে দেখছি। পরিষ্কার লিখেছে, সিংগল হলে তবেই নিউ রোম্যান্স।”
আর ডবল হলে?
ডবল হলে পার্টনারের সঙ্গে শর্ট অ্যান্ড সুইট রোম্যান্টিক ট্রিপ।
এদিকে রানওয়েতে জ্যাম, প্লেন আকাশে ঘুরছে তো ঘুরছেই। জানালা দিয়ে স্পষ্ট দেখছি তুঘলকাবাদ ফোর্টের এবড়োখেবড়ো পাঁচিল। অর্থাৎ আরেকটু ওইদিকে সরলেই আমাদের বাড়ি। লাফ দিয়ে নামা যায়, সে জায়গায় কী সময় নষ্ট।
ব্যাগট্যাগ জোগাড় করে প্রিপেড ধরে বেরোতে বেরোতে সাড়ে এগারোটা বাজল। বাতাসের তাপমাত্রা মোটে ঊনত্রিশ ডিগ্রি। আমরা জানালার কাচ নামিয়ে বসলাম। দেখতে দেখতে উইন্ডস্ক্রিনে ছোট বড় ফোঁটা, ভাইসাবের ফুর্তি আর ধরে না, ট্যাক্সির যত কলকবজা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে তিনি ছুটেছেন। আমরা কোনওমতে সামনের সিটের পেছন আঁকড়ে ধরে বসে রইলাম।
ভেবেছিলাম সাড়ে বারোটা হবে, সোয়া বারোটাতেই পাড়া এসে গেল। ওই সময় সি আর পার্কে পৌঁছনোর একটা মস্ত সমস্যা হল, চতুর্দিকের গেট এবং রাস্তা বন্ধ। ভাইসাব দয়ালু, বার বার বন্ধ রাস্তার সামনে থেকে গাড়ি ব্যাক করিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলেন, শেষটা আমরাই বললাম, “অনেক হয়েছে, এখানেই নামান।” “ঘরে গিয়ে জামা ছেড়ে নেবেন,” উপদেশ দিয়ে ভাইসাব চলে গেলেন।
বৃষ্টি আরও জোরে নামল।
সে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় হলদে বৃষ্টি তীরের মতো নামছে, পায়ের নিচে সাপের মতো জলের স্রোত, খাঁ খাঁ রাস্তা, আমি আর অর্চিষ্মান সুটকেস টানতে টানতে বাড়ির দিকে চলেছি। বিকেলবেলা ওই রাস্তাটা মোটে দশ পা, এখন মনে হচ্ছে এক মাইল। শুকনো থাকার চেষ্টা ছেলেমানুষি, দেহের প্রতিটি রোমকূপ ভিজে গেছে, ঠাণ্ডায় গা শিরশির করছে। আমি নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, যেমন আজ বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে মেয়েগুলোকে দেখে করছিলাম যে আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, জুতো ভিজে গোবর, কাল কী করে অফিস যাব, জঘন্য ব্যাপার...
পারলাম না। জনশূন্য চরাচরে বৃষ্টি ভিজতে ভিজতে এই যে আমি আর অর্চিষ্মান চলেছি, সমস্ত নাকানিচোবানি নস্যাৎ করে, এই চলার অভূতপূর্ব রোম্যান্সটাই বারবার মাথা তুলে দাঁড়াল।
এরপরও আপনাদের মধ্যে রাশিফলে অবিশ্বাসী যদি কেউ থেকে যান, তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।
Chotto Ira r jonne roilo onek bhalobasha o ashirbaad!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, শর্মিলা। আমি শুভেচ্ছা যথাস্থানে পৌঁছে দেব।
DeleteIRA khub misti..onek bhalobasa roilo IRA r jonyo. Kolkata te ki Pujo Pujo lagche Kuntala Di?
ReplyDeleteসে তো লাগছেই, সপ্তর্ষি। চারদিকে প্যান্ডেল, বিজ্ঞাপন, দোকানে ভিড়। খালি কাশফুল আর শিউলির গন্ধটাই যা মিসিং।
Deleteখুব সুইট লাগলো লেখাটা। অর্চিষ্মানবাবুর সাথে শর্ট অ্যান্ড সুইট রোমান্টিক ট্রিপ, ইরার বুদ্ধি, ভাষার জটিলতার সমাধান... সবকিছুই ভালো লাগলো। বাচ্চারা এই ভাষার ব্যাবধানটাকে পাত্তা দেয় না। আমি প্রচুর দেখেছি, দুটো বাচ্চা দুটো সম্পূর্ণ আলাদা ভাষায় কথা বলতে বলতে খেলে চলেছে।
ReplyDeleteআর ইসে, খনার বচনটা হল - দূর সভা নিকট জল, নিকট সভা রসাতল। সভা অর্থে চন্দ্রসভা, চাঁদের চারদিকে একটা ঝাপসা আলোর বলয় থাকে, দেখেছেন? অ্যাপারেন্টলি, সেটা চাঁদের কাছাকাছি থাকলে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা কম এবং দূরে থাকলে বৃষ্টির প্রব্যাবিলিটি বেশি।
ছিছি, সভাকে শোভা বানানোটা বিতিকিচ্ছিরি। ঠিক বচনটা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, দেবাশিস। মাকেও জানিয়ে দেব।
Deleteপোস্টটা ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
Rashiphol e ami ghor biswashi :D
ReplyDeleteআমিও, কুহেলি। হাই ফাইভ।
DeleteKhokon kakimar naam raanu 😊
ReplyDeleteআরে, থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, তিন্নি।
Deletenemontonnobarir table, chotto khuki theke romance e tene ana lekhake, sudhu tumi i paro!apurbo!
ReplyDeleteহাহা, থ্যাংক ইউ, কাকলি।
DeleteIra bhaaari sweet toh.. onek bhalaboasa pathalaam.. gaal tipe deyar probol icche domon korchi..
ReplyDeletedarun laglo ei lekhata.. upmar karipata theke nemontonnobari theke Ira theke rattirer romantic walk.. sob miliye osadharon...
bhalo thakben
Indrani
আপনিও ভালো থাকবেন, ইন্দ্রাণী। ইরার গাল, সত্যি, সংযমের এক্সারসাইজের জন্য আদর্শ।
DeleteIra bhari misti. r ei galpo porar por rashipholer upor bhorsa rakhtei hoi
ReplyDeleteহয় কি না বলুন, ইচ্ছাডানা?
DeleteIra diye suru hoye romantic walk e sesh. ekebare jomjomat kota din :)
ReplyDeleteBratati.
ভীষণ জমজমাট, ব্রততী।
Delete