ভিয়েত সুন



বার্লিনের যে অংশটায় আমরা থাকছি, শার্লটের ভাষায় সেটা হল “ট্রেন্ডি”। শব্দটা বলার সময় শার্লটের নিখুঁত ধনুকের মতো ভুরুদুটো অল্প একটু ওপর দিকে ওঠে, বলা শেষ হয়ে গেলে পাতলা গোলাপি ঠোঁট বাঁদিকে সামান্য বেঁকে যায়। সাড়ে সাতচল্লিশ শতাংশ হাসি আর সাড়ে বাহান্ন শতাংশ বিদ্রূপে।

তবে শার্লটে না বলে দিলেও জায়গাটার ট্রেন্ডিনেস আন্দাজ করা শক্ত নয়। হোটেলের বাইরে পা দিলেই ঝকঝকে দোকানপাট, ফুলের দোকান, আর থরে থরে খাবার দোকান। পৃথিবীর যত রকম জাতির নাম আমার জানা আছে, প্রায় সব জাতির কুইজিনের খোঁজ আমাদের হোটেলের পাঁচ মিনিট ব্যাসার্ধের মধ্যে পাওয়া যাবে। পেনাং থেকে পালাউ, মাসাই থেকে মালাগাসি।

আর এদের সবার মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ‘মহারাজা’।

সেই যখন প্রথমবার বাসে চেপে হপ্টবানহফ থেকে আসছিলাম, আর খানিকদূর আসার পর ড্রাইভারের সিটের ওপর দিয়ে উইন্ডশিল্ডের দিকে তর্জনী উঁচিয়ে শার্লটে বলেছিল, “ওই যে এসে গেছে তোমাদের হোটেল”, তখনই চোখে পড়েছিল। সারি সারি বাড়ির একটার গা থেকে ফুটপাথের ওপর বেশ কিছুটা বেরিয়ে আসা বাহারি রডের ওপর রক্তের মতো গাঢ় বাদামি অক্ষরে লেখা ‘মহারাজা’। আর নিচের লাইনে সামান্য ছোট অক্ষরে, ‘দ্য হোম অফ অথেনটিক ইন্ডিয়ান কুইজিন’।

সেই থেকে ভয়ে ভয়ে আছি। ভয়টা এই নিয়ে নয় যে দু’বেলা সাগ পাতিয়ালা আর তন্দুরি চিকেন খেয়ে কানাকড়ি স্টাইপেন্ডের পুরোটাই উড়িয়ে দেব। ভয়টা এই নিয়ে যে কবে কেউ একজন কাঁধে হাত রেখে বলবে, “কুন্তলা, হ্যাভ ইউ সিন মহারাজা? লেট’স হ্যাভ সাম্‌ ইন্ডিয়ান ফুড টুনাইট

দেশের ভেতরে ৬ নম্বর বালিগঞ্জ প্লেসে গিয়ে টেরাকোটার সানকিতে করে বেগুনপোড়া খাওয়া নিয়ে আমার যা মতামত, দেশের বাইরে মহারাজা বা তাজমহল মার্কা হোটেলে গিয়ে বাটার চিকেন খাওয়া নিয়েও মতামত তা-ই। লাইন দিয়ে দাঁড় করানো বুফের পাত্রে সারি সারি রাজমা, বাটার চিকেন, পালক পনির। টকটকে লাল আর কুটকুটে সবুজ রং ছাড়া আর কিছু দিয়ে তাদের একটাকে আর একটার থেকে আলাদা করার কোনও উপায় নেই।

আমি সেধে এ বিভীষিকার মুখোমুখি হতে যাই না বলাই বাহুল্য, কিন্তু কালেভদ্রে অভারতীয় ফুডিদের নিয়ে নিয়ে মহারাজা দর্শনে যেতে হয়। টেবিলের উল্টোদিকে বসে বন্ধুকে রাজমার মণ্ড খেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠতে দেখি, আর আমার চোখের সামনে সাউথ এক্সের আন্টিজীর সানমাইকা ঢাকা ডাইনিং টেবিল ভাসতে থাকে। টেবিলের মাঝখানে রাখা একটা বড় স্টিলের বাটিতে লাল রঙের ঘন ঝোলের ভেতর রাজমারা জেগে রয়েছে। নিটোল মুক্তোর মতো। এখন সবক’টাকে আলাদা করে চেনা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু জানি মুখে দিলেই মাখনের মতো মিলিয়ে যাবে। পাশে একটা স্টিলের থালায় হাতে গড়া রুটির থাক। টেবিলের মাথায় আন্টিজী বসে আছেন, সামনে পাঞ্জাবের গ্রাম থেকে আসা ঘি-এর খোলা শিশি। প্রতিবেশীরাও যে যার বাড়িতে বসে সে ঘিয়ের সুবাস পাচ্ছেন আমি নিশ্চিত। একএকটা করে রুটি থালা থেকে তুলে নিয়ে আন্টিজী তাতে বেশ করে ঘি মাখাচ্ছেন। চামচের ওপর ঘি-এর একটা ছোট্ট পাহাড়, রুটির ওপর দ্রুত ঘুরছে। এদিকে আমি বসে না থেকে হাতায় করে রাজমা তুলে নিয়ে থালার পাশে রেখেছি। লজ্জা করিনি, যতখানি খেলে পেট ভরবে তার থেকে বেশ খানিকটা বেশিই নিয়েছি

মনে মনে সিল্কের মতো রুটির টুকরোয় জড়িয়ে একখাবলা রাজমা সবে মুখে পুরতে যাব, এমন সময় উল্টোদিক থেকে সঙ্গীর গলার আওয়াজে সুখস্বপ্নে ছেদ পড়ে।

“লেট’স গো ফর ডেজার্ট।”

বাটি হাতে ডেজার্টের টেবিলের দিকে হাঁটি। গুলাবজামুন আর ইন্ডিয়ান রাইস পুডিং। সঙ্গী ভয়ানক উত্তেজিত হয়ে বড় দেখে একহাতা রাইস পুডিং তুলে নেন। চামচ চেটে চোখ কপালে তুলে “ইয়াম্মি” বলেন। “দে হ্যাভ ইউস্‌ড্‌ কোকোনাট অয়েল, নো? ডু ইউ গাইস ইউস আ লট্‌ অফ কোকোনাট অয়েল ইন ইয়োর কুকিং? আই হ্যাভ হার্ড ইট’স ভেরি গুড ফর ইয়োর হেলথ্‌।”

আমি একচামচ রাইসপুডিং মুখে তুলে আস্তে করে বাটি সরিয়ে রাখি। মনে মনে বলি, মাগো, এক্ষুনি কেষ্টদা’র দোকান থেকে সাদা পলিথিনে করে একশো গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল আর পঞ্চাশ গ্রাম কিশমিশ কিনে নিয়ে চলে এস তো মা। এসে রেঁধে দেখিয়ে দাও ইন্ডিয়ান রাইস পুডিং আসলে কাকে বলে। রিয়েল রাইস পুডিং, রিয়েলি ব্যাড ফর ইউ।

ভয় অবশেষে সত্যি হল। মিউজিয়াম দেখে ফিরে হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে লাঞ্চের জায়গা ঠিক করা হচ্ছে, এমন সময় একজন বলল, “হাউ অ্যাবাউট মহারাজা?”

আমি আর একসেকেন্ড সময় নষ্ট করলাম না। ঝট করে একবার চারদিকটা দেখে নিয়ে চেঁচিয়ে উঠে বললাম, “ও মাই গড! ভিয়েতনামিজ ফুড! বান মি! ফ গা!” বলেই দৌড়ে হোটেলের লাগোয়া ‘ভিয়েত সুন’ নামের ফাঁকা দোকানটায় ঢুকে পড়লাম। যাতে আমার পিছু নেওয়া ছাড়া বাকিদের আর গতি না থাকে।

পুরোটা যে অভিনয় করেছি সে রকম নয় কিন্তু। মায়ের হাতের আলুসেদ্ধ-আমূলবাটার-ভাতের পর পৃথিবীর যে কুইজিন আমার সবথেকে প্রিয় তা হল ভিয়েতনামিজ। অনেক কাল আগে প্রত্যেক শনিবার সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সোফায় গা এলিয়ে বসে আমরা সারাদিনের প্ল্যান করতাম। সিনেমা, পিৎজা, আড্ডা। সবকটা বিষয়েই সবাই একমত হত। মতবিরোধের একমাত্র জায়গা ছিল পিৎজার টপিং। এক্সট্রা মিট না এক্সট্রা মাশরুম? তাও মনে পড়ে না সে নিয়ে তর্ক কোনওদিন চল্লিশ মিনিটের বেশি চলেছে।

যেটা নিয়ে কখনওই কোনও তর্ক হত না সেটা হচ্ছে দুপুরের খাওয়া। কাছেই আছে ফারমার্স মার্কেট। প্রথমে শুনে ভেবেছিলাম না জানি হাতিঘোড়া কী ব্যাপার, দেখে বুঝলাম আমরা যাকে মার্কেট বলি এরা তাকেই কায়দা করে ফারমার্স মার্কেট বলে। যে মার্কেট সুপারমার্কেট নয়, যেখানে জিনিসপত্র কিনতে গেলে রক্তমাংসের মানুষের সঙ্গে কথোপকথন চালানোর দরকার পড়ে, সেটাই হচ্ছে ফারমার্স মার্কেট।

আমরা প্রতি শনিবার নিয়ম করে স্থানীয় ফারমার্স মার্কেটে যেতাম। আলুপটল, সসেজ, চিজ, কানের দুল, ফুল ইত্যাদি ছাড়াও আরও একটা জিনিস পাওয়া যেত সেই মার্কেটে, দেশবিদেশের খাওয়া। ছোট ছোট স্টলে লেবানিজ, ভিয়েতনামিজ, ইত্যালিয়ান, ভিয়েতনামিজ ইত্যাদি নানারকমের খাবার। সিনিয়ররা আগেই বলেছিল, ভিয়েতনামিজ দোকানটায় খাস। আমরা সে কথায় পাত্তা না দিয়ে সব দোকান চেখে দেখেছিলাম। তারপর বড়দের কান বাঁচিয়ে ফিসফিসিয়ে স্বীকার করেছিলাম, “ভিয়েতনামিজ দোকানটাই সেরা।”

সেই শুরু হল। প্রতি শনিবার দুপুরে দল বেঁধে বাসে চেপে ফারমার্স মার্কেট, মার্কেটের তিন নম্বর গলির প্রথম দোকান। বাটিতে করে যে যার খাবার নিয়ে সরু সিঁড়ি বেয়ে সোজা দোতলার বারান্দায়। কড়িকাঠের সিলিং-এর নিচে সস্তা সাদা প্লাস্টিকের টেবিল ঘিরে লালনীল চেয়ারে বসে খাও আর আড্ডা মারো। যতক্ষণ খুশি। যতক্ষণ না বড় বড় জানালা দিয়ে এসে পড়া দুপুরের রোদ টেবিল ছেড়ে পালাচ্ছে।

কী ভালো যে লাগত। মনে হত, আহারে, এমন দুপুরগুলো কেন বাড়তে বাড়তে সারাটা জীবন ছেয়ে ফেলে না। আমাদের আড্ডার মধ্যমণি হয়ে বিরাজ করত বান মি, বান কান, ফ গা। বাতাসের মতো হালকা ব্যাগেটে পোরা নোনতা মাংস, মিষ্টি সস, লেমনগ্রাস, পুদিনা আর লাল টুকটুকে ভিয়েতনামিজ চিলি-ওয়ালা বান মি ছিল আমার ফেভারিট। কেউ কেউ রোজই নিত গোল বাটিতে করে ভাত, আর ভাতের সঙ্গে কাঁচামিঠে আমের টুকরো দিয়ে রাঁধা মাংসের তরকারি।

কাজেই ‘ভিয়েত সুন’-এ দৌড়ে ঢোকার সময় মহারাজার হাত থেকে বাঁচার তাগিদ যেমন প্রাণপণ ছিল, বান মি-খাওয়ার ইচ্ছেও প্রায় ততখানিই প্রবল ছিল। বান মি পাওয়া গেল না অবশ্য, তবে রাইস আর চিকেনওয়ালা চেনা ডিশটার নাম ব্ল্যাকবোর্ডের ঠিক মাথার ওপর দেখতে পেয়ে ওইটাই অর্ডার করে দিলাম। প্রথম গ্রাস মাংসভাত মুখে দিয়েই বান মি না পাওয়ার দুঃখ নিমেষে হাওয়া হয়ে গেল। এত ভালো রাঁধে কী করে মানুষে?

আবার দীর্ঘ কর্মহীন দুপুর, আবার টেবিলের চারদিক ঘিরে পছন্দের বন্ধুরা, আবার অনর্গল আড্ডার মাঝে মাঝে অনভ্যস্ত চপস্টিকের মৃদু খুটুরখুটুর। খেতে খেতে জোর তর্ক চলল। কোন খাবার ভালো? পোড়া মাংস আর ম্যাশড পটেটোর সোজাসাপটা ভড়ংহীনতা ভালো, নাকি ফিশসস আর গন্ধলেবুপাতার সূক্ষ্ম ইন-ইয়াং ব্যালেন্স ভালো?

কেন এমন দুপুরগুলো আরও ঘন ঘন আসে না?

তাই দিনকয়েক বাদে এক সন্ধ্যেয় অফিস থেকে ফেরার পথে আবার যখন সেই কঠিন প্রশ্নটার সম্মুখীন হলাম, রাতে কী খাওয়া হবে, তখন ভিয়েত সুন-এর নামটাই প্রথম মনে পড়ল। তবে সেদিন ডিনারে আমার সঙ্গী একাবোকা আমিই, কাজেই খাবার টেকঅ্যাওয়ে করে নিলাম। ঘরে ফিরে এসে ধড়াচূড়া মুক্ত হয়ে, ইন্টারনেট খুলে, কাঠি দিয়ে সাবধানে স্প্রিং রোল ব্যালেন্স করে তুলে কামড় বসালাম। এক কামড়, দুই কামড়, তিন কামড়। কোথাও একটা গোলমাল হচ্ছে। দোকানের দোষ কি? আগের দিনই তো খেলাম, দিব্যি ভালো রান্না। আজ ভালো লাগছে না কেন?

খাওয়ার মাঝপথে পৌঁছে “যথেষ্ট হয়েছে” বলে উঠে পড়তে হল।

মনটা খারাপ হয়ে গেল। ভিয়েতনাম আমাকে এভাবে দাগা দেবে ভাবতেই পারিনি। এতদিনের পরিচয় আমাদের, আমার এতবছরের অবিচল একনিষ্ঠতা---সবের প্রতিদান কি এই? সারাদিনের শেষে খেতে বসে পুরো খাবারটাও শেষ করতে না পারা? টেকঅ্যাওয়ের বাক্স ওয়েস্টপেপারবাস্কেটে ফেলে দিয়ে এসে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়লাম।

মাথার ভেতর অসংখ্য ছবি ফুটে উঠল। নর্থ মার্কেট। মার্কেটের বাইরে বেঞ্চি পাতা টানা বারান্দা, সেখানে একদল ইশকনের চ্যালা খোলকরতাল বাজিয়ে ভয়াবহ উচ্চারণে “হওরে খ্রিষ্ণ, হওরে খ্রিষ্ণ, খ্রিষ্ণ খ্রিষ্ণ হওরে হওরে” জুড়েছে। কে আবার একখানা ঘোড়া এনে রেলিং-এর সঙ্গে বেঁধে রেখেছে, রাজ্যের বাচ্চা চারপাশে ভিড় করে নিষ্পলক চোখে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। যেন ঘোড়া এক্ষুনি কথা বলে উঠবে। শীত পড়েছে ভয়ানক। গ্লাভসের ভেতরেও আঙুল জমে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি ছুটে মার্কেটের ভারি দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকছি। ভিয়েতনামিজ দোকানটার সামনে কী লাইন বাস্‌রে। লাইনে দাঁড়িয়ে কোনওমতে গ্লাভস থেকে হাত বার করে পার্স খুলে টাকা বার করছি। ক্রেডিট কার্ড নেয় না এরা। কাউন্টারের ওপারে কুচকুচে কালো চুল আর মাছি-পিছলানো ত্বকওয়ালা গোটা দুই ভদ্রমহিলা ব্যস্ত হাতে রান্না করছেন। সাঁড়াশিতে করে আগুনের ওপর মাংস উল্টেপাল্টে দিচ্ছেন, ধবধবে সাদা গোল বাটিতে স্বচ্ছ নুড্‌ল্‌স্‌ রেখে, তার চারপাশে রংচঙে সবজি আর সদ্য সেঁকা মাংস সাজিয়ে, হাতায় করে একটা বড় পাত্র থেকে ধোঁয়া ওঠা ব্রথ ঢালছেন। আমার স্যান্ডউইচ রেডি। ট্রে-তে করে সবকিছু নিয়ে সাবধানে সিঁড়ি দিয়ে উঠছি, সিঁড়ির মাথায় সবুজ রঙের ভারি কাঠের দরজা। বান্টি কী একটা বস্তাপচা রসিকতা করে নিজেই হাহা করে হাসছে।

“আঃ বান্টি, বক্‌বকানি থামিয়ে দরজাটা খুলে ধর না। দেখছিস মহিলারা হাতে ভারি জিনিসপত্র নিয়ে উঠছে...আনশিভ্যালরাস কোথাকার...”

বান্টি দরজা ঠেলে ধরেছে। “শিভ্যালরি আর প্যাট্রিয়ার্কি একই কয়েনের এপিঠওপিঠ, তা জানো?”

জানালার পর্দার ওপারে হোটেলের ছাদের একটা টিমটিমে লাল আলোর দিকে তাকিয়ে অন্ধকারের ভেতর আমি শুয়ে থাকি। নর্থ মার্কেটের আলো, শব্দ, রং, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মোড়া বান মি-র সুস্বাদু প্রতিশ্রুতি---আমাকে ঘিরে থাকে। আর প্রথমবার আমার মনে সন্দেহ জাগে, ভিয়েতনামিজ খাবার ভালো লাগার পেছনে আমার আসল কারণটা কী? খাবারটা, জানালার ফাঁক দিয়ে এসে পড়া দুপুরের রোদটা, নাকি আরও সাংঘাতিক, বান্টির অন্তহীন বকবকানি?

উত্তরটা পাওয়ার আগেই চোখে ঘুম এসে যায়।

          

Comments

  1. খুব ভাল! খুব সুস্বাদু এবং উপাদেয়! :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ শীর্ষ।

      Delete
  2. Ami konodin Vietnamese khabar khaini. :(

    Aha re. Ondhokar ghore shuye shuye barir kotha bhabchho jene besh kharap laglo. Taratari kaaj serey ebar ghorer meye ghore phero dekhi!

    ReplyDelete
    Replies
    1. দিল্লিতে ভিয়েতনামিজ খাবারের দোকান দেখেছি বলে মনে পড়ে না। খোঁজে থাকব, খোঁজ পেলেই তোমাকে ই-মেল করে দেব বিম্ববতী।

      Delete
  3. ওহ্‌ ফাটাফাটি । ভারতীয় খাবার নিয়ে একই মতামত শেয়ার করলাম। বাঙালি সুখাদ্যগুলো বাজার জমাতে পারলো না এটাই বড় হতাশার ।
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক বলেছ মিঠু, আমার ধারণা বাঙালি খাবার একটু জটিল, উপকরণ অনেক বেশি লাগে...সে কারণে হতে পারে।

      Delete
  4. khub bhalo lekha ar besh mon kharaper

    ReplyDelete
  5. দেবশ্রী, তিন্নি---থ্যাংক ইউ।

    ReplyDelete
  6. 'Vietnamese' khabar sujog kakhono hoeni, ekhon ei lekha pore khnoj lagate hobe dekhchhi :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. খোঁজ লাগান শিগগিরি ইচ্ছাডানা, আমি নিশ্চিত আপনার ভালো লাগবে।

      Delete
  7. কুন্তলে, এই তো পেয়েছি! বল্টিমোর-এ বেড়াতে এস, দারুণ একটা ভিয়েতনামিজ জায়গায় নিয়ে যাব। সেখানে স্প্রীং রোল আর ফা (সুজয়িতার প্রথম পছন্দ) খেলে তুমি ওই ভিয়েত সুন-এর বিশ্বাসঘাতকতার কথা এক্কেবারে ভুলে যাবে, প্রমিস।

    তোমার খাদ্য সম্পর্কিত লেখাপত্রগুলো বড় ভাল হয় হে। পড়তে পড়তে সুরুৎ করে কয়েকবার জিভের জলও টেনে নিলাম। -দীর্ঘশ্বাস-

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে তোমরাও ভিয়েতনামিজ ভালোবাস? উচ্চ-পাঁচ, উচ্চ-পাঁচ। এত যে লোভ দেখাচ্ছ, সত্যি সত্যি বাল্টিমোর চলে যেতে পারি কিন্তু একদিন।

      Delete
    2. যে কোন দিনে, যে কোন মুহূর্তে সুস্বাগতম। এমনকি বললে নিউ ইয়র্ক জেএফকে থেকে গাড়ি করে নিয়ে আসব।

      Delete
    3. কী ভাল! থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।

      Delete
  8. nah millo na, Vietnamese khabar amar joghonyo lage. tobe indian restaurant niye akkere thik bolecho..ei sedin shuni sostreek obama anniversary celebrate korte indian dokane giye kheyechen, shune bhabchilam aha jodi sotyi sotyi indian khabar khete peto :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই যা স্বাগতা। কিন্তু কুছ পরোয়া নেই, আমার তোমার অলরেডি অনেক কিছু মিলেছে, এটা না মিললে কিচ্ছু এসে যায় না।

      Delete
  9. সত্যি বলতে কি ট্যালট্যালে ঝোলা ঝোলা সুপসুপে রান্না আমার বরাবরই পছন্দ! তাই প্রবল জনপ্রিয় থাই রেড কারি'র হাঁকডাক পেরিয়ে পড়শি দেশের 'ফো'! যে খেয়েছে, সে ভুলেছে! আহা! ১ বাটি ঝোলন্ত আরাম!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঝোলন্ত আরাম কথাটা দারুণ তো। ভিয়েতনামিজ খেতে ভালো লাগে শুনে আহ্লাদিত হলাম স্মৃতিলেখা।

      Delete

Post a Comment