হিসেব করে
পার্থদাদার বিয়েতে মামাবাড়ির সবাই বসে তুমুল আড্ডা দেওয়ার সময়ের একটা বিশেষ কথোপকথন আমার আজও স্পষ্ট মনে আছে। পনেরো বছর কেটে যাওয়ার পরেও। কথা হচ্ছিল ফ্যামিলির বিখ্যাত কিপটেদের নিয়ে। দিদিমার বাপের বাড়ির দিকে কে কে নামজাদা কিপটে ছিলেন, দাদুর বাপের বাড়ির দিকে কে কে। দুদিকের কিপটেদের জিন মিলিত হয়ে মামামাসির মধ্যে কে কে কিপটেসম্রাট-সম্রাজ্ঞী হয়েছেন সে সব নিয়েও বাকবিতণ্ডা হচ্ছিল। অনেক চুলচেরা বিচারের পর সবাই অবশেষে একমত হলেন যে ছোটমামাই ভাইবোনেদের মধ্যে সেরা কিপটে। তাই শুনে ছোটমামার মুখটা কেমন হয়ে গেল দেখেই বোধহয় বড়মামার মায়া হল। তিনি সবাইকে থামিয়ে বললেন, “আরে না না, শিবু ঠিক কিপটে নয়। বরং ওকে হিসেবি বলা যেতে পারে।”
বড়মামার মন্তব্য নিয়ে তারপর
আরেকপ্রস্থ হাতাহাতি শুরু হয়েছিল, কিন্তু আমি সেসবের দিকে কান না দিয়ে যত্ন করে,
গোটা গোটা অক্ষরে মাথার মধ্যে কথাক’টা টুকে নিয়েছিলাম। আমি কিপটে নই, আমি হিসেবি।
আমার মা আমাকে অনেকসময়
কিপটে বলেন, কিন্তু আমি জানি সেটা ঠিক নয়। কিপটেমোর ধাত আমার নেই, যেটা আছে সেটা
হল হিসেবের ধাত। খরচ করার থেকে টাকা জমাতে আমার বেশি আনন্দ হয়। তা বলে কি দরকারি
জিনিসে খরচ করি না? আলবাৎ করি। কিন্তু সে খরচের কয়েকটা নিয়ম আছে। নিয়ম বলাটা অবশ্য
ঠিক হবে না, কারণ এর কোনওটাই আমি সজ্ঞানে খাতা পেনসিল নিয়ে বসে ঠিক করিনি। মাথার
মধ্যে আজন্ম প্রোগ্র্যামিং হয়েই ছিল। প্রথম নিয়মটা হচ্ছে, যে টাকা আমি চোখে দেখতে
পাচ্ছি না, হাতে ধরে গুনতে পারছি না, সে টাকা খরচ করা আমার কলজেয় কুলোয় না। ভীষণ
ভয় লাগে। সমসাময়িক সভ্য জগতে চলাফেরা করার জন্য ক্কচিৎ-কদাচিৎ প্লাস্টিক মানি ব্যবহার
করতেই হয়, কিন্তু করি শুধু বাধ্য হয়ে। দ্বিতীয় নিয়মটা হল, আমার মাথার মধ্যে একটা
খুব স্পষ্ট ধারণা আছে যে এক দিনে, সপ্তাহে, বা মাসে কত টাকায় আমার স্বচ্ছন্দে চলে
যাওয়া উচিত। সে সীমা আমি পারতপক্ষে লঙ্ঘন করি না। মাঝে মাঝে এই নিয়মেরও অন্যথা হয়,
কিন্তু সে বড় অশান্তি।
তাই যখন কাল দুপুরের
ঘটনাটার মতো কিছু একটা ঘটে, তখন সেটা নিয়ে ব্লগপোস্ট লিখতেই হয়।
মাইনে পেয়েছি বেশ ক’দিন হল,
কিন্তু সময়ের অভাবে বই কেনার বাজেটের টাকাটা খরচ করা হচ্ছিল না। কাল অপ্রত্যাশিত
ভাবে সময়ের একটু আগেই ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি স্থির করলাম যে আজই সুবর্ণসুযোগ।
হপ্টবানহফে নেমে ট্রামস্টপের দিকে না হেঁটে আমি উল্টোদিকে হাঁটতে শুরু করলাম।
যেদিকে বইয়ের দোকান আছে।
কিপ...আই মিন, হিসেবি হওয়ার
সবটাই যে ভালো তা হয়, কিছু কিছু কষ্টের দিকও আছে। বইয়ের দোকানে যাওয়ার সময়ে এই
কষ্টটা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই। শেলফের সামনে দাঁড়িয়ে বইয়ের গায়ে হাত বুলোতে বুলোতে
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি। মাথার ভেতর বাজেটের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে।
অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আমার আর কিচ্ছু করার থাকে না।
কালকেও বেধেছিল। তবু রক্ষে,
এখানে ইংরিজি বইয়ের অপশন বেশি নেই। তিনটে তিনটে ছ’টা মোটে শেলফ, তার মধ্যে বাছতে
হলে বাছ, না হলে পিঠটান দাও। একদিক থেকে ভালোই। অপশন থাকা মানেই অশান্তি। কাল
অশান্তি আরও কম, গত বেশ ক’মাসের নতুন গোয়েন্দা গল্পের অভাবে আমার মনের মাটিতে চড়া
পড়ে ইয়া বড় বড় ফাটল ধরে গেছে। দোকানে ক্রাইমের জন্য বরাদ্দ আছে ছ’টার মধ্যে তিনটে
শেলফ। যা-ই হোক না কেন, আমাকে ওই তিনটের মধ্যে থেকেই বই বাছতে হবে।
বেশি সময় লাগল না, রুথ
রেন্ডেলের একটা বই পছন্দ হয়ে গেল। এটা আগে পড়া নেই। তর্জনী দিয়ে টেনে বার করে চট্
করে উল্টোদিকটা দেখে নিলাম। দাম বাজেটের মধ্যে আছে। গুড। খুশি হয়ে বই বগলদাবা করে অন্য
শেলফগুলোর দিকে চোখ ফেরালাম। খানিকক্ষণ উইন্ডোশপিং করা যাক।
নন-ফিকশনের শেলফে সারি সারি হ্যাপিনেসের টোটকা সাজানো আছে। প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর অব্যর্থ টোটকা। ওবামার জীবনী। ফিকশনের দিকে এগোলাম। হিসেবিরা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করে না। অচেনা লেখকের বই ঝপ্ করে কিনে ফেলার অ্যাডভেঞ্চারও না। আমাদের আগে রিভিউ পড়তে লাগে, বিশ্বস্ত বন্ধুর মুখে খবর পেতে হয়, তবে অচেনা লেখকের প্রতি আমরা হস্ত উপুড় করি। নেহাতই যদি নাম দেখেই কোনও বই পড়তে ইচ্ছে হয়, তবে লাইব্রেরিতে লাইন দিই।
ফিকশন শেলফে জেন অস্টেন,
শেক্সপিয়ার আর বাকি সব মোটের ওপর অচেনা লেখকের নামের ওপর দিয়ে চোখ বুলোতে বুলোতে
এগোচ্ছি, এমন সময় একটা বেশ মোটা বইয়ের শিরদাঁড়ার ওপর এসে চোখ স্থির হয়ে গেল।
দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই টের
পেলাম আমার বুকের ভেতর ধুকপুক শব্দটা ক্রমশ জোর হচ্ছে। এই বইটার তো এখানে থাকার
কথা নয়।
রুথ রেন্ডেলের বইটা ডান বগল
থেকে বাঁ বগলে চালান করে ডানহাত শেলফের দিকে এগিয়ে দিলাম। বইটা
সম্পর্কে কানাঘুষো শুনছি বেশ কিছুদিন হল। রিভিউ পড়েছি দু-একটা, কিন্তু সে রিভিউ
বিশ্বাস করার কোনও কারণ ঘটেনি। এ বইয়ের পক্ষপাতহীন রিভিউ পাওয়া শক্ত। অথচ এমনটা
হওয়ার কথা হয়। লেখক একেবারে আনকোরা নতুন। এটাই তাঁর প্রথম বই।
বইয়ের নাম দ্য কুকু’স কলিং।
লেখকের নাম রবার্ট গ্যালব্রেথ।
শেলফ থেকে টেনে নিয়ে বইটার
সারা গায়ে ভালো করে একবার হাত বুলোলাম। বুড়ো আঙুল দিয়ে পেছনের মলাট থেকে ফরফর করে
পাতা উল্টে সামনের মলাট পর্যন্ত এলাম। যদি পাতাটাতা জোড়াটোড়া থাকে কোথাও। কেনার
আগে দেখে নেওয়া ভালো। উল্টোদিক দেখে লাভ নেই, আমি জানি এ বইয়ের দাম আমার বাজেটের
মধ্যে থাকবে না। কিন্তু আমি অসহায়। আমার কিছু করার নেই।
রুথ রেন্ডেলের কাছে মনে মনে
ক্ষমা চেয়ে তাঁর বইটাকে আগের শেলফের ফাঁকটায় গুঁজে কুকু’স কলিং কিনে দোকান থেকে
বেরিয়ে এলাম। মাথার ভেতরটা কেমন ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সামনের ক’দিনের একটা খেলানো
টু-ডু লিস্ট বানিয়েছিলাম আজ দুপুরেই বসে বসে, সেটার পরিণতি ভেবে দুঃখ আর হাসি
দুটোই একসঙ্গে পাচ্ছিল। ট্রামে জানালার ধারে বসে একবার পলিথিনটার গায়ে হাত বুলোলাম।
মন মিনতি করে বলল, “একবার দেখি?” মগজ চোখ পাকিয়ে বলল, “খবরদার না। বাড়ি যাও, দাঁত
কামড়ে জামাকাপড় ছাড়ো, হাত পা ধোও, ভালো করে এককাপ চা বানাও। যে বইয়ের যা প্রাপ্য
সম্মান তাকে সেটা দিতে শেখ। না হলে নিজেই পস্তাবে।”
তাই করলাম। সন্ধ্যে ফুরিয়ে,
রাত গড়িয়ে গেল। আর কিছুক্ষণ পরেই আকাশে আলো ফুটবে। না, শেষ করতে পারিনি। চাইওনি। ভীষণ
হিসেব করে খরচ করছি, যাতে আনন্দ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না যায়। স্বভাব যাবে কোথায়।
etai toh J K Rowling er chadmaname lekha,tai na???kemon boi??kipteder kaster katha pore khub haslam
ReplyDeleteকষ্ট বলে কষ্ট তিন্নি? বই শেষ করে বলব দাঁড়া। এটা আমার আবার একটা তুকতাক। মাঝপথে বললাম ভালো, এদিকে ক্ল্যাইম্যাক্স একেবারে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি হয়ে গেল...আশা করি বুঝবি।
DeleteKichhudin aagei porlam. Besh boi. Tobey Galbraith er aager boi er byaparta nei, bolai bahulyo. Kintu readability quotient ekebare akashchhnowa. Ek nishwashe ek diney shesh kore tobe uthechhilam. Porer bochhorey aro ekta ashchhe, ki moja! :D
ReplyDeletep.s. Boi porar budget ey taan porle amay bolte paro. Ami kormosutre Penguin er boi ey 50 percent chhar pai. Bhebe dyakho koto taka bnachbe! :D
আহারে, গ্যালব্রেথের আগের বইগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে কী করে চলবে। সেই দুঃখেই তো লেখক নিজের নাম ছেড়ে নতুন নাম নিয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। কী রকম ছবি এঁকে দেন না প্রতি লাইনে? মনে হয় সিনেমা দেখছি বুঝি। বড় ভালো লেখেন গ্যালব্রেথ-বাবু।
Deleteতুমি এইরকম একখানা রাজার চাকরি কর বিম্ববতী? কোনও দিন অর্থকষ্টে পড়ে বই কেনা বন্ধ হলে তোমার দ্বারস্থ হব, এই শাসিয়ে রাখলাম।
arre arre cuckoo's calling porcho!! kemon laglo?? amar kenar moton budget ekkhuni nei, tai library r new arrivals ta weekly ghatchi..
ReplyDeleteei kipte opobaad ta ami chotto theke shune aschi, ebong aschorjer bishoy holo nijer jonye ei "hisebi" label ta nijei baniyechhilam, akhono chalanor chesta kori! tobe emnite boi er byapare ami bishesh kipte noi, bisheshoto bharote thakle..sudhu bideshe boi gulor ja daam, ar library te ato collection je dollar gulo baar korte ektu kipte..na na..hisebi hoye pori :P
লাইব্রেরির ক্যাটালগের ওপর একেবারে গৃধ্নুদৃষ্টি মেলে বসে থাক স্বাগতা। ভালো লাগবে পড়তে। ওদেশে সত্যি বই কেনার মানেই হয় না। তেমন হলে লজ্জার মাথা খেয়ে দোকানে বসেই পড়ে আসবে।
Delete"cuckoo's calling " kine phelle? ki moja.Kemon laglo jodi ektu bolo tahole amio sahos kore kine phelbo.
ReplyDeleteChhobita besh hoechhe, Bookmark ta darun :-)
Deleteশেষ করে নিই, তারপর নিশ্চয় বলব ইচ্ছাডানা। থালিয়া-র বুকমার্কগুলো আমারও খুব ভালো লাগে।
Deleteকুন্তলা, আজকের ব্লগের প্রথমাংশটা বেশ শিক্ষণীয়। বিশেষ করে তাদের কাছে, যারা নতুন বড় হচ্ছে বা তোমার মত নতুন সংসার শুরু করছে। আমি সারা জীবন সেসব না জেনে না শুনে কোন বই কিনতে পারার সুখে, কোন বই পয়সায় কুলালো না বলে কিনতে না পারার দুঃখে ভাসতে ভাসতে কাটিয়ে দিলাম। জীবনের শেষে এসে আজও যদি বেহিসেবি না হই তো আর কবে হব? তোমার ধারণা পড়ে চমকে গেলাম। ভাগ্যিস্ এই লেখাটা তখন ছিল না। তাহলে আমার খুব বিবেকদংশন হত। অবশ্য এখন আমার একটু ছোট লাগছে নিজেকে। তুমি এইটুকু মেয়ে কত বুঝদার, আর আমি?
ReplyDeleteতোমার নতুন বইটা যারা পড়েনি তাদের দলে আমি বিরাজিত। বেজায় কুঁড়ে হয়ে গেছি এখন। তাই আশা করি তোমার পড়া হলে এই বইটা নিয়ে একদিন একটা পোস্ট লেখা হবে আর তখনই আমি এর রসটা জেনে যাব।
আরে আমি বুঝদার নই, আমি স্রেফ কিপটে মালবিকা। টাকা খরচ করতে গায়ে জ্বর আসে। এ রকম না হওয়াই ভালো।
Deleteবইটা নিয়ে লেখার জন্য আমারও তর সইছে না, দেখি কবে শেষ করতে পারি।
আমার মা ছোটবেলা থেকে সবাইকে বলে আসছে, "আমার মেয়ে জানো তো, খুব হিসেবী।" আগে ভাবতাম ওটা বোধহয় কিপটের কোনো সমার্থক শব্দ। বড় হয়ে একা থেকে টাকাপয়সা ম্যানেজ করার সময়ে বুঝলাম হাউ মেনি রাইস ইন হাউ মেনি প্যাডি। ছোটবেলায়ও অবশ্য কিপটে ছিলাম না, জমানো টাকা সব বইতেই খরচ হয়ে যেত।
ReplyDeleteহাউ মেনি রাইস ইন হাউ মেনি প্যাডি জানা সোজা কথা নয় প্রিয়াংকা। কেউ কেউ সারাজীবনেও বোঝে না। তুমি যে বুঝেছ সেটার জন্য কনগ্র্যাচুলেশনস।
DeleteCasual Vaccancy ta gato mashe desh theke pherar somoi airport-e kinechhilam. Bhebechhilam eto lamba flight aha besh porte porte jaoa jabe. Anno kono boi pachhondo hoini, ei byapar ta bad dile besh asha niei kinechhilam. kintu nah baddo hatash hoyechhi. 1/4th porechhi kina sandeho, dur chhai bole rekhe dite hoyechhe. emonki baree ene Rhitoban ke dilam (bhab dekhalam or jonnoi enechhi) kintu seo porte raji holo na, audio book ta naki download kore shunte shuru korechhilo kintu besh kichhu dur gie ar nite pareni. Kajei Galbreth babur boita shuru korar bisesh utsaho pachhi na. tomar bhab dekhe mone hochhe ja thake kapale bole porei phelbo.
ReplyDeleteআরে বাঃ দেশ ঘুরে এলে রুচিরা। খুব ভালো কেটেছে নিশ্চয়। টুকটুক কী বলছে? ক্যাসুয়াল ভেকেন্সি নিয়ে আমি খুব মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুনেছি। বেশিরভাগই বলেছে অখাদ্য, কেউ কেউ বলেছে অভূতপূর্ব ভালো বই। আমি পড়িনি, পড়ার ইচ্ছেও যে আছে খুব তা নয়, কারণ খারাপ লাগলে আমার খুব মন খারাপ হবে।
DeleteTuktuk deshe jaini, ami 5diner jonno ekta conference-e gechhilam. Tumi kachhakachhi thakle casual vacancy ta tomakei pathie ditam Kintu Ei boi-er jonno shipping debar kono manei hoi na.
Deleteআরে না না, কোনও মানেই হয় না রুচিরা। তোমার বেশ একটা ঝটিকাসফর হল তার মানে।
Deleteamar ruth rendell besh lage. aboshho aajkal aami joe sandilands niye byastow. kolkata aar shimla periye ekhon tini frontier province e eshe jutechen (arthat series er tin nombor boi). shunlam 2014 e yashim abar firchen, tai setar apekkay thakte
ReplyDeletehobe :)
বাঃ, বুঝেছি তোমার গোয়েন্দা গল্পের সংসার একেবারে ফুলেফেঁপে উঠেছে শম্পা। খুব ভালো খুব ভালো। ইয়াশিমের অপেক্ষায় আমিও আছি। বড় ভালো গোয়েন্দা। তুমিই খবর দিয়েছিলে, থ্যাংক ইউ। রুথ রেন্ডেল ভালো, কিন্তু একটু বেশি ডার্ক না?
Deletenotun goyenda on the horizon holo muzzafar jung of dilli/agra. shah jahan er taj mahal praye hoye eshechey ei samay agra'r khoon toon niye tadanto korchen...ini o daroon. aar samay/mejaj tao besh :)
ReplyDeleteমুজাফফর জং ভালো, কিন্তু ইয়াশিম আরও ভালো। আমার মতে।
Deletehyan hyan of course, yashim eder sabar urdhe..tai tow nuton boi er ashay boshe achhi :)
ReplyDeleteসালটা ২০০৫। মাস টা জুলাই। চেন্নাই গেছি জীবনের প্রথম চাকরি জয়েন করতে। প্রথম মাইনে পেতে তখনও দিন ১৫ দেরী, কিন্তু বইয়ের দোকান ছেয়ে গেল "Harry Potter and the Half Blood Prince" এ। রোজ সন্ধ্যেবেলা যাই, একটু হাত বুলিয়ে আসি। ৯০০ মতন দাম যে! বইটা বেরোবার তিন দিনের মাথায় ফুটপাথ থেকে কিনলাম ২০০ দিয়ে, শুধু পেপার ব্যাক, তাছাড়া বোঝার উপায় নেই আসল না নকল। দিন রাত এক করে পড়ে ফেললাম। অফিসে ট্রেনিং এর কফি ব্রেকে বাইরে না গিয়ে ক্লাসে বসে পড়ছিলাম, সদ্য আলাপ হওয়া একটি মেয়ে দেখে বলেছিল তার পৃথিবীতে যে মানুষটাকে দেখে সবচেয়ে হিংসে হচ্ছে সে হলাম আমি। আজ আপনার লেখাটা পড়ে আমার সেরকম মনে হলো।
ReplyDeleteসে বইটা শেষ করে একটা খামে ভরে সেটাকে আরেকটা খামে ভরে কুরিয়ার করে দিয়েছিলাম লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের হোস্টেলে। আমার বোনের জন্মদিনের উপহার ছিল ওটা। দুটো খাম কেন? ভিতরের খামটার ওপর বিরাট করে প্যাঁচা এঁকে "Delivery by Special Owl" লেখা ছিল তো, তাই মাগল কুরিয়ারদের সুবিধের জন্য আরেকটা খাম দিয়েছিলাম বাইরে। আমায় পাগল ভেবে হাসছেন? আমি নিজেই হাসছি।
কিপ... মানে হিসেবী মানুষদের বইয়ের দোকানে যাওয়া যে কি কষ্টকর কি বলব। আমি তো কলকাতা বইমেলায় ইচ্ছে করে কম টাকা নিয়ে ঢুকতাম যাতে চাইলেও বাজেটের বাইরে না কিনতে পারি। তখন প্লাস্টিক চলতনা বইমেলায়, আর আমারও শুধু একটা এ টি এম কার্ড ছিল, কাজেই হিসেব রাখতে অসুবিধে হতনা।
হাহাহা, ডেলিভারি বাই স্পেশাল আউল পড়ে খুব মজা পেলাম। দুঃখও হল, এই ভেবে যে আমার কেন একটাও এ'রকম দাদা হল না জীবনে।
Deleteদাদা না হলেও, ভাই হয়ে থাকতেও পারে। হয়ত কুম্ভমেলায় আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন আপনারা। হয়ত কখনও দেখা হবে। :-)
Deleteহাহা, হতে পারে হতে পারে। কিচ্ছু বলা যায় না।
Delete