Posts

Showing posts from November, 2014

সাপ্তাহিকী

Image
শিল্পীঃ Brock Davis Brag is a good dog, but holdfast is better.                                  --- পুরোনো প্রবাদ। মির‍্যাকিউরল বড়ি খাওয়া তো দূর অস্ত, চোখে দেখেছেন কি? কিংবা কার্বোথিনের জামা? অবান্তরের একজন প্রিয় বন্ধুর পাঠানো লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন। ডিজনির জল মেশানো সংস্করণের ক্ষীণকটি যুবতীর কথা ভুলে যান। আসল গল্পে স্নো হোয়াইটের বয়স কত ছিল জানেন? সাত। সেই সাত বছরের মেয়ের রূপের জ্বালায় জ্বলেপুড়ে তাকে প্রাণে মারতে কে চেয়েছিল জানেন? উঁহু, সৎ নয়, স্নো হোয়াইটের নিজের মা। দ্য সিক্রেট লাইফ অফ পাসওয়ার্ডস। My dear michael, Jim Watson and I have probably made a most important discovery. বলছে দোষ নাকি চিকেন জংলি স্যান্ডউইচের নয়, দোষ নাকি আমাদের টেস্ট বাডের। যারা প্লেনে উঠলেই অসাড় হয়ে যায়। প্লেনে উঠলে আরও কী কী ভয়ংকর ব্যাপার ঘটে  জানতে হলে ক্লিক করুন। প্লেনে ওঠা যতই ভয়ংকর হোক, প্লেনকে নিজের ঘাড়ে ওঠানোর থেকে ঢের ভালো। Most people’s marriages were fine until they s...

Things I am Thankful for

ভদ্রতাবোধসম্পন্ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। নিজের সমস্ত দুশ্চিন্তা, উদ্বেগের ভার সম্পূর্ণ ন্যস্ত করার মতো শক্তপোক্ত কাঁধওয়ালা দু’জোড়া বাবামা। ঠাকুমা। কুয়োর পাড়ে উঠে পেয়ারা পাড়া ঠাকুমা, ক্যাথিটার পরে বিছানায় শুয়ে থাকা ঠাকুমা। অফিসফেরতা অসামান্য ক্ষিদের মুখে সামান্য ঝালমুড়ি। ফ্রিজ ভর্তি স্বাস্থ্যকর খাবার ফেলে রেখে ম্যাগি দিয়ে ডিনার সারার চরম অস্বাস্থ্যকর তাল। সে তালে সোৎসাহে তাল মেলানোর মতো সঙ্গী। চব্বিশ ঘন্টার। ফ্রেন্ডদের উপস্থিতি। ফ্রেন্ডলিস্টের অনুপস্থিতি। শুক্রবার বিকেল। শনিবার সকাল। ক্যান্ডি ক্রাশ। একাকীত্বে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। আমার মতো জন্মনিড়বিড়ের ভেতরের সুপ্ত কিলার ইনস্টিংক্টের ঘুম ভাঙানোর জন্য। সাইলেন্ট মোড। স্প্যাম ফোল্ডার।   মুখপোড়ানো বেগুনি। বুকজোড়ানো ঠাণ্ডা জল। বারান্দাওয়ালা বাড়ি। মেট্রোওয়ালা শহর। অবান্তর। আপনারা।      

বাতিক

এবারের পুরোনো অবান্তর লিখতে গিয়ে যে পোস্টটা মনে ধরল সেটার নাম OCD । অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার। সেটাকে নতুন করে লিখতে গিয়ে একটা কথা মনের ভেতর খচখচ করছিল। আমি যে উদাহরণগুলো নিয়ে লিখছিলাম সেগুলোকে OCD বলে কি না সেটাই তো আমি জানি না। ফস্‌ করে এইসব বৈজ্ঞানিক নাম নিয়ে টানাটানি করা উচিত নয় বলেই মনে হল আমার। তাছাড়া ডিসঅর্ডার বললে আমার পচা গল্পগুলোকে দরকারের বেশি সম্মান দেওয়া হয়, কাজেই তাদের বাতিক বলে ডাকাই সব দিক থেকে সুবিধেজনক। ছোটবেলায় আমার নানারকম বাতিক ছিল, বড় হতে হতে বেশিরভাগই কেটে গেছে। অন্তত চোখে পড়ার মতো কিছু বাকি নেই বলেই আমার আশা। তখন আমরা সর্বত্র ট্রেনে করে বেড়াতে যেতাম। স্লিপার ক্লাসের কাঠের সিটে বসে, খোলা জানালা দিয়ে হুহু করে ঢুকে পড়া আকাশবাতাস হাঁ করে গিলতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শেষে নামার আগে মা মাথায় চিরুনি ছোঁয়াতেই প্রাণ বেরোবার যোগাড়। তার পর বাবামায়ের পদোন্নতি হল, আমরাও স্লিপার ছেড়ে এসি থ্রি টায়ারে এসে পড়লাম। আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার একটা বিরাট অংশ জুড়ে আছে তিন বার্থওয়ালা ট্রেনের কামরা। প্লেনের থেকে ঢের ভালো। পা তুলে আরাম করে বসা যায়, টিফিনবাক্স খুলে লুচি আলুভাজা খাওয়া য...

কুইজঃ কার লেখা কে লেখে? (উত্তর প্রকাশিত)

Image
উৎস গুগল ইমেজেস নিচের তালিকাটা দেখলেই গোলমালটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। যিনি ক তিনি এক নম্বর লেখা লেখেননি, (ইন ফ্যাক্ট, তিনি দু’নম্বর লেখাটিও লেখেননি, তিন নম্বরটিও . . . নাঃ, আর হিন্ট দেওয়াটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে), যিনি খ তিনি দু’নম্বরটি লেখেননি, ইত্যাদি প্রভৃতি। ক খ-র সঙ্গে এক দুই ঠিকঠাক ম্যাচিং করে তালিকার গোলমাল সারানোই আপনাদের আজকের খেলা। খেলা শুরু হল এখন থেকে, শেষ হবে ঠিক চব্বিশ ঘণ্টা পর। দেশে সোমবার রাত আটটায়। ততক্ষণ আমি কমেন্ট পাহারা দেব। অল দ্য বেস্ট। ***** ক) প্রেমেন্দ্র মিত্র ১। বোবা কাহিনী খ) রমাপদ চৌধুরী ২। বারো ঘর এক উঠান গ) বিমল মিত্র ৩। বালিকা বধূ ঘ) বিমল কর ৪। সাহেব বিবি গোলাম ঙ) জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী ৫। শিবুর ডায়রি চ) জসিমুদ্দিন ৬। হুগলীর ইমাম বাড়ি ছ) লীলা মজুমদার ৭। বাঙালি জীবনে রমণী জ) সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় ৮। খারিজ ঝ) নীরদ সি চৌধুরী ৯। পাঁক ঞ) স্বর্ণকুমারী দেবী ১০। ডাবল বেডে একা ট) সতীনাথ ভাদুড়ী ১১। অরণ্যের অধিকার ...

খারাপ লাগা ভালো বই

ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় ঘটনাটা ঘটে গেল। লাইব্রেরি থেকে একটা গল্পের বই এনে পড়তে শুরু করে আমি দেখলাম ভালো লাগছে না। বই ভালো না লাগার ঘটনাটা নতুন নয় অবশ্য। তার আগেও আমার বিস্তর বই ভালো লাগেনি। “তাতে অসুবিধে কিছু নেই”, বলতেন আমাদের লাইব্রেরিয়ান আশুকাকু। কাকুর মত ছিল, নিয়ম করে ভালোলাগা বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে পথ্য করার মতো করে বাজেলাগা বই পড়া উচিত। বিশেষ করে যারা এখনও বীজগণিত শিখতে শুরু করেনি তাদের তো উচিতই। “বলা যায় না, পড়তে পড়তে একদিন দেখবি হয়তো বাজেগুলোকেই ভালো লাগবে, আর ভালোগুলোকেই আর পাতে তুলতে পারবি না।” কাজেই আমি হাতের কাছে যা পেতাম তাই পড়তাম, ফেলুদা ভালো লাগত তাও পড়তাম, পাণ্ডব গোয়েন্দা ভালো লাগত না, তাও পড়তাম। ফেলুদা একবইঠায় শেষ করতাম, কাকাবাবু দু’তিন বইঠা লাগত, পাণ্ডব গোয়েন্দা চার-পাঁচ, কিন্তু যত বইঠাই লাগুক না কেন শেষ না করে ছাড়িনি কখনও। সেই প্রথমবার লাইব্রেরি থেকে আনা বইটা আমি শেষ করতে পারলাম না। বইখানা খুললাম, একপাতা পড়লাম, বন্ধ করলাম। আবার খুললাম, এবার দু’পাতা পড়েই মন উঠে গেল। তিন নম্বর বার বকেঝকে কাল্পনিক চড়চাপড় মেরে মনকে দশ পাতা পর্যন্ত নিয়ে গেলাম, কিন্তু তার বেশি আর যাওয়া...