খারাপ লাগা ভালো বই
ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় ঘটনাটা ঘটে গেল। লাইব্রেরি থেকে একটা গল্পের বই এনে
পড়তে শুরু করে আমি দেখলাম ভালো লাগছে না। বই ভালো না লাগার ঘটনাটা নতুন নয় অবশ্য।
তার আগেও আমার বিস্তর বই ভালো লাগেনি। “তাতে অসুবিধে কিছু নেই”, বলতেন আমাদের
লাইব্রেরিয়ান আশুকাকু। কাকুর মত ছিল, নিয়ম করে ভালোলাগা বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে পথ্য
করার মতো করে বাজেলাগা বই পড়া উচিত। বিশেষ করে যারা এখনও বীজগণিত শিখতে শুরু করেনি
তাদের তো উচিতই। “বলা যায় না, পড়তে পড়তে একদিন দেখবি হয়তো বাজেগুলোকেই ভালো লাগবে,
আর ভালোগুলোকেই আর পাতে তুলতে পারবি না।”
কাজেই আমি হাতের কাছে যা পেতাম তাই পড়তাম, ফেলুদা ভালো লাগত তাও পড়তাম, পাণ্ডব
গোয়েন্দা ভালো লাগত না, তাও পড়তাম। ফেলুদা একবইঠায় শেষ করতাম, কাকাবাবু দু’তিন
বইঠা লাগত, পাণ্ডব গোয়েন্দা চার-পাঁচ, কিন্তু যত বইঠাই লাগুক না কেন শেষ না করে
ছাড়িনি কখনও।
সেই প্রথমবার লাইব্রেরি থেকে আনা বইটা আমি শেষ করতে পারলাম না। বইখানা খুললাম, একপাতা পড়লাম, বন্ধ করলাম। আবার খুললাম, এবার দু’পাতা পড়েই মন উঠে গেল। তিন নম্বর বার বকেঝকে কাল্পনিক চড়চাপড় মেরে মনকে দশ পাতা পর্যন্ত নিয়ে গেলাম, কিন্তু তার বেশি আর যাওয়া গেল না।
সাতদিন বইটা কোলে করে বসে থাকার পর অবশেষে লাইব্রেরিতে গিয়ে বইটা ফেরৎ দিয়ে অন্য বই নিয়ে আসলাম। মনের ভেতরটা মরমে মরে রইল। সেই দশ বছর বয়সেই আমার অপরাধবোধ হিংসে করার মতো ছিল। বইটা যে খারাপ হতে পারে এ কথা কিছুতেই মনে ঠাঁই দিতে পারছিলাম না। খালি মনে হচ্ছিল দোষ নিশ্চয় আমার। বইটা পড়া ও পড়ে মর্মোদ্ধার করার যোগ্যতাই নিশ্চয় আমার নেই।
বিশেষ করে বইটার লেখকের নাম যখন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সেই সবে শুরু। এর পরেও অনেকবার ঠিক এই অনুভূতিটা হয়েছে। বিভূতিভূষণের
‘অনুবর্তন’ শেষ করে, তলস্তয়ের ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’ শেষ না করে, ঋত্বিক ঘটকের ‘সুবর্ণরেখা’
খারাপ লেগে আমি মরমে মরে থেকেছি। নিজের বুদ্ধিহীনতায়, রুচিহীনতায় শিউরে উঠেছি বার
বার। গুণীসমাজে জলচল হওয়ার আতংকে আমার রাতের ঘুম উড়ে গেছে।
আমাদের ভালোলাগা মন্দলাগার ব্যাপারটা কতখানি আমাদের নিজেদের স্থির করা আর
কতখানি অন্যের ঠিক করে দেওয়া সেটা কেউ জানে না। যা যা আমাদের ভালো লাগে তার
সবখানিই কি আমাদের সত্যি ভালো লাগে, নাকি আমরা জানি যে এই জিনিসগুলো ভালো, এগুলো
আমাদের ভালো লাগা উচিত, সেই জন্য ভালো লাগে? অনেকদিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। লেখক
একটি ছোট ছেলেকে নিয়ে ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন। একটি বিস্তীর্ণ জলখণ্ডের ওপর একটি
ব্রিজ দিয়ে দিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল। ব্রিজের গুমগুম শব্দ হচ্ছিল। সূর্য অস্ত যাচ্ছিল।
তার আলো শান্ত জলে মাখামাখি হয়েছিল। ভদ্রলোক মুগ্ধ দৃষ্টিতে সে দৃশ্য দেখছিলেন।
এমন সময় তাঁর চোখ পড়ল তাঁর সঙ্গের বালকটির দিকে।
জানালার পাশে বসা ছেলেটি এক মনে তার হাতে ধরা গুলতি নিয়ে খেলা করছে। বাইরের
স্বর্গের প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন হয়ে। ভদ্রলোক অবাক হলেন। কিছুক্ষণ পর থাকতে পেরে
তিনি বললেন, “জানালার বাইরেটা দেখেছ?” ছেলেটি মাথা তুলে দেখল, আবার মাথা নামিয়ে
গুলতির দিকে মনঃসংযোগ করল। ট্রেন ছুটতে লাগল। ব্রিজ গুমগুম শব্দ করতে লাগল। আর
একটু পরেই জল শেষ হয়ে আসবে, সূর্য ডুবে যাবে, জলের ওপর তৈরি হওয়া এই অবিশ্বাস্য
মায়া উধাও হয়ে যাবে। ভদ্রলোক অধৈর্য হয়ে উঠলেন। ভদ্রলোক এইবার আর হিন্ট দিলেন না,
সোজা লিডিং কোশ্চেনের পথ ধরলেন। “বাইরেটা কেমন সুন্দর দেখেছ?” বাধ্য ছেলেটি আরও
একবার মাথা তুলে তাকাল। এইবার একটু বেশি সময় তাকিয়ে থাকল। আবার মাথা নামিয়ে
গুলতিতে মনোনিবেশ করল। ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন, “এই যে এত বিস্তীর্ণ জল, জলের ওপর
রঙের খেলা, আকাশ জুড়ে মেঘ আর সূর্যের মাখামাখি – তোমার ভালো লাগছে না?”
ছেলেটি এবার জানালার বদলে ভদ্রলোকের দিকে তাকাল, বলল, “ভালো, কিন্তু বোরিং।”
তার মাথা ঘুরে গেল গুলতির দিকে।
স্তম্ভিত ভদ্রলোক মুখ তুলে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। মুগ্ধতা কেটে গিয়ে তাঁর
মনের ভেতর তখন শুধু অবিশ্বাস। বাইরেটা একই রকম রইল। ট্রেন ছুটতে থাকল,
ব্রিজ গুমগুম শব্দ করতে লাগল, জলের ঢেউয়ে খানখান হয়ে যেতে লাগল সূর্যের অস্তরশ্মি
– এই প্রথম ভদ্রলোকের মনের কোণে উঁকি দিয়ে গেল, সত্যিই কি ব্যাপারটা একঘেয়ে?
প্রকৃতির প্রতি মুগ্ধতা কি আমাদের জন্মগত? নাকি ট্রেনিং-এর ফল?
আমরা মানতে চাই বা না চাই, আমাদের ভালোলাগা মন্দলাগার একটা বিরাট অংশ পরের
মুখে ঝাল খাওয়া। যাঁদেরকে আমাদের ভালোলাগে, আমরা যাঁদের মতো হতে চাই, তাঁদের
ভালোলাগামন্দলাগা বিশ্বাসঅবিশ্বাস আমাদের প্রভাবিত করে। পরের মুখে ঝাল খাওয়া
কথাটার মধ্যে একটা নেগেটিভ দ্যোতনা আছে, কিন্তু সেটা সবক্ষেত্রে খারাপ নাও হতে
পারে। পরের মুখে ঝাল না খেলে আমার জীবনেও ইঞ্জিরি গান শোনা হত না। চোখ কান বুজে “এই
পর্যন্ত যা শুনেছি যা শিখেছি সেই যথেষ্ট, আর কিছু শুনব না শিখব না লালালালালালা”
করলে বব ডিলানকে আমার কোনওদিন চেনা হত না। সেটা একটা খারাপ ব্যাপার তো হতই। মানছি,
ইঞ্জিরি গান শোনার প্রথম প্রেরণাটা এসেছিল যত না গানের তাড়নায় তার থেকে অনেক বেশি
ত-দাদার ও ত-দাদার গিটারের প্রতি অব্যক্ত অনুরাগের রাস্তা ধরে, কিন্তু যার যে ভাবে
হয়। এলভিসের ঝুলপির প্রেমে পড়ে কেউ যদি রক অ্যান্ড রোল আবিষ্কার করে ফেলে তা হলে
মন্দ কী?
মুশকিল হচ্ছে ভালোলাগা মন্দলাগা দিয়ে আমরা নিজেদের এবং অন্যদের বিচার করি। মার্গসংগীত
শোনা লোকটার রুচি সংগীত বাংলা দেখা লোকটার রুচির থেকে উচ্চমানের ধরে নিই। ধরে নিই
চেতন ভগত পড়া লোকটার বুদ্ধি অমিতাভ ঘোষ পড়া লোকটার বুদ্ধির থেকে কম।
বুদ্ধিরুচি পরিমাপের এই প্রচলিত ব্যবস্থাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় কি না সে
নিয়েও আমি অবশ্য নিশ্চিত নই। হতেই পারে
জ্যাজসংগীতের মর্ম বুঝতে সত্যিই একটা ন্যূনতম শিক্ষা ও পালিশের দরকার হয়, সিমোন
দ্য বুভোয়াঁ পড়ে বুঝতে গেলে একটা মানুষকে আর পাঁচটা এলিতেলি হরিদাসপালের থেকে বেশি
কিছু হতে লাগে।
কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে আমার কোনও সন্দেহই নেই যে একটা মানুষকে মাপর জন্য সেই
মানুষটার বুদ্ধি, রুচি, শিক্ষা, সংস্কৃতিচর্চা, আস্তিকনাস্তিক স্ট্যাটাস – খুব
একটা সুবিধেজনক মাপকাঠি নয়। কারণ, সেই পরের মুখে ঝাল খাওয়া। এগুলো বেসিক্যালি
খোলস। চান্স ফ্যাক্টর। আজ যে ঘোর মাওবাদী, উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর কমবেশি হয়ে অন্য
কলেজে ভর্তি হলে সে-ই হয়তো বিকেলবেলা পাড়ার ছেলেদের জুটিয়ে হাফপ্যান্ট পরে ভারতমাতার
জয় স্লোগান দিয়ে প্যারেড করে বেড়াত। এই আমি এখন চেতন ভগতের নাম শুনলে রেগে দু’গ্রাস
ভাত বেশি খেয়ে ফেলছি, আর তিনটে বাড়ি এগিয়ে গিয়ে জন্মালে আমি হয়তো চেতন ভগতের
অটোগ্রাফ নিয়ে বসার ঘরের দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখতাম। সোফাসেটির সজ্জা এমন মাথা খাটিয়ে
করতাম যে ঘরে ঢুকে বসলে অতিথিদের প্রথম সেই ফ্রেমটাই চোখে পড়ত।
এত কথা যখন বুঝে ফেললাম তখন আমার সেই ক্লাস সিক্সের বিকেলটার কথা মনে পড়ল। না
পড়া অবনীন্দ্রনাথ বুকে জড়িয়ে ধরে গুটি গুটি যাচ্ছি লাইব্রেরির দিকে। মনে হচ্ছে, হে
ভগবান, কেন আমি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছি না। মনে হচ্ছে চারদিক থেকে সবাই আমাকে দেখছে
আমার নিজেদের মাথার মধ্যে চিৎকার করে বলছে, “ওই, ওই মেয়েটা অবনীন্দ্রনাথ বোঝে না,
ওই মেয়েটা! হাহাহাহাহা! ওই যে, ওই মেয়েটা!”
এতদিন পর আমি সেই বিকেলটাকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলাম। সেই প্রথম মনে হল হয়তো দোষটা আমার রুচিপছন্দের
নয়, হয়তো দোষটা অবনীন্দ্রনাথের। হয়তো তিনি ওই গল্পটা অত ভালো লিখতে পারেননি। হতেই
তো পারে। অবনীন্দ্রনাথও তো মানুষ।
তারপর মনে হল, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই বা দোষ হতে হবে কেন? দোষ আমারও না, তাঁরও
না। পৃথিবীর সব ‘ভালো’ জিনিস যেআমার ভালো লাগতে হবে এমন মাথার দিব্যি কে-ই বা
দিয়েছে? ভাবতেই আমার ঝুঁকে পড়া কাঁধ সোজা হয়ে গেল, মাথা উঁচু হয়ে গেল, মাথার
ভেতরটা এমন আলোবাতাস খেলতে লাগল যেমনটা আগে কখনও খেলেনি।
সেই নবলব্ধ সাহসের ওপর ভর দিয়ে আজ আমি এমন কয়েকটা বিশ্ববিখ্যাত বইয়ের নাম
আপনাদের কাছে বলছি যেগুলো আমার মোটে ভালো লাগেনি। কাউকে বলিনি এতদিন, এই আজ
আপনাদের বলছি। এতদিন পর মনের কথা খুলে
বলতে পেরে কী আরাম যে লাগছে, সে আমি বলে বোঝাতে পারব না।
*****
দ্য লর্ড অফ দ্য রিংসঃ
আমি শেষ করতে পারিনি। সিনেমাগুলোই পারিনি, বই তো দূর অস্ত। মোটা বই দেখলে এমনিতেই
আমার কম্প দিয়ে জ্বর আসে, কিন্তু দ্য হবিট পড়ে এত ভালো লেগেছিল যে LOTR-এ হাত দিয়েছিলাম।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আমার মাথা ঘুরতে লাগল। কারা যে ফোর্সেস অফ লাইট, কারা যে
ফোর্সেস অফ ডার্কনেস, কারা যে এলভ্স্, কারা যে হাফ-এল্ভেন, কারা যে ট্রোলস, কারা
যে উরুক-হাই, কারা যে হবিট, কারা যে মানুষ – সব আমার মগজের মধ্যে ঘণ্ট পাকিয়ে যেতে
লাগল।
গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো চেপে বসল গান। আধপাতা যেতে না যেতেই সবাই মিলে
তিনপাতা লম্বা লম্বা কোরাস গান ধরেছে, সে সব গানের ভাষাও আমার যে পুরো বোধগম্য
হচ্ছে তেমন নয়। শেষটা আমি গানের জায়গাগুলো পাতা উল্টে উল্টে যাওয়ার চেষ্টা করলাম,
কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। আমি মেনে নিলাম LOTR-এর মহিমা আমার আর এ
জীবনে বোঝা হল না।
গুড ওমেনসঃ “টপ টেন
কম্যান্ডমেন্টস ফর রাইটারস” গোছের যত লিস্ট পৃথিবীতে আছে, তার প্রতিটির প্রথম
পাঁচে না থাকলেও ছ’নম্বরে যে নির্দেশটি থাকেই সেটা হল “কিল ইয়োর ডার্লিংস”। অর্থাৎ কি না, কোনও
একটি শব্দ/ লাইন/ অনুচ্ছেদ লেখার পর যদি লেখকের মনে হয়, “উঃ! কী দিয়েছি!” তাহলে পত্রপাঠ
সেটাকে বাতিল করা। এই
দুর্মূল্য উপদেশটি কার বলা শক্ত, কারণ যুগে যুগে উইলিয়াম ফকনার, জি কে চেস্টারটন, চেকভ,
স্টিফেন কিং – সকলের ঘাড়েই এই উপদেশটির দায় চাপানো হয়েছে।
উপদেশটা আমার খুব মনে
ধরেছিল। এই গোছেরই একটা কথা বহুযুগ আগে মাস্টারমশাই বলেছিলেন। “যেদিন নিজের গান
নিজের কানে ভালো লাগবে, সেদিন বুঝবি সব শেষ।”
নিল গেমন (আমি
অ্যাদ্দিন গাইম্যান বলতাম কিন্তু এটা শোনার পর আর বলি না) আবার একেবারে উল্টো
কথাটা বললেন। তিনি বললেন, “লাফ অ্যাট ইয়োর ওন জোকস” ভেবে দেখলে এই কথাটিও
মিথ্যে নয়, নিজের লেখা জোকস পড়ে যদি নিজেরই হাসি না পায় তাহলে অন্যের পাবে কেমন
করে? আমার তো মনে হয় একজন লেখক মনের মধ্যে যতখানি যা আবেগ টের পান তার কণামাত্র অক্ষরের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। দেবদাস-এর
শেষ প্যারা লিখতে গিয়ে শরৎচন্দ্র নিজে নির্ঘাৎ কেঁদেকেটে একশা হয়েছিলেন, তবেই পাঠকদের
চোখের কোণে এক ফোঁটা জল জমেছিল।
কিন্তু নিজের লেখা জোকস
পড়ে খুব জোর হাসি পেলে তার পরিণতি কী হতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ গুড ওমেনস। বইটি
পড়তে পড়তে অনেক সময়ই আমার মনে হচ্ছে টেরি প্র্যাচেট আর নিল গেমন একে অপরের
সঙ্গে রসিকতা করছেন, একে অপরকে নিজের লেখা দিয়ে ইমপ্রেস করতে চাইছেন। আমি বেচারা
পাঠক যে বইয়ের এদিকে বসে গল্পের সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা করছি, সে দিকে তাঁদের
বিন্দুমাত্র খেয়াল রয়েছে বলে মনে হচ্ছিল না। অবশেষে তাঁদের (এবং প্রকাশকদেরও)
চেষ্টা সফল হল, আমি শেষটা গল্প ছেড়ে গল্পের লেখকদের নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে লাগলাম। এই
জায়গাটা মোটামুটি লাগছে, এটা নিশ্চয় প্র্যাচেটের লেখা, এই জায়গাটা জাস্ট পাতে
দেওয়া যাচ্ছে না, এটা নিশ্চয় গেমন।
ও হেনরি-র গল্পঃ ও
হেনরির লেখা প্রথম গল্প পড়েছিলাম দ্য গিফট অফ ম্যাজাই। অভূতপূর্ব লেগেছিল। বই মুড়ে
খানিকক্ষণ জানালার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল। মনে হয়েছিল এমনও গল্প হয়? এমন
হৃদয়দোমড়ানো শেষ, এমন বুকমোচড়ানো আত্মবলিদান?
দ্বিতীয় গল্প, দ্য
লাস্ট লিফ। গল্পের শেষে আবার খানিকক্ষণের নিস্তব্ধতা। আবার জানালার দিকে তাকিয়ে
তাকিয়ে ভাবা, এমন হৃদয়দোমড়ানো শেষ, বুকমোচড়ানো আত্মবলিদান?
তিন নম্বর থেকে শুরু
করে আর একটাও গল্প আমার মনে নেই। শুধু মনে আছে প্রতিটি গল্পের শেষে সেই অনুভূতি,
সেই একই প্রশ্ন। এমন হৃদয়দোমড়ানো শেষ, এমন বুকমোচড়ানো আত্মবলিদান?
গল্পের শেষের
অপ্রত্যাশিত টুইস্টকে কী করে চরম প্রত্যাশিত ও নিতান্ত একঘেয়ে করে তোলা যায় সেটা ও
হেনরি না পড়লে আমি বুঝতে পারতাম না।
শেষের কবিতাঃ শেষের
কবিতা আমার কেন ভালো লাগেনি সেটা নিয়ে ভেবে ভেবে আমি যত সময় ব্যয় করেছি তার
সিকিভাগও ওপরের আর কোনও বই/লেখককে নিয়ে করিনি। কারণ বোঝা শক্ত নয়। পাড়ার লোকের চালচলন
অপছন্দ হওয়া যতটাই স্বাভাবিক, বাড়ির লোকের চালচলন অপছন্দ হওয়া তেমনই আশ্চর্য। তার
ওপর সেই লোকটার বাকি সব কিছু যখন আমার দারুণ পছন্দের। তারও ওপর লোকটার ঠিক সেই
জিনিসটাকেই অপছন্দ করা যা দেখে বাকি সবাই ধন্য ধন্য করছে। এ যেন বোমা ছুঁড়তে
ছুঁড়তে পালানো ডাকাত দলের পেছনে সদরদরজার খিল হাতে নিয়ে ছুটে যাওয়া আমার সেজকাকুকে
দেখে বলা, “এই, তপনের এক্স্যাক্টলি এই ডাকাবুকোপনাটাই পোষায় না আমার।’
মেটাফর একটু বাড়াবাড়ি রকম হয়ে গেল কিন্তু আমি কী বলতে চেয়েছি আপনারা বুঝতে
পেরেছেন আশা করি। একে তো রবিঠাকুরের কিছু খারাপ লাগা, তাও আবার যে সে কিছু নয়, খোদ
শেষের কবিতা!
এমন নয় যে শেষের কবিতার মূল বক্তব্য
নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। “বিয়েই প্রেমের একমাত্র পরিণতি নয়” এ সারসত্য নিয়ে
কারওরই কিছু বলার থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না। আমার সমস্যা হয় কথাটা যে বলছে
তাকে নিয়ে।
“দাড়িগোঁফ-কামানো চাঁচা মাজা চিকন শ্যামবর্ণ পরিপুষ্ট মুখ, স্ফূর্তিভরা ভাবটা,
চোখ চঞ্চল, হাসি চঞ্চল, নড়াচড়া চলাফেরা চঞ্চল, কথার জবাব দিতে একটুও দেরি হয় না;
মনটা এমন এক রকমের চকমকি যে, ঠুন করে একটু ঠুকলেই স্ফুলিঙ্গ ছিটকে পড়ে” যার সেই
অমিত রে-কে আমার কোনওদিন মনে ধরেনি। অমিত রে-র চটকদার সাজপোশাক, তুড়ুকদার জবাব
চিরকাল আমাকে ইমপ্রেস করার থেকে বিরক্ত করেছে বেশি। অমিত রে আমার পছন্দের পক্ষে বড়
বেশি চটপটে, বড় বেশি ঠুনকো। এমনতর অমিত রে-র মুখে “বিয়ে ছাড়াও প্রেম করা যায়”
কথাটা বড়ই সুবিধেবাদী শুনতে লেগেছে আমার। এই কথাটাই যদি রবিঠাকুর বিহারীকে দিয়ে
বলাতেন, নিদেনপক্ষে নিখিলকে দিয়েও, তাহলেই আর কোনও সমস্যা থাকত না। আমি তাদের পিঠ
চাপড়ে দিয়ে বলতাম, “যা বলেছ ভায়া, এই নাও হাই হায়ার হায়েস্ট ফাইভ।”
*****
আমার স্বীকারোক্তি শেষ, এবার আপনাদের পালা।
এমন বিখ্যাত বইয়ের নাম করতে হবে যেটা পড়ে আপনি হাঁ করে ভেবেছেন, “এও ভালো
লাগে লোকের? লোকেরা কি ছাগল? নাকি আমিই গাধা?” যদি বলেন সে রকম বই আপনার একটাও
নেই, তা হলে আমি বিশ্বাস করব না।
Prothom 3te boi-i amar bishesh priyo. Tai seta niye ar kichhu bollam na. :P (Jodio LOTR er theke Harry Potter amar onek better lagey, tao.)
ReplyDeleteKintu Shesher Kobitar moto emon ashchorjo jinish ar duto porini. Colleger first yearey sobai bollo Amit Ray ke bhalo na bashle aantel howa jay na. Tai ami dutifully porey fellam. Khub ekta je kharap laglo tao na. Money holo je ei toh dibyi aantel hoye gechhi.
Tarpor bochhorkhanek porey arekbar porar cheshta korlam boi ta. Ki je forced ar nyaka ar kharap laglo ki bolbo. Ei ek bochhorey nijer ruchir amul poribortoney reetimoto stombhito hoyechhilam money achhe.
ফোর্সড শব্দটা একেবারে উপযুক্ত, বিম্ববতী। এই পোস্টটা লেখার আগে একবার শেষের কবিতায় চোখ বোলাচ্ছিলাম। পারা যায় না।
DeleteLOTR: আমারই দুর্ভাগ্য বোধহয়, আমি লর্ড অফ দ্য রিংস হ্যারি পটারের পরে পড়েছি। প্রথমেই যেটা চোখে লেগেছে, সেটা হল স্পিড। গ্যান্ডালফের আর্মি চলেছে, চলেছে, চলেছে। ডাম্বলডোরের এত সময় থাকলে অ্যাদ্দিনে ভলডেমর্টকে পিটিয়ে পাটপাট করে দিতেন।
ReplyDeleteন হন্যতেঃ অনেকেই আমার সাথে একমত হননি, অনেকেই হয়েছেন। বেশি কিছু বলার নেই।
গোরাঃ শেষের কবিতা আমার খারাপ লাগেনি। কিন্তু গোরা? উঁহু।
সুচিত্রা ভট্টাচার্য এবং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সবগুলো বইঃ বাবা রে।
ন হন্যতে সম্পর্কে আমি আপনার সঙ্গে একমত। মৈত্রেয়ী দেবীকে সামনে পেলে ওঁর দুই ক্ষুরে নমো করা ছাড়া আমারও কিছু বলার নেই। শীর্ষেন্দু আমারও ডিপ্রেসিং লাগে, তবে সেটাই বোধহয় ওঁর আবেদন।
DeleteKar ki valo lagbe seta boddo besi byaktigoto.. Amar sudhu prosno holo oi his master's voice ta kemon??? ar solaris porechen?? seta ki cinemta er cheye valo na kharap???
ReplyDeleteসোলারিস পড়িনি, অর্ণব, সিনেমাও দেখিনি। হিজ মাস্টার্স ভয়েস আমার ভালো লাগছে।
Delete"পৃথিবীর সব ‘ভালো’ জিনিস যেআমার ভালো লাগতে হবে এমন মাথার দিব্যি কে-ই বা দিয়েছে?.. " ei kothata darun mone dhorlo. khubi sotti kotha kintu kajer somoi temon bhabe mone thakena...
ReplyDeleteআমার তো থাকেই না, ইচ্ছাডানা। এখনও যদি শুনি কারও কিছু ভালো লেগেছে, যেটা আমার লাগেনি, প্রথমেই নিজের ওপর সন্দেহ হয়।
Deleteগোরা, শেষের কবিতা, মাধুকরী,কপালকুণ্ডলা,দেবদাস। এই যথেষ্ট বোধহয়।
ReplyDeleteযাক, শেষের কবিতা নিয়ে মত মিলছে দেখে খুশি হচ্ছি, অদিতি। দেবদাস পড়ে তেরো বছর বয়সে কিছু কেঁদেছিলাম মনে আছে। তারপর আর পড়ার সাহস হয়নি।
Deleteপ্রথম বার বই পড়ে ভালো না লাগার অনুভূতি টা আর বই শেষ না করতে পারার failed feeling টা আমারও একই রকম হয়েছিল ।
ReplyDeleteএকজন সমব্যথীকে পেয়ে ভালো লাগছে, তীর্থ।
Delete১। "গোরা" - ১ বার টেনেটুনে পড়ে মনে হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপন্যাস না লিখলেই ভালো কোরতেন।
ReplyDelete২। "নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে" - শেষ করতে পারি নি।
৩। "ন হন্যতেও" তাই।
ইশ, ন হন্যতে খারাপ লাগা লোকজন পেয়ে কী যে ভালো লাগছে, কৌশিক। ওই একটা বই যেটা পড়ে আমি লেখার থেকেও লেখককে বেশি জাজ করেছিলাম, মনে আছে।
Deleteরবিঠাকুরের লেখা একটা উপন্যাসও শেষ করতে পারিনি। মহাশ্বেতা দেবী, নবনীতা দেবসেন-এর লেখাও মাথার ওপর দিয়ে যায়। "লর্ড অফ দ্য রিংস"-এর সিনেমাগুলো শেষ করতে না পেরে বইগুলো পড়ার চেষ্টা করিনি আর। এছাড়া ক্লাসিক বইগুলোর অর্ধেকই আমি বুঝি না। :(
ReplyDeleteআমার প্রিয় বই তাই শুকতারার নন্টে আর ফন্টে। :)
হাহা, এটা ভালো বই পছন্দ করেছেন, অরিজিত। ক্লাসিক বই সম্পর্কে মার্ক টোয়েনই বোধহয় বলেছেন, যে বইগুলো সকলেই ভালো বলে কিন্তু কেউই পড়ে না, সেগুলোই ক্লাসিক বই। কাজেই দুঃখের স্মাইলি দেওয়ার কোনও কারণ নেই।
Deleteইদানিং একটু ব্যস্ত আছি, কিন্তু এই লেখাতে একটা কমেন্ট না করে পারছিনা। আমি এমনিতে আপনাদের তুলনায় খুব কম বই পড়েছি, বাংলা বই তো আরও কম। তবে আমার লিস্টের সবথেকে ওপরে যেটা থাকবে সেটা LOTR. শুরু করে আর শেষ করতে পারিনি, বোরিং লেগেছিল। আমার মতে হ্যারি পটারের সবথেকে স্ট্রং পয়েন্ট হলো ওটা আমাদের "ইউনিভার্স" এর গল্প, যেখানে লন্ডন শহর আছে, ভারতীয় মেয়ে আছে, প্রধানমন্ত্রীর অফিস আছে। মানে আমরা মাগলরা গল্পে জায়গা না পেলে হয়ত আমার অতটা ভালো লাগতনা হ্যারি পটার। কিন্তু LOTR-এর সেটাই সমস্যা। সব কিছুই অচেনা লাগে। আর ধ্যা-র্যা-র্যা-র্যা চলছে যেন রেকারিং ডেসিমাল।
ReplyDeleteআমার অবনীন্দ্রনাথের বেশিরভাগ লেখায় ভালো লাগে, কিন্তু যে লেখাটা আমার ভয়ানক বোরিং লেগেছিল হল "বুড়ো আংলা"। হয়ত আমার বয়েসটা বেশি হয়ে গেছিল, কেজানে? কিন্তু আমি এখনও অনেক ছোটদের লেখা পড়ি আর এনজয় করি। বিলেত থেকে ফেরা মানুষের বর্ণনায় "ঘাড়ছাঁট চুল, কোট-প্যান্ট পরা, হাতে লাঠি, মুখে চুরুট আর কথায় কথায় খারাপ কথা" পড়লে এখনও একা একা বসে হেসে ফেলি। বুড়ো আংলা শেষ করেছিলাম, কিন্তু ভালো লাগেনি।
এখানে অবশ্যই নাম থাকবে চার্লস ডিকেন্স-এর যে কোনও বই-এর। প্রথম পড়েছিলাম অলিভার টুইস্ট, তারপর ডেভিড কপারফিল্ড, তারপর শখ করে স্কুলের একটা জুনিয়রের কাছে থেকে টেক্সট বই চেয়ে নিয়ে গ্রেট এক্সপেকটেশনস। তারপর আর একটাও পড়িনি। পড়তে পড়তে মনে হয়েছে ইংল্যান্ড-এ বোধহয় তখন সূর্য উঠতনা, সারাক্ষণ একটা মন খারাপ, একটা অন্ধকার চেপে বসে আছে ঘাড়ের ওপর। লোকে বলবে, হয়ত ডিকেন্স সেটাই চেয়েছিলেন। হতে পারে। কিন্তু আমার ভালো লাগেনি। অনেক দিন পরে "Wuthering Heights" পড়তে গিয়েও সেই ভাবটা ফিরে এসেছিল। আমি মাঝে মাঝে কমিক রিলিফ, রোদ ঝলমলে দিন পছন্দ করি।
সব শেষে একটা খুব জেনারেলাইসড আর পলিটিকালি ইনকারেক্ট কথা বলব: হিন্দি সাহিত্য। আমি প্রেপ থেকে ক্লাস টেন অবধি হিন্দি পড়েছি। একটাও ভাল গল্প পড়িনি বললে অন্যায় হবে। কিন্তু ইন জেনারেল হিন্দি গল্পের মান আমার খুব নিচু লাগত। এমন কি মুন্সী প্রেমচাঁদ-এর ক্ষেত্রেও। হিন্দিতে দুঃখের গল্পগুলো মাত্রাছাড়া দুঃখের, হাসির গল্পগুলো কাতুকুতু দিয়ে হাসানোর চেষ্টা মনে হত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। হিন্দি কবিতা আমার খুব ভাল লাগত, এখনও লাগে। কিন্তু গল্প ভাল লাগেনা।
"ভালো সিনেমা" ভাল না লাগা নিয়েও কিছু কথা বলার লোভ হচ্ছিল, কিন্তু ওটা আউট অফ টপিক বলে আর ওদিকে গেলামনা।
LOTR হাই ফাইভ, বুড়ো আংলার বোরিংনেসও হাই ফাইভ। হিন্দি সাহিত্য নিয়ে আমার কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। বাড়িতে একটা মুন্সী প্রেমচন্দের গল্পের বাংলা অনুবাদের বই ছিল, সেটা ছোটবেলায় পড়েছিলাম। মন্দ লাগেনি। এখন পড়লে কেমন লাগবে জানি না।
DeleteE baba, Wuthering Heights aar Great Expectations amar o bhalo lageni. G.E mone hoy amar longest running book! Jed kore sesh korechilam, ekta lomba train journey te aar kichu chilo na bole byata paar peye gyalo.
DeleteSesher kobita amar churanto nyaka ebong osojyo legechilo.
ReplyDeleteShrikanto porte porte mone hoyechilo amar lomba dari gojiye jabe tao sesh hobe na. tai rege mege last page pore niye boi tule rekhechilam.
LOTR movie guloi jothesto boring. boi er dorkar nei.
Manik Bondyopadhyay amar kache murtiman bibhishika. ato depressing lekha jeebone porini.
Classic boi amio ordhek e bujhi na. ei bepare arijit babu r sathe amio akmot. amar jonno adventure/thriller/murder mystery e thik ache.
p.s. i HATE chetan bhagat's gibberish jetake lokjon 'boi' bole thake.
শ্রীকান্ত আমিও শেষটায় পাতা উল্টে উল্টে পড়েছিলাম, তাতেও গল্প স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল, কাজেই . . . মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই কঠিন ব্যাপার। ওঁর লিজেন্ডারি 'দিবারাত্রির কাব্য' ভালো লাগেনি শুনে আমার একদা বেস্টফ্রেন্ড আমার দিকে এমন হাঁ করে তাকিয়েছিল যেন চোখের সামনে ইউ এফ ও দেখছে।
Deleteদিবারাত্রির কাব্য "লিজেন্ডারি লেখা" কারা বলছে?যদ্দুর জানি এই উপন্যাসটিকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেরা কাজ গুলির মধ্যে ধরা হয়না ( আমার জানা ভুল হতেই পারে)
Deleteএই আমার চেনাশোনারা বলেছিল। তাঁদেরও জানা ভুল হতে পারে।
Delete১. চূড়ান্ত ন্যাকা চরিত্র - শেষের কবিতার অমিত, ন হন্যতের মৈত্রেয়ী ও মাধুকরির পৃথু
ReplyDelete২. একই বিষয়/প্লট এর পুনরাবৃত্তি - শরতচন্দ্রের বেশ কয়েকটি উপন্যাস ( শ্রীকান্ত, দত্তা, পল্লী সমাজ এগুলো এক্সেপশন এবং অনবদ্য)
৩. দিস্তে দিস্তে লেখার ফলে serious quality compromise - সুনীল গানগুলির শেষের দিকের সব লেখা ('এক নারী দুই তরবারি' -র মত ভয়াবহ লেখা বড় একটা পড়িনি , এদিকে 'প্রথম আলো' আমার সেরা দশটি বই এর লিস্ট এ পড়ে )
৪. দুর্বোধ্য - সালমান রুশদী
৫. অসাধারণ কিন্তু বড্ড ধৈর্য লাগছে বলে তিন বছর ধরে শেষ করতে পারছি না - দেখি নাই ফিরে
প্রতিটি পয়েন্টে একমত, কাকলি। 'দেখি নাই ফিরে' আমি ঠিক আড়াই পাতা পড়ে তুলে রেখেছি, কখনও শেষ করার আশা আছে। শরৎচন্দ্রের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা আছে, হাজার হোক উনি আমার প্রথম পড়া বাংলা 'ক্লাসিক'। তবে চর্বিতচর্বণের অভিযোগটা সত্যি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভালো লাগা থেকে বাজে লাগা লেখার রেঞ্জ চমকপ্রদ। সলমন রুশদি আমিও বেশি বুঝি না, কিন্তু যেটুকু বুঝেছিলাম তাতেই মিডনাইট'স চিলড্রেন বেশ সমীহ জাগিয়েছিল।
Deleteami jedin theke tomar ei blog er sondhan peyechhi, ruddhoshwase pore cholechhi, aj updated holam totally; tao janina edik odik konay-kanchite kichu baad chole gelo kina.. just anobodyo...chalie jao lekha..
ReplyDeletejemon ei analyses gulo koro, pori r bhabi arre amio o emontai bhebechhilam but I am sure ei bhabe kokkhono express korte partam na. r fiction gulo to bhishon bhalo legechhe.
Of course, sesher kobita r moton churanto nyakami birol r na hanyate overhyped, I have no idea kikore oi boita eto popular. tabe ami ekhono kono boi majhpathe chharini- tosyo baje holeo cheshta chalie jai.. ha ha. - Bratati.
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, ব্রততী। দারুণ ভালো লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে। অবান্তরে স্বাগত। আশা করি ভালোলাগা দীর্ঘজীবী হবে।
Deleteআপনি যে বই মাঝপথে ছাড়েন না এইটা জেনে বেশ ভক্তি হচ্ছে। সেলাম নেবেন।
kichhudin age FB te jokhon book bucket list khela ta cholchhilo, tokhono lokjoner list dekhe dhok gile chup kore thaktam.. pachhe amar buddhi jotota kom bole mone hoi, bastobe tar thekeo kom eita proved hoye jai.. virtual world er mukhosh ta khule jai jodi... khub kom boi porechhi.. tar modhyeo Tarashankar Bando lekha buro boyos e porte suru korechhilam.. baba re kichhui egoi na.. eto sob bikhyato cinema hoyechhe.. seshe ek friend k porte dilam, [jini sob kichhui pore thaken] tinio bollen tar o eki dosha.. sune khanikta aswosto hoyechhilam... pore ghotona chokre onar great grandson amader friend , sunlam tinio Saptapodi dupata porechhen!
ReplyDelete:Papiya
হাহা, তারাশংকর এখন পড়তে বসলে একটু বিষম খাওয়া আশ্চর্যের নয়, পাপিয়া। বিষমটা আরও বেশি লাগে যখন মনে পড়ে এঁকে তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন বলে ভেবে এসেছে বাঙালি, যে তিনজন নাকি পেলে নোবেল পেতেই পারতেন, স্রেফ কর্তৃপক্ষের অ্যান্টি-বাঙালি সেন্টিমেন্টের জন্য পেলেন না।
Deleteতিন বন্দ্যোপাধ্যায় কে কে? তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, আর? মানিক না শরদিন্দু?
Deleteআপনিও তো বন্দ্যোপাধ্যায়!
মানিক মানিক, দেবাশিস। আমার বন্দ্যোপাধ্যায়ত্ব নিয়ে আবার টানাটানি কেন, কী ঝামেলা।
Deleteultodike jader proti amar ektu ek chokhami achhe Sharadindu r Ashapurna Debi, eder k mone hoi under rated.. e Ramapada Choudhury o.. r ekjon holen Ashutosh Mukhopadhyay.. khali "ami ami" ei amitwa byapartai bhalo lage na.. se pindi dai hok ba Ami se o sokha hok...:Papiya
Deletepindi da amar bejaye favourite chilo. onekdin por ei dada r nam keu korlo. jodio ami onar contemporary noi, baba r kolyane purono sharodiya kishor bharati te onar songe amar porichoy ghote. Sharadindu ar Ashapurna niye highest of five. Ramapada babu niye no idea. Manik Bondo je karor kivabe bhalo lage ami akhono vebe paina. Manik Bondo r Soreesrip porar por amake tana dukhana Tintin porte hoyechilo just to cheer myself up.
Delete@Kuheli: Pindi dar golpo mondo lage na, kintu sekhaneo bhalo chhele oi sona.. jekhane Tenidar golpe Pyala ! jai hok Ramapodo Choudhury r lekha somoi pele pore dekho ,, mone hoi kharap lagbe na.. [tomar amar taste ta khanikta ek rokom mone holo!!] r MAnik BAbuo eki rokom.. kothai ekta porechhilam MAnik babu k bola hoto jwalanta aguner gola, ja haat e dhora jai na.. sekhane amar khudro mostishko to kon chhar! : Papiya
Deleteরমাপদ চৌধুরী হাই ফাইভ। আমার অসম্ভব প্রিয় লেখক।
DeleteRamapada r Tarashankar pray eki somoi pora suru korechhi.. ekjon prio lekhak er talikay chole gelen r ekjon sesh kortei parlam na Ganadebata! jai hok O Henry r golpo amar khub prio.. bishesh kore golper subject gulo.. Maupassant r O Henry bhalo lage.. tobe tumi jeta k sesher twist k pochhondo korona.. oi rokom shock ba twist kintu Banaful er golpeo paoa jai [Koshai Golpo ta baba re] .. :Papiya
Deleteহ্যাঁ, টুইস্ট ব্যাপারটা নিয়ে আমার একটু দ্বিধা আছে মানছি, পাপিয়া। এটা ঠিক ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারব না। বেশির ভাগ ছোটগল্পের আকর্ষণই হয়তো টুইস্ট। কিন্তু আমার মনে হয় ও হেনরি-র গোটা কেরিয়ারটাই টুইস্ট ঘিরে তৈরি। এটা দেখার দোষ হতে পারে।
Deleteসাহস করে একটা কথা বলব? আমার ধারণা, ঠাকুরমশাই ইচ্ছে করে 'শেষের কবিতা' অমন একটা প্যানপ্যানে ভ্যাদভ্যাদে প্রেমের গপ্পো হিসেবে বানিয়েছিলেন, স্রেফ প্রেম সংক্রান্ত রোমান্টিসিজমকে বোরিং সাংসারিকতার হামানদিস্তায় একটু ছেঁচে দেখবেন বলে।
ReplyDeleteনয়তো, আমার বাড়ির নাম 'দীপক', তোমার বাড়ির নাম 'মানসী', মাঝে পুকুর না দীঘি কী যেন, তার ঘাটে নৌকা বাঁধা, বাড়ির ছাদে বিচ্ছেদের রাতে নীল আলো আর মিলনের রাতে লাল আলো, ইত্যাদি বিস্তর নেকুপনা করার পর ব্যাটা বলে কী, একই ঘরের মাঝে পর্দা টাঙিয়ে ওদিকে তোমার মহল মানসী, আর এদিকে আমার মহল দীপক! ইয়ার্কি হচ্ছে!!
শেষে অবশ্য আবার 'কালের যাত্রার ধ্বনি' শুনিয়ে একটা ম্যানেজ দিয়েছেন, কিন্তু আমার ঘোরতর সন্দেহ, পুরোটা ওই বুড়োর বিটলেমি। শেষের কবিতা মোটেই লাভিস্টোরি নয়! :)
লাভস্টোরি তো নয়ই, শীর্ষ। লাভস্টোরি হলে তো শেষে বিয়ের মণ্ডপ থেকে লাবণ্য উঠে পড়ে স্লো মোশনে ছুটতে ছুটতে অমিত রে-র দিকে আসত, অমিত স্লো মোশনে ছুটতে ছুটতে যেত, শোভন কনসিডারেট হয়ে বলত, হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি কাবাব মে হাড্ডি হতে চাই না, তোমরা যা পার কর ইত্যাদি। শেষের কবিতা বেশ বৈপ্লবিক প্রেমের কথাই বলে। গোটা ব্যাপারটাই রবিঠাকুরের বিটলেমি হতে পারে, সেটা মানছি। খুব বিখ্যাত হয়ে গেলে এই ধরণের বিটলেমি করার আত্মবিশ্বাস জন্মানোটা বিরল নয় লেখকদের মধ্যে, এই ব্যাপারটা আগেও খেয়াল করেছি।
DeleteKuntala tahole ota Hindi cinema hoye jeto! Love aaj kaal!
Deleteলর্ড অ দ্য রিংগস, শেষের কবিতা. সত্যি কথা বলতে আমার রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ঋতুপর্ণের সিনেমাতেই ভালো লাগে. তসলিমা নাসরিন পডতে পারিনি. আর ন হন্যতে শেষ করেছিলাম কিন্তু ভালো লাগে নি.
ReplyDeleteখারাপ লাগা ভালো বই অনেকগুলোই মিলেছে দেখছি, দেবশ্রী। আমার অবশ্য নির্বাচিত কলাম বেশ লেগেছিল।
Deleteoti marattok ekta subject niye like felecho :)
ReplyDeleteoporer commentgulo porlam. agree with the predominant general consensus : shesher kobita oti nyaka goppo. in fact, rabi thakurer kono uponyash-i ami ekbarer beshi porini. just icchei hoyni.
tar opor sharatchandra! oi "shesh proshno"-r kothar maarpyach! baap re! oi bhabe keu konodin kotha bolechhey?!
buro angla bhalo lageni likhechho. ami aban thakur somogro porechhilam onek onek chhotbela-y. gograshey. aar adbhut bhalo legechhilo. buro angla bhalo lagar anubhutita ekhono mone achhey. amar dharona oi boigulo ekta boyesh peronor por aar pora uchit na. boro holey amra moner moddhey ato shundor korey chhobi ankte pari na, jatota chhoto ra paarey. (digression: meyer boyesh 2 bochhor. machher bajarey niye gechhi koley korey. onekkhon mon diye kotogulo shol maach porjobekkhon korey meye declare korlo : maachgulo chaan korchhey! shei muhurtey or moner moddhey je imagery futey uthchhilo, sheta ami ki aar konodin-o parbo?)
ei koekin agey thakumar jhuli ar dadamoshayer tholey porte boshechhilam (raatey meyeke ghum parabar shomoy goppo shonatey hobey na?) porte parlam na. ki arbit shob lekha!!! (decide korlam, taar cheye baniye baniye goppo shonabo.)
LOTR bhao laagey. in fact HP-r cheyeo. sorry :(
Na Hanyate amio shesh korini.
Gogol (maane amader kishor goenda) -er golpogulo. hebby boring. kokhono bhalo laageni.
Ar Tenida. lokey maarbe. kintu amar porte gelei mone hoto khali shimaheen chyangrami cholchhey.
ei murtey aar mone porchhey na. parle porey aro add korbo list-e. ami sure, aro onek achhey :)
তোমার মেয়ের মাছ স্নান করার গল্পটা অসম্ভব মিষ্টি, সোমনাথ। খুব বুদ্ধিমান মেয়ে, অভিনন্দন।
Deleteতোমার সঙ্গে বইয়ের পছন্দে অনেকগুলোই মিলল না। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় ইমেজারির ব্যাপারটা আমি মানছি, কিন্তু সে ইমেজারি তোমার মেয়ের মাছ চান করার ইমেজারির মতো সহজসরল নয় বলেই আমার ধারণা। অবনঠাকুরের লেখা আমি পছন্দ করি, কিন্তু কিছু কিছু লেখা পড়লে যে অনুভূতিটা হয় সেটার, বাড়াবাড়ি রকম বেশি চিনি দেওয়া চায়ে চুমুক দেওয়ার অনুভূতির সঙ্গে মিল আছে।
টেনিদার ব্যাপারটাও মিলল না। তবে ভয় পেয়ো না, লোকে মারবে না। তোমার মন্তব্যটা পড়ে একজন আমাকে ফোন করে বলল, টেনিদা সম্পর্কে ওরও নাকি এক্স্যাক্টলি একই মত, বাড়াবাড়ি চ্যাংড়ামি ছাড়া আর কিস্যু নয় গল্পগুলো। আমার অবশ্য চ্যাংড়ামি ভালোই লাগে (বুদ্ধিদীপ্ত চ্যাংড়ামি না হলেই হল)। কিন্তু এইবার আমি যেটা বলব সেটা শুনে সবাই আমায় মারবে। আমার ঘনাদার থেকে টেনিদাকে বেশি পছন্দ।
Err Ghonada ami kichhui bujhi na ... Tenida timepass hisebe mondo noi.. bisesh kore Camouflage golpo ta..
Delete:Papiya
ghonada tenida dujonei amar darun priyo. kare rakhi kare feli. kaukei felte chai na. ar ektu chyangrami chara to jeebon tai aluni hoye jabe. ota essential.
DeleteDekhchi sobaI Sesher Kobitar boringness niye ekmot! Tobe ami seta Rabindranather beshir bha upanyas somporkei bolbo. Tobe Na Hante amar bhalo legechilo. Baki bhalo na laga boer list bhison boro!
ReplyDeleteAdditional comment: Adhunik bangla lekhok der except Suchitra Bhattacharya ar Bani Basu kichuei sesh korte pari na (deshe dharabahik beroleo)! Karon charam antlamo lage.
ReplyDeleteযাক, তুমিও ধারাবাহিক পড় না জেনে শান্তি পাচ্ছি, রুণা। আমি তো ভাবতাম বড় গল্প পড়ার ক্ষমতা লোপ পেয়েছে বলে আমি ওগুলো আর পড়তে পারছি না। তবে এখন দেশে গজপতি নিবাস রহস্য বলে যে ধারাবাহিকটা বেরোচ্ছে সেটা ধরে ধরে পড়ছি। শেষ দেখেই ছাড়ব।
DeleteKamal kumar Majumdar: Enar mato durbodhyo lekha aar porini.Naam shunlei shihoron jage.
ReplyDeleteThe Alchemist:Bhalo lageni.
Rabindra nath Thakur er uponyas:Choto belay kharap lageni.Kintu baro hoye ektao sesh korte parini.Amar ek shubhanudhayi rabindra-premi kaku bolechen buro hole abar bhalo lagbe:)
Ei gulor naam likhlam.Karon samajhdar lokjan shunlei emon bhabe takay je nijeke kitoshyo kit mone hoy:)
Echara list anek lomba.
Tomar lekhatar janne "High five".
হাই ফাইভ, হাই ফাইভ, অ্যানোনিমাস। কমলকুমার নিয়ে আমারও একসময় বিস্তর টেনশন ছিল। এত বিখ্যাত লেখক অথচ একটা লেখাও বুঝতে পারছি না (ফলত, বাজে লাগছে)। তারপর একজন বলল, তোর তো ভালো লাগার কথাও নয়। উনি হচ্ছেন লেখকের লেখক, পাঠকের লেখক নন। দেখবি সব বিখ্যাত লেখকদের, যেমন সুনীল ইত্যাদি, কমলকুমার রোলমডেল। সেই শুনে আমার টেনশন কেটে গেল।
Deleteরবিঠাকুরের লেখা ছোট আর বুড়োবেলায় ভালো লাগার কনসেপ্টটা ভালো কিন্তু।
Jaak !Amaro mon bhalo hoye galo.
DeleteConfused....স্বীকারোক্তি বড় সহজ নয় কিন্তুক। কিন্তু সুনীল বাবুর উপন্যাস আমার ভাল লাগে নাই। LOTRও এক ব্যাপার। আশুতোষ নিমাই বাজে বাজে! তসলিমাও। ড্যান ব্রাউন চেতন ভগত...। শরচ্চন্দ্র, পথের দাবী আর শ্রীকান্তের তৃতীয় পর্ব ছাড়া... দেবদাস পচা। এই আর কি...! ইন ফ্যাক্ট দ্বিতীয় উদাহরণটা পড়ে আমার ফিসফাসের কথা মনে পড়ল। :P
ReplyDeleteবালাই ষাট, ফিসফাসের কথা মন পড়ল কোন দুঃখে? আমার তো সে রকম কখনও কিছু মনে হয়নি।
Deleteনা মানে কিছু কিছু জোকস আমি ছাড়া কেউ বোঝে না মার্কা হয়ে যায়। :P
Deleteশরত্চন্দ্র একবার রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে বলেছিলেন, "আমরা লিখি তোমাদের জন্যে, আর উনি লেখেন আমাদের জন্যে"। শেষের কবিতা এত লোকের অপছন্দ দেখে কিছু comment না করে পারছিনা।
ReplyDeleteকিছু সাহিত্য আছে যেগুলোর রসগ্রহণ করতে হলে সেইসময়কার ইতিহাসটা জানা থাকলে সুবিধা হয় । আমাদের সবাইকার ছোটবেলার প্রিয় Gulliver's Travels এখন যদি সেই সময়কার Europe-এর ইতিহাস পড়ে নিয়ে আবার পড়া হয় তাহলেই satire-টা পুরো বোঝা যাবে, যেটা ছোটবেলায় জানতাম না।
এবার ১৯২০-র দশকের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস একটু দেখা দরকার। কথা দিচ্ছি যথা সাধ্য সংক্ষেপ করব ।
দীনেশ রঞ্জন রায় আর গোকুল চন্দ্র নাগ ১৯২৩ সালে বাংলা পত্রিকা কল্লোল শুরু করলেন। বাংলা সাহিত্যের গতি প্রকৃতি নির্ধারণে এই ধরণের পত্রিকার বিশেষ ভূমিকা ছিল। কল্লোল গোষ্ঠির নাম না জানা (নিবারন চক্রবর্তী) তরুণ সাহিত্যিক-রা tradition-এর থেকে বেরিয়ে এসে সাহিত্য শুরু করলেন। সাহিত্যে সুন্দরের (লাবণ্য) স্থান নেই । (সময়-টা প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে world wide recession এর মধ্যে) সাহিত্যে শোভন সুন্দরতার দরকার নেই, ইত্যাদি । আমি আর elaborate করব না । আশা করি এইটুকু hint যথেষ্ট। আবার একটু ইতিহাস দেখব। পাল্টা জবাব আসতে লাগলো সজনীকান্ত দাসের শনিবারের চিঠি ইত্যাদি থেকে। সংক্ষেপে বলতে গেলে নবীন এবং traditional দলের মধ্যে লড়াই কাজিয়া শুরু হয়ে গেল। একটা কথা এর মধ্যে বলা দরকার যে এই দুই গোষ্ঠী-ই কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে বেজায় শ্রদ্ধা করত। কাজেই দুই পক্ষই রবীন্দ্রনাথকে এর মধ্যে জড়িয়ে নিলেন। এখন আধুনিক বাংলা সাহিত্য কোন পথ নেবে সেটা নিয়েই বিতর্ক এবং দুপক্ষই কবিগুরুকে নিজের দলে চাইছে। এই উদ্দেশ্যে ১৯২৭ সালে দুই দলে meeting হয় যেখানে রবীন্দ্রনাথ সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। দুটো meeting এর পরেও কবির প্রস্তাব কল্লোল গোষ্ঠী গ্রহণ করলো না । বাদানুবাদ চলতেই লাগলো।
অবশেষে এই লড়াই কবি বন্ধ করলেন ১৯২৮ সালে একদম নতুন ধরনের উপন্যাস "শেষের কবিতা" লিখে এবং একই সঙ্গে নিজে গদ্য কবিতা লিখতে শুরু করে,যেটা চলল মোটামুটি ১৯৩২ অবধি (পরিশেষ) । (শেষের কবিতায় শেষ অবধি লাবণ্য, যাকে অমিত বন্যা করে দিয়েছিল, মিলল শোভনের সঙ্গে।) দুপক্ষই চুপ করে গেল এবং বাংলা সাহিত্য তার নতুন রাস্তা দেখতে পেল আর আমরা দেখলাম সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বুদ্ধদেব বসুদের। পুরনোরাও রবীন্দ্রনাথের প্রভাব কাটানোর সজ্ঞান চেষ্টা ছেড়ে কালজয়ী সাহিত্য রচনায় মন দিলেন। প্রেমেন্দ্র মিত্র, জীবনান্দ, বিষ্ণু দে, ইত্যাদি।
অতএব আমরা দেখছি শেষের কবিতা একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা এবং সেটায় কবি পুরোপুরি সফল ।
একটু লম্বা হয়ে গেল । আমার মনে হলো যারা comment গুলো লিখেছেন তারা মোটামুটি আমার অর্ধেক বয়সি তাই এই background তাদের অজানা। এইবার এই সম্বন্ধে আর একটু জেনে নিয়ে আবার বইটা পড়লে relate করা যাবে। তখন ভালো লাগতেও পারে। শেষের কবিতা record এ সৌমিত্রর 'অমিত' উচ্চারণ খেয়াল করলেও এর পর কারনটা পরিষ্কার হবে ।
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
গৌতমবাবু, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। অনেক না জানা কথা জানা হয়ে গেল। শেষের কবিতা -র প্রভাব সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস কিছুই আমি জানি না। অশিক্ষিত পাঠকের মতো গল্প পড়ে যাই। এ ভাবে পড়লে গল্পকে জাজ করার অধিকার জন্মায় না সেটা মানছি।
Deleteগৌতমবাবু, খুব খাঁটি কথা বলেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ কি আর প্রতিটা জিনিসের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে যাবে? ঠিক এই কথাটাই সৈয়দ মুজতবা আলি একটু ঘুরিয়ে বলেছিলেন, যে পন্ডিতেরা যখন কোনও শিল্পসৃষ্টির বিচার করেন, তখন তাঁরা দেখেন টেকনিক্যালিটি। আর সাধারণ মানুষ? তাঁরা আনন্দ পাবার জন্য বই কেনেন, সিনেমা দেখেন। তাই তাঁরা যাতে আনন্দ পান, সেটাই তাদের কাছে ভালো। একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে পাঠক/দর্শক/শ্রোতা বই কেনেন, বা গান শোনেন, বা সিনেমা দেখেন... তাঁদের কাছে সেই উদ্দেশ্যটা সফল হল কি না, সেটাই আসল। মোদ্দা কথা, রসস্রষ্টা এবং রসগ্রাহী, দুজনের উদ্দেশ্যটাই যে আলাদা।
DeleteMap korben Goutom babu, eta ektu kostokolpito lagche. Age o ti byakha ami porechi/sunechi. Mone hoyeche bangalo porikha te likhbar jonyo toiri kora. Ei dhore agote gale duniye te ar kono golpo i golpo thake na roopak hoye jai. Rabindranath nije kothai ei kotha likhechen bole ami jani na. Apni jodi janen amake ektu janaben. Ei sutre bole rakhi, amar sesher kobita oti priyo boi.
Deleteএই তো, লোকে ক্লজেট ছেড়ে বেরোচ্ছে। :)
ReplyDeleteলোকের কথা জানি না, আমার নিজেরই যে এখনও অর্ধেকের বেশি ক্লোজেটে আছে সেটা জানি।
DeleteChotobelay thonga theke omnibus sob porar bodobhyash ta amar o chilo, hotat kore seta theke cure hoy Fountainhead pore, tokhon amar boyos sholo. janina aj porle hoyto Elseworth Toohey sombondhe amar eto tiktota thaktona, ekhon tader ashepashe dekhte payi, kintu takhonkar tiktota ta bhue abar pore ei theory ta taste korar dusshahosh ar hoy na.
ReplyDeleteerpor, aro onek boi bhalo kharap er list a eshesche, kintu eto gobhir bhabe kharap ar kono boi legeche bole mone pore na.
Orhan Pamuk porte porte ekebare kharap na lagleo, eto slow je kichutei sheh kore uthte pari na......aporadhbodh ta ei aj katiye uthte parbo ei lekhatar por...hoyto...
Toohey-র প্রতি তিক্ততা আছে সঙ্ঘমিত্রা, আর Roark-এর প্রতি? ফাউন্টেনহেডকে লিস্টে রাখিনি, কারণ আমি ওটাকে আদৌ ভালো বই বলে মনে করি না।
Deleteপামুক আমি পড়িনি। আমার এক বন্ধু অবশ্য আমাকে খুব তা দিচ্ছে পড়ার জন্য (এই আমাকে দিবারাত্রির কাব্য-শেমিং করেছিল)।
amio jantam na ..kintu judge kora na holeo byaktigoto bhalo laga kharap laga thaktei pare....sei hisebe bolte pari amar Saratchandrer uponyas gulo atynto nyaka godgode type lage hain chotobelay porechilam jokhon mane 7 to 9 tokhon baparta onnorokom chilo ....r ghonada porteo amar besh kothin lage
ReplyDeleteঘনাদা আমারও শক্ত লাগে, প্রদীপ্তা। হাই ফাইভ। শরৎচন্দ্র ছোটবেলায় আমার খুব প্রিয় ছিলেন, এখন পাছে অপ্রিয় হয়ে যান, সেই ভয়ে আর পড়িনি।
DeletePost to daruun. amar Shesher Kobita, Na Hanyate, Paulo Coelho, Sidney Sheldon, Joy Goswami r kobita, aro onek onek boi bhallagena. Kintu amar chotobyala thekei ektu "ulto pothe jabo"-r er batik ache to, tai ami dhorei niyechi ete amar kichui ese jay na. Ora boi likhche amader jonno, amra boi porchi oder jonno noy.
ReplyDeleteUlto ta o hoy jano. Ekti meyer CV te "Favourite Authors" er talikay Chetan Bhagat er naam chilo. Kichu jiggesh korar aagei safai gailo, "I don't actually like him, that's a mistake". Ishh, ki kharap laglo amar. Jonota kyano decide korbe karur ekanto bhalo laga/na laga? Sei meye tir hoyto sottyi Chetan er lekha bhalo lage.
Ei topic er i ektu digression, tumi Intertsellar dekhle? Kemon laglo? Amar khub i kharap laglo. kauke bollei tara dur dur kore tariye dichhe. Sobcheye obak lagche, ei baje jinis ta Ramgopal Verma banale oke sobai khyapa pagol bolto. Sada chamra ke etota benefit of doubt deoa bodhoy onuchit.
Jakge, as usual darun darun post. tomar recently Pork vindhaloo ta o daruuuuun chilo. Recently 10 diner jono Goa gelam. Onek vindhaloo khelam. Amrito.
তোমার মন্তব্যের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্যারাগ্রাফের সঙ্গে একদম একমত, সুমনা। মাস্টার্সের সময় হোস্টেলের লাইব্রেরি থেকে নিয়ে গুচ্ছের সিডনি শেলডন পড়েছিলাম, ভালোও লেগেছিল।
Deleteচেতন ভগতের ব্যাপারটা সত্যিই খুব ইন্টারেস্টিং। আমার চেনা একজনকেও আমি দেখিনি যার চেতন ভগত ভালো লাগে। তাহলে বই কিনে পড়ে কারা?
ইন্টারস্টেলার দেখে আমার খুব হাসি পেয়েছে। বিশেষ করে ওই দৃশ্যটায়, যেখানে হ্যাথওয়ে ছলছল চোখে লাভসংক্রান্ত বক্তৃতা দিচ্ছেন, বা স্পেসশিপের মধ্যে বসে একজন বিজ্ঞানী আরেকজন "বিজ্ঞানী"কে কাগজে এঁকে ওয়ার্মহোল বোঝাচ্ছেন। যাকে বোঝানো হচ্ছে সে নাকি আবার স্পেসশিপ চালানোর দায়িত্বে। আমি অবাক হয়ে আমার সঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ইকী, এ ওয়ার্মহোল জানে না, একে দলে নিয়েছে কেন? তাতে আমার সঙ্গী বললেন, আহা, ওয়ার্মহোল জানে না তো কী হয়েছে, কেমন ভালো ট্রাক চালাতে পারে দেখলে না, স্পেসশিপ চালাতে গেলে ওটা কাজে লাগবে।
আরেকটা ব্যাপারও নোটিস করেছি, জটিল কিছু ব্যাখ্যা করতে হলেই কেউ না কেউ বলছিল, ইট'স রিলেটিভিটি, ইউ নো? আর অমনি বাকিরা গম্ভীর মুখে মাথা নাড়ছিল, যেন সব জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে।
ha ha ha...interstellar ta churanto bolecho Kuntala Di...amar obosso bhalo legeche ..tobe keu jodi potashgorer jongole ta movie kore er cheyeo bhalo golpo r ei grohe thaklei hobe kothhao jete hobe na ....ami choto belay akash dossu bole ekta kolpobigyan porechilam sunil gongopadhay er ...darun legechilo , k din age dekhlam lokjon bolche eta naki kolpobigyan na fantasy tao abar gaja kheye lekha type ...ki jani bapu o jodi kolpobigyan nao hoy dibbi ...lila majumder er bhasay "ogulo jodi chingri mach nao hoy tao darun khete" :)
Deleteএই জন্য লীলাকে এত ভালোবাসি।
Deleteইন্টারস্টেলারের ওই দৃশ্যটায় আমারও খুব হাসি পেয়েছিল, কিন্তু মোটের ওপর আমার সিনেমাটা ভালো লেগেছে, কারণ এই জিনিসগুলো ছোটবেলায় পড়েছিলাম, এই প্রথম কোনও সিনেমায় এপ্লাই হতে দেখলাম। তবে সিনেমাটা আমার কাছে সিনেমাই, সেটা নিয়ে বেশি বিচার করতে গেলে মুশকিল। যারা এখন ইন্টারস্টেলার দেখে ধন্যি ধন্যি করছে তারাই ইন্ডিয়ানা জোন্স ফ্রিজের ভিতর ঢুকে এটম বোমার থেকে বেঁচেছিল দেখে স্পিলবার্গকে ছি ছি করেছিল। হিপোক্রিসি আর কাকে বলে! আমার অবশ্য ইন্ডিয়ানা জোন্স-ও ভালো লাগে।
Deleteশেষের কবিতা সম্পর্কে সবাই কিছু না কিছু বলেছে, আমি কিছু বলিনি তার কারণ হলো আমি যদিও স্বীকার করি যে অমিত অত্যন্ত ন্যাকা, কিন্তু আমি শেষের কবিতার প্রতি একটু বায়াস্ড। তার কারণ শেষের কবিতার সঙ্গে আমার পরিচয় একটা গ্রামোফোন রেকর্ডের মাধ্যমে, আর সেই রেকর্ডটার থেকেই আমার পরিচয় হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আবৃত্তির সঙ্গে। বায়াসের কারনটা আশা করি বুঝতে পারছেন।
সেই, সিনেমা সিনেমাই। বাড়িতে বসে পপকর্ন খাওয়া হয় না, তাই হলে যাই। সে ভেবে দেখলেই ল্যাঠা চুকে যায়। কিন্তু সেদিন আমাকে একজন বলল ইন্টারস্টেলার নাকি তাকে জীবনের মানে নতুন করে বুঝিয়েছে।
DeleteNarayan sanyal er nakhtraloker debatmara pore dekho didibhai...mone hobe Nolan beta puro script ta jhepe diyeche...Narayan sanyal 25 bachar agei likhe geche eisob intergalactic travel etc etc...........hihi..jata dile..ami prachando neka...
Deleteuporer tate ami hobe na..sesher kobitar amit hobe..hehe
DeleteEi post e onek kichu likhbar chilo kintu bhanga bangala te oto kotha lekha o pora boro kostokor.
ReplyDeleteLOTR amar o bhaloe lage ni. Prothom karon holo ote kono 'grey-area' nei, sob i sada ba kalo. Tar upor amar boita ta racist o lageche. Ja kichu bhalo ta i poschimer abong 'white'. Ar joto kichu kharap sob i 'east' abong black. Sorbopori boring to bote i. Harry Potter er sesh diker boi gulo bhalo lageni, action thriller hoye gache. Prohom harry potter tai amar sobchaye priyo.
Tobe sesher kobita r byapare amar boktobyo kichu alada. Oi boiti ami boro bhalobasi, kano bole ektu sokto. Amar premika-r oti ektu o bhalo lage ni. Tar mote Amit ar Labanyo khali kothar khela kheleche tara kokhonoi-i poroshpor ke bhalo baseni. Amar kintu mone hoyeche sesher kobita-r mul kota holo 'Uthkontha amar lagi keho jodi protikhiya thake, sei dhonyo koribe amake'. Ei idea ta, je sobhon er moto kauke bhalo basa jai, kono protidan na paye. Seta-i amar kache bolo bhalo lagechilo, jokhon ami porechilum. Hoito tokhon amar boyesh onek kom chilo. Tar por ami sesher kobita bar bar porechi. Boita amar prai mukhosto. Golopo ta jodi puro baad o diye dan tahole o sudhu kobita gulor jonyo-i boiti mone thake jabe.
Kamalkumar Majumdar er choto golpo amar khub i bhalo lageche (Motilal Padri ) kintu golap sundari joghonyo. Je lekha bujhiye na dile bojha jai na, ta amar kache lekha i noi.
রেসিজমের কথা আর বলবেন না, ঘনাদা। পড়লে গা শিরশির করে। সত্যি বলছি, আমার তো শার্লক হোমসকেও (আই মিন, আর্থার কোনান ডয়েল বাবুকেও) যথেষ্ট রেসিস্ট মনে হয়। তারপর ভাবি, হয়তো দোষটা যত না ওঁদের, তার থেকে বেশি সময়ের। ওঁরা হয়তো ভাবেনইনি যে ব্ল্যাক স্যাভেজরা কোনওদিন ওঁদের বই পড়ার যোগ্যতা অর্জন করবে, তাই মনের সুখে গাল পেড়ে গেছেন। তাছাড়া সময়ে দাঁড়িয়ে হয়তো সময়ের দোষ বোঝাও যায় না। এই যে আমি নির্দ্বিধায় ছেলে-মেয়ে, পুরুষ-নারী লিখে চলেছি পোস্টের পর পোস্টে, এইটা দেখে (দেখার সম্ভাবনা শূন্য, তর্কের খাতিরে বলছি) হয়তো দেড়শো বছর পরের পড়ুয়ারা আঁতকে উঠে বলবে, লোকটা কী সেক্সিস্ট দেখেছ! যেন পুরুষ নারী ছাড়া আর কোনওরকম মানুষ থাকতে নেই জগতে!
Deleteযাই হোক, মোদ্দা কথাটা হচ্ছে, আমি আপনার সঙ্গে এক্কেবারে একমত, LOTR মহা রেসিস্ট।
শেষের কবিতা নিয়ে আমি আপনার থেকে আপনার প্রেমিকার সঙ্গে বেশি একমত অবশ্য। মূল কথাটা যদি প্রতিদানের দাবিহীন প্রেমই হয়, তবে সেটা আরেকটু সরল করে বললেই তো ল্যাঠা চুকে যেত। অমিতো রে-র সংলাপ পড়লে অনেক সময় মনে হয় প্যারডি পড়ছি। আর একটা খুব বেদনার স্মৃতিও মনে পড়ে। প্রথমবার প্রেম করার সময় লেখা প্রেমপত্রগুলোর কথা (অবভিয়াসলি, আমি আমার লেখা চিঠির সঙ্গে রবিঠাকুরের লেখার তুলনা টানছি না)। বাপ রে বাপ রে বাপ, কথার কী ঘোরপ্যাঁচ, কী গিটকিরি! এখন মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, অত কালোয়াতি ফলাতে গিয়েই প্রেমটা গেল নাকি।
Lord of the Rings আমার লিস্টেও আসবে। বরঞ্চ সিনেমাগুলো ভাল লেগেছিল। গল্পটা একেবারেই নয়।
ReplyDeleteFrankenstein - এ গল্পটা যে কী করে এত বিখ্যাত হল সেটা আমার বুদ্ধির অগম্য। পুরো বইতে কোথায় দানবটার একটা মোটামুটি বর্ণনা দেওয়ার ক্ষমতাও নেই যে লেখিকার, তাঁর গল্প নিয়ে এত মাতামাতি কেন? এমন তো নয় যে সে যুগে আর ভাল ভূতের গল্প ছিলনা। Draculaই তো ছিল।
Ayn Rand এর প্রত্যেকটা বই। অল্প বয়সে পড়া। বয়সের ধর্মে প্রথমবার পড়ার পর অবশ্যই খুব তেতে উঠেছিলাম। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই একটার পর একটা প্রশ্ন উঠতে লাগল মনে। শেষে মনের আস্তাকঁড়ে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলনা।
Amitava Ghosh - আগাপাশতলা। বাঙলায় লিখলে কল্কে পেতনা।
শীর্ষেন্দুর একেবারে প্রথম দিকের লেখাগুলো আর শেষ কয়েকবছরের লেখাগুলো এই লিস্টে আসবে।
সত্যজিতের শেষ কয়েক বছরের লেখা।
ঘনাদার প্রথম দু-তিনটা বইয়ের পর সবগুলো (মানে যখন থেকে এক শব্দের নামের প্যাটার্নটা শেষ হয়ে গেল)।
আশাপূর্ণা দেবীর অনেকগুলো ছোটগল্প। স্বাভাবিকভাবেই তার আগে প্রথম প্রতিশ্রুতি ও তার পরের দুটো বই পড়েছিলাম। তাই আশাভঙ্গটা বেশি হয়েছিল।
সুনন্দর জার্নাল পড়ার পর নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্য ছোটগল্পগুলো।
এগুলো ছাড়াও বাজে বই নিশ্চয়ই অনেক পড়েছি। তবে ওপরের গুলো পড়ে যতটা মর্মাহত হয়েছিলাম (হয়ত অতিরিক্ত আশা ছিল বলেই), সেরকম হইনি।
অমিতাভ ঘোষ। হায়েস্ট ফাইভ, তথাগত। বাকিগুলোও মিলেছে মোটের ওপর। কিন্তু অমিতাভ ঘোষের নাম আপনার লিস্টে দেখে যত খুশি হলাম তেমনটি আর কিছুতে হলাম না।
Deletepost ta ar comment gulo pore khub dukkho pelam. kharap laga boi amar o anek ache, thaktei hobe, bhalo kharap-bhalo sob tai khub subjective. ami sadharonoto kono peer pressure theke kichu pori/dekhi/shuni na, hya, anek kichu i introduced hoyechi bondhubandhob der kach theke kintu kono group e meshar jonye boi pora?uhu. tai pressurized reading er frustration/ kharap laga ta kokhonoi lekhoker opor porte dii na. je boi gulor naam tumi ebong oporer sobai bolche, tar kichu amar kharap lagte pare, bhalo o lagte pare, kintu eta mantei hobe je sob kota boi/lekhok er i onuragir sonkhya anek. lekhok ba lekha r sommondhe lagam-chara montobyo gulo tai bhalo laglo na.
ReplyDeletekaror pochondo kei thuke kotha bola ta poshay na, tai murtiman rosobhonger moto ei comment ta kore boslam. kichu mone koro na.
আরে না না, মনে করার কিছু নেই, স্বাগতা।
Deleteo henry niye aar sesher kobitar amit ke niye tomar sathe ekta powerful uchcho paanch.sotyi bolte ki sei sukumar ray er chaliyat galper chaliyat chaliyat type e legeche..
ReplyDeleteএই কমেন্টটা আমি মিস করে গেছি কেন কে জানে। দেরি করে উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক দুঃখিত। হাই ফাইভ।
Delete