পুরোনো অবান্তরঃ প্রথম প্রেম
এই যে এই মুহূর্তে আমার কানে দেশকার গাইছেন ভীমসেন জোশী – ঝনঝন ঝননন বাআআজে –
গায়ক, তবলচি, সারেঙ্গিবাদক সবাই মিলে একসঙ্গে প্রত্যেকবার ‘জে’তে এসে সমে পড়ছেন,
আর অনৈচ্ছিক ক্রিয়ার মতো আমার মাথা দুলে উঠছে, এই যে দেখছি স্ক্রিনের পেছনের
জানালা দিয়ে রোদ্দুরের সেতু বেয়ে ধুলো ভেসে ভেসে ঘরে ঢুকছে, আমি টাইপ করা না
থামিয়েই ভুরু কুঁচকে ভাবছি ‘সেতু’টা বেশি কাব্যিক হয়ে গেল কি না, কেটে ‘ব্রিজ’ করে
দিই এই বেলা – নিরানব্বই শতাংশ গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় আজ থেকে পাঁচ বছর পরে এই
মুহূর্তটার কথা আমার মনে থাকবে না।
কারণ গত তিরিশ বছরে যাপিত অযুতনিযুত মুহূর্তের একটিকেও আলাদা করে আমার মনে
নেই। তা বলে কি একটাও মনে নেই? সেই যেদিন পার্ট ওয়ানের রেজাল্ট দেখে লঞ্চে করে
ফিরছিলাম, বুকপেটের ভেতরটা কেমন খালিখালি লাগছিল – এই এত দূরে বসেও অবিকল মনে করতে
পারছি। কিন্তু সে রকম মুহূর্ত একটাদুটো। তারা ব্যতিক্রম। তারা
বরং এই নিয়মটাই প্রমাণ করে যে আলাদা করে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মনে রাখা যায়
না। শুধু মুহূর্ত কেন, দিন, সপ্তাহ, মাস, এমনকি আস্ত আস্ত বছর সব জড়িয়েমড়িয়ে
শেষমেশ একটা সময়ের মণ্ডে পরিণত হয়ে যায়।
চোখটোখ খুব সরু করে দেখলে মণ্ডের মধ্যে কতগুলো খণ্ড ঠাহর করা যায় অবশ্য।
স্কুলজীবন, কলেজজীবন, ইউনিভার্সিটি, প্রাক-বিবাহ, পোস্ট-বিবাহ। প্রতিটি খণ্ডের
প্রতিনিধি হিসেবে থেকে যায় একটা কি দুটো ছবি। একটা কি দুটো স্পর্শ। একটা দৃশ্যে আমি লাল
ফিতে, সাদামেরুন ইউনিফর্ম পরে সবুজ মাঠে দৌড়চ্ছি, অন্য দৃশ্যে ঝুঁকে পড়ে ইয়া বড়
জলভর্তি ফুচকা মুখে পুরছি। চিবোতে পারছি না, গিলতে প্রাণান্ত, টকের চোটে দাঁতের
গোড়া শিরশির করছে। তবু
সুখের সীমা নেই। পরের দৃশ্যেই আবার আমি বসে আছি একটা ঘেমো চটচটে ফোনবুথের ভেতর।
দেওয়ালে সাঁটা যন্ত্রে আমার রক্তচাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফোনের বিল।
প্রতি মুহূর্তের ভাব, ভালোলাগা, বিশ্বাস, উপলব্ধিও অত কিছু আর আলাদা করে মনে
পড়ে না। কবে যে কী বিশ্বাস করতাম, নিজেরই গুলিয়ে গেছে। কবে কাকে গুরু মেনেছিলাম,
কবে তার মতো হতে চেয়েছিলাম – কিচ্ছু মনে নেই আর।
পুরোনো অবান্তর লেখার ছুতোয় পুরোনো পোস্টগুলো নিয়ে নাড়াঘাঁটা করে একটা সুবিধে
হয়েছে। সে সময়ের খণ্ডে, সে সময়ের কুন্তলার ভাবনার মূল স্রোতটা বেশ স্পষ্ট হয়ে
উঠছে। এই যেমন দেখছি দু’হাজার নয় সালের সেপ্টেম্বর থেকে দু’হাজার দশের মে মাসের
মধ্যে অবান্তরের কয়েকটা পোস্টের নাম হচ্ছে – ফেসবুক এবং প্রথম প্রেম, প্রথম প্রেম,
প্রেম ও প্রতিকূলতা, বিষয়সংকট, শিশু ও প্রেমহীনতা। বোঝাই যাচ্ছে সে সময়
প্রেম আমার মাথার অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছিল। ইন্টারেস্টিং (বা অবভিয়াস) ব্যাপারটা
হচ্ছে যে সে সময় আমার জীবনে প্রেমের ছিটেফোঁটা অস্তিত্বও ছিল না। প্রেমসংক্রান্ত
পোস্ট কমতে কমতে প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেল দু’হাজার দশের জুন মাস নাগাদ, ঠিক যখন আমার
জীবনে প্রেমের গাড়ি আবার পিকআপ নিয়েছে।
পিকআপের ঝাঁকুনি যখন কমে এল, গাড়ি বেশ বাঁধা লয়ে ছুটতে লাগল – মাঝরাত্তিরে
সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাজধানী এক্সপ্রেস যেমন ছোটে – তখন জীবনে প্রেম ব্যাপারটা এমন
জলভাত হয়ে গেল যে অনেক ভেবেও আমি মনে করতে পারলাম না যে সেটা নিয়ে যে আলাদা করে
ভাবার কী থাকতে পারে। নিজে মাথাঘামানো তো দূর অস্ত, অন্য কাউকে প্রেম নিয়ে কথা
বলতে শুনলেও তিতিবিরক্ত লাগত। মনে হত, বস্, এর পর কোনওদিন দেখব নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস
নেওয়া নিয়েও কেউ দেড়শো পাতা রচনা লিখছে।
তাহলে এবারের পুরোনো অবান্তর লিখতে গিয়ে এই পোস্টটা বাছলাম কেন? উঁহু,
দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমার প্রেমের গাড়ি বিলকুল ঢিলে দেয়নি,
থ্যাংকইউভেরিমাচ। বাছলাম কারণ এই পোস্টের মূল বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। প্রেম
থাকলেও একমত, না থাকলেও একমত।
প্রথম প্রেম ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি রকম ওভারহাইপড।
*****
প্রথম প্রেম কথাটাই ধোঁয়াশার। প্রেম কার দিক থেকে? আপনার? সেই চোদ্দ বছর বয়সে
যে প্রথম যে মেয়েটি/ছেলেটিকে দেখে নাওয়াখাওয়াঘুম মাথায় উঠেছিল, সেই যে জানালায়
দিগন্তের দিকে তাকিয়ে জানালায় দাঁড়িয়ে থাকত/ রোজ বিকেলে হুশ করে সাইকেল চেপে
লিলুয়াপাড়া থেকে সুভাষনগরের দিকে উড়ে যেত, আপনি আগের তিনঘণ্টা ওই তিন সেকেন্ডের পথ
চেয়ে বসে থাকতেন এবং পরের তিনঘণ্টা সেই তিন সেকেন্ড মাথার ভেতর বারংবার রিওয়াইন্ড
করতেন, সেইটা আপনার প্রথম প্রেম?
নাকি প্রথমবার আপনার প্রতি জাগা অন্য লোকের প্রেম? যাকে আপনি হেলাভরে ঠুকরে
দিয়েছিলেন? দিয়ে জীবনে প্রথমবার নিজেকে অপার শক্তিশালী মনে হয়েছিল?
নাকি সেই প্রেমটা? যেটা আপনার এবং আর একটি মানুষের মধ্যে একে অপরের দিকে সমান
ভর ও গতিবেগ নিয়ে ধাবিত হয়েছিল? পরের সব প্রেমগুলোর তুলনায় সেই প্রেমটিই কি আপনার
বুকে সবথেকে বেশি ঝলমল করছে?
আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। হাতের কাছেই একজন প্রেমবিশেষজ্ঞ ছিল, তাকে। তার সঙ্গে
আমি ছোটবেলায় তাদের বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে নারকেলগাছ আর জলের ট্যাঙ্কের মাথা গুনতাম,
কল্পনা করতাম, ঘন বনের মধ্যে দিয়ে পালকি কাঁধে আমরা যাচ্ছি। (পালকির ভেতর আছে
একজন, মাঝরাতে খালি পালকি বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো বুরবক আমরা নই, কিন্তু আমাদের গল্প
সেই পালকি-আরোহীর কোনও রোল নেই।) চলছি, চলছি, চলছি। চলতে চলতে পালকি যখন বনের
সবথেকে গভীরতম অংশটায় পৌঁছেছে, হবি তো হ’ তখনই ঝুপ করে মাঝরাত হয়ে গেল। ঘুরঘুটে
অন্ধকার। কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না, শুধু আমাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা গম্ভীর গাছেদের
আবছা ছায়া টের পাচ্ছি। সঙ্গে টর্চ, দেশলাই কিচ্ছু নেই। দিদি বললেন, ‘ঘাবড়াস না
সোনা, চকমকি পাথর তো আছে, নাকি?’ চকমকি ঠুকে শুকনো পাতায় আগুন জ্বালানো হল। দিদি
কোত্থেকে একটা গোখরো (গোখরোর জায়গায় কেউটেও হতে পারে, কবেকার কথা, তবে ঢোঁড়া যে নয়
সেটা গ্যারান্টি) সাপ মেরে আনলেন। বাঁ হাতে গোখরোর গলা টিপে ধরে দিদি ডান হাতের একটি
মোক্ষম টানে তার ছাল ছাড়িয়ে ফেললেন, তারপর চকমকির আগুনে সেঁকা সাপের মাংস খাওয়া হল
খুব ঢেঁকুর তুলে।
কয়েক বছর পর সাপখোপ থেকে দিদির মন উঠে গেল। তখন বিকেল হলে দিদি তাঁর লাল রঙের
হিরো সাইকেল নিয়ে এসে আমার বাড়ির সামনে বেল বাজাতেন, অনিবার্য পতন রোধ করার জন্য
দু’পাশে ডান্ডা বার করা আমার বেঁটে হলুদ রঙের সাইকেল নিয়ে আমি বেরোতাম। এদিকওদিক
থেকে আরও দুয়েকজন দিদির সাইকেল বেরিয়ে এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিত। কিছুক্ষণ এ গলি ও
গলি ঘোরার পরই টের পেতাম আমাদের মিছিলের পেছন পেছন আরেকটি অপেক্ষাকৃত ছোট মিছিল
শুরু হয়েছে। দাদাদের মিছিল। দিদিরা প্রচণ্ড হাসত, এত হাসত যে আমার ভয় লাগত এক্ষুনি
কেউ একটা সাইকেল থেকে পড়ে যাবে।
সেই শুরু। এরপর দিদির জীবনে সুনামির ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ল একের পর এক প্রেম। ওপরে যে তিন রকমের
প্রেমের কথা লেখা হয়েছে, তিন রকমেরই। দিদির দিক থেকে একতরফা, দিদির প্রতি একতরফা ও
দু’তরফা। দিদির সারাশরীর, মুখ ঝলমল করতে লাগল কনফিডেন্সে। সে কনফিডেন্সের টানে মৌমাছির মতো আরও
প্রেমেরা ভনভন করে দিদির আগেপিছে পায়ের কাছে ভনভন করতে লাগল। তাদের বেশিরভাগকেই
দিদি হাওয়াইচটি চাপা দিয়ে মেরে ফেললেন, কাউকে কাউকে হাত নেড়ে তাড়ালেন, কেউ কেউ
যাওয়ার আগে দিদির হৃদয়ে হুল ফুটিয়ে গেল।
হঠাৎ করে ফাঁকা পাওয়া একটা বিকেলে ছাদে বসে আমি কথাটা জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম।
“এদের মধ্যে কাকে তোমার সবথেকে বেশি মনে থাকবে, ___দিদি?”
দিদি ভাবলেন। কানের পাশ থেকে একগোছা চুল টেনে এনে মুখে পুরে চিবোলেন খানিকক্ষণ।
তারপর বললেন, “সব্বাইকে।”
আমি তখনই বুঝেছিলাম দিদি অনাবশ্যক উদারতা দেখাচ্ছেন। মাবাবা পর্যন্ত ছেলেমেয়ের
মধ্যে একজনকে অন্যজনের থেকে এক সেন্টিমিটার হলেও বেশি ভালোবেসে ফেলেন, এ তো প্রেম।
মনে যদি রাখতেই হয় তবে প্রথমটার থেকে বরং পরের দিকের প্রেমগুলো অনেক বেশি মনে
থাকার কথা। প্র্যাকটিসে সবই ভালো হয়। হাতের লেখা, গলার রেঞ্জ, রান্নার তার। আর
প্রেম হবে না?
করতে করতে প্রেমও সপাট হয়, নির্ভীক হয়, চতুর হয়। সবথেকে বেশি যেটা হয়, মন
দেওয়ানেওয়ার বাজারে নিজের অবস্থানটা সম্পর্কে সচেতন হয়ে যাওয়া যায়। তখন আর আগের
মতো দোষ করে ‘সরি’ বলতে কান লাল হয় না, বা ন্যায্য ‘সরি’ দাবি করতেও জিভ জড়ায় না। “যদি
ছেড়ে চলে যায় তাহলে স্রেফ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরে যাব”, এই ভয়ে সর্বক্ষণ বুক কাঁপে
না।
মুখে না বললেও, মনে মনে এ সত্যিটা বিলক্ষণ জানা হয়ে যায় যে প্রেম আসলে তিন
নম্বর বাস। একটা গেছে? আর একটা আসবে। খুব শিগগিরই।
তবু প্রথম প্রেমকে কেন বেশি গুরুত্ব দেয় মানুষ? কেন তাকে নিয়ে এত কবিতা লেখে,
এত সিনেমা বানায়, এত দীর্ঘশ্বাস ফেলে? যে সততা, যে নিষ্পাপতা, যে নির্বুদ্ধিতা নিয়ে
প্রথম প্রেমের দিকে এগিয়ে যায় কেউ, সেই নির্বুদ্ধিতা পরের আর কোনও প্রেমের প্রতি
দেখাতে পারে না বলে? নাকি গোটাটাই সেই আদিঅকৃত্রিম নস্ট্যালজিয়ার আক্রমণ, যে
আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে জীবনভরের মরুভূমির মধ্যে কানমলাদীর্ণ ছোটবেলাও মরুদ্যানের
মতো জ্বলজ্বল করে? দীর্ঘশ্বাসটা আসলে কার জন্য? সেই আবছা প্রেমটার জন্য, নাকি
নিজের জন্য? নিজের সেই সংস্করণটির প্রতি যেটার হাঁটু এখনও সতেজ, প্রতিটি এগরোলের
পর যেটার পাকস্থলীকে জেলুসিলের ঠ্যাকনা দিতে হয় না, যেটার মাথা জুড়ে ঢেউ খেলে
চকচকে, অবাধ্য চুল?
অনেকদিন ভেবেছি জিজ্ঞাসা করব। এখনও তো মাঝেসাঝে দেখা হয়। ছাদে বসে সুখদুঃখের
গল্প করার সময় হোক না হোক। আমি ব্যস্ত, দিদি আরও ব্যস্ত। দিদির হাতে একটা, কোলে
আরেকটা মানুষ সর্বক্ষণ লেপটে থাকে। দিদির চেহারাটাও বদলে গেছে অনেক। দিদির
বাঁশপাতার মতো হিলহিলে শরীরের ওপর জাঁকিয়ে বসেছে একটা গোটা সংসার। দিদির ওজন এক
ঝটকায় বাড়িয়ে দিয়েছে অন্তত তিরিশ কেজি।
আমার জিভের ডগা থেকে প্রশ্নটা বেরোনোর আগেই কিছু একটা ঘটে। হয় হাতে ধরা
মানুষটা স্কুলে শেখা রাইম বলতে শুরু করে, নয়তো কোলের লোকটা অবোধ্য ভাষায় কিছু একটা
বোঝাতে চায়, রূপোর চুড়ি পরা হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে অবোধ্য ভাষায় কিছু একটা বোঝাতে চায়।
কথা কিছুই বেরোয় না, একগাদা লালা বেরিয়ে বুকের জামা ভিজিয়ে দেয়।
দিদি তৈরিই থাকেন। দিদির হাতের কাছে একটা নোংরামতো রুমাল রেডিই থাকে। দিদি খুব
মন দিয়ে ছেলের লালা মুছিয়ে দেন। আমি মন দিয়ে দিদিকে দেখি। দিদির ঘোর সংসারী মুখে আত্মবিশ্বাসের
আলো ফুটে উঠতে দেখি। উঁহু, আগেরটার মতো অত ঝলমলে নয়। আধাক্লান্তি আধাতৃপ্তি মেশানো, এটা একটা অন্যরকমের আত্মবিশ্বাস।
“তোমার এখনও তাদের কথা মনে আছে, ___দিদি? প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় . . . ত্রয়োদশ
জনের কথা?”
প্রশ্নটা করতে গিয়েও করি না। কেন যেন মনে হয়, উত্তরটা আমি অলরেডি জানি।
ক্যান মনে থাকব না? অবশ্যই মনে আছে, মনে থাকবে। যে ব্যাটা বলে মনে নেই, সে ঢপ দিচ্ছে।
ReplyDeleteকেজিতে পড়ার সময় একবার ট্রেন-ট্রেন খেলার সময় বাড়িতে লোডশেডিং হয়ে যায়। সবাই আমাকে খেলা থেকে বাদ দিয়ে দেয় কারণ আমি লোকাল ট্রেন হয়েছিলাম, আর কে না জানে লোকাল ট্রেন কারেন্টে চলে।
এই ছেঁদো ঘটনাটা মনে আছে, আর প্রেম মনে থাকবে না? আমার তো সবগুলো মনে আছে।
কী সাংঘাতিক বিজ্ঞানমনস্ক বন্ধুবান্ধব ছিল আপনার, দেবাশিস? সিরিয়াসলি ইমপ্রেসড।
Deleteআহা, সে তো মনে থাকবেই। কিন্তু মনে পড়ে হাত থেকে ফসফসিয়ে কবিতা বেরোবে কি? আমার সেখানেই সন্দেহ।
একমত একমত একমত - প্রথম প্রেম ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি রকম ওভারহাইপড। একমত - প্রথম প্রেম কথাটাই ধোঁয়াশার।
ReplyDeleteআমি তো এটাই মনে করি ভাগ্যিস অমুক সময় অমুক ছেলের প্রেম এ পড়ে যাইনি ...বা ভাগ্যিস অমুকের sms এ বিরক্ত হয়েছি যতই প্রিয় বন্ধু হোক ... বা ভাগ্যিস অমুক ছেলেটা প্রেমের থেকে গাড়ি কেনায় বেশী ইনটারেসটেড ছিল তাই আমি বেঁচে গেছি ... এরকম আর কি .. :)
পরবর্তী প্রেম নিয়ে খুশি এবং সুখে শান্তি তে থেকেও কি কেউ প্রথম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে? ১৫ বছর বয়েসে প্রেম আর ২৫ বছর বয়েস এ প্রেমের মানে টাও পাল্টে যায় তাই না.... অন্যথায় করতেও পারে.. জানিনা। বলা মুশকিল। .
আসল লেখাটাও এখন পড়লাম। . ওটা বেশ সুন্দর লাগলো.. চুরমুর এর মত। . পরিমাণ অল্প কিন্তু দারুন খেতে।
Deleteঅ্যাবসলিউটলি, ঊর্মি। আমি তেইশ বছরে যাকে দেখে প্রেমে পড়েছিলাম, এই তেত্রিশে আমি তাকে দেখলে উল্টোদিকে দৌড়ব। তাতে তার কোনও দোষ নেই, বলাই বাহুল্য। আমারই রুচি, পছন্দ, প্রায়োরিটি বদলে গেছে।
Delete"...মুহূর্ত কেন, দিন, সপ্তাহ, মাস, এমনকি আস্ত আস্ত বছর সব জড়িয়েমড়িয়ে শেষমেশ একটা সময়ের মণ্ডে পরিণত হয়ে যায়।" .. ki je bhalo lokhechho...
ReplyDelete*likhechho
Deleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ইচ্ছাডানা।
DeleteAutoriksha niye lekhatar motoi akdom classic! Darun lekha!
ReplyDeleteAmita
থ্যাংক ইউ, অমিতা। খুব খুশি হলাম।
DeleteKemon achen Kuntala Banerjee? besh hoyeche lekhata...arekti bhalo lekha porun na pore thakle...prothom prem nia...
ReplyDeletehttp://www.anandabazar.com/supplementary/patrika/%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%A4-1.82263
Soumesh: Ki daruuun lekhata. Dhonyobad share korar jonyo.
DeleteAha...Dhonyobad bolte ache? bhalo lekha pora o poranor modhhe ekta alada bhalolaga ache...
Deleteওরে বাবা, এ যে দেখছি অনেকদিন পর চেনা লোক। আমি দিব্যি আছি, আপনি কেমন আছেন, সৌমেশ? আপনার পাঠানো লিংকের জন্য রাখীর মতো আমিও আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিলাম।
DeleteApnar blog e ki hoyeche k jane...comment thik thak post hochhe na...agerta dekhchina....jai hok...amar cholche....onek din bade porlam apnar lekha...eki rokom bhalo...
Deleteএই লেখাটা অনবদ্য হয়েছে, কার একটা প্রভাব পাচ্ছি, কিন্তু ধরতে পারলাম না, হয়ত অন্য পাঠক রা বলতে পারবেন। কয়েকটি phrase এর অভিঘাত অসামান্য, যেমন "প্রেম ও সপাট হয়, নির্ভিক হয়.. ", " নিজের সেই সংস্করণ টির প্রতি জেটার হাঁটু এখনো সতেজ .." ইত্যাদি। বহুচর্চিত বিষয় নিয়ে এমন সাবলীল ও গভীর লেখা র জন্য অভিনন্দন। btw , চিকেন ভিন্দালু ও তোমার রেসিপি দেখে রেঁধে ফেললাম, সুস্বাদু!
ReplyDeleteসিরিয়াসলি, কাকলি? অবান্তর দ্বারা ইন্সপায়ার্ড হয়ে আপনি চিকেন ভিন্দালু রেঁধেছেন দেখে একেবারে খুশিতে গলে পড়ছি। আশা করছি রান্নাটা সত্যি সত্যি আপনার ভালো লেগেছে, আপনি আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলছেন না।
Deleteলেখা ভালো লেগেছে জেনেও খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
bhalo mane, satyi darun hoyechilo! rojkar chicken e besh ekta anyo dimension pelo to! amar chele ashlei kore khaobo thik korechi :)
DeleteDarun lekha ta...Kintu Saumya (husband) chara ar karo sathe prem ta hoye uthlo na.. tai prothom prem bolle or kothai mone pore...... ki dukkho amar.... mone korar option tai limited.. - Mousumi Bhattacharya
ReplyDeleteওরে, অপশন না থাকাটা যে কী শান্তির, ভট্টা। যাক, এই ফাঁকে তোর বরের নাম জানা হয়ে গেল। ভারি সুন্দর নাম। কনগ্র্যাচুলেশনস।
Deleteamar life e prem tin nombor bus er motoi botey, tobe kina saltlake-uttarpara route er tin nombor. jokhon chai na tokhon faka bus gulo hush hush kore nak er samne diye beriye jaye. ar jokhon chai tokhon hapityesh kore dariye theke theke pa betha hoye jaye.
ReplyDeleteহাহাহাহা, কুহেলি, দারুণ উপমা টেনেছ। মানবজীবনের সারসত্যটি একটি বাক্যে লিখে দিয়েছ। থ্যাংক ইউ।
DeleteIsss...prothom prem er moto ekti bohuchorchito myth ke apni rohit sharma er moto nirdoi vabe mather baire fele dilen??
ReplyDeleteরক্কা কর, অর্ণব, রোহিত শর্মার মতো মহামানবদের সঙ্গে আমার তুলনা কোর না। প্রথম প্রেমের আসল রূপটা তুমি নিজেই বলে দিয়েছ অবশ্য, ওটা সত্যিই একটা মিথ, আর কিচ্ছু নয়।
Deletedarun lekha ...sundor kothagulo ato antarik vabe bolen apni :) ...ei bajare sim change er moto somporko bodlay sekhane prothom numberta mone thakata tobu sombhob kintu baki gulo sotti osobmbhob :P
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, প্রদীপ্তা। তোমার যুক্তি মানলে প্রথম প্রেমের একটা অ্যাডভান্টেজ থেকে যাচ্ছে বটে। এভাবে ভেবে দেখিনি আমি।
DeleteMonta bhalo hoye gelo.....tomar lekha puro tonic er moto kaj kore.
ReplyDeleteধন্যবাদ, রণিতা।
Delete