কৈফিয়ত আর সাপ্তাহিকী
শ’খানেক ছবি ফোল্ডারে না থাকলে আমি সত্যি বিশ্বাস করতে পারতাম না যে
মাত্র তিনসপ্তাহ আগে আমরা বহুপ্রতীক্ষিত একটা বেড়ানো বেড়িয়ে এসেছি। মনে হত অনন্তকাল ধরে তো ডাক্তারখানা, ডাক্তারের বাড়ি, ওষুধের দোকান, প্যাথোলজি ল্যাব
আর ফলের দোকানেই ঘুরে মরছি আর তার ফাঁকে টুক করে অফিসে ‘উপস্থিত’ দিয়ে আসছি। এর বাইরে যে কিছু ঘটেছে বা ঘটতে পারে, সে সম্ভাবনাও আমার মগজ থেকে লোপ পেয়েছে।
কিন্তু পরিস্থতি অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসছে। রিপোর্টের যে সব নম্বরেরা নিয়ম ভেঙে ছাদ ফুঁড়ে উঠেছিল, তারা পুরো ফিরে না এলেও ফেরার পথ ধরেছে। কাজেই এবার কেটে যাওয়া সুতোগুলো আবার ধরার একটা চেষ্টা করা যেতে পারে। ফোল্ডারের ছবি দেখে দেখে, কী হয়েছিল, কোথায় হয়েছিল মনে করা যেতে পারে। তবে সেসব মনে পড়াদের গুছিয়ে
লিখতে একটুখানি সময় লাগবে। আজ
সারাদিনের টু ডু লিস্টে ‘টাইপিং’ ছাড়া আর কিছু রাখিনি, আশা করি আজই লিখে উঠতে পারব। যতক্ষণ না পারছি, একটা ফাঁকিবাজি সাপ্তাহিকী দিয়ে অবান্তরের আড় ভাঙা যাক। বন্ধুরা ক্ষমা করবেন।
*অবান্তরের আড় ভাঙা ছাড়াও এ সপ্তাহের সাপ্তাহিকী ছাপার অন্য একটা কারণও আছে। সেটা হচ্ছে এ সপ্তাহের কোটেশনটা। বইটা পড়া ইস্তক এই অংশটুকু আপনাদের পড়াব পড়াব মন করছে, সুযোগ আর হচ্ছিল না। সে সুযোগ আজ আর হাতছাড়া করতে চাই না।
*****
“শিবানন্দ স্বামী কঠোর জপ-ধ্যান করিতেন, চক্ষু ঢুলুঢুলু বিভোর, মাঝে মাঝে হাসিতেন। তিনি তখন বড় কৌতুকপ্রিয় লোক ছিলেন। মাইকেল (বিষয়ে) কথাবার্তা শুনিয়া একদিন তাঁহার মনে খেয়াল হইল, বাংলা ভাষার সংস্কার করিতে হইবে। তিনি আরম্ভ করিলেন, ‘দ্যাখ, বাংলা ভাষায় একটি ক্রিয়াপদের সহিত দুই-তিনটা শব্দ যোগ না করিলে ক্রিয়া হয় না। ওরূপ চলিবে না। অন্য শব্দ সংযোগ না করিয়া একটি মাত্র ক্রিয়াপদেতেই ভাব প্রকাশ পাইবে।’ তিনি দাঁড়াইয়া কোমর কিঞ্চিৎ সামনের দিকে বক্র করিয়া ডান হাতের তর্জনী সম্মুখে চালিত করিয়া বলিতে লাগিলেন, ‘কেন, ইংরাজিতে হয়, বাংলায় হবে না কেন? এক কথায় ক্রিয়াপদ করিতে হইবে।’ একজন কৌতুক করিয়া বলিল, ‘মহাপুরুষ আলুর দম করতে হবে। এটা এক কথায় কী করে হবে?’ তিনি মৃদু হাসিয়া বলিলেন, ‘কেন, বলবে, আলুটা দমিয়ে দাও। দাঁড়াও দাঁড়াও, লুচি ভাজবে কথাটা এক কথায় করতে হবে। আচ্ছা, লুচিটা লুচ্চাইয়া দাও।’ এই বলে নিজে উচ্চৈঃস্বরে হাসিতে লাগিলেন, ‘আরে ছি ছি, এ যে বেখাপ্পা হয়ে গেল, এক আধটা চলবে না।’ আর সকলেই বিদ্রূপ করিতে আরম্ভ করিল- ‘মহাপুরুষ তামাকটা তমকাইয়া দিবেন।’ সম্মুখে গুপ্ত বসিয়া ছিল, ‘ওরে গুপ্ত, তামাকটা তমকাইয়া দে না।”
---‘আমার জীবনানন্দ আবিষ্কার
ও অন্যান্য’ বইতে স্বামী
বিবেকানন্দের মেজ ভাই মহেন্দ্রনাথ দত্তকে
নিয়ে লেখা চ্যাপ্টারের নাম ‘বৈঠকী মেজাজের এক উপেক্ষিত সাহিত্যিক’। সুনীল লিখেছেন, “মহেন্দ্রনাথকে
অনায়াসেই বলা যায় সৈয়দ মুজতবা আলীর
পূর্বসূরি... তাঁর বইগুলির গুরুগম্ভীর বা সাধু-সন্ন্যাসী জড়িত নাম দেখে হয়তো অনেকে
বিমুখ হয়েছেন, কিন্তু তাঁর রচনায় রয়েছে প্রকৃত রসের ধারা এবং বাংলা ভাষ্যকে নিয়ে
ইচ্ছেমতন খেলা করার দক্ষতা ছিল তাঁর। সাধু ও কথ্য ভাষার এমন সাবলীল সংমিশ্রণ খুব
কম লেখকই ঘটাতে পেরেছেন।” মহেন্দ্রনাথের সরস লেখার কিছু কিছু নমুনা সুনীল তুলে
দিয়েছেন, তার মধ্যে একটা হল ওপরের অংশটুকু।
একেকটা বিপ্লবের একেকটা নিজস্ব ভাষা থাকে। তিব্বতের স্বাধীনতার বিপ্লবের ভাষা হচ্ছে স্বেচ্ছাদহন। এ ভাষা কেন ওঁরা বেছে নিলেন সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে ক্লিক করতে পারেন।
পৃথিবীতে দু’রকমের লোক হয়। একদল লিস্ট বানায়, অন্যদল বানায় না। কেন যে বানায় না সেটা একটা রহস্য। বিশেষজ্ঞরা যখন বলছেনই লিস্ট বানানোর এত ভালো দিক আছে।
Sobe bhabchi likhbo Assam er golpo baad rekhe porer berate chole gele naki... Asha kori bhalo acho ekhon...
ReplyDeleteAger post e comment korte parchina.. Oi ta darun laglo.. Amar to collect list ta khub bhalo Hobe..
Deleteআমারও কালেকশন বাড়ানোর ইচ্ছেতেই বইয়ের পোস্টের আমদানি, ঊর্মি। তোর জানা ভালো বই থাকলে বলিস।
DeleteSotti bolte Ki abantor ese dekhchi boi porar bapare Ami bansh bone sheyal raja.. Tomar sathe porar ratio 30:70 Hobe bodhoy... Apatoto Narayan sanyal rupmanjari part 2 te achi Ami..
Deleteওরে ঊর্মি, আমারও সেই দশা। অবান্তরের পাঠকদের তুলনায় আমি যে কী পরিমাণ কম বই পড়েছি সে আমি কল্পনাও করতে চাই না। সেই জন্যই আশা করছি বইয়ের পোস্টের কমেন্টে তাঁদের পড়া ভালো ভালো বইয়ের সন্ধান পাব।
Deleteapni nirbasiter atmokotha porechen?
ReplyDeleteহ্যাঁ, এই বইটা পড়েছি। সেই বিপ্লবী উপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা তো? অসম্ভব ভালো লেগেছিল।
DeleteTomar last post gulo porechi but comment kora hoye otheni. Ajker ta kortei holo karon amar duto most favourite topic er modhye ache. Egypt ar Tibet.
ReplyDeleteAmi sopno dekhi swadhin Tibet er jekhane His Holiness abar phire jete parben tar Potala palace e. Ato nirbibadi, dhormobhiru ar good hearted akta jaat er opor diner por din ja otyachar hoyeche ar hocche tar poreo ei prithibi ki kore dhongso hoye jaye na setai aschorjo. Lobhi, brutal, savage chinese gulo nipat jak.
আমি অবশ্য তিব্বত আন্দোলন সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানি না, কুহেলি, তবে যে যার জায়গায় ফিরে যাক সেই কামনা আমারও। তুমি যে এই বিষয়টা নিয়ে এত গভীরভাবে ভাব, সেটা জেনে ভালো লাগল।
Deletesere otho taratari-PB
ReplyDeleteAsha kori ekhon bhalo acho Kuntala. Rest nio ar post lekhar jonne byasto hoyo na ... agey shustho hoye otho.
ReplyDeleteপ্রদীপ্তা, শর্মিলা, শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রায় মেরে এনেছি, আর দিনচারেক পেলেই কেল্লা ফতে হবে মনে হচ্ছে।
ReplyDeleteশরীর কেমন? গায়ে জোর ফিরেছে তো ?
ReplyDeleteTaratari sere uthun. Suvokamona roilo.
ReplyDeleteঅন্বেষা, আমার গায়ে তো জোর আগের মতোই আছে। আমার বাড়ির অন্য লোকটি বিছানা নিয়েছেন। একেবারে কুপোকাৎ যাকে বলে। তবে ওয়ার্স্ট ইজ ওভার বলেই মনে হচ্ছে। দেখা যাক।
ReplyDeleteসুহানি, শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শিগগিরি অবান্তরে ফিরব আশা করছি।
shubhechha roilo, sob chonde phire ashuk.
Deleteথ্যাংক ইউ, কাকলি। তোমার ভারত বেড়ানো সারা?
Deleteএহেহে | বেড়িয়ে এসে শেষে বিছানায়? শিগগিরি আপনার ঘরের অন্য মানুষটি সুস্থ হয়ে উঠুন এই শুভেচ্ছা রইল|
Deleteআর বলবেন না, অন্বেষা। শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Delete