আসাম ৭/ হলং গাছের বনে
হলংগাপারের জঙ্গলে বাঘভাল্লুক গণ্ডার কিছু পাওয়া যায় না, আমরা তার নামও কোনওদিন শুনিনি। আমাদের বেড়ানোর প্ল্যানিং-এ একরাত জোড়হাটে থাকা হচ্ছিল, সে সময়টার সদব্যবহার করার জন্য কী কী করা যেতে পারে খুঁজতে গিয়ে হলংগাপারের নামটা বেরিয়ে পড়ল। জোড়হাটে আমরা উঠেছি আসাম টুরিজমের 'প্রশান্তি' গেস্টহাউসে। শিবসাগরেও 'প্রশান্তি'তেই থাকব। কাজিরাঙ্গার সম্মানে এ টি ডি সি মাথা খাটিয়ে অরণ্য, বনানী, বনশ্রী ইত্যাদি নাম বার করেছে, কিন্তু বাকি সব জায়গার জন্য ঢালাও ‘প্রশান্তি’। জোড়হাটের 'প্রশান্তি'তে পৌঁছে দেখলাম যেমন আশা করেছিলাম তেমনই। নামমাত্র ভাড়ায় শহরের মধ্যিখানে প্রকাণ্ড গেস্টহাউস, প্রকাণ্ড ঘর, প্রকাণ্ড বাথরুম, প্রকাণ্ড বারান্দা। কিন্তু চা দেওয়ার লোক নেই আর টিভি চলে না। সারাসন্ধ্যে লেপের তলায় পা গুঁজে সি আই ডি দেখে নষ্ট করার সদিচ্ছেয় মাছি। বেরিয়ে পড়লাম। একেবারে ডিনার সেরে ফিরব।
মাজুলির
তুলনায় জোড়হাট রীতিমত বড় শহর, কিন্তু দিল্লি কলকাতার তুলনায় নেহাতই পুঁচকে। আমরা আছি পুলিশ কমিশনারের বাড়ির ঠিক নাকের ডগায়, শহরের সবথেকে 'পশ' অঞ্চলে, অথচ সে রাস্তায়
আলোর ব্যবস্থা বলতে পঞ্চাশ হাত দূরে দূরে একেকটা ল্যাম্পপোস্ট। তার ঘোলাটে সাদা আলো মাটি পর্যন্ত পৌঁছয় না। ইন্টারনেট ঘেঁটে একটা ক্যাফের নাম বার
করেছিলাম, অনেক খুঁজেও সেটাকে বার করা গেল না। দুয়েকজনকে জিজ্ঞাসাও করলাম। কেউই সন্ধান
দিতে পারলেন না। শেষে একজন বুদ্ধিমান পানওয়ালা আসল কথাটা স্পষ্ট করে বলে ফেললেন।
“ডিনার
খানা হ্যায়?”
“হাঁজী।”
“কোর্ট
ফিল্ড ময়দান মে চলে যাইয়ে। বহোত খানা মিল যায়েগা।”
কোর্ট
ফিল্ড মাঠের রাস্তাও তিনিই বাতলে দিলেন। তাঁর নির্দেশমতো খানিকটা গিয়েই দেখি দূর থেকে
অনেক আলো দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে মাইকে অসমিয়া গানও কানে এল। আলো যখন বাড়তে বাড়তে
চারদিক উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে, আর আওয়াজে কান পাতা দায়, তখন দেখি আমাদের বাঁ দিকে একটা
বিরাট মাঠ। মাঠের এক প্রান্তে প্যান্ডেল, প্যান্ডেলের মাথার ওপর বড় বড় করে লেখা '২০১৫
অসম মহোৎসব'।
অমনি
আমার মাথার ভেতর দুহাজার পনেরোটা বদলে গিয়ে হয়ে গেল উনিশশো পঁচানব্বই, মাঠের সাইজটা
বেশ খানিকটা ছোট হয়ে গিয়ে হয়ে গেল রিষড়া স্টেশনের পাশের মাঠটার মতো (এখন যে মাঠটায়
হাইরাইজ উঠেছে), আর প্যান্ডেলের ওপরের নামটা বদলে গিয়ে হয়ে গেল রিষড়া মেলা। মাথা পিছু
দশ টাকার টিকিট কেটে আমরা ঢুকে পড়লাম।
বাইরেটা
যতখানি মনে হচ্ছিল, ভেতরটা তার থেকেও বেশি রিষড়া মেলার মতো। বইপত্র, হাতের কাজ, খেলনা,
গয়নাগাঁটির দোকান সবের দোকানই আছে, কিন্তু সবথেকে বেশি ভিড় হয়েছে খাবারের আর জামাকাপড়ের
দোকানে। কার্পেটের দোকানও লোক টেনেছে বেশ। কিন্তু সবথেকে মজা হচ্ছে মেলার ঠিক মধ্যিখানে,
যেখানে মঞ্চ বেঁধে ফাংশান হচ্ছে। রিষড়া মেলাতেও হত। তবে আমাদের মেলায় গানের বাজার তেজী
ছিল, এদের দেখলাম নাচের কদর বেশি। আধঘণ্টাখানেকের মধ্যে ধ্রুপদী, আধুনিক, হিপ হপ সবরকমেরই দেখা হয়ে গেল।
আমরা
মুগ্ধ হয়ে নাচ দেখছিলাম, এমন সময় চোঁ চাঁ নানারকম অভদ্র শব্দ করে ডেকে পেট আমাদের মনে
করিয়ে দিতে লাগল যে আমরা খাবার খুঁজতে এসেছিলাম,
নাচ দেখতে নয়। প্যান্ডেলের দুপাশে বড় খাবারের দোকানের ছড়ানো প্যান্ডেল। একদিকে ধ্রুপদী
আঞ্চলিক কায়দায় শুয়োরের মাংসের বারবিকিউ, অন্যদিকে দিল্লির পাপড়ি চাট, হায়দেরাবাদের
বিরিয়ানি। আমরা কাউকেই বঞ্চিত করলাম না। বেরোনোর পথে নেসলের
স্টল থেকে দুকাপ কফি নেওয়া হল। সেটা কফি কম, বোর্নভিটা বেশি।
জোড়হাটের
বেশির ভাগ দোকানপাট ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে। লম্বা লোহার কুপি জ্বালিয়ে যে সব ফল আর
বাদামভাজাওয়ালারা ছড়িয়েছিটিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা বাড়ি চলে গেছেন। রাস্তাঘাট আরও অন্ধকার।
আমরা দৌড়ে গিয়ে একটা প্রায় ঝাঁপ বন্ধ করে ফেলা দোকান থেকে থামস আপ আর চিপস কিনে নিলাম।
রাতে কাজে দেবে। অন্ধকারে একটা গলি ভুল হয়ে গিয়েছিল, তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই। বাবা
বলে দিয়েছেন, যতক্ষণ সামনে রাস্তা দেখা যাচ্ছে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সব রাস্তাই কোথাও
না কোথাও গিয়ে তো উঠবে। মোটামুটি দিকটা ঠিক রেখে হেঁটে যাবি, ব্যস। আমরাও তাই করলাম।
পথ হারিয়ে বরং একটা লাভই হল। প্রায় দশ হাত দূরের একটা ল্যাম্পপোস্টের আলোতে রাস্তার
পাশের একটা ছড়ানো, বড় বাড়ির গেটের সামনের বোর্ডটা খুব কষ্ট করে পড়তে পারলাম। পড়ার কিছু
নেই, মোটে চারটে ইংরিজি অক্ষর, বি এস এন এল।
আমি জানতাম, বাবা মা দুজনেই বিভিন্ন সময় জোড়হাটে এসেছেন। এই দরজা দিয়েই নিশ্চয় ঢুকেছেন,
এই যে এই রাস্তাটা দিয়ে আমি হাঁটছি, এই রাস্তাটার ওপরের, এই পিচের জমাট কালো ছোপটার
ওপরেই হয়তো আমার মায়ের খাদিমের চটির গোড়ালি পড়েছিল। ভাবতেই
জোড়হাটকে আমার ভয়ানক আপন মনে হল।
জোড়হাটে
যাকেই বলছিলাম আমরা হলংগাপার যেতে চাই, অটোচালক, প্রশান্তি-র ম্যানেজার, তাঁরা কয়েক
সেকেন্ড আমাদের মুখের দিকে ফাঁকা তাকিয়ে থেকে তারপর বলে উঠছিলেন, "ওহো, গিবন ফরেস্ট?" হলংগাপারে
বাঘভাল্লুক পাওয়া যায় না ঠিকই, কিন্তু গিবন পাওয়া যায় বিস্তর। হলংগাপার জঙ্গলের ভালো নাম হলংগাপার গিবন অভয়ারণ্য। সারা ভারতে একমাত্র এখানেই গিবন
আছে। তাছাড়া আসামের অন্যান্য যে কোনও জঙ্গলের মতোই এখানে প্রচুর পাখি তো আছেই।
ভোর
ভোর উঠে আমরা হলংগাপারের জন্য বেরিয়ে পড়লাম। গেস্টহাউসের উল্টোদিকের দোকান থেকে চা
খেয়ে ‘ম্যাজিক’ টেম্পোতে চেপে প্রথমে মরিয়ানি স্টেশন, তারপর রেল লাইন পেরিয়ে আরও খানিক
দূর গিয়ে গিবন ফরেস্ট। খাঁ খাঁ রাস্তার মাঝখানে আমাদের নামিয়ে
দিয়ে আঙুল তুলে চা বাগানের মধ্যে নেমে যাওয়া একটা ছোট মেঠো পথ দেখিয়ে
দিয়ে চালক ভটভটিয়ে অদৃশ্য হলেন। মোড়ের মাথায় একটা কাঠের বাড়ির গায়ের বোর্ডে লেখা গিবন অরণ্য রেস্ট
হাউস। কিন্তু হাউসের কোথাও একটি জনমানুষ দেখতে পেলাম না। জঙ্গলে ঢোকার গেটেরও পাত্তা নেই।খানিকটা এগিয়ে গিয়ে দেখলাম বাংলোর পেছনে লাগোয়া কলতলায় দাঁড়িয়ে একজন জোরে জোরে সাবান ঘষে স্নান করছেন। আমাদের দেখে চেঁচিয়ে জানতে চাইলেন আমরা কথা থেকে আসছি। আমি বললাম, ও আসছে কলকাতা থেকে, আমি আসছি পশ্চিমবঙ্গ থেকে। কিন্তু আপাতত
আমরা দুজনেই আসছি দিল্লি থেকে। ভদ্রলোক তাঁর সরল প্রশ্নের এমন ঘোরালো উত্তর পেয়ে আর
কথা বাড়ালেন না, আর সেই সুযোগে আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, জঙ্গলে ঢুকবার রাস্তাটা কোথায়।
তিনি সাবানমাখা হাত তুলে দেখিয়ে দিলেন।
রাস্তা ধরে আরও ভেতর দিকে হেঁটে যেতে হবে।
রাস্তাটা
ভীষণই সরু আর মেঠো। তবে ব্যবহার যে হয়, সেটা কাঠবেড়ালির পিঠের মতো দুখানা সমান্তরাল
ঘাসহীন রেখা দেখে বোঝা যাচ্ছে। মাঝখানের ঘাসগুলোকে রেহাই দিয়ে আমরা দুজন সেই দুখানা রেখা ধরে হেঁটে চললাম। বাঁদিকে ঘন জঙ্গল, ডানদিকে যতদূর চোখ যায় চা বাগান। পরে জেনেছিলাম
বাগানের নাম ডিহিংগাপার। প্রায় তিরিশ মিনিট হাঁটার পর চোখের সামনে একটা উঁচু বাঁধের
মতো দেখা গেল। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই
একটা ভোঁ কানে আসাতে বুঝলাম ওটাই হচ্ছে রেললাইন। রেললাইন পেরিয়েই বিট অফিস।
গাইড
ছাড়া হলংগাপার জঙ্গল দেখার নিয়ম নেই। গাইড সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় টাকাপয়সা
মিটিয়ে, কাগজপত্রে সই করতে মিনিট দশেক গেল, তারপর আমরা বেরিয়ে পড়লাম। পথের দুপাশে
লম্বা লম্বা শ্যাওলা ধরা গাছের মধ্যে দিয়ে পথ, পথের দুপাশে আবার সবুজ, বাহারি পাতাওয়ালা ফার্ন, ঠিক মনে হচ্ছে যত্ন করে কেয়ারি করা। গাইড প্রথমেই সতর্কতাবণী শুনিয়ে দিলেন। গিবন দেখতে পাওয়া লাকের ব্যাপার। তাছাড়া গিবনদের ওয়ার্ক আওয়ারস ভারি অদ্ভুত।
ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর দুটো। ব্যস। তার মধ্যে খাওয়াদাওয়া সেরে গিবন সেই যে ঘুম লাগায়
ওঠে আবার পরদিন ভোর পাঁচটায়। চলতে চলতে গিবনদের সম্পর্কে আরও নানারকম তথ্য জানা গেল।
গিবনরা নাকি প্রায় মানুষের মতো। পরিবার বেঁধে থাকে। একেকটা পরিবারে থাকে তিন থেকে পাঁচজন।
বাবা মা, বাচ্চা। গিবন মহিলার তিন বছর পর পর বাচ্চা হয়। কাজেই সন্তানসংখ্যা খুব বেশি
হয় না।
ফ্যামিলির
কথা আসতেই আমার কান খাড়া হয়ে উঠল। গিবনদের যৌনজীবন
নিয়ে জানার আগ্রহ ছিল, কিন্তু কীভাবে বললে সেটা ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করবে না সেটা ভাবছিলাম।
হঠা করে, "ভাইসাব, ইনকা সেক্স লাইফ কে বারে মে কুছ বতাইয়ে” বলে বসার স্মার্টনেস আমার
নেই। সেক্সের সমার্থক শব্দ একটা হাতের কাছেই ছিল, সেটাকে আশ্রয় করে সাবধানে কথোপকথন শুরু করলাম। "ভাইসাব, ইয়ে লোগ কিতনে
বার শাদি করতে হ্যায়?" গাইড আমার নিড়বিড়েপনা দেখে মনে মনে হাসলেন কি না জানি না, তবে
মুখে সেটা প্রকাশ করলেন না। প্রফুল্লমুখে জানালেন, এরা একবারই শাদি করে এবং ভাই বোনেরা নিজেদের মধ্যে শাদি করে না।
কথার মাঝে মাঝে একরকমের আওয়াজ
কানে আসছিল। যেন কেউ খুব উঁচু
স্কেলে হাসছে। আসলে কেউ হাসছে
না, গিবনরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। হাসাহাসি
যখন বেশ জোর হয়ে উঠেছে তখন হঠাৎ গাইড ভাইসাব থেমে গেলেন। তাঁর
হাতের আঙুল প্রথমে আমাদের দিকে, তারপর আকাশের দিকে উঠল।
তিনটে গিবন। কালো পুরুষ, বাদামি মহিলা আর কালো
রঙের শিশু। একই পরিবারের লোক বলে ধরে নেওয়া যায়। মগডালে ঝুলে ঝুলে ফলপাতা খাচ্ছে।
বেশ
খানিকক্ষণ ঘাড় ব্যথা করে তাদের দেখে আমরা আবার হাঁটা শুরু করলাম। কিছুটা
যেতেই কানে নানারকম খসখস, খচমচ, কিচকিচ, ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ কানে আসতে লাগল। আর চোখে
যা পড়ল সে এক ভয়ানক ব্যাপার।
অন্তত
গোটা পঞ্চাশ বাঁদর রাস্তার পাশের ঝোপঝাড়ের পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে। বাঁদর বললাম বটে,
কিন্তু এঁরা যেমনতেমন বাঁদর নন, এঁদের নাম স্টাম্প-টেলড ম্যাকাক (Stump-tailed
Macaque)। এঁদের দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। যেরকম গাম্ভীর্য সহকারে এঁরা নিজেদের
কাজে মনঃসংযোগ করছিলেন এবং আমাদের অগ্রাহ্য করছিলেন, তাতে এই তথ্যটা এঁরাও জানেন মনে
হল।
আমরা মুগ্ধ হয়ে
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলাম। হাসির কিছু
নেই, কিন্তু আমার ভয়ানক হাসি পাচ্ছিল। অর্চিষ্মানেরও যে পাচ্ছিল সেটা ওর মুখ দেখে
বুঝতে পারছিলাম। সবাইকে দেখে পায় না, কিন্তু কিছু কিছু জীবজন্তুকে দেখলে আমার হাসি
পায়। যেমন আমাদের পাড়ার মাদার ডেয়ারির তরিতরকারির বুথের উল্টোদিকের দোতলা বাড়ির
বুলডগটা। চেহারায় আর পাঁচটা বুলডগের মতোই, কিন্তু মুখে যা একটা প্রাজ্ঞ ছাপ, না
দেখলে বিশ্বাস হয় না। এই স্টাম্প টেলডদের মধ্যেও সে ভাবটা ভরপুর। অসামান্য সিরিয়াসনেসের
সঙ্গে তাঁরা পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে মুখে পুরছিলেন। আর কী স্পিড! ওঁদের ভাষা
জানলে আমি সত্যি জানতে চাইতাম, তাড়াটা কীসের, কোন ট্রেন ধরতে হবে।
এই হচ্ছে হলং গাছ। এর গায়ে ওই লাল রংটা আসলে শ্যাওলার রং। নরম তুলোর মতো শ্যাওলা, হাত দিলে মনে হয় গাছ সোয়েটার পরেছে।
বাংলা অক্ষরজ্ঞানের বইতে ঐকার নিয়ে লেখা আছে -
ReplyDeleteনৈহাটি কলিকাতার নিকটে
কৈ মাছ ভাজা খেতে শৈল গেছে ভুলে
ঠিক সেরকম অসমিয়া অক্ষরজ্ঞানের বইতে ঔকার নিয়ে লেখা আছে -
হলৌ উঠিল টকৌ গছত লগাই খদৌ মদৌ
হলৌ অর্থে গিবন। টকৌ অর্থে তালগাছ। খদৌ মদৌ এর অনুবাদ করার মত বিদ্যা আমার পেটে নেই, কিন্তু হাওড়া স্টেশনে অফিসটাইমে লোকে যেরকম দৌড়য়, সেটা দেখলে একটা ছোটখাটো আন্দাজ পাবেন।
এবার তো ফেরত চলে এসেছেন, চা বাগানে থেকেছিলেন কি?
বাপরে, দেবাশিস, আপনি কি আসামে কখনও থেকেছিলেন? চা বাগানে থাকার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু অসুবিধেজনক রকম দাম। তাই আশায় জল ঢেলে এ টি ডি সি-তেই থাকলাম।
Deletebap re chat,bar b que,biryani abar thums up ar chips,cholbe..cholbe,kichu hulo beral der dekhleo oirakam pragyo face ta mathay ase,
ReplyDeletelast e bam dike bujhi bor er chobi?raji holo tahole?
prosenjit
হয়নি, প্রসেনজিৎ, তাই ছবি তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে তুমি ঠিকই চিহ্নিত করেছিলে।
DeletePore besh bhalo laglo. Achha Gibbon ra ki Tripura berate jay. Holof kore bolte parbo na. Tobe eder dekhe mone holo enader ami Tripura te dekhechhi. Local lokera spider monkey bolchhilo. Makarshar moton lomba lomba hat ber kore nirdwidhay ek gach theke onyo gachhe tana jhanp deoya dekhe i mone hoy nam ta esechhey.
ReplyDeleteসে যেতেই পারে চুপকথা, আমরা এত বেড়াতে যাই, ওরা যাবে না কেন, বল? তবে দুটো বোধহয় এক জিনিস নেই। অন্তত উইকি তো তাই বলছে।
Deletehttps://en.wikipedia.org/wiki/Spider_monkey
https://en.wikipedia.org/wiki/Gibbon
চমৎকার হয়েছে :)
ReplyDeleteধন্যবাদ, প্রদীপ্ত।
DeleteGibbon er chaite amar oi gaachgulo beshi shundor legeche. Amra o praye govt run thakar jayega gulite thekechi ... especially Himachal e ... bhari shundor hoye ... boro boro ghor shob ar baire lawn ar khub khola mela hoye. Hotel rooms er theke dher bhalo ... ki bolo? :)
ReplyDeleteআমি তো ভয়ানক রকম প্রো-সরকারি শর্মিলা। সরকারি গেস্ট হাউসের একটা ব্যাপার থাকে, যেটা কোনও হোটেলে আমি পাইনি।
Deleteআমার ও খুব হাসি পাচ্ছে.. প্রথম দিন আমি মোবাইল থেকে খুলেছিলাম এটা .. ওই যে একজন মহিলার ছবি আছে .. ছোট স্ক্রীন এ ওই ছবিটা দেখে গিবন বাঁদর ভেবেছিলাম ... আসল বাঁদর গুলো খুব মিষ্টি তো .. হাহা .. আমি করবেট গিয়েও দেখেছি বাঁদর গুলো খুব ঝোলাঝুলি করে .. ফটোগুলো দারুন .. দেখে তো মনে হচ্ছে এখানে আরো অনেক জীবজন্তু থাকতে পারে .. আসাম টা সত্যি খুব ভালো ট্রিপ করেছ গো .. সবকটা পার্ট ই খুব ভালো .. লাস্ট ফটোটা দেখে ফেলেছিলাম। . এখন দেখছি নেই .. যদিও ওটা দেখে চেনার কোনো উপায় নেই .. শুধু অমিতাভ বচ্চন এর উচ্চতার একজন মানুষ .. তোমার আর চা বাগানের ফটো দিলেনা কেন ?
ReplyDeleteAssam kobe berate jaoa hobe janina, kintu tomar lekha pore khub berachhi. khub khub bhalo laglo.
ReplyDelete