অ্যাডভান্টেজ ডিসঅ্যাডভান্টেজ
বুড়ো হওয়ার সুবিধে অনেক। ছোটরা সম্মান দিয়ে কথা বলে, আরও বুড়োরা একেবারে হেলাছেদ্দা করে না, এই সব সুপারফিশিয়াল সুবিধে তো আছেই, কাজের সুবিধেও আছে। সময়ের ম্যাজিককে দীর্ঘক্ষণ ধরে চাক্ষুষ করার সুবিধে। অনেক ভুলকে ঠিক হতে, অনেক সত্যিকে মিথ হয়ে যেতে দেখা যায়। এই যেমন, ছোটবেলায় বলা হয়েছিল চুলে বেশি তেল মাখা ভালো এবং বেশি শ্যাম্পু করা খারাপ কারণ ‘কেমিকেল’। সপ্তাহে সাতদিন তেল, একদিন শ্যাম্পু। শ্যাম্পু করে উঠেই আবার তেল। কারণ এক, চুলের স্বাস্থ্য, দুই, উড়ুউড়ু চুলের সঙ্গে উড়ুউড়ু মনের কোরিলেশন এবং কজেশন। কিছু মুক্তমনা গার্জেন সন্তানদের শ্যাম্পু করার পর চব্বিশ ঘণ্টা ফুরফুরে ঘোরাঘুরি অ্যালাউ করতেন, তারপরেই চুপচুপে তেলচিটে বিনুনি। বড় হয়ে কোরিলেশনের চ্যাপ্টার পড়ে এবং সমবয়সীদের সঙ্গে আলোচনা করে বুড়োদের এইসব বুর্জোয়া এবং আনসায়েন্টিফিক থিওরির অসারত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হলাম। তারপর জানলাম রোজ শ্যাম্পু করে না শুনলে সভ্য সাহেবরা ‘ইউউউউ’ বলে মুখ ভ্যাচকায় এবং জিজ্ঞাসা করে, ওনট ইট স্মেল হরিব্লি? নিজের মাথার দুর্গন্ধ পাওয়া শক্ত, কিন্তু আশেপাশের শ্যাম্পু না করা মাথা থেকেও গন্ধ কোনওদিন পেয়েছি বলে তো মনে পড়ল ...