জানুয়ারি + ফেব্রুয়ারি মাসের বই



জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের বইয়ের পোস্ট যে বাদ গেছে সেটা আপনারা কেউ খেয়াল করেছেন কি? আপনারা না করলেও আমি করেছি, করে অপরাধবোধে ভাজাভাজা হয়েছি। পোস্ট কেন বাদ গেছে? বই পড়ার অভাবের জন্য নয়। গত আড়াইমাসে আমি ষোলোটা বই পড়েছি, এ ছাড়াও বিভিন্ন বই বিভিন্ন পাতা পর্যন্ত এগিয়ে পড়া থেমে আছে। পড়া বইয়ের সিংহভাগ সৃষ্টিসুখের। সৃষ্টিসুখ চাঁদা ফেলুন বই পড়ুন’ ভিত্তিতে অনলাইন অ্যাপ খুলেছে। আমি সেখানের প্রায় সব বই শেষ করে এনেছি। কিন্তু সে বইগুলো সম্পর্কে এই পোস্টে লিখছি না।

যে কারণের জন্য বইয়ের পোস্ট লেখা হচ্ছিল না সেই কারণের জন্যই বেশিরভাগ কাজ আমার হয়ে ওঠে না। না হয়েই চলে যাচ্ছে যখন না হয়েই চলুক। আজ হল না, কাল হবে না, পরশু হবে। শুধু হবে না, আজকের থেকে বেশি ভালো করে হবে। কারণ সময় বেশি পাব, রিসার্চ বেটার হবে, রিভিশন বেশিবার হবে। একবার ভেবেছিলাম মার্চের শেষে একেবারে ত্রৈমাসিক পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখব, ভীষণ ভালো করে। তারপর নিজের দিকে ভালো করে ভুরু কুঁচকে তাকাতেই ফাঁকিবাজির অজুহাতগুলো ঝুরঝুরিয়ে খসে পড়ল আর আমি মাসের মাঝখানে আপনাদের বইয়ের গল্প শোনাতে এলাম।

*****

On the Shortness of Life/ Seneca
অনুবাদক John W. Basore


নতুন ডায়রির কোণা যখন দুমড়োতে শুরু করেছে, নতুন বছরের রেজলিউশন যখন চেতন থেকে অবচেতনের দিকে গুটি গুটি হাঁটা শুরু করেছে,সেই মুহূর্তে পড়ার জন্য সেনেকার লেখা অন দ্য শর্টনেস অফ লাইফ আদর্শ।

সেনেকার সেনেকা, বা সেনেকা দ্য ইয়ংগার ছিলেন সেনেকা দ্য ওল্ডারের ছেলে। সেনেকা স্টোইক দর্শনের পণ্ডিত ছিলেন, নাট্যকার ছিলেন, রাজা নিরোর শিক্ষক এবং পরামর্শদাতা ছিলেন। সেনেকা যীশুখৃষ্টের সমবয়সী ছিলেন। মারা গিয়েছিলেন যীশুর বেশ ক’বছর বাদে, যদিও তাঁর মৃত্যুও কষ্টের ছিল। নিরোকে হত্যার একটি ষড়যন্ত্রে সম্ভবত মিথ্যে আরোপে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে বিষপানে বাধ্য করা হয়।

নাটক এবং স্যাটায়ারধর্মী লেখা লিখতেন সেনেকা, প্রবন্ধ লিখতেন আর চিঠিও লিখতেন প্রচুর। এই বইটিও এমনই একটি প্রবন্ধ, যার নাম বলা বাহুল্য, ‘অন দ্য শর্টনেস অফ লাইফ’ নয়, নাম হচ্ছে ‘De Brevitate Vitae

কুড়িটি চ্যাপ্টারের এই ছোট্ট বইটির মূল কথা হচ্ছে জীবন অতি ছোট এবং আমরা সেই জীবনকে নয়ছয় করছি। সময়ের দাম আমরা কেউ বুঝি না আর তাই ফেলেছড়িয়ে নষ্ট করি। এই কথাটি বলতে গিয়ে স্টোইক দর্শনের কথা এসেছে, তৎকালীন সমাজের মাথাদের জীবনাচরণের ফাঁপাত্বর উদাহরণ এসেছে, রোমান এবং গ্রিক দর্শনের লড়াই এসেছে এবং সময় কীভাবে খরচ করা উচিত তার নিদানও এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই সেনেকা রোমান শিল্পসাহিত্যদর্শনকে গ্রিক শিল্পসাহিত্যদর্শনের থেকে সেরা মনে করেছেন এবং পথ্য দিয়েছেন যে সময়ের একমাত্র সদ্ব্যবহার ফিলজফিচর্চা।

সেসব পথ্য আমাদের জন্য ইম্পরট্যান্ট নয়। ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে সেনেকার রোগনির্ণয়। আমরা টাকা জমাই অথচ সময় অপচয় করি। সময় টাকার থেকে দামি জেনেও। প্রতি সেকেন্ডে, মিলিসেকেন্ডে, মাইক্রোসেকেন্ডে আমাদের মুঠো থেকে সময় খসে পড়ছে জেনেও। আমাদের বাঁচা মাইলস্টোন থেকে মাইলস্টোনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাঁচা। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, গ্র্যাজুয়েশন, চাকরি, বিয়ে, সন্তান, প্রোমোশন, রিটায়ারমেন্ট। এদের মাঝের অংশগুলো, জাস্ট অপচয়।

সেনেকার বই থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ লাইন, প্যারা কোট করে আপনাদের পড়াতে পারতাম। কিন্তু এতদিন আগে লেখা বলে একটা সুবিধে আছে, উইকিসোর্সে গোটা বইটাই আপনারা চাইলে পড়তে পারেন। আমাকে নাড়া দেওয়া কয়েকটা প্যারা নমুনা হিসেবে রইল।

The condition of all who are engrossed is wretched, but most wretched is the condition of those who labour at engrossments that are not even their own, who regulate their sleep by that of another, their walk by the pace of another, who are under orders in case of the freest things in the world—loving and hating. If these wish to know how short their life is, let them reflect how small a part of it is their own.

And so when you see a man often wearing the robe of office, when you see one whose name is famous in the Forum, do not envy him; those things are bought at the price of life. They will waste all their years, in order that they may have one year reckoned by their name.

No one keeps death in view, no one refrains from far-reaching hopes; some men, indeed, even arrange for things that lie beyond life—huge masses of tombs and dedications of public works and gifts for their funeral-pyres and ostentatious funerals. But, in very truth, the funerals of such men ought to be conducted by the light of torches and wax tapers, as though they had lived but the tiniest span.

*****

The Birdwatcher/ William Shaw



দ্য বার্ডওয়াচার পড়া হল ঝোঁকের মাথায়। মনখারাপ লাগছিল, অস্থির লাগছিল, নেটে ঘুরতে ঘুরতে কোথায় একটা রিভিউ পড়লাম উইলিয়াম শ-এর 'দ্য বার্ডওয়াচার' নাকি সাম্প্রতিক অতীতে অন্যতম চমকপ্রদ এবং সুলিখিত মার্ডার মিস্ট্রি। কিনে ফেললাম।

উইলিয়াম সাউথ পেশায় পুলিস সার্জেন্ট, নেশায় বার্ডওয়াচার। একদিন অফিসে গিয়ে উইলিয়াম সাউথ শোনেন একজন নতুন পুলিস অফিসার ট্রান্সফার হয়ে এসেছেন (অ্যালেকজান্দ্রা কিউপিডি) ডিপার্টমেন্টে এবং সঙ্গে সঙ্গে একটি কেসও এসে হাজির হয়েছে। কিউপিডি বাইরের, সাউথ লোকাল, কাজেই কিউপিডির সঙ্গে সাউথকে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল, কিন্তু কেসের বর্ণনা শুনে সাউথের মাথায় বাজ।

কেসটা খুনের। আর সাউথ তাঁর দীর্ঘ (সম্ভবত বাইশ বছরের, এখন মনে পড়ছে না, খুঁজে দেখতেও ইচ্ছে করছে না) পুলিস জীবনে একটিও খুনের কেসে নিজেকে জড়াননি। কিন্তু এই কেসে সেই চেষ্টা তাঁর ব্যর্থ হয়, কারণ কিউপিডি নতুন আর খুন হয়েছে সাউথের নিজের পাড়ায়। খুন হয়েছেন সাউথের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সঙ্গী বার্ডওয়াচার রবার্ট।

তদন্ত শুরু হয়। রহস্য দুটো। একটা রবার্টের খুনের, অন্যটা উইলিয়াম সাউথ কেন খুনের কেস কেন যেনতেনপ্রকারেণ এড়িয়ে চলেন সেটা। এই দ্বিতীয় রহস্যের চাবি রয়েছে সাউথের অতীতে। পালা করে দুটো রহস্য সমাধানের গল্প চলতে থাকে। খুব স্পষ্ট চ্যাপ্টার ধরে ধরে ভাগ করা হয়নি, তবে কখন কোন রহস্যের কথা বলা হচ্ছে বুঝতে অসুবিধে হয় না।  এই ট্রিটমেন্ট কাঠামোর দিক থেকে নিঃসন্দেহে অভিনবত্ব দিয়েছে আর অভিনবত্ব বেশিরভাগ সময়েই ভালো ব্যাপার, কিন্তু এই পদ্ধতিতে গল্পদুটোর পূর্ণ পোটেনশিয়ালের প্রতি সুবিচার করা হয় না বলে আমার সন্দেহ থেকে যায়।

দ্য বার্ডওয়াচারের যারা প্রশংসা করেছেন বেশিরভাগই শ-এর লেখার প্রশংসা করেছেন। ভাষার মাধ্যমে কেন্টের জলাভূমি, পরিযায়ী পাখিদের যাওয়াআসা ফুটিয়ে তুলেছেন শ। ভদ্রলোকের ভাষা এবং বর্ণনা সত্যিই ভালো।

বার্ডওয়াচার পড়তে গিয়ে একটা প্রশ্ন আমার মাথায় এল। সেটা হচ্ছে ট্রোপ। ট্রোপের বাংলা জানি না, তবে উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে পারি। আশির শেষ, নব্বইয়ের শুরুর বাংলা সিনেমার ট্রোপ হতে পারে বাড়ির বিভিন্ন পুত্রবধূর জীবন, বড়, মেজ, সেজ, ছোটবউয়ের শ্বশুরবাড়িতে স্ট্রাগল, আধুনিক সিরিয়ালের ট্রোপ শাশুড়িবউ, ভূতের গল্পের ট্রোপ হতে পারে ভূতের বাড়ি, অভিশপ্ত পুতুল, প্রাচীন আয়না, সাইফাইয়ের ট্রোপ ইউ এফ ও ইত্যাদি, গোল্ডেন এজ মার্ডার মিস্ট্রির ট্রোপ নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের গ্রাম, চার্চের ভিকার, অবিবাহিত বয়স্ক মহিলা, সম্পত্তি এবং উইলসংক্রান্ত গোলযোগ ইত্যাদি। অর্থাৎ চরিত্র, ঘটনা, প্লট পয়েন্ট, যা কোনও জনরের সাহিত্যে বা শিল্পে ঘুরেফিরে আসে তা-ই হচ্ছে ট্রোপ।

লিটারেরি সাহিত্যেও যে ট্রোপ থাকে না তেমন নয়, নরনারীর সম্পর্ক, দেশভাগ, বিশ্বযুদ্ধ, বিষাদ, এ সবও আমার মতে ট্রোপ, কিন্তু জনর সাহিত্যে প্লটের ভূমিকা গুরুতর কাজেই ট্রোপের উপস্থিতির মাত্রাও বেশি।

প্রাথমিকভাবে মনে হয় যে ট্রোপ ব্যাপারটা সুবিধের নয়। সবাই একই ট্রোপ ব্যবহার করে গল্প লিখলে সব গল্পই পড়তে একরকম লাগতে পারে, লাগেও। মৌলিকতার হানি হয়। কিন্তু ইদানীং আমি লক্ষ করছি, ট্রোপের প্রতি বিরাগ আমার ক্রমশ কমে আসছে। সত্যি বলতে, বিশেষ করে গোয়েন্দা গল্পের থেকে আমি কিছু নির্দিষ্ট ট্রোপের আশায় থাকি। না পেলে আশাহত হই। যেমন একাধিক সন্দেহভাজনের উপস্থিতি, একজন ইন্টারেস্টিং গোয়েন্দা, অ্যালিবাই, রেড হেরিং, ক্লু, মোটিভ এবং অপরচুনিটি এবং সবশেষে নিট অ্যান্ড ক্লিন সমাধান। এই ট্রোপগুলো ব্যবহার করে, ফার্স্টক্লাস ভাষায় লেখা মৌলিক গল্প পড়লে যা আরাম হয় তেমন আর কিছুতে হয় না।

দুঃখের বিষয়, দ্য বার্ডওয়াচার-এ এই সব ট্রোপের অভাব আছে। গল্প শুরু হওয়ার অনেকক্ষণ বাদেও সে ভাবে কোনও সাসপেক্টের দেখা পাওয়া যায় না। মোটিভ, অ্যালিবাই ইত্যাদি নিয়ে কিউপিডি এবং সাউথের মধ্যে কোনও আলোচনা হয় না। ইন ফ্যাক্ট, বাস্তবতার দোহাই দিয়ে বেশিরভাগ তদন্ত জুড়েই সাউথ সম্পূর্ণ প্যাসিভ থাকেন।

দ্য বার্ডওয়াচার খারাপ লাগেনি আমার কিন্তু ভালোও লাগেনি।

*****

The Thirteenth Tale/ Diane Setterfield



কাকতালীয়ই হবে, কিন্তু রিসেন্টলি আরেকটা বই পড়লাম যা ট্রোপ সফল প্রয়োগের সেরা উদাহরণ। এ বছরে এ যাবত পড়া আমার মোটাতম বই, ডায়ানা সেটারফিল্ডের ‘দ্য থার্টিনথ টেল’।

এই বইটার কথা এত জায়গায় এতবার শুনেছি, অবশেষে পড়ার সুযোগ হল।

গল্পের হিরো হচ্ছে মার্গারেট লি। মার্গারেট বই পড়তে ভালোবাসেন, বইই তাঁর জীবন। এছাড়া টুকটাক বায়োগ্রাফি লিখে থাকেন। ?র বাবার একটি প্রাচীন এবং বিরল বইয়ের দোকান আছে, সেই বইয়ের দোকানের কাজ করতে গিয়ে ভিডা উইন্টার নামের এক বেস্টসেলার লেখকের বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হন। ভিডা উইন্টারের জীবন রহস্যে ঘেরা। আর সবথেকে রহস্যঘন হচ্ছে লেখকের প্রথম প্রকাশিত গল্পের বই বা বইয়ের নাম। সে বইয়ের নাম ছিল ‘থার্টিন টেলস অফ চেঞ্জ অফ ডেসপারেশন’, কিন্তু বইতে ছিল মোটে বারোটি গল্প। প্রথম সংস্করণের পর থেকে বইটির নাম পালটে হয়ে যায় ‘টেলস অফ চেঞ্জ অ্যান্ড ডেসপারেশন’। ভিডা উইন্টার আকস্মিকভাবেই মার্গারেটকে তাঁর জীবনী লেখার বরাত দেন। ভিডা মুখে মুখে বলেন, মার্গারেট লেখে। এবং খোঁজ পায় মিথ্যে, ব্যভিচার, হিংসা, প্রেম, ঈর্ষা, কাম ইত্যাদি রিপুজর্জরিত একটি রোমহর্ষক গল্পের।

দ্য থার্টিনথ টেল একটি গথিক সাসপেন্স নভেল। কিন্তু তার থেকেও বেশি করে দ্য থার্টিনথ টেল হল ভিক্টোরিয়ান উপন্যাসের প্রতি একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য। ভিক্টোরিয়ান উপন্যাসের চেনা ট্রোপ, চিলেকোঠার উন্মাদিনী, একলা তরুণীর পৃথিবীর বিরুদ্ধে জয়, একসেনট্রিক বৃদ্ধা এই উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে। ভিক্টোরিয়ান উপন্যাসের এই মোটিফগুলোর পাশাপাশি লেখার ভাষা এবং গল্প বলারদ ধরণও অনুসরণ করেছে দ্য থার্টিনথ টেল। বিশেষজ্ঞরা খুঁটিয়ে বলতে পারবেন, আমি শুধু বলতে পারি যে ‘ইকনমি অফ এক্সপ্রেশন’ এই ঘরানার মোক্ষ নয়। সেটারফিল্ডের লেখাও বর্ণনায় ভরপুর, নাটকীয় মুহূর্তে টইটম্বুর। আমার সাধারণত এই ধরণের নাটুকে লেখা পড়তে জ্বর আসে, এবং গত কয়েক বছরে ভিক্টোরিয়ান ধাঁচে লেখা কয়েকটি উপন্যাস ‘ফিংগারস্মিথ’, ‘এসেক্স সারপেন্ট’, ‘দ্য লিটল স্ট্রেঞ্জার’, 'দ্য মিনিয়েচারিস্ট' ইত্যাদি পড়ে বুঝেছি এ ঘরানা আমার জন্য নয়, তবু এদের মধ্যে দ্য থার্টিনথ টেল আমাকে সবথেকে বেশি টেনেছে। জমজমাট, খেলানো, ঘটনাবহুল উপন্যাস ভালো লাগলে দ্য থার্টিনথ টেল পড়ে দেখতে পারেন।



Comments

  1. Bah, etodin dhore ei post tar opekkhatei chhilam. Moner kothata ebhabe post hoye namanor jonyo dhonyobad Kuntala. :)

    3 te boier kothai besh bhalo laglo, pore dekhte hobe. Tobe gothic suspense amaro thik bhalo lagena, The Miniaturist porechhi, bhalo lageni. Tai Essex Serpent ta hater kache (library) te peyeo eriye jachhi. Tobe The Thirteenth Tale ta ekbar try korbo bhabchhi. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক, মিনিয়েচারিস্ট ভালো লাগেনি জেনে হাঁফ ছাড়লাম, অরিজিত। এসেক্স সারপেন্ট আমি কতবার যে শুরু করেছি এবং ঠিক মাঝখান পর্যন্ত গিয়ে আর পারিনি। আবার একবার চেষ্টা করব, দেখি। থার্টিনথ টেল দেখতে পারেন পড়ে, মিনিয়েচারিস্ট-এর থেকে বেটার নিঃসন্দেহে।

      Delete
  2. thirteenth tale ke list e rakhlam tobe birdwatcher amar bhalo lageni

    ReplyDelete
    Replies
    1. একমত, চুপকথা। থার্টিনথ টেল যদি পাও পড়ে দেখতে পার।

      Delete
  3. Ei post er opekkhay chhilam :-)

    ReplyDelete
  4. আপনার লেখা পড়েই আমি 'ম্যাগপাই মার্ডার্স' পড়ি ও ফিদা হই। এবারেও আঙুল নিশপিশ করছে আমাজন অভিযান করে 'দ্য থার্টিন্থ টেল'-কে কার্টে তুলতে। কিন্তু আমারও ওই ভিক্টোরীয় যুগের অতিলিখিত উপন্যাসগুলো নিয়ে অ্যালার্জি আছে। তাছাড়া সেনেকা মেনে আমারও মনে হয় "জীবন এত ছোটো কেনে?" কাজেই এই বইগুলো পড়ুম না, বরং ক্রিপেন অ্যান্ড ল্যান্ড্রু থেকে প্রকাশিত কিছু গোল্ডেন এজ মিস্ট্রির বই গাঁটগচ্চা দিয়ে জোগাড় করেছি, তাতেই মনোনিবেশ করব এবার।

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঃ বাঃ, ম্যাগপাই মার্ডারস আপনারও ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, ঋজু। নতুন বইগুলোর পাঠপ্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

      Delete

Post a Comment