অ্যাডভান্টেজ ডিসঅ্যাডভান্টেজ



বুড়ো হওয়ার সুবিধে অনেক। ছোটরা সম্মান দিয়ে কথা বলে, আরও বুড়োরা একেবারে হেলাছেদ্দা করে না, এই সব সুপারফিশিয়াল সুবিধে তো আছেই, কাজের সুবিধেও আছে। সময়ের ম্যাজিককে দীর্ঘক্ষণ ধরে চাক্ষুষ করার সুবিধে। অনেক ভুলকে ঠিক হতে, অনেক সত্যিকে মিথ হয়ে যেতে দেখা যায়। এই যেমন, ছোটবেলায় বলা হয়েছিল চুলে বেশি তেল মাখা ভালো এবং বেশি শ্যাম্পু করা খারাপ কারণ ‘কেমিকেল’। সপ্তাহে সাতদিন তেল, একদিন শ্যাম্পু। শ্যাম্পু করে উঠেই আবার তেল। কারণ এক, চুলের স্বাস্থ্য, দুই, উড়ুউড়ু চুলের সঙ্গে উড়ুউড়ু মনের কোরিলেশন এবং কজেশন। কিছু মুক্তমনা গার্জেন সন্তানদের শ্যাম্পু করার পর চব্বিশ ঘণ্টা ফুরফুরে ঘোরাঘুরি অ্যালাউ করতেন, তারপরেই চুপচুপে তেলচিটে বিনুনি।

বড় হয়ে কোরিলেশনের চ্যাপ্টার পড়ে এবং সমবয়সীদের সঙ্গে আলোচনা করে বুড়োদের এইসব বুর্জোয়া এবং আনসায়েন্টিফিক থিওরির অসারত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হলাম। তারপর জানলাম রোজ শ্যাম্পু করে না শুনলে সভ্য সাহেবরা ‘ইউউউউ’ বলে মুখ ভ্যাচকায় এবং জিজ্ঞাসা করে, ওনট ইট স্মেল হরিব্‌লি? নিজের মাথার দুর্গন্ধ পাওয়া শক্ত, কিন্তু আশেপাশের শ্যাম্পু না করা মাথা থেকেও গন্ধ কোনওদিন পেয়েছি বলে তো মনে পড়ল না। হয়তো দুর্গন্ধের মধ্যে থাকতে থাকতে অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল। 

এখন আবার সেই সাহেবরাই নো-পু মুভমেন্ট শুরু করেছে। (নামকরণে সাহেবদের প্রতিভা অবিসংবাদিত।) বলছে শ্যাম্পু বর্জন কর, ড্যামেজড চুল বাঁচাতে এক্সোটিক কোকোনাট অয়েল ট্রিটমেন্ট চালাও সকালবিকেল।

বয়স হল বলেই না নারকেল তেলের হারজিতের ঘূর্ণন সম্পূর্ণ হতে দেখতে পেলাম। সর্ষের তেলকে হিরো থেকে ভিলেন থেকে আবার হিরো হতে দেখলাম। একসময় ফ্যাটের ওপর সকলে খড়গহস্ত ছিল, বলত আর যা খুশি খাও দাঁতের ফাঁক দিয়ে তেল গলতে দিয়ো না, তাহলেই শেষ। কত বাঙালিকে আফসোস করতে শুনলাম, এরকম একটা রং ডায়েটের জনজাতিতে জন্মেছেন বলেই তাঁরা দিনকেদিন মুটোচ্ছেন। আলু, পটল, উচ্ছে, বেগুন, নিমপাতা, যা পাচ্ছে ভেজে খাচ্ছে, ক্যান ইউ ইম্যাজিন? এখন আবার সুগারগেট প্রকাশ্যে এসেছে, বলছে চিনির লবি পয়সা খাইয়ে স্নেহপদার্থকে ভিলেন প্রতিপন্ন করেছে, ফ্যাট ডাজন’ট মেক ইউ ফ্যাট, সুগার ডাজ। এই না বলে চিনির কুশপুত্তলিকা দাহ করে সকালসন্ধ্যে কফিতে মাখন গুলে খেতে শুরু করেছে। 

যাঁরা এখনও শিবির বদল করেননি, আমি বলি আর ক’বছর ধৈর্য ধরুন। আবার কখন কী বেরোবে বলা যায় না, কে কাকে টাকা খাইয়েছে, আরও চারটি সায়েন্টিফিক পেপার পাবলিশ হয়ে সত্যিমিথ্যে ঠিকভুলের টেবিল ঘুরিয়ে দেবে। 

টেবিল ঘোরার গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি না অবশ্য। কে সি পালের স্বপ্ন কোনওদিন সার্থক হবে কি না, বিজ্ঞানীরা স্বীকার করবেন কি না যে তাঁদেরই ভুল হয়েছিল, সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে, সে আমি জানি না। ও সব গুরুতর ব্যাপার, আমার নাকগলানোর মতো নয়। আমি তেলমশলা সাবানশ্যাম্পু নিয়েই কথা বলতে পারি, তাই বলছি। 

মোদ্দা কথা হচ্ছে, দেখেশুনে আমার বিশ্বাস জন্মেছে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ, কোনটা ঠিক কোনটা ভুল, কোনটা সুবিধে কোনটা অসুবিধেজনক, এ সবই সময়ের খেলা। আর সে খেলার মজা উপভোগ করতে হলে বুড়ো হওয়া আবশ্যক।

*****

এমনি তো হয়েছিই, ব্লগের বয়সের বিচারেও আমি বিস্তর বুড়ো হয়েছি। ব্লগের ন’বছর মানুষের হিসেবে অন্তত দেড়শো বছরটছর হবে। অবান্তরে টাইমপাস বলে একটা পাতা আছে, খুলে দেখলে মনখারাপ হয়ে যায়। একদিন যাঁদের গোগ্রাসে গিলতাম, তাঁরা দোকান বন্ধ করে চলে গেছেন। মুষ্টিমেয় যাঁদের এখনও ঠিকানায় পাওয়া যায়, তাঁদেরও অনেকেই ডাইভার্সিফাই করেছেন। বই লেখা, পডকাস্ট, টিভি। গত ন’বছর ধরে ব্লগেই শিকড় গেড়ে বসে আছেন এমন প্রায় নেই বললেই চলে। আমার মতো কিছু লোক ছাড়া।

বসে থেকে একটা সুবিধে হয়েছে অবশ্য। সময়ের খেলাটা দেখতে পেয়েছি। অনেক সত্যি মিথ্যে আর অনেক মিথ্যে সত্যি হতে দেখেছি। অনেক স্ট্র্যাটেজি সফল এবং অনেক স্ট্র্যাটেজি ব্যর্থ হতে দেখেছি। অনেক ডিসঅ্যাডভ্যান্টেজ আর অ্যাডভান্টেজকে জায়গা বদল করতে দেখেছি। ন’বছর আগে বাংলায় ব্লগ লেখাটাও ডিসঅ্যাডভান্টেজ মনে হয়েছিল। ইন্টারনেটের সমুদ্রেই যখন ফেলছি তখন বাংলাভাষার গামছাজাল না ফেলে ইংরিজিভাষার ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্রেংথ জাল ফেললেই হয়। কত বেশি পাঠক, কত এক্সপোজার। মনে মনে 'আই গো ইউ গো হি গোজ' আউড়ে, যথেষ্ট ইংরিজি জানি আশ্বস্ত হয়ে স্বনামে একখানা ইংরিজি ব্লগ খুলেছিলাম। রাকা সাক্ষী। একটা পোস্ট পাবলিশ করে দ্বিতীয় পোস্ট টাইপ করছি, ফার্স্ট ইয়ারে শেখা দুটো শব্দ মনে পড়ে গেল। আমার জীবনে ইকনমিক্সের মূল্যবানতম শিক্ষা । কমপ্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজ। পারাটা প্রশ্ন নয়। পারে তো সকলেই সবকিছু, বাকিদের তুলনায় কেমন পারে সেটাই প্রশ্ন। টাইপ করা থামিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করলাম, ইংরিজি লেখার ক্ষমতার নিরিখে আমার অবস্থান কোথায় আর বাংলা লেখার নিরিখে কোথায়। উত্তরটা ভাবতে এক সেকেন্ডের সামান্য কম সময় লাগল এবং দেড়খানা পোস্ট লিখে ইংরিজি ব্লগের ঝাঁপ ফেলে আমি অবান্তরে মনোনিবেশ করলাম। গত ন’বছরে বাংলা ব্লগ সাহিত্যের একটা স্বতন্ত্র ধারা রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে, তাকে নিয়ে নিয়মিত সেমিনার হয়। বাংলা সেলিব্রিটি ব্লগাররা নিজেদের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমি নিশ্চিত এখন যাঁরা বাংলায় ব্লগ লিখতে নামেন তাঁরা এটাকে ডিসঅ্যাডভান্টেজ হিসেবে গণ্যই করেন না। 

আমিও করি না। ভাগ্যিস বাংলায় শিফট করেছিলাম।

কিন্তু আরও একটা ডিসঅ্যাডভান্টেজ যে আমার শাপে বর হয়েছে, সেটা আমি জানতে পারলাম দিল্লি বইমেলায় গিয়ে। বইমেলার শেষের আগেরদিন ‘বাংলা সাহিত্য কি অনলাইন প্রকাশের প্রাঙ্গণে বদলাচ্ছে?’ শিরোনামে একটি আলোচনার কথা বলেছিলাম, সেই আলোচনার শেষে ইতিউতি জটলা হচ্ছিল, তখন একজনকে জটলা থেকে আলাদা পেয়ে আমি গেলাম আলাপ করতে। আমার পছন্দের মানুষ। মেলে কথাবার্তা হয়েছে, সাক্ষাতে আলাপ হয়নি। আলাপ হয়ে খুব ভালো লাগল। গল্পটল্প হচ্ছে এমন সময় তিনি আমাকে বললেন, তুমি ফেসবুকে নেই তো, না? 

না নেই, স্বীকার করলাম এবং সামান্য কুঁকড়ে গেলাম। এই প্রশ্নটার মুখোমুখি হয়েছি দুয়েকবার এবং দুয়েকরকম প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছি। কেউ সোজাসুজি বলেছেন যে এটা নিজের পায়ে কুড়ুল মারা ছাড়া আর কিছু না। নিজের লেখা যদি লোককে পড়ানোর ইচ্ছে থাকে (যা আমার আছে) তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার এই চূড়ান্ত শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার না করা গাধামো। বেশি মেশামিশিতে যদি অস্বস্তি থাকে তাহলে লগ ইন করবি, লিংক শেয়ার করবি, বেরিয়ে আসবি। পরামর্শ দিয়েছেন অনেক হিতৈষী।

দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়াটা প্রথমটার থেকে গোলমেলে। মুচকি হাসি। সে হাসির অর্থ আমি জানি না, জানতে চাইও না। এমনকি এমনও হয়েছে, ব্লগসাহিত্যের চেনা আড্ডায় কেউ আমাকে দেখিয়ে বলেছে, একে চিনতে পারছ তো? পত্রপাঠ উত্তর এসেছে, হ্যাঁ ওই যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই, তিনি তো?

ন’বছর ধরে টাইপ করে আঙুলব্যথা করার পর আমার ক্লেম টু ফেম, আমি ফেসবুকে নেই। এর থেকে করুণ ব্যাপার আর কারও জীবনে কখনও ঘটেছে কি না আমি জানি না।

কাজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা না-থাকা নিয়ে কনভারসেশনে আমার ভয় আছে। আমি পারতপক্ষে ও গলিতে ঢুকতে চাই না।কিন্তু এই ন’বছর বাদে একটা সম্পূর্ণ অচেনা এবং অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমি চমকে গেলাম। 

এটা খুব ভালো ডিসিশন নিয়েছ। ফেসবুকে না থাকাটা একটা বিরাট অ্যাডভান্টেজ।

আমার মুখ সত্যি হাঁ হয়ে গিয়েছিল। অ্যাডভান্টেজ? কত প্রশংসা কত নিন্দে, কত পাবলিসিটি, কত নেটওয়ার্কিং, কত সেমিনার আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় না থেকে মিস হয়ে গেল, নো বিতর্ক, নো কারেন্ট অ্যাফেয়ারস, স্রেফ নড়বড়ে নার্ভ বলে আমি ওই ল্যান্ড অফ অপরচুনিটির কাঁটাতারের বাইরেই রয়ে গেলাম, লাইক আর শেয়ারের বন্য বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে খ্যাতির দিগন্তের দিকে ছুটে যেতে পারলাম না, আর ইনি কিনা বলছেন অ্যাডভান্টেজ?

পাঠকবেস তৈরি করতে সুবিধে হয়েছে তোমার।

আমি উত্তেজিত হয়ে চেঁচিয়েই ফেলেছিলাম প্রায়। বেস? হোয়াট বেস? সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকলে বেস আরও কত বড় হত বল দেখি? 

সে হতে পারে, কিন্তু যা আছে সেটা স্ট্রং। অ্যান্ড স্টেডি। 

অর্থাৎ জোয়ারের মতো পাঠক যেমন পাইনি তেমন ভাঁটাও দেখিনি, যাঁরা এসেছেন বেশিরভাগই থেকে গেছেন। ওয়েল, অবান্তরের পাঠক কম এটা যেমন জানি, সেই পাঠকরা যে আমার থেকে ঢের বেশি বুদ্ধিমান আর ইন্টারেস্টিং সেটাও আমি জানি। কিন্তু নিজের মুখে নিজের পাঠকের প্রশংসা করতে নেই বলে আমি ‘কে জানে, হবে হয়তো’ মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলাম।

তিনটে ব্যাপার হতে পারে। এক, এটা ওই বক্তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, বাকি সবাই এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপস্থিতিকে ডিসঅ্যাডভান্টেজ বলেই মানেন, দুই, বক্তাও সেরকমটাই মানেন, খালি ভদ্র বলে আর আমাকে পছন্দ করেন বলে সান্ত্বনা দিয়েছেন, আর তিন, নদীর এপারওপার।

যে কারণেই বলে থাকুন না কেন তবু যে কেউ বলল, এতেই আমি খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় না থাকা একজন ব্লগারের পক্ষে অ্যাডভান্টেজ বলে গণ্য হবে এ কথা কোনওদিন নিজকর্ণে শুনব স্বপ্নে ভাবিনি। বলা যায় না, হয়তো এমন এক দিন আসবে, বাংলা উচ্চারণে ইংরিজি বলাটাও আমার অ্যাডভান্টেজ হিসেবে গণ্য হবে। তখন আর আমাকে পায় কে।


Comments

  1. Interesting thoughts. Ekhane dhore neoa hochhe (maane bhodrolok dhorchhen, apni noy!) je FB-r user ra pathok hishebe khub ekta bishwosto hoben na. Eta puro-puri thhik noy, ami FB use kori, kintu Abantor podchhi bigoto bohu bochhor dhore. Amar moto aro onek-ei hoyto ekhane achhen.

    Abantor-er moto jinish shadharonoto word-of-mouth chhoday. Kajei shedik diye dekhle FB ba Twitter-er bhumika thakai shwabhabik.

    Ashole mul byapar ta holo apni success ta ke kibhabe define koren. Jodi number of page-view ta apnar definition hoy, tahole social media te na thakle problem. Jodi loyal pathhok base diye define koren, tahole pore social media te thakle kono oshubidhe howar kotha noy. Ekmatro case jetate social media te thaka ta apnar success ke affect korte pare sheta holo jodi apni success ke page-view-r othoba comment-er shonkhar variation diye define koren (orthat less variation = more success). Social media obviously oi variation take badiye debe. Eta chhada to ar kichhu problem howar kotha noy!

    Shob miliye amar mot holo social media te thaka ta holo biye korar moto. Na thakle loke chokh gol kore, haan kore bole "E maa...", kintu actually kichhui farak pode na. Jeebon dibbi kete jai! Abantor ar apni tar bishal bodo proman!

    iti
    Shuteertho

    ReplyDelete
    Replies
    1. তা ঠিক, সুতীর্থ, জীবন কেটেই যাবে।

      Delete
  2. আহ কতদিন পরে তোমার লেখা পড়ছি । তোমার ব্লগটা আমায় সৌগতদা দেখিয়েছিলো না নিজে খুঁজে পেয়েছিলাম খেয়াল নেই , কিন্তু তোমার ওই পাঠক ভদ্রলোকের সাথে একমত যে তোমার স্টেডি পাঠক আছে , আমি এসেছি রয়ে গেছি , আমি আরো যাদের এ ব্লগের সন্ধান দিয়েছি তারাও রয়ে গেছে ।
    ঘটনা হলো ফেসবুক বড় বেশী তীব্র, ন বছর পর কী হবে জানিনা , তবে লাইক কমেন্টের নেশা মারাত্মক। আমার ফেসবুকের পোস্টে লাইক পড়ে ব্লগের তুলনায় বেশ বেশী , কিন্তু আদতে কজন পড়ে তা নিয়ে আমি সন্দেহ করি।
    তোমার কথাটা একদম ঠিক , ভালো খারাপ অ্যাডভান্টেজ ডিস্যাডভান্টেজ খুবই , খুবই আপেক্ষিক।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, ওই না পড়ে লাইক দেওয়ার ব্যাপারটা বইমেলার আলোচনাতেও উঠেছিল, প্রদীপ্ত।

      Delete
  3. Aapni jerokom, apnake emniteo keu paabena shohoje :)

    Oi "naw bochhor dhore ..." line ta pore khub kharap laglo janen, money holo apnar khub kharap legechhe / lagchhe
    Kintu tar porei bujhlam aapni aapni bolei oi shob jinishke tuchho tachhilyo kore choroiboti choroiboti bole egiye jete perechhen ...

    Mirakkel er oi line ta tai apnar jonye apt (slightly modified though) ... "Aapni thakchhen Mam ..."

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, থ্যাংক ইউ, অনুরাধা। এই ব্যাপারগুলো সিরিয়াসলি নিলেই খুব অদ্ভুত হবে।

      Delete
  4. Social media te thaklei je blog er readers baarbe ba quality interaction hobey taar kono maane neyi. Amar blogger peers der onek porey ami facebook e ekta page korechi ... tao oder jora juri te ... kintu blog e jaanra ashen taanra maximum kintu recipe search korei ashen.
    Aar jaanra bolen amar lekha porte bhalo laage.
    Social media te dekhechi over exposer ar plagiarism ... eyi duto e beshi bhalo hoye.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেই শর্মিলা, সুবিধের সঙ্গে অসুবিধেও বিস্তর।

      Delete
  5. তবে প্রোফাইল না খুলুন, অবান্তরের নামে পেজ খুলতেই পারেন। কোন বিশ্বস্ত বন্ধুকে অ্যাডমিন বানিয়ে দিন। সেখানে ব্লগের নির্বাচিত অংশ এবং লিংক পোস্ট হবে।প্রোফাইল আর পেজ কিন্তু আলাদা। মানে ধরুন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় বা জীবনানন্দ দাশ বা গেলাল হাফিজ - এঁঁদের তো প্রোফাইল নেই, কিন্তু পেজ আছে (এঁঁদের ক্ষেত্রে ভক্তদের বানানো, কারুর ক্ষেত্রে বাড়ির লোকের)। আমার এক বন্ধু-ও লেখে,সে পেজ খুলেছে, কিন্তু তার-ও প্রোফাইল নেই। তার বোন অ্যাডমিন ।
    এটা ভেবে দেখতে পারেন একবার

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে নানা, আমার কোনও ফর্মেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে যোগ দেওয়ার প্ল্যান নেই, ঋতম, পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ যদিও।

      Delete
    2. তবে ফেসবুক অর নো ফেসবুক, আমি অবান্তরে রোজ একবার করে আসি, আসবো-ও।সেই ২০১৩ থেকেই

      Delete
    3. ভেরি গুড, ঋতম।

      Delete
  6. Facebook e aami jothesto ghoraghuri kori...twitter eo jai....tabuo pratidin abantor na porle ki jeno dainondin routine e baki theke jai....khub i adbhutbhabe abantor khunje peyechhilam. Amar mone hoi content aar lekhoni ei duto aasol. Jotoi communication tool use koruk content ebong lekhonir jor na thakle beshidin tana jai na. Aapnar lekhoni khub sundar...aar content holo quintessential maddhobitto bangalir rojnamcha...jesab bangali blog poren tnara connect/relate na kore parbenna...kono facebook er proyojon hoina er prochar er.

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রচারের প্রয়োজন নিয়ে মারাত্মক বিতর্ক হতে পারে, সুস্মিতা, সে সবে এখন যাচ্ছি না, খালি বলছি যে আমাকে যদি লেখা এবং সে লেখার প্রচার একই সঙ্গে করতে হয় তাহলে যে কোনও একটা সাফার করবে। করবে আমার নিজের পরিশ্রমবিমুখ চরিত্রের জন্যই, আর কোনও কারণে নয়। আর আমি অবজার্ভ করে দেখেহি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফল্যের সঙ্গে অবস্থান করার জন্য এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করার জন্য কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন হয়। যার একটিও আমার নেই। কাজেই, সেধে বোকা বনতে যাওয়ার কোনও মানে হয় না।

      Delete
    2. Amar mone hoi bhalo kaaj thik i prochar pai ba tar daam pai...shudhui prochar sarbosyota (jar dapot aajker dine probol) diye konokichhukei tekano mushkil. Aapnar lekha bhalo...tar daam aapni paben i.

      Delete
    3. হাহা, আপনার মুখে আপনি যা খেতে ভালোবাসেন তাই পড়ুক, সুস্মিতা। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  7. আপনি যেমন দাবি করেন যে আপনি ফাঁকিবাজ লেখক আমি তেমনি এক ফাঁকিবাজ পাঠক আর এরকম পাঠক আপনার অনেক আছে। সবসময় comment করা হয় না,
    তবু অনুরোধ করছি Facebook এর বাজারে আপনি নেই বলে কিছুই miss করি না, আপনি অবান্তরে ই থাকুন।

    ReplyDelete
  8. আমি অবান্তরে নিতান্তই আনকোরা। মাত্র দুমাস আগে খোঁজ পাই আর তারপর থেকে গোগ্রাসে নতুন, পুরোনো, তত পুরোনো নয়... যা পাচ্ছি পড়েই চলেছি,পড়েই চলেছি।

    আপনি ফেসবুকে না থাকায় যাঁরা অবান্তর পড়ছেন না,তারাবুঝতে পারছেন না তাঁরা কি হারাচ্ছেন। পুরোনো পোস্টগুলো এতদিন পর পড়ার মজাটা হচ্ছে, অবান্তরের একনিষ্ঠ পাঠক যাঁরা,প্রতিটা পোস্টের পরে তাঁদের মন্তব্যর সাথে আপনার কথাবার্তাটাও সমান উপভোগ করছি। এখানেই অবান্তর স্পেশাল। আমার স্থির বিশ্বাস, এইরকম ডেডিকেটেড ফ্যান ক্লাব কখনোই ফেসবুকে পাওয়া যাবে না, যেখানে লেখা ভালো/মন্দ লাগলে পাঠকেরা আপনার সাথে কথা বলেন, একটা লাইক ইমোজি দিয়ে বেরিয়ে যান না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. কমেন্ট সেকশনটাই অবান্তরের সবথেকে স্পেশাল আর ভালো জিনিস বলে আমিও বিশ্বাস করি, ময়ূরী। হাই ফাইভ।

      Delete
  9. Daroon likhecho K. Khub bhalo laglo ei post ta.

    Bhaggish ingraji blog ta bondo kore diye abantor chalu korle. Rishra r goppo, train er daily passengeri, maa- thakuma r shob mojar mojar goppo...ei shob bangla chhara anya kono bhashay porte hoto, seta bhebei kanna peye gyalo :)

    aar fat er opor theke kharga ta shorey jawate khichuri te ektu doraj haate ghee dhalte parchi ;)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, যতদিন না আবার কোনও সত্য উদ্ঘাটিত হয় বেশি করে ঘি খেয়ে নাও শম্পা। ওই গল্পগুলো ইংরিজিতে লিখতে আমার কীরকম কান্না পেত সেটা ভাবো একবার।

      Delete
  10. সময়ের ম্যাজিককে দীর্ঘক্ষণ ধরে চাক্ষুষ করার সুবিধে

    ki bolle...mon chuye gelo...oh..sotyi to tai..jibon tai to time machine..

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, প্রসেনজিৎ।

      Delete
  11. Somoy er sathe sathe tomar hoyto social media bhalo lagte pare.. tobe tomake jini bole thakun .. amio sohomot je prochur prochur lokjon facebook e na pore na bujhe ordhek pore like comment esob dey.. amar bondhu ra onekei kore.. .. lekhok lekhikar husband wife rao na pore na bujhe like kore ei example o ache amar friend list e.. :) Abantor onek besi dedicated pathok peyeche ebong pabe..

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, ঊর্মি।

      Delete
  12. দেখো প্রতিটি অবান্তরের পোস্টে আমি কমেন্ট গুলোও খুঁটিয়ে পড়ি, উপভোগ করি। এ জিনিস ফেসবুকে পাবেনা। ফেসবুকে আমার লেখায় "ধন্য হলাম" "অভিভূত করলেন" এ জাতীয় কমেন্ট ভুরি ভুরি পাবে, কিন্তু লেখাগুলো মন দিয়ে পড়েছে সন্দেহ। এই বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্টগুলো আর তোমার সাথে কথা বলাটা কিন্তু অবান্তরের একটা বড় ইউ এস পি। আমি অবান্তরের বাকি পাঠকদের কারোকে চিনিনা কিন্তু কমেন্ট পড়েই সবার সাথে মনে মনে আলাপ হয়ে গেছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাত্তারা, আমাকেও চেনোনা? 😀

      Delete
    2. না, না তোমাকে চিনি, অ্যাকচুয়ালি তোমাকেই খালি চিনি।

      Delete
    3. চুপকথা, আমি নিশ্চিত, ফেসবুকেও অনেকেই মন দিয়ে পড়েন। মনোযোগী অমনোযোগী দুরকম পাঠকই আছেন আই গেস।

      Delete
    4. pore jani. okhaneo kichhu erokom monojogi pathok achhen, kintu okhane benojoler songkhyata etotai beshi je tader sathe interesting kono alochona korar jo nei. obantorer comment er boithoki addata amar bhari priyo.ar se byapar ta tomar jonyai sombhob hoyechhey. Ar kono blog e kintu e byaparta nei. Abantor lekhar jonya to botei , e byapartar jonyao bhari unique

      Delete
    5. আরে থ্যাংক ইউ, চুপকথা। ওই কথোপকথনে আমার ইন্টারেস্টই বেশি। অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি।

      Delete
  13. আমার ফেসবুক একাউন্ট দীর্ঘদিন ধূলিমলিন অবস্থায় পড়েছিল। সম্প্রতি ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম, দুটোরই সদর্পে শিরশ্ছেদ করেছি। Good riddance.

    ReplyDelete
    Replies
    1. এইটা ভালো করেছেন।

      Delete
  14. Besh onyorokom lekha, pore onek chintar khorack pelam. prothom onsho ta jachhetai rokomer bhalo. :)

    Facebookiyo shahityo niye amaro besh sondeho acche. Prachinponthi hishebe amar mone hoy dewal (it kimba facebook jai hok) e slogan-propaganda chole, sahityo ta thik khole na. obosso ekhonkar Gen - (ki hobe? X, Y, Z naki alpha-beta-gamma?) eta shunle amake marbe mone hoy. :D
    Twitter to aaro joghonyo, or theke SMS onek bhalo chhilo. Chithhir sathe sathe SMS o biday nebe ochirei.....
    Shombar sokale erokom ekta lekha poranor jonyo arekbar dhonyobad. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, অরিজিত।

      Delete
    2. তখন খুব দ্রুত উত্তর দিয়ে চলে গেছি, কিন্তু প্রাচীনপন্থী আমিও। তবে ফেসবুক/টুইটারে সাহিত্য হওয়া না হওয়া থেকেও আমার প্রধান অস্বস্তিটা হল জিনিসদুটোর অতি 'পাবলিক' স্বভাবে। কোটি কোটি লোক এবং তাদের সঙ্গে নিরন্তর এনগেজ করতে হবে। বলা বাহুল্য ব্যতিক্রম থাকবেই।

      ও আপনি আমি 'জেনিয়াল' জেনারেশন, সদ্য জেনেছি।

      Delete
  15. তুই blog লিখিস এই খবরটা কিন্তু আমি Facebook থেকেই পেয়েছিলাম ... school র গ্রুপ থেকে.. তারপর থেকে যখনই সময় পাই অবান্তরে একবার ঢু মারাটা নেশা হয়ে গেছে ... আমার মনে হয় প্রচার কর চাই না কর ... পাঠকের মনরন্জককর বিষয় হলে পাঠক এমনি loyal হবে ... হয়তো প্রচুর হবে না ... কিন্তু তারা সীমিত এবং নিয়মিত হবে ...
    বৈশালী

    ReplyDelete
    Replies
    1. নানা, ফেসবুকের প্রয়োজনীয়তা আমি অ্যাবসলিউটলি স্বীকার করি, বৈশালী। কিন্তু এটাও মনে করি, সবার সব মাঠে খেলতে নামার ক্ষমতা থাকে না। আর নিজের লিমিটেশন অন্যে বুঝিয়ে দেওয়ার থেকে নিজে বুঝে নেওয়াই ভালো।

      সীমিত এবং নিয়মিত পাঠকের উপযোগিতা আমি বুঝি এবং আকণ্ঠ কৃতজ্ঞতা বোধ করি।

      Delete
  16. amio achhi, tumi facebook e thako ki na thako, Abantorer thakata khubi joruri, ajkal ami jodio khub phnakibaj hoechhi kintu tobuo jakhoni asi post pore mon halo kore jai.. - Ichhadana

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা।

      Delete

Post a Comment