পুজোর ছুটি
ইউ ক্যান টেক আ পার্সন আউট অফ মফস্বল, বাট ইউ ক্যান নেভার টেক মফস্বল আউট অফ আ পার্সন। চতুর্থীর রাতে যখন অর্চিষ্মান একটু হেঁটে আসার প্রস্তাব দিল আমি ভাবলাম এই অন্ধকারে কেই বা আর দেখছে, চেয়ারের কাঁধে রাখা ধুধ্ধুড়ি টি শার্ট আর ল্যাতপেতে জিনস গলিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ভাবলাম রাস্তায় শ্মশানের নিস্তব্ধতা বিরাজ করবে। চতুর্থীর রাতে আমার পৈতৃক বাড়ির সামনের রাস্তায় যেমন করে। সাইকেল টুংটুঙিয়ে কোচিং ক্লাস থেকে ফিরবে ছেলেমেয়ের দল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাদের আমগাছের ঘন ছায়ার তলায় থামবে খানিকক্ষণ। গুনগুন গুনগুন। যখন ঊঠে বসার শক্তি ছিল ঠাকুমা খাটে বসে মাথা নাড়বেন। সব উচ্ছন্নে গেল। ত্রিপলের প্যান্ডেলে টিমটিমে টিউবলাইটের নিচে ঘুরে বেড়াবে উদাসী গরু, ঝগড়ুটে কুকুর। ঘরের ভেতর মা শিশুকে ষষ্ঠী পড়ার আগে যতখানি পারা যায় পড়িয়ে নেবেন। ভুজুং দেবেন, পুজোর আগে পড়াশুনো করলে মা সরস্বতীর কাছ থেকে বকেয়ার বেশি আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাড়ি থেকে বেরিয়েই ভুল ভেঙে গেল। মনে পড়ে গেল এ তো আমার ছোটবেলার ঘুমন্ত মফস্বল নয়, এ আমার বুড়োবেলার জলজ্যান্ত শহর। চারদিকে হইহই করে অলরেডি পুজো শুরু হয়ে গেছে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে নহবৎ, গত ...