পাঁচটি বই
সেদিন এ কথা ও কথার
পর চ্যাটবাক্সে এসে সুগত বললেন বাজারে একটা খেলা নাকি খুব চলছে।
খেলতে চান?
খেলতে আমি কখনওই চাই
না। খেলানোয় বরং আমার উৎসাহ আছে।
না না এ সেরকম খেলা
নয়। সুগত আশ্বাস দিলেন।
এ খেলায় দৌড়োদৌড়ির
ব্যাপার নেই। সবটাই ব্রেনের কাজ।
শুনে আবার দমে যাচ্ছি
এমন সময় চ্যাটবাক্সে লেখা ফুটে উঠল। আপনার জীবনে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলা দশটি
বইয়ের তালিকা তৈরি করতে হবে। এটাই খেলা।
দয়াপরবশ হয়ে সুগত
একবার খেলাটা নিজে খেলে দেখিয়েও দিলেন। এর পরেও যদি না পারি তা হলে আর কিছু বলার
নেই।
সত্যি বলতে কি, পারব
যে সে সাহস ছিল মনে। এত বছর ধরে এত বই পড়েছি, তার মধ্যে থেকে দশটা বইয়ের নাম বেছে
বলে দেওয়া কী এমন শক্ত কাজ।
বাছতে গিয়ে বুঝলাম
কাজটা শক্ত নয়। মারাত্মক শক্ত।
এখানে আমাকে আমার
প্রিয় বইয়ের নাম করতে বলা হচ্ছে না। জানতে চাওয়া হচ্ছে না কোন বই পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। সে
রকম বইয়ের দেখা আকছার না হলেও মাঝেসাঝে মেলে। একা ঘরে বসে চেঁচিয়ে উঠি, ‘উফ কী
লিখেছে!’ দৌড়ে গিয়ে সেই লেখকের আরও তিনখানা বই কিনে বগলে করে বাড়ি নিয়ে আসি। আমাকে
জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না কোন বই আমার ছোটবেলার সঙ্গে ওতপ্রোত হয়ে আছে। বা প্রথম প্রেমের সঙ্গে।
সে সব বইয়ের লিস্ট
বানাতে বললে আমার বইয়ের সংখ্যা কখন পঞ্চাশ পেরিয়ে দৌড়ত।
বদলে আমি অনেক
খুঁজেপেতে মোটে পাঁচটা বইয়ের নাম জোগাড় করতে পেরেছি। যারা আমাকে প্রভাবিত করেছে।
মুগ্ধ করেছে। চমকে দিয়েছে। আমার ভেতরটা ধরে এমন ঝাঁকুনি মেরেছে যে পরের সাতদিন আমি
একটা ঘোরের মধ্যে ঘুরেছি। মনে হয়েছে, ‘এমনও লেখা সম্ভব?’ মনে হয়েছে, ‘এমন লিখতে না
পারলে লিখে লাভ কী?’
এই ধরণের তালিকা
বানাতে গেলে একটা ফাঁদে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রভাবশালী লেখার বদলে
প্রভাবশালী লেখককে গুলিয়ে ফেলার ফাঁদ। আমিও আর একটু হলেই ফেলছিলাম। ভাবছিলাম, এটা
কি হতে পারে আমার জীবনে পাগলা দাশুর কোনও প্রভাব নেই? নেড়ার? পদিপিসীর? অনাথবাবুর?
বারীন ভৌমিকের? ফেলুদার?
ফে লু দা র?
ফেলুদার কথা যখন উঠল
তখন অসমঞ্জবাবুই বা বাদ যান কেন। অসমঞ্জবাবুর কুকুর-এর মতো গল্প আমি জীবনে বেশি
পড়িনি। অনাথবাবুর ভয়-এর মতোও না। খগমের কথা না হয় না-ই তুললাম।
কিন্তু ফেলুদা, অসমঞ্জবাবুর কুকুর, অনাথবাবুর ভয়, খগম – এদের আমার কেন ভালো লাগে সেটা ভাবতে গিয়ে দেখলাম ভালোলাগার কারণটা সবার ক্ষেত্রেই এক। ঝরঝরে ভাষা, বিশ্বাসযোগ্য চরিত্রায়ণ, বাস্তবধর্মী কথোপকথন, গল্পের তলে তলে বয়ে যাওয়া মন ভালো করা রসবোধ এবং ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে ‘কেমন দিলুম’ ভাবের আগাগোড়া অনুপস্থিতি।
সোজা কথায়, ফেলুদাকে
আমার যত না পছন্দ তার থেকে ঢের বেশি পছন্দ সত্যজিৎ রায়কে।
ঠিক এই কারণে আমার জীবনের অন্যতম সাচ্চা প্রেমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পরেও আমি বাদশাহী আংটিকে আমার তালিকায় রাখতে পারলাম না। পদিপিসীকেও না। কারণ পিসির প্রতি আমার ভয় যত না, লীলা মজুমদারের প্রতি ভক্তি তার থেকে শতগুণ বেশি। পাগলা দাশুর জন্য আমার যা টান, সুকুমার রায়ের প্রতি ভালোবাসা তার থেকে অনেক বেশি। ইন ফ্যাক্ট, আমি তো বিশ্বাস করি সুকুমার রায় নিজেই পাগলা দাশু। আসল দাশরথি রায়।
আমার লিস্টের
বইগুলোর সেই ফাঁদে পড়ার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ লিস্টের দু’জন লেখকের
মাত্র একটি করে বই আমি পড়েছি। আরও পড়তে চেয়েছিলাম। তাঁরাই লেখেননি। তৃতীয় জন কবিতা
লিখেছেন অনেক, ছবিও এঁকেছেন, কিন্তু তাঁর প্রকাশিত গদ্য রচনা ওই একটিই। বাকি
দু’জনের অন্যান্য লেখা পড়েছি বটে, কিন্তু লিস্টে উল্লেখ করা বইগুলির মতো মন আর
একটিও কাড়েনি।
অনেক বাজে কথা হল,
এইবার খেলা শুরু করা যাক। এই রইল আমার জীবনে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলা পাঁচটি বইয়ের
লিস্ট।
*****
১. To Kill A Mocking Bird: Nobody ever forgets
the book. বলেছিলেন একজন
সমালোচক। উনিশশো তিরিশ সালে,
অর্থনৈতিক মন্দায় জর্জরিত আলাবামায় একজন সাদা রঙের লোকের একজন কালো রঙের লোকের নামে
মিথ্যা মামলা রুজু করা নিয়ে হার্পার লি-র গল্প । স্থানকালপাত্রপরিস্থিতির সঙ্গে আগাগোড়া সম্পৃক্ত হয়ে থাকা
একখানি গল্প। তবু, এতদিন কেটে যাওয়ার পরও পৃথিবীর অন্য গোলার্ধে কেউ যখন বইটার শেষ
পাতা পড়ে খানিকক্ষণ চুপ করে বসে থাকে তখন নিশ্চিত হয়ে বলে দেওয়া যায়, বইটা এখন আর
তার হাতে ধরা নেই, হাতে ধরা শুকনো কাগজের তাড়া থেকে উঠে এসে বইটা তার বুকে লেখা
হয়ে গেছে চিরদিনের জন্য। আর কোনও দিন সে এটাকে ভুলতে পারবে না।
কারণ আপাতদৃষ্টিতে
একটি নির্দিষ্ট সময়ের, নির্দিষ্ট সমাজের, নির্দিষ্ট কয়েকটি মানুষের জীবনের ঘটনা
নিয়ে হলেও To Kill A Mocking
Bird আসলে একটা অন্য কথা বলে।
যে কথাটা সময় সমাজ পরিস্থিতি নির্ভর নয়। বলে, “Shoot all the blue jays you want, if you can
hit ‘em, but remember it’s a sin to kill a mockingbird.”
আপনি একমত না হতে পারেন। বলতে পারেন, আখের গোছানোর জন্য
যাকে খুশি ঘায়েল করা যায়। বলতে পারেন, যুগ বদলে গেছে। এখন আর আদর্শ নিয়ে বসে থাকার
দিন নয়। আফটার অল, আদর্শ, ন্যায়নীতি, ভালোমন্দ, ঠিকভুল, উচিতঅনুচিত, সাদাকালো সবই তো আপেক্ষিক।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবই তো বদলায়। সবাই তো বদলায়।
উঁহু, সবাই বদলায় না। এ পৃথিবীর অ্যাটিকাস ফিঞ্চরা বদলান না। দুনিয়া বদলায়।
দুনিয়াদারি বদলায়। সাফল্যের সংজ্ঞা, মাপকাঠি বদলায়। টিপস অ্যান্ড ট্রিকস বদলায়।
হাউ টু বি রিচ। হাউ টু বি সাকসেসফুল। আমাদের প্রত্যেকের বুকের মধ্যে অ্যাটিকাস
ফিঞ্চ অজর অমর অক্ষয় হয়ে জ্বলজ্বল করতে থাকেন। জীবনের প্রতিটি বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে
তিনি আমাদের জানিয়ে দেন কোন রাস্তাটা ঠিক, কোন পথটা ভালো।
আমরা সে কথা কানে
তুলি বা না তুলি, মনে নিই বা না নিই, তাঁকে ভুলে যাওয়া আমাদের সাধ্য নয়।
২. প্রথম
প্রতিশ্রুতিঃ আমার মা জীবনে প্রথমবার প্রথম প্রতিশ্রুতি পড়েছিলেন ষোলো বছর বয়সে।
আমিও প্রথমবার প্রথম প্রতিশ্রুতি পড়ি ষোলো বছর বয়সেই। মাঝখানে আঠাশ বছর কেটে
গিয়েছিল। সমাজের মূলস্রোতে
মেয়েদের নিজেদের স্রোত মিলিয়ে নেওয়ার আঠাশ বছর। ঘর বাইরের সীমারেখা মিলিয়ে নেওয়ার
আঠাশ বছর। ট্রেনে ট্রামে বাসের ভিড়ের ঘামে নিজেদের ঘাম মিশিয়ে দেওয়ার আঠাশ বছর।
অথচ এই আঠাশ বছরের
এপারে ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের মামেয়ে দুজনকেই প্রভাবিত করেছে এমন এক মেয়ে যে
নিজে জীবনে বাসে চড়েছে কি না সন্দেহ। সে গরুর গাড়ির ছাউনির তলা বসে দুলে দুলে চলে
গেছে সূর্যাস্তের দিকে চিরদিনের মতো। সমাজ সংসার স্বামী ছেড়ে। একবারও ফিরে তাকায়নি
পেছনের দিকে, যেখানে তার জীবনের সবথেকে বড় হার বধূবেশে সেজে দু’চোখ ভরা জল নিয়ে
চেয়ে রয়েছে মায়ের চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
সারা জীবনের রাগ,
যুদ্ধ, অবাধ্যতার বদনামের বদলে নিজের সন্তানের জীবনকে নিজের জীবনের থেকে একটি পাও
এগিয়ে দিতে পারেনি মেয়েটা।
আজদু'হাত ভরে যত পাই তত ওই কিচ্ছু না পাওয়া মেয়েটার কথা মনে পড়ে। যত জিতি, তত বুকের মধ্যে
ঝলমল করে জ্বলে ওই গোহারা হেরে যাওয়া মেয়েটার নাম।
সত্যবতী। সত্যবতী।
সত্যবতী।
৩. The Bell Jar: কাঁচের দেওয়াল বড় ভয়ংকর জিনিস। চোখে দেখা যায়
না, অথচ দম ঠিকই বন্ধ হয়ে যায়। কেমন লাগে সে দেওয়ালের মধ্যে বাঁচতে? কেমন লাগে
বিষাদ যখন একটা গোটা মানুষকে গ্রাস করে? কেমন লাগে প্রতি মুহূর্তে মরতে চাইতে?
কেমন লাগে পঞ্চাশটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে সবার চোখের আড়ালে শুয়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে।
আমার স্বভাবে
বিষণ্ণতা কম। আমার পক্ষে এই অনুভূতিগুলোর আঁচ পাওয়া শক্ত। এ অনুভূতির সবথেকে
কাছাকাছি আমি গেছি এস্থার গ্রিনউডের হাত ধরে। এস্থার গ্রিনউড, সেই একদা প্রতিশ্রুতিময়
মেয়েটি, মানসিক ভারসাম্যহীনতার খাদে নেমে যেতে যেতেও যে তার পাঠকের হাত শক্ত করে
ধরে রাখে। ডক্টর গর্ডন যখন তার কপালে ইলেকট্রিক শকের যন্ত্র ছোঁয়ান, সাদা পাতার
এদিকে বসে আমি ছিটকে যাই।
ভাষা যে এত জীবন্ত হতে পারে, সিলভিয়া প্লাথের দ্য বেল জার না পড়লে আমি জানতে পারতাম না। কবিতা লিখতে না পারার আফসোসও আমার জীবনে ওই একটিবারই হয়েছিল। দ্য বেল জার প্রথমবার পড়ার পর। কবি না হলে বোধহয় এমন গদ্য লেখা যায় না।
৪. A Confederacy of Dunces: কোনও জিনিস যদি একটু হলেও অন্য জিনিসের মতো না
হয় তবে তার বর্ণনা দেওয়াটা একটু শক্ত হয়ে পড়ে। এটা অনেকটা ওইটার মতো, বা ওটা
খানিকটা এইটার মতো বলার রাস্তা বন্ধ। A Confederacy of Dunces-এর বর্ণনা দেওয়াও আমার কম্ম নয়। বা A Confederacy of Dunces-এর হিরোর, যার নাম Ignatius Jacques Reilly।
Ignatius মোটা (মরবিডলি
ওবিস), Ignatius কুঁড়ে, Ignatius কোনও কাজ করে
না, Ignatius বয়স্ক মায়ের
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার করে আনা পয়সায় বসে বসে খায়, Ignatius নিজেকে জিনিয়াস
মনে করে, Ignatius নিজেকে
আদর্শবাদী মনে করে, Ignatius বিপদে পড়লে সে
আদর্শের মুখে ঝ্যাঁটা মেরে পিঠটান দিতে আধবারের বেশি একবার ভাবে না।
আমার সম্পর্কে যদি মাত্র একটা বিষয়ে আপনি নিশ্চিত হতে চান
তা হলে বলতে পারি যে ‘উইয়ার্ডনেস’ আমার ধাতে সয় না। আমার চেনা অনেক বন্ধু আছে যারা
‘উইয়ার্ড’ জিনিসপত্র দেখলেই ভালোবেসে ফেলে, সে রান্না, সিনেমা, মানুষ যা-ই হোক না
কেন, আমি তাদের দলে পড়ি না। উইয়ার্ড জিনিস দেখলে আমার প্রথমেই সন্দেহ হয়। মনে হয়
কোথাও কোনও গোলমাল আছে নিশ্চয় যা চাপা দিতে এই চড়াদাগের অন্যরকমত্বের আমদানি করতে
হয়েছে।
Ignatius
Jacques Reilly-র থেকে উইয়ার্ড জিনিস আমি আমার জীবনে আর দেখিনি। আমার উইয়ার্ডপ্রেমী
বন্ধুদের কয়েকজনকেও জিজ্ঞাসা করে দেখেছি, তারাও দেখেনি।
Ignatius-এর প্রতি আমার
অনুভূতির কোনও ব্যাখ্যা নেই। নামও নেই। প্রেম? ঘৃণা? হাসি? বিরক্তি? ভালোলাগা?
উঁহু। Ignatius-এর প্রতি আমার
অনুভূতিও উইয়ার্ড। সব মিলিয়ে সেটাকে একরকমের ‘টান’ বলা যেতে পারে। অনেক ভেবে তার
একটা কারণ আমি বার করেছি। Ignatius উইয়ার্ড,
কিন্তু সে উইয়ার্ডনেস খাঁটি। অথেনটিক কোনও গোলমাল চাপা দেওয়ার জন্য Ignatius উইয়ার্ডনেসের
কম্বলমুড়ি দেয়নি। Ignatius নিজেই একটি
মূর্তিমান গোলমাল।
আমি জানি বইটা সম্পর্কে আমার বর্ণনা খুবই উইয়ার্ড হয়েছে,
কিন্তু যাঁরা বইটা পড়েছেন তাঁরা বুঝবেন এ ছাড়া আমার আর কোনও রাস্তা ছিল না। আর যাঁরা
পড়েননি? তাঁদের প্রতি আমার অনুরোধ রইল এক্ষুনি দৌড়ে গিয়ে বইটা পড়ে ফেলার।
৫. On Writing: সবাই সর্বক্ষণ বই নিয়ে কথা বলে। এই যেমন আমরা এখন বলছি। বই
নিয়ে, বইয়ের মধ্যের গল্প নিয়ে, গল্পের মধ্যের কারিকুরি নিয়ে।
গল্পটা
কী করে লেখা হয় সে কথা কেউ বলে না। না বলার অবশ্য কারণ আছে। কারণ গল্প লেখার
গল্পটা আরামের নয়। গ্ল্যামারের নয়। স্টিফেন কিং বলেছেন। Sometimes you have to go on when you don't feel like
it, and sometimes you're doing good work when it feels like all you're managing
is to shovel shit from a sitting position.
গল্প লেখার এই গল্পটা লেখার জন্য স্টিফেন কিং-এর থেকে যোগ্য লোক পাওয়া মুশকিল। ছেষট্টি বছরের জীবনে কিং লিখেছেন পঞ্চাশটা উপন্যাস (তার মধ্যে দুটির পৃষ্ঠাসংখ্যা হাজারের বেশি, অনেকগুলিই হাজার ছুঁইছুঁই), সাতটা নন-ফিকশন, দুশোর কাছাকাছি ছোটগল্প।
লেখার পরিমাণ দিয়ে লেখকের পরিমাপ করার কথা আমি বলছি না।
তাহলে আমার লিস্টের হার্পার লি (টু কিল আ মকিং বার্ড) কিংবা জন কেনেডি টুল (আ
কনফেডারেসি অফ ডানসেস্) কে সবার আগে লেখকপদচ্যুত করতে হয়।
কিন্তু এত লিখলে যে যেটা হয় সেটা হচ্ছে লেখা ‘কাজ’টার সঙ্গে
একটা পরিচিতি তৈরি হয়। একটা দখল। এই কাজটার সঙ্গে গভীর ভাব, নভেল আইডিয়া, প্লটের মারপ্যাঁচের
কোনও সম্পর্ক নেই। শুরুর দিকে এমনকি সে কাজটা লেখারও নয়। কাজটা হচ্ছে টিভি বন্ধ
করে, ফোন অফ করে, দরজা ভেজিয়ে বসে কাগজে কলম ঠেকানোর।
যারা লিখতে চায় স্টিফেন কিং তাদের এই কাজটার সঙ্গে পরিচয়
করিয়ে দিতে চেয়েছেন On Writing-এ। মাথার নয়, কাজটা নিতান্তই হাতের। আর যে কোনও হাতের
কাজের মতো এই কাজটারও নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতি আছে। যা রাখা থাকে একটি নির্দিষ্ট
বাক্সে। টুলবক্স।
টুলবক্সের একেবারে নিচের খোপে থাকে হাতুড়িবাটালি। শব্দের,
ব্যাকরণের, বাক্যগঠনের। এ সব ঠিক করে চালাতে না শিখলে আর লেখা হল না। স্টাইল
ইত্যাদির এ খোপে কোনও জায়গা নেই। সে সব আছে ওপরের খোপে। প্যারাগ্রাফ কী করে বানাতে
হয়, বর্ণনা কী করে দিতে হয়, সংলাপ কী করে লিখতে হয়।
এই বাক্স যদি কারও থাকে, এবং বাক্সের জিনিসপত্র নিয়ে কেউ
যদি যথেষ্ট ঘাঁটাঘাঁটি করে থাকে তবে সে যদি ব্যাড রাইটারও হয়, তার পক্ষে গুড
রাইটার হওয়া জাস্ট সময়ের অপেক্ষা।
আর গুড রাইটাররা যদি গ্রেট রাইটার হতে চায়? কোনও টুলবক্সের
সাধ্য নেই সে ম্যাজিক করে। ও সব জন্ম থেকে ঠিক হয়ে থাকে।
On Writing-এর শেষে সেই চিরকালের প্রশ্নটার উত্তর দিয়েছেন স্টিফেন কিং।
লোকে কেন লেখে? লেখার বদলে কেন টিভি দেখে না?
Writing
isn't about making money, getting famous, getting dates, getting laid, or
making friends. In the end, it's about enriching the lives of those who will
read your work, and enriching your own life, as well. It's about getting up,
getting well, and getting over. Getting happy, okay? Getting happy.
আমি লেখক হতে পারি আর না-ই পারি, On Writing আমার টুলবক্সে
থাকবে আজীবন।
*****
হয়ে গেছে। লিস্ট
শেষ। খেল খতম। পয়সা হজম।
উঁহু, আরেকটু বাকি
আছে।
আবার কী?
খেলাটার নিয়ম হচ্ছে আপনি
খেলবেন, তারপর খেলার জন্য অন্যদের ট্যাগ করবেন।
ওরে বাবা, আবার দশ
জনকে?
না না, আপনার যতজনকে
খুশি। ট্যাগাট্যাগিতে বাধানিষেধ নেই।
বাঁচা গেছে। বই
বাছতে গিয়েই আমার সব এনার্জি শেষ, এরপর লোক বাছতে গেলে আর দেখতে হচ্ছিল না। তাছাড়া
আমি বাছাবাছি করতেও চাই না। আপনারা সবাই আমার সমান প্রিয়। তাই আমি আপনাদের সবাইকেই
ট্যাগ করলাম। আপনাদের জীবনের সবথেকে প্রভাবশালী বইগুলোর নাম আপনারা আমাকে বলুন। সে
রকম বই যদি একটি মাত্র হয়, তবে তাই সই।
খেলতে খেলতে আপনাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটা ভালো বইয়ের নাম জানা যাবে এই আশায় এই আমি গালে হাত দিয়ে বসে রইলাম।
খেলতে খেলতে আপনাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটা ভালো বইয়ের নাম জানা যাবে এই আশায় এই আমি গালে হাত দিয়ে বসে রইলাম।
To Kill a Mockingbirdh আমার খুব পছন্দের বই... সিনেমাও...
ReplyDeleteMockingbird
Deleteবইটা আমার এত প্রিয় বলে সিনেমাটা দেখিনি কোনওদিন, সৌরাংশু। যদি খারাপ লাগে সেই ভয়ে। তবে আপনি যখন ভালো বলছেন, এই শনিরবিতে দেখা যেতে পারে।
Deleteদেখে ফেলুন দেখে ফেলুন... গ্রেগরী পেককে দেখতে অজুহাত দরকার পড়ে নাকি? :P
Deleteহাহা, তা ঠিক।
DeleteTKaMB er ekta line amar boro priyo: jekhane atticus bolen "You never really understand a person until you consider things from his point of view. Until you climb into his skin and walk around in it."
Deleteবইটার কত লাইন যে বাঁধিয়ে চোখের সামনে সর্বক্ষণ রেখে দেওয়ার মতো, শম্পা।।
Deleteআমার জীবনের সবচেয়ে প্রভাবশালী বই? দাঁড়ান ভেবে দেখি
ReplyDelete১ ওয়ান ডে ইন দ্য লাইফ অফ ইভান দেনিসোভিচ - এই বই পড়ে জেনেছি যে আমার জীবনে যা পেয়েছি, অনেকের ভাগ্যে সেটুকুও জোটে না। তাই জীবনের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত
২ পথের পাঁচালি - তেমন কোনও কারণ নেই, কিন্তু আমার বানানো যে কোনও বইয়ের লিস্টে এই বইটা থাকবেই
৩ দ্য ডায়েরি অফ অ্যা ইয়ং গার্ল - চতুর্দশী লেখিকা বড় একটা গুছিয়ে লিখতে পারেননি, কিন্তু গোটা লেখাটায় কোথাও কোনও অভিযোগ করেননি। আমিও শিখেছি যে বাস আসতে দু'মিনিট দেরি করলে কমপ্লেন করতে নেই
৪ এটাকে ঠিক বই বলা যায় না... বুদ্ধদেব গুহর ঋজুদা সমগ্র - জঙ্গলের সাথে আমার প্রেমের ঘটকালি ইনি করেছিলেন
৫ এটাকেও বই বলা যায় না... শার্লক হোমস - যে কোনও জিনিস খুঁটিয়ে দেখা, যে কোনও ঘটনা নিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করা, এগুলো ইনি শিখিয়েছেন
চতুর্দশী লেখিকা যে ওই পরিস্থিতিতে আদৌ কিছু লেখার চেষ্টা করেছেন সেটাই একটা অত্যাশ্চর্য ব্যাপার, দেবাশিস। আপনার লিস্টের প্রথম বইটা আমার পড়া নেই। অবিলম্বে পড়ার ব্যবস্থা করছি। অনেক ধন্যবাদ।
Delete"Stand up, Scout. Your father is passing." :-)
ReplyDeleteAmar jeeboner onyotomo sreshtho...emonki bola jete paarey sorbosreshtho boi. Ekhono Finch amar jeeboner thik/bhuler yardstick. Ar ekhono, amar motey, Boo Radley boitir onyotomo hero. Bodh hoy Finch er porei tar sthan.
Cinema ta dekhe fyalo. Eto bhalo boi er eto bhalo cinematic adaptation ar bishesh dekhechhi bole mone pore na.
হাই ফাইভ, বিম্ববতী। অ্যাটিকাস ফিঞ্চ আমারও ইয়ার্ডস্টিক। যদিও সে স্টিকে নিজেকে মাপতে গিয়ে চরম লজ্জা পাই, তবুও। শনিরবির সিলেবাস ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। একটা সিনেমা অলরেডি দেখতে হবে, ফাইন্ডিং ফ্যানি, এখন আবার তার সঙ্গে মকিংবার্ড যোগ হল। গত পাঁচদিন এত কাজ করিনি, যত আগামী দু'দিন করতে হবে বোধ হচ্ছে। কী মুশকিল।
Deleteবাঃ, একেবারে প্রথম দুটো বইই মিলে গেছে দেখছি। আমি বাকি বইগুলো পড়িনি, এবার পড়ে ফেলতে হবে। খুব সুন্দর লিখেছেন। To Kill A Mockingbird সিনেমাটাও আমার বেশ ভাল লেগেছিল। বইটার মত নয় অবশ্যই, তবে হার্পার লী নিজে বলেছেন গ্রেগরী পেককে দেখে তাঁর বাবার কথা মনে পড়ত।
ReplyDeleteমিলে গেছে মিলে গেছে, এক্কেবারে মিলে গেছে, সুগত। অবশ্য বাকি সবে এত মিল যে বইয়ের পছন্দ না মিললেই অবাক হতাম।
Deleteছোটবেলা নাড়ানো বই :
ReplyDelete১। ঋজুদা-র বই - বুদ্ধদেব গুহর জঙ্গলের বইগুলো
গাছ, পশু, পাখি, মানুষ-কে ভালোবাসতে শেখা
২।শেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে - সমরেশ বসু
৩।কালবেলা - সমরেশ মজুমদার
বহমান সময়, আগারিয়া, ১৯৭০-এর দশক, বাম আন্দোলন, রাজনৈতিক সাহিত্য
বড়োবেলা নাড়ানো বই :
৪। "Animal Farm" এর বাংলা অনুবাদ হয়েছিলো ১৯৫৩ সালে - "পশুখামার"। কার অনুবাদ ভুলে গেছি।
৫। অবশ্যই শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের "দূরবীন" - কৃষ্ণকান্ত আর ধ্রুব তাড়া করেছে বহুদিন। আর সম্পর্ক বুঝেছি ওই বইটা থেকেই।
বুদ্ধদেব গুহ আমি একেবারেই বেশি পড়িনি। একটা দু'টো ঋজুদা। মাধুকরী। কেন যে পড়িনি তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। এ ব্যাপারটা ঠিক করে নিতে হবে চটপট। কালবেলা-র নামটা ভালো মনে করিয়েছেন কৌশিক। দুর্দান্ত লেগেছিল, তবে আমার কেন যেন উত্তরাধিকার মনে দাগ কেটেছিল অনেক বেশি। খুব ভালো লাগল আপনার লিস্ট পড়ে।
Deleteপ্রথম দুটোয় মিল। রইল বাকি তিন। কারণ জানতে চেও না, বুঝিয়ে বলতে পারব না। কোনো নির্দিষ্ট অর্ডার না মেনে..
ReplyDelete1. A Farewell to Arms
2. One Flew Over The Cuckoo's Nest
3. The Thorn Bird
মাঝেরটা পড়েছি, শুরু আর শেষেরটা পড়ে ফেলতে হবে। থ্যাংক ইউ, অদিতি।
Deletetrilogy 1 : পথের পাঁচালি, অপরাজিত, কাজল (তারাদাস বন্দোপাধ্যায়)
ReplyDeleteআবার trilogy : প্রথম প্রতিশ্রুতি, সুবর্ণলতা, বকুলকথা (বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে আমার সব দমফাটা ইচ্ছের অপূর্ণতা, আকাশটার ধীরে ধীরে সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া, সব মৌন মুখরতা - সবাই ভাষা খুঁজে পাবে অনাগত কোনো একদিন, হয়ত অন্য এক প্রজন্মের মধ্য দিয়ে...
মহাভারত (অনেক version অনেক লেখকের)
আদর্শ হিন্দু হোটেল (হাজারির never say die attitude - পড়তে পড়তে সেই ছোটবেলায় সংক্রামিত হয়ে গেছে
গীতবিতান - জীবনের সবচেয়ে একলা সময়, সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোতেও পাশে থাকা সব অমূল্য পাথেয়
মনস্বিতা
তোমার প্রভাবশালী বইয়ের তালিকা পড়ে খুব ভালো লাগল, মনস্বিতা। দ্বিতীয় ট্রিলজিটা সম্পর্কে খুব ঠিক কথা বলেছ।
Deleteei khelata FB te khub ghurchhe.Tomar List er kichhu boi pora nei.Portei hobe. jodio kheladhulai amar boroi oniha tobu likhte bose porlam.
ReplyDelete1. Am atir bhnepu - ei boi amake prothom boike bhalobaste sekhai. nirjon garomer dupure
ekla sohure ami kakhon je Apu Durgar haat dhore gramer pothe pothe ghurte chole jetam tero petam na.Sei somoi khub afsosho hoto amar Durgar moton ekta didi nei bole ar protyekbar boier seshtate eshe du chokh bhijie bose thaktam... ajo ei boi er taan ekirakom roe gachhe.
2. Ha Ja Ba Ra La - ami khub beshikhon dukhyo nie bose thakte parina.ar dukhyer dine dukhyo
bhulte jodi keu amake sahajyo koren ta se Sukumar babu chhara ar keo non.jore jore
Ha ja Ba Ra La pore hese hese goragori khao ar bhule jao jagote "DUKHYO" bole kichhu achhe.
3. Prothom Protisruti - ager duto boi er moton ei boio ma i ene diechhilen. tobe keno bhalo laglo
se kotha ar ki boli.tumi ja likhechho seta pore, nije ki bolte chai bhule gechhi.
4. Sesher Kobita - Rabindranath er kachhe ami boro rini..otodin age boshe ekjon lekhok eto adhunik kotha ki kore likhe gelen.. sei bhebe bhebei obak hoi.. e amar boro priyo boi.
5. Pakdondi - Lila Mojumdar samogro ar Sukumar samogro pasha pashi thake. Pakdondi pore prothom autobiography porar nesha jage.
jodio khelatai 5 ta boi bolte bolechho kintu Phelu Mittir baad pore jachhe dekhe boro dukhyo hochhe.. tai ei sobar phnake phnake ei boitake ektu rekhe gelam -
Sonar Kella - amar pora prothom rahosso uponyas..pheludar songe ghurte ghurte kibhabe budhhir byabohar korte hoi ... bhari mojar khela lage.
থ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা। আমার একসময় অপুর থেকে দুর্গা বেশি প্রিয় ছিল। তখনও বুঝিনি যে অপুই গল্পের হিরো, দুর্গা নয়। আপনার সঙ্গে সব পছন্দই মিলেছে, তবে কেন জানি আমার শেষের কবিতা পড়তে অসুবিধে হয়। শক্ত লাগে।
Deleteসোনার কেল্লা নিয়ে আমার বলার কথা একটাই। বইটা বেশি ভালো না সিনেমাটা, সেটা আমি আজ পর্যন্ত স্থির করে উঠতে পারিনি।
সোনার কেল্লা নিয়ে আমার আবার একটা বিদঘুটে প্রশ্ন জাগে মাথায়! একজন মানসিক ভাবে অসুস্থ (বা অস্বাভাবিক) ন-দশ বছরের ছেলেকে সম্পূর্ণ অচেনা কিছু লোকের সঙ্গে কজন বাঙালি বাবা মা রাজস্থান পাঠাতে রাজি হন/হতেন? (স্বাভাবিক হলেও কি ছাড়েন?)
Deleteবেশির ভাগই রাজি হতেন না অদিতি। তাই তাঁদের ছেলেকে নিয়ে গল্প লেখা যেত না। গল্পের বাবামাদেরও একটু অস্বাভাবিক হতে হয় বোধহয়।
Deleteপছন্দের পাঁচটা বইয়ের নাম বলা খুব মুশকিল। চেষ্টা করছি তবুওঃ
ReplyDelete১। সুকুমার সমগ্র
২। দেশে বিদেশে
৩। পূর্ব পশ্চিম
৪। দূরবীন
৫। কালবেলা।
ধন্যবাদ, অরিজিত। আপনার তালিকা পড়ে খুব ভালো লাগল।
DeleteFB khub ekta pochhondo na..kintu ei khela ta besh legechhilo...Tomar list besh bhallaglo...amio chhotobelai durga ke bhalobastam..ekhono bashi :)..ei roilo amar list 1. thakurmar jhuli
ReplyDelete2. Bindu'r chhele(golpota amai onekdin bhabiechhilo...somporko je kono naam e badha jai na..seta ei golpo ta thekei shekha)
3. Heidi (Haystack er bichhanai shoar lobh ekhono roeche)
4. Kalbela
5. Sob feluda/shonku/harry potter
হাইডি আমি পড়িনি, অদ্বিতীয়া। পড়ব। থ্যাংক ইউ। তোমার লিস্ট পড়ে খুব ভালো লাগল। দুর্গাকে ভালোবাসতে জেনে আরও ভালো লাগল।
Delete*Trivia Alert*
ReplyDeleteJini ei Bookbucketchallenge jinis ta shuru karechen, Sujai Pillai, vadrolok amar purboton boss. Gem of a person. Eita pore dekhte paro- http://librariesofourlives.wordpress.com/2014/09/19/quilon-public-library-and-research-centre-kollam-kerala/
বাঃ, কী ভালো একটা জিনিস জানালে, কোয়েল। থ্যাংক ইউ।
DeleteA Tale of Two Cities
ReplyDeleteSei Samay
The Diary of Anne Frank ( boi bala jaay ki?)
To Kill a Mocking Bird
The Color Purple
Tomaar boi -er review gulo ki bhaloi naa hoyechhe! Asadharon. Duto baad-e bakigulo porini. Khub kam boi poRechhi jibone. A Confederacy of Dunces -er nayoker barnona shuruta poRe mone hochhilo A Brief Wondrous Life of Oscar Oao er katha.
Amita
কালার পার্পল আমারও বড় প্রিয় বই অমিতা। কিন্তু বড় দুঃখেরও। বই কম পড়ার দুঃখ আমারও আছে। সবথেকে বাজে ব্যাপারটা হচ্ছে যত দিন যাচ্ছে বই পড়ার স্পিড, আগ্রহ সবই কমে কমে যাচ্ছে। খুবই বিচ্ছিরি ব্যাপার।। আপনি অভ্র-র সঙ্গে যুদ্ধে জিততে পারেননি মনে হচ্ছে? কুছ পরোয়া নেই। খুব ভালো লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে। থ্যাংক ইউ।
DeleteTo kill a mocking bird dekhe durdanto legeche...lojja je aar pora hoyni ekhono. Amar listi taa holo erokom 1) Sesher kobita. 2) The out sider. 3) Herman Hess er Siddhartha 4) jiddu krishnamurty r sob kota writing 5) shankha ghosh er ondher sporsher moto .
ReplyDeleteকৃষ্ণমূর্তির কিছু পড়িনি আমি সাহানা। পড়ে দেখব। তোর লিস্ট পড়ে খুব্ ভালো লাগল। থ্যাংক ইউ।
Deleteএতদিনে আমি লিস্ট করতে পারলাম। তার একটা কারন আমি "যে কাজ কাল করলে চলে সেটা আজ করিনা" এই নীতিতে বিশ্বাসী। তবে আরো বড় কারণ হলো মোটে পাঁচটা বাছা। ভালোলাগা বই নয়; যে বই আমার জীবনে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে। অর্থাৎ এই বই না পড়লে আমি এই রকম মানুষ না হয়ে অন্য রকম হতাম।
Delete1 গীতবিতান
2 রামকৃষ্ণ কথামৃত
3 Physics, Foundations and Frontiers - Gamow & Cleveland
4 I am OK, You are OK - T.A.Harris
5 The Ascent of Man - Jacob Bronowski
6 Applied Imagination - Alex Osborn
(পাঁচটা নিলে একটা free )
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
"এই বই না পড়লে আমি এই রকম মানুষ না হয়ে অন্য রকম হতাম" কথাটা খুব মনে ধরল গৌতম। আপনার লিস্টের সাড়ে পাঁচটা (ফাউ সহ) বইই আমি পড়িনি। খুব ভালো লাগল আপনার প্রভাবশালী বইয়ের তালিকা পড়ে। থ্যাংক ইউ।
DeleteProthome-i ekta abantor kotha boli. Onek din pore "Physics, foundation and frontier" boi tar naam dekhlam. Amar khub favourite boi eta. Tobe eke thik ei list e dhorbo na, karon ei boi ta amar professional kajer songe jukto. Sei rokom i ar ekta boi holo Chaos (James Gleik) kintu seta o professional karone nicher list e dhorchi na. Goutombabu, apnar songe alaap kora jai ?
ReplyDeleteAmar list:
(1) Rabindranath er kobita (boi te bhag kora jabe na)
(2) Selfish Gene
(3) Shabnam
(4) Nirbasito-r Atmokotha (Upendranath Bandopadhya)
(5) Aporajito (Pother Pnachali boro bhoyanok boi, ekbar er por ar kichu tei pora jai na. Cinema ti o tai. Boddo beshi dukher )
Mojar kotha holo, keu i kintu ei list e Ramayan-Mahabharat er naam korenni.
Sombhoboto ota amader rokter modhye mishe gache bole. Ek i jukti te
sukumar roy o baad dilum.
এই দেখুন, কতদিন পর কেউ শবনম বইটার নাম করল। এই সেলফিশ জিন আমার কতদিন থেকে পড়ার ইচ্ছে, হচ্ছে আর না। বিশ্রী ব্যাপার। সুকুমার রায়ের নাম সত্যি আর আলাদা করে করার মানে হয় না। থ্যাংক ইউ, ঘনাদা। খুব ভালো লাগল আপনার লিস্ট পড়ে।
DeleteTo kill a mocking bird er bangla pdf er link ase ki??
ReplyDeleteআমার কাছে তো নেই।
Delete