নিয়ম মতো
সেদিন অফিস থেকে ফিরে
এঘরওঘর করছি, এমন সময় দরজায় টোকা। খুলে দেখি এক বয়স্ক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন। এক
হাতে বাজারের ব্যাগ, অন্য হাতে পাকানো আনন্দবাজার। আমার বাড়িতে সাধারণত এ চেহারার
অতিথি আসেন না। বিশেষ করে এই সময়। এই সময় যাঁরা আসেন তাঁদের বেশিরভাগেরই পরনে থাকে
ইউনিফর্ম, কারও কারও মাথায় টুপি, আর সবারই কাঁধে ঢাউস ব্যাগ। সেই ব্যাগ থেকে
নাতিশীতোষ্ণ প্যাকেট বার করে হাতে দিতে দিতে তাঁরা বলেন, ‘কেয়ারফুল ম্যাম, ইট’স হট।’
আমি একটুও না ভেবে করিডরের
উলটোদিকে বাড়িওয়ালার দরজা দেখিয়ে দিলাম।
আপনি যে বাড়ি খুঁজছেন সেটা
এটা নয়, ওটা।
ভদ্রলোক নড়লেন না।
উঁহু। এই বাড়িটাই। আগেও
একবার এসেছি, কেউ ছিল না।
আনন্দবাজার ধরা হাতের দুটো
আঙুল ব্যাগের মুখের ভেতর ঢুকে গেল। বেরিয়ে এল একটা মোটা আয়তাকার খাতা। খাতার মলাটে
নীল সাদা রুইতন ডিজাইন। খাতার অর্ধেক পাতার অর্ধেক ছেঁড়া।
আমার মুখ দিয়ে আরেকটু হলেই
বেরিয়ে যাচ্ছিল, ‘বাবামা বাড়ি নেই, পরে আসুন,’ সামলে নিলাম। ভদ্রলোক চাঁদা কেটে
বিল দিয়ে চলে গেলেন। রেখে গেলেন তিনটে কুপন। সপ্তমী অষ্টমী নবমী ভোগ ভোজনের। নট
ট্রান্সফারেবল। অ্যাডমিট টু। পরে দেখলাম কুপনের সঙ্গে একটা নির্ঘণ্টও রেখে গেছেন
ভদ্রলোক।
অবশ্য এমন নয় যে নির্ঘণ্ট
দেখে বুঝতে হবে এটা শরৎকাল। ভোরবেলা উঠে দরজা খুলে বারান্দায় দাঁড়ালে যে ঠাণ্ডা
হাওয়াটা সারা গায়ে ঝাপটা মারে সেটাই যথেষ্ট। হাওয়াটা থাকে বেশ খানিকক্ষণ। আমরা চা
খাই, হেডলাইন শুনি, জানালার ভারি পর্দা উড়ে উড়ে আমাদের গায়ে পড়ে। অফিসে
আসার সময় অটোর ফাঁক দিয়ে গলা বাড়িয়ে থাকতে কী যে আরাম। ফেরার পথেও সেই আরামটা টের
পাই। মূলচন্দের জ্যামে দাঁড়ানো সাতশো গাড়ির ফাঁক গলে এসে হাওয়া আমাদের গালে হাত বুলোয়।
পাড়ায় ঢুকে পড়লে তো আর
সন্দেহ থাকার জো নেই। সি. আর. পার্কের গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে যত্রতত্র দেখা
যাচ্ছে বাঁশের খাঁচা। বেশিরভাগ খাঁচাতেই ত্রিপলের ঢাকনি পড়তে শুরু করেছে, কেউ কেউ
এখনও খালি মাথায় দাঁড়িয়ে আছে। আমার মতো স্টেজে মারার তাল এদের। মোড়ের মাথায় উঁচু
উচু হোর্ডিং-এ চেনা চেনা নাম। বেশি চেনা নামেদের সিনসিন্যাটির প্যান্ডেল ছোঁ মেরে
নিয়ে গেছে। পকেট ফর্টির কপালে নাচছে মাঝারি সেলিব্রিটি।
এই পকেট ফর্টির প্যান্ডেলেই
আসতাম দল বেঁধে। সুমনের গান শুনতে। ক্যাকটাসের নাচ দেখতে। কিছু একটা হলেই হল। দেখাশোনাটা তো কথা নয়, সবাই মিলে হল্লা করতে করতে যাওয়াটাই বড় কথা। অথেনটিক ফুচকা, এগরোল
খাওয়া। সময়টা ছিল ফার্স্ট সেমেস্টার। বাঁধা বাছুর ছাড়া পেয়েছে তখন সবে কয়েকমাস।
এখনকার তুলনায় তখন আমার মাথায় অন্তত নব্বই শতাংশ চুল কম পাকা ছিল, রাতজাগার ক্ষমতা
অন্তত একশো শতাংশ বেশি ছিল, মানুষের প্রতি বিশ্বাস অসীম ছিল আর নিজের প্রতি
বিশ্বাস প্রায় ছিলই না।
আর ছিল হল্লা করার ক্ষমতা।
সে হল্লার কথা মনে করলেও এখন আমার ক্লান্ত লাগে। পাঁচটা দিন নাগাড়ে বাঁই বাঁই করে ঘুরছি। সি. আর. পার্ক থেকে সফদরজং, সফদরজং ত্থেকে মন্দির মার্গ, মন্দির মার্গ থেকে দুর্গাবাড়ি, প্যান্ডেলের বদলে কালীবাড়ি হপিং। ঘুরছি আর ননস্টপ মুখ চলছে। ফুচকার পর বিরিয়ানি, বিরিয়ানির পর আলুর চপ, আলুর চপের পর লিমকা, লিমকার পর এগরোল। এত খাচ্ছি অথচ একটাও চোঁয়াঢেঁকুর উঠছে না, বুক একটুও জ্বলছে না, গায়ে একটুও গত্তি লাগছে না।
বছর ঘুরে থার্ড সেমেস্টার
আসতে আসতেই স্বাধীনতা পুরোনো হয়ে গেল, আর হল্লা থেকেও মন উঠে গেল। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরার প্রশ্নই নেই। তবু
সি. আর. পার্কের পুজো দেখতে আসার একটা পাট থেকেই যেত। ভিড়ের সঙ্গে নয়, খালি আমি আর স। টিভিতে মহিলা
সেলিব্রিটিদের মাঝে মাঝেই বলতে শুনি, তাঁরা নাকি চিরকালই মেয়েদের থেকে ছেলেদের সঙ্গে
বেশি রিলেট করতে পেরেছেন, চিরদিন মেয়েদের থেকে ছেলেদের সঙ্গেই তাঁদের মেন্টালিটি
বেশি ম্যাচ করেছে। আমার আবার উল্টো। এ যাবত যে ক’টি মানুষের সঙ্গে আমি আদৌ রিলেট করতে
পেরেছি তাদের অধিকাংশই মেয়ে।
বাইরে থেকে দেখলে স-এর
সঙ্গে আমার কোথাও কোনও মিল ছিল না। না চেহারায়, না বুদ্ধিতে, না যেটাকে
ব্যাকগ্রাউন্ড বলে সেটায়। তবু স-এর সঙ্গে আমার মেন্টালিটি খাপেখাপে ম্যাচ করেছিল। প্রশংসা
করার মতো স-এর অনেক জিনিস ছিল, কিন্তু আমাকে যেটা সবথেকে অবাক করত সেটা 'রাস্তার খাবার' সম্পর্কে স-এর বুৎপত্তি। খালি ফুচকা,
এগরোল খেয়েই আমি নিজেকে বিশাল হনু মনে করতাম, স-এর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর একটা জগৎ
আমার সামনে খুলে গেল। পৃথিবীতে যে এত রকমের চুরন থাকতে পারে, সেটা স না থাকলে আমি জানতে পারতাম না। আর এত রকম ফ্লেভারের চুসকি। তেইশ
বছরের জীবনে আমি কোনওদিন বুড়ির চুল খাইনি শুনে মেলা গ্রাউন্ডর প্যান্ডলের সামনে দাঁড়িয়ে স-এর হাঁ-টা আমার এখনও চোখে ভাসে।
মাত্র দশবারো বছর কেটেছে, অথচ সেই আমিকে এই আমি আর চিনতেই পারি না। এখন প্যান্ডেল প্যান্ডেল ঘুরে সেলিব্রিটি দেখতে যাওয়ার কথা কল্পনা করলেও কান্না পায়, তেলেভাজা খাওয়ার কথা ছেড়েই দিলাম। এখন পুজোটা আরেকটা নিয়ম। টিকিট কেটে বাড়ি যাওয়াটা একটা নিয়ম, ঠাকুর দেখতে বেরোনোটা
একটা নিয়ম, মার্কেটিং করতে যাওয়াটা একটা নিয়ম। আমি তোমার জন্য জামাকাপড় কিনব, তুমি
আমার জন্য জামাকাপড় কিনবে। আমার তোমার কারও আলমারিতেই আর একটা রুমাল রাখারও জায়গা
নেই, তবুও নিয়ম ভাঙা চলবে না। বিজয়ার ফোন, সেও নিয়ম করে।
আজ ভোরবেলা অ্যালার্ম থামিয়ে
মটকা মেরে আছি, এমন সময় একটা আওয়াজ কানে এল। দু’সেকেন্ড শুনেই চিনতে পারলাম। মহিষাসুরমর্দিনী
চালিয়েছে কেউ রেডিওয়। নিয়ম করে নিজে শুনছে, পাড়ার লোককে শোনাচ্ছে। আমি উঠে দরজা
খুলে বারান্দায় বেরিয়ে এলাম। ঘরের ভেতর থেকে বাইরের তাপমাত্রা অন্তত তিন ডিগ্রি
কম। চিলতে বারান্দায় ফোল্ডিং আলনার
গা ঘেঁষে দাঁড়ালাম। রেডিওয় শাঁখ বাজছে। আর কোনও শব্দ নেই কোথাও। আকাশের কালচে নীল গায়ে জ্বলজ্বল করছে কালপুরুষের কোমরের বেল্ট। আলতো হাওয়ায় আলনায় মেলা জামা দুলছে। এটা যেন কার
গলা? দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়? নাকি তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়? আমার সবসময় গুলিয়ে যায়।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে আমি রেডিও শুনতে লাগলাম। এত ঘটা করে সকালে উঠি কাজ করব বলে। কিন্তু ঠাণ্ডা
হাওয়াটাকে ছেড়ে, (গানগুলোকে ছেড়েও) ভেতরে যেতে ইচ্ছে করছিল না। ‘ওগো আমার আগমনী’
শুরু হল। আমার ফেভারিট। এই সাতসকালে মালকোষ, কানে লাগে না কিন্তু। এক্ষুনি শেষ হয়ে
যাবে মহালয়া। তিথিনির্ঘণ্ট মানলে হয়তো থাকবে আরও কিছুক্ষণ, কিন্তু আমি
মহালয়া বলতে যা বুঝি, যা বুঝে এসেছি জ্ঞান হওয়া ইস্তক, সেটা শেষ হয়ে যাবে। শুরু
হয়ে যাবে অটো, অফিস, বাজার, দোকান, ডাক্তারখানা সম্বলিত আর একটা দিন। বছরের বাকি
তিনশো চৌষট্টি দিনের সঙ্গে যার কোনও ফারাক নেই। আকাশের কালো
ছাপিয়ে নীলের তেজ বাড়ছে, ফিকে হয়ে আসছে কালপুরুষের বেল্ট। চারপাশে আলো ফুটছে। রেডিও বন্ধ হয়ে গেল। আমি
ঘরে ঢুকে এলাম। বিছানায় রাখা ফোনটা তুলে নিয়ে নিয়ম মতো স্পিড ডায়ালের খোপটায় আঙুল
ছোঁয়ালাম, একবার বাজতে না বাজতেই নিয়ম মতো ওদিক থেকে হাসিহাসি ‘হ্যালো’ ভেসে এল।
বললাম, ‘শুভ মহালয়া, মা। আর
ক’দিন বাদেই তোমার সঙ্গে দেখা হবে। কী মজা।’
dosh-baro bochor ki kom holo kuntala-debi ?
ReplyDeleteতাও বটে, ঘনাদা। ঘড়ি তো নয়, ঘোড়া।
Deleteচোখ হালকা ভিজিয়ে দিলেন। মা কে একই কথা বলার জায়গায় আমিও ! কিন্তু টিকিট টা এখনো ওয়েটিং এ । একটা তত্কালের ভরসা এ আছি ।
ReplyDeleteপেয়ে যাবেন তৎকাল। এই আমি মাদুর্গাকে বলে রাখলাম।
Deleteএই যাঃ
ReplyDeleteপুজোয় বাড়ি যাচ্ছেন? আমি আরো ভাবলাম পকেট ফর্টির প্যান্ডেলে আপনার সাথে দেখা হবে। আমিও যাই তো, প্রতিবার। বছর দশেক আগে গিন্নি পকেট ফর্টিতে পেয়িং গেস্ট থাকতেন, সেই সুবাদে এখনও রেসিডেন্ট পাস পান। তার জন্য খিচুড়ির জন্য লাইন দিতে হয়ে না। চাঁদাটা অবশ্য খিচুড়ি খেয়ে উঠেই দিই।
আচ্ছা, পুজোয় সবচেয়ে ফুর্তি কার হয় বলুন দিকি?
পারলেন না তো? শিবঠাকুর। দশ দিনের ব্যাচেলর পার্টি।
এ মা, কী বাজে হল, দেবাশিস। নেক্সট বছর পকেট ফর্টির প্যান্ডেলে আমি থাকবই থাকব। তখন দেখা হবে ঠিক। শিবঠাকুরকে আমার পছন্দ বেশ।
Deleteআজকের লেখাটা এক জব্বর সঞ্চয়। ভবিষ্যতের জন্য ভালোই তো ব্যাঙ্কব্যালান্স হয়েছে ঠাকুমা কুন্তলার। আর বছর কুড়ি পরের থেকে তো এগুলো ভাঙিয়েই নাতি নাতকুড়ের কাছে তিনি হয়ে উঠবেন the most favourite granny. তাই না?
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, মালবিকা।
Deleteবাঃ, আপনি বাড়ি যাচ্ছেন বুঝি? আমার কতদিন দেশের পুজো দেখা হয়নি, ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মহিষাসুরমর্দিনী অবশ্য শুনেছি সকালে। এখানেও হাওয়ায় শরতের ছোঁয়া লেগেছে, গাছে রঙ ধরা শুরু হয়েছে।
ReplyDeleteগুড গুড, সুগত। হ্যাঁ, এ বছর খুব ঠাকুর দেখার প্ল্যান আছে। ছবি তুলে আনব।
Deleteদারুণ লিখেছেন। পূজোর মুডটা একদম সেট করে দিলেন যাকে বলে। :)
ReplyDeleteশুভ মহালয়া।
থ্যাংক ইউ, অরিজিত। পুনেতেই থাকছেন পুজোয়, না কলকাতা যাচ্ছেন?
Deleteপুণেতে এখন আর থাকিনা কুন্তলা, গতমাসে মুম্বই শিফট করেছি। নতুন চাকরী, তাই পূজোয় কলকাতা যায়া হচ্ছে না।
Deleteওহ, আচ্ছা।
DeleteAmi vablam apni rastar khabar er gunogan korbe, Ommm!!! Tar bodole dilen to senti kore...
ReplyDeleteআমার দোষ নেই, অর্ণব। ওয়েদারটাই সেন্টি।
Delete১৪ বছর বাঙ্গালোরে পূজা দেখার পর এই মাসের শুরু থেকে দিল্লী বাসী হলুম। অবশ্য দুনিয়া'র সব প্রান্তে-ই weather এই সময় কেমন যেন পুজো - পুজো হয়ে যায়, কিন্তু দিল্লী তে মনে হছে বাঙ্গালোরের থেকে একটু বেশি হয়। আশা করছি চিত্তরঞ্জন পার্ক নিরাশ করবে না।
ReplyDeleteদিল্লিতে সুস্বাগতম, তীর্থ। সি. আর. পার্কে পুজো দেখতে অবশ্য করে আসবেন, আর ফুচকা খেতে হলে এক নম্বর মার্কেটে রাজ মেডিকোর উলটোদিকের ফুচকাওয়ালার থেকেই খাবেন। বাকি সব গোলগাপ্পা হয়ে গেছে।
Deletesubho mahalaya Kuntala :) ar kodin porei asa kori tor sange amar dekha hobe !- tinni
ReplyDeleteহবে হবে! নিশ্চয় হবে তিন্নি। আমার তো ভাবতেই লাফাতে ইচ্ছে করছে।
Deleteপুজোর আমেজ পুরো লেখাটা জুড়ে... দেখলে হয়তো কিচ্ছুটি নেই... কিন্তু ভিতরটাই কেমন ভরে যায়। ধন্যবাদ!
ReplyDeleteআরে আপনি ধন্যবাদ দিচ্ছেন কি সৌরাংশু। আমারই তো আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। লেখা পড়ে ভালো লাগা আর সে ভালো লাগা জানানোর জন্য। থ্যাংক ইউ। আপনি কি এখানেই থাকছেন পুজোয়?
Deleteআমি তো গত ১১ বছর শহর কোলকাতায় যাই নি পূজোয়। :-/
Deleteওরে বাবা!
Deleteপুজোয় তুমি আর জিষ্ণু বাড়ি যাচ্ছ বুঝি ? তিন্নিরাও আসবে ? দারুন মজা তো বুবুলদিদির !!! আমাদের-ও অবশ্য মজা কম নয় .....কেরল কন্যাকুমারী যাচ্ছি ............দুই সেট মা বাবাকে নিয়ে !!! ভালো করে ঘুরে এসো, পরে দেখা হবে !
ReplyDeleteআমি, জিষ্ণু, তিন্নি সবাই মিলে যাচ্ছিই শুধু না, সবাই মিলে ঠাকুর দেখতেও বেরোচ্ছি, বুবুলদিদি শুদ্ধু। দারুণ মজা হবে তিলকমামা। তোমাদেরও তো খুব মজা হবে। খুব ভালো করে ঘুরে এস, তারপর তোমাদের থেকে কেরলভ্রমণের টিপস নেব।
DeleteArre, "Ogo amar agomon" ta amaro sobcheye favourite! Mohaloyar shubhechchha tomake. Pujo jano khub bhalo kaatey ebar. :)
ReplyDeleteSaptami majhraatey Kolkata pouchhochchhi. Airport theke bari kikore pouchhobo bhabtei gaaye jwor ashchhe. :/
ইস বিম্ববতী, আমরা পৌঁছচ্ছি ষষ্ঠীর মাঝ্রাতে। তোমার আমার মাঝরাত কোইনসাইড করলে বাড়ি ফেরার একটা মিলিত ফন্দি ভাঁজা যেত। তুমিও আমার অনেক প্রাকপূজা শুভেচ্ছা নিও, পুজো তোমারও খুব খুব ভালো কাটুক।
Delete"মহিষাসুরমর্দিনী" die pujor suruta amio kore niechhi... Pujor dingulor jonye onek subhechha roilo. Khub khuub anonde katuk ... thakur dekha ar pujor khabar dabarer galpo ar chhobi duii chai kintu .
ReplyDeleteনিশ্চয় নিশ্চয়, ইচ্ছাডানা। ছবি, গল্প সব নিয়ে আসার ইচ্ছে আমারও। আপনাকেও আমার শারদীয়া শুভেচ্ছা জানাই।
Deleteamar ebar pujote kolkata fera hochche na.office e kajer chap,client dhomkeche,tai besi chuti dite parbe na,tai chennai tei pujo dekhe dudh er shwad condensed milk e metaate hobe..pujo te ekta natok korchi ekhan kar bangali ra mile..dekhi koto dur ki hoy..majher weekend e tai bangalore e jabo dui priyo bondhur sathe dui din katiye aste.bhalo thakben..asha kori apnar pujor lekha pore mon kharap kichu ta katate parbo.shubho sharodotsob :)
ReplyDeleteএই রে ঋতম, আমার তো দুধের থেকে কনডেনসড মিল্ক বেশি ভালো লাগে। তোমরা নাটক করছ জেনে খুব ভালো লাগল। কী নাটক?
Deletekaakchoritro,manij mitrar lekha
Deleteগুড গুড। খুব ভালো হবে তোমাদের নাটক, এই আমি বলে রাখছি।
DeleteGoto bochor Paris e ketechilo, ebar nischoi furti onek besi hobe. Amader kopale sei pora Vienna r pujo ... Shubhabrata
ReplyDeleteআরে শুভব্রত, তুমি ভিয়েনার পুজো দেখতে হবে বলে হাহুতাশ করছ, দেশে বসে কত লোক ভিয়েনার পুজো দেখা হচ্ছে না বলে হাহুতাশ করছে। সবই নদীর এপারওপার। তবে প্ল্যানপ্রোগ্রাম যে রকম হয়েছে, এবার আমার ফুর্তি সত্যিই অনেক বেশি হওয়ার কথা।
Deleteতোমার আর সুদীপ্তার পুজো খুব ভালো কাটুক এই কামনা রইল।
লেখাটা ৩ দিন পর কেন দেখলাম বুঝতে পারছিনা..খুব সুন্দর লাগলো ..বাড়ি আসাই পুজোর বিশাল মজা তাই না? .. আমি ২ বছর বাড়ির বাইরে ছিলাম.. সবথেকে আনন্দের ব্যাপার এটাই ছিল টিকেট কাটা ব্যাগ গোছানো .. . আর ষষ্ঠীর দিন সবাইকে টাটা করা... হা হা হা। .. :) কলকাতার সন্ধেবেলা গত ২ বছর ধরে দেখছি ক্যামেরা আর মোবাইল এর ফাঁক দিয়ে ঠাকুর এর মুখ দেখতে হচ্ছে.. আশা করি তোমার প্ল্যান খুব ভালো হবে.. ভালো ছবি আর অনেক লেখা পাব..
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ঊর্মি। আমাদের সকাল সকাল ঠাকুর দেখতে বেরোনোর প্ল্যান আছে, আশা করি মোবাইলের ভিড় খানিকটা এড়ানো যাবে। তবে সবাই যদি আমাদের মতো বুদ্ধি খাটিয়ে সকাল সকাল বেরোয় তবেই হয়েছে। ছবি তোলার ইচ্ছে আমারও আছে, দেখা যাক কতখানি কী হয়।
Delete