পাঁচ
কাউকে যে কথা বলার নয়, ঠিক সেই কথাটাই সবাইকে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে। না
হলেই সেই নাপিতের মতো পেট ফেটে মরার দশা হয়। আর মরতে না চাইলে একটা ভালো দেখে গাছ
খুঁজে বার করতে হয়। রাতের বেলা চুপি চুপি গিয়ে যার কোটরে গিয়ে কথাটা জমা রেখে আসা যাবে।
গত বছর আমারও নাপিতের দশা হয়েছিল। অবান্তর বই হিসেবে বেরোনোর ব্যাপারটা সবে
নিশ্চিত হয়েছে। মনে
ফুর্তির ঢেউ, কিন্তু সে ফুর্তি প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বাড়িতে থাকলে তাও একরকম হত,
রোজ ঘণ্টায় একবার করে বিষয়টা উত্থাপন করে অর্চিষ্মানকে জ্বালানো যেত। কিন্তু আমি
তখন বাড়ির ত্রিসীমানায় নেই। বন শহরে গ্লোবাল সাউথের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি। জ্বালাতে চাইলে স্কাইপ খুলে
জ্বালানোই যায়, কিন্তু বৈদ্যুতিন জ্বালাতনে সে তৃপ্তি নেই।
এমন গোলমেলে সময়ে আমাদের ট্রেনিং-এর মধ্যে দিন তিনেকের আর একটি মিনি
ট্রেনিং-এর আবির্ভাব হল। লিডারশিপ ট্রেনিং। এক সোমবার সক্কালসক্কাল সবাই মিলে বাসে
চেপে বন শহর থেকে একঘণ্টা দূরের একটা সত্যি সত্যি বনের মধ্যে গিয়ে উপস্থিত হলাম। বনের
ভেতর দোকানপাট সুপারমার্কেট বিউটিপার্লার মাল্টিপ্লেক্স কিচ্ছু নেই। আছে শুধু এদিক
ওদিক ছড়ানো দুয়েকটা বাড়ি আর একখানা পেল্লায় হোটেল। সেই হোটেলেই আমরা
তিনদিন তিনরাত খাবদাবঘুমোব আর কনফারেন্স রুমে বসে সারাদিন আমাদের মধ্যেকার নেতৃত্ব
দেওয়ার সুপ্ত সম্ভাবনায় ধোঁয়া দেব।
সে ট্রেনিং-এর বৃত্তান্ত একদিন আপনাদের খেলিয়ে বলব, কারণ সে বলার মতোই জিনিস,
তবে আজ নয়। আজ শুধু ট্রেনিং-এর একটা বিশেষ অংশের কথাই বলি। যে সে অংশ নয়, সবথেকে
খতরনাক অংশ।
জিনিসটার নাম সার্কল। জিনিসটার চেহারা তো নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, কাজটা অনেকটা
তাৎক্ষণিক বক্তৃতার মতো। তফাৎ
হচ্ছে সার্কলে বক্তৃতার কোনও বিষয় নেই। যে যা খুশি বলতে পারে। তবে নিজের ‘ফিলিংস’-এর
কথা বলতেই বেশি উৎসাহ দেওয়া হয়। মা যে বলেন, সমস্যার
কথা একা একা বসে ভাবার থেকে অন্যের সঙ্গে (অর্থাৎ কি না ওঁর সঙ্গে) ভাগ করে নিলে
অনেক সময় সমাধানের পথ বেরিয়ে আসে, সার্কলের মূল কথাটিও সেটি। আপনি আপনার গভীর গোপন
সুখদুঃখজ্বালাযন্ত্রণার কথা বৃত্তের সবার সঙ্গে ভাগ করে নেবেন, নিয়ে হালকা হবেন,
এটাই হচ্ছে সার্কলের উদ্দেশ্য।
সেদিন ছিল ট্রেনিং-এর শেষ দিন। বিকেলবেলা বাস আসবে, এসে আমাদের এই জঙ্গল থেকে সভ্যতায়
ফেরৎ নিয়ে যাবে। আর ক’ঘণ্টা বাদেই সুপারমার্কেটে গিয়ে দেদার পয়সা খরচ করতে পারার
উত্তেজনায় সবার মুখ চকচক করছে। সবাই উৎফুল্ল মনে সার্কেলে গিয়ে বসেছি। দিদিমণি আর
দিদিমণির স্যাঙাতের সঙ্গে হাই হ্যালো হয়েছে। দিদিমণি তাঁর প্রশান্ত চোখদুটি
সার্কেলের সবার মুখের ওপর ঘুরিয়ে এনেছেন। আমরা কান খাড়া করে অপেক্ষা করছি কখন
দিদিমণি কিছু বললেন। অবশেষে
দিদিমণি বললেন,
‘শেষ দিন আর দুঃখের কথা নয়। আজ আমরা সবাই আমাদের আনন্দের কথা বলব। অহংকারের
কথা। গর্বের কথা। আর আজ সার্কল ওপেন করবে . . .’
এই না বলে দিদিমণি আমার দিকে ফিরে তাঁর ভুবনমোহিনী হাসি হাসলেন।
‘. . . খুনঠ্যালা।’
অমনি সর্বনাশটা ঘটে গেল। অতর্কিত হামলার মুখে পড়ে আমি টাল হারালাম, আর আমার
জিভের ডগায় যে কথাটা ‘বেরোই বেরোই’ করে নাচানাচি করছিল সেটা এই সুযোগে বন্দুকের
গুলির মতো ছিটকে বেরিয়ে পড়ল।
‘আগামী বছর কলকাতা বইমেলায় আমার একটা বই বেরোচ্ছে।’
বাক্যটা শেষ হওয়ারও আগে বুঝেছিলাম কী কেলেংকারি করে ফেললাম, কিন্তু তখন আর
ফেরার উপায় নেই। চটাপট হাততালি, ‘ওয়াও!’ আর ‘র্যাড ম্যান!’ থামার পর একজন
জিজ্ঞাসা করল,
‘হোয়াট ইস ইট অ্যাবাউট?’
‘ইট’স . . . ইট’স অ্যাবাউট মাই লাইফ আই গেস।’
কে বুঝতে পারলাম না, গোলের মধ্যে থেকে একজন কেউ ফোড়ন দিলেন।
‘অলরেডি?’
*****
আমি দায়িত্ব নিয়ে শুধু নিজের পছন্দের কথাই বলতে পারি, দু-তিনটে ছাড়া আর যত
ক’টা (বেশি নয়, স্বীকার করছি) আত্মজীবনী আমি পড়েছি কোনওটাই আমার বিশেষ সুবিধের
লাগেনি। লেখার দোষে নয়। আমার অনেক প্রিয় লেখক আত্মজীবনী লিখেছেন। আমার মতে সেগুলোর
কোনওটাকেই তাঁদের সৃষ্টির তালিকায় প্রথম পাঁচ কেন, প্রথম পনেরোতেও রাখা যায় না।
তার কারণ হচ্ছে সত্যিকারের জীবনের কথা ছাপার অক্ষরে পড়লে বোঝা যায় মানুষের জীবন
আসলে কত কম ইন্টারেস্টিং। সে
আপনি যতই বুদ্ধিমান হোন না কেন, আপনার বাড়িভর্তি যতই বিখ্যাত আত্মীয়স্বজন থাকুক না
কেন, আপনারও জীবন আসলে সেই থোড়বড়িখাড়া আর খাড়াবড়িথোড়।
কী খেলাম, কোথায় গেলাম, আজ সকালে উঠে আমার কী কী গভীর কথা মনে হল। ব্যস।
অথচ গত পাঁচ বছর ধরে আমি ফেনিয়ে ফেনিয়ে আমার সেই থোড়বড়িখাড়া জীবনের প্যাঁচাল
পেড়ে চলেছি। বুদ্ধি বা বিখ্যাত আত্মীয়, দুটোর একটাও না থাকা সত্ত্বেও দমছি না
মোটেই।
আর তাই আপনারা, গত পাঁচ বছর ধরে যাঁরা এই চর্বিতচর্বণ পড়েছেন, তাঁদের প্রতি
আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম অবান্তরের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে আপনাদের সবার নাম ধরে
কৃতজ্ঞতা জানাব। আপনারা সবাই সমষ্টিগতভাবে অবান্তরের পাঠক ঠিকই, কিন্তু তা ছাড়াও
আপনাদের নিজস্ব উপস্থিতি আছে যা একে অপরের থেকে একান্ত স্বতন্ত্র। আপনারা কেউ আমার
বাড়ির লোক, কেউ পঁচিশ বছরের পুরোনো বন্ধু, আর বাকিদের বেশিরভাগকেই আমি কোনওদিন
চর্মচোখে দেখিনি। দেখার সম্ভাবনাও প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু চোখে দেখা অনেক
লোকের থেকে আমি আপনাদের অনেক কাছ থেকে চিনি। অন্তত আমার সে রকম ভাবতে ভালো লাগে। নাম
দেখারও আগে, আপনাদের লেখা দু’লাইন পড়েই আমি বলে দিতে পারি আপনারা কারা।
শুধু আমি না, অনেকেই পারেন। আপনাদের অনেকেরই নিজস্ব অনুরাগী আছে, এই অবান্তরেই।
আমার মতো তাঁরাও নাম না দেখেই আপনাদের চিনতে পারেন। তাঁরা আমাকে মেল করে বলেন, ‘ওই
যে ও আছে না? আমার ওর কমেন্ট পড়ে খুব ভালো লাগে।’ আমি উত্তর দিই, ‘আমারও।’
সকলেই বাকি সবার থেকে আলাদা হতে চায়, অবান্তরও চায় নিশ্চয়। আর অবান্তরের সে
ইচ্ছের এক কণাও যদি পূরণ হয়ে থাকে, তার কৃতিত্ব কেবল আপনাদের। অবান্তরের থেকে
অবান্তরের কমেন্টসের পাঠক যে অন্তত পাঁচগুণ বেশি সে নিয়ে আমার কোনও সংশয় নেই। বুদ্ধি, রসবোধ, আগ্রহ, উদ্দীপনা দিয়ে আপনারা অবান্তরকে যে ভাবে ঝকঝকে করে রাখেন, আমি একা হাতে তা কিছুতেই পারতাম না। কিছুতেই না।
অনেক কথা বলেও আপনাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, মুগ্ধতা, ঋণ, ভালোবাসার কথা আমি
ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, কাজেই সে চেষ্টায় ক্ষান্ত দিচ্ছি। তবে ক্ষান্ত দেওয়ার
আগে যার জন্মদিন তাকে নিয়ে কিছু না বললে নিতান্ত অন্যায় হয়ে যাবে।
বলতে গেলে অবশ্য খারাপ কথাটাই আগে বলতে হয়। গত পাঁচ বছরে অবান্তর আমার অনেক
ক্ষতি করেছে। সময় নষ্টের কথা যদি ছেড়েও দিই, মানুষ হিসেবে আমাকে কান ধরে টেনে
নামিয়েছে অবান্তর। আমাকে
এমন একজন বিতিকিচ্ছিরি মানুষে পরিণত করেছে যে প্রশংসায় ভোলে, নিন্দায় রাগে, কে কী
বলল সেই নিয়ে মাথা ঘামায়।
লেখারও আগে সে লেখা ক’জন পড়বে সেই হিসেব কষে।
কিন্তু অনেকদিন আগে কে যেন আমাকে বলেছিল, নিচে না নামলে জীবনে আসলে কোনও মজা
নেই। উচ্চমার্গ জায়গাটা কথায় যত ভালো, কাজে ততটাই বোরিং। অবান্তর আমাকে সে কথা
হাতেনাতে বিশ্বাস করিয়ে ছেড়েছে। গত পাঁচ বছরে যত আনন্দ সে আমাকে দিয়েছে পৃথিবীতে খুব
কম জিনিসের কাছেই আমি তা পেয়েছি, মানুষের কথা তো ছেড়েই দিলাম।
গত পাঁচ বছরে অবান্তর আমাকে এমন একটা কাজের খোঁজ দিয়েছে যেটা করতে আমার সত্যি
সত্যি সত্যিইইইই ভালো লাগে। এত ভালো লাগে যে কেমন-পারির তোয়াক্কা না করে সে কাজটা
আমি করে যেতে পারি ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন।
নিজের জীবনের কথা নিজের মুখে বলার মধ্যে যতই নির্লজ্জতা থাক না কেন, লজ্জার
মাথা খেয়ে আমাকে স্বীকার করতেই হবে, অবান্তর লিখতে আমি একটুও লজ্জা পাই না। গত
পাঁচ বছরে একদিনও পাইনি, আগামী পাঁচ কোটি বছরেও পাব না।
হ্যাপি বার্থডে, অবান্তর। তোমাকে কিছু দেওয়ার নেই আমার, আগামী পাঁচ কোটি বছর
ধরে এই দিনটা আমার জীবনে ফিরে ফিরে আসুক, মনের ভেতর থেকে এইটুকু শুধু চেয়ে রাখলাম।
bah ,Kuntala ,anek anek shubheccha ..:) :) :) - tinni
ReplyDeleteধন্যবাদ, তিন্নি।
Deleteonek onek subhechaa,bhalobasa Kuntala...Abantar ke o ....
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, সুমনা। খুব ভালো লাগল তোমার শুভেচ্ছা পেয়ে। এই ফাঁকে বলে রাখি, কমেন্টের পাশে তোমার ছবিটা দেখলেই আমার মন ভালো হয়ে যায়।
Deletethank you so much kuntala....r abantar je sob tension ar stress theke kichukhoner jonnyo amar palabar jayga...
Deletejio abantor...jio K...GO...GO....GO
ReplyDeleteহাহাহা, থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ শম্পা। গোয়েন্দা নিয়ে লেখা একটা পোস্টে তুমি প্রথম কমেন্ট করেছিলে। আমি তখন কলকাতায়। আরও ঠিক করে বললে বি. টি. রোডের জ্যামে মায়ের সঙ্গে ট্যাক্সির ভেতর বসে ঘামছি। এমন সময় অর্চিষ্মান ফোন করেছিল। আরও পাঁচটা আবোলতাবোল কথা বলার পর আমি আর থাকতে পারলাম না, জিজ্ঞাসা করে ফেললাম, 'নতুন কমেন্ট পড়েছে গো?' অর্চিষ্মান ব্যাজার গলায় কমেন্টের খতিয়ান দিল, অমুকে তমুকে আর শম্পা বলে একজন।
Deleteতুমি ভাগ্যিস কমেন্ট করেছিলে শম্পা। না হলে আমার জ্যানিসরি ট্রি পড়া হত না, পি ডি জেমস পড়া হত না, চার্লস স্মিথ পড়া হত না। ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। থ্যাংক ইউ।
ওহ, এমন একজনকেও চেনা হত না যার জন্মদিন আমার সঙ্গে মেলে।
DeleteK. tomar blog aami 2011 shaaler poila august theke porchi. mini mitir er premer goppo porte giye "hooked" hoye gelam. tarpor pori kintu comment kori na till goyenda post. btw, yashim series e ekta notun boi beriyechey (the baklava club) tobe oto ta bhalo laglo na. tumi chotpot snake stone, bellini card aar evil eye ta pore felo!
Deleteআরিব্বাস! একেবারে তিন তিনখানা নতুন বইয়ের নাম! থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। মিনি মিত্তিরের প্রেমের গপ্পর কথা মনে পড়ে কী রকম নস্ট্যালজিক লাগছে। কবেকার কথা, অ্যাঁ?
Delete1. জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা !
ReplyDelete২. 'Rad man' পড়ে প্রচন্ড হাসি পেল, আমি ভাবতাম আমার teenager ছেলের বন্ধুরা ছাড়া ঐসব কেউ বলেনা, তা নয় তোমাদের মত জ্ঞানী গুনি researcher রাও বলে দেখি!
৩. লেখাটা পড়তে পড়তে একটা ভয় করছিল, এত সুন্দর করে অবান্তর এ লেখার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করছ। এই না বলে বসো পাঁচ বছরের জন্মদিনে অবান্তর এর পাতা বন্ধ করলে। মিথ্যে বলব না, খানিকক্ষণ পড়ে স্ক্রোল করে না দেখে পারলাম না - অবান্তর থাকছে!!
ধন্যবাদ ধন্যবাদ কাকলি। অবান্তর থাকছে তো বটেই, আপনারা ফস করে কোথাও চলে যাবেন না, এইটিই আমার অনুরোধ। রিসার্চারদের থেকে বড় 'টিনএজার' আমি বেশি দেখিনি, কাজেই . . .
DeleteOnek shubhechchha Abantorke ar apnakeo :)
ReplyDeleteBon shahorer ghotonata maratmok :D
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, সায়ন। বন শহরের ঘটনাটার কথা আর বোলো না, এখনও মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখি।
Deleteঅবান্তরকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনার অবান্তর লেখার নেশার থেকে আমাদের পড়ার নেশাটা কোনো অংশে কম নয় কিন্তু। একটাই আফসোস, আরো দু বছর আগে অবান্তরকে আবিষ্কার করিনি কেন?
ReplyDeleteধন্যবাদ সুগত, আপনি তো অবান্তরের প্রায় একজন শেয়ারহোল্ডারই বলা যেতে পারে। আশা করি অবান্তর এবং আমার সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব চিরজীবী হবে।
Deleteঅকুণ্ঠ শুভেচ্ছা জানালাম...
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, সৌরাংশু। খুব ভালো লাগল আপনার শুভেচ্ছা পেয়ে।
Deleteঅবান্তরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।
ReplyDeleteমিঠু
ধন্যবাদ মিঠু। দিল্লিতে এখন একটু থিতু হয়েছ আশা করি।
DeleteAbantor ke jonmodiner antorik shubhechchha! Cake kothay?
ReplyDeleteধুর কেক বোরিং, তার থেকে গোল করে বসে আনন্দবাজার পেতে পাহাড়ের মতো উঁচু করে মুড়ি, সর্ষের তেল কাঁচালংকা আচারের তেল আর চানাচুর দিয়ে মেখে বেশি ভালো পার্টি হয়। জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বিম্ববতী। অবান্তরে তোমার নামের অনেক অনুরাগী আছেন, এই খবরটা তোমাকে দিয়ে রাখলাম।
Deleteহ্যাপি বার্থডে টু অবান্তর। যদিও যার জন্মদিন তাকে গিফট দেওয়াটাই রেওয়াজ, তবু আজ অবান্তর এবং অবান্তরের জন্মদাত্রী আমাকে দারুণ একখানা গিফট দিলেন। থ্যাংক ইউ।
ReplyDeleteপার্টি কোথায় হচ্ছে জানালে আমি কেক নিয়ে আসবো।
ও মা, আমি আবার গিফট দিলাম কোথায়, আপনাকে অবান্তরে ফিরে পেয়ে আমারই তো গিফট পাওয়া হল দেবাশিস। আপনি অবান্তরের সেই পাঠকদের মধ্যে একজন যাঁর নাম না দেখে, শুধু কমেন্ট পড়েই অনেকে চিনতে পারে। আমার কাছে পাক্কা খবর আছে।
Deleteশুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
happy birthday abantor :) nemontonno koi jonmodiner? abantor niye amar kichu dabidawa janiye rakhi ei sujoge:
ReplyDelete1) chobi hothat bondho hoye gelo keno? tomar tola chobi dekhte darun lage kintu..
2) chotokhato romyo-kahini chere ebare ekta borogolpe i nahoy haat dao? bhoyer golpo, agatha cristie style. darun lekho ei jatiyo golpo tumi.
tomar recipe gulo o darun, ei shonibare amio ilish macher mathar chochori kre fellam.
jahok bhalo theko, abantor bhalo thakuk :)
তোমার কমেন্ট পড়ে মন ভালো হয়ে গেল স্বাগতা। আমার ছবি কারও ভালো লেগেছে শুনলে আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারি না। তার ওপর তুমি আবার আমার চচ্চড়ি দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে। চমৎকার। দাঁড়াও এবার থেকে বেশি বেশি করে রাঁধব আর ছবি তুলব।
Deleteগল্প লেখার শখ আমারও কম নেই স্বাগতা। কিন্তু লিখতে গেলে গলদঘর্ম হয়ে যাই। শেষে মাথা ঘুরতে থাকে, বমি বমি পায় ইত্যাদি। তবে তুমি যখন উৎসাহ দিলে চেষ্টা করে দেখব'খন একবার, পারি কি না।
জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, স্বাগতা।
Abhinandan:)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, কথাকলি।
DeleteAbantor-prolaap choluk afuraan! Anek abhinandan!
ReplyDelete-Ramyani.
ধন্যবাদ রম্যাণি। খুব ভালো লাগল তোমার শুভেচ্ছা পেয়ে।
Deletesubho jonmodin abantor. Amio prothom part ta pore bhabechilum je apni hoiti abantor prolam thake bishram newar kotha bhabchen. A(n)atke uthechilum. Purota pore abar nischinto holum. Aro likhun. Bhalo thakun. Atmojiboni-r kothai boli -- ekehtre khut ekta prasongik noi -- "du chakai duniya" bole ekta boi porechen ? Ar amar ekta khub i pochonder boi er ekhetre naam na kore parchi na "nirbasito-r atmokotha".
ReplyDeleteসারাদিন তো মোটামুটি বিশ্রামের ওপরেই থাকি, অবান্তর থেকেও বিশ্রাম নিলে আর কিছু করারই থাকবে না, ঘনাদা। যে দুটো বই আপনি বললেন কোনওটাই পড়িনি। এবার খুঁজে পড়ব। শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Deleteহ্যাপি বার্থডে, অবান্তর। কুন্তলার না হলেও অবান্তরের ধুন্ধুমার লেখিকার জন্মদিন ও যে আজকেই... so হ্যাপি বার্থডে, লেখা আর লেখিকা দুজনকেই .... মনস্বিতা
ReplyDeleteধন্যবাদ ধন্যবাদ, মনস্বিতা।
DeleteTor aar Amader abantor ke etto etto suvechcha aar bhalobasa. Ekta kaajer khonj abantor amay o diyeche boiki. Sotyi bhalolagar ekta kaaj ja roj korar thake...abantor porar...sei kajer khonj. Shubho jonmodin.
ReplyDeleteঠিক কথা সাহানা। আমার আর তোদের অবান্তর। শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক থ্যাংক ইউ।
DeleteOneek Subhechha Abantorer jonye. :-) . Hoi hoi kore Abantor egie choluk ei subhokamona roilo.
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ ইচ্ছাডানা। অবান্তর আমাকে বলেছে, ইচ্ছাডানা বলে একজন যিনি আছেন? তাঁকে ওর খুব পছন্দ।
Delete"Abantor" ke bolo Ichhadana khuuub khusi... :-)
DeleteKhub bhalo thako... onek onek beshi kore ja mon chai ta e lekho.... r prochur bhalobaa nio.
ReplyDelete-Gobechara!!
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ গোবেচারা। তুমি অবান্তরের অনেক দিনের বন্ধু। তোমাকেও আমার তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা জানালাম। মেয়ে কেমন আছে? দুষ্টুমি করছে, নাকি এখনও বড্ড ছোট?
Deleteশুভ জন্মদিন অবান্তরকে। অবান্তর আরো বড়ো হয়ে উঠুক, ভালো থাকুক।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অনির্বাণ। ভালো লাগল।
Deleteদৈনন্দিন জীবনের একঘেয়ে প্রাসঙ্গিকতার মধ্যে অবান্তর কথোপকথন মরুভূমিতে মরুদ্যান !
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, তিলকমামা। তোমার শুভেচ্ছা পেয়ে খুব খুশি হলাম।
Deleteabantor jug jug jiyo...
ReplyDeletebtw apni tapan roy chowdhury er atmojiboni bangal nama ke hiseber baire rekhei kotha gulo bolechen,nischoi..ama pora onyotomo sera boi..
থ্যাংক ইউ, ঋতম। হ্যাঁ বাঙালনামা বেশ ভালো।
Deleteএক ছিল সোনা দিদি, তার ছিল কী খুড়োর কল-
ReplyDeleteফস ফস লিখে ফ্যালে জীবনের কাণ্ড অনর্গল।
টেক্সাস মাদ্রিদ কিংবা দিল্লি কিংবা ডিহি বোলপুর
অবান্তর গল্পগাছা নেশায় পাঠক হল চুর।
বেঁচে থাক সোনা দিদি হাতে থাক সোনার কী-বোর্ড,
মাঝে মধ্যে দুটো একটা ভুতুড়ে গপ্প হোক, বয়ে যাক অক্ষরের স্রোত-
সংসারের ঘ্যানঘ্যান ক্লায়েণ্টের বেয়াড়া ফরমাশ
তুড়িতে তুচ্ছ করে অবান্তরে আছি বারো মাস।
শুভ জন্মদিন-অবান্তর! ভালো থেকো!
ওরে বাবা! কী ভালো জন্মদিনের উপহার! থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, অদিতি। তুমি যে এত ভালো ছড়া লেখ সেটা আমি টের পাইনি দেখে আফসোস হচ্ছে। খুব খুব ভালো লাগল তোমার ছড়া আর শুভেচ্ছা পেয়ে। আশা করি অবান্তরের সঙ্গে আরও অনেক অনেক দিন তুমি থাকবে।
Deletesob badha tuchho kore abantor dirghajibi hok -- jonmodine ei shobho kamona roilo.
ReplyDeleteশুভকামনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
DeleteJanmadiner anek anek subheccha valobasa r abhinandan...:)
ReplyDeletePiyali
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, পিয়ালী। খুব ভালো লাগল তোমার শুভেচ্ছা পেয়ে।
Deleteশুভ জন্মদিন অবান্তর । :)
ReplyDeleteআর অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকেও, খুনঠ্যালা!
হাহা, অরিজিত। আমার নামটা বিকৃত হলেও যে আমার দুটো চেনা (এবং পছন্দের) শব্দ হয়, সেটা আমার বেশ পছন্দের ব্যাপার। শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Deleteশুভ জন্মদিন অবান্তর। খুব ভাল থেকো। :)
ReplyDeleteশুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অনুজিৎ।
Deleteইশ আর একটা দিন আগে হলেই আমি আর অবান্তর জন্মদিন share করতাম.. অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমি তো অবান্তর পড়াটা কে একটা খুব ভালো কাজের মধ্যে ধরি.. :)
ReplyDeleteআরে বিলেটেড হ্যাপি বার্থডে ঊর্মি। জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা তোমাকেও।
DeleteBelated Happy Birthday to abantor... Kuntala jodi oculus (http://www.imdb.com/title/tt2388715) na dekhe thako to dekhe fyalo. Adbhuture!
ReplyDeleteশুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ চন্দ্রচূড়। সিনেমাটা আমার দেখা নেই, নিশ্চয় দেখব।
DeleteKuntala, tomay o tomar sontan k onek obhinondon. Aajker chaarpash to sudhui lokkhyo dhore chutchey ... obantor er ei lokkhyohin elo melo cholon ta tai boroi sukhokor theke. Onek beshi antorik, onek beshi aatpourey.
DeleteAmr konnya tir jonmodin 09.09.09. Orthyat kina tumi Ami ekdiney maa hoyechi. Maa howar cheye boro anonder porichoy ar achey naki?!
আরে, কী দারুণ সমাপতন! আপনাকে হাই ফাইভ! আর এই নয়. নয়. নয় ব্যাপারটা আমি খেয়ালই করিনি! ভাগ্যিস বললেন। থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।
Deleteঅবান্তরের এলোপাথাড়িপনা আপনার ভালো লাগে জেনে খুব খুব খুশি হলাম। এলোমেলো চলা আমার দারুণ লাগে। কী হবে একবগগা হয়ে ছুটে বলুন দেখি?
onek shubheccha. belated happy bday abantor. vaggis tomake khuje peyechilam. ami regular follower to noi, kintu regular interval e udoy hoye archive khule sob ber kori. tarpor post o post er nicher somosto comment pore khusi hoye abar kichudiner jonno hawa hoye jai.
ReplyDeletenever stop writing Kuntala di.
onek bhalobasa roilo.
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, কুহেলি। তোমাকেও অবান্তরের তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানাই। আমিও তোমার মতো কমেন্ট পড়তে ভালোবাসি।
DeleteHappy birthday!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, রুচিরা।
Deleteখানিক ব্যস্ততা খানিক আপনার অনুপস্থিতি .... খানিক অনিয়মিত হয়ে গেছিলাম অবান্তর এর ঠিকানায় ... আবার ফিরে আসছি .. কয়েকদিনের মধ্যেই | শুভ জন্ম পঞ্চবার্ষিকী |
ReplyDeleteধন্যবাদ ধন্যবাদ, আত্মদীপ। খুব ভালো লাগল আপনার শুভেচ্ছা পেয়ে।
Deleteপ্রায় একমাস দেরি করে জানাচ্ছি "বিলেটেড" (বিলম্বিত শব্দটা কেমন যেন দুঃখী দুঃখী লাগে) শুভ জন্মদিন।
ReplyDeleteanek anek subheccha kuntala.... mousumi bhattacharya..
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, ভট্টা।
Delete