মিতিনমাসি আর দীপকাকুর প্রতি
যাঁদের স্মৃতিশক্তি ভালো তাঁরা হয়
তো বুঝতে পারবেন, এটা আসল পোস্ট নয়। দরকারি কারণে কিছু অদলবদল করা হয়েছে। তবে তাতে
মূল ভাবের পরিবর্তন হয়নি বলেই আমার বিশ্বাস। কমেন্ট বিভাগেও কিছু অদলবদল ঘটাতে আমি
বাধ্য হয়েছি। আপনার মন্তব্যে যদি কাটাছেঁড়া চলে থাকে, তবে আমি আন্তরিক ভাবে
দুঃখিত। আমার ওপর দয়া করে কুপিত হবেন না। অসংখ্য ধন্যবাদ।
*****
ক’দিন আগে আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী ১৪২১ হস্তগত হল। আর
হওয়ার পরই অকাজ এমন বেড়ে গেল যে সেটা উলটেপালটে দেখার সুযোগ পর্যন্ত পেলাম না। বেশ
ক’দিন পর একদিন রাতে খেয়েদেয়ে উঠে, বাকি
সব ট্যাব বন্ধ করে, তিন্নির দেওয়া নরম হলুদ আলোর বাহারি
ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে, ঘরের ভেতর বেশ মায়ামায়া ভাব সৃষ্টি করে
আনন্দমেলা খুলে বসলাম।
পূজাবার্ষিকী পড়ার আমার চিরকালের বাঁধা নিয়ম আছে। এই
বয়সে এসে সে নিয়মের ব্যত্যয় করার কোনও কারণ নেই। গোটা বইটা একবার স্ক্রোল করে ঘুরে
এলাম। তারপর ফেলুদা কমিকস পড়লাম। তারপর মিতিনমাসি, তারপর দীপকাকু।
তারপর খানিকক্ষণ হাঁ করে বসে বসে ভাবলাম। মনের মধ্যে
যে ভাবটা হচ্ছিল সেটার ওপর কিছুতেই আঙুল রাখতে পারছিলাম না। কেমন ফাঁকাফাঁকা, খালিখালি, নেইনেই,
চাইচাই, খাইখাই।
ধাঁ করে মাথায় এসে গেল।
বেশ কিছুদিন আগে হাতে সময় বাড়াবাড়ি রকম বেড়ে গিয়েছিল, তখন আমি কিছুদিন লো-কার্ব ডায়েট ফলো
করার চেষ্টা করেছিলাম। এই এত্তটুকুন ভাত, বাকি মাছতরকারি সব
পরিমাণমতো। ছুটিতে বাড়ি গিয়ে পত্রপাঠ ডায়েটের কথা ঘোষণা করে দিলাম। যাতে কেউ ‘খা খা’ জোরজার করে আমার হেলদি লাইফস্টাইল মাটি না
করে। মা গম্ভীর মুখে খেতে দিতে দিতে বললেন, ‘সে নাহয় করব না,
কিন্তু এক ঘণ্টা বাদে চুপি চুপি রান্নাঘরে ঢুকে যখন বিস্কুট খেতে
হবে তখন কার্ব কমের বদলে বেশি না হয়ে যায়।
ব্যস, ডায়েটিং-এর
বারোটা বেজে গেল।
কিন্তু ডায়েটিং যতদিন চলেছিল ততদিন খেয়ে ওঠার পরের
(এবং বিস্কুটের বয়াম নিয়ে বসার আগের) সময়টুকুর সঙ্গে এই মুহূর্তের মনের ভাবের মিল
আছে।
সমস্যাটা কোথায়?
ভাষা? উঁহু।
মিতিনমাসি, দীপকাকু দুজনের স্রষ্টাই ঘাঘু লেখক, বহুদিন ধরে লিখছেন, লিখে লিখে মাথার চুল পাকিয়েছেন,
ঝরঝরে বাংলা, তরতরে সংলাপ। এঁদের লেখার দোষ
ধরব এমন বুকের পাটা আমার নেই।
তাহলে নির্ঘাত প্লট।
ভিলেনদের নাম করছি না, আলোচনার সুবিধার্থে প্লটগুলোর কথা ছোট্ট করে বলছি। ১৪২১,
অর্থাৎ এই বছরের মিতিনমাসির রহস্যের বিষয় একটি ছোট মেয়ের দুঃস্বপ্ন
এবং সেই স্বপ্নের সূত্র ধরে কলকাতার একটি পুরোনো জৈন পরিবারের গুপ্তধন ইত্যাদি।
দীপকাকুর রহস্যে ছদ্মনামে গল্প লিখে একজন আরেকজন রক্তমাংসের লোককে চোর বলে চালাতে
চাইছেন, দীপকাকুকে দুষ্টু লেখককে ধরে এনে দিতে হবে।
হুম্।
ডেটাপয়েন্ট বাড়ানোর জন্য ১৪২০র আনন্দমেলা বার করলাম। সে
বছর মিতিনমাসির গল্পের বিষয় ছিল ওডিশার জঙ্গলে ঘড়িয়াল কুমির পোচারচক্রের
রহস্যোদ্ধার, দীপকাকুর বিষয় ছিল মুকুটচুরি।[1]
একটাতেও খুনের নামগন্ধ নেই। ঘড়িয়াল-খুন আছে অবশ্য, কিন্তু আমি মানুষখুনের কথা বলছি। আর
আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি খুন ছাড়া গোয়েন্দাগল্প থাকাও যা না থাকাও তা। একের পর
এক খুন হচ্ছে, একের পর এক লোকের দিকে সন্দেহের তীর ঘুরছে,
একের পর এক ক্লু পাওয়া যাচ্ছে, সে ক্লুয়ের
সমুদ্রে হাবুডুবু খেয়ে মরছে গোয়েন্দা আর গোয়েন্দার সঙ্গে সঙ্গে আমিও, তবে না?
আমার কেমন জেদ চেপে গিয়েছিল। আমি ১৪১৯-এর আনন্দমেলা
টেনে বার করলাম। ইউরেকা! খুন! কলকাতার পুরোনো এক ইহুদি পরিবারের ওপর নেমে এসেছে
মৃত্যুর করাল ছায়া, মিতিনমাসি
খুনি ধরে দিলেন। দীপকাকু . . . উঁহু, নো খুন। ক সেজে খ দোকান
থেকে ধারে জিনিস কিনে নিয়ে যাচ্ছে, দোকানদার ক-কে চেপে ধরে
বলছে, কই দাদা টাকাটা দিলেন না?
নিশ্চিত হয়ে গেলাম, এটাই মিতিনমাসি আর দীপকাকুর গোলমালের কারণ। খুনের অভাব। আর
খুন না থাকলে গোয়েন্দা গল্প কীসের?
খুন কেন নেই, সরল
মনে সেটার কারণ ভাবতে বসলে মনে হতে পারে আসলে কোনও কারণই নেই। লেখক নিজেই বুদ্ধি
খাটিয়ে খুনখারাপিহীন প্লট ফেঁদেছেন। তাঁর মনে হয়েছে ডাকটিকিট চুরি দিয়েই যথেষ্ট
রোমহর্ষক গল্প ফাঁদা সম্ভব। আর যদি খুব বেঁকিয়েচুরিয়ে ভাবি, তাহলে
মনে হতে পারে কর্তৃপক্ষ শাসিয়ে রেখেছেন, শীর্ষেন্দুকে গঞ্জ
নিয়েই লিখতে হবে আর গোয়েন্দাগল্পে রক্তপাত চলবে না। কিশোরমনে ট্রমার সৃষ্টি হতে
পারে।
যদি এই দুটোর মধ্যে একটা কারণও সত্যি হয় তাহলে আলোচনা
আর এগোয় না। ‘ওককে বস্’ বলে
প্রসঙ্গ পালটাতে হয়।
কিন্তু আমার ঘুম আসছিল না, আমি মিতিনমাসি আর দীপকাকুর সপক্ষে
আরও যুক্তি জোগাড় করতে লাগলাম। তিনটে পূজাবার্ষিকী ঘেঁটে যা বুঝলাম গোয়েন্দা
উপন্যাসের জন্য ধার্য থাকে পাতা চল্লিশেক। সেটুকুর মধ্যে কি খেলিয়ে খুন, খুনের পেছনে গোয়েন্দার ধাওয়া, বোকা দারোগা, খানচারেক রেড হেরিং ইত্যাদি আমদানি করা সম্ভব?
যদি কিছু সম্ভব হয় তবে বাসস্টপে দাঁড়িয়ে ঝিনুককে দিয়ে
ক্যারাটে চপ ছোঁড়ানোই সম্ভব।
এত ভাবতে গিয়ে আমার ঘুম পেয়ে গেল, ল্যাপটপ বন্ধ করে ঘুম দিলাম। ঘুম
থেকে উঠে চোখ খুলেই দুটো নাম মনে পড়ে গেল। সোনার কেল্লা, বাদশাহী
আংটি।
একটাতেও খুন নেই। আই মিন, সোনার কেল্লায় একটা অ্যাটেম্পটেড
মার্ডার ছিল, কিন্তু সে দিয়ে আর কী হয়। অথচ . . .
গত রাত্তিরে অত কষ্ট করে জোগাড় করা সান্ত্বনার ঘর
হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ল। আমার মতো রক্তপিপাসু লোকও স্বীকার করতে বাধ্য হলাম, খুনটাই শেষ কথা নয়। রহস্যে যদি বুনোট
থাকে, গোয়েন্দার যদি ক্যারিশমা থাকে তাতেও গল্প দিব্যি উতরে
যেতে পারে।
উত্তরটা বেরিয়ে গেল।
গোলমালটা গল্পে নয়, প্লটে নয়, ভিলেনের শয়তানিতে নয়, গোলমালটা গোয়েন্দায়।
এ জীবনে যত গোয়েন্দাগল্প পড়েছি একে একে তাদের সবগুলোর
কথা মনে করতে লাগলাম। মনে পড়ার মতো যেগুলো সেগুলো চট করে মনে পড়ে গেল। ভেবে দেখলাম
তাদের অনেকগুলোরই প্লটের গলিঘুঁজি ফিকে হয়ে এসেছে, কিন্তু যিনি মনের ভেতর জ্বলজ্বল করছেন তিনি গল্পের গোয়েন্দা।
গল্প শেষ করে বই মুড়ে উঠে পড়ার পর মিতিনমাসি আর
দীপকাকুর কথা কি কোনও পাঠকের মনে জ্বলজ্বল করবে?
আমি বলছি না যে মনে থাকার জন্য গোয়েন্দাকে অদ্ভুত হতে
হবে। তাকে পেটেন্ট লেদারের জুতো পরতে হবে, গোঁফে
নিয়মিত মোম মালিশ করতে হবে বা দু’হাতে তিনটে করে বন্দুক
চালাতে হবে। কিন্তু তাঁর মধ্যে একটা কিছু থাকতে হবে যা তাঁকে আমাদের কাছে প্রিয়
করে তুলবে। শুধু ক্ষুরধার বুদ্ধি আর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার থেকে বেশি কিছু। তাঁর
সহানুভূতিবোধ। রসবোধ। ন্যায়বোধ। অবসরযাপনের অভিনব উপায়। সংগীতপ্রীতি। খাদ্যরসিকতা।
এমন কিছু যা তাঁকে গোয়েন্দার বাইরেও একজন ইন্টারেস্টিং মানুষে পরিণত করবে। তবেই না
আমরা তাঁর প্রতি ইন্টারেস্টেড হব? তবেই না ক্রিমিন্যাল বনাম
তাঁর যুদ্ধে আমরা তাঁর হয়ে গলা ফাটাব? গল্পের শেষে তিনি যখন
সবটা বুঝিয়ে দেবেন, সে ঘরভর্তি লোকের সামনেই হোক কিংবা
একান্তে নিজের সহকারীকে, তবেই না তখন গর্বে আমাদেরই বুক ফুলে
উঠবে? একে অপরকে বলব, ‘দেখেছিস,
লোকটার কী বুদ্ধি? ক্রিমিন্যাল ভাবল কী করে এর
হাত ছাড়িয়ে পালাতে পারবে?’
মিতিনমাসি বা দীপকাকু, কারও প্রতিই আমি সেই টান অনুভব করি না।
কারণ এতদিন এতগুলো গল্প পড়ার পরও দুজনের সম্পর্কে আমি
প্রায় কিছুই জানি না। যাও বা জানি, টান
জন্মানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়।
মিতিনমাসির কথাই ধরা যাক। মাঝবয়সের এদিকের একজন মহিলা, বুদ্ধি রাখেন, গোয়েন্দাগিরি
করেন। এর বাইরে ছেলে পড়ান, ইরিটেটিং টু দ্য পাওয়ার ইনফিনিটি
স্বামীকে ঠেস দিয়ে কথা বলেন। সত্যি কথা বলতে কি, গোয়েন্দাগিরি
করাকালীন যত না, পার্থমেসোকে ব্যাঁকা কথায় বেঁধার সময় আমি
মিতিনমাসির মধ্যে পার্সোন্যালিটির পরিচয় ঢের বেশি পাই।
দীপকাকু আমার কাছে একটা রহস্য। গোটা একটা সিরিজের
নায়ককে এতখানি ঔজ্জ্বল্যহীন করে কেন তৈরি করতে চেয়েছেন লেখক সেটা আমার সত্যি মাথায়
ঢোকে না। বাস্তবের কাছাকাছি রাখবেন বলে? এসপ্ল্যানেডের
কোনও বহুতলের খুপরিতে অফিস খুলে ব্যাজার মুখে বসে থাকা রক্তমাংসের গোয়েন্দাদের মতো
করে চরিত্রটাকে বানাবেন বলে? দীপকাকুকে কিশোর গোয়েন্দা
সাহিত্যের নায়কের থেকে জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত সৈনিক বেশি মনে হয়। দীপকাকু কী ভাবেন সে
সব তো ছেড়েই দিলাম, গোয়েন্দাগিরি ছাড়া উনি আর কী ভালোবাসেন
সেটাই আমরা জানি না (ঝিনুকের মায়ের হাতের লুচি
ভালোবাসেন, কিন্তু সে কেই বা ভালোবাসবে না?)
দীপকাকুর প্রতি আমার আরও একটা অভিযোগ আছে। ওঁর মতো
রসকষহীন লোক আমি বাস্তবেও বেশি দেখিনি। রসকষ থাকা মানে কিন্তু কথায় কথায় জোক বলা
নয়। রসকষ থাকা বলতে আমি বোঝাচ্ছি চরিত্রের একেবারে গভীরে একটা হাসিহাসি ভাব
ওতপ্রোত হয়ে থাকা। দীপকাকুর মধ্যে সেটা এক্কেবারে নেই। তিনি হচ্ছেন সোজা কথায়, গোমড়া। এতদিন ধরে ঝিনুক ওঁর সহকারী,
অথচ উনি ঝিনুকের সঙ্গে যে ভঙ্গিতে কথা বলেন তার থেকে ঢের কম
উদাসীনতা নিয়ে সি. আর. পার্কের অটোকাকুরা আমার সঙ্গে কথা বলেন। উনি যখন ঝিনুককে
ধমক দেন, বইয়ের পাতার এ পারে বসে আমি কুঁকড়ে যাই। কী কর্কশ,
কী স্নেহশূন্য। এ রকম লোকের সামনেই আমি পড়তে চাই না, তাকে নিয়ে লেখা গল্প পড়তে চাওয়া তো দূর অস্ত।
আপনি বলতে পারেন তার মানে এ রকম লোকজনের কি
গোয়েন্দাগিরি করার অধিকার নেই? সারকাস্টিক,
বিষণ্ণ, গোমড়ামুখো লোকজনের? আমি বলব নিশ্চয় আছে। আলবাত আছে। তবে সে সব গোয়েন্দার সঙ্গে সার্থক ঠেকা
দিতে হলে মুকুটচুরির গল্প যথেষ্ট নয়। গোয়েন্দা যদি বিবর্ণ হয় তবে অন্তত গল্পকে
রংচঙে হতে হবে। তিনটে মার্ডার, পাঁচটা কিডন্যাপ, অবৈধ প্রেম, বি ডি এস এম – যাতে
তার জোরে অন্তত গল্পটা দাঁড়িয়ে যায়।
অন্তর থেকে বলছি, আমি আপনাকে ভালোবাসতে চাই মিতিনমাসি। দীপকাকু, আমি আপনার ফ্যান হতে চাই। গল্প পড়তে পড়তে আমি টুপুরের সঙ্গে নিজেকে গুলিয়ে
ফেলতে চাই, ঠিক যেমন তোপসের সঙ্গে ফেলতাম। অন্য সব গোয়েন্দার
তুলনায় দীপকাকুর বুদ্ধি, সাহস, অবজার্ভেশন
পাওয়ারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যেয় চেঁচিয়ে গলা ভাঙতে চাই। আপনারা আমাকে
সে সুযোগ করে দিন। অনেকদিন তো হল, এইবার অন্তত আপনারা হিরো
হয়ে উঠুন। এই আমি আপনাদের পায়ে পড়ি।
[1] ময়ূরবাড়ির
রহস্যে একটা খুন ছিল অবশ্য, কিন্তু সেটা ছিল নিছকই চুরির
ল্যাংবোট হিসেবে। সে খুন নিয়ে গোটা গল্পে দশটার বেশি বাক্য খরচ করেননি লেখক।
বান্টি এক্ষুনি মনে করিয়ে দিল বাদশাহী আংটিতেও খুন ছিল, যদি স্পাইডার দেখিয়ে বনবিহারী কর্তৃক পিয়ারীলালের হার্ট অ্যাটাক ঘটানোটাকে ধরা হয়। যাই হোক, তাতে আমার বক্তব্য বদলাবে না।
Sheshe Mitin mashi ar Deep kaku? Dujonei otyonto khaja goyenda. Golpo khaja, goyenda khaja, sohokari khaja. Er cheye Cormoran Strike poro na!
ReplyDeleteএকদম মন থেকে বলছি বিম্ববতী, এখনও বাংলায় পড়তে অনেক বেশি আরাম লাগে। সেই আরামের লোভে পড়ি। তাছাড়া না-পড়া গোয়েন্দা গল্পের একটা টান তো থাকেই।
DeleteAami mone mone je kota goenda'r katha mone elo, miliye dekhlam tomar hypothesis ta. Tomar sathe ekmot. Goenda golpo asole Goenda 'golpo' noy, 'Goenda' golpo. Agatha Christie'r Parker Pyne o erokom boring goenda (aamar mote), tai aamar or kono golpoi mone dhoreni.
ReplyDeleteMitin masi'r oi bibhinno bishoy niye gyan deoa tao aamar khub biroktikor laage. Khub forced mone hoy.
Tachharao e bochhor er Pujabarshiki Unish Kuri ta download korechi (joto ichhe judge korte paro haha. Download niye aami bachhbichar kori na.) Sob kota uponyas e mone holo aager bochhor ei prokashito hoyechilo choritro der naam palte. Formula holo: college rajniti + nayok er family problem + kono ekjon choritrer porokiya + hoy triangular love story noy osukhi dampotyo. Keno bhalo lagbe ei chorbitochorbon?
-Ramyani.
পার্কার পাইনের ব্যাপারে একমত।
Deleteরম্যাণি, তোমার নামটার প্রশংসা করে নিই শুরুতেই। খুব সুন্দর নাম। পার্কার পাইন সত্যিই আগাথা ক্রিস্টির কেরিয়ারের কলংক। আমার তো টমি টাপেন্সও পোষায় না।
Deleteউনিশকুড়ি নামিয়েছ বলে জাজ মোটেই করছি না। সব বইয়েরই নিজের আবেদন থাকে। উনিশকুড়ি পরে যে হাসিটা পাবে সেটা দেশ পড়ে পাওয়া যাবে না তো, কাজেই পড়াই উচিত।
Thank you! :-) Aamar naam ta nijero khub pochhondo, kintu loke koto j bhul banan kore ar bhul pronounce kore...
DeleteTommy Tuppence e at least Tuppence ke modern r fiesty female character hisebe dekhanor chesta korechen Dame Christie. Jodio haan bhalo lage na serokom.
Unish Kuri sotyi katha bolte moteo poshay na... Fashion niye article porte apotti nei tobe se lekha bhalo lagte toh hobe! Tobe ami ja boi pai tai download kori. Haha.
-Ramyani.
টাপেন্সের ব্যাপারটা ঠিকই বলেছ। একটু নারীস্বাধীনতার পাঠ আছে। সেটাও আমার খারাপ লাগার অন্যতম কারণ।
DeleteTuppence-ke kharap lage keno? just asking
Deleteচরিত্রটাকে যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং লাগে না আরকি। মাঝবয়সী ফ্রাস্টেটেড মহিলা---বড্ড কমন। গল্পের প্লটগুলোও ভালো লাগেনি।
Deleteআপনি যতটা গুছিয়ে লিখেছেন, আমি কিছুতেই সেভাবে লিখতে পারতামনা, কিন্তু বক্তব্য আমারও হুবহু এক। গোয়েন্দার ম্যানারিজম বা বাতিক যে ইন্টারেস্টিং হতে হবে সে কথা আমি কিছুটা এখানে বলেছি। প্লটে খুন না থাকলে ভালো গল্প হয়না এটা নিয়ে আমিও আপত্তি জানাতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু দেখলাম আপনিও সেটা লিখেছেন। দীপকাকু অত্যন্ত খেঁচো ধরনের মানুষ, এবং মাঝে মধ্যে মনে হয় অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন যেটা আমার একদমই বরদাস্ত হয়না। মিতিনমাসির ছেলেটাকে আমি সামনে পেলে ওর কপালে দুঃখ আছে। আমার মতে গোয়েন্দাগল্পে গল্পের বাইরের ডাইনামিক্স যতটা কম রাখা যায় ততই ভালো, বিশেষ করে এরকম ছোট গল্পে। ফেলুদার গল্পে বাড়ির লোকের কথা থাকতনা প্রথম কটা গল্পের পর, মিস মার্পল, পোয়ারো আর হোমস-এর তো বাড়ির লোকের বালাই নেই। ব্যোমকেশ বিয়ে করেছিল ঠিকই, কিন্তু তার পারিবারিক জীবন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা কোনও গল্পে আছে বলে মনে করতে পারিনা। এমনকি কাকাবাবুর গল্পেও বাড়ির লোকের আলোচনা মিতিনমাসির থেকে অনেক, অনেক কম থাকত।
ReplyDeleteদীপকাকু ও মিতিনমাসির গল্পের ভাষা নিয়ে আপনি যতটা উদার আমি তাও নয়। ময়ুরবাড়ির রহস্য থেকে একটা উদাহরণ দিই: ""আজ সকালে রুমের বেল টিপে ঝিনুকের ঘুম ভাঙ্গিয়েছেন দীপকাকু। তখন প্রায় সাড়ে আটটা। বেড থেকে ব্ল্যাঙ্কেট সুদ্ধ নেমে এসে ডোর ওপেন করেছিল ঝিনুক।" এটা কি ধরণের বাংলা? বেলটা নাহয় বাদ দিলাম, রুম, ডোর, বেড, ব্ল্যাঙ্কেট, ওপেন। এই সবকটা শব্দই বাংলায় লেখা যায়। এটাই একমাত্র উদাহরণ নয়, এরকম আরো আছে।
শুনেছি শরদিন্দুর মৃত্যুর পর কেউ সত্যাজিত রায়কে অনুরোধ করেছিলেন ব্যোমকেশের শুন্যস্থান পূরণ করতে। তখনই ফেলুদার সৃষ্টি। সে এমনই সৃষ্টি যে ব্যোমকেশ ভালো না ফেলুদা সে নিয়ে তর্ক করা হয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করতে হচ্ছে, ফেলুদার উত্তরসুরী বলতে মিতিনমাসী আর দীপকাকুই আছেন, আর তাঁরা ফেলুদার শুন্যস্থান কোনদিনও পূরণ করতে পারবেন বলে মনে হয়না।
Thik ekkebare thik katha.
DeleteThis comment has been removed by the author.
Deleteমুশকিলটা হচ্ছে মিতিন মাসি এখনকার বাচ্চাদের জন্য লেখেন। তারা এই ভাষাটাই বোঝে। এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই, করে লাভ নেই। ফেলুদাই প্রথম পথ দেখিয়ে ছিল যে কিছু কথা বাংলায় না বলে ইংলিশে বললে ভালো শোনায়।
Deleteক-তো-টা বাংলা সেটা আপেক্ষিক প্রশ্ন, সেই তর্কে আজ অব্দি কেউ জিততে পারে নি।
অনির্বাণ, যে বাচ্চারা এই ভাষাটা বোঝে তারা অত মোটা একটা বই খুলে অত খুদি খুদি প্রিন্টে লেখা চল্লিশ পাতার একটা উপন্যাস পড়ে নাকি?
Deleteসুগত, আপনার সব কথাই আমার মনের কথা, কাজেই আর কথা বাড়াচ্ছি না। গোয়েন্দার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভ্যানতাড়া নিয়ে আমার একসময় অভিযোগ ছিল, এখনও যে নেই তা নয়, তবে কেউ যদি জে কে রাউলিং গোত্রের লেখক হন তবে তাঁকে দোষ করলেও ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
This comment has been removed by a blog administrator.
Deleteদীপকাকু যদি নিজে আরেকটু ঝাড়াপাড়া দিয়ে ওঠেন তাহলেই সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস, স্বাগতা।
Deleteস্বাগতা, তোমার কমেন্টটা বিশেষ কারণে মুছে দিয়েছি। তোমার কোনও দোষ ছিল না। আমার ওপর রাগ কোরো না, প্লিজ।
Deleteবস্, গূড ওমেন্স্ পড়ছিস্ - তার সঙ্গে মিতিনমাসি? একটা ইয়ে নেই?
ReplyDeleteএই পড়লাম আরকি। পূজাবার্ষিকী পড়ার অভ্যেসটা এখনও ছাড়তে পারিনি।
DeleteTomar lekha ta pore prothom theke sesh obdi "thik thik "bolechi .
ReplyDeleteEi Mitin mashi,Dip kaku aar Sirshendu r ekgheye galper janne aaj 3-4 bachor dhore puja barshiki Aanandomela porai chere diyechi:(
ঠিকই, কাকলি। আমি এখনও চেষ্টা চালাচ্ছি, আর কতদিন পারব জানি না।
DeleteAmar naam Kathakali:(
DeleteKakali holum ki kore!!!
এই রে, কান ধরছি। এটা সত্যি খুব খারাপ কাজ হয়েছে, কথাকলি। আর হবে না। রাগ করবেন না প্লিজ।
DeleteOh, ei post ta porei, ei gaan ta shunlam ...https://www.youtube.com/watch?v=Q8O0-_JWlW8
ReplyDeleteসুমনা, আমারও এ বছরের দীপকাকুর গল্প মিতিনমাসির গল্পের থেকে বেশি ভালো লেগেছে। দুটো গল্প পড়েই ঘায়েল হয়ে পড়েছি, কাজেই বাকিগুলো এখনও পড়া হয়নি। পড়ব ধীরেসুস্থে।
Deleteতোমার সংশয়টা আমারও আছে। কত বাচ্চারা পড়ে আনন্দমেলা? আমার তো চিরকালই আনন্দমেলাকে বেশ ডেঁপো লাগত। নিষ্পাপ শিশুদের জন্য অনেক বেশি উপযোগী বরং শুকতারা কিংবা কিশোর ভারতী।
সুমনা, তোমার কমেন্ট বিশেষ কারণে মুছে দিয়েছি। তোমার দোষ নেই। আমার ওপর রাগ কোরো না, প্লিজ।
DeleteHai !!! Se kikira o nai, Arjun o buro hoiache!!! Banglai aj sulov o teksoi goenda e rboroi ovab!!
ReplyDeleteকিকিরার নামটা অনেকদিন পর শুনলাম কারও মুখে অর্ণব। বাঙালি গোয়েন্দার যে আকাল পড়েছে সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
Deleteaajker abantor post aar comments porte porte etobaar matha naarchi je ghar byatha hoye gelo :) ekdom hok katha likhechho. goyenda chara goyenda goppo hoyna. "joy forever" er mitinmashir cheler proti (e)motion ta aami "second" korchi!!!
ReplyDeleteসিরিয়াসল্লি, শম্পা। আচ্ছা, দুচারটে নতুন গোয়েন্দার সাজেসশন দাও না গো। জ্যানিসরি ট্রি ছাড়া ইয়াশিমের আর কোন বইটা তোমার ভালো লেগেছে? তাহলে সেটা কিনব।
Deleteইংরেজি স্যারের কথা মনে পড়িয়ে দিলে। stock of words বাড়াবি, যখন পারবি, যেমন ভাবে ভাবে পারবি। বি ডি এস এম।
ReplyDeleteতবে হ্যাঁ, আসল কথা হল - কবে যে unputdownable গোয়েন্দা গপ্প লিখবো।
অবান্তরের পাঠক-পাঠিকাদের নেমন্তন্ন রইলো। লেখিকেশ'ও পড়ে দেখতে পারেন।
http://chup-kotha.blogspot.in/2013/07/blog-post_30.html
এইরকম নির্লজ্জ আত্মপ্রচারের জন্যও দুঃখিত। কিন্তু আমি মনে-প্রাণে চাইছি সবাইকে পড়াতে।
এই আমি তোমাকে আশীর্বাদ করছি অনির্বাণ, তুমি একদিন আনপুটডাউনেবল গোয়েন্দা গল্প লিখবে। তোমার গল্পটা নিশ্চয় পড়ব।
Deleteমুখে থুড়ি কি-বোর্ডে বাজে কথা চলে আসছিল। আনপুটডাউনেবলত্ব এখনও দূর অস্ত। তুমি অবশ্য দিল্লি'তেই ...
Deleteগতকাল ই ভাবছিলাম যে তোমাকে লিখব যে, অবান্তর আমার কাছে অনেকটা পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলার মতো। হাতে পাওয়া মাত্রই নাওয়া খাওয়া ভুলে এক নিশ্বাসে পোষ্টগুলো পড়ে শেষ করি....কিন্তু তরপরেই মনে হল যে গত কয়েক বছরে আমার কাছে পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা র টিআরপি যেভাবে কমে যাচ্ছে, তাতে তুলনা টা মোটেই ঠিক হবে না। আর আজকেই দেখি পূজাবার্ষিকী নিয়ে পোস্ট। ...telepathy telepathy....:)
ReplyDeleteমিতিন মাসি র দীপকাকু বিষয়ে একেবারেই একমত। কিন্তু এতো দিনের অভ্যেস....যে হতাশ হব জেনেও না পড়ে পারিনা...:(
মিতিনমাসি দীপকাকু নিয়ে তোমার সঙ্গে একমত। অবান্তরের প্রতি তোমার ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। এই ভালোবাসা অমর হোক, এই কামনা করি।
Deleteবেশ ভাল লিখেছেন। তবে যতই যা-ই হোক, মিতিনমাসি আর দীপকাকুর বন্ধু হওয়া বেশ চাপের ব্যাপার হয়ে যাবে মনে হয়। গোয়েন্দা গল্প সবার দ্বারা হয়না, সেটা মনে হয় এঁদের বোঝা আর বোঝানো দরকার। :)
ReplyDeleteকদিন একটু অনিয়মিত আছি, তাই পড়া হচ্ছে না। খুব তাড়াতাড়িই ব্যাকলগ ক্লিয়ার করে দেব। :)
গোয়েন্দা গল্পের হওয়া না হওয়া নিয়ে যে কথাটা আমরা বুঝতে পারছি, সেটা সম্পাদকেরা বুঝতে পারছেন না কেন সেটাই আমার কাছে রহস্য।
DeleteKhub bhalolaglo lekhata :) Abarntar-er lekhagulor janyo opekhha ki byartho hoy!
ReplyDeleteApanr kothagulor sange sahomot. Feluda ba Bomkesh-er golpe ekta aboho thakto. Seta khub anuposthit. Khub mone pore jaay pratita uponyaser age Topse ar Feludar kothopokothongulo, ta emon ki notun kono boi poRa niyeo :)
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ সায়ন। আমি সত্যি বলছি মিতিনমাসি বা দীপকাকুকে ফেলুদার সঙ্গে তুলনা করতে চাই না। তাঁরা তাঁদের মতো হয়ে উঠুন সেটাই আমি মনে প্রাণে চাই।
Deleteআপনি যে বইয়ের শুরুর ফেলুদা-তোপসে কথোপকথনের কথা বললেন সেই অংশগুলো আমারও খুব পছন্দের।
Kuntala-debi, ami kintu apnar chaye Sugoto-babu-r songe i beshi ekmot. Mitin-mashi ar Deep-kaku r bhasa pate dewar moto noi. Aajkaalkar chele-maye r kon bhasai kotha bole seta abantor. Amra jokhon saradindu-r lekha pore ananda payechi tokhon amar adou oi bhasai kotha boltam na. Sarodiya anadamela pore cherachi aaj bohudin, muloto ei sob baje gopp-er pallai pore. Obosho feluda-r sesh diker golpo gulo o d(n)arachilo na, jamon "London-e Feluda". Tobe dosh anandamela-r eklar noi, pujobarshiki gulo (desh, bortoman etc ) porle bangla bhasa-r vobishot niye sondeho hoi, "Aleek kunatye ronge moje loke ra(d)re bonge nirokhiya prane nahi soi". Apnar-r vorsa. Ekhana goenda uponyash like felun.
ReplyDeleteAr ekta kotha, jodio galagal dichi, tobu-o obhyash ta jate chai na, apnar e-copy ta pawa jabe ?
আরে ঘনাদা, 'ডোর ওপেন করল' পড়ে আমি একা ঘরে হা হা করে হেসেছি। তবে আমার কেন যেন মনের গভীরে বিশ্বাস সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় ও বাক্য লেখেননি। ওটা আনন্দমেলা কর্তৃপক্ষের তরফের কারিকুরি। 'এ যুগের বাচ্চাদের' উপযোগী উপন্যাস রচনার তাগিদে। এই সব করে যদি পাঠক ধরা যায়। গোটা উনিশ কুড়ি পত্রিকাটার আমদানি যে জন্য। তাতে কতটা কাজ দিয়েছে অবশ্য আমি জানি না।
Deleteফেলুদার শেষ দিকটা নিয়ে আমিও একমত। 'অম্বর সেন অন্তর্ধান রহস্য'ও একই রকম জোলো। যাই হোক ফেলুদার টানটা আমার কাছে অন্য রকম, একশোটা 'লন্ডনে ফেলুদা'ও সে টান টসকাতে পারবে না।
Mitin mashi o Deepkaku porini, janina tader kotha. Tobe bangla bhasa, bishesh kore bangla sishu/kishor sahityo-ta je Benglish hoye giyechhey seta amio mone kori. Beshir bhag bacchara tai otakei sothik bhasa mone kore.
ReplyDeleteসে তো বটেই, রুণা। সেটা অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই।
Deleteatodine keu amar moner kotha likhlo. dutoi osojyo irritating goenda choritro. totodhik faltu plot, ar superficial parsho choritro. mitin mashir akta golpo amar bhalo legechilo. the first one. palabar poth nei. baki sob khaja. deep kaku ta chorom boring, and yes, khecho no doubt.
ReplyDeletefeluda ar byomkesh amar kache beyond criticism. i worship them. kikira ke ami bhison miss kori. kapalik ra akhono ache pore koishore ja shihoron jegechilo ta unforgettable.
mitin masi ba deep kaku r sathe felu mittir ar byomkesh er even tulona tanlei ei dui Ishwar er opoman kora hoy.
keybrd ta gache. noile aro ektu nerd giri kortam. bt virtual keypad type korte giye dak chere kadte icche kore. :(
তুমি একটা ভালো কথা মনে করিয়ে দিলে কুহেলি। মিতিনমাসির প্রথম গল্পের নাম। আমার যদ্দূর মনে পড়ে গল্পটা বাচ্চাদের জন্য লেখা হয়নি। তাই না? তারপর যখন মিতিনমাসি দুম করে ছোটদের হয়ে গেলেন আমার বেশ হতাশ লেগেছিল মনে আছে।
Deletehaa. oi prachin kale jokhon robibasoriyo r barota bajiye deya hoyni, tokhon dharabahik hisebe beroto. ami tokhono 'boro' hoini, kintu depo chilam tai regularly follow kortam. :D
Deleteঠিক ঠিক। রবিবাসরীয়তে ধারাবাহিক বেরোনো রহস্য উপন্যাসের কথা আমারও খুব মনে পড়ে। তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা 'ঈর্ষার সবুজ চোখ' পড়তাম হামলে পড়ে প্রতি রবিবার, মনে আছে।
Deletemone pore gelo ei prosonge, nirendranath chakrabarty r goenda uponyas gulo amar durdanto lagto. mone ache tomar, araale ache kalicharan?
ReplyDeleteআছে তো, কুহেলি। তুমিও গোয়েন্দা গল্প - উৎসাহী মনে হচ্ছে? হাই ফাইভ।
Deleteঠিক ই বলেছেন। শুধু তাই নয়, কিশোর সাহিত্য বলতে ত এখন গোয়েন্দা গল্প ছাড়া আর কিছু দেখি না। আর সত্যিকারের রসবোধ এখন সর্বত্রই দুর্লভ।
ReplyDeleteকেউ মনে করেন না, কিন্তু ৯০ এর আনন্দমেলা গুলতে দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ( পদবী ভুল হতে পারে) এর অদ্ভুত বড়গল্প, অতীন বাবুর উপন্যাস, শৈলেন বাবুর ফ্যান্টাসি সব মিলিয়ে একটা বোধের সাত রঙ ছড়িয়ে দিত।
আনন্দমেলার obituary শিগগির ই বেরবে মনে হয়।
সে না হলেই ভালো, হীরক। আমার অবশ্য গোয়েন্দা গল্পে আপত্তি নেই, তবে আপনি ঠিকই বলেছেন, গোয়েন্দা যদি বা আছে অন্য কিছু তাও নেই বোধহয়।
Deleteদেবাসিশ বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্পতা নেহাতই বাজে হত অবশ্য । তবে এটা সত্যি আনান্দামেলার বিসরজনের আর বিশেষ বাকি নেই। কিশোর ভারতী বড়গল্প গুলোকে উপন্যাস বলে চালায় তাও ওটা ঢের ভাল হয়েছে । গোয়েন্দা গল্প লেখা যে সবার জন্য না আমরা লেখক না হয়েও বুঝি আর ওনারা লেখক হয়েও বোঝেন না! তবে উনিশ কুরির কম্পাস গল্পতা আমার ভাল লেগেছে বাকি গুলো পড়িনি জানিনা। আর এই সাঞ্জিব চট্টোপাধ্যায় কি লেখেন আজকাল!! ভাবো ক্লাস ৭-৮ এ পড়তে ইতি তোমার মা, তোমার তারবারি , শিউলি, ইতি পলাশ , বুলেট পরে সে কি আনচান আর এখন :/
ReplyDeleteসঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখা নিয়েই একটা তুখোড় রহস্যোপন্যাস লেখা যেতে পারে সেটা আমিও মানি। আমার তো সত্যি বলছি চিরকালই কিশোর ভারতীকে আনন্দমেলার থেকে অনেক বেশি কিশোরদের উপযোগী মনে হত। আনন্দমেলার শহুরে ডেঁপোমিটা কিশোর ভারতীর কোনওদিন ছিল না।
DeleteApnar lekhata pore besh bhalo laglo. Tobe amar perspective e bishoye ektu alada. Goyenda golpo ke pachyo hote hole je mul goyenda choritro tir specific 'aura' thakte hobe tar kono mane nei. Golper pynach-poijar o pathoker monojog dhore rakhar khomota e holo sotyikarer taroka o defining point. Dipkaku e dik diye amar kachhe 10 e 7 na hok 6.4 paben. Onar golpogulor plot (sobgulo noy oboshyo) e ekta obhinobotwo thake, ebong tnar investivation otyonto methodical ebong ekta procedural bhab achhe byapargulote. Seta amar bhalo lage. Ebong ek e sathe tnar chhotokhato choritro-khnutaboli (onyomonoskota, rukkhota, majhe-modhyei nirash hoye pora) ekta bastobotar chnoya ene dey.
ReplyDeleteMitin Mashir byapare onektai sohomot. Tobe ami golpogulo portam pati entertaining lagto bole. Mane oi Tupurer berate jawar uttejona, Mitin mashir proti wide-eyed someeho, Parthar fut-kata sob miliye ekta chhotobelar nodir dhare picnic korte jabar dinguloke mone poriye dito o dey abchhabhabe. Ebong oboshyoi tar sathe kichhuta Feluda nostalgia. Mot kotha, certain "Kishore Sahityo" stories are not meant to be taken seriously IMO. Eder sathe bisheshoto Byomkesh-Feluda-Poirot-Marple-Dupin er tulona korte jawa britha. Egulo nehat e 'pulp fiction'. (Hyan jani, Christie r lekha keo eksomoy tai bola hoto, kintu pore segulo "Classic" er aotabhukto hoy. Jaihok.)
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, অনন্যা। খুব ভালো লাগল পড়ে।
Deleteএকটু অফ টপিকঃ
ReplyDeleteআমি ছোটবেলায় নিয়মিত পূজাবার্ষিকী পড়তাম । কিছু গল্পের সামান্য প্লট মনে আছে কিন্তু কিছুতেই নাম মনে করতে পারিনা । আগে পূজাবার্ষিকীতে প্রতি বছর একটি খেলাধুলার উপর অদম্য চেষ্টার গল্প থাকত । দুটি গল্প মনে পড়ে । হুইলচেয়ারে বসা মা তার ছেলেকে টেনিস শেখায় । তাপস নামটা কেন যেন বেশি করে মনে পড়ছে । আরেকটা গল্প ছিল, সাইকেলের রেস । রেসে জেতা এবং ছোট বোনকে অসুধ পৌঁছে দেয়া । গল্পের নাম বা লেখক কিছুই মনে নেই ।
আপনার লেখাটি খুবি ভালো লাগলো । নতুন পূজাবার্ষিকীগুলি কেমন যেন কমিক দিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছে । মিতিনমাসি আমার কাছে চলে , দিপুকাকু বড়ই রসকষছাড়া ।
তবে সবচে বড় আক্ষেপ থাকে গোয়েন্দা গল্পগুলি পড়ার সময়, আজকাল লেখকরা কেন জানি আধুনিকতা মেশাতে চায় । সেলফোন , ইন্টারনেট, হাকিং এগুলি পূজাবার্ষিকীতে পড়তে কেমন জানি লাগে । পূজাবার্ষিকী আমি এখন ট্যাবে পড়ি ( বাংলাদেশে এটা কেন জানি আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ) । পড়ার মিডিয়াম আধুনিক হলেও আমি পড়তে বসলে ফিরে যাই সেই দুপুরগুলিতে, টিনের চালের ঘরে , যখন ফেসবুক বা ইন্টারনেট ছিলনা । কিকিরার ওল্ড হোমে গিয়ে সাপের খোলস, মন্ত্রপূত পুতুল আর সোনার মূর্তি উদ্ধার করা এগুলি যখন পড়েছি গা সিউরে উঠেছে । কিকিরাকে কিন্তু আধুনিক হতে হয়নি । সে ঠিক সময়ে রিটায়ার করেছে । বরং অর্জুন @ বিপ বিপ ডট কম পড়ে অর্জুনকে মনে হয়েছে টাইম রিলিক , যে আধুনিক হয়ে আর কয়েকটা দিন রিলেভেন্ট থাকার চেস্টা করছে । গল্পটা কিন্ত খারাপ ছিলনা ! জঙ্গল, মেমসাহেব, অর্জুনের আধ্যাত্মিক গুরু , মেজর সবই ঠিক ছিল । কিন্তু লেখক ব্রেন ওয়েভের সাথে সেলফোন অনেক কিছু আধুনিক মেশাতে যেয়ে ভজঘট পাকিয়ে ফেললেন । কাকাবাবু লাস্ট যেবার আফ্রিকায় গেলেন , ইন্টারনেটের কারনে তাকে অনেকে চিনে ফেলেছে বলে তিনি বললেন "এই হয়েছে এক ইন্টারনেট । সার্চ করলেই সব পাওয়া যায় । " আমার কাছে এই গোয়েন্দা গল্পগুলোর আধুনিকতার সাথে এলিয়েনেশনি ভাল লাগতো । পারলে আরও অজপাড়াগাতে প্লট সেট করো , ইমেল হ্যাকিং থেকে বড় রাজবাড়ীতে লুকানো গুপ্তধনের কাহিনি অনেক বেটার ।
তবে হ্যা, নতুন সবই যে খারাপ তা নয় । মিতিনমাসির গল্পে ভারতের বিভিন্ন জায়গার অসাধারণ বর্ণনা থাকে । পড়তে বেশ লাগে ।
"পারলে আরও অজপাড়াগাতে প্লট সেট করো , ইমেল হ্যাকিং থেকে বড় রাজবাড়ীতে লুকানো গুপ্তধনের কাহিনি অনেক বেটার ।" এ বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে একমত। মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
DeleteAmi post lekhok er sathe ekmot. Bolte baddho hocchi j Bortoman lekhok ra duto jinis parchen na 1. Vuter golpe voy dekhate. 2. Goyenda golpe rohosyer jot pakate.
ReplyDeleteBanglay 2jon goyenda 1, swanamdhonno satyanneshi shri Byomkesh Bakshi, r 2 .. Mr. Pradosh C Mitter.
ধন্যবাদ।
Deleteচমৎকার
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Delete