Posts

Showing posts from January, 2015

সাপ্তাহিকী

Image
মিল্কমেড দিয়ে বানানো ভিয়েতনামি কফি তো খেতে ভালো হবেই, মিল্কমেড আর চা (!) দিয়ে বানানো হংকং-এর কফিও ভালো হতে পারে, কিন্তু কাঁচা ডিম দেওয়া অস্ট্রিয়ান কফিটা কেমন হবে সে নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। There is an element of boredom which is inseparable from the avoidance of too much excitement, and too much excitement not only undermines the health, but dulls the palate for every kind of pleasure, substituting titillations for profound organic satisfactions, cleverness for wisdom, and jagged surprises for beauty… A certain power of enduring boredom is therefore essential to a happy life, and is one of the things that ought to be taught to the young.                                         ---Bertrand Russell,   The Conquest of Happiness When the internet stops working, actually tries rebooting the router before calling a family member for help. আমার এর থেকে ভালো বর্ণনা আর কেউ দি...

কারি গাছের পাতা

Image
“আমার রেডিওয় আমার যা ইসসা, তাই শুনুম। লারেলাপ্পা গান শোননের ইসসা হইলে নিজের রেডিও কিইন্যা শোন গে যাও।” রেডিওয় যে খবর আর কীর্তন ছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠান হয় এবং সেগুলোও যে স্বাদবদলের জন্য মাঝেমধ্যে শোনা যেতে পারে এই পরামর্শের উত্তরে ঠাকুরদার ওই প্রত্যুত্তর। আমি নিজের কানে শুনিনি অবশ্য। কারণ আমার তখন শোনার মতো কান ছিল না। কান কেন, আমিই তখন ছিলাম না। আমি ছিলাম না, কম্পিউটার ছিল না, ভি এস এন এল ব্রডব্যান্ড ছিল না, এমনকি দরজা টানা সাদাকালো অস্কার টিভিটাও তখন আমাদের বাড়িতে ছিল না। তখন আমাদের বাড়িতে বিনোদনের একমাত্র উৎস ছিল ঠাকুরদার এইচ এম ভি রেডিও। ঢাউস এবং গম্ভীর। প্রত্যুত্তরটা শোনার পর একদিন সেজকাকু গটমটিয়ে গিয়ে বাজার থেকে একটা লাল রঙের ছোট রেডিও কিনে আনলেন। বাবাকে বললেন, “তুই-ই বা বসে আছিস কেন, কিনে ফেল একখানা রেডিও। এই বাড়িতে . . .” আমার ঠাকুরদার সঙ্গে সেজকাকুর সর্বক্ষণ খটরমটর লেগে থাকত, কিন্তু এঁরা দুজনেই ছিলেন একে অপরের যাকে বলে কার্বন কপি। দুজনেই রগচটা, দুজনেই ডাকাবুকো, দুজনেই সারাজীবন নিজের নিজের বাবার একটি কথাও গ্রাহ্য করেননি। দুজনেরই মনেপ্রাণে বিশ্বাস ছিল “এই বাড়ি...

চেনেন নাকি?

Image

ছাব্বিশে জানুয়ারি

আজ একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে তো বটেই, আমার জীবনেও। বান্টি বলল, “কিছু বাড়তি কথা বলতেও পার বটে তুমি। ভারতবর্ষের জন্য যা ইম্পরট্যান্ট, তোমার জন্য তো তা ইম্পরট্যান্ট হবেই। শুধু ইতিহাস কেন, ভূগোল, ভৌতবিজ্ঞান, জীবনবিজ্ঞান, পিসিকালচার, হর্টিকালচার – ভারতবর্ষের পক্ষে যা যা ইম্পরট্যান্ট, তোমার পক্ষেও তা ইম্পরট্যান্ট হতে বাধ্য। সে তুমি স্বীকার কর আর না কর।” অস্বীকার আমি করছি না মোটেই। ইতিহাসের দিক থেকে দেখলে আজকের দিনটা আমার কাজে জরুরি তো বটেই। ছেষট্টি বছর আগে আজকের দিনটা ঘটেছিল বলেই আমি কথায় কথায়, অটোর সঙ্গে দরাদরিতে, অর্চিষ্মানের সঙ্গে তর্কে, যখন তখন কথায় কথায় আমার ‘কনস্টিটিউশনাল রাইটস্‌’-এর ধুয়ো ধরতে পারছি, সে অস্বীকার করছি না। আমি শুধু বলতে চাইছি, আমার হাতে সে রাইটস্‌-এর মালিকানা ন্যস্ত করা ছাড়াও আজকের দিনটার আমার জীবনে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ছেষট্টি বছর পরের এই দু’হাজার পনেরো সালে। আজ আমার বছরের প্রথম তিনদিন লম্বা উইকএন্ডের শেষ দিন। এই উইকএন্ডটা অনেক রকম করে কাজে লাগানো যেত। ছুটির আঁচ পেলেই প্রথম যে কাজটার কথা মনে পড়ে – কাজ ছেড়ে পালানোর কাজ...

সাপ্তাহিকী

Image
The hierarchy of disagreement   উৎস The scholar's greatest weakness: calling procrastination research.                                               ---   Stephen King ১। সেদিন গুগল ম্যাপস হাতে বাগিয়ে ধরে শাহপুরজাটের গলিতে ঘুরতে ঘুরতেই কথাটা মাথায় এসেছিল।  ম্যাপ দেখে যথাস্থানে পৌঁছে (শেষমুহূর্তে পানের দোকানে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল, তবে ওটা আমাদের বুরবকি। দোকান খোঁজার জন্য আমার আগেপিছে ডায়েবাঁয়ে, পুবপশ্চিম উত্তরদক্ষিণ ঈশানঅগ্নি নৈঋতবায়ু সব দিকে ঘাড় ঘুরিয়েছিলাম, বাদ রেখেছিলাম খালি ঊর্ধ্ব আর অধঃ। ঊর্ধ্বপানে তাকালেই মাথার ওপর ঝুলন্ত জং ধরা বোর্ডে চোখে পড়ত, অধোপানে চাইলেই পায়ের শাহপুরজাট ভিলেজের জমা জলের পুকুরে আমরা সে বোর্ডের ছায়া দেখতে পেতাম)। যাই হোক, পানওয়ালা ভাইসাবের দেখানো সিঁড়ি বেয়ে আমরা যখন দোকানে উঠে এলাম আর ঠাসাঠাসি দোকানে একখানা বিতিকিচ্ছিরি টেবিল আমাদের কপালে জুটল, তখন চেয়ারে তশরিফ রেখেই প্রথম যে কথাটা আমি বলেছিলাম সেটা হচ্ছে, “গুগল ম...

গোকর্ণ

Image
গোকর্ণ সমুদ্রতটে বাবার তোলা কয়েকটা ছবি দেখাই আপনাদের। 

চৌত্রিশ/ পর্ব ২

চৌত্রিশ বছরের জন্মদিনের পোস্টটা লেখার পর অবান্তরেরই এক পড়ুয়া আমাকে বুদ্ধি দিয়েছিলেন চৌত্রিশ বছরে আমি কী কী শিখিনি সেটা নিয়ে একটা পোস্ট লিখতে। পরামর্শটা আমার বেশ মনে ধরেছিল। যা যা শেখা হয়ে গেল সে তো হয়েই গেল, যা যা হল না সেগুলোকে লিখে চোখের সামনে টাঙিয়ে রাখলে যদি কোনওদিন সেগুলো শিখে ওঠা হয়। এই পর্যন্ত শুনে বান্টি বলল, “ও, তার মানে তোমার ধারণা পৃথিবীতে তোমার মোটে চৌত্রিশটা কাজ শিখতে বাকি আছে। বাকি সব তুমি গুলে খেয়ে নিয়েছ। বাঃ, তোমার আত্মবিশ্বাস দেখে আমি মুগ্ধ।” বান্টির প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি, কিন্তু আপনাদের দিচ্ছি। অফ কোর্স, চৌত্রিশ কেন, চৌত্রিশ লক্ষ কোটি অযুত নিযুত কাজ আমার শেখা নেই। আমি সেতার বাজাতে পারি না, ঘোড়ায় চড়তে পারি না, মনে করে ওষুধের কোর্স শেষ করতে পারি না।  সেই কাজগুলো শিখতে পারলে ভালোই হত, কিন্তু এই চুপিচুপি স্বীকার করছি, কোনওদিন সেগুলো শেখার কথা আমার খুব একটা ইচ্ছে হয়নি। সর্দি সেরে গেলেও শুধু প্রেসক্রিপশনে লেখা আছে বলে কেন আমাকে আরও তিনদিন সেটজিন খেয়ে যেতে হবে এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অফিসের চেয়ারে বসে ঢুলতে হবে আমার মাথায় ঢোকেনি । ...