ছাব্বিশে জানুয়ারি
আজ
একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে তো বটেই, আমার জীবনেও। বান্টি বলল,
“কিছু বাড়তি কথা বলতেও পার বটে তুমি। ভারতবর্ষের জন্য যা ইম্পরট্যান্ট, তোমার জন্য
তো তা ইম্পরট্যান্ট হবেই। শুধু ইতিহাস কেন, ভূগোল, ভৌতবিজ্ঞান, জীবনবিজ্ঞান,
পিসিকালচার, হর্টিকালচার – ভারতবর্ষের পক্ষে যা যা ইম্পরট্যান্ট, তোমার পক্ষেও তা
ইম্পরট্যান্ট হতে বাধ্য। সে তুমি স্বীকার কর আর না কর।”
অস্বীকার
আমি করছি না মোটেই। ইতিহাসের দিক থেকে দেখলে আজকের দিনটা আমার কাজে জরুরি তো বটেই। ছেষট্টি বছর আগে আজকের দিনটা ঘটেছিল বলেই আমি কথায় কথায়, অটোর সঙ্গে দরাদরিতে, অর্চিষ্মানের সঙ্গে
তর্কে, যখন তখন কথায় কথায় আমার ‘কনস্টিটিউশনাল রাইটস্’-এর ধুয়ো ধরতে পারছি, সে
অস্বীকার করছি না। আমি শুধু বলতে চাইছি, আমার হাতে সে রাইটস্-এর
মালিকানা ন্যস্ত করা ছাড়াও আজকের দিনটার আমার জীবনে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা আছে। ছেষট্টি বছর পরের এই দু’হাজার পনেরো সালে।
আজ
আমার বছরের প্রথম তিনদিন লম্বা উইকএন্ডের শেষ দিন।
এই
উইকএন্ডটা অনেক রকম করে কাজে লাগানো যেত। ছুটির আঁচ পেলেই প্রথম যে কাজটার কথা মনে
পড়ে – কাজ ছেড়ে পালানোর কাজ, আর সে সঙ্গে এই কর্মময় শহরটা ছেড়েও পালানোর কাজটার
কথা আমাদের প্রথমেই মনে এসেছিল। পালিয়ে বেশি দূর যেতেও হত না। মোটে দুশো সত্তর
কিলোমিটার দূরে দেশের বিখ্যাততম সাহিত্যমেলা বসেছিল। দেশবিদেশের সাহিত্যিক,
সাহিত্য বিশেষজ্ঞ, সাহিত্য অনুরাগীদের, সাহিত্যিকদের(যাঁদের কারও কারও প্রতি আমার
মোহমুগ্ধতাও আছে যথেষ্ট পরিমাণে) ঝলমলে মেলা। মেলা ভালো না লাগলে হাওয়ামহলে হাওয়া
খেতে যাও, হাওয়া খেয়ে খিদে না মিটলে ডাল-বাটি-চুরমার সন্ধানে বেরোও, আটকাচ্ছে কে?
মনকে
বুঝিয়ে এনেছিলাম প্রায়। আর টি ডি সি-র হোটেলে খালি ঘর আছে দেখে, ট্রেনে সিট না
পেয়ে “বাসেই যাব” সংকল্পে বুক বেঁধেও . .
. শেষমুহূর্তে গেলাম না। ঠিক করলাম বাড়িতে বসে আরাম করব। বাহাত্তর ঘণ্টার
নিশ্ছিদ্র আরাম।
বয়স
হয়েছে বোঝা যাচ্ছে।
বার্ধক্যের
সত্যিটা মেনে নিয়েও বলছি, এই অদ্ভুতুড়ে সিদ্ধান্তের পেছনে কিছু যুক্তি ছিল। কয়েকটা
সংকল্প। তারা কেউই নতুন বছরের রেসলিউশনের মর্যাদা পাওয়ার মতো গুরু নয়। সে রকম কিছু
কিছু অপ্রধান সংকল্পের মধ্যে একটা ছিল বাড়ির ওজন কমানোর সংকল্প। দু’হাজার বারো
সালের শেষের দিকে দু’জনে মিলে যখন বাড়িটা দেখতে এসেছিলাম তখন লোকেশন আর বাড়িওয়ালার
পাশাপাশি যেটা দু’জনেরই মনে ধরেছিল সেটা হচ্ছে বাড়িটার একহারা, নির্মেদ চেহারা। যতটুকু
দরকার ততটুকুই আছে, তার বেশি নেই। বাজে খরচ নেই একরত্তি।
বাড়িটার
সেই হিংসে করার মতো ফিগার, গত দু’বছর ধরে আমরা মাটি করেছি। বাইরে থেকে যেটুকু দেখা
যায়, মুখচোখ নাককান, মেজেঘষে ধুয়েমুছে রেখেছি; যেটুকু দেখা যায় না, শরীরের যে সব
খাঁজভাঁজ, মোড়মোচড় আড়ালে লুকিয়ে থাকে, সেখানে প্রয়োজনের বেশি সঞ্চয়ে, নিয়মিত
ব্যায়ামের অবহেলায় জমিয়ে তুলেছি অনাবশ্যক মেদের পরত।
এই
জমার প্রক্রিয়াটা মানুষের শরীরের মতো হলেও, খরচের প্রক্রিয়াটা, সুখের ব্যাপার,
মানুষের শরীরের থেকে সোজা। পরিশ্রম ও সময়, দুদিক থেকেই। মাসের পর মাস জিমে যাওয়া
নেই, জিভে জল আনা খাবারের সামনে আত্মসংযম অভ্যেস করা নেই। চাই শুধু একটা ছুটির
সকাল আর একজন পরিচিত কাবাড়িওয়ালার ফোন নম্বর।
তিনটে
ফাঁকা সকাল থেকে এই কাজটার জন্য আমরা বেছে নিয়েছিলাম রবিবারের সকালটা। ডাঁই করা
কাগজের পাহাড় ভেঙে বেরোলো হারানো চেকবই আর দু’বছর আগের মাইনের স্লিপ। দেখে মিশ্র
অনুভূতি জাগল মনে। মাইনে বেড়েছে দেখে খানিকটা খুশি, আবার যতটা বাড়া উচিত ছিল ততটা
বেড়েছে কি না সংক্রান্ত খানিকটা সন্দেহ। আর বেরোলো লাখ লাখ অর্ধেক লেখা খাতা।
সেগুলো এবারও জমিয়ে রাখলাম, সামনের বছর ছাব্বিশে জানুয়ারির আগে ফুরোনো যায় কি না
দেখা যাক।
কাগজ
বিক্রি হল, পুরোনো প্যাকিং কেস বিক্রি হল, অসংখ্য সেমিনার থেকে পাওয়া অগুন্তি
প্লাস্টিকের ফোল্ডার বিক্রি হল, কোটি কোটি জলের বোতল বিদেয় হল। বাড়িটার ওজন কমে
গেল এক ঝটকায় অনেকটা। চোখ ফেরাতে গিয়ে এখাঁজে ওখাঁজে চোখ আটকে যেতে লাগল হঠাৎ
হঠাৎ। যে খাঁজভাঁজগুলো ছিল যে সেটাই ভুলতে বসেছিলাম আমরা।
মানুষর
ওজন কমানোর সঙ্গে বাড়ির ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার আরও একটা তফাৎ চোখে পড়ল। জিম
মেম্বারশিপে এক পয়সাও খরচ হল না, উল্টে কাবাড়ি ভদ্রলোক আমাদের একশো টাকা দিয়ে
গেলাম। তাও তো আমরা মোটে দরাদরি করিনি, করলে দেড়শো টাকা পর্যন্ত আদায় করা যেত বলেই
আমাদের বিশ্বাস।
এই
তিনদিনে যে দু’নম্বর কাজটা করার ইচ্ছে ছিল সেটা হচ্ছে কাজ করার জন্য বাড়ির ভেতর
নিজের জন্য একটা জায়গা বানানোর। বাড়িতে জায়গা আছে যথেষ্টই। সে জায়গায় আমার যে
অধিকার কিছু কম আছে তেমনও নয়। গোটা বাড়িটাই আমার রাজত্ব। যেখানে খুশি বস, যেখানে
খুশি শোও, যেখানে খুশি যা খুশি কর।
মুশকিলটা
হচ্ছে এত জায়গা থাকতেও কোনও জায়গাতে বসেই আমার কোনও কাজ হচ্ছে না। কাজ করার
দরকারটাই বা কি যদি জানতে চান, তাহলে অবশ্য আমার কাছে পদস্থ কোনও উত্তর নেই।অফিসে বেগার খেটে দিনের আট ঘণ্টা কাটে, পথে পথে
আরও দুই, খেয়েশুয়ে ইন্টারনেট দেখে আরও বারো, তার পরেও হাতে দু’ঘণ্টা ফালতু পড়ে
কাটে। সুখে থাকতে আমাকে ভূতে কিল মেরেছে, আমার শখ হয়েছে সে দু’ঘণ্টা কাজ করে নষ্ট
করার। কিন্তু কাজ করব বললেই তো করা যায় না। অন্তত, আমি পারি না। কাজ করার কথা
মাথায় উদয় হলেই কেউ কেউ হয়তো হইহই করে কাজে নেমে পড়েন। আমি তাদের মধ্যে পড়ি না।
কাজের কথা মাথায় এলে আমি প্রথমে খানিকক্ষণ সাড়াশব্দ না করে ঘাপটি মেরে থাকি।
অপেক্ষা করি, যদি কাজের লোকের অভাবে কাজ ফিরে যায়। সে ফন্দি যদি ফেল করে তবে
মুখব্যাজার করে উঠে এদিকওদিক হাঁটি, এটাসেটা গুছোই্। কাজকে বলি, “দাঁড়াও দাঁড়াও,
ভালো করে তোমার উপযুক্ত সমাদর করব বলেই তো অ্যাটমসফিয়ার তৈরি করছি।” অবশেষে কাজের
ধৈর্যচ্যুতি হয়, সে “নিকুচি করেছে তোর অ্যাটমসফিয়ারের” বলে দুমদুমিয়ে হাঁটা মারে।
আমি “কেমন দিলাম” বলে নিজের পিঠ চাপড়ে দিই।
এ
বছর ভূতের কিলটা আমার পিঠে খানিক জোরেই পড়েছে দেখতে পাচ্ছি। কাজের উপযোগী
অ্যাটমসফিয়ার তৈরি করতে আমার উদ্যোগ দেখে আমি নিজেই চমৎকৃত। আমাদের বাড়িতে
সাকুল্যে দুটি ঘর, তার একটি ঘরে রেডিও টিভি বুককেস ইত্যাদি আরও নানারকম
মেনকারম্ভারা ঘাঁটি গেড়ে আছেন, সেখানে কোনও রকম সাধনার উপায় নেই। অন্য ঘরটি কোণের
দিকে, লোকসমাজের চোখের আড়ালে। পর্দা টেনে দিলেই ঠিক যেন হিমালয়ের নির্জন গুহা। সাধনায়
সিদ্ধিলাভ করার জন্য অর্ডার দিয়ে বানানো।
এতদিন
সে গুহায় ঢোকার আমার কোনও সদিচ্ছা হয়নি। দিব্যি সামনের ঘরে হাটের মধ্যে বসে
থেকেছি, টিভি দেখতে দেখতে, গান শুনতে শুনতে, ক্যান্ডি ক্রাশ খেলতে খেলতে যতটুকু
কাজের ভড়ং হয়েছে ততটুকুতেই নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছি। হঠাৎ আর চলছে না। হঠাৎ মনে
হচ্ছে, আর একটু মন দিয়ে কাজ করলে বোধহয় লাভ হতে পারে।
তাই
এই উইকএন্ডে আমি ভেতরঘরে একখানা জায়গা বানিয়েছি। নিজের জায়গা। খাট তো ছিলই, খাটের
ওপর পেতেছি একখানা বিছানা-ডেস্ক, খাটের পাশে রেখেছি একখানা ছোট টেবিল, টেবিলের ওপর
ডাঁই করেছি আমার অর্ধেক লেখা অগুন্তি নোটবুক, কালিফুরোনো অসংখ্য অকেজো পেন। সেই সব
পেন দিয়ে লিখে সেই সব নোটবুক ফুরিয়ে ফেলব, এই আমার উচ্চাশা। মাঝরাতে আমার নোটবুকে
আলো ফেলতে এনে বসিয়েছি পুরোনো আকাশীরঙা টেবিল ল্যাম্পকে। অর্চিষ্মানের আলমারি
হাঁটকে বার করে এনেছি একখানা লাল টুকটুকে মাল্টিপ্লাগ, তাতে আমার ল্যাপটপ আর ফোন
চার্জ হবে। বাকি যেটুকু জায়গা বাকি থাকবে, সেখানে আমি চায়ের কাপ নামিয়ে রাখব।
অ্যাটমসফিয়ার
তৈরির কাজ শেষ। এবার শুধু কাজটা করাই যা বাকি।
তিন
নম্বর যে জিনিসটার জন্য বাড়িতে থেকে যাওয়া, সেটা হচ্ছে শীত। দিল্লির শীত লাস্ট
ল্যাপ দিচ্ছে। আর টেনেটুনে একটা মাস, তারপরই কষ্ট শেষ। আর সকালে লেপ ছেড়ে বেরোতে
কান্না পাবে না, আর রাতে শুতে যাওয়ার সময় মনে হবে না, কে যেন শত্রুতা করে বিছানায়
বরফ জল ঢেলে রেখে গেছে। আর সর্বাঙ্গ মুড়ে অটো চেপে অফিস যাওয়ার সময় মনে হবে না, “হে
ভগবান, গাল, কপাল আর চিবুকটা ঢাকার জন্য কেন কিছু বেরোয়নি গো”, আর যখন তখন ঢোঁক
গিলতে গেলে গলায় কাঁটা ফুটবে না।
আর
একমাস বাদে হাঁ করে নিঃশ্বাস ছাড়লে মুখের ভেতর থেকে ঘন ধোঁয়া বেরোবে না, সকালে ঘুম
থেকে উঠে জানালার বাইরে তাকালে মনে হবে না মেঘ আর কুয়াশা কেটে গেলেই ওপারে
কাঞ্চনজঙ্ঘা ঝলমল করে উঠতে পারে যে কোনও মুহূর্তে, বিকেলবেলা জানালার কাঁচ বেয়ে
নামবে না বাষ্পের বৃষ্টি।
এই
শেষের শীতটুকুতে আরাম করে গড়াগড়ি খাব বলে বাড়িতে থেকে গেলাম। সকাল সাড়ে সাতটার সময়
ঘড়িকে কাঁচকলা দেখাতে দেখাতে চল্লিশ মিনিট ধরে চা খেলাম, বিছানায় এসে পড়া মিষ্টি
রোদ্দুরে খবরের কাগজ পেতে খুব করে কমলালেবু আর নারকেল কুল খেলাম দুজনে। দুপুরের
খাওয়া তাড়াতাড়ি সেরে রোদ্দুরে পিঠ সেঁকতে সেঁকতে নাটক দেখতে গেলাম। ফেরার পথে মেট্রো
স্টেশনে নেমে অটো নেওয়ার বদলে হেঁটে হেঁটে ফিরলাম বাড়ি পর্যন্ত। ফ্লাইওভারের তলায়
যাযাবরদের ডেরায় কাঠকয়লার আগুনের পটপট আওয়াজ শুনলাম, ধোঁয়ার গন্ধ শুঁকলাম।
আজ
তিন নম্বর দিন। আজ ছুটি শেষ। যা হল তা হল, যা হল না তা হল না, তুলে রাখলাম সামনের
ছুটির মুখ চেয়ে। ছুটি শেষের খবরটা আমি যেমন পেলাম, অর্চিষ্মান যেমন পেল, দিল্লির
আকাশবাতাসও তেমনি পেয়েছে মনে হচ্ছে। সকাল থেকে রোদের মুখ দেখিনি আজ। বেলা ঢলে
গেছে, ঘড়িতে তিনটে বাজতে চলল, দেখার আশাও নেই আর। ঘন হয়ে অন্ধকার নামছে জানালার
কাঁচ বেয়ে, ঠাণ্ডা, স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার। ব্লোয়ারের উষ্ণ হাওয়ার তেজ ক্রমশ কমছে,
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মন খারাপ। গ্যাসে সিম করা আঁচে জ্বলছে পাঁঠার মাংস। মন খারাপ
যদি কেউ দূর করতে পারে তবে ও-ই পারবে।
sudhu pathar mangse hobe na, biryani ar mutton chap holeu na hoi kotha chilo!! 3 din chutir pore sokale uthe office kora ki mukher kotha..
ReplyDeleteসিরিয়াসলি, অর্ণব। বুক ফেটে যাচ্ছে।
Deleteদুইখান কথা কই। কাবাড়িওয়ালার থিক্যা ১০০টাকা পাইয়া এত নাচন? হে তো (স)চুরি করসে আরো দুইশ টাকা।
ReplyDeleteদ্বিতীয় কথা হইল, খাটের উপর এত বড় ডেস্ক রাখলে শুইবা কই? আইজ বাদে কাইল দেখবা খাটের পাশে জইম্যা গেছে আরো দশখান বই। বর ব্যাসা(চা)রার কি দুগ্গতি গো--। দ্যাখলে দুঃখু লাগে।
এই যুক্তিটা আরও এক জায়গা থেকে পেলাম, মালবিকা। একশো কেন, বিনেপয়সাতে নিয়ে গেলেও আমি আপত্তি করতাম না, কারণ সে আমার কোনও কাজে লাগবে না এমন জঞ্জাল বাড়ির দরজা পর্যন্ত বয়ে এসে যেচে নিয়ে গেছে। তার কি লাভ হয়েছে জানি না, আমার যে বিস্তর হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
Deleteamader abar tana chardin chhuti... chhotto berie asha.. aj theke chhuti sesher dukhyo nie office .
ReplyDeleteei bari poriskarer songe songe kichhu taka haat e paoata je ki anonder :-) .
সে কী চারদিন ছুটি কীসের? কী অন্যায়। কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলেন, ইচ্ছাডানা?
Delete23rd o jure gechhilo . Garpanchkot ghure elam. kolkatar eto kachhe eto sundor jaiga... darun legechhe
Deleteবাঃ বাঃ, ছবি পোস্ট করবেন ব্লগে, দেখব।
DeleteSaraswati pujo bolle na Kuntala? Sonibar podate gorom gorom khichuri bhogta kopale jutlo Tobe amar long weekend ta bajei keteche bolte hobe. Husband ekti rare sordi te kabu chhilen! Tai pathar mangso khaoa holo na aar kothao jaoa holo na! :-(
ReplyDeleteসরস্বতী পুজো নিয়ে আর বোলো না রুণা। রাস্তায় বেরিয়ে কী যে বিপদে পড়েছিলাম। পালে পালে শিশুর দল। তাদের অর্ধেক আবার শাড়ি পরেছে, সে অর্ধেকের আবার দু'পা চলতে না চলতে শাড়ি খুলে যাচ্ছে, বাকি অর্ধেক তখন নিজের শাড়ি সামলে বন্ধুর শাড়ি ঠিক করে দিচ্ছে। মাঝরাস্তায়, উদ্যত লরি-র মুখে দাঁড়িয়ে।
Deleteসর্দি খুব বাজে ব্যাপার। এখন সব আন্ডার কন্ট্রোল আশা করি। প\
Lukobar chesta kore laabh nei. Ota tomar writing retreat, tai na? Ebare Abantor er pathok-kul o ekta kore reader's retreat toiri kore bose thakbe opekkhay!
ReplyDelete-Ramyani.
হাহা, রম্যাণি, আমি তো রাইট করি না, বড় জোর ব্লগিং রিট্রিট বলা যেতে পারে। কিন্তু ব্লগিং এর জন্য রিট্রিট আবার মশা মারতে কামান দাগার মতোই ব্যাপার, কাজেই ওটা নেহাত নিজের চারপাশে একটা লক্ষ্মণরেখা টানার প্রচেষ্টা, তার বেশি কিছু নয়।
Deleteকুন্তলা, লেখার জন্য তোমায় দুটো জমজমাট বিষয় দিলাম : ১) ওবামার ভারতে আগমন এবং তৎসংক্রান্ত আদেখলাপনা ও ২) কিরণ বনাম কেজরী : রাম রাবনের যুদ্ধ ( কে রাম আর কে রাবণ , তা অবশ্য জানিনা !)......প্রচুর মশলা আছে, লিখে ফেল চটপট ...........তিলকমামা
ReplyDeleteওরে বাবা তিলকমামা, এত বড় বড় বিষয় নিয়ে লেখার মুরোদ আমার নেই। তুমি যে আমাকে ও সব নিয়ে লেখার যোগ্য মনে করেছ এতেই আমি ধন্য। ঠিক যেমন ওবামাকে নিজে হাতে নিজের মাথায় ছাতা ধরতে দেখে আমরা ধন্য হয়েছি, তেমন।
DeleteAmi to praye sure chilam je ei long weekend e nirghat kothao berate jabe. Jai hok. Bari poriskar koratao khubi joruri kaj. Ar kothin o. Ami to sobkichui aha kaje lagbe pore kore jomiye rekhe diyi ar ma khub rege giye chechamechi korte thake.
ReplyDeleteআরে কুহেলি, আমরাও তো প্রায় চলেই যাচ্ছিলাম, শেষমেশ গেলাম না। তবে তুমি যেমন বললে, না গিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করার মতো একটা কাজের কাজ, পুরোটা না হলেও কিছুটা হল। ওই সঞ্চয়ের বদঅভ্যেসটা আমারও আছে, কিন্তু অভ্যেসটা যেহেতু বদ, তাই তোমাকে হাই ফাইভ দিচ্ছি না।
Delete