কিন্ডল



গতমাসে উইন্ডফল গেন হয়ে দুজনের ব্যাংকেই কিছু বাড়তি টাকা এসে গেল। টাকাটা দিয়ে দরকারি অদরকারি অনেক কিছু করা যেত। বেড়াতে যাওয়া যেত। রান্নাঘরের ননস্টিক বাসনকোসনের একটিকেও আর চোখের মাথা না থেকে ননস্টিক বলা যায় না, ছাত্রাবস্থার দু’লিটারের প্রেশার কুকারে মাংসের সঙ্গে আলু দিলে ঢাকনা বন্ধ হয় না - সে সব সমস্যার সমাধান করা যেত, কিন্তু সেসবের আমরা কিছুই করলাম না।

কারণ কী করা যায় প্রশ্নটা যে মুহূর্তে মুখ থেকে বেরিয়ে দুলতে দুলতে চোখের সামনে এসে দাঁড়াল, সঙ্গে সঙ্গে উত্তরটাও এসে গেল। আর আমরা কিন্ডল অর্ডার করে ফেললাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যে।

টিভি, ফ্রিজ, এসি, ক্রোমকাস্ট কেনা, এমনকি ভাড়াবাড়ি পাল্টানো নিয়েও এত ভাবিনি যত কিন্ডল কেনা নিয়ে ভেবেছি। ভেবে ভেবে মাথা খারাপ করেছি, নিজেরা রিসার্চ করে পাগল হয়েছি, কিন্ডলওয়ালা লোকদের খুঁচিয়ে পাগল করেছি। উইশলিস্ট থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ বই (কিছু পড়া হয়েছে কিছু হয়নি), যোগব্যায়ামের মাদুর (যেটা গত দু’বছরে সাত বার ব্যবহার হয়েছে), ওজন মাপার মেশিন (যেটার খেলনায় পর্যবসিত হয়েছে), ট্র্যাক প্যান্টস (ভবিতব্য জানতে হলে আগের দুটি আইটেম দর্শনীয়), টিফিন বাক্স (যেটার ঢাকনা বন্ধ করা যাচ্ছিল না বলে ফেরত গেছে), কাচের জলের বোতল (চারটে কিনেছিলাম, একটা গেছে), রাইস কুকার (আগেরটা দিব্যি কাজ করছিল, যতদিন না আমি প্লাস্টিকের ঢাকনা পরানো প্লেট কুকারের ভেতরে রেখে ভাত রান্না করে ফেললাম আর প্লাস্টিক গলে একটা ভয়াবহ কাণ্ড হল) কেনা হয়ে গেল, কিন্ডল গ্যাঁট হয়ে বসে রইল যে রইলই।

সমস্যাটা যে শুধু টাকার অভাবের ছিল তা নয়। হ্যাঁ, আমি “কিনলে পেপারহোয়াইটই কিনব” বলে গোঁ ধরে বসে ছিলাম ঠিকই কিন্তু চাইলে হিসেবটিসেব করে, সংসারের অনন্ত হাঁ থেকে টাকা বাঁচিয়ে এতদিনে সেটা কেনা যেত। কিনি যে নি, সেটার কারণ মনের সাড়া না পাওয়া। কেন যেন মনে হচ্ছিল কিন্ডল কিনলে সত্যিকারের বইয়ের সঙ্গে বেইমানি হবে। কাগজের বই আর বৈদ্যুতিন বই যেন একে অপরের অ্যান্টিথেসিস, একজন রাত হলে অন্যজন দিন, একজন নাস্তিক হলে অন্যজন আস্তিক, একজন উচ্ছে হলে অন্যজন রসগোল্লা, একজন বর হলে অন্যজন পরপুরুষ। স্টিফেন ফ্রাই-এর চমৎকার উক্তি “Books are no more threatened by Kindle than stairs by elevators.” পড়ার পরও মনকে ভোলাতে পারিনি একেই তো ওদের আর আগের মতো ভালোবাসি না, পড়াশোনা জানা সংসারে একটা লাইব্রেরি কার্ড নেই, ফেলে রেখে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলি, তার ওপর যদি একখানা কিন্ডল এনে হাজির করি তাহলেই যেন বিট্রেয়ালটা সম্পূর্ণ হয়। মুখের ওপর বলে দেওয়া হয়, যে দেখ ভাই, যদিও ছোট থেকে তোমরাই আমাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছ, ক্ষতিকারক কিন্তু সুস্বাদু আইডিয়া দিয়ে মগজ ভর্তি করেছ, পরীক্ষার আগেও পড়ার বইয়ের থেকে দূরে রেখে রেজাল্ট খারাপ করিয়েছ, তবু তোমাদের প্রয়োজন আমার কাছে ফুরিয়েছে। এখন আমি লায়েক হয়েছি, তোমরা আমার কাছে ব্যাকডেটেড হয়েছ। অর্চিষ্মানও এইরকম করেই ভাবত বা এখনও ভাবে আমি নিশ্চিত। কারণ কিন্ডল কেনার ব্যাপারে উৎসাহ দেখালেও ও আস্তে করে একবার বলেছে, “আমরা কিন্তু কাগজের বই কেনা বন্ধ করব না, কেমন?” আমি বলেছি, “পাগল?”

জিনিসটা হাতে এসেছিল বেশ কিছুদিন আগেই, কিন্তু ব্যবহার না করে সেটার সম্বন্ধে ফস করে কিছু বলা উচিত হবে না বলে ঘাপটি মেরে ছিলাম। অবশেষে অপেক্ষার অন্ত হয়েছে। একটা গোটা বই আমি কিন্ডলে পড়ে উঠেছি। হাঙ্গেরিয়ান লেখক Magda Szabo-র উপন্যাস The Door। চমৎকার বই। কিন্তু সে বইয়ের কথা মে মাসের বইয়ের গল্পে হবে, এখন শুধু বই-বাহনের কথাই হোক। এই প্রাথমিক মোলাকাতের পর কিন্ডলের উপকারিতা অপকারিতা যা যা মনে হয়েছে সেগুলো নিচে লিখছি।

একটা কথা বলে রাখা ভালো, স্ক্রিনে বই পড়ার অভ্যেস আপনাদের সবার মতোই আমারও আছে। ইন ফ্যাক্ট, গত ক’বছর ধরে যত বই পড়েছি তার অধিকাংশই অনলাইন, কাজেই কিন্ডলে পড়তে গিয়ে বইয়ের পাতার সোঁদা গন্ধ পাচ্ছি না আর তাতে পড়ার আনন্দ অর্ধেক মাটি হয়ে যাচ্ছে, এই অভিযোগ আমার করা সাজবে না। বই বনাম কিন্ডলের যুদ্ধে পড়ার আরাম সংক্রান্ত কোনও পয়েন্ট তাই আমার লিস্টে থাকল না।


উপকারিতা

১। আজকাল বেশিরভাগ বইই ইন্টারনেট পড়ছি বললাম বটে, কিন্তু সত্যি কথাটা হচ্ছে যে বইগুলো পড়েছি সেগুলো সবই পুরোনো। টাটকা নতুন বই অনলাইন পাওয়া যায় না, বা পাওয়া গেলেও তাকে খুঁজে বার করার দক্ষতা আমার নেই। তাছাড়া লেখকদের রয়্যালটি থেকে বঞ্চিত করার খচখচানিটাও একেবারে অস্বীকার করা যায় না। কিন্ডলে এত খোঁজাখুঁজির ঝামেলা নেই, চুরিচামারির অপরাধবোধ নেই। ফাঁকি মেরে রোজগার করা পয়সা দিয়ে বই কিনে বুক ফুলিয়ে পড়ব।

২। Magda Szabo-র বইটার পেপারব্যাকের দাম ছিল ছ’শো আটাত্তর টাকা। আমি কিন্ডলে কিনে পড়েছি দু’শো চুরানব্বই টাকায়। এর পর যে বইটা কিনব ভাবছি সেটার পেপারব্যাকের দাম সাতশো ঊনচল্লিশ টাকা। কিন্ডল সংস্করণ? তিনশো একান্ন।

৩। আর কাগজের বই কিনলে বুককেস কিনতে হবে। যদিও আমি সস্তা ওয়েবসাইট থেকে কমপ্রেসড কাঠের বুককেস কিনব, বই রাখলে যার তাকগুলো বিপজ্জনক রকম বেঁকে যাবে, তবু সে’রকম বুককেসের দামও যথেষ্ট। আর বুককেস রাখার জন্য বড় বাড়িতে উঠে যেতে হলে চোট বাড়বে বই কমবে না। তাছাড়া বুককেস কিনলেই তো হবে না, ধুলোও তো ঝাড়তে হবে।

৩। ক) স্থানসংকুলানের পয়েন্টে থাকতে থাকতে আমার অফিসের ব্যাগের কথাও তোলা উচিত। স্রেফ বই নিয়ে যাওয়ার জন্য অফিসের সঙ্গে আরেকটা ব্যাগের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। আর একেকটা বইয়ের যা ওজন, ডানকাঁধটা পার্মানেন্টলি বাঁ কাঁধের তুলনায় নিচু হয়ে গেছে। কাঁধ ঠিক করতে হলে এখন দু’শো গ্রামের কিন্ডলই ভরসা।

৪। রাতে আলো নেভানোর পরও পড়া যায়। আমাদের বেডসুইচহীন সংসারে এই উপকারিতাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


অপকারিতা

১। সারাদিনের একমাত্র যে বিনোদনটা কম্পিউটার স্ক্রিনের নাগালের বাইরে ছিল, সেটাও গেল। স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে এবার নির্ঘাত ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ হবে। যখনতখন যেখানেসেখানে চোখে সর্ষেফুল দেখব, এক বস্‌ দু’জন হয়ে প্রতিভাত হবেন। অশ্রুগ্রন্থি কালাহারি হয়ে যাবে, কান্না পেলেও কাঁদতে পারব না। নিত্য মাথাব্যথা হবে, ঘাড়ে স্পন্ডেলাইটিস। প্রাণটা না বেঘোরে যায়।

২। প্রথম বইটা শেষ করার পর থেকে ক্রমাগত নতুন বই কেনার জন্য মন ছোঁকছোঁক করছে। অর্চিষ্মানকেও বই কিনতে সকালবিকেল উদ্বুদ্ধ করছি। বইয়ের দামে যে মাইলেজটুকু পেয়েছিলাম, এই রেটে চললে অচিরেই তা মাঠে মারা যাবে মনে হচ্ছে।

৩। বাড়ির ‘ইলেকট্রনিক্স’ ড্রয়ারে আরও একটা ডেটা কেবল যুক্ত হয়েছে। এটা কত নম্বর সেটা গোনার আমার সাহস হয়নি। আমাদের দুটো ল্যাপটপ (কখনও কখনও তিনটে), দুটো ফোন (কখনও কখনও তিনটে), একটা হার্ড ড্রাইভ, একটা স্পিকার, আর এখন একটা কিন্ডল যখন একসঙ্গে স্বমহিমায় সারা ঘরে ছড়িয়ে থাকে, তখন তারের জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে মনে হয়, এদের দেখে যতটা প্রাণহীন মনে হচ্ছে এরা আসলে ততটাও নয়, প্রথম বর্ষার জল পাওয়া জঙ্গলের মতো লকলকিয়ে বেড়ে উঠে একদিন এরা আমাদের বাড়িছাড়া করবে। সব কিছু গুছিয়ে নেওয়ার সময়টুকুও দেবে না। সে সংকটমুহূর্তে বইয়ের তাক থেকে কয়েকটা সেকেলে, সত্যিকারের বই বগলদাবা করে যেন পালাতে পারি, দেখো ঠাকুর।


Comments

  1. baah.. kindle kine phellen... abhinondon... khub enjoy korun..

    aamio ei rokom onekdin dona mona kore bochor khanek aage kine tarpor eri moddhe hariyeo phelechi... chokkhulojja kore ekkhuni aabaar kinini.. kintu khub enjoy korechilam kindle.. rattire laptop e boi porle amar ghumono mathai othe.. kindle er low light screen sei tulonai onekta beshi aramdayok... aami ekhon librarywala bole ekti ecomm library r member abar physical boi porte arombho korechi...

    taarer byapartae high five.. amar laptop aar speaker er taar er thyalai aami majhe majhei khaat theke pore jabo mone hoi..

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এই কিনে হারিয়েও ফেলার ব্যাপারটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে, ইন্দ্রাণী। আমার জিনিসপত্রেরও এই নিয়তিই হয় কি না। লাইব্রেরিওয়ালা কনসেপ্টটা তো চমৎকার। ওই তারই আমাদের মারবে একদিন।

      Delete
  2. Goto der bochhor dhore Kindle byabohar korchhi. Ekkebare no regrets. Boi boye boye je ghaarer byatha seta kome, berate jawar somoye daroon kaajey day, chokhe lagey na. Ar amar moto loker jonyo jeta sobcheye boro subidhe, instant gratification hoy. Ei GoodReads ey ekta boi er byapare porlam, porer muhurtei boita amar haatey chole elo.

    Chhotobela boimela theke kena boigulor beshirbhaag-i maa almari tey dhukiye rakhto, annual porikkhar porey pabo bole. Sey je ki torture ki bolbo. Seijonyoi bodh hoy boro hoye boi er byapare instant gratification ey eto ananda pai.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঃ বাঃ, পজিটিভ রিভিউ। এই বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারটা আমার মাথাতে ছিল না, বিম্ববতী। ইস, কবে বেড়াতে যাব। মায়েরা কখনও কখনও এমন দুরাচারী হয়ে ওঠেন, ভাবা যায় না।

      Delete
  3. Kindle boro bhaalo jinish, bishesh kore Paperwhite. Upokarita gulo ekdom jegulo bolechho tai...apokarita-r 1 aar 3 numberta ekhono hoyni...kajei nishchinto thaako...amaar praye 3 bochhor hoye gelo.

    Jodi Boi torrent theke download korte apotti na thaake, tahole 2 number ta keo manage kora jaye

    Calibre bole ekta software download kore niyo....ebook manage korte shubidha hoy, aar epub (Android version of ebook) ke Mobi (kindle vesrion) e cnvert kora jaye

    ReplyDelete
    Replies
    1. গুড গুড, অর্পণ। অনেক কাজের টিপস পাওয়া গেল। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।

      Delete
  4. একদম হিপ হিপ হুররে বলে সাপোর্ট করছি, এই যেমন আমি এখন নবকুমার বসুর চিরসখা আর নবনীতা দেবসেনের স্বজনসকাশে পড়ছি। রাত্তিরবেলায় ঘুম না এলে দিব্বি আলো না জ্বেলে, কাউকে বিরক্ত না করে পড়া যায়। তবে ওই অপকারিতার প্রথমটুকু সহ্য করে নিতে হবে, এমনকি বই পড়ার সময়ও হয়, বেশিক্ষণ পড়তে বেশ অসুবিধে হয়, তবে পড়ার জন্য ওটুকু করাই যায়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সে তো যায়ই, শাল্মলী। সাপোর্ট পেয়ে খুব চাঙ্গা বোধ করছি। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  5. Kuntala, Kindle er jonya abhinandan. Amio boi rakhar jaygar okulan er jonyai rothom oi dike gechhilam. Ekta studio apartment e duto bookcase puro full hoye jaoyar por r boi rakhar jayga chhilo na. R library card er byapare amio tomar dole. Jotodin schhol e chhilam okhan theke niye porechhi kintu public library gulo ami bari ferar agei bondho hoye jay. Anyway tumi ei site ta check kore dekho. https://www.bookbub.com/home/. Ekhane tumi tomar pochhondo soi genre diye dile era kindle e kobe kon boi gree ba khub kom dam e dichhey tar ekta list protidin tomar inbox e pathiye dey. Osubidha ta ei subscribe korar ami lobhe pore roj e eto boi download korchhi je seta amar porar speed ke hu hu kore chhapiye jachhey. Kemon laglo janiyo site ta.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, চুপকথা। তোমার লিংকটা চমৎকার। খুব কাজে দেবে।

      Delete
  6. Sobai positive review!! Economic bepar ta khub sotti, boi kadhe Ofc jabar odubidha r bed switch er point tai hi five.kintu amar je negetive ta mone asche ta lilhle raag korbe naki??

    ReplyDelete
    Replies
    1. কী সাংঘাতিক, রাগ করব কেন! শিগগিরি লিখে ফেল, প্রিয়াঙ্কা।

      Delete
  7. Book shelves bhorti boi dekhe r sobai ke dekhiye je poriman gorbo hoe tato Kindle diye hobe na. Boi er boi r ghor sajano ta free.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত, প্রিয়াঙ্কা। ঘর সাজানোর প্রপ হিসেবে বইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে আর কেউ পারে না।

      Delete
  8. Amar jibon e oi ektai punji ... amar boi. Shelves upche, bakso upche, diwan er modhe thheyshe o kul shamlate parina.
    Kintu khub bhalo lage. Dhulo theke baanchate besh koshto hoye kintu oi amar praan.
    Kindle kinte oneke boleche tobe icche ta ekhono totota jordar hocche na. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, শর্মিলা, মনের সাড়া না পাওয়া পর্যন্ত কিনো না।

      Delete
  9. amar 1500 (and counting) boi diye "sajano" bari te kindle babaji ke dhukte dichhi na :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে, শম্পা, চালিয়ে যাও চালিয়ে যাও।

      Delete
  10. হুমম্‌, কিন্ডল কিনেছেন শুনে ভাল লাগলো। :)
    তবে আমার আবার, ওই আর কি, পর্দায় আনন্দবাজার অবধি চলতে পারে, তার বেশী এখনও সয়না। বইয়ের গন্ধটাকে বড্ড ভালবাসি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাহলে তো ভালোই, অরিজিত।

      Delete
  11. বাহ বাহ , অভিনন্দন। আমি কিন্ডল কিনিনি এখনো কিন্তু মোবাইল এ বই পরা খুব অসুবিধের , কত স্ক্রিন এরটা কিনলে ? -PB

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, মোবাইল বই পড়ার জন্য জঘন্য, প্রদীপ্ত। আমার কিন্ডল-টা ছ'ইঞ্চির।

      Delete
    2. থ্যান্ক ইউ :)

      Delete
  12. are are congo congo...khabo kintu dekha hole..roll,chow..
    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, নিশ্চয়, প্রসেনজিৎ।

      Delete

Post a Comment