প্রোষিতভর্তৃকার ডায়রি
প্রথমটা বেশ ভালোই লাগে। বাড়িতে লোক নেই, গল্প নেই, টিভি নেই, ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা খাওয়ার ছুতোয় সময় নষ্ট নেই। দুজনে পাশাপাশি কানে ইয়ারফোন গুঁজে বসে থেকে যে কাজ দু’ঘণ্টাতেও হয় না, কুড়ি মিনিটে সেটা পরিপাটি সাঙ্গ হয়ে যায়। বিরহকাতর হওয়ার বদলে মনের ভেতর বেশ একটা উত্তেজনা বোধ করি। মনে হয়, এই সুযোগ। অনেক লেখার, অনেক পড়ার, যত জমা কাজ শেষ করার। বাড়িঘরদোর ঝেড়েমুছে এমন তকতকে করে ফেলার যেন বাবাইয়াগা ডাইনি এসে শিলনোড়া পিটিয়েও এককুচি ধুলো ওড়াতে না পারে।
ওটা আসলে ফুরোনোর আগে এনার্জির দপ করে জ্বলে ওঠা। ঘরের হাওয়ায়, ধুলোকণায়, ছেড়ে যাওয়া হাওয়াই চটিতে, সিংকে নামিয়ে রেখে যাওয়া চায়ের কাপে লেগে থাকা অর্চিষ্মান রাত ফুরোনোর আগে উবে যায়, আর আমি ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারি বাড়িটা কী পরিমাণ খালি আর চারদিকটা কি বিশ্রী রকমের চুপচাপ। টিভি চালিয়েও সে নৈঃশব্দ্য ভাঙা যায় না।
মনে জোর না থাকলে গায়েও থাকে না। গ্যাস জ্বালানোর কথা মনে পড়লে কান্না পায়। দুধ খই ছাড়া অন্য কিছু চিবোনোর সম্ভাবনাতেই মাথা ঘোরে। সবথেকে কষ্ট হয় সারাদিনের সবথেকে খারাপ লাগা কাজটা একা একা করতে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দরজাজানালার ছিটকিনি, জলের কল, গ্যাসের নব, ফ্যানের সুইচ দেখেশুনে দরজা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো যে অত শক্ত কে জানত। অর্চিষ্মানের একটা ভীষণ প্রিয় স্বপ্ন আছে, যেটা ও মাঝে মাঝেই আমার কাছে ব্যক্ত করে, কিন্তু আমারই অসহযোগিতায় যেটা পূর্ণ করতে পারে না। সেটা হচ্ছে সকালে যতক্ষণ পর্যন্ত পারা যায় শুয়ে থেকে লাস্ট মোমেন্টে উঠে “স্যাট্ করে” বেরিয়ে যাওয়া। চা না খেয়ে, গাছে জল না দিয়ে। বিছানাবালিশ, রাতের পোশাকও সব ছড়িয়েছিটিয়ে থাকবে যেমনকে তেমন, রাতে বাড়ি ফিরে গুছোনো হবে। একা বাড়িতে ঘুম থেকে উঠলে ওই এই অন্যায় ইচ্ছেটাকে আমার এত লোভনীয় লাগে, মনে হয় চুলোয় যাক বাড়িঘরদোর ব্রেকফাস্ট, আমি স্যাট্ করে বেরিয়ে যাই।
*****
সেদিন একজনের বাড়ি গিয়েছিলাম। গল্প শেষ হতে হতে প্রায় এগারোটা বেজে গেল। 'আচ্ছা এবার ওঠা যাক' বলল যেই একজন, বাকিরা যে যার নিজের পকেট থেকে মোবাইল ফোন বার করল। বুড়ো আঙুল বইতে লাগল ডান থেকে বাঁ, নিচ থেকে ওপর। রিকোয়েস্টিং মিনি, মাইক্রো, শেয়ার, পুল।
শহরে যাতায়াতের দুনিয়ায় একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। রাস্তায় নেমে অটো শিকার প্রায় স্মৃতি। অফিসে বেরোনোর সময় আগে বলা হত, ‘চলো চলো’, এখন বলি ‘ডাকো ডাকো।’ ভাইসাবদের বাড়ির লোকেশন বোঝাতে বোঝাতে এমন অভ্যেস হয়ে গেছে, কোনদিন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে উঠে গড়গড়িয়ে বলতে শুরু করব, 'হ্যালো ভাইসাব, দো নম্বর মার্কেট সে যো রাস্তা সিধা… ‘
বিরাট পুঁজি নিয়ে পথে নেমেছে অ্যাপ বেসড ট্যাক্সি কোম্পানিরা, তাদের দামের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে ধ্রুপদী অটো-ট্যাক্সিওয়ালাদের নাভিশ্বাস। সত্যি, এসি ট্যাক্সি চেপে অফিস যেতে অনেক সময় সাধারণ অটোর থেকে কম ভাড়া লাগে। এই অসম কম্পিটিশনের প্রতিবাদে মাঝে মাঝে ধর্মঘট হয়। ক’সপ্তাহ আগে এক সোমবার যেমন হল। সাধারণত যে কোনও যুদ্ধেই যারা হারছে তাদের প্রতি আমার সমর্থন থাকে, কিন্তু বলতে বাধা নেই, এই যুদ্ধটায় আমি সবলের দলে। কারণ দুর্বলেরা যখন সবল ছিলেন, আমাদের ওপর বড় অত্যাচার করেছেন। মিটারে যাবেন না, ডাইনের বদলে বাঁয়ে যাবেন না, ফাঁকা রাস্তার বদলে জ্যামে যাবেন না। ঝগড়া করতে করতে প্রাণ ওষ্ঠাগত।
এখন সব কাজ অ্যাপ করে, আর অ্যাপের চোপা নেই। আমার তোমার প্রয়োজন মিললেই খেল খতম। অফিস, দোকান, স্টেশন সর্বত্র ওলা-উবার চড়ে যাতায়াত করি। অর্চিষ্মান থাকলে অন্য কারও সঙ্গে চড়তে ইচ্ছে করে না, একা থাকলে পুল বা শেয়ার ট্যাক্সি ডাকি। পয়সা বাঁচে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও শেয়ার ট্যাক্সি শেয়ার করার জন্য কেউ উঠত না। সারা রাস্তা একার মৌরসিপাট্টা। এখন চিত্রটা বদলেছে। রোজই কেউ না কেউ মাঝরাস্তা থেকে ওঠেন। বা আগে থেকেই উঠে বসে থাকেন। শেয়ার করার একটা অসুবিধে হচ্ছে যে নিজের খুশিমতো রুটে গাড়িকে চালানো যায় না, তাছাড়া মাঝপথে যাত্রী তুলতে কিংবা নামাতে হলে সময় বেশি লাগে। সকালে আমি যা সময় হাতে নিয়ে বেরোই তাতে খানিকটা এদিকওদিক ঘুরে অফিস পৌঁছলে কিছু অসুবিধে হয় না, আর তাছাড়া আমাদের নন-কর্পো অফিসে ঢোকাবেরোনোর সময় নিয়ে অত খামচাখামচি নেই, কাজ করা নিয়ে কথা।
শেয়ার করার অন্য যে অসুবিধেটা সেটা সহযাত্রী সম্পর্কিত। কে জানে অন্য লোকটা কেমন হবে। এখন আর ওসব মনে হয় না। কারণ বুঝেছি ওঁরা নামেই সহযাত্রী, ইন্টারঅ্যাকশনের জায়গা প্রায় নেইই। চার ফুট বাই পাঁচ ফুট খোপের মধ্যে বসেও এমন ভাব যেন অফিসটাইমের দুশো চল্লিশের দু’প্রান্তে দু’জনে বসে আছি। সহযাত্রী পুরুষ হলে তো হয়েই গেল। পাছে অন্যজন আমার স্বভাবচরিত্র সম্পর্কে ভুল ধারণা করেন সেই ভয়ে কেউ কারও উপস্থিতি অ্যাকনলেজ করি না। মহিলা সহযাত্রী হলে যাত্রার শুরুতে সামান্য ঘাড় নেড়ে হাসলেই খেল খতম।
শেয়ার ট্যাক্সি চড়ে সবথেকে ভালো ব্যাপারটা যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে বাড়ির আশেপাশের পাড়াগুলো চেনা হয়ে যাচ্ছে। বি ব্লক, জি ব্লক, অমর কলোনি, ইস্ট অফ কৈলাস। কোথায় স্বপ্না সিনেমা, গলির গলি তস্য গলির ভেতরে কোথায় কচি কলাপাতা বোর্ডসাঁটা পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংক, সব জানা হয়ে গেছে আমার। আপনাদের কখনও এ সব দিকের রাস্তা চিনতে হলে আমাকে বলবেন। চিনিয়ে দেব।
*****
সেদিন উবারপুল ডেকে বাড়ির নিচের ল্যান্ডমার্ক ফুলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, একটা গাড়ি এসে আমারই সামনে দাঁড়াল। আমি খানিকটা পিছিয়ে গেলাম, গাড়িটা খানিকটা এগিয়ে এল। আমি ভাবলাম আমি বোধহয় পার্কিং-এর পথে বাধা সৃষ্টি করছি, তাই ঘটনাস্থল সম্পূর্ণ ত্যাগ করার উদ্যোগ নিচ্ছি এমন সময় গাড়ির ভেতর চোখ পড়তে দেখি চালক আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছেন।
মহিলাকে আগে কখনও দেখিনি। রোগা, হলুদ রঙের সালওয়ারকামিজ পরা, আমারই মতো বয়স। কাচ নামিয়ে আমার দিকে ঝুঁকে বললেন, উনি হজ খাস মেট্রোর দিকে যাচ্ছেন, আমাকে কোথাও নামিয়ে দেবেন কি না। আমি বললাম, না না দরকার নেই, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, মহিলা হেসে হাত নেড়ে কাচ তুলে হুশ করে বেরিয়ে গেলেন আর আমার ট্যাক্সিও এসে গেল।
আমি গাড়িতে বসে বসে ভাবতে লাগলাম, মহিলা হওয়ার কত সুবিধে, পথেঘাটে অন্য মহিলারা সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। আমি যদি পঁয়ত্রিশ বছরের একজন পুরুষ হতাম আর ভুরু কুঁচকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতাম, তাহলে উনি কিছুতেই গাড়ি থামিয়ে আমাকে লিফট দেওয়ার প্রস্তাব দিতেন না। এমন সময় আমার ভাবনার সুতো ছিঁড়ে ভাইসাবের ফোনে সেই আওয়াজটা হল। আরও একটা বুকিং এসেছে। ভাইসাব গাড়ি ঘুরিয়ে ইস্ট অফ কৈলাসের দিকে চললেন। এ বাঁক ও বাঁক ঘুরে গাড়ি লোকেশনে পৌঁছলো। খানিক পরেই এক মহিলা এসে গাড়িতে উঠলেন। ঘাড় নেড়ে হাই হ্যালো হল। মহিলা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি কোথায় যাব।
শেয়ারের অলিখিত (বা লিখিতও হতে পারে, আমি জানি না) যে আগে উঠেছে সে আগে নামবে। যদি না তার যাওয়ার পথে পরের লোকের গন্তব্য পড়ে। খানিকটা রাস্তা যাওয়ার পর ভাইসাব আয়নার মধ্য দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন, আর যেহেতু কোনও প্যাসেঞ্জার তোলার নেই, তাই চাইলে আমি ওঁকে শর্টকাট দিয়ে আমার অফিসে নিয়ে যেতে পারি, যদি সে রকম কোনও শর্টকাট আমার জানা থাকে।
শর্টকাট আমার জানা ছিল, কিন্তু সহযাত্রী লাফিয়ে পড়ে বললেন, ওঁর অফিস আমার অফিসে যাওয়ার পথেই পড়বে, কাজেই ওঁর রাস্তাতেই যাওয়া হোক। এই বলে নিজের অফিসের যে ঠিকানাটা বললেন, সেটা কোনওমতেই আমার অফিস যাওয়ার পথে পড়ে না। হ্যাঁ, আমার অফিস থেকে বেশি দূরেও নয়, কিন্তু পথেও নয়। ওঁকে নামিয়ে আমাকে নামাতে যা সময় লাগবে, আমাকে নামিয়ে ওঁকে নামাতেও ঠিক একই সময় লাগবে।
আমি একবার ভাবলাম কিছু বলব কি না। তারপর কিছুক্ষণ আগে ফুলের দোকানের সামনের ঘটনাটা মনে পড়ল। এক মহিলা বিনাস্বার্থে নিজের অফিসের দেরি করে, সিগন্যাল সবুজ দেখেও গাড়ি থামিয়ে আমাকে লিফট দিতে চেয়েছিলেন, আর আমি কিনা এই তুচ্ছ ব্যাপারে আরেকজন মহিলার সঙ্গে ঝগড়া করব? তাছাড়া আমার অফিস তো ভালো, ওঁর অফিস হয়তো বাজে, সময়ে না ঢুকলে জ্বালাতন করে। মিস মার্পলের কথাটাও মনে পড়ে গেল, “women must stick together.” এই সব ভেবেটেবে, আর ওই হলুদ সালওয়ারকামিজ পরা মহিলার হাসিমুখটা মনে করে আমি জানালার বাইরে তাকিয়ে বসে রইলাম। অফিস পৌঁছতে একটু দেরি হল, কিন্তু বিবেকটা ময়লা হল না।
খুব হাসলাম। ভাল পোস্ট। আমি আজকাল সারাদিন বাড়িতে, ভাবি অনেককিছু করব; কিন্তু এমনি এমনি কেটে যায় সময়।
ReplyDeleteআমারও একই হাল, প্রিয়াঙ্কা।
Deleteরোজ খুব তরিবত করে ভাবি,আজ আলমারিটা গুছিয়ে ফেলবোই ফেলবো, যেকটা জামাকাপড় বাইরে গড়াগড়ি খাচ্ছে,তাদের ইস্তিরি করে ভেতরে পাঠাবো!কিন্ত শেষমেশ তারা তাদের মত পরে থাকে,আর ইউটিউব বিক্রম সিং এর গান শুনিয়ে আমায় আরো আরো মনখারাপ করিয়ে দেয়,সবটা বাড়তি সময় জানলার ধারে বসেই কেটে যায়।
ReplyDeleteসব দোষ ওই ব্যাটা ইউটিউবের। ও যদ্দিন আছে, আমার জীবনে কিছু হওয়ার আশা নেই, শাল্মলী।
DeleteRoj Uber ar Ola te korei office jete hoi. Share korte giye onek somoy bhison deri hoye jay ar oi driver ke direction deya tao motei sohoj noi :( (Don't know why, but they never find you by GPS).
ReplyDeleteOdd-even er dine cab pawa tao khub shokto. Aaj theke (Petrol-Diesel cab ban in NCR) to aro sanghatik.
BTW there is another app for auto in NCR, called 'Jugnoo', try kore dekho.
* sorry 'Dekhben'
Deleteএমা সরি কীসের, রণদীপ, তুমি যাতে কমফর্টেবল তাই বলেই ডাকবে। এখন তো আলাপ অনেকদিনের পুরোনো হয়ে গেছে...
Deleteহ্যাঁ, অটোওয়ালার সিটের পেছনে জুগনুর অ্যাড দেখেছি বটে। আর ওই জি পি এস-এর ব্যাপারটা এক্কেবারে সত্যি বলেছ। ভগবানই জানেন কেন।
:)
Deletedarun Post. Ola Uber er dapot ekhon kolkatateo. Subidha sottii onek hoechhe.
ReplyDeleteHolud salwar kameez mon chhnue galo :-)
প্রচুর সুবিধে হয়েছে, ইচ্ছাডানা। কলকাতায় ট্যাক্সি ধরতে আমার যা বাজে অভিজ্ঞতা, সকলেরই নিশ্চয় হয়েছে কমবেশি।
DeleteAmi akhono ola-uber e otota sorogoro hoini. aka taxi chapte amar khub bhoy lage, mayer baron o ache. jodio mayer baron ta baje kotha, ami aj obdi ja kichu kore case kheyechi, segulo sob mayer baron upekkha kore commit kora kaj kormo.
ReplyDeleteAka aka bari thakle ami janla dorja bondho kore tiktikir moto hat pa chhariye ghumoi khali.
আমিও তাই, কুহেলি। মায়ের বারণ না শুনে যে সব কাজগুলো করেছি, সেগুলো সব ভুল হয়েছে। কিন্তু এটাও ঠিক, 'ঠিক' কাজগুলোর তুলনায় সে কাজগুলো অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং।
Deleteঘুমোনো সবসময়েই ভালো আইডিয়া। একা,দোকা যেরকমই থাকা হোক না কেন।
Baah darun laglo lekhata....ola-uber niye eto sundar kore lekha. Aaro bhalo laglo je almost 22-23 bochhor por babayaga r naamta shunlam---jholoke chhotobelar smriti uske diye chole gelo...
ReplyDeleteধন্যবাদ, সুস্মিতা। বাবাইয়াগার জবাব নেই।
Deleteবাঃ। সুন্দর, মিষ্টি একটা লেখা। :)
ReplyDeleteদুর্বলরা যখন সবল ছিলেন, তখন তারা আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করেছেন - কথাটা এক্কেবারে সত্যি।
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, অরিজিত।
DeleteBangla grammar er ekjan stalwart lekhak chhilen, jar boi amader 9/10 e parano hoto. Kichutei naam ta mone porchhe na. প্রোষিতভর্তৃকা dekhe sei boi, ek kathay prakash chapter, etc etc mone pore gyalo.
ReplyDeleteUber Ola chhara to aajkaal teka daay. Delhi gechilam haptaduek aage. Sondhe saattay Airport theke noiday bondhur bari oi share taxite matro 1 ghantay (Thanks to odd-even). Sedin i ei share byapartar satheo alap holo. Sahajatri Jini garite uthechhilen taar naam Shanku. Emon naam er lok Bangali ebong interesting na hoye paare? Jamiye adda dilam airport theke noida abdi. Apsos, odd even er doulate journey ta 1 ghantatei sesh hoye gyalo.
বামনদেব কি? পদবিটা ভুলে যাচ্ছি, বোধহয় চক্রবর্তী।
Deleteবাঃ বাঃ, শেয়ারে ইন্টারেস্টিং সহযাত্রী পাওয়াটা খুব ভালো ব্যাপার। আমার চেনা একজন শঙ্কু আছে, সেও বাঙালি সেও ইন্টারেস্টিং।
Yessss... Bamandeb Chakroborty.
Deleteএক সময়ে বলিউডের দৌলতে "ওলে, ওলে" হাঁক-দেওয়া-গান যেমন পপুলার হয়েছিলো, জনসংখ্যার ক্রম- বাড়বাড়ন্তে সেই ডাকই আজ "ওলা ওলা"-তে চেঞ্জ হয়ে গেছে। লেখাটা পড়ে মজা তো লাগলোই, আর সেই ভরসাতেই 'ফেলুদা'-র মতো করে এক্টটু টিপ্পনী কেটে দিলুমঃ "সিংকে নামিয়ে" না রেখে "সিঙ্কে নামিয়ে" রাখলেই অনেকটা নিশ্চিন্তবোধ করতাম, লালমোহনবাবু!
ReplyDeleteহাহা, এটা ভালো বলেছেন, কুন্তল।
Deleteঅর্চিষ্মানবাবু কবে ফিরছেন? ট্যাক্সি ধর্মঘটের কোন কুপ্রভাব আপনার ওপরে পড়েছে কি? আমার কিন্তু জান কয়লা হয়ে গেছে।
ReplyDeleteনা, আমার তো কোনও সমস্যা তেমন হয়নি, দেবাশিস। ওলা বা উবার নিয়মিত পেয়েছি। অর্চিষ্মান ফিরছে এই শুক্রবার।
Deleteখুব ভাল পোস্ট। :)
ReplyDeleteধন্যবাদ, সায়ন।
DeleteKuntala-debi, apni apnar purbo-protighya moto protyek din likhe jachen dekhe mugdho holam.
ReplyDeleteহাহা, ঘনাদা, আমার প্রতিজ্ঞায় খানিকটা ঢিলে পড়েছিল, আপনার কমেন্ট পেয়ে লজ্জার খাতিরেই আবার উঠে পড়ে লেগেছি। থ্যাংক ইউ।
Deleteখুব ভালো লাগলো আপনার দিল্লির অভিজ্ঞতা পড়তে। আমি ভাবতাম, দিল্লিতে এতরকম গোলমালের খবর শুনি, আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তার কি ছাপ পড়ে কে জানে? অর্চিষ্মানের ওই স্বপ্নটা বোধহয় সবারই থাকে। আমি এখন যে অফিসে কাজ করি সেখানে আমার ঘরের দরজা আমার বাড়ির দরজা থেকে হেঁটে পাঁচ মিনিট। তাই পুরো ওই স্বপ্নের মত না হলেও, কিছুটা দেরী করে ওঠা যায়।
ReplyDeleteদরজা টু দরজা পাঁচ মিনিট? ইস, শুনেই হিংসে হচ্ছে সুগত। দিল্লিতে গোলমালের অন্ত নেই। গোলমাল নিয়ে বাঁচতে বাঁচতে এমন অভ্যেস হয়েছে যে এখন চারদিক শান্ত হয়ে গেলেই অদ্ভুত লাগবে।
Deletekotodin por bab yaga r nam dekhlam. Chhotobelay amaader station er boikakuke bola thakto. Prottek maser suru te kaku duto ba tinte notun boi kagojer packet e mure baba r hate diye dito office theke ferar somoy. Amra dubon sedin compete kortam ke age baba r office er bag ta dhore boigulo ber kore nebe. Tumi ki ei site ta dekhechho? http://sovietbooksinbengali.blogspot.in/
ReplyDeleteনা দেখিনি তো, চুপকথা। লিংক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Deletebabayaga daini pratham porechilam jakhan bhabtam..achcha o to daini,tahole abar baba yaga kikore..kakima yaga ba masi yaga hote pare...khub baro prashno chilo eita moner modhye..barobelay google er help nie dekhechi..o pura naam e babayaga..
ReplyDeleteure baba ager post er link ta fatafati to..thank you thank you,,Russian bangla boi..uffffffff...
prosenjit
হ্যাঁ, চুপকথার লিংকটা দারুণ, প্রসেনজিৎ। আর আপনার বাবাইয়াগার নাম নিয়ে ভাবনাচিন্তাগুলোও।
Delete