ভূতের সঙ্গে রেস
কাল অফিস থেকে ফিরে বইয়ের বাক্সদুটো নিয়ে বসেছিলাম। একজন বাক্স থেকে বই তুলে ন্যাকড়া দিয়ে ঝেড়ে আরেকজনের হাতে দিচ্ছিল, আরেকজন সেটা বুককেসে গুছিয়ে রাখছিল। সোজা কাজ, কিন্তু অসম্ভব সময় লাগে। ঝাড়তে গেলেই পড়তে হয়, পড়তে গেলেই পড়ে শোনাতে হয়। একটা বই হাতে নিয়ে সবে ন্যাকড়া শূন্যে তুলেছি, সপাটে সেটা বইয়ের ওপর নামিয়ে আনব বলে, এমন সময় বসার ঘরের দরজাটা খুব ধীরে খুলে গেল। ক্যাঁচ না কোঁচ না, জাস্ট খুলে গেল। পুরো ভেজানো অবস্থা থেকে একেবারে হাট। আমরা দুজনে দুটো মোড়ায় কাঠ হয়ে বসে রইলাম। কয়েক সেকেন্ড পরে ঢোঁক গিলে একজন জিজ্ঞাসা করল, -দরজা বন্ধ করনি? -প্রথম কথা, ঘরে ঢোকার সময় তুমি আমার পেছনে ছিলে, কাজেই দরজা তোমার বন্ধ করার কথা। আমার নয়। আর দ্বিতীয় এবং সবথেকে ইম্পরট্যান্ট কথাটা হল, দরজা বন্ধ করে কি ওঁদের আটকানো যায়? এই না বলে হাতে ধরা বইটার দিকে তাকিয়ে দেখি সেটা লীলা মজুমদারের ভূতের গল্পসমগ্র। মলাট উল্টে দেখি ভূমিকায় লীলা দুঃখ করেছেন, আজকাল লোকে ভগবানকেই মানে না, ভূত বেচারার কথা তো ছেড়েই দাও । মানতে পারলাম না। ভগবানে আমার বিশেষ ভরসা নেই, কিন্তু তাই ব...