মাস্টারমশাই আর দিদিমণিরা



বিয়েবাড়িতে একটা জিনিস খেয়াল করে আমার মন খুশি হয়ে গেল। দেখলাম আমার চারপাশের অনেক মানুষই শিক্ষক। আমি নিজে শিক্ষকতা করিনি কিন্তু এটা যে আমার প্রিয়তম প্রফেশন তা নিয়ে কোনও দ্বিধাই নেই। আমার শাশুড়ি মা, আমার প্রিয়বন্ধু স্বাতী, স্বাতীর বর সোমনাথদা, আমার বড়দাদু, পিসিশাশুড়ি---দেখা গেল এঁরা সকলেই শিক্ষকতা করেন বা একসময় করতেন।

ফলে যেটা হল, শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একগাদা গল্প জোগাড় হল। মাস্টারমশাইরা বললেন, দিদিমণিরা বললেন, বাদবাকি যাঁরা এককালে ছাত্র ছিলেন তাঁরাও গল্প বলায় বাদ গেলেন না। সেই গল্পগুলো জড়ো করে এই পোস্টটা লিখছি।

গল্প শুরু করার আগে বলে রাখি গল্প যে সব ভালো তা নয়। কিছু ভালো, কিছু হাসির। মাস্টারমশাইরাও তো মানুষ তাই তাঁদের মধ্যেও কাউকে কাউকে দেখে হয়তো হাসি পায়। তার মানে কিন্তু এই নয় যে তাঁদের প্রতি আমার ভক্তি কিছু কম আছে।

প্রথমেই আমার মাস্টারমশাইয়ের গল্প। আমাকে গ্র্যাজুয়েশনে অর্থনীতি পড়াতেন শ্রী সলিল কুমার সিদ্ধান্ত। যেমন গম্ভীর নাম, স্যারের চেহারা এবং ব্যক্তিত্বও মানানসই ছিল। ওঁর পরে অনেক নামজাদা লোকের কাছে পড়েছি কিন্তু মার্জিন্যাল ইউটিলিটি বা ব্লিস্‌ পয়েন্ট স্যারের থেকে বেশি জলভাত করে বোঝাতে পারতে কাউকে দেখিনি।

স্যার জীবনে লক্ষলক্ষ খাতা দেখেছিলেন। সেরকমই একটা খাতায় নাকি এক ছাত্র সবুজ বিপ্লব কাকে বলে লিখতে গিয়ে পাঁচ প্যারাগ্রাফ ধরে ধুন্ধুমার যুদ্ধের বর্ণনা লিখে তারপর লিখেছিল, “এই বিপ্লবে যত রক্তপাত হইয়াছিল সকলই সবুজ রঙের হওয়াতে ইতিহাসে এই বিপ্লব সবুজ বিপ্লব নামে খ্যাত।”

আচ্ছা, আপনারাই বলুন, এত কাঁচা গল্প বিশ্বাস করা যায়? আমিও করিনি।

কিন্তু এবারের গল্পটা আমার মেজমামার মুখে শোন। আর আমার মেজমামাকে চিনলে আপনি বুঝতে পারতেন, ফাজলামি মারা ওঁর ধাতে নেই। কাজেই বিশ্বাস করতেই হয়েছে।

মামাদের স্কুলে ভূগোল পড়াতেন ইন্দ্রস্যার। ভালোই পড়াতেন, তবে ছাত্রমহলে জনপ্রিয় ছিলেন না। তার কারণ ছিল ইন্দ্রস্যার ছাত্রদের মানুষ মনে করতেন না। “তোরা তো সব পোলাপান” গোছের একটা তাচ্ছিল্য তাঁর হাবভাবের মধ্যে সবসময় ফুটে বেরোত। একদিন নাকি ইন্দ্রস্যার ক্লাসে ঢুকেই, সিলেবাসের বাইরে থেকে ছাত্রদের একটা ভয়ানক খটমট প্রশ্ন ধরেছিলেন। কেউই বলতে পারেনি, এমনকি ফার্স্ট বয়ও না। তখন ইন্দ্রস্যার “পারলি না তো? জানতুম” একটা হাসি দিয়ে চেয়ারে এলিয়ে পড়ে, সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেছিলেন,

“একএক সময় ভাবি, কী করে এত জানলাম।”

কথাটা যে স্যার ভয়ানক হাসির বলেছেন, সেটা ওই হাফপ্যান্ট পরা বয়সেও মামারা বুঝে ফেলেছিলেন। আর কোনওদিন আড়ালে কোনও ছাত্র ওঁকে ‘জ্ঞানীস্যার’ ছাড়া আর কিছু বলে ডাকেনি।

এবার আমার শ্বশুরবাড়ির এক মাস্টারমশাইয়ের গল্প বলি। এই মাস্টারমশাইয়ের গল্পটাও একটু হাসির, কিন্তু তাতে মাস্টারমশাইয়ের কোনও দোষ নেই। তিনি নেহাতই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন। মাস্টারমশাই আমার শাশুড়ি মা, মাসিশাশুড়ি, মামাশ্বশুরদের অংকের গৃহশিক্ষক ছিলেন। সপ্তাহে তিনদিন সন্ধ্যেয় অংকের ক্লাস বসত। সেরকমই এক সন্ধ্যেয় এক ভয়ানক অংকের আবির্ভাব ঘটল। ভাইবোনরা সবাই ধরাশায়ী হল, এমনকি অংকে যার মাথা আশ্চর্যরকম বেশি খেলত সেই বড়মামাও রক্ষা পেলেন না। তখন সবাই মিলে মাস্টারমশাইকে ডেকে বলল, “দেখুন না মাস্টারমশাই, এই অংকটা কিছুতেই হচ্ছে না।”

ভালোমানুষ মাস্টারমশাই, “কই দেখি কী অংক” বলে বই টেনে নিলেন। বইয়ের পর খাতা টানলেন। খাতার পাতায় আঁকিবুকি কাটতে কাটতে মাস্টারমশাইয়ের মুখ ক্রমশ গম্ভীর হতে লাগল। ছাত্রছাত্রীরা সব চারদিক থেকে গোলগোল চোখে তাকিয়ে ছিল, মাস্টারমশাই যে প্যাঁচে পড়েছেন সেটা আর কারও বুঝতে বাকি রইল না।  

মিনিটদশেক ধস্তাধস্তির পর মাস্টারমশাই অবশেষে হাল ছাড়লেন। বইখাতা সরিয়ে রেখে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, “এইডা কালকে হইবখানে। কোথায় জানি একখান্‌ মজা কইর‍্যা থুইসে।”

সেই থেকে আমি কথার মধ্যে চান্স পেলেই যখনতখন “মজা কইর‍্যা থুইসে” গুঁজে দিচ্ছি। মেট্রোর কার্ড স্ক্যান হচ্ছে না, নির্ঘাত কিছু একটা “মজা কইর‍্যা থুইসে”। মায়ের ফোন কিছুতেই পাচ্ছি না, বারবার “নট রিচেবল্‌” বলে চলেছে, সেখানেও নিশ্চয় কেউ বা কারা “মজা কইর‍্যা থুইসে”।    

সে যুগের মাস্টারমশাইরা যেমন অংক নিয়ে বিপদে পড়তেন, এ যুগের মাস্টারমশাইরা তেমন প্রেম নিয়ে বিপদে পড়েন। শুনছি নাকি ক্লাস ওয়ান টু থেকে আজকাল ছাত্রছাত্রীরা টুকটাক প্রেমে পড়তে শুরু করে। মিড্‌ল্‌স্কুলে উঠতে উঠতে সেটা ক্লাস ছেয়ে ফেলে আর হাইস্কুলে রীতিমতো মহামারীরূপ ধারণ করে। 

বেশিরভাগ শিক্ষকই এই মহামারীর সামনে সশ্রদ্ধ হার স্বীকার করেন, কিন্তু কিছু কিছু গোঁয়ার মাস্টারমশাই ফাইট দিতে ছাড়েন না। কেন কে জানে। একজন জীবনবিজ্ঞানের মাস্টারমশাইয়ের কথা শুনেছিলাম, তিনি নিজের কোচিংক্লাসে প্রেম রোধ করার জন্য বাধ্যতামূলক ভাইফোঁটা এবং রাখিবন্ধন চালু করেছিলেন।

ভাগ্যিস আমি ওই কোচিং-এ পড়তে যেতাম না।

তবে প্রেম নিয়ে যে অভিজ্ঞতাটার কথা স্বাতী বলল সেটাকে চট করে হার মানানো মুশকিল। কাজেই সেটা দিয়ে পোস্ট শেষ করব। স্বাতী আর ওর বর সোমনাথদা দুজনেই স্কুলে পড়ায়। আলাদাআলাদা স্কুল। স্বামীস্ত্রী এক জীবিকায় থাকার কিছু অমূল্য সুবিধে থাকে, যেমন একে ওপরের শিডিউল, কাজের চাপ ইত্যাদি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা ইত্যাদি প্রভৃতি। তাই সেদিন যখন সেকেন্ড পিরিয়ডের পর স্টাফরুমে ফিরে এসে স্বাতী দেখল মোবাইলে সোমনাথদার মিস্‌ড্‌ কল তখন ও বেশ অবাক হয়ে গেল। টিফিনটাইম ছাড়া তো ওরা একে অপরকে ফোন করে না। ভাবতেভাবতেই আবার ফোন। স্বাতী ফোন তুলে বলল, “ব্যাপার কী?”

ওদিক থেকে সোমনাথদা ভীষণ উত্তেজিত স্বরে বলল, “আরে এটা তোমাকে না বলতে পারলে আমার পেট ফেটে যাচ্ছিল। জানো আজ ফার্স্ট পিরিয়ডে ক্লাস ফাইভের ছেলের খাতা থেকে কী আবিষ্কার করেছি?”

স্বাতীও ঘাগু টিচার। জিজ্ঞাসা করল, “কী শুনি? প্রেমপত্র?”

সোমনাথদা বলল, “প্রেমপত্র বলে অত হেলাছেদ্দা কোর না গো। ক্লাস ফাইভেরই আরেক ছাত্রীর উদ্দেশ্যে সে ছেলে লিখেছ...

ছোট ছোট নকুলদানা খেতে লাগে মিষ্টি
তোমার আমার ভালোবাসা বিধাতার সিস্টি।”


Comments

  1. ছোট ছোট নকুলদানা। বুঝলাম।

    ReplyDelete
  2. Ki r bolbo...ofc e bose esob post pora ekprokar torture...na parchi haste na parchi charte..:D
    jata dichhen kintu!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা তা হচ্ছে বলছেন সৌমেশ? ভেরি গুড।

      Delete
  3. Ato bhalo hasir post-ta poreo ami ghot ghot kore haste parlam na,tthoter konay akta khukkhuke hasi gurgur korte korte abar miliye galo... ki jani ki hoyechhe aaj tin charte din dhore, ghum pay, kanna pay, bhalo lage na, monkharap lage, shunyir dike takiye baro baro dirghoshwas felte ichche kore. Karon? Kono karon nei. Amar ki terminal depression hoyechhe? Mahanirvanar daak ese porlo ki amar?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভ্যাট্‌ কী যে বল। এই গরমে মন ভালো রাখাই শক্ত। পর পর দুদিন বিকেলের দিকে একটু জোরে হাওয়া দিলেই দেখবে মন ফুরফুরে হয়ে গেছে। মহানির্বাণ-টির্বাণ ল্যাজ গুটিয়ে পালাবার পথ পাচ্ছে না।

      Delete
  4. ki sundor chorata....ami eta amar bor k ebar theke bolbo
    "choto choto nokuldana khete boro misti,
    tomar amar valobasa vogobaner sisti".

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও কবিতাটা ভীষণ মিষ্টি লেগেছে কুহেলি।

      Delete
  5. কবিতাটা একঘর কিন্তু। প্রায় প্রমোদ প্রধান লেভেল-এর। শিক্ষকতা তোমার প্রিয়তম প্রফেশন জেনে দারুন লাগলো। আমার দলে আরও একজন হলো।

    ReplyDelete
  6. মাস্টারমশায়ের গল্প? তাহলে তো মিহির দত্ত স্যারের কথা না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

    ১ স্যারের ছেলে আমেরিকা থাকে। মাঝে মাঝেই ফোন করে বলে, বাবা এখানে চলে এস। এখানে কত সুবিধে। সুইচ টিপলে কাপড় কাচা হয়ে যায়, সুইচ টিপলে বাসন মাজা হয় যায়, সুইচ টিপলে গাড়ি ধোয়া হয়ে যায়। স্যার শুনতে শুনতে একদিন বিরক্ত হয়ে বললেন, ওরে তোর ওখানে তো সুইচ টিপতে হয়। আমার এখানে সুইচও টিপতে হয় না, মিহির দত্তর মুখের কথাতেই সব কাজ হয়ে যায়।

    ২ স্যার পিএইচ ভ্যালু বোঝাচ্ছেন। বার বার বলছেন, পিএইচ ভ্যালু সাতের নিচে হলে অ্যাসিড, পিএইচ ভ্যালু সাতের ওপরে হলে বেস। বার দশেক এরকম মুখস্থ করিয়ে একটি ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা বল তো, আমি তোমাকে একটা সলিউশান দিলাম যার পিএইচ ভ্যালু পাঁচ। এটা কি অ্যাসিড না বেস? ছেলেটি অনেকক্ষণ ঠোঁট কামড়ে জবাব দিল, স্যার বেস। স্যার একটুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, বাবা রে, বাইরে গিয়ে দেখ ঐ সুপুরি গাছের নিচে একটা ইট পড়ে আছে। সেটা নিয়ে এসে আমার মাথায় মারো। দোষ তোমার নয়, দোষ আমার, আমি ভালো ভাবে বোঝাতে পারিনি।

    ৩ স্যার ক্লাস ইলেভেন টুয়েলভের প্রাইভেট টিউশন পড়াতেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষা শেষ হবার কয়েকদিন পর একটা ছেলে স্যারের কাছে নাম লেখাতে এল। স্যার জিজ্ঞেস করলেন, তোমার বয়স কত? ছেলেটি বললে, স্যার পনেরো। স্যার বললেন, আমার ক্লাসে আসার সময় চুল কেটে আসবে। আমি তেইশ বছর থেকে ছাত্র পড়াচ্ছি, লম্বা চুল নিয়ে আজ অবধি কেউ হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করতে পারেনি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার মিহির দত্ত স্যার তো প্রতিভাবান মনে হচ্ছে দেবাশিস। মুখের কথার ব্যাপারটা দারুণ। আর চুল না কেটে হায়ার সেকেন্ডারি ফেল করার ভবিষ্যদ্বাণীটাও।

      Delete
  7. kuntala... chhatro-chhatri ra je khatay ki lekhe ar ki lekhena ta kolponay dhore newa khuub shokto.. ami nije jethima r chhatrir khata dekhechi, college level er entrance porikhhay n.indian river ar s.indian river er difference e likhchhe n.indian river pahar theke somudre jay ar s.indian river somudro theke pahare jay... egulo na dekhle biswas kora khuub shokto tai sobuj biplober namkoron sobuj rokter jonyo howa ta completely understood..

    ReplyDelete
    Replies
    1. হোয়ায়ায়ায়াট!! কলেজে ঢোকার পরীক্ষায় এসব লিখেছে?? ভগবান...

      Delete
    2. Byaparta joler mato proishkaar. dokhkhin manei rajnikant. Dokhkhin bharotiyo nodir ei byabostha-ta uni-e kore diechen.

      Delete
    3. রাজর্ষি, রজনীকান্ত ঠোঁট দিয়ে জ্বলন্ত বিড়ি লুফতে পারেন জানতাম, ঘাড় ধরে নদীরও গতিপথ ঘুরিয়ে দিতে পারেন বুঝি?

      Delete
    4. fb hole rajarshi r comment e duto like martam... ha ha ha ha..
      kuntala, kokhono bore hole rajnikanth jokes search mere poro..uni chennai theke aeroplane e uthe niche prithibita ke ghuriye diye new york e neme porte paren... nodir gotipoth to shishu !!

      Delete
    5. হ্যাঁ উনি প্রতিভাধর মানুষ বটে।

      Delete
  8. সারাদিন বিচ্ছিরি চাপে কাটার পর এমন হাসছি, যে আশপাশের লোক চমকে চমকে উঠছে- শিলঙ এর বর্ণনা আর দাদুর ছড়া-চিঠির পর এইটা, আজ লটারির টিকিট কাটলে বিস্তর লাভ হত মনে হচ্ছে :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক চাপমুক্ত হয়েছ জেনে খুশি হলাম।

      Delete
  9. ষিক্ষক-শিক্ষিকাদের আমি একটু ভয় করি, আগেই বলেছি। ভালো কিন্তু কড়া শিক্ষকদের পাশাপাশি স্যাডিস্টিক লোকজনের পড়ানোও দেখতে হয়েছে বলেই, বোধ হয়। কিন্তু এই খাতা দেখার এবং কোচিং-এর গল্পগুলোর দৌলতে কোনও কোনও শিক্ষক ওঁ ছাত্রকীর্তি একেবারে লেজেন্ডারী!
    এই প্রসঙ্গে দুটো ঘটনা মনে পড়ে গেল, একবার আমার দিদি'র একজন অত্যুৎসাহী সহপাঠিনী মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় 'বেড়া' গল্প থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন আসায় বিরাট উত্তর তো লিখেছিলই, শেষে সবুজ স্কেচপেন দিয়ে সুন্দর করে একটা বেড়া'র ছবি পর্যন্ত এঁকে দিয়েছিল। এটাকে গুলগল্প ভাবতে পারতাম, কিন্তু নিজে কলেজে থার্ড ইয়ারে একটা ইন্টারনাল পেপারে সবথেকে বেশি পাওয়ায় এক সহপাঠিনী আমার উত্তরপত্র আর তার উত্তরপত্রের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে তখন দেখি সে প্রথম দু' পাতা প্রসঙ্গে থেকে তারপর পুরো খেই হারিয়ে ফেলে ঠিক এইসব লিখেছে-" অবশ্য এই বিষয়ে আরও অনেক কথাই বলা যেতে পারে। যা লিখলাম তার সঙ্গে শিক্ষক একমত নাও হতে পারেন, কিন্তু এর বেশি আর কিছুই বলার নেই আমার নিজের।" সাথে মার্জিনের একদিকে শিক্ষকের মন্তব্যঃ খাতায় এইসব লিখবেনা একদম!

    শিব্রামের গল্পও মনে পড়ে যাচ্ছে। ওই কোনও একটা স্কুলের ইংলিশ পরীক্ষায় গরু-সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রের জবাবঃ "গাঈ হামারা মাতা হ্যায়/আংরেজী নেহী আতা হ্যায়", আর শিক্ষকের পাল্টা উত্তরঃ "বলদ মেরা বাপ হ্যায়/নম্বর দেনা পাপ হ্যায়"। :/

    ReplyDelete
    Replies
    1. " অবশ্য এই বিষয়ে আরও অনেক কথাই বলা যেতে পারে। যা লিখলাম তার সঙ্গে শিক্ষক একমত নাও হতে পারেন, কিন্তু এর বেশি আর কিছুই বলার নেই আমার নিজের।" হাহাহাহা। তোমার বন্ধু তো প্রতিভাবান মনে হচ্ছে শিরি।

      শিবরামের বলদের ছড়া লেখা শিক্ষকও দারুণ। এমন সেন্স অফ হিউমার যদি সব মাস্টারমশাইয়ের থাকত, আহা।

      Delete
  10. ক্লাস ফাইভের ছেলে অত পাকামো সেখে কোত্থেকে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. মীরাক্কেল থেকে নির্ঘাত।

      Delete

Post a Comment