কালো বেড়ালের গল্প
উৎস গুগল ইমেজেস
আমার পার্ট ওয়ানের সিট পড়েছিল ঠনঠনিয়ার
বিদ্যাসাগর কলেজে। আমার ফার্স্ট পেপার ছিল মাইক্রো-ইকোনমিক্স, সেকেন্ড পেপার
ম্যাক্রো। মাইক্রো আমার বেশ খারাপ হয়েছিল। ভীষণ মন খারাপ করে ম্যাক্রো দিতে
গিয়েছিলাম। সেটা বেশ ভালো হয়েছিল। যদিও মার্কশিট দেখে সেটা বোঝার উপায় ছিল না।
মাইক্রোতে ভালো নম্বর এসেছিল আর ম্যাক্রোতে---থাক সে কথা। যাই হোক, আজকের গল্পটা
নম্বর নিয়ে নয়, আরেকটা ঘটনা নিয়ে। যেটা ঘটেছিল ওই ম্যাক্রো পরীক্ষার দিনেই।
পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে চাতকপাখির মতো বাসের জন্য
অপেক্ষা করে আছি। চারদিকে গিজগিজ করছে মেয়ে, মেয়ের বাবামায়েরা, ঝালমুড়িওয়ালা,
ফুচকাওয়ালা। নেই কেবল বাস। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসছে। এমন সময় কানের কাছে এসে কেউ
জিজ্ঞাসা করল, “আগের দিনের পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছিল বুঝি?”
তাকিয়ে দেখি হিস্ট্রির একটা মেয়ে। মুখ চেনা। আমি
হাসলাম। বললাম, “সেকি এমন ভুল ধারণা কী থেকে হল?” মেয়েটা ভুরু নাচিয়ে আমার জামার
দিকে দেখিয়ে বলল, “কেন? জামা দেখে?”
আমি দুসেকেন্ড হাঁ করে থাকলাম। তারপর নিজের
জামার দিকে তাকিয়ে বুঝলাম যে আমি মাইক্রোর দিন এই জামাটাই পরে এসেছিলাম। সেই থেকে
মেয়েটি এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে আমার আগের দিনের পরীক্ষা ভালো হয়েছিল বলে আমি আজকেও
সেই জামাটাই পরে এসেছি এই আশায় যে জামার দৌলতে পরীক্ষা ভালো হবে।
মেয়েটি আমার জামা নিয়ে কত ভেবেছে দেখে খুব
ইমপ্রেস্ড্ হয়েছিলাম মনে আছে। যথাসাধ্য চেষ্টাও করেছিলাম এটা বোঝানোর যে জামার
ব্যাপারটা নেহাতই কাকতালীয়, ওর সঙ্গে পরীক্ষা ভালো হওয়ার তুকতাকের কোনও সম্পর্কই
নেই, কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ দেয়নি।
বলতে বাধা নেই, সেদিন মেয়েটির কুসংস্কারের বহর
দেখে মনে মনে নাক কুঁচকেছিলাম। কিন্তু তারপর অনেক জায়গায় অনেক লোককে দেখে বুঝেছি,
কুসংস্কার ব্যাপারটা মানুষের ঠিক কতখানি ভেতরে ঢুকে থাকে সেটা না দেখলে বিশ্বাস
করা যায় না। এবং কার ভেতরে যে কতখানি কুসংস্কার ঢুকে থাকবে সেটা বাইরে থেকে দেখে
বিচার করতে যাওয়া মূর্খামি। আমি আমার ঠাকুমাকে গ্রহণের সময় না খেয়ে বসে থাকতে
দেখেছি আবার ফরেনে পি এইচ ডি করা ছেলেকে হাঁচি শুনে থেমে যেতেও দেখেছি। অনেকসময়
আবার কুসংস্কারকে কুসংস্কার বলে চেনাও যায় না। এই যেমন সেদিন কলিংবেল বাজছে শুনে
বান্টি একগাদা ছড়িয়ে থাকা আর্টিকেলের প্রিন্টআউটের ওপর দিয়েই দুমদাম দৌড়ে চলে গেল
আর আমি শিউরে উঠে তাড়াতাড়ি প্রিন্টআউটগুলো সরিয়ে রাখলাম। স্বীকার করতেই হবে, সরিয়ে
রাখার আগে একবার চট করে কপালে আর বুকে ছুঁইয়েওছিলাম। বিদ্যা বলে কথা। এদিকে
ততক্ষণে বান্টি পিৎজার বাক্স আর লিমকার বোতল নিয়ে ফিরে এসেছে। আমাকে ওই অবস্থায়
দেখেই চেঁচিয়ে উঠে বলল, ওই যে, ওই হচ্ছে সুপারস্টিশন্। লোকের খুঁত ধরে বেড়াও যে
খালি, নিজের খুঁত ঠিক কর আগে।
কিন্তু ঠিক কর বললেই কি করা যায়? বরং যত দিন
যায়, যত বয়স বাড়ে, মানুষের মন যত দুর্বল হয়, যত বেশি বাহ্যিক অবলম্বনের দরকার হয়,
কুসংস্কারের পরিমাণ তত বাড়তে থাকে। হাঁচি শুনলে বুক কাঁপে, টিকটিকির ডাক শুনলে
পিলে চমকায়, শরীরের নানাজায়গায় আংটিঘুণ্টিতাগাতাবিজ বাঁধলে বুকে বল আসে। আমার
বেলাই বা নিয়ম উল্টো হবে কেন? এখন লোকের কুসংস্কার দেখে হাসছি, আর বছর দশেক পরে
লোকে আমার কুসংস্কারের বহর দেখে হেসে কূল পাবে না।
গত সপ্তাহে সে পরিণতির একটা আভাস পাওয়া গেল। রোজ
ভোরে যখন আমি এবং সি আর পার্কের আরও লাখখানেক লোক আমাদের পার্কে হনহন করে হাঁটি
ছুটি যোগব্যায়াম করি, তখন বেশ কিছু কাকশালিখ কুকুরবেড়ালও মজা দেখতে বেরোয়। এমনিতে
আমাদের পার্কে কুকুর নিয়ে ঢোকা মানা, কিন্তু অত সকালে কেই বা দেখছে।
সেদিন দেখলাম কোত্থেকে একটা উটকো বেড়ালও এসে
জুটেছে। কালো বেড়ালটাকে দেখলেই মায়া হয়। রোগা ডিগডিগে চেহারা, গায়ের অর্ধেক লোম উঠে
গেছে, জোরে হাঁটতে পারে না। দিন ফুরিয়ে এসেছে বোঝা যায়। কিন্তু সেই মরোমরো বেড়ালই
যে পার্কে ওই রকম হইচই ফেলে দেবে কে জানত।
ব্যাপারটা আর কিছুই না, চারপাশে এত লোককে
হাঁটাহাঁটি করতে দেখে বেড়ালটারও নিশ্চয় এক্সারসাইজ করার মন হয়েছিল। তাই সেও
হাঁটাহাঁটি শুরু করল। কিন্তু বিপদটা হল, আমরা হাঁটছি রাস্তা বরাবর, আর সে হাঁটতে
লাগল রাস্তার এপার থেকে ওপার। যাকে চলতি কথায় ‘রাস্তা কাটা’ বলে।
আর যায় কোথায়। ওই একরত্তি, নির্জীব কালো বেড়ালের
হাঁটাহাঁটি দেখে পার্কের যত ধুমসোমোটা মহিলাপুরুষ প্রায় অক্কা পাওয়ার জোগাড় হলেন। বেড়াল
একবার এদিক থেকে ওদিক গেলেই তারা ঘ্যাঁচ করে ব্রেক কষে দেন, আর পেছনের লোক ঠিক
সময়ে স্পিড কমাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে তাঁদের ঘাড়ের ওপর এসে পড়ে। বেড়ালেরও ক্লান্তি
নেই, ধাক্কাধাক্কিরও শেষ নেই।
শেষে বেগতিক দেখে পার্কের অর্ধেক ভিড় খালি হয়ে
গেল। তুইই এক্সারসাইজ কর বাবা, আমরা বাড়ি যাই গোছের মুখ করে, বেড়ালটাকে শতকোটি
অভিশাপ দিয়ে সবাই চলে গেল। আমি ভাবলাম, যাক বাবা, বাঁচা গেল। এবার একটু আরাম করে
হাঁটা যাবে।
আমি মহানন্দে গান শুনতে শুনতে হাত পা ছড়িয়ে
হাঁটতে লাগলাম। পার্কে তখন আমি আর বেড়াল ছাড়া প্রায় আর কেউই নেই।
এমন সময় কালো বেড়ালটা আমার রাস্তা কাটল। আমার
কুসংস্কার নেই, কাজেই আমি থামলাম না, গটগট করে হেঁটে চললাম। বেড়ালটা আবার আমার
রাস্তা কাটল। আবার আমি থামলাম না। আবার কাটল, আবার, আবার, আবার।
অফিসে গিয়ে শুনলাম, আমার একটা প্রোপোজ্যাল
অনেকদিন ধরে ঝুলে ছিল, অ্যাকসেপ্টেড হয়ে গেছে।
তারপরের দিনও হাঁটার সময় বেড়ালটা রাস্তা কাটল,
আর আমি রাস্তায় বেরিয়ে প্রথম যে অটোটাকে হাত দেখালাম, সেই যেতে রাজি হয়ে গেল। তাও
আবার মিটারে। অফিস যাওয়ার সময়ও, অফিস থেকে ফেরার সময়ও।
এখন হাঁটার সময় গানের দিকে কম, রাস্তার দিকে মন
বেশি থাকে। দুই চোখ দিয়ে তন্নতন্ন করে ঝোপঝাড় এক্সরে করি, বেড়ালটা আছে কি না দেখি।
দূর থেকে বেড়ালটাকে দেখতে পেলে হাঁটার স্পিড কমাই, যাতে ও আমার সামনে দিয়ে রাস্তা পেরোনোর
যথেষ্ট সুযোগ পায়। পেরোলে আনন্দে লাফাতে ইচ্ছে করে, না পেরোলে মনে হয়ে বেড়ালটার কান ধরে
ঠাসঠাস করে দুই চড় মারি। অপদার্থ বেড়াল কোথাকার। ঠিক করে রাস্তা পর্যন্ত পেরোতে পারে না।
*****
আপনার আছে নাকি কোনও কুসংস্কার? বা আপনার চেনা
লোকের? কুসংস্কার নিয়ে গল্পগাছা মনে পড়লে আমাকে এসে বলতে পারেন। এই আমি শুনব বলে
বসে আছি।
কুসংস্কার r jyotish e biswas boro bhoyonkar hoy janen to..jara manen tara churanto level obdi jete paren..amar kichu kharap obhiggota ache..se jak..
ReplyDeleteami 1 salik dekhe amar prothom job er interview dite gachilam e peyechilam..so 1 salik khuji ami..r amader apartment ta adot e biral er khamar bari..sobai biral pochondo kore..prochur biral ase jay ghure beray ghorer bhitor motka mere pore thake...koyek koti bar rasta kate..
সেই শালিখ আরেক বেচারা পাখি। কিন্তু আপনি কীরকম জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে একশালিখ দেখলে অ্যাকচুয়ালি ক্ষতির থেকে লাভ হয় বেশি।
Deleteখুব মজা পেলাম পড়ে ... আমাকে ছোটবেলায় কে যেন শিখিয়েছিল যে কলাগাছ দেখে নিলে এক শালিখ দেখার দোষ কেটে যায় ... তাই আমি খানিকটা বড় না হওয়া অবধি এক শালিখ দেখে ফেললেই চারিদিকে কলাগাছ খুঁজে বেড়াতাম ... আর কালো বিড়ালের কথায় ক'দিন আগে ফেসবুকে দেখা এই ছবিটার কথা মনে পড়ে গেল ...
ReplyDeletehttps://fbcdn-sphotos-f-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc6/269616_10152765998920387_1261991521_n.jpg
কী সুন্দর ছবি পিয়াস। বাবা, এক শালিখে রক্ষা নাই আবার কলাগাছ দোসর? তবে কলাগাছ আর শালিখ দুটোই যে রেটে কমে আসছে, আজকের দিনে ও নিয়ম মানতে গেলে দুঃখ আছে।
Deleteha ha ha, khub mojar to. amader edikeo biraler ssonkhya prochur. tai biral tiral nie bhabte gele sob kaj bandho kore dite hobe bole ami to bhaba chherei diechhilam, ekhon bhabchhi sottii to ultota hochhe kina, mane tomar moton sob subho jogajog gulo ghotchhe kina etao to dekhini.. ebar kheal korbo :-)
ReplyDeleteঅবশ্য করে খেয়াল করে দেখবেন ইচ্ছাডানা। কে বলতে পারে, এদ্দিন ধরে হয়তো ভুল শেখানো হয়েছে আমাদের। হয়তো বাড়িতে কালোবেড়াল পোষা শুরু করলেই টপাটপ আমাদের ভাগ্য ফিরে যাবে।
Deletekhub majar lekha! :-) amar bishesh sankshkar nei ! tobe majhe majhe durbal muhurte random kichute biswas kore feli!
ReplyDeleteaccha, oi historyr meyeta kintu ami noi!!!!! ;)
হাহাহাহা, আমি জানতাম তুই হিস্ট্রি শুনেই লাফ দিয়ে পড়বি। একেবারেই তুই নস। ইন ফ্যাক্ট মেয়েটা হিস্ট্রির ছিল নাকি আমার মনে নেই। এমনিই লিখলাম আরকি।
Delete:- ):-) shune shanti pelam
Deleteaare amar prochodndo rokom kushanshkar ache! kintu interesting byapar holo, se gulo protyek ta amar nije banano. mane prithibite kushanshkar hisebe se gulo r aar kono mulyo nei.
ReplyDeleteexample chai? ami office jabar somoy prothome ekta bus ni. tarpor train. ebar bus er je ticket ta, seta ami train journey shesh na howa porjonto hath e mutho kore rakhi. jedn seta hather theke poRe jaye, ba ami shusto mostike seta dustbin e fele di, sedin janbe ekta oghoton ghotbe. hoy ami siRi diye poRe jabo, noyto boss kanmola debe!
erokom onek ache. ebar tumi amay pagol bhable amar kichhu korar nei :(
ওরে বাবা সুমনা, তোমার তো ইউনিক কুসংস্কার আছে দেখতে পাচ্ছি। তবে মানতেই যদি হয়, সমাজের ঠিক করে দেওয়া কুসংস্কারের থেকে নিজের তৈরি করা কুসংস্কার মেনে চলা ভালো, এ কথা আমি একশোবার বিশ্বাস করি।
Deleteকিছু কিছু লোক হয় না, যাদের কোনো দু’ একটা বিষয়ে খুব উৎসাহ আর গভীর মতামত থাকে, আর যে উৎসাহের বাড়াবাড়ি দেখে পাড়া-পড়শি বন্ধুবান্ধব আড়ালে হাসে আর উপস্থিতিতে ওই বিষয়ে কথা থামিয়ে দেয়?
ReplyDeleteআমি ওর’ম একটা লোক। আর আমার যে গুটিকয় বিষয়ে অত্যন্ত বিরক্তিকর রকম উৎসাহ আর মতামত আছে, তার একটা হল যে কোন রকম সংস্কার- মানে, সত্যি বলতে সংস্কার হল সংস্কার-জগতের এক একটা যুগ পেরোয়, বা মানুষের ক্ষেত্রে এক একটা বয়স, তখন তার একটা একটা করে ‘কু’ চিহ্নিত হয় (মনে হলনা, সত্যি বলুন, “বাবা রে, কি বাড়াবাড়ি!” :D )।
অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে- নানা সময়ে শুনতে পাচ্ছি, বন্ধুদের বাবা মা র্যাডিকালিসমের এস.আই ইউনিট করে ফেলেছেন- ‘ও, তুমি কিছু মানো না- সে তো ভালই- কিন্তু, ওই, অল্প-স্বল্প- মানে, সুনন্দর আবার যেরকম বাড়াবাড়ি...’
খুব খারাপ সময়, বুঝলেন তো... :(
হাহা সুনন্দ, বাড়াবাড়ি মনে হয়নি, কারণ এই ধরণের বেশ কিছু বন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। বেশিরভাগই তো আমার মতো ম্যাড়মেড়ে মধ্যপন্থী, তোমার মতো কিছু চরমপন্থী না থাকলে চলবে কেন?
Deleteআমি যে কোনরকমের কুসংস্কার মানিনা, তাহলে কি আমার ইহকাল আর পরকাল দুইই ঝরঝরে হয়ে গেল? তবে হ্যাঁ, বইতে আমি পারতপক্ষে পা দিইনা, অজান্তে লেগে গেলে অন্য কথা (নমস্কার করার বাতিক নেই যদিও) - বই আমার প্রিয় জিনিষ, সেটাকে পারতে পায়ে ঠেলায় একটু আপত্তি আছে । সেটাকে কি কুসংস্কার এর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়?
ReplyDeleteকৌশিক, বান্টির যুক্তি হচ্ছে হাত আর পায়ের মধ্যে তফাৎ করাটাই একটা এজ-ওল্ড (কু)সংস্কার ব্যতিরেকে কিছু নয়। তবে বান্টির সব কথায় পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই।
Deleteবান্টি-বাবু কি মাঝে মাঝে পা দিয়ে কান চুলকে নেন নাকি? অথবা পা দিয়ে ভাত মেখে খেয়ে ফেলেন? এ দুটো না করতে পারলে হাত আর পা'এর মধ্যে তফাৎ টা যে যাচ্ছেনা!
Deleteহাহা, আচ্ছা বান্টির হয়ে আমিই হার মানছি। হাত আর পায়ের মধ্যে তফাৎ আছে আছে আছে।
Deleteআমার জি-মেল আপডেটে এই কুসংস্কার নিয়ে এখনো মন্তব্য জমা পড়ছে দেখে স্বভাবসুলভ তক্কো করতে চলে এলাম আর কি... তবে কুন্তলাদি'র ব্লগ, এখানে কিছুতেই বেমক্কা ঝগড়া করবো না, কথা দিচ্ছি।
Deleteহাত আর পায়ের মধ্যে পার্থক্য নিশ্চয়ই আছে, আর একে অন্যের কাজটাও করতে পারে না- অনেকটা আমাদের সাব্জেক্টে থিওরিস্ট আর এক্সপেরিমেন্টালিস্টের মতো।
কিন্তু পায়ে বই লাগলে অমনি কিছু একটা অন্যায় হয়ে গেল ভেবে (বা না ভেবেই) 'শ্রদ্ধা'/'ভালবাসা'/'সম্মান' ইত্যাদি জানানো অনেকটা কোন একজন সায়েন্টিস্ট থিওরি থেকে হঠাৎ এক্সপেরিমেন্টে শিফ্ট্ করলে কমিউনিটির 'গেল গেল' রব তোলার মতোই হাস্যকর। তেমন হলে তো ওই যারা হাত কাটা গেলে পা দিয়ে (বা তার উলটো) লিখে, ছবি এঁকে, দৌড়ে তাক লাগিয়ে দেয়, তাদের সর্বদা ভয়ে ভয়ে থাকা উচিত।
দু'টো অঙ্গের মধ্যে পার্থক্য আছে মানা, আর তার মধ্যে কোন একটা বই স্পর্শ করলে পাপ- এটা ভাবা এক নয়। দ্বিতীয়টা যদি কুসংস্কার না হয়, তবে খৎনার সপক্ষে দেওয়া যুক্তিগুলোও কালে কালে মেনে নিতে হবে...
Ami boi te paa dile ba kono manusher gaaye paa dile kopale haat thekai... but seta obhyes er moto, kichu na bhebe chintei. Amar ek colleague chilo, se anek kichu manto. Take ami majhe modhyei kaak dekhiye boltam, oi dekho. R se setakei shalikh bhebe kopale haat thekiye nijer kaan mole dito. :D
ReplyDeleteBeral rasta kata niye kichu ku-songskar thake gari chalok der. Ek bar ek auto driver praay 10 minute dariye chilo ei karone. ami bollam, ami nahoy rasta kete dichhi. Toh se bollo, phirey toh amar gari tei bosben, se ami hote dichhi na. :D
টিনা, তুমি বেশ দুষ্টু মনে হচ্ছে, বেচারা কোলিগ। আর ড্রাইভারের তো বেশ পটরপটর কথা?
Deleteamar ekta adbhut kushanshar achhe. r seta amar nijer e toiri.
ReplyDeletetokhon ami besh choto. r baba cancer er last stage e. ekdin snan kore beronor sathe sathe maa bollo dactar call korte hobe, babar sorir ta khub kharap lagchhe. ami laf mere dactar dakte chole gelam. dackar elo bote, tobe sedin sondheye bela e baba amader chhere chole gelo.
jokhon kanna thamie shunyosthan ta maa r ami r o kachhe ese purno korar chesta korlam, tokhon ami thanda mathai bhebe ber korlam.. o hori.. ami to sedin snan kore ese chul e anchrai ni… tai to e rokom holo.
sei shuru… tar por snan kore beriye e chul na achrale bhison asthir lage.
গোবেচারা, কী বলব বল দেখি। এটাকে কুসংস্কার বলে মানতে আমার মন চাইছে না।
Deleteবাবার চলে যাবার খবরটা পাবার সময় যে জামাটা পরে ছিলাম সেটা প্রায় নতুন হলেও আর কোনদিন পরিনি ।
ReplyDeleteমিঠু
ওহ্। এই যা, তোমরা সবাই আমার মন খারাপ করে দিচ্ছ যে।
Deleteএই দ্যাখো , কে কার মন খারাপ করাচ্ছে? তুমি তো বহতা জলের মতো । সব কিছু নিয়ে বয়ে চলবে আর কিছুই গায়ে মাখবে না । আর আমাদের মন ভরে তুলবে তোমার ভাল ভাল লেখায়।
ReplyDeleteমিঠু
ইস কী ভালো একটা কথা বললে মিঠু, যদি সত্যি সত্যি ওরকম হতে পারতাম।
DeleteMithu ke amio samorthon korchhi.
DeleteSeriously?! Amaro je beral rasta katle din bhalo jaay. Ei to sedin prothom gaRita kine jibone prothombar instructor chhara drive kore Edison theke Newark e asbo, start diye egote na egotei ekta motka kalo hulo rasta kete dilo. Ami thamini, ar bolai bahulyo, kono durghatona na ghotiyei bari firlam. In fact er aageo ami dekhechhi, beral rasta katle in general amar din ta bhalo jaay.
ReplyDeleteTobe sanskar manei ki "ku?" boi te pa na dewa, ba pronam korata ke ami "kusanskar" bolbona. Tai jodi hoy tahole jamakapor pora, achena lok ke okaron somman kora, handshake kora, phone tule hello bola egulo sob i to kusanskar. Ami boi ba kono manusher gaaye parotpokkhe pa diyina, dile mathay haat chhNowai.
Idaning shunchhi loker cactus samparke bhoyanok kusanskar - anekei naki cactus ashubho bole barite rakhena. Amar chhotobela theke amar thakumar birat cactus er songroho chhilo barite, ar amader barite ekhono ek gada cactus, emonki ami ekhaneo IKEA theke cactus kine ene ghore rekhechhi. Loke keno pachhondo korena kejane?
নতুন গাড়ির জন্য অভিনন্দন।
Deleteহুম, হাতপায়ের ব্যাপারটা নিয়ে বান্টি বেশ একঘরে পড়েছে দেখছি। বেশ হয়েছে।
বাঃ, কুসংস্কার তো দেখছি সবাইকে বেশ সংস্কৃত করে তুলছে। একটা কথা জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে যায়, বই পায়ে লাগলে নমস্কার করলে কতটা কুসংস্কৃত হবে মানুষ? নমস্কার বা প্রণাম করে শ্রদ্ধা জানানো সর্বসম্মত প্রথা। পা আর হাতের তফাৎ তো পাঠকরা স্বীকার করেছেনই। তাই জ্ঞাতে অজ্ঞাতে পায়ে লাগলে যদি অবজ্ঞা মনে হয়,তবে কপালে হাত ঠেকিয়ে শ্রদ্ধা প্রকাশ করলে মানুষ কি খুব কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে? বই তো ভালবাসার, শ্রদ্ধার জিনিষ। তাই না?
ReplyDeleteআমি আপনাদের গল্প চুরি করতে চললাম | পিছনে কালো বেড়াল ছেড়ে যাচ্ছি, এই আশায় যে কেউ পিছু নেবে না |
ReplyDeleteহাহা, আরে নেওয়ার হলে ঠিকই নেবে ইন্দ্রনীরবাবু, কালো বেড়াল দিয়েও ঠেকানো যাবে না।
Delete