টিফিন খেতে খেতে
পৃথিবীর সমস্ত লোককে
দুটো পরিষ্কার শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। একদল দল বেঁধে টিফিন খায়, আরেকদল খায় একা একা।
আজকের অবান্তরের
পোস্ট টিফিন নিয়ে। ঠিক টিফিন নিয়ে নয়, টিফিন খাওয়ার সময়টুকু নিয়ে। ছোটবেলায় যেটাকে
টিফিন পিরিয়ড বলত।
আমাদের স্কুলের
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পিরিয়ড ছিল টিফিন পিরিয়ড। বাংলা ইংরিজি অঙ্কও গুরুত্বপূর্ণ
ছিল। তাছাড়াও স্বাতীর কাছে ভূগোলের ক্লাস জরুরি ছিল ধরে নিচ্ছি কারণ স্বাতী এখন
ইস্কুলের বাচ্চাদের ভূগোল পড়ায়। দেবাঞ্জলির কাছে জীবনবিজ্ঞান দরকারি ছিল নিশ্চয়
কারণ দেবাঞ্জলি এখন বাচ্চা বুড়ো সবার জিভ টেনে, নাড়ি টিপে, পেটে টোকা মেরে পরীক্ষা
করে দেখে কার শরীরে কী গোলমাল ঘটেছে, সেই বুঝে তাদের ধরে ধরে বিষতেতো ওষুধ গেলায়। অদিতির
বাংলা কাজে লেগেছে, তনুর ইংরিজি কাজে লেগেছে, সোমদত্তার ইতিহাস, শতরূপার
ভৌতবিজ্ঞান আর আমার কিছুই কাজে লাগেনি বোঝাই যাচ্ছে।
কিন্তু যে ক্লাসটা
সব্বার কাজে লেগেছে সেটা হচ্ছে টিফিনের ক্লাস।
আমি কিন্তু শুধু
পুষ্টিগত দিক থেকে কাজে লাগার কথা বলছি না। মায়েরা ভাবেন টিফিন খাইয়ে শিশুর শরীরে
শতসিংহের জোর আনবেন, কিন্তু ভস্মে ঘি ঢালার এর থেকে ভালো উদাহরণ আর হয় না। টিফিনের
গল্প আগেও করেছি অবান্তরে। মা বাক্স ঠেসে পালং শাক আর সিঙ্গাপুরি কলা দিয়ে দিতেন, মেয়ে সেগুলো ফেলে রেখে মহানন্দে বন্ধুর মায়ের হাতের সয়াসস আর আজিনামোটো দিয়ে
বানানো চাউমিন খেত। আজিনামোটো অর্থাৎ মোনোসোডিয়াম গ্লুটামেট। যে জিনিসটাকে
অ্যামেরিকানরা যমের মতো ভয় পায়। সে ভয় এমনই যে আমার ছোটবেলাতেই সে অ্যাটল্যান্টিক
পেরিয়ে রিষড়ার মতো গণ্ডগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল। আমার মা বাড়িতে আজিনামোটো দিয়ে
চাউমিন বানান শুনে এক ক্লাসমেট, যার বাবা আবার ডাক্তার ছিলেন, চোখ কপালে তুলে বলেছিল,
“সেকি কাকিমা জানেন না?” আমি খুব ঘাবড়ে গিয়ে “কেন কী জানবেন?” জিজ্ঞাসা করায় বন্ধু
সবজান্তার মতো মুখ করে বলেছিল, “আজিনামোটো খেলে লোকে বেঁটে হয়ে যায় তো। ওইসব খেয়ে খেয়েই
তো চাইনিজরা জীবনে লম্বা হতে পারল না, দেখিসনি?”
যাই হোক, আজিনামোটোর
প্রসঙ্গ এখন থাক। টিফিন পিরিয়ডের কথায় ফিরে আসি। টিফিনের আগের চারটে আর পরের তিনটে
পিরিয়ডে আমাদের চালকলাবাঁধা শিক্ষা দিতেন দিদিভাইরা, আর টিফিন
পিরিয়ডে হত আমাদের জীবনের শিক্ষা। কানে শোনা নয়, চোখে দেখা নয়, প্রতিপদে হোঁচট
খেয়ে শেখা শিক্ষা। সারাজীবন ধরে সাধনা করলেও যে শিক্ষা ভোলা যায়না। কে কার সাথে
বসে ভাগাভাগি করে টিফিন খাবে, কার সাথে খাবেনা, টিফিন খাওয়া শেষ হলে কার সাথে
কুমীরডাঙা খেলবে, কার সাথে মরে গেলেও খেলবে না---এই সব শিক্ষা।
সোজা কোথায় দলবাজির
শিক্ষা।
‘দলবাজি’ কথাটার
ভাগ্য খারাপ, শুনলেই মনে হয় খারাপ কথা। ‘পলিটিক্যাল কারেক্টনেস’ কথাটার মতো। কিন্তু
আমি সত্যি সত্যি মনে করি কথাটা আসলে কিচ্ছু খারাপ নয়। নিজের আর কাছের লোকেদের জীবন
পরীক্ষা করে দেখেছি, সবার অর্ধেক সমস্যা এড়ানো যেত বুদ্ধি করে দল ঠিক করতে পারলে।
ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে অত্যধিক বর্ণময় দলটার সাথে না মিশে যদি পড়ুয়া দলটার সাথে গা
ঘেঁষাঘেঁষি করতাম তাহলে হয়ত গ্রেডটা আরেকটু ভালো হত। বেড়াতে গিয়ে ভীতুর ডিম দলটার
সাথে ঘরে বসে না থেকে যদি সাহসী দলটার সাথে কায়াকিং করতে চলে যেতাম তাহলে একটা ছবি
তুলে রাখা যেত। আপনাদের এখন দেখাতাম বেশ বুক ফুলিয়ে।
কাজেই দলবাজি শেখার
জিনিস। আর দলবাজি শেখার আর শিখে হাতেকলমে প্রয়োগ করার সেরা জায়গা হচ্ছে টিফিন
পিরিয়ড। টিফিনপিরিয়ডের আরও একটা ভালো ব্যাপার হচ্ছে অন্য পিরিয়ডগুলোর মতো স্কুল
শেষ হলেই সেটা শেষ হয়ে যায়না। কী করেই বা যাবে? জীবন ফুরোয়না, দলবাজি ফুরোয় না,
টিফিনপিরিয়ড ফুরিয়ে গেলে চলবে?
বড়দেরও যে টিফিন
পিরিয়ড আর টিফিন পিরিয়ডের ডায়ন্যামিকস থাকে সেই সন্দেহটা মিলিয়ে নিতে মাকে ফোন
করলাম। শোনা মাত্র মা শিউরে উঠলেন। বললেন তাঁদের অফিসেও নাকি টিফিন পিরিয়ডটাই
সবথেকে মারাত্মক ছিল। কত স্ক্যামের সূত্রপাত হল, কত স্ক্যামের পর্দাফাঁস হল, কত হরতাল
ডাকা হল, কত GM বদলি হয়ে গেল, কত লোকের
প্রোমোশন আটকে গেল---আর এ সঅঅঅবকিছুর বীজ বপন হল টিফিন পিরিয়ডে বসে বসে স্টিলের
গোল বাক্স খুলে রুটি আলুপোস্ত খেতে খেতে।
শুধু যে খারাপ জিনিসই হল তা নয়। টেলিফোন অপারেটর হয়ে জীবন শুরু করার সময় মা
যাঁদের সাথে বসে টিফিন খেতেন, যেমন যোগমায়ামাসি, তাঁদের সাথে মায়ের সারাজীবনের
বন্ধুত্বও পাওনা হল। দুজনের কেরিয়ার দুই পথে বেঁকে গেল, অফিসবাড়ি আলাদা হয়ে গেল।
তবু মাঝে মাঝে দেখা করার ইচ্ছে হলে দুজনে টিফিন পিরিয়ডে একসাথে দেখা করতেন। একে
অপরের টিফিন ভাগ করে খেতে খেতে সুখদুঃখের গল্প করতেন।
ভেবে দেখছি আমিও টিফিনের ক্লাসে যে দলটা পাকিয়েছিলাম, স্বাতী অদিতি আর
দেবাঞ্জলির সাথে, বাকি সব ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেলেও সেই দলটাই এখনও টিমটিম করে টিকে
আছে। মাসের পর মাস যোগাযোগ না হলেও বুকের গভীরে ভরসাটুকু রয়ে গেছে যে দেখা হলেই
আবার গোল হয়ে বসে তুমুল আড্ডা শুরু করা যাবে।
কিন্তু এখন আর দল পাকানোর রাস্তায় যাইনা। পাকাতে চাইলে পাকানোই যায়। অফিসে
টিফিন পিরিয়ডে ক্যাফেটেরিয়ায় ছোটবড় জটলা হয়। সুনির্দিষ্ট জটলা। একটাকে আরেকটার
সাথে গুলিয়ে ফেলার কোন চান্সই নেই। জটলা চলাকালীন মাঝে মাঝে কফি নিতে গিয়ে দেখেছি,
খেতে খেতে মাথাগুলো ঘন হয়ে এসেছে, গলা উচ্চগ্রাম ছেড়ে প্রায় ফিসফিসানিতে নেমে
এসেছে। দেখেই বোঝা যায় অফিসের কাউকে নিয়েই চর্চা চলছে খুব জোর। কে জানে আমাকে
নিয়েই কিনা। টিফিনের গ্রুপে যোগ দেওয়ার নেমন্তন্নও এসেছিল গোড়ার দিকে। বেশ ক’দিন হেসে
এড়িয়ে যাওয়ার পর এখন আর আসেনা। মাঝে মাঝে একা একা খেতে খেতে ভাবি অতিরিক্ত সাবধানী
হতে গিয়ে ভুলই করলাম হয়ত।
আপনারা কোন দলে পড়েন? চারদিকে সাড়া ফেলে নরক গুলজার করে টিফিন খাইয়েদের দলে
নাকি আমার মতো একাবোকাদের দলে? বলুন আমায় প্লিজ।
বাহ, আমি ফার্স্ট।
ReplyDeleteশাহরুখ খানকে কুড়ি বছর আলাস্কাতে নির্বাসন দিলেও তার ওই রামছাগলের মতো অ্যাক্সেন্ট টা বদলাবে না, আর হয়তো বদলাবে না ছেলেদের টিফিন পিরিয়ডে "আজকে জিততেই হবে" স্বপ্নটা।
আমরা ছিলাম যাকে বলে বাঁদরছানা, আমরা টিফিন পিরিয়ডের আগেই টিফিন শেষ করে নিতাম। প্রত্যেকটা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে (যখন আগের দিদিমনি চলে গেছেন, আর পরের জন আসেননি) একটু একটু করে পালং শাক আর চাউমিন গুলো শেষ করে নিতাম। মোটে আধ ঘণ্টার টিফিন পিরিয়ড, তার মধ্যে খাওয়া দাওয়ার ঝামেলা রাখলে চলে?
টিফিন পিরিয়ডের ঘন্টা বাজার সাথে সাথে দৌড়, প্রতি সিজনে খেলা বদলাত, কোনোদিন ক্রিকেট, কোনদিন ফুটবল, কখনো আবার টেবিলটেনিস। বলাই বাহুল্য যে আমরা কোন আকাশ থেকে খসে পড়া নক্ষত্র ছিলাম না, স্কুলের বাকি শ-পাঁচেক ছেলেরাও আমাদের মতন করেই প্ল্যান করত। জায়গায় কুলতো না, নিজের টার্ন আসার জন্য অনেক ওয়েট করতে হতো, কিন্তু আমাদের মোটিভেশনে কোনদিন ভাঁটা পড়েছে, এমন মনে পড়ে না।
ছোটবেলার বাঁদরছানারা বড় হয়ে ভয়ানক শান্তশিষ্ট হয় আর যারা শুরুতে শান্ত থাকে তারা পরে নৃসিংহ অবতার হয় এরকম একটা থিওরি আছে জানেন তো? আমার ক্ষেত্রে থিওরিটা খেটেছে। আপনি কি এখন একেবারেই সাত চড়ে রা কাড়েন না?
Deleteএক্স্যাক্টলি। খাও রে, খেলো রে, ওই ছোট ছোট দুই হাতে কত আর সামলানো যায়। আমিও টিফিন খেতাম না। আর ঠিক বলেছেন, খেলার মাঠে ধৈর্য, লেগে থাকা টেনাসিটি এসব ভালো ভালো গুণের কক্ষনো অভাব হয়নি, পড়ার টেবিলে বসলেই এরা যে কোথায় হাওয়া হত কে জানে। জঘন্য।
AMI BABA KONODIN AKA AKA TIFFIN KHETE PARINA....BES TIN CHARJON ER SATHE JOMIYE GOLPO NA KORTE PARLE AMAR BODHOJOM HOYE JAI.....AKA AKA KHAYOA IS SO BOARING.....AR HA AKA KHELE ONNODER KHABAR E VAG BOSABO KI KORE SUNI?TUMI NA VISON BOKA.....
ReplyDeleteamar to nijer tiffin er theke onner tiffin ta khetei besi valo lage.
ReplyDeleteযাঃ এই জায়গাটা একদম মিলল না কুহেলি। টিফিন খাওয়ার ব্যাপারে তুমি আর আমি একেবারে উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু।
Deleteamar ofc ta emnitei bhishon boring.. tar modhyei monder bhalo kota sathi jutiye ami tiffin khete jai. tobe amader thik oi tiffin share kore khawa byaparta ar hoyna karon ofc er canteen eri lunch khai maximum time. tao keu bari theke alu-posto ki kimaar torkari anle je bhag paina tao noy...
ReplyDeleteamaro kintu school er tiffin er group er songei jogajog ta theke gechhe aj o.. baki sobar sathe sudhu facebook e kotha hoy.
ঠিক কিনা বল সোহিনী, একসাথে খেলে সম্পর্ক থাকে নাহলে থাকে না।
DeleteOffice e ar ke "share" korbe? Tobe majhe majhe tiffin khai ek mashima type sweet mohila'r sange, abar kokhono desk e boshe khai, tarpor 1 hr bikeler dike oi mashima'r sange haatte jayi...
ReplyDeleteSchool e oboshyo tiffin e darun moja hoto. Diocesan e 2to tiffin break hoto. 1st ta 10-15 mins er, seta te kheye feltam ar tarporer ta 30 mins er, setay sudhu kheltam. South Point e oi agey sob kheye feltam class er break e, tarpor tiffin e kheltam :)
Ami shunechi jara chhotobelay bhalo thake pore tara paji hoye jaye and vice versa, tobe ami chirokal-i besh paji type er, ekhono setai continue korchi :P
আমার অফিসেও ওরকমই ব্যবস্থা রিয়া। তবে তার মধ্যেও লোকে বাড়ি থেকে কিছু না কিছু আনতেই থাকে আরকি। তোমার মাসিমার গল্প শুনে ভালো লাগল। এরকম একদুজন না থাকলে অফিসে সত্যি পাগল পাগল লাগে।
Deleteদুটো টিফিন ব্রেক--কর্তৃপক্ষের বুদ্ধি আছে। খাওয়াও হল, খেলাও হল।
Arey Diocesan e 100 yrs dhore sei ourono British amol er technique cholchilo...sokal e prayer, tarpor important class gulo, chhoto break, abar 2to class, boro break tarpor jotto bekar class gulo - P.T., work education, needle work, girls' guide... bere byabostha kintu :)
Deleteবেড়ে বলে বেড়ে রিয়া?
DeleteDarun laglo. Khoob darun :)
ReplyDeleteধন্যবাদ ধন্যবাদ শকুন্তলা।
Deletetiffin period ta sotyi khub mojar period chilo..sobbai bhagabhagi kore khetam jar dorun amar bari theke ana tiffin ta odhikangsho somoyei fela jeto (kanona amartai sob cheye ocha thakto tai ami o khetam na, ar bari firiye niye gele ja tulkalam hobe sei bhoye ami i bisorjon diye ditam :P)..khub chhoto belar por theke kokhonoi kheladhuloy bishesh jog ditam na, tobe dotolar baranday dariye bakider kabadi dekhte darun moja chilo...ar to thakto ojosro golpo..onyo section e chole jawa bondhur songe ei somoy tatei puro diner golpo kore newa..amonki sei niye akbar amar khub priyo bondhur opor amon obhiman korechilam!! hya, tobe ei tiffin period guloi amay sobtheke priyo bondhuder o diyeche, seta akdom khati kotha...
ReplyDeleteহাহা স্বাগতা, ওঁছা টিফিন রিসাইক্লিং করার ট্রিকটা আমরা সবাই কাজে লাগিয়েছি কোন না কোন সময়। আমিও খেলাধূলায় অষ্টরম্ভা ছিলাম কিন্তু তাই বলে খেলতে ছাড়তাম না। সবাই খেলত আর আমি সবার পেছন পেছন এলোমেলো দৌড়োদৌড়ি করে বেড়াতাম। সেকশন চেঞ্জটা কী ট্র্যাজেডি ছিল না? টিফিন পিরিয়ডের বন্ধু, সারাজীবনের বন্ধু। এই নিয়ে কোন কথা হবে না।
Deleteপ্রথম লাইনটা পড়েই মনে হয়েছিলো আজকের লেখাটা ভালো লাগবে... তাই হলো... তারপর 'সোজা কোথায় দলবাজির শিক্ষা' নিয়ে আরো ভালো লাগলো... নিখাদ লেখা... :)
ReplyDeleteআমি বেজায় বদ ছিলাম... দু'টো টিফিন হতো মিশনে... ১০ মিনিটের ছোট টিফিনে নিজেরটা খেয়ে নিয়ে ২০ মিনিটেরটায় গোটা ক্লাসে টিফিনের তোলা আদায় করে বেড়াতাম... ছোটখাটো Bully ছিলাম এককথায়... এখন সব বন্ধুরা ওই নিয়ে বেজায় খিল্লি করি আর আমার খারাপ লাগাটা একটু হলেও কমে... :(
যেদিন খেতাম না, সেদিন খেলতাম, আর কত দৌরাত্ম যে করেছি, তার ইয়ত্তা নেই... এই ব্যাপারে আপনার থিয়োরি বোধহয় খাটলো না, আমি তখনো সবাইকে নিয়েই টিফিন খেতাম, এখনো তাই... (কারেকশন, তখন 'সবার' টিফিন খেতাম বলাটা বোধহয় বেশি ঠিক হবে)
*দৌরাত্ম্য
Deleteধন্যবাদ ধন্যবাদ সুনন্দ। ভালো লাগলেই ভালো।
Deleteআমার থিওরিটা তো টিফিন খাওয়া নিয়ে ছিল না, যেটা নিয়ে ছিল সেটা মিলেছে। তুমি ছোটবেলায় গুণ্ডামো করে সবার টিফিন খেয়ে বেড়াতে এখন কীরকম শান্ত শিষ্ট গম্ভীর ভদ্রলোক হয়ে গেছ। তবে?