প্রমাণ
প্রমাণ ব্যাপারটা খুব মজার।
কী দিয়ে যে কী প্রমাণ হয় আর কী দিয়ে যে হয় না, সে কথা ভগবানও দিব্যি গেলে বলতে
পারবেন না। প্রেমের প্রমাণের অভাবে আমি অনেকদিন সিঁটিয়ে ছিলাম, তারপর নিজের চোখে
ফেসবুকে “কমিটেড” স্ট্যাটাস জ্বলজ্বল করতে দেখে বুকে শান্তিজল পড়েছিল। আরও অনেকদিন
পর ওই শব্দটার আর কোনও মানেই রইল না,
শব্দটা তবু রয়ে গেল। কী প্রমাণ করতে কে জানে।
আবার সব ব্যাপারের প্রমাণ যে একেবারে হাতেগরম পাওয়া যাবে এমনটাও নয়। মায়ের বলা বেশিরভাগ কথাই সত্যি হয়েছে বিশ্রীরকম লেটে। যখন আর ফিরে গিয়ে সেই কথামতো কাজ করার উপায় নেই।
সেইরকম একটা লেট হওয়া
প্রমাণের গল্প আজ বলব আপনাদের।
লেট মানে ভয়ানক লেট। আমার
মুখেভাতের সময়কার, তবেই বুঝুন। আজ থেকে কোটিকোটি বছর আগে যখন আমার মুখেভাত
হয়েছিল, তখন আমাদের বাড়িতে ক্যামেরা ছিল না। কিন্তু ছোটমামার ছবি তোলার শখ ছিল,
তখনকার আমলের তুলনায় রীতিমত ফ্যান্সি ক্যামেরাও ছিল। কাজেই আমার মুখেভাতের বেশ
কিছু সাদাকালো প্রমাণ আছে আমাদের অ্যালবামে। তবে এখনকার মত অত ছবি তোলার ধুমও তখন
ছিল না, কাজেই বহু মুহূর্ত অপচয়ও হয়েছে। অনেক কিছুর প্রমাণ রাখা যায়নি। যেমন আমার
ঠাকুমা দাবি করে থাকেন মেজনাতনির মুখেভাতের সময় টানা তিনদিন ধরে তিনি ভাত খাননি,
স্রেফ ফেলুময়রার দোকান থেকে আনা পান্তুয়া আর জলভরা সন্দেশ খেয়ে থেকেছিলেন। সেটা
নির্জলা সত্যি না রং-চড়ানো সত্যি সেটা প্রমাণ করার আর কোনও উপায় নেই।
যে ক’টা দেখেছি তাতে মনে
হয়েছে, বাঙালি হিন্দু মুখেভাত ব্যাপারটা অনেকটাই ভবিষ্যৎমুখী। মিনিয়েচার একটা
মানুষকে একটা ফুল-সাইজ মানুষের খাবার খাইয়ে, পোশাক পরিয়ে নেড়েচেড়ে দেখা। সাদাকালো
ছবিতে দেখেছি আমাকে বিয়ের বউয়ের মতো করে সাজানো হয়েছিল---বেনারসী শাড়ি, মাথায়
ঘোমটা, কপালে গালে চন্দন--- ছোটদাদুর কোলে চড়ে মুখ ছাদের সমান হাঁ করে চেঁচাচ্ছি,
দাদু বিপন্ন মুখে ঝুমঝুমি নাড়িয়ে আমাকে শান্ত
করার বৃথা চেষ্টা করছেন।
মুখেভাতে পাত্রপাত্রীর
ভবিষ্যৎ জানার জন্য আরেকটা বোকাবোকা খেলা করা হয়। সাবজেক্টের সামনে বিভিন্ন জিনিস
রাখা থাকে, তারপর হাস্যকর আধো আধো ভাষায় তাকে উৎসাহ দিয়ে, সারামুখে বিশ্রী রকম
লালামিশ্রিত চুমু খেয়ে, গাল টিপে, নানারকম ভাবে উত্যক্ত করে যে কোনও একটা জিনিসে
হাত ছোঁয়াতে বাধ্য করা হয়। সাবজেক্ট যে জিনিসটি ছোঁবে, সেইটি দেখে তার ভবিষ্যৎ
দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে উঠবে, এমনটাই সকলের দাবি। যেমন ধরুন---এ কে ফরটিসেভেন
ছুঁলে মাওবাদী, হাতকড়া ছুঁলে সি আই ডি ইত্যাদি প্রভৃতি।
আমার বেলা অবশ্য ওসব
ইন্টারেস্টিং জিনিস পাওয়া যায়নি, তাই হাতের কাছে পাওয়া কিছু বোরিং জিনিসপত্র দিয়ে
কাজ চালাতে হয়েছিল। রান্নাঘরের সবুজ রঙের টিনের পিপে থেকে ঠাকুমা নিয়ে এসেছিলেন
একমুঠো চাল। আজীবন সন্তানসন্ততি, আত্মীয়স্বজনের ভাত রেঁধে জীবন কাবার করেছেন
ঠাকুমা, চালের মর্ম তাঁর থেকে ভালো আর কে বুঝবে? বাগান খুঁড়ে একখাবলা নরম মাটি
তুলে এনেছিলেন ঠাকুরদা। রেলকেরানির সামান্য মাইনে
জমিয়ে জীবনের অপরাহ্নে পৌঁছে শহরের উপকণ্ঠে একটি একতলা বাড়ি তুলেছিলেন দাদু।
নাতনির ঠাঁইয়ের অভাব যাতে না হয় সেটার ব্যবস্থা করাই তাঁর সবথেকে জরুরি বলে মনে
হয়েছিল। আমার বাবা এখনের মতো তখনও ঘোর বাস্তববাদী ছিলেন। নিজের বাবামায়ের
সিকিউরিটি সম্পর্কে এমন ব্যাকডেটেড ধ্যানধারণা দেখে বিরক্ত হয়ে তিনি প্যান্টের
পকেট থেকে দু’খানা চকচকে কয়েন বার করে ঝনাৎ করে আমার সামনে ফেলে ভুরু নাচিয়ে আমাকে
প্রাণপণে হিন্ট দিতে লাগলেন যেন আমি খপাৎ করে ওগুলোই ধরি।
ক’টা হল? তিন? হিন্দু
বাড়িতে বড় হওয়ার সুবাদে জানি সব শুভকাজেই পাঁচের দাপাদাপি। কিন্তু স্যাডলি আমার
চার নম্বর আইটেমটা মনে পড়ছে না। কাজেই আমি সোজা পাঁচ নম্বরে চলে যাচ্ছি। কারণ
সেটাই আজকের গল্পের মুখ্য চরিত্র, এতক্ষণ যাদের কথা বললাম তারা সবাই এলেবেলে
পার্শ্বচরিত্র বই কিছু নয়।
যতক্ষণ চাল মাটি টাকা নিয়ে
এইসব কাণ্ডকারখানা হইচই হচ্ছিল, ততক্ষণ আমার মা লালরঙের বাহারি শাড়ি পরে, হাতখোঁপা
ঘোমটা দিয়ে ঢেকে, দরজার পাশে দাঁড়িয়ে মিষ্টিমিষ্টি হাসছিলেন। একটা কিছু তাস যে
তাঁর আঁচলে লুকোনো ছিল সেটা মাকে দেখেই বেশ বোঝা যাচ্ছিল। আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে যার
যার নিজস্ব এজেন্ডা পূর্ণ করার পর জনতা মায়ের মুখের দিকে তাকাল। আমার আনকোরা নতুন
মা তখন তাঁর আনকোরা নতুন তাঁতের শাড়ি খসখসিয়ে এগিয়ে এসে আঁচলের তলা থেকে একখানা
পেন বার করে চাল, মাটি আর টাকার পাশে রাখলেন।
সবার বুক থেকে হুস্ করে
স্বস্তির নিঃশ্বাস বেরোল। চাল ভাবল, ছোট হাতে আমাকে তুলতে সুবিধে কাজেই আমিই
জিতছি। মাটি ভাবল, বুদ্ধি করে চেহারাখানা যে রকম নোংরা করে রেখেছি, তাতে আমাকে
তুলে সারা মুখে মাখার লোভ সংবরণ করতে পারে এমন পাঁচমাসের শিশু ত্রিভুবনে যদি জন্মে
থাকে তো আমার নাম নেই। চকচকে টাকা ভাবল, পেয়ারাগাছের পাতার ফাঁক দিয়ে কুচিকুচি
রোদ্দুর এসে আমার গায়ে যেমন ঠিকরোচ্ছে, এ মেয়ে আমার গলায় মালা না দিয়ে পালাবে
কোথায়।
আমার ভীষণ বুদ্ধিমতী মায়ের
মাস্টারস্ট্রোকটা কেউ খেয়ালই করল না। মুখেভাতের দিনকয়েক আগে অফিস থেকে ফেরার পথে
স্টেশনেরোডের স্টুডেন্টস্ কর্নারে ঢুকে মা একটা পেন চেয়েছিলেন। দোকানদারকাকু
যেমনতেমন একটা পেন বার করে মায়ের দিকে এগিয়ে দিতেই মা বলেছিলেন, “উঁহু, এ জিনিস
চলবে না। লাল রঙের পেন নেই আপনার দোকানে? টুকটুকে লাল?”
আলপিন পড়লে শব্দ হবে এমন
দমবন্ধ করা উত্তেজনার মধ্যে আমি সেজকাকুর কোল থেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে লালটুকটুকে
পেনটা তুলে নিলাম। জনতা হইহই করে উঠল। আমি বিজয়ীর মতো পেন মুখে পুরে চিবোতে
লাগলাম, আমার মাড়িসর্বস্ব মুখের লালা নিঃসৃত হয়ে লাল পেনের সর্বাঙ্গ ভিজিয়ে দিতে
লাগল। এতক্ষণে পুরো প্ল্যানটা ধরতে পেরে ভিড়ের মাথা ডিঙিয়ে আমার বাবা আমার মায়ের
দিকে তাকিয়ে নীরব স্যালুট জানালেন, মা এমন অবাক ভাব করলেন যেন পুরো ব্যাপারটাই ঝড়ে
বক মরে ফকিরের কেরামতি বাড়ে, যেন তিনি যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার জন্য
একঘণ্টাও বেশি রাত জাগেননি।
*****
আমি জানি আপনারা এখন কী
ভাবছেন। আপনারা ভাবছেন এত বড় এবং এত বোরিং একখানা গল্পের শেষে প্রমাণটা কী হল।
প্রমাণ দেখতে হলে আপনাদের কষ্ট করে আমার বাড়িতে আসতে হবে। সেই যে মা ষড়যন্ত্র করে
আমাকে দিয়ে পেন তুলিয়েছিলেন, সেই পেন তোলার মহামারী আমার জীবন ছেয়ে ফেলেছে। গত তেত্রিশ
বছরে (টেকনিক্যালি দেখতে গেলে তেত্রিশ নয়, মাত্র দশ-বারো বছরেই) আমি যত সেমিনার,
যত ট্রেনিং, যত ওয়ার্কশপ, যত গ্রুপ ডিসকাশন, যত ডিসকোর্স, যত ব্রেনস্টর্মিং সেশন
অ্যাটেন্ড করেছি, প্রতিটি জায়গা থেকে পেন তুলে এনে বাড়িতে জমিয়েছি। কাবার্ড খুললে
পেন গড়িয়ে পড়ছে, ড্রয়ার টানলে পেন উপচে উঠছে। খাটে শুতে গেলে পিঠে পেন ফুটছে,
চেয়ারে বসতে গেলে নিতান্ত অভদ্রের মতো তশরিফে খোঁচা মারছে। অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে
তাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা না নিলে পেনের পাহাড়ে আমি আর অর্চিষ্মান অচিরেই
চাপা পড়ব।
পেনের কৌলীন্য কিংবা আমার
প্রয়োজন, কোনওটাই আমার এই পেন-তোলা অসুখ ব্যাখ্যা করতে পারে না। ভালো পেন, খারাপ
পেন, চলা পেন, অচল পেন, টেঁকসই পেন, ইউজ অ্যান্ড থ্রো পেন। পেন দেখলেই আমার মাথার
মধ্যে কী যেন একটা কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন ঘটে যায় আর আমি নিমেষে কোটিকোটি বছর আগের
সেই পেয়ারাগাছের পাতার ফাঁক দিয়ে কুচিকুচি রোদ্দুরমাখা দুপুরটায় পৌঁছে যাই।
চারপাশে আধোআধো গলায় অনর্গল কথা বলে চলা প্রাপ্তবয়স্কের ভিড়, চালের ঢিবি, মাটির
তাল, নতুন কয়েনের ঝকমকি---সব আউট অফ ফোকাস হয়ে যায়, আমার রেটিনায় শুধু ভেসে ওঠে
একটা ভীষণ উজ্জ্বল, ভীষণ লোভনীয় একটা লালটুকটুকে জিনিস। যেটা এক্ষুনি তুলে মুখে না
পুরতে পারলে জীবন বৃথা।
কোটিকোটি বছর আগের সেই খেলাখেলা ভবিষ্যদ্বাণীর সত্যতা যেমন প্রমাণ হয়েছে, আমার জীবনের আর কোনও সত্যির তেমনটা হয়নি।
কোটিকোটি বছর আগের সেই খেলাখেলা ভবিষ্যদ্বাণীর সত্যতা যেমন প্রমাণ হয়েছে, আমার জীবনের আর কোনও সত্যির তেমনটা হয়নি।
এটার একটা তথাকথিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। দাবিটা হচ্ছে সকলেই পেন তোলে, কারণ সব অপশনের মধ্যে পেন'টা সব চেয়ে লম্বা হয়, খুদে আঙ্গুলের রিচের মধ্যে থাকে। বাকি বেঁটে জিনিস গুলো ওতোটা সহজে ধরা যায় না।
ReplyDeleteঅনির্বাণ, জানতাম। বিজ্ঞান ছাড়া আর কারও পক্ষে এমন ইন্টারেস্টিং জিনিসের এমন বোরিং ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।
Deletebhaggye pen tulechhile Kuntala... noito emon 'Abantor' hoto ki? :-)
ReplyDeleteহাহা, আরে ইচ্ছাডানা, পেন কোথায় এ তো কিবোর্ড। অবান্তর হত বলেই আমার ধারণা, কারণ লেখার থেকেও বাজে বকার সঙ্গে অবান্তরের আত্মীয়তা বেশি।
Deleteপেন তোলা খুব খারাপ তো নয়, বেশ ভাল অভ্যেস। অন্তত পেন ড্রাইভের চেয়ে পেন অনেক ভাল!
ReplyDeleteসেকি, লোকে পেন ড্রাইভও নিজ দায়িত্বে তুলে নিয়ে আসে নাকি!
Deleteনা না, তোলার কথা হচ্ছে না, ভ্যারাইটি এবং সৌন্দর্য্যের নিরিখে বললাম। :)
Deleteঅ।
Delete:D
Deleteভাল লিখেছিস্। চার নম্বর জিনিসটা কী ছিল তাই ভাবছি।
ReplyDeleteমনে পড়লে বোলো তো। আমিও সেটাই ভেবে চলেছি তখন থেকে।
Deleteshona,,,,,chain ba mohor ba guinea.
Delete4th ta boi, kintu khub i choto akarer halka boi deoa hoy, samogro ba Harry Potter cholbe na, sei eki strategy'r khela
DeleteBongMom
আমার মগজের অর্ধেকটা বলছে সোনা, বাকি অর্ধেকটা বলছে এত লোক যখন বই বলছেন তখন সেটাকে উড়িয়ে দিই কী করে। যাক গে, আইটেমটা যাই হোক না কেন, স্ট্র্যাটেজির ব্যাপারটা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি।
Deleteরাশি রাশি নববর্ষের প্রতিজ্ঞা, গত বছরের নিষ্ফলাগুলির জন্য দুঃখ, এটা শেখা, সেটা জানা, হ্যানো ত্যানো সাত সতেরো সুখদুঃখের পাঁচালির তলায় চাপা পড়তে পড়তে যখন হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, তখন কোনরকমে একটু নাক ভাসিয়ে এই পোস্টটার সামনে এসে পড়া গেল। তারপর বদ্ধ বেলুনের থেকে বেড়িয়ে এল প্রথমে খিক্খিক্, পরে খুক্খুক্, হাহা হিহি সব রকমের হাসি। এখন আমি হাল্কা হয়ে একটু হেসে বলছি তোমায়, ধন্যবাদ কুন্তলা।
ReplyDeleteআরে থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ মালবিকা। আপনার মন ভালো হয়েছে জেনে আমারও মন খুশি খুশি লাগছে।
Deleteফিফ্থ্ আইটেমটা বই...
ReplyDeleteওহ, অদিতি, আমি ভাবলাম পেন আর বই বোধহয় একই ভবিষ্যতের সিগন্যাল দেওয়ার জন্য কাজ করে।
DeleteDarun. Tomar lekhatar naam hoa uchit chhilo : The pain of a penfull life............Tilakmama.
ReplyDeleteহাহা, তিলকমামা, অনুপ্রাস দারুণ হয়েছে। দারুণ এবং appropriate.
Deleteআচ্ছা এইটা কি ঠিক হলো? লেখার নাম প্রমান ট্রমান রেখে শেষে কিনা দুটো ছবি লাগাতে ভুলে গেলেন? এক নম্বর হলো মুখে ভাতের ছবিটা (মানে ওই ছাদ সমান হাঁ করা ছবি) আর কোটি কোটি পেনের কালেকশন। প্লিজ.. প্লিঈঈঈঈঈইজ ..
ReplyDeleteআর বাই দ্যা ওয়ে - বইমেলায় একদিন গল্পপাঠের ব্যবস্থা করুন -- রোহন কে আইডিয়াতা দিন -- সবাই মিলে দেখা সাক্ষাত-ও হয়ে যাবে, আমিও অটোগ্রাফ পেয়ে যাবো। আপনার মনে নেই বোধ হয় - এই অধম-ই একটা লেখা পড়ে খুব ইমপ্রেস হয়ে একবার একটা প্রমিস করেছিল - বই বেরোলে প্রত্যেকটা পয়সা খরচ করে কিনে পড়ব, ডাউনলোড করব না, অন গড ফাদার মাদার।
--
সব্যসাচী
মনে নেই আবার, সব্যসাচী? এত ভালো প্রতিশ্রুতি আমি ভুলিনি। ক'টা বই বিক্রি 'হবেই' সে গুনতিতে আমি আপনার নাম অলরেডি ধরেছি। ছবির কথা আর বলবেন না, মুখেভাতের ছবি সব নন-ডিজিটাল এবং বাড়িতে, আর পেনের ছবি তুলব তুলব করেও তোলা হল না। ছবির মুখ চেয়ে লেখা আর দেরি করব না বলে ছবিহীন লেখায় ছাপিয়ে দিলাম।
Deleteঠিক আছে - বইমেলায় তো বাড়ি ফেরা হচ্ছেই, তখন নাহয় স্ক্যান করা যাবে। আমার খুব দুখখু যে আমার নিজের অন্নপ্রাশন এর কোনো ছবি নেই। ..
Deleteচুপি চুপি একটা খবর দি - আমি আমার মাকে অবান্তরের বেশ কয়েকটা লেখা পড়িয়েছিলাম - খুব খুশি হয়েছিল আর বলেছিল কি সুন্দর লেখা।কোন একটা লেখা পরে মনে হয় চোখটা একটু ভিজেও গেছিল (খুব সম্ভবত বিয়ের আগের মাদার্স ডে নিয়ে লেখাটা) । আবার কোন একটা লেখা পরে হেসে বলেছিল -- আরে এ তো দেখি তোর-ই মত মা-হ্যাংলা :)
যাইহোক আমি দুটো কপি নেব - একটা মায়ের জন্যে আর একটা আমার বড়মাসীর জন্যে। আমি তো ফার্স্ট এডিশন হাতে গরম, ইয়ে নেটে গরম গুগল রিডার এ পড়ে নিয়েছি। মায়েরটাই আমার সম্পত্তি..
তবে আমি কিন্তু সিরিয়াস - গল্পপাঠের আসর বসছে নাকি?
বাঃ, ম়া-হ্যাংলা শব্দটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। চুরি করে নিলাম, এবার থেকে যত্রতত্র ব্যবহার করব। একটার বদলে দুটো কপি বিক্রি হবে শুনে আনন্দে আত্মহারা বোধ করছি, ধন্যবাদ ধন্যবাদ। আমি সত্যিই জানি না, গল্পপাঠ ইত্যাদির কোনও প্ল্যান আছে কি না, থাকলে নিশ্চয় জানিয়ে দেব। এত উত্সাহ নিয়ে কমেন্ট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, সত্যি বলছি।
DeleteLekha ta pore tomay ja ja likhbo bhebechilum sab katai uporer jantara likhe diyechen:D.
ReplyDeleteKintu satti satti ki bhalo tumi likhecho go:)
Pore monta khushi khushi hoye galo:D
আরে থ্যাঙ্ক ইউ কথাকলি। খুব ভালো লাগল আপনার কমেন্ট পেয়ে।
Deleteei lekhata darun ..mukhebhater chabi amio dekhte chai
ReplyDeleteথ্যাঙ্ক ইউ তিন্নি।
Delete... Tomar pen beshi hole ekta carton e kore boimela-te niye esho, amader shobai ke boi er snge ekta kore pen diye dao ... marketing o holo abaar jotro-totro pen er khoncha r haat theke banchle ;)
ReplyDelete[ sokal sokal tomar post porei bod budhdhi ]
-Parama
আরে বদ কোথায়, বড়িয়া বুদ্ধি তো পরমা। পেনের গায়ে অবান্তর ডট কম ছাপিয়ে নিয়ে গেলে মার্কেটিং আরও ভালো হতে পারে, তাই না? হুম, আইডিয়াটাকে কালটিভেট করতে হচ্ছে দেখছি।
DeleteAmi uporer idea e somorthon janai..ai laptop/keyboard/printer sorbosso life e amar barite ekhun ekti matro sochol pen..seti nia bejay karakari chole dorkar porle...
ReplyDeleteলেখার সময় সব বাড়িতেই পেন নিয়ে কাড়াকাড়ি চলে সৌমেশ। বিশেষ করে কানে ফোন ধরে আছি, ওপ্রান্ত থেকে একজন একটা জরুরি ঠিকানা কিংবা আরেকটা ফোন নম্বর বলতে শুরু করেছে, তখন আমার বাড়িতে যেটা হয় সেটা একটা মিনি কুরুক্ষেত্র বললে কিছু বাড়িয়ে বলা হয় না।
Deleteদেখেছেন, লেট করে ফেলেছি আবার। আরে আমি অন্নপ্রাশনে কি তুলেছিলাম আমার মনে নেই, কিন্তু যদি এই পেন তোলা দিয়ে প্রমান পাওয়া যায় তাহলে আমিও পেন তুলে থাকব, কারণ আপনি আপনার বাড়ির যে বর্ণনাটা দিলেন সেটা আমার বাড়িরও বর্ণনা, লোকজন সাক্ষী আছে। আমি তো এটাও ভেবে রেখেছিলাম ওগুলো দেশে নিয়ে গিয়ে চ্যারিটি তে দিয়ে দেব, কিন্তু তারপর থেকে একটা স্যুটকেস নিয়ে যাতায়াত করেছি, আর আমার যত পেন-পেন্সিল আছে সেগুলো আমার জিনিসের সঙ্গে একটা স্যুটকেসে ধরবেনা। সেগুলোর অর্ধেক বাবা-মায়ের সঙ্গে চালান করেছি, বাকি অর্ধেক নিউ জার্সি থেকে এই ভার্জিনিয়াতে বয়ে এনেছি। দুঃখের বিষয় পেনের আতিশয্য হলেও কাগজে লেখার সুযোগের বড় অভাব। তাই আমার আর ব্যবহার করা হয়না। দেখি এবার দেশে যাওয়ার সময়ে নিয়ে যেতে পারি কিনা।
ReplyDeleteআপনার অন্নপ্রাসনের ছবিটা দেখার ইচ্ছে রইলো।
আমাদের সবারই তাই পরিস্থিতি। লেখার নামে অষ্টরম্ভা, এদিকে লেখনীতে বাড়ি ছয়লাপ। চ্যারিটিতে দিয়ে দেওয়ার আইডিয়াটা অবশ্য ভালো। দেখি আমিও আমার পেনপেনসিলগুলোর সদগতি করতে পারি কি না।
Delete
ReplyDeleteপেনের পাহাড়ই বটে | কিন্তু শ্যেনদৃষ্টিসম্পন্ন অভিষেকেরও একটা জিনিস খেয়াল হয়নি | কৃচ্ছ্রসাধন হবে, কৃচ্ছসাধন নয় | বেআদবি মার্জনা করবেন | :-)
থ্যাঙ্ক ইউ Sanbandyo. সারাজীবন একটা কথা ভুল বলে এসেছি জেনে বুকের ভেতর কীরকম টলমলে লাগছে। অনেক উপকার করলেন।
Deleteআমি প্রূফরীডিং থেকে অবসর নেব ভাবছি এবার।
Deleteবালাই ষাট, প্রুফ রিডিং থেকে অবসর নেবে তোমার শত্তুর, তুমি নিতে যাবে কোন দুঃখে? সিরিয়াসলি বলছি, তোমার ভুল ধরিয়ে দেওয়ায় অনেক কিছু শিখেছি, কাজেই ভুল ধরা ছেড়ো না প্লিজ।
Deleteপেন দেখলেই আমার মাথার মধ্যে কী যেন একটা কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন ঘটে যায়.... আমার ক্ষেত্রেও
ReplyDeleteভয়ংকর সত্যি :P
হাই ফাইভ, অন্বেষা।
Delete