ঝেড়েমুছে
জিনিসপত্রের প্রতি আমার মায়ামমতা
সুস্থ লোকের চোখে একটু বাড়াবাড়িই ঠেকবে। জামা, জুতো, চুলের ব্যান্ড, অফিসের ব্যাগ, জলের বোতল, কাপড় শুকোনোর ক্লিপ, ছাতা, ছাতার ঢাকনা, বাজারের সঙ্গে আসা পলিথিনের
ব্যাগ---সবকিছু আমি এমন বুক দিয়ে আগলাই যেন অচিরেই সেগুলোর কারখানায় লকআউট ঘোষণা
হতে চলেছে।
শুধু একটি জিনিস আমার এই
আদরের আতিশয্য থেকে বাদ পড়ে যায়। কেন যে যায় সেটা একটা রহস্য কারণ জিনিসটি মহার্ঘ।
টাকাপয়সার দিক থেকে যদি নাও হয় (তা বলে সেটা যে খুব জলের দরে মেলে তাও না কারণ
জলের দরে আজকাল জলও পাওয়া যায় না, লিটার প্রতি মিনিমাম পাঁচ টাকা খরচ করতে হয়)
আমার বাঁচা, মরা, জীবনযাপন, দিনাতিপাত ইত্যাদি দিক থেকে তো বটেই।
জিনিসটা আমার চশমা। যাকে ছাড়া জাগরণের একটি সেকেন্ডও আমি নিরুপায়। মণিহারা ফণী। সেই চশমার প্রতি আমার অচ্ছেদ্দাটা যদি দেখতেন। দিনের মধ্যে পাঁচশো বার করে তাকে হারাচ্ছি, বইচাপা দিচ্ছি, ব্যাগচাপা দিচ্ছি, মাঝে মাঝে চেয়ারের ওপর তাকে ভুলে ফেলে রেখে নিজেই তার ওপর চড়াও হচ্ছি। চাপা পড়তে পড়তে, গুঁতো খেতে খেতে সে বেচারার ডাঁটি বেঁকে গেছে, ডানদিকের কাঁচ অর্ধেক বেরিয়ে ঝুলে আছে।
তাও যদি সে কাঁচটা পরিষ্কার
হত।
‘সোনা, চশমাটা নিয়ে কী করিস
আমাকে একটু বলবি? দয়া করে? মাটি তুলে মাখাস? চোখ থেকে খুলে ধুলোতে গড়াগড়ি খাওয়াস?”
আমার বাবার ঘোর বিশ্বাস
চশমা পরে আমার চোখ আরও খারাপ হয়েছে। ওই ঘোলাটে অপরিষ্কার কাঁচের ভেতর দিয়ে
দিবারাত্র দেখতে দেখতে চোখের স্নায়ুসিস্টেমের ওপর চাপ পড়েছে, আর তার ফলেই পাওয়ার
বেড়েছে হুহু করে।
বাবার থিওরিকে আমি এতদিন
আনসায়েন্টিফিক বলে পাত্তা দিচ্ছিলাম না, কিন্তু ইদানীং একটু চিন্তায় পড়েছি। সত্যি
কি আমার চশমা দিয়ে আমি ঠিক ঠিক দেখতে পাচ্ছি?
প্রাণ থাকতে কাজের কথা আমি
এড়িয়ে চললেও মাঝে মাঝে সে কথা ফেঁদে বসতেই হয়। সেদিন এইরকমই একটা দিন ছিল। একজন আমাকে জিজ্ঞাসা
করলেন, ‘আচ্ছা আপনি সারাদিন কী করেন বলুন দেখি?’ আমি ভীষণ রেগে গিয়ে বললাম, ‘সারাদিন
কী করি মানে? কাজের অভাব আছে নাকি আমার? খাই দাই বাজে বকি ঘুমোই পরনিন্দা করি
ফুচকা খাই অটো চড়ে ঘোরাঘুরি করি। এই তো কতগুলো কাজ হয়ে গেল। আর ক’টা চাই?’ শুনে
তিনি ভাবলেন আমি রসিকতা করছি বোধহয়। উদাত্ত হেসে বললেন, ‘আহা ওসব কাজ নয়, আমি
জানতে চাইছি, আপনি কোথায় আছেন?’
আমার মাথা আরও ঘুলিয়ে গেল।
বললাম, ‘আপাতত আপনার সামনেই দাঁড়িয়ে আছি সশরীরে, তবে আরেকটু বাদে মোস্ট প্রব্যাবলি
নিজের বাড়িতে থাকব। কীভাবে থাকব যদি জানতে চান তাহলে বলব বিছানার ওপর, অনুভূমিক
অবস্থায়।’
হাসতে হাসতে ভদ্রলোকের
হেঁচকি উঠে গেল। নাক টিপে ধরে প্রায় একবোতল জল চুমুক দিয়ে খেয়ে হেঁচকি থামিয়ে তিনি
বললেন, ‘উফ, সেই দেখেছিলাম শিবরামবাবুর হাস্যরস আর এই দেখছি আপনাকে। আহা, আমি
জানতে চাইছি আপনি কোথায় চাকরি করেন। মানে আপনার অফিসটা কী। কী করে মাসমাইনেটা পান।’
আমি মুখ গোঁজ করে ‘অ’ বলে
তাঁকে উত্তরটা দিলাম।
‘বাঃ, দারুণ ইন্টারেস্টিং
কাজ করেন তো আপনি। ইন্টারেস্টিং অ্যান্ড সিগনিফিক্যান্ট। আচ্ছা, আসি তাহলে? দেখা
হয়ে খুব ভালো লাগল, নমস্কার।’
এই না বলে তিনি পেছন ঘুরে
লম্বা লম্বা পা ফেলে হেঁটে চলে গেলেন, আর আমি ওইখানেই হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকলাম।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম, ঠিক শুনলাম, নাকি বাড়ি ফেরার পথে কানের ডাক্তারের
অ্যাপয়েন্টমেন্ট লিখিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে?
আমার কাজ? ইন্টারেস্টিং? সকালে উঠে যে কাজটার কথা মনে পড়লে আমার গায়ে জ্বর আসে, কান্না পায়, মাথা ঘোরে? দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ঘষটাতে ঘষটাতে আমার আজকাল যে কাজটার কথা মনে পড়লেই হাতের কাছের কিছু একটা তুলে দেওয়ালে তুলে ছুঁড়ে মারতে ইচ্ছে করে? সেই কাজটা? সিগনিফিক্যান্ট?
সেদিন অটোতে বসে ফেরার সময়
আমার আর গল্পের বই পড়া হল না। সারারাস্তা ভাবনায় মাথা ঠাসাঠাসি হয়ে রইল।
ভাবনা নয়, নস্ট্যালজিয়া
বলাটাই ঠিক হবে। ভদ্রলোকের ওই দু’খানা মাত্র কথার বাতাসে হুহু করে ধুলো উড়ে গিয়ে
অনেকবছর আগের একটা দিনরাত বেরিয়ে পড়ল। যখন এই কাজটাকে আমি নিজে ইন্টারেস্টিং মনে
করতাম। অনেক দামি কাজ পায়ে ঠেলে এই কাজটা করব বলে হাপিত্যেশ করে বসে থাকতাম। যেদিন
জেনেছিলাম এই কাজটা অবশেষে করার সুযোগ আমি পেয়েছি, চোখে জল এসে গিয়েছিল। মাকে ফোন
করে বলেছিলাম, ‘দেখ মা, অনেক ফাঁকি দিয়েছি, আর ফাঁকি দেব না। অনেক কষ্টে এ সুযোগ
এসেছে, একে আমি পায়ে ঠেলব না কিছুতেই। তোমাকে কথা দিচ্ছি মা, মন দিয়ে কাজ করব
আমি।’
মা-ও আছেন, আমিও আছি। কথা শুধু কথার মনে ভেসে গেছে। কাজও বদলেছে। কাজ ক্রমেই তার কৌলীন্য হারিয়েছে,
এদিকসেদিক থেকে আরও পাঁচটা নতুন ঝাঁচকচকে প্রায়োরিটি জুটেছে, আমার সারাদিনের টু ডু
লিস্টের সিংহভাগ তাদের ছেড়ে দিয়ে আমার কাজ ক্রমশ তলিয়ে গেছে অবহেলার পুরু কার্পেটের
নিচে।
কাজের দোষ? নাকি দোষ আমার
দেখার? চশমার কাঁচে এত পুরু ধুলো জমতে দিয়েছি যে আর দৃষ্টি চলছে না? সোজাকে বাঁকা
দেখছি, বাঁকাকে সোজা? জরুরিকে বাতুল বলে বোধ হচ্ছে, অপ্রয়োজনীয়কে আবশ্যিক?
অনেকদিন বাদে আমি আমার
ফিজিক্যাল এবং মেটাফরিক্যাল, দুটো চশমার কাঁচই ভালো করে মুছলাম। আর মোছামাত্র,
বিশ্বাস করবেন না, চারদিকটা ঝলমল করে উঠল। নেহরু প্লেসের আকাশ আলো করা বাতিগুলো,
আর আমার জীবনটাও। আমার দিন আনি দিন খাই, পাতিকাক জীবন। আমার কাজ, আমার অকাজ, আমার
ঘর, আমার বর, আমার বাড়ি, আমার অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ---সব।
অন্যদিন শুধু জ্যাম দেখি; অন্যদিন শুধু নেশাখোর ভিখিরি আর মদমত্ত মোটরবাইকের ভিড় চোখে হুল ফোটায়। সেদিন জ্যামের ওধারে আমার সুন্দর ছিমছাম পার্কওয়ালা পাড়াটা স্পষ্ট দেখতে পেলাম। ওখানে থাকার জন্য রোজ সন্ধ্যেয় না হয় একটু জ্যামে দাঁড়ালামই, না দাঁড়িয়েই বা কী রাজকার্যটা হত? অফিস থেকে বেরনোর মুহূর্তে নিজেকে পৃথিবীর সবথেকে ভাগ্যবান লোক মনে হয়, সেদিন মনে পড়ল, রোজ সকাল সাড়ে আটটায় বেরিয়ে একটা কোথাও যাওয়ার ছুতো পাওয়াটাও কতখানি ভাগ্যের ব্যাপার।
বাবার একটা কথাও শুনিনি ঠিক
করে, এইটা শুনব। এবার থেকে চশমা মুছে ঝকঝকে করে রাখব সর্বক্ষণ, যাতে সত্যিটা সবসময়
চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে।
বাঃ.. দারুণ লেখা।. খুব ভালো লাগলো।. অনেকটা আমার মনের কথা.. আমি আজকাল একটা নতুন কাজ করছি আর শক্ত মনে হয় যখন তখন ভুলে যাই কত ভাগ্যে এই সুযোগ হয়েছে। .. তাই আমিও চশমা মুছতে আরম্ভ করব... (আমার অবশ্য সব জিনিসেরই যত্ন খুব কম)..
ReplyDeletethank you
ইনিয়া
থ্যাঙ্ক ইউ ইনিয়া। চশমাটশমা মুছে রাখাই তো ভালো, তাই না?
Deletenijer kaj nia sobai khub unhappy ajker dine..lekhata bhalo hoyeche.
ReplyDeletebtw apnar ai lekhar onughotok ki? :)
এই তো আপনার সঙ্গেই সেদিন কথা হচ্ছিল। ইনস্পিরেশন যোগানোর জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
DeleteseshTa khub poetic.....darun laglo :)
ReplyDeleteধন্যবাদ অরিজিৎ।
DeleteKhub sudor lekha. Onekta identify korte parlam tai khuuuub valo laglo,
ReplyDeleteEI prosonge akta mojar kotha: Amar ak bondhu tar kajer bapare demotivated hoye ghoshona korechilo je tar life motivation er boroi ovab, tai se "motivational speaker" hote chay.
এটা সত্যি মজার। আমিও মাঝে মাঝে ভাবি, যাদের মোটিভেশনের অভাব তারাই মোটিভেশন স্পিকার হয় কি না। ভাবনাটা একেবারে অযৌক্তিক নয় দেখা যাচ্ছে।
DeleteDarun lekhata ! oshombhob bhalo hoyechhe !
ReplyDeleteআরে থ্যাঙ্ক ইউ, শ্রমণ।
Deletebhishon bhalo laglo kuntala di.. amar odrishyo choshma tao mochar somoy ese geche bujhte parchi..
ReplyDeleteমোছ মোছ স্বাগতা। চশমা একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলো।
Deleteআমি জেগে থাকলে একমাত্র চান করার সময় ছাড়া চশমা খুলিনা, তাই এদিক ওদিক ফেলে রাখার সম্ভাবনা থাকেনা। কিন্তু মোটামুটি অর্দ্ধেক দিন চশমা পরে ঘুমিয়ে পড়ি, তারপর ঘুমের ঘোরে কি করি তার ঠিক নেই, সকালে যখন উঠি তখন বিছানায় নড়তেও ভয় করে, এই বুঝি চশমাটা ভেঙ্গে গেল। সেটা কোনওদিন দেখা যায় দিব্যি ভাঁজ করে বালিশের পাশে রাখা, কোনওদিন আমার পিঠের নিচে ফুটছে, আর কোনওদিন আবার খাটের পাশে মেঝেতে হাতড়ালে পাওয়া যায়। আর কাঁচের কথা নাহয় নাই বললাম। মাঝে মাঝে ক্ষেপে গিয়ে সাবান জল দিয়ে ধুয়ে ঝকঝকে করে মুছি। কিছুক্ষণ মনে হয় পৃথিবীটা এই ধোপার বাড়ি থেকে কেচে এল| তারপর আবার যে কে সেই|
ReplyDeleteকাজের ব্যাপারে যেটা বললেন সেটাও আমার হয়েছে। খুবই দুঃখের ব্যাপার, কিন্তু আমার ধারণা এটা সবাইকারই হয়। তারপর চশমা, ল্যাপটপের স্ক্রীন, সবই মুছে মুছে কাজ চালাতে হয় আর কি।
সব চশমাওয়ালারই এক দশা। আপনার চশমা সবসময় পরিষ্কার থাকুক সেই কামনা করি।
Delete'মন দিয়ে কাজ করব আমি।..' ei kothata roji bhabi ar roji seta onyorakom hoe jai. :-) .
ReplyDeleteDarun lekha.
এক্স্যাক্টলি। কেন হয় বলুন তো ইচ্ছাডানা। এত বিরক্ত লাগে নিজের ওপর।
DeleteTobe choshma mochha kintu khub kothin bapar!! Ei je ami kal saradin dhore nijeke 1ta sanghatik pep talk dilam!! Somoymoto khabo, somoymoto ghumobo, ghumanor age obdi laptop niye bose theke chokher ar ghumer baro ta bajabo na, somoy moto ghum theke uthbo ar most importantly somoy moto office e ese taratari kaj shuru korbo!! Ar dekho office e asar por kaj na kore obantor porchhi r comment korchhi!!
ReplyDelete-Aparajita
কঠিন বলে কঠিন অপরাজিতা? তবে অবান্তর পড়ার ব্যাপারটায় আমি বারণ চাপাতে চাই না, তাতে আমার স্বার্থ যারপরনাই ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমি চাই তুমি অবান্তর পড়, অবান্তরে কমেন্ট কর এবং নিজের চশমা ঝেড়েমুছে তকতকে করে রাখো।
Deletebhalo laglo pore ..amaro ekkhuni choshma mocha darkar :)
ReplyDeleteসবারই সময় হয়েছে তিন্নি।
DeleteAsadharon post. majhe majhe erom koyekta post er je ki dorkar hoye pore ki bolbo. amar o chosma mochar somoy hoyeche mone hoche...:)
ReplyDeleteথ্যাঙ্ক ইউ রাখী। দেখতেই পাচ্ছ তুমি একা নও।
Deleteচশমা ঝেড়ে মুছে রা্খার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল তাতে সামনেটা পরিষ্কার দেখতে সহজ হয়। কিন্তু যতই ঝাড়ো মোছো, ধূসর হয়ে যাওয়া কালকের পাতাগুলি, যেগুলি কত মুখের হাসিতে উজ্জ্বল বা কত চোখের জলে সিক্ত হতে হতে জমা হয়ে আছে পিছনের রাজপথে, সেগুলিকে পরিষ্কার দেখা যাবে কি? তা কি বাঞ্ছনীয়ও বটে?
ReplyDeleteআরেকটা লাইন যোগ করতে চাই। দেখতে যদি না পাই তো তা কি বাদই দিয়ে দেব জীবন থেকে?
ReplyDeleteBha!
Deleteএই রে, ভীষণ শক্ত প্রশ্ন। উত্তর আমার জানা নেই, মালবিকা।
Deleteবদবুদ্ধি দিতে আমার জুড়ি নেই, তাই জিজ্ঞেস করি, যে কনট্যাক্ট লেন্স পরা যায় না? বা আরও একধাপ এগিয়ে লাসিক সার্জারি? এই জিনিসগুলো নাকি আজকাল খুব হিপ অ্যান্ড হ্যাপেনিং?
ReplyDeleteআর যদি মেটাফরিক্যালি বলেন, তাহলে ধুসর স্মৃতি পরিষ্কার করার একটা খুব সহজ উপায় হল কনট্যাক্ট (লেন্স নয় কিন্তু)।
ল্যাসিক করতে আমার ভয় লাগে, যদি গোলমাল হয় তাহলেই গেছি (যদিও সবাই বলেন গোলমাল নাকি হয় না)...আর কন্ট্যাকট লেন্সে আমার রুচি নেই। মাঝে মাঝেই ঝোঁক চাপে আর বানাই, বিয়ের সময়ই এক সেট বানানো হয়েছিল, কিন্তু কিছুদিন পর আমার আর ধৈর্য থাকে না। পরতে ঝামেলা, খুলতে ঝামেলা, পরে ঘুমনো যাবে না হ্যানা যাবে না ত্যানা যাবে না, ঝামেলার আর শেষ নেই। চশমার থেকে সোজা আর কিছুই না, বুঝলেন দেবাশিস। আর সত্যি বলছি, চশমা আমার গত সাতাশ বছরের সঙ্গী, নিজেকে চশমা ছাড়া এখন অসম্পূর্ণ লাগে।
Deleteআর ধূসর স্মৃতি? পরিষ্কার? কোন দুঃখে? স্মৃতি ব্যাপারটাই চুকে গেলে আমি কালীঘাটে পুজো দেব বরং। স্মৃতি দুচক্ষে দেখতে পারি না বলে কন্ট্যাক্ট রাখাতেও বিশ্বাস করি না। আমার বাসনা শুধু বাস্তবটা ঠিক করে, নৈর্ব্যক্তিক ভাবে দেখা। ব্যস।
Opurbo.jhokjhoke
ReplyDeleteথ্যাঙ্ক ইউ Tinker Bells.
Delete