শপথ #৫- মনের কথা মুখ ফুটে
বিকেলটা আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে। সাড়ে চারটে নাগাদ
উত্তরপাড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি। পরনে খয়েরি টিউনিক, লাল ফিতে, কালো স্কুল-শু;
কাঁধে খয়েরি রঙের ব্যাগ আর বৃহদাকৃতি একখানা মিল্টন কোম্পানির লালরঙের ওয়াটার বটল।
সঙ্গে বড় কেউ নেই, কাজেই বোঝা যাচ্ছে বাবা মা আমাকে একা একা স্কুলে যাতায়াতের
লায়েক মনে করেছেন।
অর্থাৎ কিনা আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি।
বড় কেউ নেই বলাটা অবশ্য ঠিক হল না। আমার সঙ্গে বড় কেউ
নেই বটে কিন্তু আমাদের স্কুলের অনেক মেয়েই দূরের স্টেশন থেকে আসে; মা বা অন্য কেউ
তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন নিয়ে যান। কাজেই একা পড়ার ব্যাপারই নেই।
সেদিন আমার সঙ্গী ছিল সুচরিতা আর সুচরিতার মা।
সুচরিতা আমার থেকে এক ক্লাস নিচে পড়ে। বড় বড় চোখ, তেল চুকচুকে চুলে টেনে দুটো
বিনুনি করা, দারুণ জোরে দৌড়য় আর চোখমুখ নেড়ে কবিতা আবৃত্তি করে। সুচরিতার মায়ের
চেহারাতেও বিশেষত্ব কিছু নেই; ওই মায়েদের যেমন হয়, সেরকমই। তবে মাথার চুল ভয়ানক
কোঁকড়া।
যারা একা একা যাতায়াত করত আর যাঁদের মা সঙ্গে নিয়ে
যাতায়াত করতেন তাদের অভিজ্ঞতার মধ্যে একটাই বড় ফারাক ছিল। দু’দলই টিফিন পিরিয়ডে খেলার চোটে টিফিন খাওয়ার সময় পেত
না। কিন্তু আমরা একাবোকারা বাড়ি যাওয়ার পথে ডাস্টবিনে বা বাড়ি ফিরে পেছনের জঙ্গলে
সে টিফিনের সদ্গতি করার একটা সুযোগ পেতাম, মা-ওয়ালারা সেটা পেত না। মায়েরা হালকা
চাঁটি সহযোগে তাদের সে টিফিন খাওয়াতে খাওয়াতে বাড়ি নিয়ে যেতেন।
সুচরিতার মা-ও সেদিন সুচরিতাকে বকেঝকে টিফিন
খাওয়াচ্ছিলেন, আমি স্বাধীনতার চরম অপব্যবহার করে বড়দের মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে ঝুঁকে
ট্রেন আসছে কিনা দেখছিলাম, এমন সময় কাকিমা ডাক দিলেন।
“এই কুন্তলা, ভেতরে ঢুকে দাঁড়া। ট্রেন এলে আপনিই টের
পাওয়া যাবে, অত উঁকিঝুঁকি মারতে হবে না।”
বলে তিনি আমাকে ভেতরে ঢুকে দাঁড়ানোর ইনসেনটিভ হিসেবেই
বোধহয়, মেয়ের টিফিনবক্স থেকে একটা কী যেন বার করে আমার হাতে দিয়ে বললেন, “এটা খা।”
জিনিসটা হাতে নিয়ে দেখি, সেটা আমার দশ বছরের হাতের
পাঞ্জা প্রায় ঢেকে ফেলা একটা বিরাট সন্দেশ। আমের ছাঁচে বানানো। তার পরেও যদি কারও
সন্দেহ না যায় সে জন্যই বোধহয় সন্দেশের গায়ে ফ্লুরোসেন্ট সবুজ রং করা।
আমি মিনমিন করে “না না কাকিমা” বলার পর কাকিমা চোখ
পাকিয়ে এমন একটা ভঙ্গি করলেন যে আমাকে আমটায়, থুড়ি, সন্দেশটায় কামড় বসাতেই হল।
এখন, আমার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে যদি আপনি মাত্র একটি
জিনিস জানতে চান তবে সেটা হল, আমার ঘণ্ট পোষায় না। ঘণ্ট বলতে আমি পাঁচমেশালি
তরকারি বা শুক্তোর কথা বলছি না, সেগুলো আমার খুব বেশি বেশিই পোষায়, আমি বলছি
ফ্লেভারের ঘ্যাঁটের কথা। রাস্পবেরি ফ্লেভারড চা কিংবা লেমনগ্রাস ফ্লেভারড কফি,
খাওয়া তো দূরের কথা, নাম শুনলেও আমার গা জ্বলে যায়। আইসক্রিমেও আমার পছন্দ
ভ্যানিলা, বাটারস্কচ বা বড় জোর চকোলেট ফ্লেভার।
আমার সম্পর্কে আরও একটা জানার ব্যাপার হচ্ছে,
ভালোলাগার জিনিস চিহ্নিত করতে---তা সে ব্লগ টেমপ্লেট থেকে শুরু করে বয়ফ্রেন্ড---আমার
কালঘাম ছুটে যায় বটে কিন্তু আমার খারাপ-লাগাগুলো নিয়ে আমি নিঃসংশয় থাকি। জীবনে
আধখানা কুল মুখে না দিয়েও আমি জানি যে কুল ব্যাপারটা আমার খেতে খুব খারাপ লাগবে, Q-র সিনেমার ত্রিসীমানায় না গিয়েও আমি জানি যে ও জিনিস আমার সহ্য হবে না।
কাজেই আমসন্দেশে কামড় বসানোর আগে ব্যাপারটার
প্রাণঘাতিতা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহই ছিল না। তবু আমি পুরো সন্দেশটা প্ল্যাটফর্মে
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেয়েছিলাম মনে আছে। খেতে গিয়ে কড়া নকল গন্ধে দমবন্ধ হয়ে আসছিল,
নাড়িভুঁড়ি উল্টে বমি পেয়ে যাচ্ছিল, চোখ ফেটে কান্না এসে যাচ্ছিল---তবু আমি
সন্দেশটা দশমিনিট ধরে, খুঁটে খুঁটে শেষ করেছিলাম।
নাটকীয় মনে হতে পারে, কিন্তু ওই দশ মিনিটের
গর্ভযন্ত্রণা মনে পড়লে এখনও আমি শিউরে উঠি।
মা’কে বাড়িতে এসে কাঁদোকাঁদো মুখে ঘটনাটা বলতে মা চোখ
কপালে তুলে বললেন, “বলবি তো, কাকিমা, আমি সন্দেশটা খাবনা। কাকিমা তো আর অন্তর্যামী
নন যে তোমার পছন্দ-অপছন্দ জানবেন। খামোকা এত কষ্ট পাওয়ার কোনও মানে আছে, আহারে।”
সেই দশ বছরের কুন্তলা এই আর তিনদিন পর বত্রিশ বছরেরটি
হবে, কিন্তু নিজের পছন্দ অপছন্দ জোর গলায় বলার সৎসাহস সে এখনও অর্জন করে উঠতে
পারেনি।
আমি কিন্তু এখানে নিজেকে ভিকটিম হিসেবে প্রতিষ্ঠা
করতে চাইছি না। ইন ফ্যাক্ট আমার এই বদস্বভাবটির ভিকটিম যদি কেউ হয়ে থাকেন তবে
তাঁরা আমার নিকটজন। মা, বাবা, বন্ধুবান্ধব, বান্টি। ধরা যাক তাঁদের কোনও একটা কথা
বা কাজ বা আচরণ আমার খারাপ লাগল। সে লাগতেই পারে, আমাকেও যে তাঁদের একশো শতাংশ
ভালো লাগে এমন তো নয়। সে রকম লাগলেই বরং চিন্তার কথা। কিন্তু তাঁরা আমার থেকে অনেক
বেশি সহজ সরল। সোজা কথায় নিজের চাহিদা বা অপছন্দের কথাটা বলতে পারেন। “সোনা দিনে
মনে করে দু’বার ফোন করবে/ কুন্তলাদি অবান্তরে খবরদার আমার ছবি ছাপবে না” ইত্যাদি।
আমি এত খোলামেলা নই। আমি ভাবি নিজের চাওয়ার কথাটা
খোলসা করে না বলাটাই বোধহয় ভদ্রতা; পোলাইটনেসের পরাকাষ্ঠা। তাই আমি চেপেচুপে থাকি।
বুক ফাটে তবু মুখে কিছুতেই বলি না যে, “মা এত কথা তো সত্যিই আমার তোমার সঙ্গে কিছু
বলার নেই” কিংবা “চা খেয়ে যে যার নিজের কাপ সিংকে নামিয়ে রেখে আসবে, ওটা আমার একার
কাজ নয়।”
কিন্তু চেপে থাকা মানেই তো ভুলে থাকা নয়। নিয়মরক্ষা
ফোন করতে করতে, চায়ের কাপ কুড়োতে কুড়োতে বুকের ভেতর রাগ জমতে থাকে। জমতে জমতে ক্রমে
রাগের ভিসুভিয়াস তৈরি হয়। তারপর একদিন, কোনও একটা সামান্য কথায়, একটা তুচ্ছ ইঙ্গিতে
সে ভিসুভিয়াস ফেটে পড়ে। লাভার মতো ভসভসিয়ে রাগ, দুঃখ, কান্না বেরোতে থাকে। আর তার
সঙ্গে তুবড়ির মতো অভিযোগ। যা সত্যি, যা ন্যায্য তা তো বেরোয়ই, রাগের চোটে খানিক
বানিয়ে বানিয়েও শুনিয়ে দিই।
সামনের লোকটা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে। ফোনের ওপারে মায়ের
স্তম্ভিত মুখটা আমি স্পষ্ট কল্পনা করতে পারি।
“হঠাৎ এত রাগ কীসে হল সোনা?”
হঠাৎ যে নয় সে কথা কে কাকে বোঝাবে। তবু নাক টানতে
টানতে, চোখ মুছতে মুছতে বোঝাতেই হয়। তখন নিজের কাছে নিজেকেই এমন হাস্যকর লাগে যে কী
বলব।
সবথেকে খারাপ যেটা হয়, রাগের অবশ্যম্ভাবী পরে আসে
অপরাধবোধ। ইস কেন খারাপ ব্যবহার করলাম। কেন খারাপ কথা বললাম। প্রায়শ্চিত্ত করতে
তখন আবার আমাকেই এক্সট্রা এক্সট্রা ফোন করতে হয়, ঝাঁপিয়ে পড়ে “না না আমি তুলছি”
বলে সবার কাপ প্লেট কুড়োতে হয়। আর মনে মনে মাথা চুলকোতে হয়, এত চেঁচামেচি করে
লাভটা কী হল?
কাজেই আমি ঠিক করেছি, এবার থেকে মনের কথা খুলে বলব। কোন
জিনিসটা আমার ভালো লাগছে, কোনটা ভালো লাগছে না, সেটা সময় থাকতে থাকতে ঠাণ্ডা মাথায়
প্রকাশ করব। তার মানে কী আর সব সত্যি কথা সবাইকে বলব? মোটেই না। বাড়ি গেলে ক-মেসো
যখন কবিতার খাতা খুলে একের পর এক কবিতা শোনাবেন, তখন কি বলব যে “যথেষ্ট হয়েছে,
এবার ছাড়ান দিন” না কি পটলাক পার্টিতে গিয়ে স্টার রাঁধুনির বিরিয়ানি চেখে বলব, “এতখানি
ঘি আর অতগুলো কাজুবাদাম দিলে এ রকম বিরিয়ানি ক্লাস ফাইভের শিশুও রাঁধতে পারে।”
মনের কথা খুলে বলব বলেছি, লোকসমাজে নিজেকে পাগল
প্রতিপন্ন করব তো বলিনি।
এটাই আমার ২০১৩-র পাঁচ নম্বর শপথ। দেখা যাক পারি কি
না।
আহ্, শেষরাত্তিরে শুতে যাওয়ার আগে এই পোষ্ট। তোমার এই 'শপথ' সিরিজটা কিন্তু একটা এপিক হতে চলেছে দি। কি অনায়াসে যে তুমি ১০ থেকে ৩২ এ এনে ফেল্লে। মনের কথাখানা মনেই রেখে দিয়ে কত আফসোস (আপোস) যে করে চলেছি, তা কি এই মন জানে? জানলে, দু-একটা মনের কথা বাইরে আনার আফটার এফেক্টে মনখারাপ হওয়ার কথা না। Q এর ব্যাপারটায় হাই-হায়ার-হায়েস্ট ফাইভ। জন্মদিনের আগাম অভিনন্দন রইল। বত্রিশ উদযাপনের সাড়ে বত্রিশ ভাজার মধ্যে কুল না হয় নাই রাখলে, তা বলে কুল-কূলের এরকম বদনাম কোরোনিকো। আমার বাড়ির বয়াম বয়াম কুলাচার (আই মিন কুলের আচার) গুলো তাহলে মনে ভারী দুঃখ পাবে।
ReplyDeleteহাহাহা আবির, দারুণ মন্তব্য। খুব মজা লাগল পড়ে। কুলের আচার না খাওয়ার ক্ষতিটা নাকি শুধু আমারই, কুলের নয়। কী আর করা যাবে।
DeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeletetomar lekha chati sohojoge tiffin khaoa ta pore haste haste amar pet batha hoye gache...ar biswas koro tomar oi rag jomanor bapar ta ar tar porer ghotonagulo hubohu amar sathe mile gelo....nijeke change korar chesta koreo parchina.
Deleteআরে ধুর, অত চেঞ্জ করতে হবে না, যেমন আছ তেমনটি থাকো কুহেলি। আমিও বলছি চেঞ্জ করব, পারব থোড়াই?
Deleteএই বদভ্যেসটা আমারও ছিল, যার ফলে নানান্ সমস্যায় ভুগেছি, চেপে রেখে রেখে। বদলানোর চেষ্টা কর্; আমি নিজেও আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, করে চলেছি প্রতিনিয়ত।
ReplyDeleteগ্রেট মাইন্ডস গ্রেট মাইন্ডস...
Deletethik bolecho, oi amm-sondesh, vanilla-sondesh egulo amaro akkere poshay na. tobe ei shopoth ta kore felle bote, kin2 palon kora hebby shokto hobe. ki kore jeno amader mojjay mojjay dhuke giyeche ei tothakothito "bhodrota" ta, mukh fute bole felle lyatha chuke jaay jeneo bola hoye othe na.
ReplyDeleteমিল মিল স্বাগতা। আমিও ও সব সন্দেশের মানে বুঝিনা। খেতে হয় রসগোল্লা, পান্তুয়া, জলভরা খেলেই হয়। যত্তসব। ল্যাঠার ব্যাপারটাও ঠিক বলেছ। ওটা চোকাতে যে আমাদের কী অনীহা, কেন কে জানে। জঘন্য।
DeleteAmar ei bod-obhyesh ta nei. Amar shotru teo bolbe na je ami sposhto kore katha boli na. Kintu Arnab er eta ache. Oi je Bangali'r chronic rog holo chokkhulojja! Amra Kolkata jachhi shune ekjon amader bollo tar dada'r jonye camera niye jete. Amader seta korar kono proshnoi othe na. Ami porishkar take janiye dilam je on principle amra karur jinish niye jayi na. Politely-i bolechi. Arnab eta life eo bolte parto na kauke!! Lok ta amay khubi shoytan bhablo, seta ami jani. Kintu etao thik je ami ja bojhate cheyechi, o seta bujhlo. In future or samne deto hashi heshe pechone "ki shoytan lok re baba" eta bolte hobe na. Okeo na, amakeo na.
ReplyDeleteAmader office e khub senior (mane senior VP, VP) type lokera eshechilo ekbar amader moner katha jante, kemon kaj cholche, ki bhalo ki baje, etc. Amader group tay ekmatro ami porishkar janiyechi bhalo-mondo. Baki sob "ei re jodi baje bhabe" bhebe chup kore boshe chilo :P
Tai tomay ami ashirbad korchi..."lore jao...(baki ta mone ache to?)"
আশীর্বাদ কর রিয়া, যেন এই গুণটা তোমার থেকে ছিটেফোঁটা পেতে পারি।
DeleteAmi khub khub chena loker(nikot bondhu, family) sathe tomar ulto. Cup shudhu sink e namano to tucchcho parle tader diye vaccum, cleanup koriye tobe chari. Ekta time e amar bhoy e eishob lok jon sada sofay pa tule boste parto na.
ReplyDeleteTobe hyaan ochena lok ba jader olpo chini tader samne amar bhodrota dekhar moton. Tobe seita regret o korina. After all amar je ekta bhalo dik ache, seitao to kauke dekhate hobe naki ?
হাহা বং মম, সে তো বটেই। বিশেষ করে অন্যরা যখন আমাদের ভালো দিকগুলোর অ্যাডভার্টাইসমেন্ট করছে না তখন আমাদেরই তো দায়িত্ব নিয়ে সেটা করতে হবে নাকি?
DeleteI hear you...amar o ei bod abhyash ta achey, tai orokom anek "sandesh" khete hoyechey jibone.
ReplyDeleteBut "no parwa"....aami aar seta change-tange korchi na...
borong aajkal anya bhabe vesuvius ke uriye di...like
http://www.youtube.com/watch?v=3d8LZB_4MQ8 :))))
আহা আমার বড় প্রিয় রাগ শোনালে গো শম্পা। বেঁচে থাকো।
Deletekhub bhalo laglo porte. aosmbhob mil je, tobe e swabhab to sudhrabar noi, onek sapoth tapoth nileo noi, boyese tomar cheye boro kina tai nijer kotha bhebei eta bollam. :-) .
ReplyDeleteOnek agam-subhechha tomar janmodiner jonye.
শপথের গোলমালটাই তো সেটা ইচ্ছাডানা। নেওয়া যতটা সহজ, পূরণ করা ততটাই শক্ত। আমি নিয়ে রাখছি, পরের কথা পরে দেখা যাবে।
Deleteজন্মদিনের অভিনন্দনের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ghanto byaparta akdam mile gache...from flavored food to film!
ReplyDeletetabe ei shapath ta sabcheye kathin kintu...
এই মিলটাও খুব বিরল। আরে শক্ত চ্যালেঞ্জেই তো মজা বেশি সায়ক।
Delete"কোন জিনিসটা আমার ভালো লাগছে, কোনটা ভালো লাগছে না, সেটা সময় থাকতে থাকতে ঠাণ্ডা মাথায় প্রকাশ করব।"... এই বাক্যে "ঠাণ্ডা মাথায়" শব্দ দু'টোয় আমার পূর্ণ সমর্থন। মনের কথা খুলে বলতে আমার কখনোই অসুবিধে হয় না। হয় যেটা, সেটা হলো, বিরক্তি চেপে মিষ্টি করে বলতে। সেটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এখনো বিশেষ সুবিধে করে উঠতে পারিনি। :(
ReplyDeleteহবে হবে সুনন্দ, হবে। হাল ছেড়ো না।
Delete