অতিথি



শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা একটা অপ্রত্যাশিত ফোন এসে উইকেন্ডের ভেবে রাখা রুটিনটার একেবারে সত্যনাশ করে দিয়ে গেল। একদল লোক ক বিন্দু থেকে খ বিন্দুতে যাচ্ছেন, যেতে গিয়ে পথের মাঝে গ বিন্দু পড়েছে, আর দেখবি তো দেখ গ বিন্দুতেই আমার বাড়ি। কাজেই তাঁরা স্থির করেছেন আমার বাড়িতে একটু থেমে, জিরিয়ে, হাত পায়ের খিল ছাড়িয়ে নেবেন। জিরোনোও হবে, আর কল্যাণদা-অর্চনাদির মেয়ের সঙ্গে দেখাটাও হয়ে যাবে।

উফ সেই কতটুকু দেখেছিলাম মনে আছে? এই মোটা একখানা চশমা পরে মায়ের হাত ধরে অফিসে এসেছিল? আর এই বয়সে চোখে এত পাওয়ার হল কী করে জানতে চাওয়ায় গম্ভীর মুখে বলেছিল, সে তো হবেই, আমাদের ফ্যামিলির সবারই চশমার পাওয়ার হাই তো।

তাঁরা আমাকে দেখার জন্য যতটা উত্তেজিত ছিলেন, স্বীকার করতেই হবে আমি ততটা ছিলাম না। ইন ফ্যাক্ট একটুও ছিলাম না। মনে হয়েছিল যাব্বাবা, বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ এ কী বিপদ ঘাড়ে এসে পড়ল রে বাবা

আমার দোষ নেই। এক তো স্নেহ নিম্নগামী। ওঁরা আমাকে দেখে স্মৃতির জাবর কাটবেন; আমি কত বড় হয়ে গেছি আর ওঁরা কত বুড়ো হয়ে গেছেন সেই ভেবে অভিভূত হয়ে পড়বেন; আমার তো এ সবের কিছুই হবে না।  দু’নম্বর এবং প্রধান কারণটা হচ্ছে ইদানীং আমি যে অফিস, ফিউচার, বাড়ি, লাইফটাইফ নিয়ে কী পরিমাণ ল্যাজেগোবরে হয়ে আছি সেটা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। সবের ওপর বিষফোঁড়ার মতো আছে এসব অকাজের জিনিস জাগ্‌ল্‌ করতে করতে অবান্তরকে ঠিক মতো অ্যাটেনশন না দিতে পারার অপরাধবোধ।

এসবের মধ্যে অতিথিসৎকার কার ভালো লাগে বলুন তো? ব্যাজার মুখে ফোনটা রেখে চারপাশটার দিকে তাকিয়ে আমার প্রায় কান্না পেয়ে গেল।

এই বিধ্বস্ত, অবিন্যস্ত বাড়িতে কি অতিথিসৎকার করা যায়? তা সে তিনি আহূতই হন বা অনাহূত? তা সে তিনি তিনদিনের জন্যই আসুন বা তিনঘণ্টার জন্য?

হতাশার চোটে আমি ফাঁকা ঘরের বাতাসকেই জোরে জোরে জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম, “যায়? যায়? যায়?”

আমার বাবা সামনে থাকলে বলতেন, “অফ কোর্স। কেন যাবে না?!” আর মা থাকলে বলতেন, “যায় না, যায় না, মরে গেলেও যায় না।” মা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন এই চেহারার বাড়িতে, অতিথি-আপ্যায়ন তো দূরের কথা, আমার নিজেরই থাকা উচিত নয়।

আমার মা আর বাবা আসলে অতিথিসৎকারের দু’রকম নীতিতে বিশ্বাস করেন। বাবার বক্তব্য হচ্ছে অতিথির জন্য ঘর গোছানো/সাজানোর মধ্যে একটা বেসিক ডিসঅনেস্টি আছে। তুমি বাইরের লোককে নিজের এমন একটা চেহারা দেখাতে চাইছ যেটা আসলে তুমি নও। দরজা জানালায় রঙচটা জ্যালজেলে পর্দায় তোমার দিব্যি চলে যায়---ইন ফ্যাক্ট যখন কেউ তাকাচ্ছে না তখন ও রকম পর্দাতেই টুক করে হাত মুখ মুছে নিতে সুবিধা---কিন্তু তুমি ভাব দেখাচ্ছ যেন স্বপ্নের মতো উড়ুউড়ু ফুলছাপ হালকা নীল পর্দা না হলে তোমার চলে না। বেডকভার কিংবা টেবিলক্লথও বদলানোর ব্যাপারটাও একই রকমের ধাপ্পাবাজিতাছাড়া বাড়ির সবকটা গামছা পরিপাটি ভাঁজ করে আলনার কোণে, হোস্টের বাড়িতে কেন, কোনও গেস্টের বাড়িতেও রাখা থাকে না।

দ্যাট’স জাস্ট রিডিকুলাস। 

মা এসবে কান দেন না। বলেন, বাড়িতে অতিথি এলে ঘরদোর গোছানোটা যত না নিজের ইমেজ বাঁচানোর জন্য তার থেকে অনেক বেশি অতিথির প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য। তাঁর আসাটাকে যে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছি, সেটা বোঝানোর জন্যই নাকি জানালার পর্দা বদলাতে হয়, বিছানার চাদর টানটান করতে হয়, তুলে রাখা কাপ প্লেট নামিয়ে চা করে খাওয়াতে হয়।

“আপনি তো একরকম আমাদের ঘরের লোকই হলেন বস্‌” বলে পিঠ চাপড়ে চলটা-ওঠা হাতল-ভাঙা চায়ের কাপ ধরিয়ে দেওয়া চলে না।

মা অবশ্য শুধু বাড়ি সাজিয়েই ক্ষান্ত হন না। দাবি করেন বাড়ির লোকজনকেও সাজতে হবে। সাজা মানে মুখ ধুয়ে চুল আঁচড়ে ভালো জামা পরে মুখে হাসি মেখে সামনের ঘরে অতিথির সামনে বসা। সারা বাড়ির অদৃশ্য ঝুল ঝেড়ে, চাদর পর্দা পালটে, কষা মাংস আর আলু ফুলকপির শুকনো ঝাল ঝাল তরকারি রেঁধে, লুচির ময়দা রেডি করে, গা ধুয়ে, চুল আঁচড়ে, পাটভাঙা তাঁতের শাড়ি পড়ে সুন্দরী সেজে তারপর মা আমাকে নিয়ে পড়তেন। ঘষেঘষে মুখের কালিঝুলি তুলতেন, গাল টিপে ধরে পরিপাটি করে চুল আঁচড়ে দিতেন। তারপর পুজোয় পাওয়া একটা ভালো দেখে জামা গায়ে চড়িয়ে বারান্দার চেয়ারে পাহারায় বসিয়ে দিতেনযাতে অতিথিদের আপ্যায়ন শুরু হতে এক মুহূর্ত দেরি না হয়।

আমি অবশ্য সে কাজটাও খুব খারাপ করে করতাম। অতিথির দল মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে হাসিমুখে টলমল করতে করতে রিকশা থেকে নামছেন দেখলেই, “আসুন বসুন, কী খাবেন বলুন” জিজ্ঞাসা না করে,  প্রাণপণ দৌড়ে রান্নাঘরে হাজির হতাম। যেখানে মা লাস্ট মোমেন্টের প্রিপারেশনে ব্যস্ত। শরবতে লেবু চিপছেন কিংবা প্লেটে সন্দেশ সাজাচ্ছেন।

“মা, মা, এসে গেছে!” উত্তেজনায় আমার কথাগুলো প্রায় ফিসফিসানির মতো শোনাত।

“অ্যাঁ! এসে গেছে তো তুই এখানে কী করছিস? দরজা খুলে দিসনি নাকি! ছি ছি সোনা, এ আবার কী অভদ্রতা! চল্‌ চল্‌ দেখি...আরে আসুন আসুন এস এস, ও মা এত বড় হয়ে গেছে নাকি...আহা থাক থাক, বেঁচে থাকো...বসুন বসুন...রাস্তায় খুব কষ্ট হল? ফ্যানটা একটু চালিয়ে দিই?...”

ফোনটা পাওয়ার পর থেকে এই সব চিন্তা ঘুরে ঘুরে আমার মাথায় আসতে থাকল। আমি শুয়ে শুয়ে সিলিঙের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম অতিথিসৎকারের কোন স্টাইলটা আমার পক্ষে নেওয়া সহজ হবে। বাবার না মায়ের। মায়ের স্টাইলের অসুবিধা অনেক; বাবার স্টাইলের সুবিধা ততোধিক মায়ের স্টাইলে অতিথিসৎকার করলে আর এক সেকেন্ডও নষ্ট না করে কাজে নামতে হবে; বাবার স্টাইল বাছলে এখনও অনেকক্ষণ বিছানায় শুয়ে শুয়ে চোখ বুজে নিজেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করা যাবে। মায়ের স্টাইলে আপ্যায়ন করলে অতিথিরা মুগ্ধ হবেন, অন্তত মুগ্ধ হওয়ার ভান করবেন, “আরে এতসব করার কোনও দরকারই ছিল না তো, তোমার সঙ্গে কি আমাদের ফর্ম্যালিটির সম্পর্ক, অ্যাঁ?”; বাবার স্টাইলে আপ্যায়ন করলে অতিথিদের মনের ভাব বোঝা যাবে না। হয়ত তাঁরা আমার অনেস্টি দেখে মোহিত হবেন। কিংবা টা টা করে বেরোনোর পর, বেশ খানিকটা পথ চুপ করে থাকার পর অবশেষে একজন আকাশের দিকে তাকিয়ে সঙ্গীকে উদ্দেশ্য করে বলবেন,

“ভালোই, তবে অর্চনাদির নখের যুগ্যি নয়।”

ছাদের সমান লাফ দিয়ে আমি বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লাম। হাতে পায়ে যেন শতহস্তীর বল এল। মনখারাপ-টারাপ পগার পার হয়ে গেল। কানে হিপ-হপ গান গুঁজে এক হাতে ঝাড়ুনি অন্য হাতে মুছুনি নিয়ে আমি সেই যে যুদ্ধে নামলাম, মোটামুটি বাড়িটাকে একটা ভদ্রস্থ জায়গায় না এনে থামলাম না। কিছু কিছু গোলমাল হল অবশ্য---টিভির সামনেটা যত পরিষ্কার হল পেছনটা তত হল না, চোখ যখন অন্য দিকে তাকিয়ে ছিল তখন পা কায়দা করে খানিক ধুলোময়লা লাথি মেরে খাটের নিচে আর ফ্রিজের তলায় চালান করে দিল---এইসব গোলমাল

বেসিক্যালি মায়ের মতো হল না আরকি। সে হওয়ার দরকারও নেই, সম্ভবও নয়। মায়ের মেয়ের মতো হলেই যথেষ্ট।

যথাসময়ে অতিথিরা এসে পড়লেন। শুরু থেকেই জিনিসপত্র আমার ধারণার অন্যরকম ঘটতে থাকল। আমি ভেবেছিলাম কী জানি কেমন হবে সব অচেনা লোকজন, ভয়ানক অকওয়ার্ড হবে নির্ঘাত---দেখি অচেনা মোটেই নন, দিব্যি আমার বাবা মায়ের মতোই। হাত পা নেড়ে প্রাণ খুলে কথা বলে, তিনটে কথা বলার মধ্যে একটা কথা সন্তানকে নিয়ে বলে, আর খালি খালি বলে, "এত রোগা হলে চলবে? সকালে উঠে ছোলা ভেজানো খাওয়া ধরো শিগগিরি, বাঁচতে যদি চাও।"

গল্পগাছার মধ্যে হুশ করে সারাদিনটা কেটে গেল। সমাজ সংসার, জিনিসপত্রের দাম, সিনেমা থিয়েটার, বাংলা সাহিত্য---কী ছিল, আর কী হয়েছে; দিদি রেলমন্ত্রী হয়ে সিনিয়র সিটিজেনদের টিকিটের দাম কত কম করে দিয়েছেন...সেইসব নিয়ে জল্পনা করতে করতে সত্যি সত্যিই সময় কোথা দিয়ে চলে গেল টের পেলাম না।   

হঠাৎ একসময় দেখলাম দরজা ধরে আমি দাঁড়িয়ে আছি, কাকু নিচু হয়ে জুতোর ফিতে বাঁধছেন আর কাকিমা আমার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলছেন, “কলকাতা গেলে অবশ্য করে ফোন করবে কিন্তু, ভুলবে না।”

আমি বাধ্য মেয়ের মতো ঘাড় নাড়লাম। নিশ্চয় করব কাকিমা। আমার নিজেরই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছে করবে তো। মনটা কেন ভারি হয়ে আসছিল বুঝলাম না। মনে হচ্ছিল আরেকটু থাকলেই হত তো। বোকা বোকা শুনতে লাগবে বলে সেটা আর মুখ ফুটে বললাম না।

আমার প্রতিক্রিয়া আমার নিজের কাছেই দুর্বোধ্য ঠেকছিল। এ রকম তো হওয়ার কথা নয়। আমার তো এখন মনে মনে উদ্‌বাহু হয়ে ভাংরা নাচার কথা, আর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দরজার তালা ঘুরিয়ে দৌড়ে গিয়ে ল্যাপটপের ওপর প্রাণ পাত করা যাবে। 

মি টাইম!!!!

কনফিউসড মুখ নিয়ে টা টা করছি; “আসি?” বলে কাকু মুখ ফিরিয়ে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছেন, এমন সময় হঠাৎ কাকিমা আর্তনাদ করে উঠলেন।

“দেখেছ! আরেকটু হলেই ভুলে যাচ্ছিলাম। কী গো তুমি? সব কী আমাকেই মনে করে রাখতে হবে? আশ্চর্য!”

কাকিমা খচমচ করে ব্যাগ হাতড়াচ্ছেন। নির্ঘাত বাড়ির চাবি বা মোবাইল ফোন ফেলে যাচ্ছিলেন। আমি বাড়ির ভেতর পরীক্ষা করতে যেতে উদ্যত হতেই কাকিমার স্বস্তিমাখা স্বর কানে এল। 

“পেয়েছি! ভাগ্যিস। দেখেছিস, ব্যাগে করে এনে আবার ব্যাগে পুরেই নিয়ে চলে যাচ্ছিলাম।”

কাকিমা একটা মাঝারি সাইজের পলিথিনের পুঁটুলি আমার হাতে গুঁজে দিলেন। চিবুক ধরে আদর করে বললেন, “সব একবারে খাসনা কিন্তু, পেটব্যথা করবে।” বলে এ বার সত্যি সত্যিই চলে গেলেন। আর কিছু ভুলে না গিয়েই।  

প্যাকেট খোলামাত্র মিনিটখানেক আগের মনখারাপের কারণটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল ।  প্যাকেটভরা ডেয়ারি মিল্ক, ফাইভ স্টার আর এক্লেয়ার্স। মুখটা কী রকম কাঁদোকাঁদো হয়ে আসছে বুঝেই আমি তাড়াতাড়ি একখানা এক্লেয়ার্স মোড়ক খুলে মুখে পুরে দিলাম।

একটু পরে একটা ডেয়ারি মিল্কের অর্ধেকটা। পাঁচমিনিট পর বাকি অর্ধেকটা আর একটা সিকি ফাইভ স্টার। দু’মিনিট পর বাকি তিনচতুর্থাংশের হাফ। আধঘণ্টা পর বাকি হাফ আর আরেকটা ডেয়ারি মিল্কের ওয়ান-এইটথ...

সুন্দর দিনটার স্মৃতি হিসেবে এক্লেয়ার্সের মোড়ক দিয়ে বানানো দুটো পুতুল এখনও আমার টেবিলের ওপর পড়ে আছে।

Comments

  1. Replies
    1. থ্যাংক ইউ কুহেলি।

      Delete
  2. চকলেট! ডিমেন্টরে ধরার অব্যর্থ ওষুধ!

    অসাধারণ বর্ণনা দিয়েছেন সবটাই। মনটা এই মাঝরাত্রে হঠাত লুচি লুচি করছে :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. একখানা বেগনি রঙের ডেয়ারি মিল্ক হাতে থাকলে কোন ডিমেন্টরের বাবার সাধ্যি নেই আমাকে ধরে।

      আপনার তো খালি মাঝরাতে, আমার তো সর্বক্ষণ লুচি লুচি মন করতে থাকে।

      Delete
    2. Ami ekta solution peyechi luchi'r. Costco'r "tortilla land" er tortilla gulo ke glass boshiye gol gol kore kete bhajle naki ekkebare luchi'r moto. Ekhono try kore dekhini, tobe korbo. Tomra dekhte paro.

      Delete
  3. কুন্তলা, এটা তোর সবথেকে ভাল লেখাগুলোর একটা। প্রায় শূন্য বিষয়বস্তু নিয়ে এতটা, এত ভাল যেভাবে লিখেছিস্‌ তাতে আমি প্রচণ্ড ইম্প্রেস্‌ড্‌। কীর'ম এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সত্যি? যাক। খুব খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  4. সত্যি ভালো লিখেছেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভালো লাগলেই ভালো দেবাশিস।

      Delete
  5. ...tomar lekhata ekshonge mon kharap aar mon bhalo kora ... meghla deen types :)

    ReplyDelete
  6. Amio khelam ajke. Ekta gota Bournville, boss er sathe jhogra korar por. Chocolate er moto bhalo jinish ar hoy na.

    Boddo bhalo likhechho Kuntala di. Golar kachh ta byatha byatha kore uthlo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা বিম্ববতী, বসের সঙ্গে ঝগড়া কিন্তু খুব নার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করা ব্যাপার। আশা করি ঝগড়ার রেশ তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাক।

      Delete
  7. Khub bhalo laglo. ei dhoroner lekha porte pai bolei Abantor-e asha.

    ReplyDelete
  8. Kodin agey amader ek kaku-kakima type bangali couple er sange alap holo ekjon der barite. Tarpor 2din jete na jetei onara amader nemontonno korlen. Giye dekhi kakima besh taanter saree pore khut khat ghurchen, eta ota bhajchen, glass ber kore ki khabo jigyesh korchen. Puro byapar tai besh "bari bari" laglo. Enara to amader serokom kichu chena noy, kintu oi puro byapar ta ekta khub "comfort zone" er modhyekar byapar chilo jeta khub bhalo laglo. Mohila'r "barir saree" pore thaka tao.
    Tomar baba jeta bolen atithi'r byapare, katha ta kintu khub sotyi. Bhebe dekho, amader serokom kono close bondhu bandhob ele kintu amra setai kore thaki. Tader rong chota cup e cha ditey kichui kharap lage na, ar tarao dibbi fridge theke khabar ber kore khaye, jinish khuje na pele drawer hatkay bina dwidhay. Tobe hya, general public er khetre tomar ma-er concept tai thik. Jader bojhano dorkar je "apnara important" tader jonye ghor bari ektu porishkar kortei to hobe, nijer jhul-tul gulo-o jhara dorkar :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ আমারও মনে হয় বাড়ি গোছানো নিয়ে বাবার মতটা শুনতে যতটা ভালো কাজে ততটা ভালো নয়।

      Delete
  9. Replies
    1. ধন্যবাদ স্বাগতা।

      Delete
  10. লাইফ টাইফ নিয়ে ন্যাজে গোবরে থাকা আর তাকে ঘিরে নানা অপরাধবোধ এ যে কি মারাত্মক তা প্রতিদিন-ই টের পাচ্ছি...

    যা হোক, লেখাটা খুব ভালো লাগলো। অভিষেকের সাথে একদম একমত।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ সংহিতা। অপরাধবোধের থেকে খারাপ অনুভূতি আর কিছু হয় না সংহিতা। আশা করি তোমার ঝামেলা অতি শীঘ্র কেটে যাবে।

      Delete
  11. কুন্তলা,
    অভিষেকের সাথে আমিও একমত। এই রকম একটা বিষয় নিয়ে লেখা আর এই রকম অনবদ্যভাবে শেষ করা - অসাধারণ। মন খারাপের বিষয় নিয়ে লিখে আমাদের ধরে নাড়িয়ে দেওয়া ...... তায় আবার শেষ পাত এ চকোলেটসহ,ব্যাপারটা দারুন।

    আপনার কলমের জোর আপনার মনের জোরের মত ক্রমশ: বাড়ুক।
    কৌশিক

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ কৌশিক। এত ভালো ভালো প্রশংসা করার জন্য আর অবান্তরে প্রথম কমেন্ট রাখার জন্যও।

      Delete
  12. egulo ekdom tomar-type lekha.. ami ageo bolechi.. oshombhob dokhyota tomar.. ei lekhagulor jonyoi kintu abantor amader eto mon chhuye jay...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সোহিনী।

      Delete

Post a Comment