কলকাতা সফর



কেমন আছেন? দীর্ঘ সপ্তাহান্ত কেমন কাটালেন? যথেষ্ট আরাম করতে পারলেন নাকি জমে থাকা কাজ সারতে সারতেই ছুটি ফুরিয়ে গেল?

আমার ছুটি হুস্‌ করে শেষ হয়ে গেল। মা যা যা করবেন ভেবেছিলেন সব করে নিয়েছেন, আমি যা যা করব ভেবে গিয়েছিলাম তার সিকিভাগও করতে পারিনি। তবে প্রতিবার যাতায়াত করতে গিয়ে কলকাতার গুষ্টির তুষ্টি করি বলেই হয়তো কলকাতা এবার আমাদের মন ভুলিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকদিনই রাতে গুড়গুড় মেঘ ডেকে দুচারফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছিল। কাজেই তাপমাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়ায়নি, রোদও মোলায়েম ছিল। চলন্ত গাড়ির জানালা থেকে দেখা মেঘলা ভেজা আকাশের গায়ে সেঁটে থাকা ভিক্টোরিয়ার পরীর কথা অনেকদিন মনে থাকবে।

কলকাতা গিয়ে এবার অনেক কেনাকাটা হল। শাড়ি গয়না সালোয়ারকামিজ পাঞ্জাবি জুতো। গড়িয়াহাটে আর কোনওদিন পথ হারাবার ভয় রইল না। ও তল্লাটের অলিগলি মোড়মোচড় সব মুখস্থ হয়ে গেছে। দোকানপাট আর এটিএম-এর অবস্থান বললে এখন চোখ বুজে এঁকে দিতে পারি।

বাজার করতে আমার অসম্ভব খারাপ লাগে। অনলাইনে ঘুরে ঘুরে জিনিস কেনা এক, আর সশরীরে দোকানে হাজিরা দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে বাক্যালাপ করে জিনিস কেনা আরেক। কিন্তু রবি ঠাকুরের ওই কথাটার আমি মস্ত বড় ফ্যান ওই যে, “জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা/ ধরার ধূলায় যত হোক অবহেলা।” তাই আমি এই খারাপ কাজটাকেও একটা শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতায় পরিণত করার চেষ্টা করেছি। সেই অভিজ্ঞতার কথাই আপনাদের এখন বলব।

দেখেশুনে আমি বুঝেছি যে যিনিই কেনেন তিনিই ক্রেতা হলেও, সব ক্রেতাকে ফস্‌ করে এক গোত্রে ফেলা উচিত নয়। ধৈর্য, মেজাজ, খুঁতখুঁতুনির বিচারে তাঁদের স্পষ্ট বিভাগে বিভক্ত করা যায়। প্রথম দলের ক্রেতার এই সবকটি গুণের ভাঁড়ারই বাড়ন্ত থাকে। তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য হল দোকানে ঢুকে কোনওমতে একটা চলনসই কিছু হাতিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রাণ নিয়ে পালানো। মায়ের দুজন পরমাত্মীয়ই এই বিভাগে পড়েন বলে মায়ের আজীবনের আফসোস রয়ে গেছে।

আরেক দল ক্রেতা হলেন চরম নীতিবাগীশ। নিজেরা পরিশ্রম করতে পারেন এবং অন্যের ফাঁকি মারা সহ্য করতে পারেন না। এঁদের ছোটবেলায় শেখানো হয়েছে যে দোকানির কর্তব্য হল খদ্দেরকে জিনিস দেখানো। দোকানি যাতে সেই ডিউটিতে কিছুতেই ফাঁকি না মারতে পারেন সে বিষয়ে এই ধরণের ক্রেতারা সর্বদা সচেতন থাকেন। একটা জামা পছন্দ হয়ে গেলেও মুখেচোখে তার চিহ্নমাত্র ফুটে না উঠতে দিয়ে তাঁরা শোকেসের সবকটি জামা দেখার গোঁ ধরে বসে থাকেন। দোকানি যতক্ষণ না হাক্লান্ত হয়ে কাউন্টারের ওপর এলিয়ে পড়ছেন ততক্ষণ হাল ছাড়েন না। এত কিছু দেখার পরেও তিনি সবার প্রথমে পছন্দ করা জামাটি কিনে, অথবা একটিও জামা না কিনেই, মাথা উঁচু করে নির্ভয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।

এঁদের স্মার্টনেসকে আমি হিংসে করি।

আরেক দল ক্রেতা আবার এতটা কড়া নন। এঁদের সমস্যাটা হচ্ছে, কিছুতেই মন না ওঠা। দোকানদার নীল শাড়ির ওপর গোলাপি কলকা করা আর গোলাপি শাড়ির ওপর নীল কলকা করা দুটো শাড়ি বার করে দেখালে খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে এঁরা জানতে চান, “আচ্ছা নীলের ওপর নীল কিংবা গোলাপির ওপর গোলাপি কিছু নেই?”

আরও নানারকম আছে। পাঁচঘণ্টা ধরে কিনেকেটে বাড়ি ফেরার পাঁচমিনিটের মধ্যে সবকিছু নিয়ে দোকানে বদলাতে ছোটা পাবলিক আছে। ছেঁড়া হোক ফাটা হোক, দশজনের পরা হোক, পঁয়ত্রিশ টাকায় সরোজিনী মার্কেট থেকে জামাকাপড় কিনে আনন্দে পাগলপারা হয়ে যাওয়া পাবলিকও আছে।

মা বলেন, “ সে তো থাকবেই। খদ্দেররাও তো মানুষ সোনা, মানুষের একেকজন যে একেকরকম হবে তাতে তো এত আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, এটাই তো জগতের নিয়ম।”

মায়ের কথা আমি সম্পূর্ণ সমর্থন করি। সব ক্রেতারাই যদি আমার মতো নিড়বিড়ে অথবা ছোটমামির মতো জাঁদরেল হত তাহলে যে পৃথিবীটা ভয়ংকর বোরিং হত সে নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমার মনে হয় যদি শপিং করতে যাওয়ার একটা দলে একই ধরণের ক্রেতার সহাবস্থান হত, তাহলে সকলেরই জীবন অনেক সরল হয়ে যেত। দোকানির, খদ্দেরের, সবার। তাই না?

বান্টি বলল, “তোমার সব থিওরি বুঝি কাস্টমারদের নিয়েই? দোকানদারগুলো বুঝি সব ধোয়া তুলসীপাতা?”

আমি বললাম, “সে ধোয়া তুলসীপাতা কি না জানি না, একটা কথা স্বীকার করতেই হবে যে দোকানদারদের মধ্যে এতরকম শ্রেণীবিভাগ দেখা যায় না। অন্তত আমি দেখিনি।”

আমার দেখা সব দোকানদারেরাই অবিকল এক। তাঁদের জীবনের লক্ষ্য হল খদ্দেরকে যেনতেনপ্রকারেণ দরকারিঅদরকারি জিনিস যথাসম্ভব চড়া দামে গছানো। সে কাজটা করার জন্য যদি তাঁকে পুবকে পশ্চিম কিংবা গাধাকে ঘোড়া বলতে হয়, তাও সই। দোকানদারদের আরেকটা মস্ত বড় গুণ হচ্ছে যে তাঁরা অসম্ভব বুদ্ধিমান। সেটারও কারণ অতি পরিষ্কার। একজন ক্রেতা সারাজীবনে যত বিক্রেতা দেখেন, একজন বিক্রেতা খুব কম করে হলেও তার অন্তত একশো গুণ ক্রেতা চরিয়ে খান। কাজেই দোকানের কাঁচ ঠেলে ঢোকার একমিনিটের মধ্যে ক্রেতার চরিত্র বিক্রেতার কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়।

বাকি থাকে শুধু নিজেকে অদলেবদলে ছেঁটেকেটে সেই চরিত্রের মানানসই করে নেওয়া।

আমি আর মা গয়না কিনতে গিয়ে বেজায় মুশকিলে পড়েছিলাম। যাই দেখি তাই পছন্দ হয়ে যায়। আমি বললাম, “চল টস্‌ করি”, মা কিছুতেই রাজি হলেন না। শেষে অনেক কষ্টে দুটো হারের মধ্যে টাইব্রেকার হল। আধঘণ্টাখানেক মাথা ঘামিয়ে মা অবশেষে একটাকে বিজয়ী ঘোষণা করলেন।

যেই না করা, অমনি একজন বেশ হৃষ্টপুষ্ট মহিলা এসে অন্য হারটার ওপর, “ওয়াও, সো কিউট” বলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন।

মায়ের মুখ মুহূর্তে কলকাতার সেদিনের আকাশটার মতো মেঘলা হয়ে গেল।

আমি প্রমাদ গুণলাম। আড়চোখে দোকানদারের দিকে তাকিয়ে দেখি, তাঁর মুখে আশংকার চিহ্নমাত্র নেই। তিনি কাউন্টারের ওপাশ থেকে অল্প ঝুঁকে মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বললেন, “নেহাত আপনি পছন্দ করছিলেন বলে আমি এতক্ষণ কিছু বলতে পারছিলাম না ম্যাডাম, ওই হারটা একটু ধুমসো বডি ছাড়া মানাবে না। আপনার স্লিম মেয়ের জন্য এই হারটা একেবারে পারফেক্ট।”

ধুমসো বলার সময় ভদ্রলোক দুই কনুই দুদিকে আস্তে করে ছড়িয়ে অন্য ভদ্রমহিলার আয়তনকে যথাসম্ভব নকল করে দেখানোর চেষ্টা করলেন। বলা শেষ হয়ে গেলে আশ্বাস দেওয়ার জন্য চোখ মেরে অল্প করে মায়ের পিঠও চাপড়ে দিলেন মনে হল।

মায়ের মুখের মেঘ কেটে গিয়ে হাসি মাখামাখি হয়ে গেল।

তারপর তো এতলা ওতলা ঘুরে বাবামায়ের সারাজীবনের রক্তজলকরা সেভিংস প্রায় নিঃশেষ করে রিসিট নিয়ে গয়না আদায়ের জন্য আবার কাউন্টারে হাজির হলাম। এসে দেখি হৃষ্টপুষ্ট মহিলা আমার হারটাকে আঁকড়ে ধরে হাপুসনয়নে কাঁদছেন আর বলছেন, “ও মাই গড, দিস ওয়ান ইস সো মাচ কিউটার...”

আমি, আমার মা আর দোকানদার, তিনজনে মিলে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও তাঁর মুঠো থেকে হার আর ছাড়াতে পারি না। হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, নেহাত আরও দুচারজন কর্মচারী এসে আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় শেষটায় হার অক্ষত অবস্থায় আমার মায়ের হাতে এসে পড়ল। আমরা ঊর্ধ্বশ্বাসে সেটা ব্যাগে পুরে উল্টোদিকে ছুট লাগাতে যাব এমন সময় শুনি, ক্রন্দনরত ভদ্রমহিলার মাথা নিজের কাঁধে চেপে ধরে দোকানদার বলছেন, “আরে ম্যাডাম, ওসব হার কি আপনার মতো কার্ভি লেডিদের মানায়? ওসব ফালতু জিনিস আমরা খ্যাংরাকাঠি আলুরদমদের জন্য অর্ডার দিয়ে বানিয়ে রাখি। নেহাত সামনে বলতে পারছিলাম না তাই...”

মায়ের কানে বোধহয় এত কথা যায়নি। তাই আমিও চেপে গেলাম। গাড়িতে বসে মা বললেন, “উফ্‌ বাবা, কী বাঁচা বাঁচলাম।”

আমি বললাম, “বলেছিলাম? এসব জায়গায় নেহাত মাথাখারাপ না হলে কেউ আসে? আর যদি আমি বেঁচে থাকতে এমুখো হয়েছ, তবে তোমারই একদিন কি আমারই একদিন।”    

মা মুখ বেঁকিয়ে বললেন, “ইসস, তাহলেই হয়েছে আর কি। এর পর তোর মেয়ে হবে, তার মুখেভাত হবে, জন্মদিন হবে, গ্র্যাজুয়েশন হবে, বিয়ে হবে...আর এমুখো হবনা বললেই হল? এই তো সবে শুরু।”

বলে মা খুব খুশি হয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে চেপে চেপে কপালের ঘাম মুছতে লাগলেন, আর আমি ভবিষ্যতের ভয়ে সিঁটিয়ে জানালার বাইরের চলন্ত কলকাতার দিকে তাকিয়ে বসে রইলাম।       

Comments

  1. সবকটি ক্রেতা গোষ্ঠীর সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। আমি নিজে প্রথম দলের তবে একটু modified .বেজায় ভাল লিখেছ আর সব সত্যি কথা। তবে সরকারি দোকানের বিক্রেতারা কিন্তু আলাদা গোষ্ঠী । ক্রেতারা না কিনে চলে গেলে এরা বেঁচে যায় ।

    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম ঠিক বলেছ। একবার কলকাতায় একটা সরকারি খাদির দোকানে গিয়েছিলাম। বিরাট দোকান, থরে থরে জিনিসপত্র। যেটাই পছন্দ করছি একটা না একটা খুঁত বেরোচ্ছে। দাগ, ছেঁড়া, ফাটা। এবং পুরো ব্যাপারটা নিয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। কী যে খারাপ লেগেছিল। একটু চেষ্টা করলে এই দোকানগুলো কত ভালো ব্যবসা করতে পারে ভাবো।

      Delete
  2. Amar songe shopping korte berole loke irritated hoye jay. amar anek jinish e pochhondo hoy, kintu tarporei mone hoy ota amake manabe na, ogotya reject. ei kore kore ultimately ja kinbo bhabi tar addhek o kena hoy na. ami ekbar Primark e praay 4 ghonta ghure 1ta matro top kinechilam. eta lekhar por amar nijeri lojja lagche.

    Amar experience e bikreta o anek prokaar. mane je tactics e kreta'r sathe interact kore ba bikri kore, seta besh vary kore.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সর্বনাশ টিনা, চার ঘণ্টা ঘুরে একটা টপ? নাঃ তোমার সঙ্গে বাজার করতে বেরোনো যাবে না দেখছি।

      বিক্রেতারও রকমভেদ আছে বুঝি? ওকে এবার থেকে চোখ কান খোলা রাখব তো।

      Delete
  3. তোর মেয়ের গ্র্যাজুয়েশনে গয়না দেওয়া হবে? :O

    ReplyDelete
    Replies
    1. যদি পাশ করতে পারে, তবেই।

      Delete
    2. এই তোদের মত মায়েদের জন্য বাচ্চারা নম্বর আর ডিগ্রীর পেছনে ছোটে।

      Delete
    3. duto paash dile shonar goyna ? antel bongo lolona'r e ki holo ma !!!!

      Delete
    4. antel fatel er din gechey.....bangali ekhon baam chere dan dikey jhukechey!

      Delete
    5. আচ্ছা আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। আমি স্রেফ একটা ছেলে পছন্দ করে এনেছি তাতেই মা আমাকে অতগুলো গয়না দিচ্ছেন, আর আমার মেয়ে রাত জেগে পড়ে পরীক্ষায় পাশ দেবে, তাকে আমি গয়না দিলেই দোষ? আমার তো মনে হয় প্রত্যেক ক্লাসে পাশ করলেই গয়না দেওয়া উচিত। ক্লাস ওয়ানে পাশ করলে চুলের ফিতে, ক্লাস টু-য়ে পাশ করলে হাতের চুড়ি, এইভাবে উঠতে উঠতে শেষে পার্ট টু পাশ দিলে তনিশ্‌ক্‌ এর নেকলেস।

      Delete
    6. na na kono dosh nei...tumi eto tanishq fanishq pachho
      tahole tomar meye kichu pabe na keno...seta tow bahut na insafi hoye jabe :) tobe tanishq na diye tiffany diley bhalo hoy (mane tomar meye'r hoye bolchhi aarki :))))

      Delete
    7. সে ভালোই হয়, কিন্তু মেয়ে আবার যদি হিপস্টার হয় আর বলে যে আমি লোহালক্কড়ের গয়না ছাড়া কিছু অঙ্গে তুলব না, তাহলেই তো আমাদের সব প্ল্যান ভেস্তে যাবে। তবে তোমার টিফ্যানির সাজেসশন টা মাথায় রাখব শম্পা।

      Delete
    8. Amar meye, chele pochondo kore anuk, meye pochondo kore anuk, ja ichche koruk, oi tanishq er goyna ami dichi na. Tar cheye oi poishay Corfu giye du din nije nije vacation kaatiye asbo.

      Delete
  4. আরেক দল ক্রেতা আবার এতটা কড়া নন। এঁদের সমস্যাটা হচ্ছে, কিছুতেই মন না ওঠা। দোকানদার নীল শাড়ির ওপর গোলাপি কলকা করা আর গোলাপি শাড়ির ওপর নীল কলকা করা দুটো শাড়ি বার করে দেখালে খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে এঁরা জানতে চান, “আচ্ছা নীলের ওপর নীল কিংবা গোলাপির ওপর গোলাপি কিছু নেই?”
    hahaha eta durdanto.....amader barite adhikangsho lok- i ei gotrer ....ami nije abar dui ar tiner modhye chalafera kori ar khub lajjito o hoi anek samay ni bole ...1 nota konomotei noi...kakimar afshoshta ami marme marme bujhechi
    gaynar dokane kintu khub bhalo lokjanke observe kara jay..lekhata jathariti darun :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে লজ্জার কী আছে, দোকানদারেরা এক্সপেক্ট করে যে সবাই অনেকক্ষণ থাকবে। দেখিস না কফি নিয়ে "খান, খান" করে?

      Delete
  5. Lekhata darun !! kolkata r weather ta sottii k-din khub bhalo chhilo :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. সত্যি, কী যে ভালো ওয়েদার পেয়েছি, এখন শুনছি নাকি আবার হা রে রে রে করে রোদ উঠেছে?

      Delete
    2. hna khub garom , tobe abohaoa daptor kotha diechhe agami 24 ghontai naki kal-boisakhi aschhe, shuneo aram :-D.

      Delete
    3. এটা শুনে অবশ্য খুশি হতে পারছি না, কারণ হিংসেয় মাথা জ্বলে যাচ্ছে। কালবৈশাখী হবে অথচ আমি দেখতে পাব না, জঘন্য।

      Delete
    4. ekmot Kuntala, amakeo keu kalboisakhir galpo shonale amar eki-rakom raag hoi, tobe ekta ashar kothao achhe, beshirbhag khetrei abohaoa daptorer kotha gulo keboli 'GALPO' hoe jai 'SOTTI' ar hoina :-)

      Delete
  6. nah ami jojhon nije beroi tokhon ektu somoy ni- ektu, tobe ekta kotha thik je maximum 2-3 te dokan dekhi tarpor e kine feli.r jokhon onyer sathe beroi tokhon fatafat decision ni, mane hoy kinbo ba kinbona....onyer embarrassment er kotha mathay rekhe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইস, এ তো আবার উল্টো বিপদ। লোকের কথা ভাবতে গিয়ে আরাম করে বাজার করা যায় না। এইজন্য আমার মত হল যে সবজায়গায় সর্বত্র একা একা যাওয়া উচিত।

      Delete
    2. tai to kenakatar bapare ekla shopping kora tei amar mot, tar karon songe jodi keu thake tomar iche korbe take jigyes kori ..bes korle se thik tomar pochonder ultota bollo, byas chaap e chaap na parbe felte na parbe rakhte..hehe..tobe etar o exception hote pare."Par ruchi pahen na" amar khetre sobsomoy khatena go.

      Delete
    3. পররুচি পহেননা তে আমারও বিশ্বাস নেই রাখী। আমাকে পাগল দেখতে লাগছে কি না, সেটা আমার থেকে বেশি বোঝার দায় কি কারও আছে, বল?

      Delete

Post a Comment