হানিমুন
এই পোস্টটা তিনরকম ভাবে শুরু করা যেত।
এক নম্বর, ক্লাস ইলেভেনে পড়াকালীন বিনসর ভ্রমণের
গল্প দিয়ে। সেবার আমরা অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। নৈনিতাল, মায়াবতী, আলমোড়া।
আলমোড়ার একটু ওপরেই বিনসর। বিনসরে আমাদের থাকার কথা ছিল না। গাড়ি করে গিয়ে
এদিকওদিক দেখে ঘুরে চলে আসব সেরকমটাই ঠিক ছিল।
কিন্তু বিনসর পৌঁছে বুঝলাম ঠিকের থেকে ভুলটাই বেশি হয়েছে।
অত কাছ থেকে অতখানি হিমালয় অত স্পষ্ট করে আমি আর
কোনওদিনও দেখিনি। জঙ্গলের মধ্যে একখানা সরকারি গেস্টহাউস, তার পেছনের খোলা মাঠে
দাঁড়ালে চোখের সামনে মোটামুটি ১৮০ ডিগ্রি জুড়ে হিমালয়ের তাবড়তাবড় শৃঙ্গ। দেখতে
দেখতে ঘোর লেগে যায়। অদ্ভুত সুন্দর। পাহাড় আর জঙ্গল বেয়ে একটু ওপরে উঠলে একটা
সানরাইজ/সেট দেখার জায়গা। ব্যস। আর কোত্থাও কিছু নেই। রাত আটটার পর নাকি
গেস্টহাউসে কারেন্টও থাকে না। কেবল পর্বতের গায়ের বরফে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসা
চাঁদের আলোয় চারদিক আবছায়া হয়ে থাকে। যতক্ষণ হাড়ে কাঁপুনি না ধরে ততক্ষণ লনে চেয়ার
পেতে বসে সে আলোয় হিমালয় দেখো আর তারপর ঘরে ফিরে এসে কাঠের মেঝের ওপর রাখা কাঠের
খাটে নরম তুলোর গদি আর লেপের মধ্যে স্যান্ডউইচ হয়ে শুয়ে থাকো। ঘুম এসে গেলে ভালো,
না হলে এদিক ওদিক থেকে কাঠের মেঝেতে কে জানে কাদের চলাচল করার ক্যাঁচকোঁচ শব্দ
শুনতে শুনতে ঠকঠক করে কাঁপো আর নিজের মনে বিড়বিড় করো,
“ভূত আমার পুত/ পেত্নি আমার ঝি
রামলক্ষ্মণ বুকে আছে/ করবি আমার কী?”
বিনসরের গেস্টহাউস, উৎস গুগল ইমেজেস
আমি ঠিক করেছিলাম, হানিমুন যদি করতেই হয় তাহলে
বিনসর ছাড়া আর কোথাও করার মানেই হয় না।
দু’নম্বর গল্পটা অবশ্য একটু দুঃখের। অ্যামেরিকা
থেকে দ্বিতীয় ছুটিতে বাড়ি ফিরেছি। পাঁচ বছরের প্রেম সদ্য কেটেছে, আমার ওজন একমাসে
দশ পাউন্ড কমে গেছে। চোখের তলায় র্যাকুনের মতো কালি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আই এস ডি-তে
কাউন্সেলিং করেছেন মা। “বাঁচা গেছে আপদ গেছে, সোনা” বলতে বলতে তাঁর মুখে ফেনা উঠে
যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। তবু মেয়ের ফ্যাঁচফ্যাঁচানি আর থামে না।
কাজেই মা ঠিক করলেন মেয়েকে নিয়ে দুদিন নিরিবিলিতে
বেড়িয়ে আসবেন। যদি তাতে মেয়ের মনটা একটু ভালো হয়। আমার মেয়ে এইরকম ঘ্যানরঘ্যানর
করলে আমি তার দুই কানে দুই প্যাঁচ দিয়ে বলতাম, “মেলা ফ্যাঁচফ্যাঁচ না করে পড়তে বস”,
কিন্তু আমার মা আমার থেকে এককোটি গুণ ভালো। মা কলকাতায় বসে ল্যান্স্ডাউনে সরকারি
বাংলোয় ঘর বুক করলেন, তারপর দিল্লি এসে দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ির একটা রুম ভাড়া
নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। সে রুমের ভাড়া এসি চালালে একরকম, না চালালে
আরেকরকম। তখন শীতকাল ছিল, মা বলেছিলেন তিনি এসি চালাবেন না। তারপর যখনই রুমের দরজা
খুলে বেরোতেন দেখতেন একজন ফাইফরমাশখাটা বয় দরজার বাইরে কান পেতে দাঁড়িয়ে শুনছে
ভেতর থেকে এসি চলার শব্দ আসে কিনা।
যাই হোক। আমি মুখচোখ কালো করে দিল্লিতে নামলাম। মা
আমার চেহারা দেখে আঁতকে উঠে, “হায় হায় আমার হাসিখুশি গাবলুগুবলু মেয়েটার এ কী হাল
হয়েছে” বলে কপালটপাল চাপড়ালেন। পরদিন সকাল নাগাদ আমরা ল্যান্স্ডাউনের উদ্দেশ্যে
বেরিয়ে পড়লাম।
ল্যান্স্ডাউন সত্যি সত্যি অত সুন্দর নাকি আমার
তৎকালীন মানসিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জায়গাটাকে আমার ভালো লেগেছিল জানি না,
তবে বেড়াতে গিয়ে অত শান্তি আমি আর কোথাও পাইনি। আমি আর মা সকালবেলায় উঠে চা খেয়ে
হাঁটতে বেরোতাম। ফাঁকা, আঁকাবাঁকা পিচঢালা পথ। পথের দুপাশে বিরাট বিরাট গাছের
জঙ্গল আর রেলিং-এর গা বেয়ে লতানো ফার্নগাছ। মা তাঁর ধুলোপড়া বটানির বিদ্যে ঝেড়েঝুড়ে
সেসব গাছ আর ফার্নের ল্যাটিন নাম শোনাতেন আমাকে। অনেকখানি হেঁটে ক্লান্ত হয়ে গেলে
আমরা রেলিঙের ওপর বসে পড়ে জিরোতাম। মাঝে মাঝে একটাদুটো স্থানীয় লোকভর্তি ট্রাক
অথবা মিলিটারির জিপ যেত।
ল্যান্স্ডাউন, উৎস গুগল ইমেজেস
দুপুরবেলা ফিরে এসে ভাততরকারি খেয়ে বাংলোর
বিছানায় শুয়ে অথবা রেলিঙের ছায়ার কাটাকুটি খেলা বারান্দার রোদে চেয়ার পেতে বসে
আমরা গল্প করতাম। মায়ের ছোটবেলার গল্প, আমার ছোটবেলার গল্প। নিচের তলায় কোনও ঘরে
এক নবদম্পতি এসেছিল মনে আছে। তারা বাইরে টেবিল পেতে বসে লাঞ্চ খেত আর আমি আর মা
ওপর থেকে উঁকি মেরে দেখতাম তারা কী কী অর্ডার করেছে। পছন্দ হলে পরেরদিন সেই
খাবারগুলোই অর্ডার করা হত।
দিনপাঁচেক ল্যান্স্ডাউনে ছিলাম বোধহয়। একবারও
ব্রেকআপের কথা তুলিনি মামেয়ের কেউই। শুধু মনে আছে ফিরে আসার সময় গাড়ির ভেতরে বসে
মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, “সব ভুলে যেতে পারব তো মা?” মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে
বলেছিলেন, “সব। ধুয়েমুছে সাদা হয়ে যাবে সোনা। আমি কথা দিচ্ছি।” বলার সময় মায়ের গলা
বুজে এসেছিল।
মায়েরা এত সত্যি কথা বলেন কী করে?
অলরাইট। এবার তিন নম্বর গল্পে আসা যাক। এটা
অপেক্ষাকৃত নতুন গল্প। আমার দিল্লির অফিসের এক সহকর্মীর গিয়ে বিয়ে হল এই শীতে। সে
বিয়ে করে কলকাতা থেকে অফিসশুদ্ধু সবার জন্য কাজুবরফি নিয়ে ফিরে এলে আমি জিজ্ঞাসা
করলাম, “কোথায় বেড়াতে গেলে?”
সে মুখব্যাদান করে বলল, “আর বেড়ানো। ছুটিই নেই,
কোনওমতে বিয়েটা যে করতে পেরেছি এই আমার চোদ্দপুরুষের ভাগ্য।”
আমি কাজুবরফি চিবোতে চিবোতে ঘাড় নাড়ছিলাম আর মনে
মনে বলছিলাম, “আমি বাবা খেলিয়ে ছুটি নিয়ে বিয়ে করব। মিনিমাম একমাস তো বটেই। বিয়ে
করব, মাসিপিসির বাড়ি নেমন্তন্ন খাব, হানিমুনে যাব। আর ওই একমাস কিইইচ্ছু কাজের কথা
ভাবব না...”
বলাই বাহুল্য, আমারও টায়েটায়ে ছুটি মিলেছে। আর
কাজ? রেজিস্ট্রির ফর্মে সই করার সময়ও আমার মাথায় ডেডলাইন ঘুরবে আমি নিশ্চিত।
জঘন্য।
কোথায় গেল বিনসর, কোথায় ল্যান্স্ডাউন।
অর্চিষ্মান অবশ্য এত সহজে হাল ছাড়তে রাজি নয়।
দিল্লির অবস্থানগত সুবিধেটা কাজে লাগিয়ে কোনও একটা শুক্রবার রাত থেকে সোমবার কাকভোর
পর্যন্ত সময়ে একটা হিলস্টেশন গুঁজে দেওয়ার জন্য ও এখনও বদ্ধপরিকর। আমারও ভীষণ
ইচ্ছে করছে। যত না হানিমুনে যেতে, তার থেকেও বেশি বেড়াতে যেতে। কতদিন পাহাড়
দেখিনি, ইস্।
আপনাদের কোনও জায়গার নাম মাথায় আসছে? দিল্লি
থেকে চটজলদি ঘুরে আসার? নৈনিতাল বলবেন না দয়া করে। আমি আর অর্চিষ্মান দুজনেই কুঁড়ের বাদশা, বেড়াতে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে বোটের প্যাডল ঘোরানোর থেকে অফিসে বসে কি-বোর্ড পিষব
তাও ভালো।
দিল্লির কাছাকাছি নিরিবিলি কোনও পাহাড়ি জায়গার
নাম জানা থাকলে বলবেন, খুব উপকৃত হব।
http://mornihillresort.com/
ReplyDeleteandajei post korlam dekho aado kaje aase kina....
ami jodio Nainital jabo..
আরে থ্যাংক ইউ প্রি। নিশ্চয় দেখব। আর এটা তো দিল্লির ভীষণ কাছে দেখছি। গুড গুড।
Deleteনৈনিতাল খুবই ভালো জায়গা। আমি এমনি ইয়ার্কি করে বলছিলাম আর কি।
দিল্লির অবস্থানগত সুবিধা কাজে লাগাতে গেলে তো ওই সময়ের মধ্যে শিমলা যেতে পারো বা হিমাচলের ইতি উতি । সোলান,কুফরি এইসব।
ReplyDeleteলেখাটা খুব ভাল হয়েছে ।
মিঠু
হ্যাঁ, হিমাচল আর উত্তরাঞ্চলই ভরসা মিঠু। লেখা ভালো লেগেছে বলে খুশি হলাম।
Deletekasuli,ramgarh,landour,-- specially ramgarhta...aktateo jaini,kintu chabi dekhe mone hocche egulo besh bhalo.... :-) :-) amra ravangla gechilam jhotika safare ...danra aro khuje pete bar korchi
ReplyDeleteশিগগিরি বার কর। দেখছিস তো আমাদের জায়গার অভাবে বেড়াতে যাওয়া হচ্ছে না।
Deletema-meye te khabar e nojor dewar lok pelen na r? bechara honeymoon korte ese pet kharap kore bosechilo hoyto! :D
ReplyDeleteআহা, নজর দিচ্ছিলাম কোথায়, সাজেসশন নিচ্ছিলাম বলতে পারেন।
DeleteDelhi theke kache noy motei, but Arunachal Pradesh. Apurbo.
ReplyDeleteBhutan o asadharon. additional subidhe, 100% lok Hindi bojhe, 70% lok Bangla. Passport-Visa kichhu lage na. R besh cheap.
Leh-Ladakh o amar darun legechilo.
Eh, ektao Delhi theke kache na. Amar ektu north-east er proti bias ache. :P
Delhi theke kache Sangla-Kalpa-Chitkul-Sarahan besh bhalo legechilo. Tobe ekhon bodhoy congested hoye geche. Kausani ba Auli o ache. Shimla-Kalka toy train ta aage khub sundor chilo. Ekhon ki obostha ke jane.
Abar off-track e jiggesh korchi, Bruges-Antwerp-Ghent? :D
kalpa ager theke congested holeo, sarahan-sangla ek i rokom achhe... heaven-on-earth
Deleteওহ, তাহলে তো এই সারাহান সাংলা কালটিভেট করে দেখতে হচ্ছে।
Deleteটিনা, উত্তরপূর্ব আমারও ভীষণ ভীষণ প্রিয়। যদি সময় থাকত তাহলে আমি একটিবারও না ভেবে তাওয়াং ছুটতাম। কিন্তু সেটা করা যাবে না। আর ওই সময়ে রাজস্থান গেলে জ্যান্ত ঝলসে যাব। তার থেকে ওই সাংলা কল্পাই মনে হচ্ছে ভালো আইডিয়া হবে।
তুমি শেষের যে তিনটে জায়গার নাম বললে, সেখানে যেতে পারলে বর্তে যেতাম। স্যাডলি ট্যাঁক পারমিট করবে না।
O haan, how about Rajasthan? Delhi theke khub kache. Gorome jaoa uchit hobe na bodhoy... :)
ReplyDeleteDelhi theke volvo te one night journey Manali pouche jete paro.Daruun jayga.In fact amra amader honeymoon e simla manali gechilam r ferar pothe delhi agra hoye kolkata firechilam.Aha ki bhalo jayga r ki daruun sob photo .....
ReplyDeleteওহ, তুমি হানিমুনে মানালি গিয়েছিলে রাখী? সে তো খুবই সুন্দর জায়গা। আমি অনেক ছোটবেলায় একবার গিয়েছিলাম। দেখি ওই ভলভোর রেঞ্জেই কোথাও যেতে হবে মোস্ট প্রব্যাবলি।
DeleteNarkanda.... simla theke eeektu dure. okhane aachhe Haatu-peak.. tomar oi binsar er moto 360 degree himalaya r view pabe. hatu-resort ta amra jokhon gechhilum under-construction chhilo, khoj nite paro, ekhon jodi hoye giye thake to ideal for honeymoon couples.. thik hatu-peak er mathay..
ReplyDeleteআমি এক্ষুনি হাতু পিকের ছবি দেখলাম। চার্মিং ব্যাপারস্যাপার। এটা ভালো আইডিয়া দিয়েছ সোহিনী। ঘেঁটে দেখব।
Deleteদিল্লির কাছাকাছি নিরিবিলি পাহাড়ি জায়গা, দ্যাটস দ্য কি-ওয়ার্ড। উইকেন্ডে শিমলার মল রোডে লাজপত নগরের চেয়ে বেশি দিল্লিওয়ালা পাবেন। সেম উইথ মানালি। প্লাস একটা হানিমুন ডেস্টিনেশন চাই।
ReplyDeleteআমার মতে এরকম দুটোই জায়গা আছে। ধরমশালা-ম্যাকলিওডগঞ্জ আর ডালহৌসি-খাজিয়ার। একটু রিসার্চ করে নিন। আর একটা দুর্ধর্ষ জায়গা হল সোনাপানি, কিন্তু সেখানে গেলে ট্রেকিং করতে হয়, অথচ আপনারা তো আরাম করতে যাচ্ছেন, তাই সেটা বাদ।
না না, ট্রেকিং মেকিং চলবে না। হাঁটুতে জোর নেই। ধরমশালা গেছি, খাজিয়ার যাইনি। ওটা শর্টলিস্টে লিখে নিলাম। থ্যাংক ইউ দেবাশিস।
DeleteTriund/ McLeodganj. Ek raater Volvo te Dharamshala. Tappor ektu opore McLeodgunj. Taro ektu opore Triund. Amar bheeshon bhalo legechhilo. Haat baralei pahar chhnowa jay, eirokom. Ar koto bhalo bhalo chhotto chhotto cafe. Ek cup coffee niye boi poro ar pahar dyakho. Keu kichchhu bolbe na.
ReplyDeleteKasol-o jete paro. Kasauli noy, Kasol. Manali jawar pothey ekta jaygay nemey gaari kore onyodike ektu jete hoy. Kasoler pash diye nodi gachhe, ar charidike boro boro pahar. Chhobir moto sundor. :)
p.s. Ekdom onyo tangent ey ekta kotha. Beranor kotha hochche bole mone porlo. Ajkei amar apisher ekti uttor bharotiyo meye ei dialogue ti dilo: " "Last year I went to London...uske baad Dilli ke bahaar gayee hee nahin hoon. Papa ne bola Jaisalmer ghum aane ke liye. Par India mein ghumne ka mazaa nahin hai. Isiliye I don't travel within the country. Desert dekhne ke liye Europe jaani chahiye. Vaise...Europe mein desert hai kya?" :/
তোমার পি এস-এর উত্তর আগে দিই বিম্ববতী। এর পর ভদ্রমহিলা ইউরোপিয়ান ডেসার্টের খোঁজ করলে বলে দিয়ো, "কেন, কালাহারি?"
Deleteআর আমি সত্যি সত্যি প্রার্থনা করি এঁরা যেন সব পরজন্মে বিলেতে জন্মান। এঁদেরও শান্তি, ইন্ডিয়ারও শান্তি।
এবার বেড়ানোর কথা। ধরমশালা গেছি। দারুণ দারুণ ভালো লেগেছে। ঠিক বলেছ, হাত বাড়ালে পাহাড় ছোঁয়া যায়। কিন্তু দ্বিতীয় জায়গাটার নামই শুনিনি আগে। লিস্টে টুকে নিলাম। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।
post ta daroon hoyechey.....ma-meye'r goppo ta khub khub bhalo laglo. amar tow mone hoy dilli te theke chandni'r oli goli ghure esho :) er por lomba chuti pele maa ebong anya sabai ke niye lansdowne ghure ele kemon hoy!!!
ReplyDeleteজানতাম, শম্পা একটা অভিনব কিছু আইডিয়া দেবে। ল্যান্স্ডাউন আবার অর্চিষ্মানের দেখা, সেকেন্ডবার দেখার ইচ্ছে নেই। যা তা একেবারে। কোথাও যাওয়ার টাইম না হলে চাঁদনি চকে গিয়ে দৌলতরামের কুলফিই খেতে হবে, কাজেই সেটা মনে করালে বলে থ্যাংক ইউ।
Deleteখুব ভালো লাগে আপনার লেখা। অনেক দিন ধরে চুপচাপ পরে যাচ্ছি। কিন্তু আজ কমেন্ট করতেই হলো। এইদুটো ভালো লাগতে পারে। Best reviews in tripadvisor.in.
ReplyDeletehttp://www.soulitude.in
http://www.dunagiri.com
আরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। লিংকগুলো সত্যি মনোরম। জমিয়ে রাখলাম। যদি যাই নিশ্চয় জানাব।
DeleteKhajjiar...India te eto monorom drishyo khub kom...Dalhousie theke 1 ghonta. mane ki bolbo, odbhut lagbe. PahaR, lake aar charidike sobuj...khub beshi lok nei, plus tomar bhalolaga-r ekakittwo ta ekhane besh enjoy kora jaye :)honeymoon boleo bolchi, kintu seta na holeo boltam.
ReplyDeleteবলছ সুমনা? তোমাদের কমেন্ট পড়ে আমিও নেটে খাজিয়ারের ছবি দেখছিলাম, সত্যি খুব সুন্দর জায়গা। রেকমেন্ড করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
DeleteHow 'bout NYC ? Shojja flight dhore eshe, times square e kaatiye, smriti charona kore, Sunday bikel er plane e chore dhaan kore ferot dilli. Dili dur nahin.
ReplyDeleteএইটা ভালো বুদ্ধি দিয়েছেন বং মম। অর্চিষ্মানকে প্রস্তাবটা দিয়ে দেখব।
DeleteMajhe ekta chhotto kore Central Park e photoshoot. :)
Deleteহাহা, ফোটোগ্র্যাফারও যখন হাতের কাছেই আছে।
DeleteKhajiar e sob e ek bondhur dol berie eshe chhobi dekhalo,besh pachhondo hoechhe amar.sarahan, sangla o besh. Tobe chup chap ayesh korbar jonye hole "Khajjiar". :-
ReplyDeleteখাজিয়ারের বেশ অনেকগুলো রেকমেন্ডেশন পাওয়া গেল দেখা যাচ্ছে। হুম্ম্ম্।
Deleteআমি আসতে দেরী করে ফেললাম। অনেকেই অনেক কথা লিখে ফেলেছেন, সব পড়ার সময় নেই আপাতত। কিন্তু যাঁর আইডিয়াল বর ফেলুদা, তাঁর মুখে "দিল্লি থেকে কোন হিল স্টেশন হানিমুনে যাব" এই প্রশ্নটা মানায়না। শিমলা, অফ কোর্স! উত্তর ভারতের শিমলা, যেখানে হাতের কাছে বরফ দেখতে পাওয়া যায়, আর সেরকম কল্পনা শক্তি থাকলে এস্কিমোদের বাসস্থান ইলগু আর পেংগুইন বা মেরু ভল্লুকও পাওয়া যেতে পারে।ফ্রম দি ফ্রায়িং প্যান টু দ্য ফ্রিজিডেয়ার। শুধু বাক্স হারাবেননা, তাহলেই হলো।
ReplyDeleteপূ : ক্লাস টেন পাস করে আমরাও নৈনিতাল, রানিক্ষেত, আলমোড়া ইত্যাদি গেছিলাম, আর ওই বিনসর টাইপের ভালো লেগেছিল কৌসানি। তবে সে গল্প আরেকদিন করা যাবে।
সুগত, সিমলার কথা ভেবেছি। সিমলার কাছাকাছি দুএকটা ভালো জায়গাও আছে। যেগুলো বেশ নিরিবিলি। দেখা যাক।
Deletehmm Shimla ghure esho
ReplyDeleteসিমলার জন্য দুটো ভোট পড়ল তাহলে আত্রেয়ী। গুড।
Deleteaha aha kuntaladi, tomar ei post ta theke dillir kachher ato sob destination jana gelo! kobe je egulo kaje lagate parbo! advance happy honeymoon janiye rakhlam, besh kore himalay bhromon sere eso, archisman dar utsaho thakte thakte :)
ReplyDeleteআমারও একই অবস্থা স্বাগতা। মনে হচ্ছে এখানেও যাই, ওখানেও যাই, সেখানেও যাই। কী বিপদ।
Deleteশিমলা যেতেই পার।আগেই লিখেছি। গ্লেন পয়েন্ট এ যাও। ভাইস রিগাল প্যালেস (যেটা এখন advanced study centre)পর্যন্ত টুক টুক করে হেঁটে যাও। বালজিসের গুলাম জামুন খাও ।
ReplyDeleteনারকান্ডা,চেইল,কুফ্রি ঘোরো । জাকু হিলস দ্যাখো । কালী বাড়ির টং এ ওঠো । লাক্কর বাজার থেকে সুন্দর সুন্দর গিফট কেনো । শিমলায় অনেকদিন কাটিয়েছি তাই একটু পক্ষপাত ।
মিঠু
দেখেছ মিঠু, এই খাজিয়ার সম্পর্কে মন প্রায় স্থির করে আনছিলাম, এখন আবার তোমরা সবাই মিলে সিমলা সিমলা করে সব ঘুলিয়ে দিচ্ছ। জঘন্য।
Deleteইস তোমরা সবাই কী লাকি, কত সব এক্সোটিক জায়গায় থেকেছ, আমিই খালি বোরিং-এর হদ্দ।
এই, খাজিয়ার ডালহৌসি ও ভারি সুন্দর ।
ReplyDeleteমিঠু
সিমলার কাছাকাছি দুএকটা ভালো জায়গাও আছে। যেগুলো বেশ নিরিবিলি।
ReplyDeleteতাই বুঝি, ডলি? খোঁজ করে দেখব নিশ্চয়। ধন্যবাদ।
Delete