প্রসাদ প্রতিযোগিতা



ঠিক দু’দিনের ব্যবধানে, শুভব্রত আর দেবাশিস, দুজনেই একই পুজোর খবর দিয়েছিলেন। এ শহরে আরও খানকয়েক পুজো হয় বটে, কিন্তু বাঙালির দুর্গাপুজো বলতে সকলে এটাকেই বোঝে। আগের বছর পুজো কভার করতে স্টার আনন্দ এসেছিল, এবছর তারা ধোঁকা দিয়ে জুরিখের পুজোর ছবি তুলতে চলে গেছে। এ ট্র্যাজেডির খবরটা অবশ্য আমি আগে পাইনি, প্যান্ডেলের ভেতর ঢুকে লোকজনের টুকরোটাকরা খেদোক্তি শুনে জেনেছি। প্যান্ডেল মানে Maison l’Inde-র দোতলার হলঘর। গোড়াতে আমার একটু সন্দেহ হচ্ছিল যে ঠিক জায়গায় এসেছি কি না। ঝাড়া আধঘণ্টা ধরে খুঁজে অবশেষে ঠিকানা বার করেছি, কিন্তু যে বাড়িটায় পুজো হওয়ার কথা তার সামনে খাঁ খাঁ করছে পিচঢালা ক্যাম্পাসের রাস্তা, কাকপক্ষীর দেখা নেই। যতই প্রবাসের পুজো হোক, তাই বলে এতখানি?

নেক্সট পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অবশ্য একে একে নাক, চোখ আর কানের বিবাদভঞ্জন হয়ে গেল। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে নাকে ঝাপটা মারল ধুনোর ঝাঁঝ। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে দেখলাম জুতোর ঢিবি। পালিশ করা রেসপেকটেবল বুট, ভারিক্কি চটি, ছম্‌মকছল্লো হাই হিল, গোড়ালিতে আলোজ্বালা মোকাসিন---সবাই একে ওপরের ঘাড়ে চিৎপাত হয়ে পড়ে আছে। জুতোর ভিড় দেখে সবে নিশ্চিন্ত হয়ে হাঁপ ছাড়ছি এমন সময় শুনি কোটের র‍্যাকের আড়াল থেকে কেউ একজন বলছে,

-এই কুপনটা দিয়ে কি লাঞ্চ ডিনার দুটোই হয়ে যাবে স্যার?

-না না পাগল নাকি। ডিনারের জন্য আলাদা কুপন লাগবে। কাল রাতে মাটন হচ্ছে, দাম করা হয়েছে মোটে দু’ইউরো। দেব?

সমস্ত সংশয় পেছনে ফেলে গটগটিয়ে ঢুকে গেলাম। জুতো ছেড়ে, অফ কোর্স।

দরজা দিয়ে ঢুকে বাঁদিকে তাকালে সারিসারি চেয়ার, ডানদিকে তাকালে উঁচু কাঠের মঞ্চ। এখানে সন্ধ্যেবেলা বাচ্চাদের নাচ হবে নির্ঘাৎ। কিংবা অবাক জলপান অভিনয়। মঞ্চের ডানদিকে পুজোর ব্যবস্থা হয়েছে। ওখানে কোনও সারপ্রাইজ নেই। মা আর চার ছেলেমেয়ে, সিংহ, ইঁদুর, প্যাঁচা, হাঁস, ময়ূর, আর মহিষাসুর লাইন দিয়ে বিরাজ করছেন। গণেশের পাশে ঘোমটা দিয়ে নবপত্রিকাও লজ্জিত মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমি খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে, খানকতক ছবিটবি তুলে চেয়ারে গিয়ে বসলাম।

বসতে না বসতেই মহা হট্টগোল। হট্টগোলের মধ্যে বেশ একটা চুম্বকের মতো ব্যাপার থাকে। শুরুতে গোটাদুয়েক লোক চেঁচামেচি করে, কী হচ্ছে কিছু বুঝতে না পেরে আরও কিছু লোক খবর নিতে সেদিকে যায়, গিয়ে তারাও হল্লায় যোগ দেয়। এর পর যারা হল্লার দিকে ধাবিত হবে তারা কেউই জানবে না ঘটনাটা কী। কিন্তু তারাও চেঁচাবে। এক্ষেত্রেও সে রকমটাই ঘটল। চেয়ার নিমেষে ফাঁকা হয়ে গেল, প্রতিমার সামনেটা প্রায় সকাল দশটার হাওড়া স্টেশনের চেহারা নিল। আমি অভূতপূর্ব ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে চুপ করে ক্যামেরা কোলে বসে রইলাম। মিনিট পাঁচেক পরে দেখি আলুথালু চুল আর বিশ্বজয়ের হাসি নিয়ে একজন ভিড় ঠেলে উদয় হলেন, তাঁর মাথার ওপর দু’হাতে ওয়ার্ল্ডকাপের মতো তুলে ধরা প্লাস্টিকের বাটিতে প্রসাদ।

ভাগ্যিস ঠেলাঠেলিতে যাইনি। প্রসাদে আমার ইন্টারেস্ট নেই। অনেক বছর আগে, পাড়ার পুজোতে একবার প্রসাদের থালা থেকে সরল বিশ্বাসে কাঁচকলার টুকরো তুলে মুখে পুরে চিবিয়ে ফেলেছিলাম, সেই থেকে প্রসাদকে আমি ভক্তিভরে এড়িয়ে চলি।

ততক্ষণে ওদিকের ভিড় থেকে দলে দলে লোক মাথার ওপর প্লাস্টিকের বাটি তুলে ধরে বেরোতে শুরু করেছেন। তাঁদের মুখের পরিতৃপ্তির হাসি দেখার মতো। তৃপ্তিটা প্রসাদের জন্য নয় অফ কোর্স। এই যে অন্যদের কনুইয়ের গুঁতো মেরে হটিয়ে নিজের জন্য একটা জিনিস আদায় করা গেছে, সেটাতেই আনন্দ। ছোটবেলায় আমরা বিজয়ার পর দধিকর্মা পাওয়ার জন্য এ রকম করতাম। পর্যাপ্ত দধিকর্মা বানানো হয়েছে, ধীরেসুস্থে লাইন দিয়ে দাঁড়ালে সবাই খেয়ে, বাড়িও নিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু যুক্তিপূর্ণ সমাধান মহা বোরিং। তার থেকে একে অপরকে পায়ে পিষে ফেলে পাঁচফুট দু’ ইঞ্চির সাহাকাকুর হাত থেকে দইচিঁড়ের হাড়ি প্রায় ছিনতাই করে নেওয়া এককোটিগুণ বেশি আনন্দের।

প্রসাদছিনতাইকারীদের একটা ছোট দল কলবল করতে করতে আমার পাশের ফাঁকা চেয়ারগুলোয় এসে বসলেন। পাশে বসে কেউ খেলে আপনি কি তার খাবারের দিকে একটিবারও চোরা দৃষ্টি না চালিয়ে থাকতে পারেন? পারলে আপনি প্রতিভাবান, আমি নিতান্ত ছাপোষা মানুষ। আড়চোখে ঝট করে একবার প্লাস্টিকের বাটির দিকে তাকিয়ে নিলাম।

যা ভেবেছিলাম তাই। একগাদা কাটা ফল। গাদাগাদি করে বাটির মধ্যে শুয়ে আছে। অনেকক্ষণ আগে কেটে রাখলে যে একটা কাদাকাদা ব্যাপার হয় সেটাও হয়েছে মনে হল। মনে মনে “হোয়াটেভার” বলে চোখ সরিয়ে আবার লোক দেখা শুরু করব এমন সময় আমার মগজ হঠাৎ আর্তনাদ করে উঠল।

ওটা কী দেখলাম?

কী আবার দেখলাম? একগাদা বোরিং ফল। জঘন্য।

আরে না, ফলের পাশে যে একটা চকচকে বাদামি রঙের কী একটা ছিল? বেশ বড় গুলির সাইজের?

এটিকেটের মুখে ছাই দিয়ে আবার পাশের ভদ্রমহিলার হাতের প্রসাদের বাটির দিকে চুরি করে তাকালাম। ওই তো, ওই তো দেখা যাচ্ছে! একটা প্রমাণ সাইজের গুড়ের নাড়ু। মহিলা সবে সেটা তুলে কামড় বসাবেন বলে তৈরি হচ্ছেন। আর বাটি থেকে নাড়ু তুলে নিতেই তার তলা থেকে বেরিয়ে পড়েছে অফ-হোয়াইট রঙের চৌকো মতো কী একটা জিনিস . . .

আমি জানি ওই জিনিসটা কী। ওটা আমার সর্বকালের সেরা তিনটে খাবারের মধ্যে একটা। ওটার নাম কালাকাঁদ।

ছিটকে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লাম। ক্যামেরা আর হাতব্যাগ (সে ব্যাগে আবার পাসপোর্টও রয়েছে) অভিভাবকহীন ফেলে রেখে ছুট লাগালাম ভিড়ের দিকে। মাদুর্গা সদলবলে আছেন, আমার পাসপোর্ট তিনিই সামলে রাখবেন। ভিড় তখন অবশ্য খানিকটা কমে এসেছে। খানদশবারো লোক প্রসাদ হাতে প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে স্মলটক করছেন। আমি কোনওমতে তাঁদের ফাঁকফোকর দিয়ে গলে একেবারে সামনে গিয়ে উপস্থিত হলাম। অসামান্য টাইমিং। হওয়া মাত্র পেছনের ঘর থেকে আরও এক ট্রে প্রসাদের বাক্সের আবির্ভাব ঘটল। আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম, ওদিক থেকে প্রসাদের বাক্স এগিয়ে এল। আমি সেটাকে ওয়ার্ল্ডকাপের মতো দু’হাতে মাথার ওপর তুলে ধরে “একটু সাইড দেবেন দাদাদিদিরা” ইত্যাদি বলতে বলতে ফাঁকা জায়গায় বেরিয়ে এলাম।

ব্যাগট্যাগ ইত্যাদি ধুমধাম করে মাটিতে নামিয়ে চেয়ারে বসে কোলে রাখা বাটির দিকে তাকাতেই চোখের সামনে এই দৃশ্যটা ভেসে উঠল।


নো নারকেল নাড়ু, নো কালাকাঁদ। একগাদা ফল, অনেকক্ষণ আগে কাটা বলে সামান্য কাদাকাদা, গাদাগাদি করে বাটির ভেতর শুয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। প্লাস্টিকের কাঁটা দিয়ে আপেল নাসপাতি সরিয়ে সরিয়ে খুঁজে দেখেছিলামও, গুঁড়োটুড়ো যদি কিছু ভুলবশত চাপা পড়ে গিয়ে থাকে।

নাথিং।

মা সবসময় বলেন, জীবনের হারজিতসুখদুঃখগুলো কোনও ব্যাপার নয় সোনা। সবসময় মনে রাখবে কী শিখলে। এ’বছরের পুজো থেকে আমার শিক্ষা এটাই। কালাকাঁদ যদি পেতে হয়, তাহলে হা রে রে রে করে সবাইকে দৌড়ে হারিয়ে সামনের দিকে ছুটে যেতে হবে। ‘আই অ্যাম টু গুড ফর দিস্‌’ গোছের প্যাথেটিক অজুহাত দেখিয়ে গাল ফুলিয়ে দূরে বসে থাকলে চলবে না।

আসছে বছর পুজোয় তাই করব মা। আশীর্বাদ কর যেন সবার থেকে জোরে ছুটতে পারি।

আজ এই বিজয়াদশমীর পুণ্যপ্রভাতে আপনাদের জন্য আমার তরফ থেকে অনেক অনেক ভালো-চাওয়া, ভালোলাগা, ভালোবাসা রইল। আপনারা সবাই খুব আনন্দে থাকুন, শান্তিতে থাকুন, যে যার নিজস্ব কালাকাঁদের দিকে ভীষণ জোরে ছুটে যান---সেই কামনা করি। শুভ বিজয়া।


Comments

  1. This comment has been removed by a blog administrator.

    ReplyDelete
    Replies
    1. Sanhita! bhishon bhishon sorry, bhul jaygay click kore tomar comment delete hoye gechhe. ei boi chhnuye bolchi eta ekebarei ichchhakrito noy. ami seriously sorry. Please kichhu mone koro na.

      tomake amar torof theke shubho bijoyar anek priti bhalobasa ar shubhechchha janai.

      Delete
    2. আরে ঠিক আছে... :)

      Delete
  2. Amar pujor high point hochhe shakalu sohijoge 1 patro whiskey ebong tarpor jhompor jhompor kore priyo bondhu shruti natok.

    Suvo Bijoya ..

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভ বিজয়া অনির্বাণ। শাকালু + হুইস্কি + অঞ্জন দত্ত--- তুমি যে প্রতিভাবান সেই আঁচটা আগেই পেয়েছিলাম, এবার নিঃসন্দেহ হলাম। কুর্নিশ!

      Delete
  3. Replies
    1. শুভ বিজয়া তিন্নি। কোলাকুলিটা দেখা হলে হবে।

      Delete
  4. ahh..ki je bhalo ekta commentary type prosad khawa-r golpo likhechen j ki bolbo...হট্টগোল er upor to Phd korechen dekchi..darun...
    Subho Bijoya janai apnake..ro bhalo bhalo lekha poran amader...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনাকেও আমার দিক থেকে শুভ বিজয়ার অনেক অনেক প্রীতিশুভেচ্ছা জানাই সৌমেশ। লেখা ভালো লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম। হট্টগোলে পি এইচ ডি করতে পারলে তো হয়েই যেত...

      Delete
  5. আপনার কি মজা! ধুনোর গন্ধ পেলেন! এখানে তো স্মোক অ্যালার্ম বাজার ভয়ে ধুনুচি নাচও হয় আগুন ছাড়া। ও জিনিসটা খুব মিস করি। আপনাকেও শুভ বিজয়া জানালাম।
    কালাকাঁদ আর নাড়ু না পাওয়ার জন্য আপনার প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ও ব্যাপারটা আমার খুবই ঘটে। এবারও ভারত সেবাশ্রমে আরেকটু হলেই জিলিপি ফস্কে যাচ্ছিল। সব্বাইকে জিলিপি দিচ্ছে, ওমা, আমি গিয়ে হাত পাততেই গোলাপজাম। নেহাত আত্রেয়ী জিলিপি পেয়েছিল তাই জিলিপি আর গোলাপজাম দুটোই ভাগ করে নেওয়া গেল। আরেকটা ব্যাপার হয়েছে এ বছরের পুজোয় - এক ভদ্রমহিলা এসেছিলেন যাকে আমি শিওর গিয়ে পাকড়াও করতাম "কেমন আছেন? চিনতে পারছেন?" ইত্যাদি বলে, যদি না জানতাম আপনি প্যারিসে আছেন। মানে আমি দুদিন ধরে তাঁকে এমনভাবে হাঁ করে দেখেছি, উনি বুঝতে পেরেছেন কিনা কেজানে! এত মিলও হয় মানুষে মানুষে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমাকে দেখলেই সবাই বলে, আগে নাকি আমাকে কোথায় দেখেছে। নিশ্চয় আপনার দেখা ভদ্রমহিলাকে দেখেছে তারাও।

      সিরিয়াসলি, জিলিপি নিয়ে কিছু প্যাঁচ খেলাতেও পারে লোকে। ভাগ্যিস আত্রেয়ী ছিল।

      আপনাকে আর আপনার পরিবারের সবাইকে শুভবিজয়ার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা, আরও যা যা উপযুক্ত জানানোর জানালাম। আপনারা সবাই খুব ভালো থাকুন এই কামনা করি।

      Delete
  6. শুভ বিজয়া! আমার আর এই পুজোয় প্রসাদ জোটেনি, বিলিতি খাবার খেয়েছি ... পরের বছর কালাকাঁদ কোলে এসে পড়বে নির্ঘাৎ - চিন্তা করবেন না :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার মুখে কালাকাঁদ পড়ুক সুনন্দ। তোমাকেও আমার তরফ থেকে শুভ বিজয়ার অনেক ভালোবাসা জানাই।

      Delete
  7. Prosad episode to puro jome geche.....France eo bangali prosad niye marpit kore....fatafati toh....eifeleswarir joy...Shubho Bijoya

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ রণিতা। শুভ বিজয়ার অনেক প্রীতিশুভেচ্ছা নিয়ো।

      Delete
  8. শুভ বিজয়া দি। কাকু-কাকীমা কেও প্রণাম। কাকীমার কথাখানা কি দামী। বলে দিয়ো, মনে বেশ জোর পেলাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, বলে দেব আবির। তোমাকে শুভ বিজয়ার অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানালাম।

      Delete
  9. সবাইকে শুভ বিজয়া। প্যারিসে নিশ্চয় হলদিরাম টাইপের দোকান আছে, সিধুজ্যাঠাকে জিজ্ঞেস করে একবার ঢুঁ মেরে নিন। কালাকাঁদ, জিলিপি, নারকেল নাড়ু, কাজুবরফি, সবগুলো একটু একটু কিনে আনুন। নাকি আজকাল ডায়েটিং করছেন?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনাকেও আমার আর অবান্তরের পক্ষ থেকে শুভ বিজয়া দেবাশিস। তার সঙ্গে আরও একবার থ্যাংক ইউ, পুজোর খোঁজ দেওয়ার জন্য।

      আরে ম্যাপ খুঁজতে হবে না, মোড়ে মোড়ে হলদিরাম খুলে বসে আছে এরা। তবে নিমকির বদলে পামিয়ার আর অপেরা ইত্যাদি মিষ্টি। তুমুল ভালো খেতে, খাচ্ছিও। ডায়েটিং-ই হচ্ছে একরকম, তবে দরকারের থেকে বেশি খাওয়ার ডায়েটিং।

      Delete
  10. K. bijoyar anek shubhechha roilo. "kobji dubiye khawa dawa" ta tola thaklo....jedin dekha hobe shei din er janne :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমাকেও শুভ বিজয়ার অনেক অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা শম্পা। ভাগ্যিস তুমি সেই গোয়েন্দার পোস্টটায় গরজ করে কমেন্ট করেছিলে, তাই তোমার সঙ্গে আলাপ হল। থ্যাংক ইউ। নিশ্চয়, দেখা হবেই আর দেখা হলে খাওয়া, আড্ডা দুটোই হবে।

      Delete
  11. subho bijaya kuntaladi.. amader pujoy ebar keno ke jane prosaad chiloi na! oboshyo anjali i ato pore holo tar porei lunch er line pore gelo, kintu kalakand ta jutlo na :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভ বিজয়া স্বাগতা। প্রসাদ তুলে দিয়েছে! বৈপ্লবিক ব্যাপার করেছে তো। তুমি দিল্লি এলে আমি তোমাকে পেটভরে কমলা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কালাকাঁদ খাওয়াব কথা দিচ্ছি।

      Delete
  12. subho bijoya ....naru kalakand na pawar jonne dukkhito.. ashche bochor hobei hobe..

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার মুখে নাড়ু কালাকাঁদ পড়ুক। আমার তরফ থেকেও শুভ বিজয়ার অনেক প্রীতিশুভেচ্ছা জেনো।

      Delete
  13. Subho Bijoya !!! saratabachhor khub bhalo katuk. koekdin kolkata r baire chhilam, internet er nagal ekebare je chhilona ta noi tobe seta etoi durbol je kajer kaj kichhu hochilo na , abantor porbo bole aj boshe achhi, ek ek kore sob sesh kori.

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভ বিজয়া ইচ্ছাডানা। আপনার, আপনার পরিবারের সকলের ভালো কামনা করি। বেড়াতে গিয়েছিলেন বুঝি?

      Delete
    2. 'Bishnupur', mane mondir nagorite giechhilam . :-)

      Delete
    3. সর্বনাশ, ও তো আমার ফেভারিট বেড়াতে যাওয়ার জায়গা ইচ্ছাডানা। আপনার কেমন লেগেছে? আমি যাকে বলে মুগ্ধ বিমোহিত সম্মোহিত হয়েছিলাম। ঘোড়া কিনে এনেছেন?

      Delete
    4. Amio kintu ei 'Cyclone' er subade bristibheja Bishnupur dekhe elam, tai jake amio 'Mugdho' . Bishnupur theke ghora asbena emonta hoi naki? :-)

      Delete
  14. ফল-প্রসাদ আমার চিরকালই বিস্বাদ লাগে। প্রসাদে'র প্লেট গরম করতে চাই খিচুড়ি-আলুর দম! জয় মা!

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি স্মৃতিলেখা, ঠাকুরদেবতাকে যে কী করে লোকে ওসব খেতে দেয় কে জানে। এই জন্যই তো তাঁরা কুপিত হয়ে বর দেন না।

      Delete
  15. thik thik amio ei kothata vabi ....amader barite j kono pujoy kon ekta bhog e most probably sonder time e jeta day setay choto choto luchi hoy r ki bolbo mairi segulo nun chara!!!...omon bichhiri khabar dile ami jonmeo kono bor ditam na...eibar ami onekgulo kalakad peyechilam ...ekta batite dekhi khali kalakad no fol no chal kola nothing...byas jhapiye porlam r ki ...tobe era na korechilo gurer naru na korechilo jilipi...dur dur

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাটিভর্তি কালাকাঁদ! প্রসাদে! তুমি তো ভয়ানক ভাগ্যবাদ দেখছি প্রদীপ্তা।

      Delete

Post a Comment