জিন আছে পিছে
অনেক ছোটবেলার একটা
কথা মনে পড়ে গেল কাল রাতে। রিষড়া স্টেশনের ডাউন প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা
করছিলাম। আমি, মা, বাবা আর দীপকাকু। কোথায় যাচ্ছিলাম কেন যাচ্ছিলাম কিচ্ছু মনে
নেই। তবে দীপকাকু সঙ্গে আছেন যখন ধরে নেওয়া যেতে পারে থিয়েটার কিংবা জলসা, এ দুটোর
মধ্যে কোনও একটা দেখতে যাওয়া হচ্ছিল। দীপকাকু বাবাদের ক্লাবে নাটক করতেন, বাড়িতে
এলে কক্ষনও আমার জন্য ক্যাডবেরি না নিয়ে আসতেন না (এখনও আসেন না। এখন যে আমার
মাথার অর্ধেক চুল সাদা হয়ে গেছে, এখনও।) আর ভীমসেন যোশীকে ভগবানের
থেকেও বেশি ভক্তি করতেন।
দাঁড়িয়ে আছি তো
আছিই, ট্রেন আর আসে না। ওদিকে আপে তিনখানা ট্রেন হুশ্হুশ্ করে চলে গেছে। সবসময়েই
যায়। এই যদি আমাদের ফাংশান শ্রীরামপুর কিংবা শেওড়াফুলিতে হত, তাহলে আপে আমরা হাঁ
করে দাঁড়িয়ে থাকতাম আর ডাউনে ট্রেনের ঢল নামত। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার পা ভীষণ ব্যথা করছিল, বাবা আর কাকু কী
সব বোরিং বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন, এমন সময় হঠাৎ কথা নেই বার্তা নেই মা বলে উঠলেন,
“কী সুন্দর মেয়েটা, আহা।”
কী মেয়ে, কোথায়
মেয়ে, কেন মেয়ে? বাবা আর কাকু থতমত খেয়ে চুপ করে গেলেন, আমি পায়ের ব্যথা ভুলে ঘাড়
ঘুরিয়ে মেয়ে খুঁজতে লাগলাম। মা আমাদের হেল্প করার জন্য বললেন, “ওই তো ওই
প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে। ইস্, কী সুন্দর...”
সুন্দরের প্রতি
মায়ের লোভ চিরকালের। শাশুড়ির থেকে মা এটা পেয়েছেন নির্ঘাত। আমার ঠাকুমাও সুন্দর
লোক দেখলে গলে যান। বাকিদের কাছে সততা, সাহসিকতা ইত্যাদি গুণাবলী যেমন
নন-নেগোশিয়েবল্, আমার ঠাকুমার কাছে সৌন্দর্য তেমনি। নিতান্ত অপোগণ্ড অপদার্থ
লোকেরও যদি মুখটা চাঁদপানা হয় তাহলে আমার ঠাকুমা তাকে সহ্য করে নেবেন। ক’বছর আগে
পর্যন্ত আমাকে যখন সকলেই কবে বিয়ে করবি, কবে বিয়ে করবি করে জ্বালিয়ে মারছিল, তখন
ঠাকুমা খালি বলতেন, এবার একটা সুন্দর দেখে নাতজামাই ঘরে এলেই তিনি নিশ্চিন্তে চোখ
বুজতে পারেন। মোটা, বেঁটে, হ্যাংলা, তোৎলা, সিপিএম---সবরকমের
নাতজামাই মেনে নিতে রাজি আছেন ঠাকুমা, শুধু সুন্দর হতে হবে। আমি ঠাকুমাকে যুক্তি
দিয়ে ব্যাপারটা বোঝানোর চেষ্টা করতাম। সুন্দর লোকেরা ঠাণ্ডা মাথায় আমাকে কেন বিয়ে
করবে? ঠাকুমা খুব অবাক হয়ে উল্টে আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, কেন করবে না? আমার মতো
সুন্দর মেয়ে রাস্তাঘাটে ক’টা বেরোয়? ঠাকুমা তো সারাদিনই জানালা দিয়ে রাস্তার লোক
দেখেন, কই তাঁর চোখে তো পড়ে না।
আমার ঠাকুমার সাহস,
স্পষ্টবাদিতা আর নাতনির প্রতি অন্ধ পক্ষপাতিত্ব---তিনটেই লেজেন্ডারি।
যাই হোক, আমরা সকলেই
যে যার কাজ থামিয়ে মা’কে মুগ্ধ করা সুন্দরী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে দেখলাম। মেয়েটিকে
কেমন দেখতে ছিল সেটা সত্যি বলছি আমার মনে নেই। শুধু তারপর যে কথোপকথনটা হয়েছিল,
সেটা মনে আছে। বয়সের সঙ্গে সৌন্দর্যের যে একটা স্ট্যাটিসটিক্যালি সিগনিফিক্যান্ট
এবং নেগেটিভ সম্পর্ক আছে, সেটাই ছিল আলোচনার মূল বক্তব্য। চাঁচাছোলা ভাবে
বললে, যৌবনে কুক্কুটীও ধন্যা। মায়ের বোধহয়
কথাটা খুব একটা পছন্দ হয়নি। সৌন্দর্য চিরকালীন, এই ধরণের কোনও একটা মতবাদে মা
বিশ্বাস করতেন।
এইবারে যে কথাটা বলব
সেটা শুনলে কানে লাগবে হয়তো, কিন্তু আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, নেহাত তর্কের
ঝোঁক ছাড়া সে কথার পেছনে আর কোনওরকম বদরুচির প্রকাশ ছিল না। দীপকাকু মায়ের দিকে
ঝুঁকে পড়ে বললেন, মেয়েটির পাশে মেয়েটির মা দাঁড়িয়ে আছেন, সৌন্দর্য যে চিরকালীন নয়,
সেটা ওঁকে দেখে ভেরিফাই করে নিতে পারেন বৌদি। তাছাড়া মায়ের বয়সে পৌঁছলে মেয়েটিকে
কেমন দেখতে হবে তারও একটা আন্দাজ পাবেন।
আমরা আবার সবাই মিলে
মেয়ের পাশে দাঁড়ানো মায়ের দিকে তাকালাম। আমার মনে নেই ভদ্রমহিলাকে কেমন দেখতে ছিল,
কিন্তু মেয়ের নখের যুগ্যি যে ছিলেন না সে নিয়ে বড়রা সবাই সর্বান্তকরণে সম্মত হলেন।
তারপর ট্রেন এসে গেল, আমরা মহানন্দে তাতে চেপে হাওড়ার দিকে রওনা দিলাম। বাকি
রাস্তাটা মা বেশি কথা বললেন না।
সব মায়েদের মনেই এই
ভাব থাকে কি না জানি না, আমাকে বড় করার সময় আমার মায়ের একটা প্রধান লক্ষ্য ছিল মেয়ে যাতে তাঁর মতো না হয় সেটা সুনিশ্চিত করা। আমার মা নিজের জীবন নিয়ে যথেষ্টই
তৃপ্ত একজন মানুষ, কিন্তু নিজের দিব্যি-ভালো জীবনের জায়গায় সন্তানের জীবন দারুণ-ভালো
হোক, সেটা আর কোন মা না চায়। “বাবারা যা পায়নি তা আমরা পাব না” কথাটা অক্ষরে অক্ষরে
সত্যি হলেও কোনও বাবাই সেটা প্রাণ থাকতে বিশ্বাস করতে চান না। স্বাস্থ্যের
ভালোমন্দের দিকটা তো ছিলই, কিন্তু আমার পেছনে “ওরে খা’রে খা’রে” করে লেগে থাকার
সময় মায়ের মাথায় নির্ঘাত ঘুরত নিজের কথা। সারাজীবন খ্যাংরাকাঠি হওয়ার গঞ্জনা
শুনেছেন তিনি। আত্মীয়ের বিয়েতে, পাড়ার প্যান্ডেলে, অফিসের ক্যান্টিনে। একবার আমার
মতো হয়ে গেলে কিন্তু আর ফেরার পথ থাকবে না, শেষটা মা এই হুমকি পর্যন্ত দিতেন।
সত্যি বলতে কি,
মায়ের মতো হওয়ার জন্য আমিও এমন কিছু হেদিয়ে মরিনি কোনওদিন। মা ভীষণ ভালো, ভীষণ
মজার, সবই ঠিক আছে। কিন্তু “হতে”ই যদি হয় তবে মায়ের বদলে মাদাম কুরি হওয়াই ভালো নয়
কি? নিদেনপক্ষে শাহরুখ খান? অন্যদের কথা জানি না, আমার জন্য অন্তত রোলমডেল হওয়ার
বদলে কী কী হব না সেটা ঠিক করার জন্য বাবামা বেশি কাজে দিয়েছেন। তাঁরা আজীবন কলম
পিষেছেন, আমি পিষব না, তাঁরা আজীবন লোকের মুখ চেয়ে বেঁচেছেন, আমি বাঁচব না---ইত্যাদি
প্রভৃতি।
বুকের ভেতর থেকে
মাদাম কুরি কবেই ধোঁয়া হয়ে উবে গেছেন, এখন সারাদিন কি-বোর্ড পিষছি। মাবাবার
চাকরিগুলোর তবু একটা স্থায়িত্ব ছিল, সারাজীবনের দাসখত লিখে দেওয়ার পরিবর্তে
যাবজ্জীবন পেনশন আর মেডিক্যাল বিলের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতির সান্ত্বনা
পুরস্কার ছিল। নিয়মিত ফোন করে, চিঠি লিখে, শনিরবিবার বিকেলে মেয়েকে ট্যাঁকে গুঁজে গল্প
করতে যাওয়ার মতো স্বজনবান্ধব তাঁরা মেন্টেন করতে পেরেছিলেন। এন্টারটেইনড্ হওয়ার
জন্য শপিং মলে গিয়ে হাস্যকর দাম দিয়ে কফির কাপে চুমুক দিতে হয়নি।
মায়ের মতো হতে পারার
অপশনটা কি এখনও খোলা আছে? তাহলে এই আমি নাকখত দিচ্ছি, আমাকে আবার শুরু থেকে শুরু
করতে দেওয়া হোক, দোহাই ধর্মাবতার।
ধর্মাবতার যদি কেউ
থেকেই থাকেন, তাহলে আমার এই কান্নাকাটি শুনে তিনি যে খুব গলা খুলে হাসছেন সে নিয়ে
কোনও সন্দেহ নেই। কারণ আমি আবার ভুল বুঝেছি। যথারীতি। মায়ের মতো হতে পারার অপশনের
খোলা থাকা না-থাকার প্রশ্নটাই ওঠে না, কারণ মায়ের মতো না-হওয়ার অপশনটা ছিলই না
কখনও। আমি যখন ভাবছিলাম মায়ের দুনিয়াটা থেকে খুব জোরে দৌড়ে পালাচ্ছি, ডি এন এ-র
প্যাঁচের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে সে দুনিয়াটাও আমার সঙ্গে সঙ্গেই দৌড়চ্ছিল। দৌড়চ্ছিল
বলা ভুল হল, কারণ দৌড়োদৌড়ির পুরো পরিশ্রমটাই আমার, সে ব্যাটা খালি পায়ের ওপর পায়ের
তুলে বসে চারদিক দেখছে আর হাই তুলছে।
তাতে অবশ্য আমার রাগ
নেই। বরং বেশ একটা হাঁপ-ছাড়া শান্তির ভাবই আছে। বিজয়ার প্রণাম সেরে ফোন রাখার আগে
সেজমাসি যখন বলেন, জানো সোনা, তোমার গলাটা, কথা বলার ভঙ্গিটা অবিকল মণির মতো। তুমি
শুরুতেই ‘মাসি’ বলে না ডাকলে আমি বুঝতেই পারতাম না যে এটা তুমি, আমার বোন নয়।
এমন কথা শোনার পরও মন
ভালো না হয়ে পারে, বলুন?
ইদানীং নিজেও টের
পাই। সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে হঠাৎ থেমে নিজের দিকে তাকিয়ে আবিষ্কার করি, এইমুহূর্তে
আমার ঘাড় হেলানোর ভঙ্গিতে, আঙুলের মুদ্রায়, গলার স্বরে যেন ভীষণ চেনা আরেকটা লোকের
উপস্থিতি। অফিস থেকে এসে জামাজুতো ব্যাকপ্যাক ছুঁড়ে ফেলার পর আপনি কী করেন? হাত-পা
ধোন? চা খান? টিভি খোলেন? আমি চুল আঁচড়াতে বসি। মা যেমন বসতেন। চিরুনি দিয়ে টেনে
টেনে মাথার ভেতর থেকে সারাদিনের দুশ্চিন্তাগুলোকে বার করে বাইরে ছুঁড়ে ফেলি। আঙুলে
পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে কোনওমতে একটা বিনুনি বানাই। মিলের অবশ্য ওইখানেই ইতি। আমার
অষ্টাবক্র বিনুনির দৈর্ঘ্য দেড় ইঞ্চি, আর আমার মা হাত যতদূর সম্ভব পেছনে লম্বা
করেও কুলোতে পারতেন না, গলার পাশ দিয়ে সামনে টেনে এনে বাকিটা শেষ করতে হত। রাতে
এখন অবিকল মায়ের মতো একবাটি দুধ নিয়ে বসি। মায়ের বাপের বাড়ির সবাই বলে, মা নাকি আগের
জন্মে বেড়াল ছিলেন। দুধ গরম করে আমাকে, বাবাকে, ঠাকুমাকে যার যার নির্দিষ্ট গেলাসে
করে হাতে ধরানোর পর মা নিজে একটা বাটিতে দুধ নিয়ে তাতে খানিকটা মুড়ি (বা চিঁড়ে, বা
বেঁচে যাওয়া হাতরুটির টুকরো) ঢেলে খাটের ধারে পা ঝুলিয়ে বসতেন। পা অল্প দুলিয়ে
দুলিয়ে চামচে করে মুখে পুরতেন। মায়ের জীবনের আরও একটা দীর্ঘ, ক্লান্তিকর, ব্যস্ত
দিনের ওটাই ছিল অফিশিয়াল শেষ। হাজার মুর্গমুসল্লম, বিরিয়ানি, চেলো কাবাব,
আইসক্রিমওয়ালা ডিনার খেয়ে আসার পরও মা’কে লজ্জিত মুখে চুপিচুপি দুধের বাটি নিয়ে
বসতে দেখেছি।
আমিও এখন ভাবতে পারি
না, দুধ কর্নফ্লেক্স ছাড়া একটা মানুষের দিন শেষ হয় কী করে। অফিসে যাওয়ার আগে
রেডিয়েটরের সুইচ, গ্যাসের নব ইত্যাদি যথাযথ ঘোরানো হয়েছে কি না পরীক্ষা করার ফাঁকে ফ্রিজের দরজা খুলে একবার দুধের পরিস্থিতিটা চেক করে নিই। কাউন্টারে রাখা
কোকো-ফ্লেকসের কটকটে হলুদ রঙের বাক্স ঝাঁকিয়ে দেখি আজ রাতের মতো স্টক আছে কি না।
নয়তো ফেরার সময় কিনে আনতে হবে। ভুলে গেলেই কেলেংকারি। পুরো দিনটা মাটি। কাল আরেকটু
হলেই ভুলে যাচ্ছিলাম। অফিসের পর সবাই মিলে যুক্তি করে ইন্দোনেশিয়ান ডিনারে যাওয়া
হয়েছিল, ফাউজির এমব্যাসি থেকে নাকি বলেছে প্যারিসের সেরা নাসি গোরেং খেতে হলে ওই
দোকানেই যেতে হবে। নাসি গোরেং খেয়ে, হাহাহিহি করে বাড়ি ফেরার সময় সুপারমার্কেট
ছেড়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে এসে বাড়ির বাড়ন্ত কোকোফ্লেকসের কথা মনে পড়ল।
আমি আঁতকে উঠে পেছন
ফিরে ছুটলাম। মার্কেট বন্ধ হয়ে গেলেই তো গেছি। উসেইন বোল্টের স্পিডে ছুটে গিয়ে
দোকানে ঢুকে ছোঁ মেরে বাক্স তুলে নিয়ে তবে শান্তি। আজ দিনটা রক্ষা পেল কোনওমতে।
পাড়ার ফাঁকা রাস্তা
দিয়ে ফিরতে ফিরতে অনেকবছর আগের রিষড়া স্টেশনের সেই কথোপকথনটার কথা মনে পড়ে গেল। এখন
দেখে যতই আলাদা মনে হোক না, শেষটায় মেয়ে যে অবিকল মায়ের মতো হয়ে যাবে তাতে কোনও
সন্দেহ নেই। অন্তত আমি হয়েছি। ভাগ্যিস্। মায়ের বদলে শাহরুখ খানের মতো হলে কী হত?
ভাবতেই আমার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠাণ্ডা স্রোত নেমে গেল। কোকোফ্লেকসের বাক্স আরও
একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আমি জোরে পা চালালাম।
তোমার মা'ভিত্তিক লেখা গুলো তে একই ইমোশনের চর্বিতচর্বণ থাকে। একই ঝাল, একই মশলা - কিন্তু সেই সাথে একই সুগন্ধ, একই স্বাদ।
ReplyDeleteঅনেকটা সঞ্জীবের রুকু সুকু, বড়মামা-মেজমামার মতন। এই ঘরানার সমস্ত গল্পের মেজাজ একইরকম, কিন্তু ওই যে, ছাড়া যায় না। বারবার পড়তে হয়।
প্যারিসে এক বন্ধু বলছিল তোমার সাথে দেখা হয়েছে নাকি তার। দূর্গা পুজোয়। যেটা ভাবছিলাম, সেটা হল তোমার সাথে একটা হামলে-পড়া-ফ্যান-টাইপ ছবি তুলবো। গত মাসে জুরিখ গেসলাম, সামনে রোম।
ইওরোপের বুকে ফ্যান-ছবি-টা আর হোলো নি !
* দুর্গাপূজা
Deleteআরে বাঃ রোম! হ্যাপি জার্নি অনির্বাণ।
Deleteতোমার এই লেখাগুলো আমার পাঁচালীর থেকে কোনো অংশে কম লাগে না। গড়গড় করে পড়ে নিই, তারপর একটু ভারি মনে একটু থিতু ভাবতে বসি। হুড়মুড়িয়ে চলতে থাকা জীবনটাকে একটু লাগাম টেনে থামাই। ভারি ভালো লাগে তোমার আর মণির এই মনের মিলজুল।
ReplyDeleteশুধু দু-টো জিনিস পোষালো না - দুধ আর শাহরুখ খান। আমি যখন প্রথম বাড়ির বাইরে এসেছিলাম - হস্টেলে, অনেক খারাপ জিনিসের মধ্যে একটাই ভালো জিনিস মনে হয়েছিল, আর বাবার ভয়ে রোজ সন্ধ্যাবেলা এক গেলাস করে দুধ খেতে হবে না। যদিও হস্টেলে নামমাত্র খরচে এক গেলাস দুধ রাত্রে পাওয়া যেত শুনে বাবা বলেছিল নিয়ম করে দুধ খেতে, কিন্তু ন্যাড়া আর বেলতলায় যায়নি। আর শাহরুখ নিয়ে কিছু বলার নেই, এতো রদ্দি মাল চলে কিকরে কে জানে।
থ্যাংক ইউ আবির। আর শাহরুখ খান আমারও পোষায় না, কাজেই সেই যুক্তিতে তোমার তো পোষানো উচিত।
Delete:)
ReplyDeleteBhalo lekha..
Deleteথ্যাংক ইউ সৌমেশ।
Deleteএটা আমারও খুব হয়, জানো। কলেজে পড়াকালীন একবার বাবা অফিস থেকে ফোন করে আমার গলাকে মায়ের গলা ভেবে ভুল করেছিল। যত বয়স হচ্ছে, মায়ের তাকানো, কথা বলা, আমার মধ্যেও এসে যাচ্ছে একটু একটু করে। ঠিক যেরকম করে দেখেছিলাম মাকে দিদার মত খানিকটা হয়ে যেতে। :)
ReplyDeleteআর হ্যাঁ, তোমাদের মত আমিও দুধ খেতে ভালবাসি। তবে রাত্রিবেলা মোটেও নয়!
দুধ অতি ভালো জিনিস প্রিয়াঙ্কা।
Deletekhub bhalo laglo pore ....amar galar shwar o akdom mayer moto sabai bole,,,gener khela baro sanghatik..amar mayer thekeo babar sange beshi mil pai nijer
ReplyDeleteতাই? আমার মনে হয় না তো...ভঙ্গিটা এক হতে পারে, কিন্তু আওয়াজ আমার আলাদা লাগে। আমারও বাবার সঙ্গে অনেক ছোটখাটো (কিন্তু ক্রুশিয়াল) ব্যাপারে মিল আছে।
Deleteফোনে গলা শুনে বাবা বা মায়ের গলা বলে ভুল করাটা খুবই হয়। মজার কথা হলো, যারা আপাতদৃষ্টিতে আলাদা, মানে যে ছেলে একেবারেই বাবার মতন নয়, তারও যে কথায়-বার্তায়-দাঁড়ানোয়-হাঁটাচলায় বাবার সঙ্গে কত মিল বেরিয়ে আসবে সেটা খুঁটিয়ে দেখলে অবাক হতে হয়। মেয়েদের আর মায়েদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই।
ReplyDeleteএই ব্যাপারটা কখনও কখনও উল্টো দিক থেকেও চোখে পড়ে। আমাকে আমার বাবার মতন দেখতে সেটা সবাই বলে, কিন্তু বাবাকে আমার একটা লেদার জ্যাকেট পরে পিছন দিক থেকে যে কি ভীষণ আমার মতন দেখতে লাগে সেটা যেদিন দেখেছিলাম আমি নিজেই ভয়ানক চমকে গেছিলাম (বাবা সাধারণত লেদার জ্যাকেট টাইপের জিনিসপত্র পরেনা, তাই এটা এত সহজে চোখে পড়েনা)।
হাহা এইটা ভালো অবজার্ভেশন সুগত। বাবামাকেও আমাদের মতো দেখতে লাগাটা। এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। মনের কিংবা স্বভাবের মিল না থাকলেও রকমসকমে মিল বেরিয়ে পড়েই।
DeleteAmar ekta proshno.ache....tomar ma ro ki tomar moton darun roshobodh.....tomader dujoner shathei alap korte icche korche.darun enjoy korlam lekhata
ReplyDeleteআমার মতো? একেবারেই না। আমার মা আমার থেকে এককোটিগুণ বেশি মজার রণিতা। লেখা ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Deleteo baba shahrukh khan hote parte bhebe amaro shirdara diye thanda srot neme gelo :P
ReplyDeletekhub sundor lekha ta..
থ্যাংক ইউ স্বাগতা। শাহ্রুখ খানের মতো যে হতে চাও না সেই জন্য এক্সট্রা থ্যাংক ইউ।
Deletebhagye tumi 'shahrukh khan' haoni.... ore baba, ota sanghatik hoto.
ReplyDeleteজাস্ট ভাবুন একবার।
Delete