La Poste
দাঁত থাকতে যে তার মর্ম কত
কম বোঝা যায় সে কথাটার আরও একবার হাতেনাতে প্রমাণ পেলাম। গত সাড়ে তিনমাস ধরে যখন
নিয়ম করে ক্লাসরুমে গিয়ে বসতে হচ্ছিল, টিমওয়ার্ক আর গ্রুপ ডিসকাশনের মেঘে মেঘে যখন
জীবন ছেয়ে ছিল, তখন একমাত্র আশার আলো ছিল এই প্রোজেক্ট স্টাডি। আর মাত্র ক’টা দিন,
তারপরেই একটা বন্ধ দরজার ভেতর আমি আর আমার ডেস্কটপ---এই সুখস্বপ্নে বুঁদ হয়ে শেষের
দিনগুলো কোনওমতে কাটিয়েছিলাম মনে আছে। যে যার হোস্ট অরগ্যানাইজেশনে রওনা হওয়ার
আগের দিন যখন সকলের মুখ কালো, কারও কারও চোখে জল, ক্যামিলা তো স্পষ্ট বলছে, “আই
ডোন্ট ওয়ান্ট টু ডু দিস স্টুপিড প্রোজেক্ট উইদাউট ইউ গাইস্...” সেই বিষাদের
মুহূর্তেও মনে হচ্ছিল, বলা যায় না, ভালোও তো লাগতে পারে?
ভালো যে লাগছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এখানে আমার যে বস্---অবশ্য
এখানে বস্ কথাটা ট্যাবু, সকলেই সকলের কাঁধে হাত রাখা বন্ধু---সে ভীষণ মজার লোক।
জন্মসূত্রে পাসপোর্ট উরুগুয়ের, বাবা ব্রাজিলিয়ান, মা স্প্যানিশ। (নাকি মা
ব্রাজিলিয়ান, বাবা স্প্যানিশ?) ল্যাটিন অ্যামেরিকার লোক হয়েও ফুটবলে বিশেষ উৎসাহ
নেই, চা ছাড়া বাঁচতে পারবে না। আমি অবশ্য প্রথমে বুঝিনি চা। দেখতাম একটা কালো রঙের
বাহারি ঘটির মতো পাত্র থেকে রুপোর স্ট্র-য়ে চুমুক দিয়ে কী যেন খায় চব্বিশঘণ্টা।
তারপর শুনলাম ওটাকে বলে মাতে। মাতে হচ্ছে দক্ষিণ অ্যামেরিকার একরকম ক্যাফিনেটেড
পানীয়। দেখতে গাঢ় সবুজ গুঁড়োর মতো। সেটাকে ওই ঘটির মধ্যে রেখে তার ওপর ফুটন্ত জল
ঢেলে দেয়। প্রক্রিয়া পুরোটা প্রায় আমাদের চায়েরই মতো, শুধু এখানে ছাঁকার পর্ব নেই।
ছাঁকনির বদলে স্ট্রয়ের ব্যবস্থা।
খেলাধুলোয় অনীহা আর চা-প্রেম ছাড়াও আমার আর H-এর আরেকটা বড় মিলের জায়গা হচ্ছে আমরা দুজনেই ফ্রেঞ্চে
ক-অক্ষর গোমাংস। 'বোঁজুঁ' আর 'মেহ্সি' ধুয়ে জল খাই। সেদিন
মিটিং শেষ করে খুব ঘটা করে ভুলভাল উচ্চারণে “Au revoir” বলে চেয়ার ঠেলে উঠতে যাব এমন সময় H বলল, “দাঁড়াও দাঁড়াও, ভীষণ কাজের একটা নতুন শব্দ জোগাড় হয়েছে। টুকে নাও শিগগিরি।”
À tes souhaits. (আ তে সুহে।)
কেউ
হাঁচলে স্বাস্থ্যকামনা করে ইংরেজরা যেমন “Bless you” বলে, ফ্রেঞ্চরা তেমনি বলে “À tes souhaits.”
যে রেটে ফ্লু হচ্ছে বাজারে, এই
শব্দটা শিখে রাখলে প্র্যাকটিস করার দেদার সুযোগ পাবে। বলল H।
আমি সেই থেকে চলতেফিরতে মাঝে মাঝেই
নিজের মনে আ তে সুহে, আ তে সুহে
বিড়বিড় করে ঝালিয়ে নিচ্ছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় আশেপাশে কেউই হাঁচছে না।
কাজেই বোঝা যাচ্ছে মনখারাপের
কোনওই কারণ ঘটেনি। তবু মাঝেমাঝে একা লাগে। প্রাইভেসি-টইটুম্বুর বন্ধ ঘরের ভেতর
ডেস্কটপের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে থাকতে টের পাই, এই মুহূর্তে চারপাশে খলবল করে কথা
বলা একদল লোক থাকলে ভালো লাগত। তাদের সবার আলাদা আলাদা ইংরিজির অ্যাকসেন্ট, আলাদা
পাসপোর্ট, আলাদা গায়ের চামড়ার রং, আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি, আলাদা মত। পাছে নিজের মতটা অন্যের মতের তলায় চাপা পড়ে
যায় সেই ভয়ে সবাই সদাসর্বদা তটস্থ হয়ে আছে। তখন সারাদিন গলাবাজি করতে করতে ছেড়্রে
দে মা কেঁদে বাঁচি হয়েছিলাম, এখন দিনে দশখানা বাক্য গোটা বলতে পারলে বর্তে যাই।
ওটা শেষদিকটায় অসহ্য লাগছিল, এটা এখনই আর নেওয়া যাচ্ছে না।
চারদিকে ছিটকে গেলে কী হবে,
আমাদের সকলের টিকি বাঁধা পড়ে আছে সেই বনে। স্পষ্ট করে বললে, বাঁধা পড়ে আছে অ্যালফনসের
হাতে। মাসে মাসে আমাদের মাইনে দেওয়ার মালিক অ্যালফনস্। তাছাড়াও এখান থেকে নানারকম কাগজপত্র
রসিদ ইত্যাদি নিয়ম করে অ্যালফনস্-কে পাঠানোর ব্যাপার আছে।
সেদিন লাঞ্চের পর যখন চোখ
খুলে রাখা ক্রমশ দুষ্কর হয়ে উঠল, তখন আমি ঠিক করলাম এই বেলা অ্যালফনস্ সংক্রান্ত
কাজটা সেরে আসা যাক। আমার ব্রাউসারে এখন দু’খানা ট্যাব সারাদিন খোলা থাকে, একটা
ম্যাপ, আরেকটা ট্রান্সলেট। ম্যাপের A
পয়েন্টে নিজের অফিসের ঠিকানা অলরেডি লোড করা আছে, B বিন্দুর জন্য নির্দিষ্ট ফাঁকা
জায়গায় আমি টাইপ করলাম La
Poste।
বোঝা গেল আমার অফিস থেকে মিনিট চারেক হেঁটে গেলেই La Poste, অর্থাৎ কি না পোস্ট অফিস। কাগজপত্র তৈরি করেই রাখা ছিল,
টেবিল থেকে তুলে নিয়ে দুর্গা বলে রওনা দিলাম। ম্যাপ মুখস্থ করে বেরিয়েছিলাম কাজেই
পৌঁছতে কোনও অসুবিধেই হল না।
পোস্টঅফিসের
ভেতরে কী ঘটবে ভেবে একটু টেনশন যে হচ্ছিল না তা নয়, যে কোনও অফিসে ঢোকার আগেই এখনও
বুক ধড়াসধড়াস করে, কিন্তু গোটা ব্যাপারটা মাখনে ছুরি চালানোর মতো সহজে হয়ে গেল।
একটি বড়জোর সতেরো-আঠেরো বছরের বুকে “মে আই হেল্প ইউ” সাঁটা ইউনিফর্ম পরে লাট্টুর
মতো দোকানজুড়ে চরকিপাক খাচ্ছিল, আমাকে দেখামাত্র ছুটে এসে পাকড়াও করল। মেয়েটি
ইংরিজিতে “আই কাম, ইউ গো” চালাতে পারে, আমি ফ্রেঞ্চে সেটুকুও পারি না। কিন্তু সকলেই জানেন, সমস্যা ভাষার নয়, সমস্যা হচ্ছে অ্যাটিচুডের---সেই
থিওরিকে নির্ভুল প্রমাণ করে দুজনে মিলে রেজিস্ট্রির ফর্ম ফিল আপ করে, স্ট্যাম্প
মেরে, মেশিনে কয়েন ফেলে চিঠি পোস্ট করতে আমাদের লাগল সব মিলিয়ে পাঁচ মিনিট।
যেটুকু
দেরি করার আমিই করেছিলাম, চিঠি লিখতে গিয়ে। পোস্টঅফিসের ভেতরের হাওয়াবাতাসে কিছু থাকে
কি না জানি না, ভেতরে গেলেই আমার চিঠি লিখতে ইচ্ছে করে। চারদিকে সাজানো সুন্দর ছবি
আঁকা পোস্টকার্ড, রংচঙে পেনপেনসিল, বাহারি খাম---দেখলেই ইচ্ছে করে কিনি। খাম কিনে
এনে বাড়ি সাজানোর প্রতিভা আমার নেই, কাজেই কেনা সার্থক করার একমাত্র উপায় হচ্ছে
কাউকে চিঠি লিখে সেই খামে পুরে পোস্ট করা। চিঠি লিখতেও অসুবিধে কিছু নেই, সামনেই বিজয়ার
মোক্ষম অজুহাতও আছে, কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে চিঠি লেখা ব্যাপারটা প্রায় অচেনা লোককে
“আপনি” বলার মতোই আউট অফ ফ্যাশন হয়ে গেছে। বিজয়ার ফোনের বদলে চিঠি পেলে
মামামাসিকাকুজেঠুরা নির্ঘাত ভাববেন একা থেকে থেকে সোনার মাথাটা গেছে।
অগত্যা
আমি অ্যালফনস্কেই একটা চিঠি লিখলাম। বনের কথা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চেয়ে, আর নিজের
কথা সাতকাহন করে বলে। সব কথাই অকাজের, কেজো ই-মেলে যেগুলো বেমানান। লিখতে লিখতে
পুঁচকে নোটপ্যাডের পাতার এদিকওদিক ঠাসাঠাসি হয়ে গেল, তবু আমার কথা ফুরোয় না। শেষে
অনেককষ্টে নিজেকে সংযত করে, "ইয়োরস্ সিনসিয়ারলি" লিখে, পরিপাটি করে সে চিঠি ভাঁজ করে
অন্যান্য আবোলতাবোল কাগজের সঙ্গে খামে পুরে চনমনে হলদেরঙের পোস্টবাক্সের হাঁ
করা মুখে ফেলে এসেছি।
সেই
থেকে হাত নিশপিশ করছে। ফাঁকা দু-চারমিনিট হাতে পেলেই মাথার মধ্যে জাল ফেলে দেখছি
চিঠি লেখার উপযুক্ত লোক দু-চারটে খুঁজে বার করা যায় কি না। খুব শক্ত কাজ, কিন্তু
আমি এখনও হাল ছাড়িনি। কাউকে না পেলে শেষপর্যন্ত মা-তো আছেনই।
La Poste - Darun :-) ... chithi paoa ar lekha ekhon sottii prai uthe gachhe, kintu sei school er somoi theke attiosajon bondhuder lekha chhithi ekhono jomie rakha achhe ek bakso, ar purono sei chhithi gulo porte ekhono boro bhalo lage :-)
ReplyDeleteআপনি খুব গুছোনো বলতে হবে ইচ্ছাডানা। আমার সব চিঠিমিঠি কোথায় কে জানে। মায়ের লেখা কিছু চিঠি এখনও জমানো আছে, বাকি সব ছিটকে গেছে। খুবই দুঃখের কথা।
DeleteKichhu gochhano noi Kuntala, ekebarei ogochhalo, tar modhye oi du charte jinish amar sange roe gachhe amake doya kore, ei ek bakso chhithio tai :-)
DeleteAmi achhi! Ami achhi! (Obviously monpraaner kotha wala chithi na, tobe ami postcard pete khub bhalobashi. :P)
ReplyDeleteKobe Louvre jabe sei ashay Abantorer mukh cheye boshe achhi.
Maaney Louvre gele Abantorey post likhbe, sei ashay. Clarify kore dilam ar ki!
Deleteহাহা বিম্ববতী, সে আমি তুমি ক্ল্যারিফাই না করলেও বুঝতে পেরেছি। কিন্তু ক্ল্যারিফাই করার জন্য ধন্যবাদ।
Deleteআরে নানারকম দুর্ঘটনায় আমার আর মোনালিসার দেখা হওয়াটা ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছে। দেখা যাক নেক্সট শনিরবি হয় কি না। তবে দেখা হবেই আর দেখা হলে অবান্তরে পোস্টও পড়বে, সেটুকু প্রমিস।
amio chithi pete chai,,:)
ReplyDeleteশেয়ালকে ভাঙা বেড়া দেখাচ্ছিস? সাহস তো কম না তোর তিন্নি।
Deleteফ্যাশনকে কাঁচকলা দেখিয়ে আপনিটা শুরু করতে পারলে কিন্তু দিব্যি শোনায়, আর প্রায় অচেনা লোককে কাছের বন্ধুও বানিয়ে তুলতে পারে। যাক, আপনার চিঠি লিখতে ভাল লাগে জেনে ভাল লাগল। আমার ছোটবেলায় চিঠি লেখার অভ্যাস ছিল, আমার দাদু নিয়মিত চিঠি লিখতেন আমাকে, আর আমাকেও লিখতে হত। অন্যদের লিখতামনা তা নয়, কিন্তু দাদুকে লেখা চিঠি একটু স্পেশাল হত - কোনটায় হয়ত কিছু কিছু শব্দ ছবি এঁকে লিখলাম, সেটা দাদুকে পড়ে বুঝতে হবে, আবার তার উত্তরে দাদু হয়ত বঙ্কিমী বাংলায় উত্তর দিল, সেটা পড়তে আমার তিনটে দাঁত নড়ে গেল। আমি তার উত্তরে এমন একটা চিঠি লিখলাম যার লাইন-এ লাইন-এ হেঁয়ালি, তার জবাব এল রামায়ন-মহাভারত কুইজের মাধ্যমে। এখন আর চিঠি লেখা হয়না। মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে কারণে অকারনে লিখে ফেলি, ভাল লাগে লিখতে।
ReplyDeleteআপনার চিঠির কথা মনে ছিল। কাল এই পোস্টটা লিখতে গিয়ে মনে পড়ছিল, এমন অনেক বন্ধুকে একসময় নিয়মিত চিঠি লিখতাম যাদের সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ নেই। যোগাযোগ রাখার মতো বন্ধুত্বও ছিল বলে মনে পড়ে না। কিন্তু চিঠি লেখালিখি ছিল, কী অদ্ভুত।
Delete'আপনি' নিয়ে আমার মতামত আপনি জানেন, এবং 'আপনি' বললে যে 'আপন' হয়ে উঠতে সমস্যা হয়---যেটা আই গেস সবার 'আপনি-র বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ---সেটাও অপ্রমাণ হয়ে গেছে ভয়ানক ভাবে। '
kuntala, ei post ta dekhe onek kotha bolar icche holo. amar khub chotobelaye kichu potro-bondhu chilo, ar sei chithigulio eshechilo eto akosshik bhabe je anonder simaporisima chilona. letterbox e amar naam e chithi dekhlei monta neche uthTo, ar sei chithi jodi besh bhari thekto (na khulei haate ojon kore niye) tahole to kothai nei..monehoto amar jonno ekraash anondo opekkhya kore ache oi khamer bhetore. sompurno aporichito loker theke chithi pawa, tar sompurno alada poribesh,poristhiti -tar chithir theke jana, r chithir madhyome duuure thaka manusher sathe communicate kore-ekta alada romantikota! sei anubhutir sathe kichu tulonai hoyna jeno. amar kache amar potrobondhuder lekha chithi ekhono jotno kore ache :).
ReplyDeleteamar ek dadu, geneva ye thakten sarajibon, kichudin agei just mara gelen. uni amader sobaike chithi diten niyom kore, ar mojar byapar holo sei chithir modhye ekta ingreji sobdo byabohar korten na! sompurno banglay jhorjhore humorous lekha! er sathe chilo prottek chithite natunnatun rakomer daaktickit..segulio kom akorshonio noy!
jaihok, tumi eto sundor lekho, je tomake potrobondhu hisebe pele jekeui darun alhadito hoejabe. tumi ki amar potrobondhu hobe? :)
তোয়া, না-খোলা চিঠি হাতে নেওয়ার উত্তেজনাটা একদম ঠিক বলেছ। আমার অবশ্য সেভাবে পত্রবন্ধু কখনও ছিল না। ইমেলে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ হত, কিন্তু সেও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন হল। দাদুরা চিঠি পাওয়ার একটা বড় উৎস দেখা যাচ্ছে।
Deleteহাহা, নিশ্চয়। আমার খুব ভালো লাগবে তোমার পত্রবন্ধু হতে। যদি ইচ্ছে করে তাহলে তোমার ঠিকানা abantorprolaap@gmail.com এ পাঠিয়ে দিয়ো, আমি অতি অবশ্য তোমাকে চিঠি লিখব।
অ্যাই তোয়া, মার খাবি! আমাকে তো জন্মে একটা পত্রও লিখলি না? শুধু ছাতিমের গন্ধ শুঁকিয়ে গেলি, হতভাগা!
DeleteChithir kotha jokhon uthlo.....tokhon ekta post chai....premer chithir opor opekkhay roilam
ReplyDeleteপ্রেমের চিঠি বললেই আমার মনে পড়ে ছত্রে ছত্রে কবিতার লাইন কোট করা প্রাণঘাতী একটা ব্যাপার। দাঁড়াও রণিতা, দেখা যাক সেটা নিয়ে কিছু লেখা যায় কি না।
Deleteগুরু, শুভ বিজয়া! লা পোস্তে দেখে প্রথমেই পোস্তর কথা মনে এল :( কী হ্যাংলা আমি, ভাবো!
ReplyDeleteহাহা, আরে পোস্তে শুনে পোস্ত না মনে পড়লেই ভয়ের ব্যাপার প্রিয়াঙ্কা। তোমাকেও আমার তরফ থেকে শুভ বিজয়ার অনেক প্রীতিশুভেচ্ছা জানালাম।
Delete