মেহেন্দি-মামলা
মানুষের জীবনকে নানা ভাগে বিভক্ত করার যে ক’টি পদ্ধতি চালু আছে তার মধ্যে
সময়ের পদ্ধতিটিই নিঃসন্দেহে সবথেকে জনপ্রিয়। শূন্য থেকে তিন-চার বছর পর্যন্ত শৈশব,
চার থেকে বারো বাল্যকাল, তেরো থেকে উনিশ বয়ঃসন্ধি, তারপর যথাক্রমে নাতিদীর্ঘ যৌবন,
সংকটময় অতিদীর্ঘ মধ্যবয়স, প্রৌঢ়ত্ব, বার্ধক্য এবং অন্তিমে ঘাটের মড়া।
কিন্তু আমার মতে আরেক ভাবেও জীবনের শ্রেণীবিভাগ করতে সম্ভব। প্রশ্ন দিয়ে।
বান্টি ভুরু কুঁচকে তাকাল। ‘কী রকম?’
‘অর্থাৎ< কি না জীবনের কোন
স্টেজে লোকজনকে কী ধরণের প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়, সেই বেসিসে। যেমন ধর শুরুতে ‘তোমার নাম কী?’
‘বাবার নাম কী?’ ‘বল তো আমি কী রঙের জামা পরে আছি?’ তারপরের স্টেজে ‘স্কুলে কোন
সাবজেক্ট পড়তে বেশি ভালোলাগে?’ ‘বড় হয়ে কী হবে?’ তারপর ‘সায়েন্স নেবে না আর্টস?’
তারপর ‘মাসে কত পাও?’ ‘বিয়ে কবে হবে?’ পেরিয়ে গাড়ির ব্র্যান্ড, মর্টগেজ, জয়েন্টে
সন্তানের র্যাংক, থেরাপিস্টের ঠিকানা টপকে আলটিমেটলি বাতের ব্যথার স্টেটাস। ব্যস্,
জীবনের শ্রেণীবিন্যাস কমপ্লিট।’
বান্টি মুখটা কাতলা মাছের মতো ভেচকে বলল, ‘কমপ্লিট না কচু। প্রশ্নের আবার এ
রকম ভাগাভাগি করা যায় নাকি? চাইলে যে কেউ যাকেতাকে যখনতখন যা খুশি প্রশ্ন করতে
পারে।
আমি বললাম, ‘বটে? লাস্ট কবে তোকে কেউ জিজ্ঞাসা করেছে বাবা না মায়ের মধ্যে তুই
কাকে বেশি ভালোবাসিস?’
বান্টি থতমত খেয়ে চুপ করে গেল।
বান্টিকে ধমকে থামিয়ে দিলাম বটে, কিন্তু সত্যিই প্রশ্ন দিয়ে মানুষের জীবন ভাগ
করার পদ্ধতির কতগুলো খামতি তো আছেই। প্রথমেই যে খামতিটার কথা মনে আসে সেটা হচ্ছে
ব্যাপারটার সর্বজনীনতার অভাব। দেশকালসময়সমাজভেদে প্রশ্ন বদলে বদলে যাবে। আমার
গায়ের রং ক্রমশ আলকাতরার দিকে এগোচ্ছে দেখে পাশের বাড়ির কাকিমার দুশ্চিন্তা হবে,
এদিকে রেনফরেস্টের গাছে মাচা বেঁধে থাকা কোনও জেঠিমার হয়তো পড়শি কিশোরীর রং
ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে দেখে রাতে ঘুম আসবে না।
সে যাই হোক। মেথড আছে মানেই তার একটা না একটা খামতিও আছে। থাকতেই হবে। বয়স
দিয়ে ভাগাভাগিই বা কি এমন সর্বজনীন? চল্লিশে একসময় যৌবনের শেষ ধরা হত, যে বয়সে
পৌঁছে আমার দাদু একাদশী ধরেছিলেন। এখন চল্লিশে লোকে হাফপ্যান্ট ধরে।
একসময় এই প্রশ্ন করাকরি নিয়ে আমার মারাত্মক আপত্তি ছিল। এই ধরুন তেইশ থেকে
তিরিশের মাঝের সময়টুকুতে, আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কেউ কোনও প্রশ্ন করলেই আমি রেগে
আগুন তেলে বেগুন হতাম। তার কারণ জীবনের ওই সময়টায় আমার ঠিক-ভুল, সৌজন্য-অসৌজন্য
ইত্যাদির জ্ঞান অসুবিধেজনক রকম টনটনে ছিল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছিল চরিত্রের
অনমনীয়তা। আমার স্থির করা আচরণবিধিটাই আদর্শ, এ’ধরণের একটা হাস্যকর দেমাক ছিল মনে।
আর ছিল নিজেকে বিশ্বচরাচরের কেন্দ্রবিন্দু ভেবে ফেলার বোকামি। আমার প্রাইভেসি। আমার ব্যক্তিগত স্পেস। সক্কলে সেই
স্পেসের লক্ষণরেখার বাইরে পা টিপে টিপে হাঁটছে না কেন, সেই রাগে আমার রাতে ঘুম আসত
না।
সে রাগ এখন আর নেই। বুঝেছি প্রশ্নগুলো ‘আমাকে’ করা হলেও, গোটা প্রসঙ্গটায়
‘আমার’ ভূমিকা খুবই কম। যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি সত্যি সত্যি আমার মাইনে কিংবা বিয়ে
নিয়ে বিচলিত নন। বয়েই গেছে তাঁর। ওটা হচ্ছে যার যার স্মল টকের স্টাইল। কেউ আবহাওয়া
নিয়ে কথা বলে, কেউ রাজনীতি নিয়ে, কেউ বিয়েশাদি নিয়ে। দেখা হলে মুখ ঘুরিয়ে চলে
যাবেন, সে জায়গায় দাঁড়িয়ে দুটো কুশল প্রশ্ন করছেন। ব্যস।
বান্টি ভুরু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। বলল, ‘তুমি যে রেটে বুঝদার হচ্ছ,
আমার ভয় হচ্ছে নিজেই না কোনওদিন প্রশ্ন করা শুরু করে দাও।’
আমি বললাম, ‘সে তো পারিই। বলা যায় না, আর বছরখানেকের পর তুই দরজা দিয়ে ঘরে
ঢুকলেই হয়তো আমি ঝাঁপিয়ে পড়ে বলতে শুরু করলাম, ‘বান্টি, তোর গালদুটো যেন একটু ফোলা
ফোলা লাগছে? আর কপালটাও যেন একটু চওড়া? টাকটা তোদের ফ্যামিলিতে আছে বুঝি?’’
প্রশ্ন নিয়ে এত কথা উঠল যখন তখন আমার জীবনের বর্তমান প্রশ্নটার কথা বলে আজকের
অবান্তর পোস্ট শেষ করি। গত ক’বছর ধরে টুকটাক প্রশ্নটি পাচ্ছিলাম, এখন চেনা,
আধচেনা, প্রায় অচেনা, সকলেই নিয়মিত জানতে চাইছেন। আমি চুলে মেহেন্দি কেন করছি না?
কপালের ঠিক ওপরটায় বাংলা সিরিয়ালের শয়তান শাশুড়ির মতো একগোছা সাদা চুল যে সাপের মতো
ফণা তুলছে, সে ব্যাপারে আমি আশু ব্যবস্থা নিচ্ছি না কেন?
আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে মোটেই আপত্তি নেই, কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে যে উত্তরটা
আমি নিজেই জানি না। শুরুতে সেই সত্যি কথাটাই বলতাম। কে জানে কেন করছি না। করলেও
হয়, আবার না করলেও। এই রকম ন যযৌ ন তস্থৌ উত্তর দিলে যা হয়, চিঁড়ে ভিজত না। সত্যিই
তো। কার্যের যেমন কারণ থাকতে হয়, সিদ্ধান্তেরও যুক্তি থাকতেই হবে। তলিয়ে যুক্তি খুঁজতে বসলাম। চুলে রং করলে কেন করব, না করলেই বা কেন করব না। রং না করার
পেছনে আমার প্রধান যুক্তিটা প্রত্যাশিত, আ-বা-আ-আ-র ঝামেলা। সে যুক্তি ধোপে টিকল
না বেশিক্ষণ। ঝামেলা তো পার্লারে গেলেই হয়। মাসে মোটে তিনটি ঘণ্টা। ইউটিউব দেখে
নষ্ট করার বদলে চেয়ারে চিৎপাত
হয়ে শুয়ে শুয়ে আরাম খাওয়া। লোকে চুল টেনে, বিলি কেটে, রং করে, ধুয়ে মুছে শুকিয়ে,
যেমনটি চাও তেমনটি করে ছেড়ে দেবে। চাইলে তুমি ততক্ষণ ম্যাগাজিন পড়ে কিংবা লোকের
বাড়ির গসিপ শুনে কাটিয়ে দিতে পার, কিংবা মুখ হাঁ করে পুরো সময়টা ঘুমিয়ে নিলেই বা
কার কী বলার আছে। ঘুমের কথাটা শুনে আমার একটু একটু লোভ যে হয়নি, তেমনও নয়। কিন্তু
তাতে ভেসে না গিয়ে আমি অন্য দিকের যুক্তি খোঁজায় মন দিলাম। আর কী আশ্চর্য, তিন
সেকেন্ডের মধ্যে যুক্তি হাতে এসে ধরা দিল।
আমি চুলে মেহেন্দি করব না, কারণ না করে আমার কিছু ক্ষতি হচ্ছে না। আমাকে
সারাদিনে যা যা অকাজ করতে হয়, গবেষণার ভান করে ইন্টারনেট সার্ফিং আর অবান্তরে
চুটকি লেখা, তার কোনওটাতেই পাকাচুল কোনওরকম বিঘ্ন ঘটায় না। অতএব আমি টাকা বাঁচাব,
তিন ঘণ্টা সময় বাঁচাব, সেই সময় ইউটিউব দেখে ফেলে ছড়িয়ে নষ্ট করব। ফাইন্যাল। আনসার
লক কিয়া যায়ে।
ডিং ডিং ডিং! যুদ্ধের ফল ঘোষণা হয়ে গেছে! কী কঠিন যুদ্ধ বাপরে, একেবারে
ঘেমেনেয়ে গেছি।
অবশ্য এত যুক্তিটুক্তি খোঁজা শুধু নিজের কাছে নিজে স্পষ্ট থাকার জন্যই, লোককে
বলার জন্য নয়। এখনও আমাকে কেউ ‘এ রাম রাম, এই বয়সেই এই হাল, মেহেন্দি করছ না কেন’
জিজ্ঞাসা করলে ‘হেঁ হেঁ, এই তো এমনিই, আবার একগাদা ঝামেলা’ বলে পাশ কাটাব। কারণ
জানা কথাই আমার পাকাচুল নিয়ে ওঁর মাথাব্যথা নেই। থাকতেই পারে না। আমি যদি আমার
মাথার ভেতরের যুক্তিযুদ্ধের স্কোরকার্ড ওঁকে পড়ে শোনাতে যাই তাহলে ‘হাউ’স লাইফ?’-এর
উত্তরে নিজের জীবনের গল্প সাতকাহন করে শোনানোর মতোই বোকামো হবে।
সমস্যা শেষ ভেবে হাঁফ ছেড়েছি, এমন সময় ঘটনাটা ঘটল। আগের সপ্তাহের কোনও এক দিন,
বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার, অফিসফেরতা বাজার থেকে টুকিটাকি কিনে তাড়াতাড়ি হাঁটছি, ‘আদালত’-এর
ল্যাজটুকু ধরব বলে, এমন সময় এক পরিচিত দিদি পথ আটকালেন। গরম, অ্যাক্সিডেন্ট,
বাজারের দাম নিয়ে কথা হওয়ার পর, আমি হেসে ঘাড় হেলিয়ে, ‘আচ্ছা তবে . . .’ বলে হিন্ট
দিচ্ছি, এমন সময় দিদি বললেন,‘হ্যাঁ গো, নিজের একটুও খেয়াল নাও না কেন? তোমার
বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে নেমেই তো একটা পার্লার আছে, তা সত্ত্বেও কি এমনি ভাবে থাকতে আছে?’
আমি প্ল্যানমাফিক উত্তরে, ‘হেঁ হেঁ’ করলাম। তখন তিনি মুচকি হেসে আমাকে যে কথাটা
বললেন, তাতে আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেল।
‘অবশ্য তোমাকে দেখলে বোঝা যায়, তুমি খুবই অন্যরকম। সে জন্য যদি . . .’
আমি হাঁ হয়ে রইলাম। খুব জোরে শক পেলে অনেকসময় হয় না, ঘটনাটা যে সত্যি ঘটছে,
নাকি পুরোটাই আমার কল্পনা, সেটা ঠাহর করা যায় না? আমার ঠিক সেইরকম হল। স্তম্ভিত
ভাবটা অনেকক্ষণ ছিল। তারপর বাড়ি ফিরে হাফ প্যাকেট চানাচুর সাবাড় করে, আর
ঘণ্টাখানেক ধরে সি. আই. ডি কলকাতা ব্যুরোর চমৎকার কার্যকলাপ দেখে ঘোর কাটল।
আমি যে একজ্যাক্টলি একইরকম,
সেটা প্রমাণ করার জন্যই এবার থেকে চুলে কলপ লাগানো শুরু করতে হবে মনে হচ্ছে।
dur bapu tumio to dekhchi vir e mise jete haat paa tule ready.... ‘অবশ্য তোমাকে দেখলে বোঝা যায়, তুমি খুবই অন্যরকম। সে জন্য যদি . . .’ ei kotha sonar souvagyo kojoner hoy bolo dekhi....oi chul ta puro peke jak na tarpor otao ekta style hobe kina....ami erom proshner uttor e sobsomoy amar ja mone hoy tai di....jamon bor bari na thakle ami je eka thaki se niye asepaser loker chinta r ses nei....ema eka achis? eka khachis? sune klanto ami. ektai uttor di r tatei sobai chup...seta holo " Amar majhe majhe eka thakte valoi lage. Amar nijer jonyo o to somoy chai" . End of the day ami jate khushi hoi setai korbo...tumi borong eta bolte paro koyekdin ei chulta rekhe dekhi jokhon nijer r valo lagbena tokhon nahoy kichu vabbo...Try kore bole dekho kintu r janio. :P :)
ReplyDeleteহাহাহা রাখী, ওই 'অন্যরকম' দেখানোর ব্যাপারটা যদি প্রশংসা হত তাহলে হয়েই যেত। ইউনিভার্সিটীতে পড়াকালীন একটা কথা আমাদের মুখে মুখে ঘুরত 'চাটা'। ওই দিদি আমাকে 'অন্যরকম' দেখতে বলে জাস্ট 'চেটে' দিয়েছেন, প্রশংসা মোটেই করেননি। অ্যাকচুয়ালি ঘটনাটা খুবই হাস্যকর। নিজের সঙ্গে ঘটেছে বলে বেশি জোরে হাসতে পারছি না, এইটাই দুঃখ।
Deleteমনের কথা স্পষ্ট করে বলতে পারলে তো হয়েই যেত রাখী।
Ekhon chollishe loke half-pant dhore! Osadharon! Rofl! Sudhe seta ke bermuda bole! Amar aro ekta observation - jara sarajibon (maane 40 obdhi) saree porechhen, tara hothat modhyo boyeshe pouchhey salwar kameez porte shuru koren! Bhabkhana eibela pore nei, nahole ar kobe porbo!
ReplyDeleteঠিক বলেছ রুণা। অবশ্য শুরু করে ভালোই করেন, কারণ ইচ্ছে অপূর্ণ রাখায় কোনও বাহাদুরি নেই। আমার ঠাকুমার অন্যতম একটা অপূর্ণ শখ ছিল নাইটি পরতে না পাওয়া। ঠাকুমা আজীবন বারো হাত শাড়ি পরে ঘুমিয়েছেন, শেষ জীবনে এসে বাকিদের দেখেছেন এবং ভেবেছেন, নাইটি পরে ঘুমনোয় না জানি কত বেশি আরাম। তারপর ঠাকুমার নাইটি পরার সুযোগ এসেছিল, যদিও সুযোগটা দুঃখের। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ঠাকুমা নাইটি পরলেন। এবং যা হয়, ডিস্যাপয়েন্টমেন্ট। আমাকে পরে দুঃখ করেছিলেন, নাইটি পরেও শাড়ির সমান গরম লেগেছে নাকি তাঁর। মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে আবার শাড়িতেই ফেরত গেছেন ঠাকুমা।
DeleteThakuma ke amar sohanubhuti janai.
Deleteদেখবেন, চুলে কলপ লাগানোর পরে সেই দিদিই না "তুমিও?? তোমাকে একটু অন্যরকম ভেবেছিলাম" বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন! :D
ReplyDeleteলেখাটা খুব মজাদার হয়েছে। :)
এইটা হলে কিন্তু মোক্ষম হবে, অরিজিত। এই সম্ভাবনাটার কথা আমার মাথায় আসেনি।
DeleteHahaha Arijit er comment er jonyo Superlike....:)
Deletelekhata darun hoechhe...
ReplyDeleteamar kintu ei boyese eshe nijer sada kalo matahtai khub pachhonder.. oi krittim rong ta thik mone dhorena...
আরে এইটাই তো মুশকিল। সাদা চুল দারুণ ফ্যাশনেবল, এই যেমন নাফিসা আলি বলে সেই ভদ্রমহিলার কথাই ধরুন। সুন্দরীরা চুল কালো করলেও ফ্যাশনেবল, সাদা রাখলেও ফ্যাশনেবল। ঝামেলা হচ্ছে আমার মতো খেন্তিপেঁচির, কী করলে যে ফ্যাশানেবল লাগবে ভগবানই জানেন।
Deleteasole oitai bolte chaichhilam je amar moton "খেন্তিপেঁচির" oi sada kalo chuli manansoi... :-D . "খেন্তিপেঁচি" kothata mathai aschhilo na.. "ফ্যাশানেবল" ta mone hoi ami besh koyek koyeeek janmo por holeo hoe jete pari.
Deleteসিরিয়াসলি, ইচ্ছাডানা। ফ্যাশন পারি না বলে করি না, তাতে আবার লোকে 'অন্যরকম' বলে খোঁচা মারে। জঘন্য।
Deletekhobordaaar chul rong koraben na...apni ki bujhchen na ‘অবশ্য তোমাকে দেখলে বোঝা যায়, তুমি খুবই অন্যরকম" ekta darun compliment..ei dhormo ar giraffe ek hoye jaowa duniya te kota loker dhok hoy onyo rokom hobar?apnar ache..
ReplyDeleteapni na hoy onyorokom e holen..onyo der moto gotanugotik ar boring howar theke seta ki bhalo noy?bhebe dekhun didi ei duniya te sob manush jodi ek rkom hoto (jeta mul dhara chaay ebong cheye eseche) tahole ki bibhotso bepar hoto seta..muldhara theek ektu hatke hoe na uthle,pukur dhare shonkho dhwoni practice na korle ki ar colony er lok bhenge pore shankar er autograph nito?bhebe dekhben..ar parle ektu somoy kore anurag kashyap er no smoking cinema ta dekhbe,jodi odekha thaake.
কমপ্লিমেন্ট না ছাই, ঋতম। একে বলে চিমটি।
Deleteআলাদা হতে পারলে তো খুবই ভালো, কিন্তু সেই আলাদা যদি শুধু পাকাচুল দিয়ে হতে হয় তবে বড়ই দুঃখের কথা। আপনার সাজেশনের সিনেমাগুলো খুবই ভালো, তাই নো স্মোকিং টাও লিস্টে লিখে নিলাম। যদিও আমার এক খুব বুদ্ধিমান বন্ধু সিনেমাটা দেখে এসে বলেছিল সে নাকি আগা থেকে শেষ, এক বিন্দুও বুঝতে পারেনি। সে যখন বোঝেনি আমারও চান্স নেই, এই ভয়ে এতদিন দেখা এড়িয়ে চলছিলাম। তবে একবার ট্রাই করে দেখা যেতেই পারে।
Amake keu e rakom 'timepass marka' proshno korle ami boli je oti te amar bhishon
ReplyDelete'allergy'ache.Byass!sange sange alochona annyo dike ghure jay .Mane proshno karta /karti takhon nijeder allergy r galpo shuniye time pass korte thaken:)
নিজে কথা কম বলে লোককে দিয়ে বেশি বলিয়ে নেওয়াটা একটা বিরল প্রতিভার মধ্যে পড়ে। আপনার সেটা আছে দেখে ইমপ্রেসড হলাম। অ্যালার্জি-র টিপসটাও মনে ধরেছে বেশ।
Deleteসবথেকে বেশি মনে ধরেছে অবশ্য আপনার নামটি।
haha ...ei 'anyarakam ' sonata besh bhoyer mantei hobe ! - tinni
ReplyDeleteভাব একবার, তিন্নি।
Deleteলেখাটার প্রথম দিকটা পড়ে 'মেহেন্দি' টাইটেল টার সঙ্গে মেলাতে পারছিলাম না, শেষে এসে অঙ্ক মিলল :)
ReplyDeleteপার্সোনাল স্পেস রক্ষা করতে কম বয়েসে আমাদের উঠে পড়ে লাগাটার সঙ্গে খুব identify করতে পারলাম, দারুন হয়েছে ।
নামকরণে আমার দুর্বলতা আজীবনের কাকলি। প্রথমে পোস্টের নাম দিয়েছিলাম 'প্রশ্ন', সেটা যথেষ্ট 'ক্যাচি' হয়নি ভেবে শেষে ভেবেচিন্তে এই হাস্যকর 'মেহেন্দি-মামলা'।
Deleteবাবা, পার্সোনাল স্পেস নিয়ে কী মাথাব্যথাটাই না ছিল, বলুন? কেন কে জানে। হু কেয়ারস?
আমি ভেবে ভেবে ঠিক করেছি, অল্প বয়েসে নিজের আইডেন্টিটি নিয়ে একটু অনিশ্চয়তায় ভুগতাম, মানে সোজা বাংলায় কনফিডেন্স-এর অভাব আর কি :)
Deleteএকদম ঠিক বলেছেন, কাকলি।
Deletekintu tumi "অন্যরকম" sune tomar "পায়ের তলার মাটি সরে গেল।" keno ? eta ektu bujhiye dao . eta amonki bhoyaboho monttbyyo ? BTW ami recently tomar blog e dhukechi aar dhukei last 7 diner moddhye amon bhabe jokhon tokhon tomar sob post pora shuru korechi jeno amake kono exam e pass kortei hobe aar porikhkhata most probably erokom je college e dhuke aar kono porikhkha na diye soja 3 yrs pore part 2 final dichchi ,tobe bhalo etai je syllabus ta jothesto vast aar timespan ta graduation aar post graduation duto miliye holeo otokhani porte hochchena aar kono serokom chap o nei , aar porikhkhar aager porar moto ghum pachchena ulte ghum ure jachche , eta jodio bhalo hochchena karon tomar blog er purono lekha gulo neshagroster moto pore pore raat kabar hoye jachche & sokale jokhon uthchi tokhon khoob I lethargic lagche :( ... nyways ami majhkhane kodin tomar opor raag kore comment korini karon purono tomar akta post e comment korechilam koyekdin aage tarpor bhablaam tumi response korbe , na dekhi je amar comment ta udhao , dekhe khoob dukhkho o hoyechilo , chintateo pore giyechilaam karon amon kichu to chilona comment e ja remove korar moto .
ReplyDeleteসর্বনাশ করেছে, অনিন্দিতা, তড়িঘড়ি আত্মপক্ষ সমর্থনটা সেরে নিই। আমি জীবনে দুটি কমেন্ট রিমুভ করেছি। ভুলক্রমে ডিলিট করেছি কিছু, কিন্তু সে ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে লিখিত ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। কিন্তু জেনেশুনে রিমুভ্যালের ঘটনা দুটি ঘটেছে। তার প্রথমটা অনভিজ্ঞতার জন্য (ব্লগ লেখার শুরুর দিকে বেশি 'সেনসিটিভ' ছিলাম, তাই কিছু বললেই গায়ে ফোসকা পড়ত, এখন সেই কমেন্ট পেলে আমি ওড়াতাম না, রেখেই দিতাম। কিন্তু সে অনেকদিনের কথা।) আর দ্বিতীয়টা ক'দিন আগে উড়িয়েছি, কিন্তু সেটা ডেফিনিটলি ওড়ানোর মতোই ছিল। ও জিনিস তুমি লেখনি, বিশ্বাস কর।
Deleteকাজেই যেটা হয়েছে সেটা যান্ত্রিক গোলযোগ। আমার দোষ নেই, অন গড ফাদার মাদার। আশা করি আর তুমি রাগ করে থাকবে না।
অবান্তরের প্রতি তোমার ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। আশা করি অবান্তরের সিলেবাসের প্রতি তোমার মনোযোগ অবিচল থাক। অবান্তর পরীক্ষায় তুমি ডিস্টিংশন নিয়ে পাশ কর, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
মুখের ওপর 'অন্যরকম' বলাটা অনেকটা বাঙালিকে 'নন-লিব্যারাল' বলার মত। আপাতদৃষ্টিতে মনে করার কিছুই নেই, কিন্তু যাকে বলা হচ্ছে সে জানে কোথায় লাগল।
তুমি যে রাগ পুষে না রেখে আবার অবান্তরে কমেন্ট করলে, সেই জন্য তোমাকে অনেক অনেক থ্যাংক ইউ জানাই অনিন্দিতা। খুব ভালো লাগল, সত্যি সত্যি।
এই ব্যাপারটায় কিন্তু আমি অন্যদের সঙ্গেই একমত, মানে আমায় কেউ "তুমি অন্যরকম" বললে আমি খুশিই হই। সে চাটার জন্যই বলুক আর যাই করুক। হয়ত বলবেন আমার বুদ্ধি পাকেনি এখনও যথেষ্ট, কিন্তু সে যাই হোক। বুদ্ধি না পাকলেও চুল যে পাকা শুরু হয়েছে সে তো দেখতেই পাচ্ছি, আর আমিও যে মেহেন্দি বা কলপ করবনা সেটা আমি এখন থেকেই বলতে পারি।
ReplyDeleteতবে প্রশ্নের সঙ্গে বয়সের সম্পর্কের ব্যাপারটা মোক্ষম বলেছেন। ও ব্যাপারটায় আমি আপনার সঙ্গে একমত।
হ্যাঁ হ্যাঁ সুগত, চুল সাদাই থাকতে দিন, প্লিজ। আর বেশ কয়েক বছর পর 'সল্ট অ্যান্ড পেপার' লুকটা আপনাকে দারুণ মানাবে, আমি মানসচক্ষে দেখতে পাচ্ছি।
Deleteআদালত এর স্ক্রিপ্ট মনে হচ্ছে ... শুরুর লাইন পড়ে শেষটা কিছুতেই বোঝা যায় না | :)
ReplyDeleteখুব ভালো হয়েছে লেখা টা ..
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ। আপনি তো থট রিডার দেখছি আত্মদীপ, আমার ড্রিম জব-টার কথা জেনে ফেললেন কী করে? আমি তো রোজই দেখতে দেখতে ভাবি আদালত-এর স্ক্রিপ্ট রাইটারের পোস্টে অ্যাপ্লাই করব।
DeleteAare amay biyer shomoy I shunte hoyechhilo, eki re, tor mathay already sada chul dekha jacche,rong kor!!! Kintu rong Ami korbona.jibon shanghatik rongin,abar mathay rong?urebbaba!
ReplyDeleteআহা, আমার থেকেও বেশি অন্যরকম লোক দেখতে পেয়ে কী ভালোই না লাগছে Tinker Bells। আমি প্রথমে বলেছিলাম বিয়ের সময় চুলে রং করব না, তাতে মায়ের মুখটা এমন হয়েছিল যে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলতে হল, 'না না করব করব!, এক্ষুনি চল পার্লারে!'।
DeleteProshno dia manusher jibon bhag korar observation ta amar darun legeche...apni sotti-e onno rokom. ( chatlam na kintu, eta compliment )
ReplyDeleteআপনার থেকে এসেছে বলে কমপ্লিমেন্টটা আমি বিশ্বাস করলাম সৌমেশ। থ্যাংক ইউ।
DeleteBel pakle kaker ki?????
ReplyDeleteApnar chul pakle loker ki???
হাহা, কিছুই না অর্ণব। উনি একটু টাইমপাস করছিলেন আরকি।
Deleteওই প্রশ্ন দিয়ে মানুষের জীবন ভাগটা বুঝতে পারছিলাম না একবার পড়ে।
ReplyDeleteভাবলাম দিদি কে এক বার ফোন করতে হবে রাতে। কি মনে হল প্রশ্ন গুলো নিজেকে করলাম তার পর বুঝলাম।
তারপর মনে হল যে দিদির কাছে আর একটু দেরি হলেই নিজের নির্বুদ্ধির পরিচয় দেওয়া হত।
আর চুল সাদা হচ্ছে হতে দাও। কারণ কৃত্তিম এর থেকে অকৃত্তিম ঢের ভাল দিদি।
দিদির কাছে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিলে কিছুই ক্ষতি হত না, কারণ দিদির নির্বুদ্ধিতার কোনও সীমা পরিসীমা নেই। যেমন আছি তেমন থাকতেই যে উৎসাহ দিলে, সে জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অনুজিৎ।
Delete