Things I am Loving



১। স্মার্টফোন 

বান্টি ঘরে ঢুকে বলল, ‘দেবদীপের জন্য বড্ড চিন্তা হচ্ছে গো।’

আমি ল্যাপটপ থেকে মুখ না তুলেই বললাম, ‘কেন?’

‘আরে, ওর ক্যাব আসতে দেরি করছে, এদিকে ম্যানেজার আগের সপ্তাহেই ই-মেলে করেছে, লেট হলেই মার্ক করা হবে, নেক্সট ইয়ার অ্যাপ্রাইজালের সময় নাকি সব লেটমার্ক গুনেগুনে দেখা হবে এবং সেই বুঝে হুড়ো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।   

‘দেবদীপটা কে?’

‘দেবদীপ? আমার সঙ্গে নার্সারিতে পড়ত। বেহালার ছেলে।’

এবার আমাকে মুখ তুলতে হল। আমি তো একবছর আগে যাদের সঙ্গে খেতামশুতাম সিনেমা যেতাম, তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি না, বান্টি নার্সারির বন্ধুর অ্যাপ্রাইজাল নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে দেখে চমৎকৃত হলাম

‘খুব বন্ধু ছিল বুঝি?’

‘নাঃ।’

বলে বান্টি রহস্য করে চুপ করে রইল। তিরিশ সেকেন্ড পর বলল,

‘আহা, তখন বন্ধুত্ব ছিল না বলে কি এখন ফ্রেন্ডশিপ থাকতে নেই? আমি দেবদীপের সব খবর রাখি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় জানতে পারি ওর ক্যাব লেট করছে কি না, ম্যানেজার বকছে কি না, এ সপ্তাহে কোন কফিশপে যাচ্ছে, সামনের সপ্তাহে কোন রেস্টোর‍্যান্টে যাবে যাবে ভাবছে, গত সপ্তাহে কী খেল . . .’

আমার একটু ক্ষিদেক্ষিদে পাচ্ছিল, জিজ্ঞাসা করলাম,

‘কী খেল রে?’

'খুব কঠিন খাবার। তুমি নামই উচ্চারণ করতে পারবে না। আমাকেই গুগল করে দেখতে হয়েছে। স্টেক-ও-পোয়াভ উইথ বালসামিক রিডাকশন।' মুখচোখে যথোপযুক্ত সম্ভ্রম ফুটিয়ে বলল বান্টি। 

এককালে যখন সবকিছু দেখেই হাসার বদঅভ্যেস ছিল, তখন হলে হাসতাম, এখন আর হাসি না। তার কারণটা এই নয় যে মানুষ হিসেবে দারুণ ভালো হয়ে গেছি, কারণটা হচ্ছে যে তাহলে নিজেকে দেখেই সবথেকে বেশি হাসতে হয়। বিয়ে থেকে বাঘদর্শনের মতো লাইফ-চেঞ্জিং ইভেন্টস যেমন ডেকেডেকে আপনাদের সবার সঙ্গে শেয়ার করেছি, সকালবেলার মাথাব্যথা কিংবা সন্ধ্যেবেলার মনখারাপও বাদ দিইনি। আমার দোষ নেই, যুগটাই পড়েছে শেয়ারিং-এর। কাজেই এই খবরটাই বা শেয়ার করব না কেন?

আমি একটি স্মার্ট ফোনের মালিক হয়েছি।

এবং হয়ে ইস্তক হাত কামড়াচ্ছি অ্যাদ্দিন কেন হইনি। কত সুবিধে ভাবা যায় না। সেমিনার চলাকালীন টেবিলের তলায় হাত লুকিয়ে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলতে পারা যায়, রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখের সামনে ফোন ধরে ‘ওক্কে গুগল্‌, সেট দ্য অ্যালার্ম অ্যাট ফাইভ এ এম টুমরো’ চেঁচিয়ে বেশ বিনাপয়সার বিনোদন সৃষ্টি করা যায়, তাছাড়া ম্যাপট্যাপ দেখার ব্যবস্থাও আছে নাকি। এখনও সেটা অ্যাপ্লাই করার সুযোগ হয়নি, কিন্তু হজ খাসের অন্ধগলিতে শনিবার রাতে কখনও অটোভাইসাব পথ হারিয়ে ফেললে, তাঁকে ম্যাপ দেখিয়ে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারব, এই সম্ভাবনায় অনেকটা নিশ্চিন্ত বোধ করছি।

তবে সবথেকে বেশি সুবিধে হয়েছে ঘুমোতে। বুকের ওপর আড়াই কেজির ল্যাপটপের বদলে দেড়শো গ্রামের ফোন থাকলে ঘুমের কোয়ালিটি যে কী পরিমাণে বাড়ে, নিজে চোখে না দেখলে আমি বিশ্বাস করতাম না।

ও, আরও একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হয়েছে। এতদিন যখন আমার বোতামটেপা নোকিয়া ফোন ছিল, তখন আশেপাশে যত লোক চোখে পড়ত সবাই দেখতাম স্মার্টফোন নিয়ে ঘুরছে। সবাই মানে সব্বাই। সোয়া আটটায় দরজায় চাবি ঘুরিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো থেকে আবার সাড়ে সাতটায় চাবি ঘুরিয়ে দরজা খুলে বাড়ি ঢোকা পর্যন্ত যতজনের সঙ্গে দেখা হত। আর আমার স্মার্টফোন আসার পর থেকে শুধু অফিসেই অন্তত কুড়িজনকে দেখলাম যারা এখনও দিব্যি আনস্মার্টফোন নিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘোরাঘুরি করছে, কারওরই কোনওরকম অসুবিধে হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

২। বিছানা-ডেস্ক

আমার প্রাপ্তিযোগ এখন নির্ঘাত তুঙ্গে। রবিবার সকালবেলা কড়া নেড়ে কয়েকজন ভালো বন্ধু এসে উপস্থিত। ভালো মানে ভীষণ ভালো। যাদের সঙ্গে আমার বেশিরভাগ পছন্দই মেলে, আর তার থেকেও বেশি মেলে অপছন্দ। অপছন্দের বই, অপছন্দের সিনেমা, অপছন্দের মানুষ। তাদের নিয়ে চর্চা করে আড্ডা মারাত্মক জমে।

বন্ধুরা এলেই আমরা বর্তে যেতাম, কিন্তু দরজা খুলে দেখি তারা তিন দু’গুনে ছ’ছ’খানা হাত বোঝাই করে উপহার নিয়ে এসেছে আমাদের জন্য। রানা দাশগুপ্তের লেখা ‘ক্যাপিটাল’ (যেটা আমি আপাতত পড়ছি কিন্তু ভাবছি না) আর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একশো পঁচাত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত ভারতীয় কার্টুনশিল্পীদের শিল্পের সংকলন।


বইদুটো দেখেই আমি আনন্দে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলাম, এমন সময় একটা প্রকাণ্ড বাবলর‍্যাপের ভেতর থেকে বেরোলো এই জিনিসটা। আমি আর বর্ণনার কষ্টে যাচ্ছি না, আপনারা নিজেরাই দেখে নিন।


সেই থেকে এই ছোট্ট ডেস্কটি আমার ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠেছে। এর ওপর চায়ের কাপ রেখে চা খাচ্ছি, ল্যাপটপ রেখে টাইপ করছি, টাইপ করা থামিয়ে হাঁ করে টিভির দিকে তাকিয়ে আছি, শুধু ডেস্কটি কোলছাড়া করছি না। ডেস্কটাও বেশ আমার পোষ মেনেছে, চুপটি করে বসে আছে গা ঘেঁষে। একটুও ত্যান্ডাইম্যান্ডাই করছে না।

৩। বেডটাইম স্টোরি

আজকালকার বাচ্চাদের কথা জানি না, আমাদের ছোটবেলায় বেডটাইম স্টোরির চল ছিল না। সাহেবমেমদের বাচ্চারা ঘুমোতে যাওয়ার সময় যে বাবামা পালা করে বসে তাদের গল্পের বই রিডিং পড়ে শোনান, এই ব্যাপারটা প্রথম জেনে আমি যারপরনাই চমৎকৃত হয়েছিলাম।

একটু সন্দেহও যে হয়নি তা নয়। একদম গুঁড়ি বাচ্চা হলে তাও বুঝি, অনেকসময় দেখেছি বাচ্চার নিজে পড়তে পারার বয়স হয়ে গেছে তখনও বেডটাইম রিডিং চলছে। আমার নিজের কথা যদি বলতে বলেন, তবে আমাকে কেউ কিছু রিডিং পড়ে শোনালে, তাও যদি আবার গল্পের বই হয়, আমার ভীষণ অস্বস্তি হয়। মনে হয় বইখানা কেড়ে নিয়ে নিজেই পড়ে নিই। কে জানে খাটুনি বাঁচাতে কিছু বাদটাদ দিয়ে দিচ্ছে কি না। আমার মনে হত বাচ্চাগুলোরও নিশ্চয় অস্বস্তি হচ্ছে, ভয়ে বাবামাকে থামতে বলতে পারছে না।

গোড়াতে আমার এও ধারণা ছিল যে গোটা হাঙ্গামাটা বুঝি সন্তানসন্ততির মধ্যে সাহিত্যপাঠের ভালোবাসা সঞ্চারের সাধু উদ্দেশ্যে করা হয়। তারপর একজন বললেন সে উদ্দেশ্য থাকলে থাকতে পারে, তবে মুখ্য উদ্দেশ্যটি অসাধু। গপ্প শুনতে শুনতে বাচ্চা ঘুমিয়ে পড়বে, আর বাবামা সেদিনের মতো মুক্তি পেয়ে লাফ মেরে টিভির সামনে গিয়ে বসবেন। আমি শুনে ভাবলাম, হ্যাঃ, তা আবার হয় নাকি? কানের কাছে ঘ্যানরঘ্যানর করে কথা বলে চললে ঘুম আসার বদলে আরও তো চটকে যাবে, কিন্তু তৎক্ষণাৎ আমার ছোটকাকিমার কথা মনে পড়ে গেল।

খাওয়াদাওয়া হয়ে গেছে, বড়রা সবাই যে যার বিছানায় গড়িয়ে পড়েছেন, আমি আর আমার জেঠতুতো দিদি গুজগুজ করে গল্প করছি এমন সময় কাকিমা ‘সোনাআআ, মনাআআ’ করে মারাত্মক ডাকাডাকি লাগালেন। আমরা দৌড়ে যেতে বললেন, ‘আমার কানের কাছে বসে একটু গল্প কর না রে, একটু আরাম করে ঘুমোই।’ আমরা তো আকাশ থেকে পড়লাম। কিন্তু গুরুজনের আদেশ তো অমান্য করা যায় না, গল্প শুরু করতে না করতেই দেখি ছোটকাকিমার অল্প হাঁ করা মুখের ভেতর থেকে লম্বা লম্বা, ভারি ভারি নিঃশ্বাস বেরোতে শুরু করেছে।

আমারও আজকাল ছোটকাকিমার দশা হয়েছে। তবে আমার তো কানের কাছে বসিয়ে গল্প করানোর মতো সোনামনা নেই, তাই ইন্টারনেটই ভরসা। বিবিসি-র গোয়েন্দা নাটক, সানডে সাসপেনসে ফেলুদা-শঙ্কু-তারিণীখুড়ো-ব্যোমকেশ, ইউটিউবে শার্লক হোমস, মিস মার্পল, এরক্যুল পোয়াহো---যা পাচ্ছি কিছু একটা চালিয়ে ওপাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়ছি। কী বলব আপনাদের, প্রথম খুনটা হওয়ার আগেই জমাট, গভীর ঘুম এসে চোখের পাতায় সেই যে চেপে বসছে, একেবারে রাত কাবার করে ‘ওক্কে গুগল’ অ্যালার্ম বাজার আগে আর যাওয়ার নামটি করছে না।

৪। সুকুমার রায়-পড়া-বাঙালি

আমার এক বন্ধু ছিল, সে বলত, ‘বাঙালিকে যদি বাঙালি বলে চিনতেই না পারা গেল, তাহলে বস্‌ আমার তাকে পছন্দ হয় না।’ মানে পদবী বাঙালি হলে সে লোকটা বেশ কথায় কথায় কলকাতার কথা বলবে, ফুচকা খেতে ভালোবাসবে, পুজোর সময় ম্যাডক্স স্কোয়্যার মিস করবে, তবে না?

পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে আমার সে রকম কোনও বাছবিচার নেই। বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে সকলকেই অপছন্দ করার রাস্তা আমি খোলা রেখেছি। বাঙালি দেখলে একসময় উত্তেজিত হতাম না সেটা বললে ভুল হবে, লাফ মেরে বাংলায় কথা বলতে যেতাম। তার উত্তরে বারকয়েক হিমশীতল ইংরিজি শুনে তবে আমার শিক্ষা হয়েছে। বাংলাদেশের (এবং সি আর পার্কের) বাইরে, বিশেষ করে কাজকর্মের ক্ষেত্রে আমি আজকাল আগ বাড়িয়ে বাঙালিপনা একেবারেই দেখাতে যাই না। অপেক্ষা করি, উলটোদিকের বাঙালির ভাবভঙ্গি দেখে তবেই পা বাড়াই।

আমার অফিসে লাখ লাখ বাঙালি কাজ করে। বাঙালিদের পক্ষপাতিত্ব দেখানোর প্রশ্নই নেই, কারণ নীতিগতভাবে আমি অফিসের কাউকেই পছন্দ বা অপছন্দ করি না, করলে নানারকম সমস্যার উৎপত্তি হয় দেখেছি।  

কাল নিয়মের একটা ব্যত্যয় ঘটে গেল।

নিজের মনে কাজ করছিলাম। এমন সময়ে বাংলায় একটি কথোপকথন শোনা গেল। গলা শুনেই চিনতে পেরেছি। বক্তারা দুজনেই উচ্চপদস্থ ও বর্ষীয়ান। কান পাতছিলাম না একেবারেই, কিন্তু তাঁরা এমন খোলা গলায় গল্প করছিলেন যে শোনা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।

কথা হচ্ছিল সিনিয়রিটি নিয়ে।

কে কত সিনিয়র, কে সিনিয়রিটি ধুয়ে জল খেতে চায়, কে চায় না ইত্যাদি প্রভৃতি। কথা হতে হতে একজন হঠাৎ নিজের বয়সটি ঘোষণা করে বসলেন। বললেন, 'আমার তো এই সবে পঁয়তাল্লিশ হল।'

ঠিক দু’সেকেন্ড বাদে হাসিহাসি গলায় অন্যদিক থেকে প্রশ্ন ভেসে এল, ‘বাড়তির দিকে পঁয়তাল্লিশ না কমতির দিকে পঁয়তাল্লিশ?’

তারপর স্বাভাবিকভাবেই ওদিকের কথোপকথন বেশি এগোল না আর এদিকে আমার এতদিনের 'কর্মস্থলে নন-পার্শিয়ালিটি'র নীতি হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ল। বুঝে গেলাম বাঙালিদের আমি অবাঙালিদের তুলনায় বেশি পছন্দ করি না ঠিকই, কিন্তু সুকুমার রায় পড়া বাঙালিদের আমি এখনও পৃথিবীর বাকি সব মানুষের থেকে অন্যায় রকমের বেশি পছন্দ করি।    

  

Comments

  1. Amar o mainer onekta dhongso kore ekti smart phone prapti hoyeche ei kodin holo... kintu durvagger kotha setar byabohar thik thak sikhtei mone hoi amar ekjon grihosikkhok dorkar!!! ar ki charge kahi... dudin ontor charge dite hochhe... Puro gola 26, ghar 26, buk 26 phone..

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই ছাব্বিশের ট্রিকটা দারুণ, অর্ণব। খারাপ কথা বলাও হল না, আবার রাগটা ঝাড়াও গেল। চার্জের ব্যাপারটা ঠিকই বলেছ। আমার পুরোনো ফোনটা একবার চার্জ দিলে অনন্তকাল চলত, আর একে সকাল বিকেল প্লাগে বসাতে হয়।

      তুমি মাস্টারমশাই রেখে শিখে নাও, তারপর আমাকে ফোনের ঘাপঘোপ শিখিয়ে দিয়ো তো, আমার তবে গৃহশিক্ষকের মাইনেটা বেঁচে যায়।

      Delete
  2. Replies
    1. তোমার কমেন্টটাও আমার দিব্যি লেগেছে প্রিয়াঙ্কা।

      Delete
  3. oi bichhana desk kothay pawa jay taa jodi bale dao, bhari upokar hoy. Online pawa jaabe ki?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওটা ফ্যাবইন্ডিয়া-র চন্দ্রচূড়। অনলাইন পাওয়া যায় কি না জানি না তো। তুমি একটু সাইটে গিয়ে খুঁজে দেখতে পারো।

      Delete
    2. Peye Gechi. Anek Anek Dhonnobad :D :D

      Aaro jodi karo laage tai linkta ekhane dilam. TUmi na chaile khulo na, gift er daam jaante nei.

      http://www.fabindia.com/furniture/accessories/breakfast-table.html

      Delete
    3. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ চন্দ্রচূড়.. আমি তো ভাবছিলাম কুন্তলা-র বাড়িতে হানা দিয়ে ডেস্কটা কেড়ে নিয়ে আসবো | তুমিই বাঁচালে..

      Delete
    4. চন্দ্রচূড়, তুমি অপরাজিতাকে কতখানি বাঁচিয়েছ জানি না, আমাকে যে রামবাঁচান বাঁচিয়েছ সেটা বলতেই হচ্ছে। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  4. "টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একশো পঁচাত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত ভারতীয় কার্টুনশিল্পীদের শিল্পের সংকলন।" ar bichhana desk .. ei duto amake jogar kortei hobe dekhchhi... sanghatik lobh dilam. ar "সুকুমার রায় পড়া বাঙালিদের আমি এখনও পৃথিবীর বাকি সব মানুষের থেকে অন্যায় রকমের বেশি পছন্দ করি।" etate oi HIGHEST FIVE ... hna oi অন্যায় kothata mathate rekheo :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. জোগাড় করে ফেলুন করে ইচ্ছাডানা। বইটা অ্যামাজনে পেয়ে যাবেন, বিছানাডেস্কটা খোঁজাখুঁজি করতে হলেও হতে পারে। তএ অবিকল এইটা না হলেও, এ রকম জিনিস নিশ্চয় অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। খুব খুব খুব কাজের জিনিস। আমার একটা ছিল আগে, কিন্তু সেটা এক্কেবারে সেই কনট প্লেসের ফুটপাথ থেকে দরাদরি করে কেনা, ভয়াবহ রকম কেজো দেখতে। এইটা দেখতে এত সুন্দর, যে আমি ঘুরতে ফিরতে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি আর গায়ে হাত বুলোচ্ছি।

      সুকুমার রায়ের ব্যাপারে কোনও অন্যায়ই অন্যায় নয়। হাই ফাইভ।

      Delete
  5. এতদিনে বোঝা গেল অবান্তরে পোস্ট পড়া কমে গেছে কেন! তবে ওই ওকে গুগল করে অ্যালার্মটা আমিও দিই ফোনে। ছুটির দিন দুপুরে ঘুমোতে হলে আবার "ওয়েক মি আপ ইন এন আওয়ার" বলে দিই। অডিওবুক আর শ্রুতিনাটক আমার বেজায় প্রিয়, দাঁড়ান আমার কাছে আরো কিছু আছে দেবখন আপনাকে। হ্যারি পটার থেকে হ য ব র ল অনেক কিছু। আমিও প্রায়ই রাতে ওগুলো কানে গুঁজে ঘুমোই।

    অবান্তরের জন্মস্থান থেকে অবান্তরে কমেন্ট করছি। বেশ একটু ইয়ে লাগছে সেটা বলতেই হবে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা, কেমন লাগছে অবান্তরের জন্মস্থান? আপনারা বিগ বিগ সিটির মানুষ, ভুট্টাক্ষেতের মধ্যে পড়ে কেমন বোধ করছেন? কলম্বাস নিয়ে একটা লেখা চাই। ভালো খারাপ যাই লাগুক না কেন। এই দাবি জানিয়ে রাখলাম।

      Delete
    2. আমি তো বাংলা ইংরেজি দুটো লেখা দেব ভাবছিলাম। কেমন লাগছে সেটা নাহয় লেখাতেই জানবেন। :-)

      Delete
    3. আহা, দুটো লেখা পাব জেনে মন ভরে গেল। এই যে আমি সেদিন কলম্বাসের গাইডগিরি করলাম, নানারকম ফিলিংসের জন্ম হচ্ছিল মনের মধ্যে। অপ্রত্যাশিত ফিলিংস। নিজেই চমকে গেছি।

      Delete
  6. Arre, last point ta ekdom khnati sotyi kotha. Tobe eta Sukumar na hoye je kono priyo bangali lekhok holei hoy. Ei sedin amar porichito ek apato-tnyash manush hothat "na khu chihl o panjam hastam" bole Mujtaba Ali niye alochona korte shuru korlen. Ami anondey pray taakey joriye dhori ar ki!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা, এ তো মারাত্মক কোটেশন দিয়েছে। ইমপ্রেসড হওয়ার মতোই। আমার এক বাংলাদেশি রুমমেট ছিল, তার নাম পূর্ণা। পূর্ণা, কিছু ভালো লাগলেই বলত, 'আহা, ইসসা করে গালে একখান সুমা দিয়া আসি।' মুনিরকা থেকে আম কিনে এনে হোস্টেলের ঘরে বসে খাচ্ছে, আমখানা দারুণ মিষ্টি, পূর্ণা বলছে, আহা ইসসা করে আমওলার গালে একখান সুমা দিয়া আসি। ছ'শো পনেরোর কন্ডাকটর সাতটাকার টিকিট বেচতে গিয়ে পূর্ণার পাঁচশো টাকার নোট ভাঙিয়ে দিয়েছে, পূর্ণার ইসসা হত কন্ডাকটর ভাইয়ের গালে একখান সুমা দ্যায়...এই রকম আরকি। সৈয়দ মুজতবা কোট করলে আমার মনে হচ্ছে, আমারও পূর্ণার মতোই ইসসা হবে।

      Delete
  7. নতুন ডেস্ক এবং নতুন ফোনের জন্য অভিনন্দন। কোন ফোন কিনলেন? ফোন তো রাগ করেছে আপনার ওপরে। বেচারা স্মার্টফোনটাকে দিয়ে ভারি ভারি কাজ করাবেন, আবার খেতেও দেবেন না। নেক্সট ফোনটা কেনার সময় ব্যাটারি লাইফ দেখে নেবেন, 3000 mAh এর বেশি হলে ভালো লাইফ পাবেন।
    দাদা সেবার আমায় খুব খেপাচ্ছিল, আমি "ও মা, ও পিসি, ও শিবুদা" বলে চিৎকার জুড়েছিলাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার ফোনের নাম মোটো জি। ব্যাটারির ব্যাপারটা জানতাম না, জেনে নিলাম। থ্যাংক ইউ দেবাশিস। শিবুদা বলে চেঁচানোর মধ্যে কী অনির্বচনীয় আরাম আছে না দেবাশিস? খোদ ভগবানের নাম ধরে চেঁচালেও অত ভরসা পাওয়া যায় না বোধহয়।

      Delete
  8. Congratulations Kuntala! Amio somproti phoner doulete smart hoichhe. Amar bhaier gift. Ar amar chele-meye amar sikhokotar dwaitwa niyechhey! Bolte taratari sikheo gitechhi. Mastarmoshaira bhal na ami bhalo chhatri ta janina! Tobe sotti charge lagiye rakhte parlei jeno bhalo, eto charge khay! Ar eta jeno bhalo laglo, je tumi amake pochhondo korbe, kenona ami Sukumar Ray ke bhari pochhondo kori!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা, ছাত্র ভালো না হলে মাস্টারমশাইদের সাধ্য কি তাকে মানুষ করে রুণা। আমার বড়মাসি বলতেন, আধারটাই সব।

      সুকুমার রায় হাই ফাইভ।

      Delete
  9. Smart phone amio sanghatik bhalo bastam, Kintu ektai samossa phone jinis ta amar bilkul na pasand. Kathay kathay loker sathe katha bolte amar birokti tai ek piece iPad (screen ta bhengechhe kanyar kalyane)! Peaceful bliss!
    Ami Tuktuk ke khub Chhoto theke boi pore shuniechhi karon ta ei je jato kakhon boi nie Bose achhe tatokkhon anno jinis gulo dhwangsher haat theke rakkha pachhe. Tobe kaj banchanor jonno ekti word-o bad dea sahoj noi. Sathe sathe abar poro command ase. Ekta page bad dite gele ager page ta age poro shunte hoi! Kintu boi pore take ghum parano jaina. Ami ghumie pori prai ar se poro maa poro kore dakadaki korte thake.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা, আমি এই শেষ দৃশ্যটা দেখতে পাচ্ছি রুচিরা। তুমি 'গিভিং ট্রি' হাতে নিয়ে ঢুলছ আর টুকটুক ছোট ছোট হাত দিয়ে তোমাকে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে বলছে, পড়, মা পড়...কল্পনা করেই মন ভালো হয়ে গেল।

      Delete
  10. Ei amar meyo thik erokom korto!

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমাকেও তার মানে অনেক রিডিং পড়তে হয়েছে, রুণা?

      Delete
  11. anek din por tomar blog porlam, khub bhalo laglo. Just gotokal i amar o akta smartphone juteche, notun khelna niye ami to ektu oprostute pore gechi, kikore ki hoy akhono thik dhatostho hoi ni. r tomar desk ta just durdanto!!
    bedtime ba anytime reading er baparta kintu amar mondo lagena..thik ghum parani hisebe na, emni i, specially reading ta porte.. chotobelay bon ke ya mota mota boi puro pore shonatam.. keu sundor kore porle shunteo dibbi lage :)

    ReplyDelete

Post a Comment