যেন হারে, যেন হারে, ঠাকুর...
এখন টিভিতে একগাদা চ্যানেল থাকলেও দেখা হয় মাত্র
একটা কি দুটো। অথচ আমাদের ছোটবেলায় যখন চ্যানেলই থাকত একটা কি দুটো, তখন টিভির
আকর্ষণ ছিল দেখার মতো। কানের গোড়ায় আরেকরকম আকর্ষণ টের না পেলে তার সামনে থেকে উঠে
আসা ছিল অসম্ভব। চিত্রহার ইত্যাদির প্রশ্নই ছিল না। হিন্দি মানেই
অপসংস্কৃতি, হিন্দি গান নরকের দ্বার। ক্ষতিপূরণের জন্য নিজের স্কুল থেকে ফেরা আর
মায়ের অফিস থেকে ফেরার মধ্যে যে ফাঁকটা থাকত তাতে আমি টিভিতে যা দেখানো হত সব
দেখতাম। চিচিংফাঁক, হরেকরকমবা, শিল্পজগৎ, তরুণদের জন্য, চাষিভাইদের জন্য, নেপালি
গান। সব।
আর এখন দেখুন। মাসে মাসে এককাঁড়ি টাকা গচ্চা
দিয়ে প্যাকেজ নেওয়া হয়, লাখে লাখে চ্যানেল, অথচ দেখার যোগ্য সেই একটা, বড়জোর দুটো।
অর্চিষ্মানের দ্রষ্টব্য চ্যানেলের বৈচিত্র্য তাও কিছু বেশি, আমার মনের মতো জিনিস
দেখায় শুধু ফক্স ক্রাইম আর বাংলার ফক্স ক্রাইম, অর্থাৎ সোনি আটে। মাঝে মাঝে মেজাজ
ভালো করতে সংগীত বাংলা চালাই। ব্যস।
সব চ্যানেল যে দেখা হয় না সে নিয়ে আমাদের আফসোস
না থাকলেও একধরণের চ্যানেল নিয়ে আছে। খেলার চ্যানেল। আমাদের দু’জনের জীবন থেকেই
খেলা সম্পূর্ণ উধাও হয়ে গেল কী করে এবং কখন, সেটা অনেক ভেবেও আমরা মনে করতে
পারিনি। খেলা মানে খেলাসংক্রান্ত বিনোদনের কথা বলছি। খেলোয়াড় যে হব না সে
পূর্বাভাস জীবনের প্রাতঃকালেই পাওয়া গিয়েছিল। যখন পার্কে ছুটতে ছুটতে পড়ে গিয়ে
হাঁটু ছড়ে গেলে বাকিরা উঠে পড়ে হাঁটু ঝেড়ে ছুটত আর আমি ফ্রকের হেমলাইন সাবধানে
তুলে ধরে (যাতে ব্যথা জায়গায় ঘষা না লাগে) খোঁড়াতে খোঁড়াতে ঠাকুমার কাছে গিয়ে
খুনখুন করতাম। স্পোর্টসে গুলিচামচ আর অংকরেস ছাড়া অন্য সবেতে আমার লাস্ট প্রাইজ্
বাঁধা ছিল। গো অ্যাজ ইউ লাইকে বারদুয়েক প্রাইজ পেয়েছিলাম অবশ্য, তবে তাতে আমার
থেকে মায়ের কৃতিত্বই বেশি।
তা বলে খেলা দেখায় খামতি পড়েনি কখনও। অলিম্পিকের
উদ্বোধনী থেকে সমাপ্তি অনুষ্ঠান, মাঝে দৌড়, জ্যাভলিন থ্রো, সাঁতার, সাইকেল, ফুটবল
ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ, টেনিস---সব গোগ্রাসে গিলতাম। সেটা কতখানি খেলার প্রতি
ভালোবাসায় আর কতখানি খেলা দেখার ছুতোয় টিভি দেখার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে, তা এখন
আর মনে নেই।
হিন্দি গানের মতো খেলা দেখাতেও বারণ ছিল না কেন,
সেটা একটা রহস্য, আবার রহস্য নয়ও। আমার মা স্ট্রিক্ট ছিলেন, মায়াদয়াহীন পাষণ্ড
ছিলেন না। সারাপাড়ার মধ্যে আমাদের বাড়িতে টিভি এসেছিল বেশ আগের দিকেই। বিশ্বকাপ
ইত্যাদি চলার সময় পাড়ার দাদাকাকুজেঠুর দল নিয়মিত আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং সারারাত
ধরে চিৎকার করে গলা ভেঙে বাড়ি যেতেন। সেই ক’টা রাত আমাদের নিরাভরণ ছাপোষা সদরঘরটা
উৎসবমুখরিত হয়ে থাকত। কাপের পর কাপ চা যোগান দিতে মা’কে কখনও ক্লান্ত হতে দেখিনি,
ঠাকুমাকে কান চাপা দিয়ে বলতে শুনিনি, ‘বাপরে বাপরে বাপ, চিল্লাইতেও পারে’, খবরের
কাগজের ভাঁজ উলটেপালটে গেলে বাবাকে ভুরু দিয়ে নিখুঁত সেকেন্ড ব্র্যাকেট বানাতে
দেখিনি।
সামনের ঘরের সেই উৎসবের ছোঁয়াচ থেকে আমাকে
বাঁচিয়ে রাখার কোনও ইচ্ছে মায়ের ছিল না। উল্লসিত জনতার মাঝখানে, সবজান্তা মুখ করে বসে
আমি খেলা দেখতাম, হাফটাইমের আগেই ঘুমিয়ে কাদা হতাম, মাঝে মাঝে ‘গোওওওল’ চিৎকার,
চটপট হাততালি, বিছানার তোষক ও পরস্পর পিঠ চাপড়ানোর কলকাকলি ঘুমের পরত ভেদ করে কানে
আসত, মনে হত একটা ভীষণ আরামের স্বপ্ন দেখছি।
অবশ্য শুধু টিভি দেখার ছলনায় খেলা দেখতাম সেটা
ভাবা ভুল হবে। যদি ধরেও নিই শুরুতে উদ্দেশ্যটা সেটাই ছিল, পরের দিকে খেলা দেখতে সত্যি
সত্যিই ভালো লাগত। দল, খেলোয়াড়দের সঙ্গে একাত্ম বোধ করতাম। আমি প্রথম ফ্যান
হয়েছিলাম মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার। কী টুর্নামেন্ট ভুলে গেছি, বড় গোছেরই হবে, তেরো
বছরের ছোট স্টেফি গ্রাফের কাছে ফাইনালে হেরে গেলেন মার্টিনা। খেলার শেষে স্টেফি
মস্ত কাপটা মাথার ওপর তুলে ধরেছেন, নতুন নক্ষত্রের পায়ের কাছে উল্লসিত অভিবাদনে
নুয়ে পড়েছে সারা স্টেডিয়াম, স্টেফির মুখের ওপর মুহূর্তে মুহূর্তে ঝলসে উঠছে
ক্যামেরার আলো, সেই আলোয় স্টেফির মুখটা মাথার ওপর তুলে ধরা কাপটার থেকেও বেশি
ঝকঝকে দেখাচ্ছে, মা বলছেন, ‘আহা এইটুকু মেয়ে’, বাবা বলছেন, ‘কেমন দৌড়তে পারে,
দেখলে?’ আর পাশে দাঁড়িয়ে গতযৌবনা মার্টিনা রুপোর থালাটা বুকের কাছে ধরে হাসার
চেষ্টা করছেন। এ কথা পরিষ্কার জানা সত্ত্বেও যে তাঁর দিন শেষ।
জল খাওয়ার ছুতো করে উঠে এসে ভেতরের ঘরে খুব
কেঁদেছিলাম মনে আছে। সময়ের নির্মমতার আভাস আমার সেই সেদিন প্রথম পাওয়া।
জীবনের আর একটি ধ্রুবসত্যের সঙ্গেও আমার
প্রথম মোলাকাত হয়েছিল খেলা দেখার সূত্রেই। আমার বাবা ফুটবল বিশ্বকাপের সব খেলা তো
দেখতেনই, কিন্তু ব্রাজিল আর্জেন্টিনার খেলা অন্যরকম উত্তেজনা নিয়ে দেখতেন। ব্রাজিল
বনাম আর্জেন্টিনা খেলার কথা বলছি না শুধু, ব্রাজিলের সব ম্যাচ, আবার ওদিকে
আর্জেন্টিনার সব ম্যাচ। কিন্তু দু’দলের খেলা এত মনোযোগ দিয়ে দেখার উদ্দেশ্যটা
বাবার সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা ছিল। হলুদসবুজ ছিল বাবার জিয়নকাঠি। এখনও আছে। বাবাকে
যদি কেউ বলে আপনি একদিন না খেয়ে থাকলে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতবে, তাহলে বাবা গোটাদিন নির্জলা উপোস দেবেন।
আর কেউ যদি বলে আপনি একদিন না খেয়ে থাকলে
আর্জেন্টিনা হারবে, তাহলে বাবা লাফিয়ে উঠে বলবেন, আমি দেড়দিন না খেয়ে থাকলে কি ওরা
গোহারা হারবে? তাহলে না হয় দেড়দিনই থাকব।
এ জিনিস পরে আরও অনেকবার দেখেছি। নিজের পাড়ায়
আকাশছোঁয়া ন্যাড়াপোড়া বানানো হয়ে যাওয়ার পর পাশের পাড়ার শীর্ণ ন্যাড়াপোড়া খুঁচিয়ে
ভেঙে দিয়ে আসতে। হায়েস্ট পাওয়া ছাত্রকে গায়ে পড়ে ফেলকরা ছাত্রের টুকলি ধরিয়ে দিতে।
নিজে অনায়াসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও অন্যের ভাগ্যে শিকে কেন ছিঁড়ল সেই নিয়ে ভেবে
ভেবে রাতের ঘুম মাটি করতে।
কিন্তু বাবার সঙ্গে বসে খেলা দেখতে গিয়েই আমি প্রথম জেনেছিলাম, কখনও
কখনও নিজের জয়ের আনন্দের থেকে অন্যের পরাজয়ের তৃপ্তিটা অনেক বেশি হয়।
নিচের সার্ভেটা দেখে সেই কথাটা মনে পড়ে
গেল।
উৎস
আমার উত্তরটা বলি। বাবার সঙ্গে আমার অমিলটা হল যে
ব্রাজিলের থেকেও জার্মানি জিতলে আমার আনন্দ বেশি হয়, আর বাবার সঙ্গে আমার মিলটা হল
যে আর্জেন্টিনা হারলে আমার বাবার মতোই দু’হাত তুলে নাচতে ইচ্ছে করে।
আপনি কার জিত, কার হারের
জন্য গলা ফাটাচ্ছেন এবার?
ওটা সাতাশি ফ্রেঞ্চ ওপেন হবে। স্টেফির প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম। মাধুরী দীক্ষিত এবং স্টেফি গ্রাফ হলেন আমার স্বপ্নের দুই রাজকন্যা, আর নাভ্রাতিলোভা হলেন সেই রূপকথার ডাইনি বুড়ি।
ReplyDeleteআমাকে যদি কেউ বলে যে পুরো একদিন কনট প্লেস মেট্রো স্টেশনে নিলডাউন হয়ে থাকলে ব্রাজিল গোহারা হারবে আর আর্জেন্টিনা জিতবে, তাহলে আমি দুদিন নিলডাউন হয়ে থাকবো... জাস্ট টু বি শিওর। মারাদোনার লিগেসি, চাট্টিখানি কথা নয় বাওয়া।
যা, খেলাধুলোর জায়গাটা এক্কেবারে মেলেনি আপনার সঙ্গে দেবাশিস। আমার ছোটবেলায় মারাদোনার নাম শুনলেই রাগ হয়ে যেত, ভগবানই জানে কেন। এখন অবশ্য সে ভাবটা কেটে গেছে।
DeleteTennis:
DeleteDamn you debashish. Ei to aapnaar rajkonya r level (Steffi r kotha bolchhi). Opponent ke kupiye/injure korey rajkanya r rajotwo maintain raakhtey hoye. Chhoh!
Football:
Jiyoo Debashish. Aapnar moto shomo-monoshko lok peye oshadharon laaglo. 1986 e bhogobaan ke 'live' dekhechhi. Tokhon thekey argentina haarley boRo koshto paai.
eta te amio debasish babur dole..kuntala dir prachando anti..ami maradonar janyo torko lore marpit,sampaorko kharap porjanto korechi..ekhon hasi pay..tao maradona ekbar e jonmay...rajputro
Delete90s italia te ami final er por mone ache ekta chapa kasto..ekta kemon jeno monkharap..nah..ekhon otota nei..tobuo..aar sambaran babu..apni ki hingis er ahoto hoar kotha ta bolchen..ota te steffy graf er jorito thaka ta proman sapekkho..any way just emni bollam
Deleteহিঙ্গিস না, মোনিকা সেলেস | স্টেফি মেরেছে বলছি না | কিন্তু সেলেস বসে না পড়লে স্টেফি কে আর দেখতে হতো না |
Deleteআমার মায়েরও এই মত, সম্বরণ। সেলেসের কথা উঠলে মা এখনও দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।
Deleteআমি ব্যাপারটা ঠিক ওভাবে ভাবিনা। এমনিতে যে দুটো দলকে আমি সাপোর্ট করি, তারা হচ্ছে ব্রাজিল আর হল্যান্ড। আর্জেন্টিনার ওপর আমার কোনও বিদ্বেষ নেই, যদি ভাল খেলে জেতে, তাহলে বাহবা দিই (এটা অবশ্যই সব দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
ReplyDeleteতবে মুশকিলে পড়ে যাই ব্রাজিল বনাম হল্যান্ড খেলা হলে। তখন একটা ভাল খেলা দেখার আশায় থাকি, আর ব্রাজিল হেরে গেলে কষ্টটা একটু বেশি হয়। :)
বাঃ, আপনি গোটা ব্যাপারটার প্রতি বেশ একটা নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন দেখছি। খেলাধুলোর ক্ষেত্রে এটা করা বেশ কঠিন। বিশেষ করে আমাদের মতো আবেগ-জরজর বাঙালিদের পক্ষে।
Deleteনেদারল্যান্ডকে সমর্থন করেন? তাহলে তো এখন আপনি দারুণ সুখে আছেন। স্পেনের নাকে কী র্যাঁদাটাই না ঘষল।
আসলে ভাল খেলে কেউ জিতলে আমার অতটা খারাপ লাগেনা, কিন্তু নব্বই বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানি যেমন চোট্টামি করে পেনাল্টি বাগিয়ে নিয়েছিল, সেরকম হলেই বেজায় রাগ হয়।
Deleteসুখ বলে সুখ? শনি-রবি তো এই সুখের সাগরে ভেসেই কেটে গেল। :D
Braziiiiiil! Na na na na na na na! (Ami ajkal pray-i ei gaan ta shuni. Feel ta aante ar ki. :P)
ReplyDeletehttp://www.youtube.com/watch?v=Oy7auMLUIdA
Bangali kina, tai Brazil na hoye jay kotha?
Oboshyi amar Germany keo besh pochhondo. 2002 er final ey here giye Oliver Kahn ke chupchap goal post er samne boshe thakte dekhechhilam match sheshey. Brazil er jetar anondo ta kothay jano ektu kome giyechhilo. Eibar jodi abar oi du doler modhye final hoy tobe dhormoshonkote pore jabo khub.
তোমাকে আমার যতখানি পছন্দ ছিল, এই কমেন্টটা পড়ে তার থেকে একটু বেশি পছন্দ হয়ে গেল, বিম্ববতী। আমার জার্মানিকে পছন্দ কেন জানো? ছিয়াশির বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানিকে হারতে দেখা। ছোট ছিলাম কি না, হেরোদের দুঃখ তখন বুকে বাজত। সেই থেকে আমি মনে মনে জার্মানিকে সাপোর্ট করার শপথ নিই, আর আর্জেন্টিনাকে কোনওদিন সাপোর্ট না করার। সেই শপথ এখনও ভাঙিনি। ইমপ্রেসিভ কি না বল?
Deleteএইরকম বোকা শপথ যাতে আর না নিই, সেজন্য আজকাল হেরে যাওয়া টিমের দিকে বেশি মনোযোগ দিই না। পাছে মন নরম হয়ে যায়। সাপোর্ট করতে হলে যে শক্তিশালীদেরই করা ভালো, সে বুদ্ধি এখন আমার হয়েছে।
gavir rate amader barir sadarghare parar barora base khala dekhchhe...eta amaro anek chotobelar abcha smriti. tarpore arektu baro hale ase paser barir theke goal bale chitkare khela dekhte dekhte ghume jurie jaoa abstha theke satan uthe basa.
ReplyDeletekintu jeta sabcheye romanchokar..seta halo majhrattire choto sada bal niye e gharer khat r o gharer almari r dinning table er paya guloke dribble kare ese tv er samne darie utkanthay dekha tv er bhitorer sei bente loktar mato halo kina.... nil-sada half hata jersey te kopaler gham muche bal take dubar nachie niye chotto break...ebar tv er bhitorer loktar paye bal...ekhunni magic habe...tar o gae eki ranger poshak...pichoner no. 10. vamos...vamos ARGENTINA
হাহাহাহা সায়ক, তুমি তো ডাই হার্ড আর্জেন্টিনা ফ্যান দেখতে পাচ্ছি। তোমার ঘরের ভেতর ফুটবল খেলার বর্ণনাটা পড়ে মুগ্ধ হলাম, পরিষ্কার দেখতেও পেলাম। ছোটবেলায় সবকিছু নিয়েই কত সিরিয়াস থাকি না? ভক্তি, সমর্থন, ভালোবাসা---সবই কত গভীর থাকে।
Deleteআর বড়বেলায় দেখ। সব বড়র হয়ে স্টেটমেন্ট দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখাতে চাই না, শুধু নিজের কথা বলতে পারি, নির্লিপ্তিটাকে একটা আর্টের পর্যায়ে নিয়ে গেছি। খেলা হচ্ছে, জিতছে, হারছে, দেখছি, ব্যস। কাউকে মনোযোগই দিচ্ছি না। তোমার ছোটবেলার মারাদোনা-আনুগত্যের গভীরতার গল্প শুনে তাই খুব খুব ভালো লাগল।
এই লিস্ট-টায় বেশ একটা মজার বাপার আছে | ব্রাজিল, ফ্রান্স, জাপান, রাশিয়া আর সাউথ কোরিয়া-র মধ্যে | সৌরভ-কে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টীম থেকে বার করে দেওয়ার পরে কলকাতা-র যে অবস্থা হয়েছিল, অনেকটা সেরকম কি ?
ReplyDeleteআরে অপরাজিতা, দারুণ লক্ষ্য করেছ তো। কী সব বিভীষণের দল। ভাবা যায় না। সৌরভ-সিনড্রোম গোছের কিছুই হবে মনে হচ্ছে।
Deleteamader bombay er barite tv ta sattikarer 2baar bala jay byabohar kara hoyeche..11 sale cricket world cup er samay kena hoyechilo..Sachiner last world cup dekha hobe bole..ar akhon football world cup er janyo,majhkhane voter result berobar din khola hoyechilo khanikta...badbaki samay,tv take jhul jhere parishkar rakha hay ,dekha hayna..keno erakam holo ami jani na,.... :( :( amar football nie chotobelar pray kono smriti i nei,akhon Sayak dekhe bole majhe majhe anyo ghar theke uthe ese dekhi,bhaloi lage ..:) - tinni
ReplyDeleteআমাদের টিভির অবশ্য ওভারটাইম খেটে অভ্যেস আছে, কিন্তু সেই অংশটা বাদ দিলে তোর কমেন্টের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছি। আমারও খেলা নিয়ে একেবারেই মাথাব্যথা নেই, কিন্তু এইসব ওয়ার্ল্ড কাপটাপ এলে একেবারে অন্য মূর্তি। ক্রিকেট অতটাও নয়, ফুটবল বাড়াবাড়ি রকমের। আমার সমর্থন করা দলের হাফে অন্য দল বল নিয়ে ঢুকলেই মনে হয় এইবার হার্ট অ্যাটাক হতে আর বেশি দেরি নেই। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে এলে চোখ চেপে শুয়ে পড়ি। আবার যখন উল্টো ঘটনা ঘটে তখন চেঁচিয়ে প্লেয়ারদের উৎসাহ দিই। সে একেবারে কেলেংকারি ব্যাপার।
Deletehaha ,valo toh - tinni
Deleteজার্মানিকে সাপোর্ট আর আর্জেন্টিনা হারলে খুশি হওয়া? এ লেখাটা এতই অফেন্সিভ যে আমি এর বেশি আর একটা কথাও লিখবনা। x-(
ReplyDeleteহাহাহা, আহা রাগবেন না। জার্মানি, আর্জেন্টিনা---চার বছর পরে পরে এই একটা মাসই তো কাল্পনিক শত্রুমিত্র খাড়া করে বিশ্বযুদ্ধ লাগানোর সুযোগ। সেই যুদ্ধের উত্তেজনাটাই আসল কথা, কে কোন পক্ষকে সাপোর্ট করছে সেটার থেকে।
DeleteApnar ai smritir dhongshostup-e eto dokhhotar sathe khononkarjer jonnoi apnar lekhaguli eto bhalo lage. Onek mil pelam amar chotobelar khela dekhar obhiggotar songe.
ReplyDeleteSteffi Graf - amar chottobelar crush, aha ki bhaloi na lagto meyetike, or jonnoi amar tennis er sob niyom sekha oto chotobelay.
'ভুরু দিয়ে নিখুঁত সেকেন্ড ব্র্যাকেট eta kothao porechi ba sunechi....kothay bolunto?
ইস, আপনিও স্টেফির ভক্ত? আমার দলে লোক পাওয়াই যাচ্ছে না।
Deleteভুরু আর সেকেন্ড ব্র্যাকেটের উপমাটা বহুব্যবহারে জরাজীর্ণ একটি উপমা, ওটা আপনি লক্ষলক্ষ জায়গায় শুনে বা পড়ে থাকতে পারেন সৌমেশ।
ছোঃ! তোরা স্পোর্টস-ইন-শর্টস দেখিস্? ধুস্।
ReplyDeleteক্রিকেট দেখ্, ক্রিকেট।
আরে দাঁড়াও এই একটা মাস ফুটবল দেখি, ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় আবার ক্রিকেট দেখব'খন।
Delete"বাবাকে যদি কেউ বলে আপনি একদিন না খেয়ে থাকলে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতবে, তাহলে বাবা গোটাদিন নির্জলা উপোস দেবেন।
ReplyDeleteআর কেউ যদি বলে আপনি একদিন না খেয়ে থাকলে আর্জেন্টিনা হারবে, তাহলে বাবা লাফিয়ে উঠে বলবেন, আমি দেড়দিন না খেয়ে থাকলে কি ওরা গোহারা হারবে? তাহলে না হয় দেড়দিনই থাকব।"
E rokom offer ki bajare achhe naki? Tahole janio... amio oi duto te Kaku r songe onoshon e bose jabo. :)
আহা, বাবা শুনলে যা আনন্দ পাবে, তপোব্রত। তোমাকে সম্পত্তির অর্ধেকটা লিখেই দিল হয়তো। সেজন্যই বাবাকে জানাব না।
DeleteAmader sob bondhura kodin dhore ei aalochonai cholche...tui debanjali rituparna tora chili Germany er supporters. Aami priyanka sengupta...chaitali...era chilam Argentina ....CLass 4 . 1990 shaal. Mone ache sei bubble gum er aathe players der chobi aanka card pawa jeto....kotto jomatam. Toder dekhle tokhon raag o hoto...kemon German German gondho petam mone hoto....ritimoto dolvaag hoye gechilo....ekhon hasi paye vable....tor best footballer Lothar Matthews....sei uttejonar shuru....aajo dol bodlini. Tuio dekhlam ek dolei achis..... Sudhu ekhon haar jiter philosophy ta bodle niyechi. Keu jodi here dukhkho pye..vabi keu to jiteche....tader anonder shorik o ekibhabe hoyw jete pari....kintu Germany k aaj o support korte parina! Germany r khela thakle ultodike jei thak mon ta sohojei taar support kore fyale.....
ReplyDeleteআহা, আজ একে সাপোর্ট, কাল ওকে সাপোর্ট, এ'রকমটা ভালো নাকি? জার্মানি নিয়ে আমার হচ্ছে ভদ্রলোকের এক কথা, ঠিক যেমন আর্জেন্টিনা নিয়ে তোর। তোর দলটাকে আমার মোটে পছন্দ না, কিন্তু তোর লয়্যালটি দেখে আমি খুশি। হারজিতের পার্সপেকটিভ বদলানো ছাড়া গতি নেই ভাই, না হলে নিজের জীবনের হারগুলোকে জাস্টিফাই করা যাবে না। অবশ্য আমি বলছি না সেই কারণেই লোকে একমাত্র পার্সপেকটিভ বদলাবে, মানসিক পরিণতিও (যাদের এসেছে) একটা কারণ হতে পারে। অনেক বেশি ভালো কারণ।
Deleteতুই তো এখন একটা ফুটবল পাগল দেশে বসে আছিস। রাস্তাঘাটে খুব হই হই চলছে, না রে?
এহে! কিছুই তো মিলল না। আমি তো আর্জেন্টিনা বা স্পেন জিতলে যত আনন্দ পাই, তার চেয়ে বোধ হয় দশগুণ আনন্দ পাই ব্রাজিল বা ইটালি হারলে। অনেক ছোটবেলায় শুনেছিলাম একজন খেলোয়াড় একাই ছয়জনকে কাটিয়ে গোল দিয়ে এসেছে আর প্রায় একা একাই নিজের দলকে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন করেছে, সেই থেকে আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আর সেই জন্যই যথেষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও নীল-সাদা এখনও আমার ফেভারিট কালার কম্বিনেশন!
ReplyDeleteসেকী পিয়াস, আসল জায়গাটাতেই তো মিলল। এই যে নিজের ভালোলাগার দল জেতার আনন্দ থেকে নিজের খারাপলাগা দল হারার উল্লাস বেশি হওয়া, এখানেই তো আমাদের আসল মিল। কে জিতল কে হারল সেটা তো অপ্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি। ইটালিকে অবশ্য আমারও বিশেষ পোষায় না। কেন পোষায় না সেটা জিজ্ঞাসা কোর না, বলতে পারব না।
DeleteSei biswacup ta jitbar jnnno saytani krechhilo oi bente lokta. England ke hat diye goal na korle to tournament thekei chhitke jeto. Tai chorder kakhonoi mahaan bla jayna. Pele konodin erakam koreni bolei o chirakal Samrat hoyei thakbe. Ar bente lokta chiradin Prince Charles er moto rajpurtra hote thakbe.Konodin singhason pabena.
Deleteআরো একটা জিনিস মিলেছে। স্টেফিকে আমারও বিশেষ পোষায় না। মনে হয় যেন ওর অর্ধেক ট্রফি সেলেসেরই জেতার কথা ছিল, ওকে ঠকিয়ে ফাঁকি দিয়ে সব জিতে নিল।
ReplyDeleteআমি সেলেসের খেলা একেবারেই দেখিনি, কাজেই সেলেসের প্রতি ভালোলাগা জন্মানোর সুযোগ হয়নি পিয়াস। তবে দেখলে আমার মনোভাব তোমার মতো হওয়া খুবই সম্ভব ছিল। আমি শুধু ভাবি কী সব সমর্থক, অ্যাঁ? পছন্দ নয় বলে একেবারে ছুরি?
DeleteI was/am a Navratilova supporter too. Hence I did not like Steffi. On top of that when Seles was knifed out of the game, my anger (which the attacker deserves) was targeted squarely on Steffi.
DeleteAfter Steffi's exit, for a long time women's tennis did not have a long-term-domination. Then came the Williams sisters.. and that is a different story altogether.
This comment has been removed by the author.
Deleteসম্বরণ, অবান্তরে একজন নাভ্রাতিলোভা-প্রেমীকে পেয়ে যে কী ভালো লাগছে। স্টেফি-ঝড়ের মুখে মার্টিনার দল ভারি করার জন্য অনেক অনেক থ্যাংক ইউ।
Deleteami jodio ei khelata khub je bujhi ta noi..ei sobar shune shune ektu bojhar chesta kori.. tobe ... জার্মানিকে keu harale khub khusi hoe jai ar আর্জেন্টিনা harle besh monkharap hoi. ব্রাজিল jitleo obosso mondo lagena....
ReplyDeletear স্টেফিকে khub khuub pachhondo kori tobe নাভ্রাতিলোভা keo opochhondo korina. kintu jakhon prothom khelata bujhte sikhi seisomoi স্টেফি emon swapner moton khelte suru kore je khub taratari samorthonta oidike chole giechhilo.. :-)
এই সেরেছে ইচ্ছাডানা, বোঝাবুঝির ব্যাপার তুললে তো বিপদ। আমিই কী ছাই বুঝি? তবে ফুটবলে বোঝার জিনিস কম বলেই আমার খেলাটা ভালো লাগে। দৌড়ে গিয়ে গোল দাও, দৌড়নোর সময় কাউকে ল্যাং মেরো না, মোটের ওপর এই হচ্ছে নিয়ম। ক্রিকেটের মতো নয়। যত না খেলা, নিয়ম তার থেকে বেশি।
Deleteযাই হোক, জার্মানি হারলে খুশি হোন শুনে দুঃখিত হলাম। কী আর করা, বাঙাল আর জার্মানরা কোনওদিনও নিজেদের যোগ্য সম্মান পায়নি, সে নিয়ে দুঃখ পেয়ে আর লাভ নেই।
achha mohan bagan ki khelche eibarer world cup e..ami abar oder e supporter ki na..ar east bengal haarle sob cheye besi ananda pai :) :)
ReplyDeleteহাহাহা ঋতম, আপনার কমেন্টটা আমার দারুণ পছন্দ হয়েছে। সিরিয়াসলি, ইস্টবেঙ্গল আর জার্মানির খেলা হলে বিম্ববতীর মতো আমিও ধর্মসংকটে পড়ে যাব, কাকে সাপোর্ট করব সেই ভেবে।
DeleteMohun Bagan 1911 sale ki ekta korechhilo tai niye khub hoi hoi hay.Amar mate Mohun Bagan hayto 19011 sale Biswacup khelte pare
Deleteকাল রাতে স্পেনের খেলা দেখতে দেখতে এই লেখাটার কথা মনে পড়ছিল। ছয় বছর ধরে জাতীয় দল এবং ক্লাব দল দিয়ে এরা পৃথিবীকে শাসন করে এসেছে। কাল বুঝেছে যে এদের দিন শেষ। এখন নতুন রাজা আসবেন, রাজমুকুট নামিয়ে রাখার সময় এসেছে।
ReplyDeleteসিরিয়াসলি, দেবাশিস। খেলাটা আমিও দেখছিলাম। চিলি দারুণ খেলেছে, কিন্তু স্পেনকে দেখে মায়া হচ্ছিল। দিন শেষ, এ ছাড়া সত্যিই আর কোনও ব্যাখ্যা নেই।
Deleteআহা এই বিশ্বকাপের বাজারে কোলকাতায় এসে যেন ল্যাতিনো স্বাদ পাচ্ছি। জায়গায় জায়গায় ব্রাজিল আর্জেন্টিনিয় পতাকা। পর্তুগীজটা এবার দেখছি শিখে নিতেই হবে। কি মুশকিল আমার বউ যে খালি জার্মান জানে।
ReplyDeleteলেখা ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ধন্যবাদ সৌরাংশু। ফুটবল বিশ্বকাপের বাজারে কলকাতায়? দারুণ ব্যাপার তো।
DeleteI did not like cricket much. From 1996 onwards I started loving the game. I realized in 2006 that what I loved was not cricket but my Bengali ego. Cricket never interested me post 2006.
ReplyDeleteBeing a Bengali, my ego again prodded me to love football. Loving football was a question of linguistic-identity where I grew up. God (watched him in action in 1986) fooled me into believing that I love the game. It took 16 years (1986 to 2002) to realize that I do not like football either. What I liked was Argentina, not the game.
I have finally attained enlightenment. I have realized that I do love to watch tennis. I love it even when no stars are involved in the game. Nishkaam bhaabey tennis enjoy korar khomota raakhi. I love it even when the game is going on in the 'duo-raani' courts of wimbledon where there is a solitary camera at an awkward angle covering the game.
হাহাহা আপনার এই আত্মানুসন্ধানের যাত্রার বর্ণনা শুনে ভারি ভালো লাগল। ওই যে আপনি বললেন না, I love it even when no stars are involved in the game.ওইটাই হচ্ছে আসল খেলা ভালোবাসার লক্ষণ। সেদিক থেকে দেখলে আমি একমাত্র লুডো ছাড়া আর কোনও খেলাকে ভালোবাসিনি কোনওদিন। খুব ভালো লাগল আপনার এই মন্তব্যটা পড়তে। থ্যাংক ইউ।
Deleteছুটি ছুটি নামে একটি বস্তু কোনোদিন দেখেছিলে? বহু যুগ আগে আমি তার কয়েকটি এপিসোডে অ্যাংকারিং করেছিলাম...ওই আমার ফাইভ মিনিটস অফ ফেম ! (বুঝতেই পারছ আমার বয়েসের গাছপাথর নেই)
ReplyDeleteও আর আমি হচ্ছি মার্টিনার ডাই হার্ড ফ্যান...আর ও দিকে ছিলাম ফ্র্যাঞ্জ বেকেনবাউয়ারের। নাৎসি জার্মানির নাম শুনলেই আমার ভেতরটা কী রকম করে, অথচ যত জার্মান খেলোয়াড়দের আমি ভক্ত...কী অদ্ভুত।
ReplyDeleteসর্বনাশ অদিতি, আপনি তো স্টার দেখা যাচ্ছে। ছুটি ছুটি আমি নিয়মিত দেখতাম (কারেন্ট থাকলে), আপনাকেও নির্ঘাত দেখেছি।
Deleteমার্টিনা হাই ফাইভ, জার্মানি হায়েস্ট ফাইভ।
ইস, অমনি তুমি থেকে আপনি হয়ে গেলাম? ছ্যা ছ্যা।
ReplyDeleteএ মা, সরি সরি সরি। আমি ভুলে আপনি লিখে ফেলেছি, এই কান ধরছি, নাক মুলছি। আসলে তোমার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার আগে সম্বরণবাবুকে আপনি আজ্ঞে করে রিপ্লাই দিচ্ছিলাম, সেই ঝোঁকে তোমাকেও আপনি বলে ফেলেছি। অন গড ফাদার মাদার।
Deleteছোটোবেলার কথা মনে করাল।
ReplyDeleteTV দেখার কি ঝোঁক তখন।
স্কুল থেকে এসে স্নান করে দেখতে বসতাম,তবে ছোটো পিশি এসে অফ! করে দিত।
এখন পড়াশোনার ফাঁকে আর সময় বের করিনা TV ~র জন্য।
আমার পিসিও টিভি দেখা নিয়ে ভীষণ ঝামেলা করতেন অনুজিৎ। এটা বোধহয় পিসিদের ধর্ম।
Deleteসুপ্রভাত দিদি।
ReplyDeleteআমারও তাই মনে হয় পিসিদের ওই কাজ।
ও আর একটা কথা বলতে ভুলে গেছি।
আমি না ফুটবল খেলা দেখিইনা, কিন্তু স্কুলে খুব খেলতাম ক্লাস অফ! করে।
আর এখন খাওয়ার সময় যদি বাবা খেলা দেখে তো যে দলটা অপেক্ষাকৃত দুর্বল তাকেই সমর্থন করি।
সুপ্রভাত অনুজিৎ। তোমার এই ব্যাপারটা আমার মায়ের সঙ্গে একেবারে মিলে গেছে, মাও সর্বদা দুর্বল দলকে সাপোর্ট করেন।
Delete