ভালো থাকা খারাপ থাকা
কালেভদ্রে যখনই আমার
ঠাকুমা তাঁর তিন নাতনিকে একসঙ্গে কাছে পান, ঠাকুমার গল্পের ঝুলি ফুলতে ফুলতে
মধুসূদনদাদার দইয়ের হাঁড়ির মতো হয়ে যায়। কত গল্প কত ছড়া কত প্রবাদ প্রবচন যে সে
ঝুলি থেকে বেরতে থাকে নিজের কানে না শুনলে বিশ্বাস করা কঠিন। এমনি সময়ে আমার যে ঠাকুমা
সারাদিন খাটে শুয়ে সিলিং-এর দিকে ফাঁকা চোখে তাকিয়ে থাকেন, সেই ঠাকুমারই তখন অন্য
রূপ। নাতনিদের গায়ে মাথায় হাত বোলাচ্ছেন, কার মাথায় অবিলম্বে গরম নারকেল তেল মালিশ
শুরু করা দরকার সে নিদান দিচ্ছেন, সকলেই আগের বারের থেকে কত রোগা হয়ে গেছে সেই
দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলছেন, আর ক্ষণে ক্ষণে বলছেন, “এই সার দেওয়া জিনিসপত্র খেয়ে
শরীর ভালো হবেই বা কীকরে। খাঁটি দুধটা ঘিটা, গাছের আমটা জামটা খেয়েছিলাম বটে আমরা,
তাই এখনো লড়ে যাচ্ছি।” ঠাকুমার কোঁচকানো মুখচোখ গর্বে ভরে ওঠে।
আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আমার
যদি কখনো নাতিনাতনি হয়, আর তারা যদি দয়া করে মাঝেমাঝে বুড়ি ঠাকুমার সঙ্গে গপ্প
করতে বসার মতো গ্রাহ্য করে আমায়, তখন আমি তাদের কাছে কী নিয়ে গর্ব করব। খাওয়া না
পরা না হিল্লিদিল্লি ঘোরা। গর্ব করার মতো আদৌ কি কিছু আছে আমার? অনেক ভেবেটেবে
একমাত্র যেটা পাচ্ছি সেটা হচ্ছে, “ভুগেছিলাম বটে আমি, টাইফয়েড থেকে জন্ডিস থেকে শুরু
করে হাঁচি কাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা কী হয়নি
আমার?”
সত্যি। একটুও বাড়িয়ে
বলছিনা, বারো বছর পর্যন্ত আমাকে সুস্থ অবস্থায় দেখতে পাওয়াটা প্রায় ভগবানকে পাওয়ার
মতো ব্যাপার ছিল। মা ভাবতেন তিনি আমাকে ফেলে ফেলে অফিস চলে যান বলে আমার অত অসুখ
করে, বাবা ভাবতেন এক্সারসাইজের অভাব, ঠাকুমা ভাবতেন সকালবিকেল থানকুনি আর
গাঁদালপাতার ঝোল খাওয়ানো হচ্ছেনা বলে নাতনিটার এই দশা, আর পাড়ার বিশ্বনিন্দুক
প্রতিবেশীরা সম্পূর্ণ অন্য একটা সন্দেহ করত।
মা যখন আমার জ্বোরো হাত
ধরে কালিদাদুর কাছে হোমিওপ্যাথির ডোজ দেওয়াতে নিয়ে যেতেন, দাদুর সাত মেয়ের কোনো না
কোনো মেয়ে আমার গাল আচ্ছা করে টিপে দিয়ে জিভ ভেংচে বলত, “হয় হয় একটিমাত্র-দের ওরকম
হয়। মাথায় রাখলে উকুনে খায়, মাটিতে রাখলে পিঁপড়েয় খায়...শরীরের আর দোষ কী?”
সে বাজে লোকে যা খুশি
বলুকগে আমার তাতে কিছু এসে যায় না, অন্তত ছোটবেলায় আসত না। বরং রোগভোগ হলে আমার বেশ আনন্দই হত। শৈশবের রুগ্ন দিনগুলো নিয়ে আমি এখনো নস্ট্যালজিয়ায় ভুগি।
এই যখন জন্ডিস হয়েছিল, কীরকম স্কুলে যেতে হত না, হীরালালপাল আর বিদ্যাপীঠের
ছেলেমেয়েরা যখন সাড়ে দশটা বাজতে না বাজতে দলে দলে ব্যাজার মুখে ব্যাগ বগলে আমাদের
বাড়ির সামনে দিয়ে স্কুলে যেত আমি বারান্দার পুরনো কাঠের চেয়ারটাতে বসে পা দুলিয়ে
দুলিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতাম। দুপুরবেলা মাগুর মাছ সেদ্ধ দিয়ে নরম ভাত খেতেও
সত্যি বলছি আমার খারাপ লাগত না। তবে বেস্ট ব্যাপারটা হত এই বেলা চারটে নাগাদ।
আমাদের বাগানের বাতাবিলেবুর গাছটা থেকে একখানা ভালো দেখে লেবু বেছে পেড়ে আনা হত,
মা সেটাকে যত্ন করে ছাড়িয়ে বেশ নুন-টুন দিয়ে মেখে বাটিভর্তি এনে আমার মুখের সামনে
ধরতেন। চামচটা পর্যন্ত হাতে গুঁজে দিতেন। আমি তারিয়ে তারিয়ে লেবুর গোলাপি রঙের
টসটসে কোয়া মুখে ফেলতাম আর দেখতাম হীরালালপাল আর বিদ্যাপীঠ থেকে ছেলেমেয়ের দল আবার
হাক্লান্ত মুখে বাড়ির দিকে ফিরছে।
হোয়াট’স নট টু লাইক,
ম্যান?
সেসব সোনার দিন আর নেই।
মা নেই (মানে হাতের কাছে নেই), বাতাবিলেবু নেই, হোমিওপ্যাথির মিষ্টি গুলি নেই,
কাজেই রোগে ভোগার চার্মটাই চলে গেছে। জঘন্য।
কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে
তাই বলে ভোগান্তি তো আর আমাকে ছেড়ে যায়নি, বরং আরো চেপে ধরেছে। আজকাল আর শরীর
খারাপ হয়না তেমন, ওই সিজন চেঞ্জের সময় খানিকটা খকখক খুকখুক আর ভরসন্ধ্যেয় সামোসা
খেলে চোঁয়াঢেঁকুর। ব্যস। শরীরের দৌড় শেষ। তার সিংহাসন এখন অধিকার করে বসেছে মন, বা
ওইজাতীয় কিছু একটা ধোঁয়াশা আবছায়া ব্যাপার। কিছুতেই আর সে ভালো থাকে না, সবসময়েই
একটা কেমন মুষড়ানো ভাব, অথচ ভাবের উৎসটা যে কী সে নিয়ে কোনো আইডিয়াই নেই নাকি। আমি
ধৈর্য রাখার চেষ্টা করি, জিজ্ঞাসা করি, “কী হয়েছে? খিদে পেয়েছে? নাকি ঘুম? নাকি
পেট ব্যথা করছে?” সে উত্তর না দিয়ে বদমেজাজি বাচ্চার মতো খুঁৎখুঁৎ করে কেঁদেই যেতে
থাকে।
মাঝে মাঝে সিরিয়াসলি মনে
হয় দিই কষিয়ে এক ঘা।
মা বললেন, প্রাণায়াম কর
সোনা। করলাম। দু’দিন যেতে না যেতেই নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস বোরিং লাগতে শুরু করল। মা
বললেন, আচ্ছা তবে সকালে উঠে দু’পাতা করে গীতা পড়? দেখবে মন শান্ত হবে, মাথা ঠাণ্ডা
হবে। পড়লাম। শুরুটা মন্দ লাগছিল না, অর্জুনবিষাদযোগ আর সাংখ্যযোগ তো রীতিমত ভালো
লাগল, কর্ম আর জ্ঞানযোগও বেশ। কিন্তু তারপর সেই যে কীসব গুণাত্রেয় শ্রদ্ধাত্রেয় আর
পুরুষোত্তম যোগ এসে উপস্থিত হল অমনি আমার মনোযোগও জানালা দিয়ে ফরফরিয়ে উড়ে পালাল।
মন হাত পা ছুঁড়ে নাকিসুরে
বলল, “ধুসসসসস, আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না বলে দিচ্ছি কিন্তু।”
আমারও আর ভালোলাগছে না। কাঁহাতক আর এই ঘ্যানঘানানি সহ্য করা যায়? তাই গত কয়েকদিন সকালবেলা ঘুম ভাঙার পর, যখন মনের প্যাকনা সবথেকে তুঙ্গে থাকে, তখন আমি রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি। কানে উচ্চস্বরে ধাঁইধপাধপ গান আর শরীরে গতির ঝাঁকুনি। ব্যস, মন-মগজ পুরো শাট ডাউন, চাইলেও ভাবাভাবি সম্ভব নয়। বেশ লাগছে জানেন। অনেকদিন আগের জং ধরা অভ্যেস, ঝেড়ে মুছে আগের অবস্থায় আনতে সময় লাগবে খানিকটা। এখনো মন পুরো কাবু হয়নি। সকালবেলা বিছানা ছেড়ে ওঠার সময় ফাইট দিচ্ছে। বলছে, “আরে ধুর অত পরিশ্রমে কাজ কি, আরেকটু শুয়ে থাকোনা মনখারাপ করে প্লিজ?” কিন্তু উল্টোদিকে শরীরের জোর ক্রমে বাড়ছে। পাঁচের মধ্যে তিনদিনই ঝটকা মেরে উঠে পড়ে। আশা করছি খুব শিগগিরি বাকি দু’দিনও পারবে।
সবথেকে বড় কথা গতসপ্তাহে
একদিন অফিসে ঢোকার মুখে, “দেখিই না” বলে লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে পাঁচতলা সিঁড়ি
ভেঙে উঠে এসেও আমার একটুও হাঁপ ধরেনি। সেদিন আমি অফিসে সারাদিন হাসিহাসি মুখে
ঘুরেছিলাম মনে আছে। একচুলও মনখারাপ হয়নি।
ছবি গুগল ইমেজেস থেকে
আমি চিরকাল বলে আসছি যে আমার জীবনের সেরা সময় হলো যখন আমার চিকেন পক্স হয়েছিল সে সময়টা। ক্লাস ২ এর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ, এক গাদা গল্পের বই নিয়ে গোটা দিন মশারির মধ্যে শুয়ে থাকা, আর মাঝে মধ্যে পুরু করে মাখন মাখানো মেরি বিস্কুট খাওয়া। What's not to like? আপনিও এরকম ভাবেন জেনে ভালো লাগলো।
ReplyDeleteUff...makhon makhano Marie ba peyara'r jelly makhano cream cracker. Ajkei khabo. Prothom ta
Deleteআমিও খেয়ে ফেলেছি বং মম. সুগতকে ধন্যবাদ, এরকম একখানা অসাধারণ খাবারের কথা মনে পড়িয়ে দেওয়ার জন্য.
Deletelekhata pore vishon bhalo laglo...batabi lebu khaoar iccheta chagar die uthlo...
ReplyDeletetui gita porte suru korechili???darun toh!..........
আরে শুরু করলে হবে? শেষ করতে হবে তো, সেটাই তো করিনি.
Deletehehe ki daruun mil.....mon kharap hole hanta ta amar osudh er moto kaj kore...hata suru kore kichu kheye bari fire ele mone hoy uff ki halka lagche nijeke...r haan batabi lebu ta amar o vishon priyo.
ReplyDeleteবাঃ আরো একজন হাঁটা এবং বাতাবিপ্রেমীর দেখা পাওয়া গেল. মন খুশি হয়ে গেল রাখী.
Deleteখারাপ থাকাগুলোই ভালো থাকা - আহা, কি শোনালে! আসলে তখন তো আর ভালো থাকার অভিনয় করতে হয়না। বরং, তুচ্ছ ভাবতে ভাবতে নিজেকে যখন অনেকটা স্ট্রেচ করে ফেলেছি, তখনই 'শরীর খারাপ' আসে শাপে বর হয়ে। জীবনকে আবার ভালবাসতে শেখায়। নেক্সটবার অব্দি চলার মত জন্য রি-ফুয়েল করে নিতে পারি। আমি যে শুধু ক্রমাগত হারতে হারতে ব্যলান্স শিটের এক কোনে পরে থাকা একটা এনটিটি-ই নই শুধুমাত্র সেটাও বোঝায়। আমার ভালোমন্দ ভাবার লোকের অভাব নেই এইটে দেখে অসুখের মধ্যেও একটা 'ফিল গুড' ভাব এসে মনকে আচ্ছন্ন করে দেয়। সেটাই আবার আমাদের খাড়া করিয়ে দেয়। ভালো লাগল খুব লেখাটা।
ReplyDeleteধন্যবাদ ধন্যবাদ আবির.
Deleteআমি প্রায় অনেক দিন ধরেই দেখছি আমার যখন ঠিক যেমন ধরনের অসুবিধা হয় আপনি ও ঠিক তার সাথে সাথেই সেই রোগটার উপশম নিয়ে হাজির হন। ব্যাপারটা বেশ ম্যাজিক ম্যাজিক লাগছে, বিনা পরিশ্রমে আমি আমার সমস্যার সমাধান ও খুঁজে পাচ্ছি। আর কি বিনে মাইনের মুশকিল আসান কটা লোকে পায়।
ReplyDeleteসিরিয়াসলি প্রি? দারুণ ব্যাপার তো. আসলে আমাদের সবার সমস্যাগুলোই একরকম বলে বোধহয় মিলে যাচ্ছে.
Deleteযা বলেছ......
DeleteOre baba. Shoreer chorcha. :/
ReplyDeleteআরে ওরে বাবা নয় গো বিম্ববতী, শরীরচর্চা ভালো জিনিস. আমার বয়সে পৌঁছলে হয়ত বুঝবে.
DeleteArey tomay bolchi na 2to beral posho. Tokhon dekhbe tader pechhone doure doure ar tader kando karkhana dekhe moner ar kharap thakbar kono time-i nei. Tachhara bhabo, 2to mao ke tumi shelter er bondidosha theke mukti ditey parbe, bhalo ekta life ditey parbe, setao ki kom satisfactory? Jeebe prem, bujhecho? Jeebe prem.
ReplyDeleteKukur pushte boltam, kintu beral low maintenance ar tachhara tumi saradin bari thako na, kukur rakha ta thik noy. Berali bhalo. Ekebare jodi rakhte na chao to foster koro kichudin.
Na holey, volunteer koro. Edeshe to volunteer korbar lakh lakh jayga. Kichu ekta kaj niye physically byasto thako. Na holey mone chhata pore jabe. Ami to emnii ek muhurto chup kore boshe thakte pari na. Kichu ekta na korle mone hoy ishh etota somoy khamoka noshto korchi? Tobe Mota ar May amader boshte daye kothay?
হাহা রিয়া, মাথায় রাখব.
Delete"What's not to like ?" ta darun diyecho.Ei line ta ami porer post e tukbo for sure kintu english e temon effect hobe na
ReplyDeleteAr tumi ne kemon bodle jaco, office jete bolcho bhalo lagche abar exercise o bhalo lagche. Ki je byamo hoyeche bujhtei parchina
এই রে, "বদলে যাচ্ছ" কথাটা খুব ভয়ের বং মম. প্লিজ ভয় দেখাবেন না.
Deletehmmm...jakhoni dekhbe mon kharap chotpot post likhte boshe jabe. ektu beshi beshi post porle tow mondo noy bapu!
ReplyDeletejei dekhle mon kharap ashitechey dhruto ek-khan pore post namiye felbe. aar ekhane tow pathok jonogon teerther kaak er moto haan kore boshe achei :))
তাই তো করি শম্পা. তোমাদের অমূল্য সঙ্গ না হারানোটা এইমুহুর্তে আমার জীবনের একটা বড় লক্ষ্য.
Deletebah morning walk korcho! daruun. ami ek somoy ma er pallay pore dhorechilam morning walk. se ki jwala jano na. sem er porer puro chuti tay dekhi bhor belay thele uthiye dito ma! tobe ami litish pitish kore berotam ektu bela korei. ekbar to emon embarrassing hoyechilo je ki boli. morning walk korte giye dekhi lokjon bajar kore firche. amay dekhe paaraar mallika di bolche kire koi jachis? daant keliye bollam 'morning walk e jachi go'. Oma, dekhi heshe lutiye pore bollo bela Aat tay morning walk?!!! babbah! :P
ReplyDeleteamar oboshyo sorir kharap hole what's not to like mone hoy na :-(. tobe mon kharap koro na. mon kharap lagle Chinese order kore kheye nio. r tarpor youtube e cinema o cholte pare, ki bolo? :D
ইয়ো আত্রেয়ী. চাইনিজ টেকআউট সহযোগে ইউটিউবের আইডিয়াটা দুর্দান্ত. আরে মল্লিকাদির কথা ছাড়ো তো. হাঁটতে গেছ এই যথেষ্ট কখন গেছ সে নিয়ে ওনার অত কথায় দরকার কী.
DeleteDhurrrrrrrr amar immunity power ato bere gache j akdom sorir kharap hochche na...jokhon sobai jore kabu ar ami chaichi amar ota hok tokon jor hochche na ar amake mukh bajar kore office dhukte hochche.joghonno........2 din j bichanai pore pore aktu rest nebo ar sobai amai moharanir moto seba korbe tar jo nei.
ReplyDeleteসেটাই তো কুহেলি.
DeleteDarun darun :) amio porashonakaleen probol sheet ebong depression e borofer modhye walking korte berotam. Kodin continue korle emon bege happy hormone gojgoj korbe, depression bemalum hawa.
ReplyDeleteআরে শকুন্তলা, হ্যাপি হরমোনটা দারুণ বলেছ তো? হাঁটলে কিন্তু সিরিয়াসলি হ্যাপি হরমোন নি:সরণ হয়, একেবারে পরীক্ষিত সত্যি.
Deletetomar ei lekhata pore besh kaje diechhe. gatokal kemon ekta akarone dukkho dukkho pachhilo, tuktuk ke stroller-e chorie berie porechhilam. besh laglo, fall color dekhte dekhte ek chakkor mere elam! dukkho tukkho emon ube gelo je baree ese furniture re-arrange korlam ebong puro ranna ghar jhar pochh kore phellam! Tuktuk-o beronor age kiu miu korchhilo, baree ese besh khushi hoye kheye deye ghumie porlo!
ReplyDeleteতবেই বল রুচিরা, হাঁটার থেকে ভালো জিনিস আর কিছু আছে?
Delete