নক্ষত্রবিদায়
উৎস গুগল ইমেজেস
আমার ইউনিভার্সিটির বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে আমার
যে বিষয়টা নিয়ে সবথেকে বেশি তর্ক বাধত, সেটা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সায়ন বলত, “লোকটা
ভগবান।” আমি বলতাম, “বাড়াবাড়ির একটা সীমা রাখ।” সায়ন ওর ট্রেডমার্ক মুচকি হাসি, যে
হাসিটা দেখে জুনিয়র মেয়েগুলো ওকে “কিউট” শিরোপা দিয়েছিল, আমার ওপর অকারণ খরচ করে
বলত, “বুঝবি রে বুঝবি, মরে গেলে বুঝবি।”
সুনীলকে আমার কোনোদিন ভালোলাগত না। এমনকি ‘সেই
সময়’ পড়া হয়ে যাওয়ার পরেও। ঠিক কোন জিনিসটা যে খারাপ লাগত সেটা আঙুল দিয়ে দেখাতে
পারতাম না, কিন্তু ভালো যে লাগত না সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। আর ভালো না
লাগার আগুনে ঘৃতাহুতি দিত সুনীলের সম্পর্কে ভেসে বেড়ানো গল্পগাছাগুলো। রবীন্দ্ররচনাবলীতে
লাথি কষানো তো লিজেন্ড হয়ে গেছে, সে নাহয় ছেড়েই দিলাম, সে ছাড়াও গল্পের অভাব ছিল
না। বাঙালি লেখকদের চলাবলা, ওঠাবসা, কথাবার্তা নিয়ে গল্প কমই তৈরি হয়, সুনীল ছিলেন
ব্যতিক্রম। সেরকম একটা গল্প এখানে বলছি। গল্পের সত্যিমিথ্যে জানিনা, কাজেই আপনারা
যখন নিজেদের বন্ধুদের গল্পটা শোনাবেন তখন “এই তো সেদিন একজায়গায় শুনলাম” বলে
বলবেন, আমাকে কোট করবেন না দয়া করে।
মার্কিনমুলুকের এক নামজাদা (অমর্ত্য সেন নন)
বাঙালি ইকনমিক্স প্রফেসরের বাড়িতে (উঁহু অভিজিৎ ব্যানার্জিও নন, গেস করা ছাড়ুন
বলছি) সুনীল গেছেন। গেছেন মানে বঙ্গসম্মেলনের কর্মকর্তারা নিয়ে গেছেন। হয়ত
প্রফেসরের বাড়িতেই সুনীলের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিংবা জাস্ট বেড়ানো, আমি
জানিনা। মোট কথা সুনীল প্রফেসরের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন।
প্রফেসরমশাইয়ের স্ত্রী একেবারেই বাঙালি-মা ধাতের
মহিলা। তিনি সুনীলকে আপ্যায়ন করে বসিয়ে নার্ভাস হাসিমুখে জানতে চাইলেন, “একটু চা বসাই?”
সুনীল নাকি অমনি আকাশ থেকে পড়ার মতো মুখ করে বলেছিলেন,
“সেকি চা কেন? হুইস্কি নেই?”
গল্পটা শুনে উপস্থিত আমার বন্ধুরা সকলে হ্যা
হ্যা করে হেসেছিল, কিন্তু আমার সত্যি বলছি গা জ্বলে গিয়েছিল। হুইস্কির ওপর রাগ নয়।
সে সুনীল সারাদিন বসে বসে হুইস্কি খেলেও আমার কিছু যায় আসে না। আমার রাগ হয়েছিল ভদ্রমহিলার
অপ্রস্তুত অবস্থাটা কল্পনা করে। সুনীল তো উইটি কমেন্ট করেই খালাস, গৃহকর্ত্রীর
বিপদটা কে বোঝে?
কাজেই আমার মনে এই বিশ্বাস বদ্ধমূল ছিল যে সুনীল
লেখক ভালো হতে পারেন, কিন্তু লোক অতি বাজে। আর বাজে লোকদের আমি দু’চক্ষে দেখতে
পারিনা। সে তিনি নিজের কাজে যতই ভালো হোন না কেন। আমার এই ‘ভালো সত্ত্বেও বাজে’-র লিস্টে
আরও অনেক নামীদামী ক্যান্ডিডেট আছেন ছিলেন, মারাদোনা, শক্তি চট্টোপাধ্যায়,
পাবলো পিক্যাসো ইত্যাদি প্রভৃতি।
তবে এত বিরাগের পাশাপাশি আরেকটা অনুভূতির
চোরাস্রোতও বুকের মধ্যে বইত চিরকাল। প্রেম। সুনীলের প্রতি নয়, সুনীলের সৃষ্ট প্রধান
পুরুষচরিত্রগুলোর প্রতিও নয়। সুনীলের উপন্যাসের ঝকমকে নায়কদের ছায়ার নেপথ্যে যেসব পুরুষ
চরিত্রগুলো চুপি চুপি হেঁটে বেড়াত, আমি নিয়ম করে তাদের প্রেমে পড়তাম। “পড়তাম” কথাটা
নেহাতই আলতো করে বলা অবশ্য। ‘সেই সময়’-এর গঙ্গা আর ‘পূর্বপশ্চিম’-এর পিকলু আমার সমস্ত
কৈশোরের টুঁটি টিপে রেখেছিল।
সুনীলের প্রতি সদয় হতে আমি শুরু করি নেহাতই বুড়ো
বয়সে। বাংলাভাষার প্রতি বাঙালিদের অবহেলা নিয়ে সুনীল অত্যন্ত সরব ছিলেন। বাকি সব বাঙালি
বুদ্ধিজীবীদের থেকে অনেক বেশি। বাঙালি কেন পশ্চিমবঙ্গের বুকে বসে বাংলা বলতে লজ্জা
পায় সেটা আমি কোনোদিন বুঝিনি। সুনীলও বোঝেননি দেখে অদ্ভুত একটা শান্তি হয়েছিল। কলকাতার
দামী হোটেলে গিয়ে অবাঙালি ছেলেমেয়েরা দিব্যি হুড়মুড়িয়ে হিন্দিতে অর্ডার দিতে থাকে,
বাঙালির জিভ থেকে সযত্নে শান দেওয়া ইংরিজি ছাড়া আর কিছু বেরোয় না। ভগবানই জানেন
কেন। সুনীল আরো অনেক কিছু বুঝতেন না। যেমন বাঙালি বিয়ের প্যান্ডেলের ওপর ফুল দিয়ে “অনিমেষ
ওয়েডস মাধবীলতা” কেন লেখা থাকে। লিখতেই যদি হয়, বাংলায় কেন নয়? ইংরিজিতেই বা কেন?
ইদানিং আরো অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম নিজের
সঙ্গে সুনীলের। আর মনটা ক্রমেই প্রসন্ন হয়ে উঠছিল। এই যেমন ক’দিন আগে একটা লেখায়
সুনীলের একটা অধুনা অভিজ্ঞতার কথা পড়ছিলাম। প্রচুর সংস্থা, সমিতি, ক্লাব, চ্যারিটি
অর্গানাইজেশন থেকে সুনীলের কাছে সভাপতিত্ব ইত্যাদি করার অনুরোধ আসত। সুনীলের পক্ষে
স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো সব রক্ষা করা সম্ভব হত না। বেশিরভাগকেই না বলে দিতেন। যেগুলোয়
যেতেই হত, গিয়ে ফিতে টিতে কেটে বা ভাষণটাষণ দিয়েই বেরিয়ে আসতেন। কিন্তু একবার একটা
সভায় গিয়ে ছোটদের নাচগান দেখতে সুনীলের এত ভালো লেগে গেল যে তিনি থেকে যাওয়ার
সিদ্ধান্ত নিলেন। বসে বসে অনুষ্ঠান দেখলেন সুনীল। তারপর হাফটাইম হল বা অনুষ্ঠান
শেষ হল। তখন যথারীতি সুনীলের চারপাশে একটা ছোটখাট ভিড় জমল। হোমরাচোমরা লোকজন এসে
হাই হ্যালো বললেন, কেউ কেউ অটোগ্রাফও নিয়েছিল নির্ঘাত। যাই হোক, সুনীল লিখেছেন ওই
জমায়েতে উনি একজন এমন মানুষকে দেখলেন যিনি সারাক্ষণ চিবিয়ে চিবিয়ে ইংরিজিমিশ্রিত
বাংলা বলে গেলেন আর এমন ভাব করলেন যেন আশেপাশের সবাই ওনার অধঃস্তন কর্মচারী।
এরকম লোক অনেক থাকে, আমি দেখেছি, আপনারাও
দেখেছেন। কথাটা সেটা নয়। কথাটা হল ভদ্রলোককে দেখে সুনীলের কী মনে হয়েছিল সেটা।
সুনীল লিখেছেন, রকমসকম দেখে ওনার লোকটার গালে ঠাস ঠাস করে চড় মারতে ইচ্ছে করছিল।
মনে আছে লাইনটা পড়ে আমি সারাদিন হাসি হাসি মুখে
ঘুরেছিলাম। কত লোককে দেখে যে আমার এই হিংস্র ইচ্ছেটা হয় কী আর বলব।
যাই হোক, অন্যকে নিয়ে, নিজেকে নিয়ে অজস্র গল্প
তৈরি করে সুনীল চলে গেছেন। সামনের ক’দিন ওনাকে নিয়ে লেখার ঢল নামবে পত্রপত্রিকায়,
ব্লগে, লিটল ম্যাগাজিনে। কেউ বলবে সুনীল ওভারহাইপড, কেউ বলবে যথার্থ মূল্যায়ন
হয়নি। কেউ বলবে লোকটা চরিত্রহীন, কেউ বলবে লোকটার জন্য কত যোগ্য লেখক সুযোগ পেলনা।
সে বলুক গিয়ে। সুনীল বেঁচে থাকতেও কান দেননি, এখন তো দেওয়ার প্রশ্নই নেই। আমার
শুধু একটাই আফসোস রয়ে গেল।
প্রতিভা আর পরিশ্রম নিয়ে দ্বন্দ্বটার শেষ নেই
জানি। সুনীল গাঙ্গুলির প্রতিভার বিচার করা আমার সাধ্য নয়, কিন্তু আমাকে যেটা মুগ্ধ
করে সেটা ওনার পরিশ্রম। একটা মানুষ কত লিখেছে এক জীবনে! সে লেখার কতখানি উতরেছে আর
কতখানি না লিখলেও বাংলা সাহিত্যের কিছু এসে যেত না সেসব নিয়ে আমি তর্কে যেতে চাই
না। কিন্তু এই যে সারাজীবন ধরে লিখে চলা, রোজ নিয়ম করে বসে কাগজের ওপর অক্ষরের পর
অক্ষর সাজিয়ে শব্দ, শব্দ সাজিয়ে বাক্য, বাক্য দিয়ে অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ দিয়ে গোটা
একটা রচনা সৃষ্টির প্রক্রিয়া, সেই সাধনা সোজা নয়। আরো কঠিন তাতে সিদ্ধিলাভ করা। করতে
পারলে তবেই লেখা ব্যাপারটা রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। নিঃশ্বাসপ্রশ্বাসের মতো
স্বাভাবিক হয়ে আসে। সুনীলের সেটা হয়েছিল। শুনেছি দেশ পত্রিকার সম্পাদকীয় লিখে দিতে
সুনীলের কুড়ি মিনিট লাগত।সুনীলকে যখন
সবাই জিজ্ঞাসা করত, “এত লিখলেন কী করে?” তখন উনি হেসে বলতেন, “তাও তো মোটে একবেলা লিখেছি।
দুবেলা লিখলে কী হত ভাবতে পারছ?”
আমার আফসোস সুনীলের মুখ থেকে ওনার এই জীবনভরের
লেখা তৈরির গল্পটা শোনা হল না। বাংলায় লেখা নিয়ে লেখার বড় অভাব। সবাই গল্প পড়ে, কবিতা
পড়ে, প্রবন্ধ পড়ে, কিন্তু কীভাবে যে সেগুলো লেখা হয়, সেই নিয়ে কেউ কিছু বলে না। আর
এ গল্প বলার থেকে যোগ্য লোক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে বাংলা সাহিত্যে আর কেউ নেই
এই মুহূর্তে। থাকবেও না আরো অনেকদিন।
daroon likhechho. aha erokom ekta post asha korchilam. btw, ektu agey sunil er biyer menu ta porchilam....bandopadhyay ra borolok tai kaydar menu chilo...nuton style e ranna kora panch rokom er mach, murgi aar mangsho. kintu bou bhaat e sunil murgi rakhte den-ni. shukto, kopi, cholar daal, bhaja, rui macher jhol aar pathar mangsho.
ReplyDeleteশম্পা, তুমি তো সুনীলের প্রতি আমার প্রেম ক্রমেই বাড়িয়ে দিচ্ছ গো। এ তো প্রায় আমার কাল্পনিক বিয়ের মেনু।
DeleteKuntala ei menu korle, amake biye te nemontonno korte bhulo na
Deleteamakeo deko please. tobe kopi'r alada tarkari na kore, oti rui mach e dio.
Deleteনিশ্চয় ডাকব, বং মম আর শম্পা দুজনকেই। কপির সাজেসশনটা মাথায় রাখলাম শম্পা।
Deleteসুনীলবাবুর ব্যাপারে আপনার আমার মতামত অনেকটাই মিলছে। এমনিতে হয়ত বলতামনা, কিন্তু আপনি হুইস্কির গল্পটা তুললেন বলেই বলি - এ বছর আমাদের পাড়ার পুজোর ২৫ বছর হলো, তাই পুজো উদ্বোধন করতে সুনিলবাবুকে ডাকার একটা প্ল্যান হয়েছিল। এক চেনা ভদ্রলোক ওনাকে বলেন, তাতে উনি জানান যে ওনার পুজো উদ্বোধন করবার যে রেট্, তার থেকে উনি কম নিতে পারেন (ভদ্রলোক পরিচিত বলে), যদি ওনাকে একটা "বোতল" দেওয়া হয়। ন্যাচারেলি আমাদের পাড়ার ফিতে কাটতে অন্য ব্যবস্থা দেখা হলো।
ReplyDeleteএটা হয়ত দুর্বলমনের লক্ষণ, কিন্তু এখন সুনীলের প্রতি রাগের থেকে মন খারাপ হচ্ছে বেশি। আপনি যেটা বললেন, সেটা সত্যিই। সত্যিই লোকটার কথাবার্তা ও'রকম ছিল। কিন্তু জানেন আরো কতগুলো কথা জানলাম এই চব্বিশ ঘণ্টায়। ভদ্রলোক নাকি কারো নিন্দে করতেন না। মানে সামগ্রিক ভাবে বাংলা না বলার নিন্দে করলেন, বা যারা মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তাদের দুচক্ষে দেখতে পারতেন না, কিন্তু সভা জমিয়ে বসে, এ খারাপ, ও জঘন্য, সে যমের অরুচি, এসব করতেন না। অন্য কারো কাছে হয়ত এটা তেমন বড় ব্যাপার নয়, কিন্তু আমি এটা প্র্যাকটিস করার বহুদিন ধরে চেষ্টা করছি এবং ব্যর্থ হচ্ছি, কাজেই আমাকে সুনীলের এই গুণটা ছুঁয়ে গেছে। দেখি আবার চেষ্টা করে পারি কিনা।
DeletePiklu r preme porechile? interesting....
ReplyDeleter hya, Ruskin Bond er boi tar suggestion er jonye dhonyobaad :)
আরে ওই আত্মঘাতী বাঙালি পড়ে পড়ে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল, তাই পড়া রাসকিন বন্ড আবার পড়তে বসেছি। এখন ক'দিন পথ্য বই পড়তে হবে স্বাগতা।
Deleteপিকলুর প্রতি প্রেম বললে কম বলা হয় গো। সে এক মারাত্মক অবস্থা হয়েছিল...
Ami Sunil Gangopadhyay-er lekhar khub bhakto konodin chhilam na ekhono noi. Kintu amar galper boi porar shuru hoyechhilo anandamela die, ar pujabarshiki anandamela manei santu kakababu. ei ayto bachhor badeo jakhon ebarer anandamela hate pelam takhon ektu santu kakababur opore chokh bulie nilam. porer bar theke ar seta hobe na. Poreekkhar porer anek anek somoi katiechhi, sei somoi, purba paschim pore (tumi piklu-r katha bolle, amar alam-keo khub bhalo lagto). desh-e prathom alo jakhon beroto, takhon bhallage na bhallage na koreo protyekta line-i pore pheltam. chhotobela ba baro bela dui somoi-i bhadrolok-er anek boi edik odik roye gechhe. bhalo lage na boleo na pore jakhon thakte parini takhon kichhu nischoi chhilo tar moddhe, seta bhaloi hobe!
ReplyDeleteসেটাই তো রুচিরা। সুনীলকে ভালোলাগুক না লাগুক, বাংলা বই পড়তে জানলে, বা ভালোবাসলে, ওনার হাত থেকে পালাবার পথ নেই। ছিলনা। যেন নাও থাকে আগামী অনেক দিন। আর সুনীলের লেখার হাত নিয়ে তো কোনো কথা হবেনা। মুখের ভাষার থেকেও বেশি সাবলীল। সেইজন্যই চাই না চাই না করেও প্রত্যেকটা লাইন পড়তে হত বোধহয়।
DeleteShontu-Kakabau, chotobelar onyotomo ongsho. PaharChuroy Atonko diye shuru, bhuli ki kore. Ar chotoder sei shomoy er gutikotok cinemar modhye Shobuj Deeper Raja ekhono mone pore. Sunil Ganguly bhalo lagto, Nillohit noy
ReplyDeleteআমি অ্যাকচুয়ালি নীললোহিত বেশি পড়িনি জানেন বং মম। এই ঝোঁকে পড়ে ফেলব দেখি। সবুজ দ্বীপের রাজা আমারো খুব প্রিয় সিনেমা। ওই বয়সে টিভিতে দেওয়া সিনেমার খানদুয়েকই আমার দেখার অনুমতি ছিল। ফটিকচাঁদ আর সবুজ দ্বীপের রাজা। কাজেই ভালোও লেগেছিল। এই সেদিন টিভিতে সবুজ দ্বীপের রাজা আবার দেখছিলাম, অনেক খুঁত চোখে পড়ছিল কিন্তু আমি কড়া হাতে সেগুলোর মোকাবিলা করে হাঁ করে বসে পুরো সিনেমাটা আবার দেখলাম, আর মনে মনে বললাম, "কী ভালো সিনেমা বানানো হত আমাদের সময়, আজকালকার ছেলেমেয়েগুলোর কপালটাই খারাপ।"
Deleteনীললোহিত নিয়ে একটা গল্প মনে পড়ে গেল। গল্প নয় সত্যি ঘটনা। আমার চেনা এক বন্ধুর বাবা শিবরামের খুব ভক্ত ছিলেন। এমন ভক্ত যে শিবরামের মেসবাড়িতে গিয়ে ওনার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। শিবরাম নাকি খুব মাই ডিয়ার লোক ছিলেন, বসিয়ে অনেক গল্পটল্প করেছিলেন। আর বলেছিলেন, "নীললোহিত পড়? পড়বে। ছেলেটার লেখার হাত আছে।"
sunil babu'r anek byapar ba byabohar loker kharap lagto jani...kintu erokom lekhok der madhe ekta "irreverent" byapar thake plus 70s er eto eto anti estd movement er prabhab. amar biswas ei shob milei rabindra rachanaboli'r mathay lathi porechilo. tai ei shob lokjon ke amader moto kore "judge" kora ta bodhai thik na!!! abossho porer dike bhadralok ektu thanda hoye porechilen.
ReplyDeletearekta byapar holo je onar kichu lekhay ekta "pan india ba pan asia" feel achey. eta aami kokhono alada kore bhebe dekhini kintu gatobochar er jaipur lit festival e 5 all time fave books er list er tin number boi ta dekhe aar deshe bidesher anek lokjon (non bangla readers) er alochona shune, seta bujhlam.
সে তো বটেই। সুনীলের মতো পড়াশুনো করে লেখা খুব কমই হয়েছে বাংলায়।
Deleteঅশ্রদ্ধার ব্যাপারটা আমিও বুঝি শম্পা। কিন্তু নিজে সঙ্কীর্ণমনা কিনা, জাজমেন্ট এসেই যায়। এটা তাড়াতে হবে।
Ami ei bishoye "no-comments". Enake amar konokalei poshay na ar hotat kore Facebook e ja comment er srot nemenche ar next year Anandamela-y kakababu ar berobe na bole sobai ja ha-hutash shuru koreche sei dekhe aro pitti chote geche amar. Oi mathar chule kolop ar sada julpi jader thake tader theke arshula dero ami beshi somman di.
ReplyDeletetumi tow anek bhasha jano. kintu latin er ei phrase ta shunecho ki....De mortuis nihil nisi bonum :)
ReplyDeletenaki antony'r ke biswas koro....the evil that men do lives after them...The good is oft interred with their bones!
Tumi ki eta amay bolchile Shampa? Antony'r katha ta bhalo lagey kintu sob loker sange khap khaoate pari na. Jemon dhoro Rabindranath, onar to "evil" kichu theke jachhe na, gaan ar kobita gulo thakche. Tai amar "generic test case" fail hoye jabe ekhane.
DeleteNa ami ei Latin phrase ta shunini. Tobe shune bhalo laglo. Kintu etao ami 100% thik mone kori na. Bin Laden mara geleo ki amra tar sommondhe bhalo katha bolte parbo?
Ar tachhara personal motamot to thakbei...Sunil ke amar pachhondo na. Becha thaka kalin o na, mara geleo na.
bhagyish ei postta likhli,aj jadi tui anyo kichu likhtish khub kashto petam........sunil gangopadhyayer lekha amar bhalo lage..amar chotobela thekei bhadrolok ke khub adhunik mone hoy, aj jakhan janlam bhadroloker boyesh hoyechilo 78,takhan hathat ato ascharjyo laglo ,mone mone konodin onake buro bhabinni toh!amar kakabau porte bhalo lage ,kintu sanghatik priyo noy,jetuku bhalolaga tar anektai jojor janyo,kintu amar or uponyashgulor anekguloi khub priyo,biseshtato jegulo akta jug nie lekha ,sei samay,purba paschim ba pratham alo,tui piklur katha katha bolli,ami atin ar alir katha balbo,alir janyo amar ato kashto hoyechilo,purba paschimer seshe........,or kichu chotogalpo o sanghatik...
ReplyDeleteamio ekdom ei kothaguloi likhte jachhilam....sunil gangopadhayer shonge bardhokyo, mrityu egulo jeno melaano jay na....piklur shonge atin, oli amaro khub priyo...eki shonge prothom aalor robi......e chhara 'chhobir deshe, kobitaar deshe' bole ekta bhromonkahini achhe, Paris bhromoner obhigyota niye, setao amaar khub-i priyo ekta boi...kobita to royechhei....shonge neel-lohiter kichhu lekhao oshamanyo laage...
Deleteসিরিয়াসলি, অলির লাইফটা। প্যারিসের ভ্রমণকাহিনিটা পড়ব তো শ্রমণ।
Deletehya, boita poro ekbar....amaar to oshadharon laage...ekshomoy shunechhi robibaashoriyo-te dharabahik beroto, amar jonmer aage....onaar jeeboner protyekti Paris bhromoner golpo niye....
Deleteanandabazar patrikay robibar e beroto...bodhoi 1994-5 e. amar kache paper cutting achey kintu kolkatay...kintu shudhu paris noy, france er anek anek goppo chilo!
ReplyDeletethik, thik, shudhu Paris noy.....Ami pore boi beronor por porechhi..
DeleteSunil ganguli er boi ami khub besi porini.jeguli porechi segulir moddhe besirvag e kakababu series.tobe jara kakababu series porechen ba sunil ganguli er fan,tara hoyto janen kakababu series jotoi populer hok na keno biswamama Choritro ti amar besi pocchonder.na pore thankle 'biswamamar goendagiri' boita pore velun.
ReplyDeleteনিশ্চয়, রিয়া।
Delete