মানসচক্ষে
আজ কী? তৃতীয়া না চতুর্থী?
যাই হোক না কেন, আমাদের পাড়ার
প্যান্ডেল এখনো বাঁধা হয়নি সে নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। কোনোবছরই হত না। এবছর
বোধহয় আর প্যান্ডেল বাঁধা হল না, এই চরম সাসপেন্সে ভুগতে
ভুগতেই ষষ্ঠী এসে যেত। পুরোহিতমশাই সকালবেলা এসে চারদিকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে অংবংচং
শুরু করে দিতেন, তখনো কেউ একজন প্যান্ডেলের টঙে চড়ে
ঠকাঠক পেরেক মারত। পুরোহিতমশায়ের মন্ত্রোচ্চারণে ভয়ানক অসুবিধে হত, তিনি মাঝেমাঝেই সেদিকে বজ্রদৃষ্টি হানতেন কিন্তু তাতে কেউ টসকাত না।
যাই হোক, আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আজ আমাদের আধাখ্যাচড়া প্যান্ডেলে একটা গরু শুয়ে শুয়ে ল্যাজ নাড়ছে, আর একটা কাক লাফিয়ে লাফিয়ে এসে গরুটার পিঠে ঠোকর মারছে আবার লাফিয়ে লাফিয়ে দূরে চলে যাচ্ছে। গরুটা প্রশান্ত মুখে একটা পলিথিন চিবোচ্ছে, কাকটাকে পাত্তাও দিচ্ছে না। মাঝে মাঝে "যাঃ যাঃ মেলা ঝামেলা করিস না" গোছের প্রশ্রয়মিশ্রিত ল্যাজের ঝাপটা দিচ্ছে। সারা সকাল ধরে চলছে এই ব্যাপার। সারাদিন ধরেও চলতে পারে। কিছুই বলা যায় না। গরু কিংবা কাক কারোরই স্কুলকলেজ বা পুজো শপিং নেই কিনা। কাল সকালে প্যান্ডেলওয়ালাদের তাল তাল গোবর সাফ করতে হবে এইটা শুধু নিশ্চিত।
কী বলছেন? প্যান্ডেলের বাঁশে কোনো বাচ্চা দোল খাচ্ছে কিনা? উমমম, চান্স কম। খেলেও তার গায়ে নির্ঘাত জামা নেই, নাক দিয়ে সর্দি গড়াচ্ছে, পরনের ইল্যাস্টিক ছেঁড়া হাফপ্যান্ট মিনিটে মিনিটে নেমে নেমে আসছে, বেচারাকে দুলুনি থামিয়ে বার বার সেটা টেনে ওপরে তুলতে হচ্ছে। অর্থাৎ কিনা গরিবগুর্বো বাচ্চা। মোস্ট প্রব্যাবলি ওপাড়ার লাইনবাড়িতে থাকে। আমাদের পাড়ার যে মেন ডেমোগ্রাফিক প্রোফাইল, উচ্চমধ্যবিত্ত, তাদের বাচ্চারা এখন লাস্টমোমেন্টে যত পারা যায় হোমওয়ার্ক এগিয়ে রাখছে। বাঁশে দোল খেয়ে বেড়ানোর মত বাজে সময় নেই তাদের।
রিষড়ার সর্বত্রই তৃতীয়ার দিন আমাদের পাড়ার মত শ্মশানের স্তব্ধতা বিরাজ করে কিনা জানতে চাইছেন? খেপেছেন? আমাদের পাড়াটা স্টেশন থেকে একটু ভেতরদিকে বলে রক্ষা, স্টেশনের গায়ে যে চারবাতির প্যান্ডেল সেখানে একবার চলুন না দেখিয়ে দিচ্ছি ঝামেলা কাকে বলে। চৌমাথার মোড়ে চারখানা ফ্যাটফেটে সাদা হ্যালোজেনের বাতিওয়ালা স্ট্রিটল্যাম্প, সেজন্য গোটা জায়গাটার নামই হয়ে গেছে চারবাতি। আমি বলছি আপনাকে, সারা রিষড়া ঢুঁড়ে আপনি যদি পুজো করার জন্য চারবাতির মোড়ের থেকে আর একটিও বেশি অনুপযুক্ত জায়গা বের করে দিতে পারেন, আমি আপনাকে পাঁচশো টাকা দেব। স্টেশন, বাজার, গাড়ি ঘোড়া, নর্দমা, হকার, জঞ্জালের ভ্যাট সব মিলিয়ে জায়গাটা বছরের বাকি তিনশো ঊনষাট দিনই কুরুক্ষেত্রের মাঠ হয়ে থাকে, এ সবকিছুর মধ্যে পাঁচদিনের জন্য যদি তিনতলা উঁচু একটা প্যান্ডেল খাড়া করে দেওয়া হয় তাহলে পরিস্থিতিটা কী দাঁড়ায় অনুমান করা কঠিন নয়। মানুষে হাঁটতে পারেনা, রিকশা চলতে পারেনা, সাইকেল গলতে পারেনা। মোড়ের মাথায় একজোট হয়ে যে যার হর্ন বাজাতে থাকে। প্রায় 'দেশে বিদেশে'র খাইবার পাসের সেই উটের দলের জ্যামের মত ব্যাপারের আমদানি হয়। বছরের পর বছর। বছরের পর বছর তবু মিউনিসিপ্যালিটি থেকে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়, ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ফায়ার ব্রিগেড অফিসের বারান্দায় বসে কর্মীরা পা নাচাতে নাচাতে, রোল খেতে খেতে প্যান্ডেলের দিকে অলস নজর পেতে থাকেন, কখন কী বিপত্তি ঘটে বলা যায় না। অদ্ভুত ব্যাপার, বিপত্তি ঘটেও না। মা দুর্গার আশীর্বাদেই নির্ঘাত।
সেই চারবাতিতেও প্যান্ডেল বাঁধা শেষ পর্যায়ে। এখানে আবার প্যান্ডেলের ওপর আলোকসজ্জার বিষফোঁড়া রয়েছে। রাস্তার দুপাশে বাঁশের কাঠামো খাড়া করে টিউব টুনি দিয়ে বাহারি ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে রাস্তার এদিকে বাড়তি একফুট ওদিকে বাড়তি একফুট জায়গা দখল হয়ে গেছে, কিন্তু পাঁচদিনের পুজোর জন্য ওটুকু ক্ষতি স্বীকার না করলে আপনি মহিষাসুর।
কিন্তু আমি আপনাদের চারবাতিতে শুধু প্যান্ডেলের খাঁচা আর কল্পিত যানজট দেখাতে নিয়ে এসেছি ভাবলে ভুল করবেন। আসল জিনিসটা দেখতে হলে আপনাকে মোড় ছেড়ে পুবমুখে আরও দশ পা এগিয়ে যেতে হবে। একি থমকে গেলেন কেন? দাঙ্গা? কোথায়?! সামনে? আরে না না দাঙ্গা লাগেনি, আসুন আমার সঙ্গে। ইন ফ্যাক্ট ওখানেই নিয়ে যাচ্ছি আমি আপনাকে। আরে আরে ভয় পাবেন না, আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। শহুরে মানুষদের মফস্বলে বেড়াতে নিয়ে এসে দাঙ্গার মুখে ফেলে দেব অত ইরেসপনসিবল পাননি আমাকে। ওই যে রিষড়ার তাবৎ মহিলাবৃন্দ একটা দোকানের সামনে জড়ো হয়ে আকাশে মুঠি ছুঁড়ছেন, "কোথায় গেল সঞ্জয়, সাহস থাকে তো একবার বেরতে বল" চেল্লাচ্ছেন, ওটা আসলে একটা দরজির দোকান। আর দোকানের প্রোপ্রাইটর হচ্ছেন সঞ্জয়কাকু। হয়েছে কি, প্রতিবছরের মতই সঞ্জয়কাকু সাধ্যের বেশি অর্ডার নিয়ে ফেলেছেন, এখন ডেলিভারি দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে। কাকু দোকান ছেড়ে পালিয়েছেন, একজন কর্মচারী কাউন্টারে দাঁড়িয়ে উন্মত্ত জনতা সামলাচ্ছেন, বাকিরা সেলাইমেশিনের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। ডাইনে বাঁয়ে তাকাচ্ছেন না, মাঝে মাঝে শুধু ঘাড় তুলে ওপরে মিউটে চলতে থাকা টিভির দিকে একঝলক তাকিয়ে নিচ্ছেন, আর কাপড়ে ঘ্যাঁচঘোঁচ কাঁচি চালাচ্ছেন। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে টিভি দেখে সময় নষ্ট কেন...আরে ওনারা টিভি দেখছেন না, সিরিয়ালের নায়িকারা কোন ছাঁটের ব্লাউজ পরেছেন সেটা দেখছেন। এবার শুনছি ই-টিভিতে রোশনি বলে নাকি এক নায়িকাচরিত্রের আমদানি হয়েছে, সেই রোশনি ছাঁট ব্লাউজের ডিম্যান্ড তুঙ্গে।
এই দৃশ্যগুলো আমি শেষ কবে দেখেছি জানতে চাইছেন? সে হবে বছর দশ বারো আগে। কে আর হিসেব রাখছে। তবু এত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আপনাদের বলছি কেন? কীকরে জানছি সবকিছু বদলে যায়নি আমূল? কারণ ওই যে সবাই বলে, "দ্য মোর থিংস চেঞ্জ, দ্য মোর দে স্টে দ্য সেম", ওটা ঘোর সত্যি কথা। ভিড় হয়ত একটু বেশিই হয়, হয়ত রিকশার বদলে মারুতি অল্টোর জ্যাম হয়, ব্লাউজের বদলে হয়ত সঞ্জয়কাকু আজকাল লেহেঙ্গা চোলি ডেলিভারি দিতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হন, কিন্তু সবমিলিয়ে মোটের ওপর চিত্রটা একই থাকে। আমার ধারণা আরও অনেকদিন থাকবেও।
যাই হোক, আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আজ আমাদের আধাখ্যাচড়া প্যান্ডেলে একটা গরু শুয়ে শুয়ে ল্যাজ নাড়ছে, আর একটা কাক লাফিয়ে লাফিয়ে এসে গরুটার পিঠে ঠোকর মারছে আবার লাফিয়ে লাফিয়ে দূরে চলে যাচ্ছে। গরুটা প্রশান্ত মুখে একটা পলিথিন চিবোচ্ছে, কাকটাকে পাত্তাও দিচ্ছে না। মাঝে মাঝে "যাঃ যাঃ মেলা ঝামেলা করিস না" গোছের প্রশ্রয়মিশ্রিত ল্যাজের ঝাপটা দিচ্ছে। সারা সকাল ধরে চলছে এই ব্যাপার। সারাদিন ধরেও চলতে পারে। কিছুই বলা যায় না। গরু কিংবা কাক কারোরই স্কুলকলেজ বা পুজো শপিং নেই কিনা। কাল সকালে প্যান্ডেলওয়ালাদের তাল তাল গোবর সাফ করতে হবে এইটা শুধু নিশ্চিত।
কী বলছেন? প্যান্ডেলের বাঁশে কোনো বাচ্চা দোল খাচ্ছে কিনা? উমমম, চান্স কম। খেলেও তার গায়ে নির্ঘাত জামা নেই, নাক দিয়ে সর্দি গড়াচ্ছে, পরনের ইল্যাস্টিক ছেঁড়া হাফপ্যান্ট মিনিটে মিনিটে নেমে নেমে আসছে, বেচারাকে দুলুনি থামিয়ে বার বার সেটা টেনে ওপরে তুলতে হচ্ছে। অর্থাৎ কিনা গরিবগুর্বো বাচ্চা। মোস্ট প্রব্যাবলি ওপাড়ার লাইনবাড়িতে থাকে। আমাদের পাড়ার যে মেন ডেমোগ্রাফিক প্রোফাইল, উচ্চমধ্যবিত্ত, তাদের বাচ্চারা এখন লাস্টমোমেন্টে যত পারা যায় হোমওয়ার্ক এগিয়ে রাখছে। বাঁশে দোল খেয়ে বেড়ানোর মত বাজে সময় নেই তাদের।
রিষড়ার সর্বত্রই তৃতীয়ার দিন আমাদের পাড়ার মত শ্মশানের স্তব্ধতা বিরাজ করে কিনা জানতে চাইছেন? খেপেছেন? আমাদের পাড়াটা স্টেশন থেকে একটু ভেতরদিকে বলে রক্ষা, স্টেশনের গায়ে যে চারবাতির প্যান্ডেল সেখানে একবার চলুন না দেখিয়ে দিচ্ছি ঝামেলা কাকে বলে। চৌমাথার মোড়ে চারখানা ফ্যাটফেটে সাদা হ্যালোজেনের বাতিওয়ালা স্ট্রিটল্যাম্প, সেজন্য গোটা জায়গাটার নামই হয়ে গেছে চারবাতি। আমি বলছি আপনাকে, সারা রিষড়া ঢুঁড়ে আপনি যদি পুজো করার জন্য চারবাতির মোড়ের থেকে আর একটিও বেশি অনুপযুক্ত জায়গা বের করে দিতে পারেন, আমি আপনাকে পাঁচশো টাকা দেব। স্টেশন, বাজার, গাড়ি ঘোড়া, নর্দমা, হকার, জঞ্জালের ভ্যাট সব মিলিয়ে জায়গাটা বছরের বাকি তিনশো ঊনষাট দিনই কুরুক্ষেত্রের মাঠ হয়ে থাকে, এ সবকিছুর মধ্যে পাঁচদিনের জন্য যদি তিনতলা উঁচু একটা প্যান্ডেল খাড়া করে দেওয়া হয় তাহলে পরিস্থিতিটা কী দাঁড়ায় অনুমান করা কঠিন নয়। মানুষে হাঁটতে পারেনা, রিকশা চলতে পারেনা, সাইকেল গলতে পারেনা। মোড়ের মাথায় একজোট হয়ে যে যার হর্ন বাজাতে থাকে। প্রায় 'দেশে বিদেশে'র খাইবার পাসের সেই উটের দলের জ্যামের মত ব্যাপারের আমদানি হয়। বছরের পর বছর। বছরের পর বছর তবু মিউনিসিপ্যালিটি থেকে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়, ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ফায়ার ব্রিগেড অফিসের বারান্দায় বসে কর্মীরা পা নাচাতে নাচাতে, রোল খেতে খেতে প্যান্ডেলের দিকে অলস নজর পেতে থাকেন, কখন কী বিপত্তি ঘটে বলা যায় না। অদ্ভুত ব্যাপার, বিপত্তি ঘটেও না। মা দুর্গার আশীর্বাদেই নির্ঘাত।
সেই চারবাতিতেও প্যান্ডেল বাঁধা শেষ পর্যায়ে। এখানে আবার প্যান্ডেলের ওপর আলোকসজ্জার বিষফোঁড়া রয়েছে। রাস্তার দুপাশে বাঁশের কাঠামো খাড়া করে টিউব টুনি দিয়ে বাহারি ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে রাস্তার এদিকে বাড়তি একফুট ওদিকে বাড়তি একফুট জায়গা দখল হয়ে গেছে, কিন্তু পাঁচদিনের পুজোর জন্য ওটুকু ক্ষতি স্বীকার না করলে আপনি মহিষাসুর।
কিন্তু আমি আপনাদের চারবাতিতে শুধু প্যান্ডেলের খাঁচা আর কল্পিত যানজট দেখাতে নিয়ে এসেছি ভাবলে ভুল করবেন। আসল জিনিসটা দেখতে হলে আপনাকে মোড় ছেড়ে পুবমুখে আরও দশ পা এগিয়ে যেতে হবে। একি থমকে গেলেন কেন? দাঙ্গা? কোথায়?! সামনে? আরে না না দাঙ্গা লাগেনি, আসুন আমার সঙ্গে। ইন ফ্যাক্ট ওখানেই নিয়ে যাচ্ছি আমি আপনাকে। আরে আরে ভয় পাবেন না, আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। শহুরে মানুষদের মফস্বলে বেড়াতে নিয়ে এসে দাঙ্গার মুখে ফেলে দেব অত ইরেসপনসিবল পাননি আমাকে। ওই যে রিষড়ার তাবৎ মহিলাবৃন্দ একটা দোকানের সামনে জড়ো হয়ে আকাশে মুঠি ছুঁড়ছেন, "কোথায় গেল সঞ্জয়, সাহস থাকে তো একবার বেরতে বল" চেল্লাচ্ছেন, ওটা আসলে একটা দরজির দোকান। আর দোকানের প্রোপ্রাইটর হচ্ছেন সঞ্জয়কাকু। হয়েছে কি, প্রতিবছরের মতই সঞ্জয়কাকু সাধ্যের বেশি অর্ডার নিয়ে ফেলেছেন, এখন ডেলিভারি দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে। কাকু দোকান ছেড়ে পালিয়েছেন, একজন কর্মচারী কাউন্টারে দাঁড়িয়ে উন্মত্ত জনতা সামলাচ্ছেন, বাকিরা সেলাইমেশিনের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। ডাইনে বাঁয়ে তাকাচ্ছেন না, মাঝে মাঝে শুধু ঘাড় তুলে ওপরে মিউটে চলতে থাকা টিভির দিকে একঝলক তাকিয়ে নিচ্ছেন, আর কাপড়ে ঘ্যাঁচঘোঁচ কাঁচি চালাচ্ছেন। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে টিভি দেখে সময় নষ্ট কেন...আরে ওনারা টিভি দেখছেন না, সিরিয়ালের নায়িকারা কোন ছাঁটের ব্লাউজ পরেছেন সেটা দেখছেন। এবার শুনছি ই-টিভিতে রোশনি বলে নাকি এক নায়িকাচরিত্রের আমদানি হয়েছে, সেই রোশনি ছাঁট ব্লাউজের ডিম্যান্ড তুঙ্গে।
এই দৃশ্যগুলো আমি শেষ কবে দেখেছি জানতে চাইছেন? সে হবে বছর দশ বারো আগে। কে আর হিসেব রাখছে। তবু এত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আপনাদের বলছি কেন? কীকরে জানছি সবকিছু বদলে যায়নি আমূল? কারণ ওই যে সবাই বলে, "দ্য মোর থিংস চেঞ্জ, দ্য মোর দে স্টে দ্য সেম", ওটা ঘোর সত্যি কথা। ভিড় হয়ত একটু বেশিই হয়, হয়ত রিকশার বদলে মারুতি অল্টোর জ্যাম হয়, ব্লাউজের বদলে হয়ত সঞ্জয়কাকু আজকাল লেহেঙ্গা চোলি ডেলিভারি দিতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হন, কিন্তু সবমিলিয়ে মোটের ওপর চিত্রটা একই থাকে। আমার ধারণা আরও অনেকদিন থাকবেও।
Eta porei mukh ta haasi haasi hoye galo. :)
ReplyDeletePujo bhalo katuk, Kuntala di. Ekebare phataphati ar ki. :)
তোমারও খুব খুব ভাল কাটুক পুজো বিম্ববতী, প্রত্যেকদিন দুবেলা নতুন জামা পোরো, খুব করে বাইরে খেও, আর অনেক আনন্দ কোরো।
Deletelekhata durdanto hoyeche jathariti:))) khub anando pelam pore...blouse thik samaye korte na deoa,ar tar falswarup dorjir kach theke churanto apamanito hoye fire aste hole je kirakam melodaramatic situation hoy..seta bahubar make dekhe bujhechi...tai..thik samaye dileo jadi pujor age delivery na paoa jay tahale to danga hobei...:)..tor lekhata pore kolkata na jaoar dukhyota jataa rakamer bere gelo:(
ReplyDeleteসেটাই তো, দেরিতে অর্ডার দিতে গেলে দরজিরা যা মুখ করে বাবা, সে মুখের ভয়ে তো সেপ্টেম্বর থেকে মা ওমুখো হয়না। কাকিমার দুর্দশাটা তাই অনুমান করা শক্ত হচ্ছেনা।
DeleteEkkothay mon chuye gelo...chotobelata jeno hurmuruye moner bhetor theke uthe eshe bollo ...hain sherokom bhabe kichui bodlayna.bhishon bhishon bhalo lage apnar lekha...sotti bolte ki opekkha kori.Ei deshe jekhane ekta moner moto bangla boi ba lekha hate payoa dushkor.. shekhane apnar lekha gulo ....ar bollam na apni nishchoi bujhte perechen ami ki bolte chai.
ReplyDeleteআরে আরে আননোন, এত ভাল ভাল কথা বলে তো আপনি আমার মন ভাল করে দিলেন। থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ। আপনারা পড়েন সেটা যে আমার কী সৌভাগ্য যদি জানতেন। আশা করি অবান্তর আরও অনেকদিন আপনার মনোরঞ্জন করবে। মন্তব্য করার জন্য সহস্র ধন্যবাদ।
DeletePujoy baree jete parchhina bole je mon kharap ta chhilo kichhukkhoner jonno chole gelo.
ReplyDeleteগুড তো রুচিরা। টুকটুকের কটা জামা হল পুজোয়? নিশ্চয় লাখখানেক?
Deleteআমার একটা উডি অ্যালেন স্ট্যান্ডআপ মনে পড়ল -
ReplyDeleteI wrote a science fiction film which I'll tell you about. It's ten after four in the afternoon, and everybody in the world mysteriously falls asleep. Just like that, they are driving cars, whatever they are doing, bang!, they got to sleep, the Russians, the Chinese, the Americans, and the whole world sleeps for exactly one hour, till ten after five, and they wake up at ten after five, and mysteriously upon awakening everybody in the world find themselves in the pants business.
Stay with us, 'cause it's brilliant.
Everybody is making cuffs and flies and cutting velvet, y'know, And a spaceship lands from another planet, and men get out with jackets and shirts and black socks - no trousers at all. They say: "Are the pants ready?" We say: "No. Could you come back thursday?". They say they must have them, 'cause they are going to a wedding, and we work dillingently and make pants constantly and they come to get them, and when they come to pick them up, they leave us with socks, hankerchiefs, pillowcases and soiled linnen, and they say: "Do it!", and the president of the United States goes on television and says that an alien superpower from outer space with superior intelligence is bringing us their laundry, and they are foiled, 'cause they travelled a hundred and seventeen million lightyears to pick it up, and they forget their ticket.
সত্যিই ব্রিলিয়্যান্ট। শোনানর জন্য ধন্যবাদ।
Deletekuntala, eigulo na thik tomar-type lekha.. ki je bhalolage.. khub bhalo laglo.. pujo bhalo katuk.. desher baire joto ta bhalo hotey pare, tototai bhalo hok. tarpor amader janiyo kintu ki ki korle.
ReplyDeleteতুমিও খুব ভাল করে পুজো কাটিও সোহিনী।
Delete