কমপ্ল্যান আর ভূতের গল্প
জীবনে যে দু’রকমের দোকানে আমি সবথেকে বেশি গেছি তার মধ্যে একটা হল মুদির দোকান আর অন্যটা হল বইয়ের।
যদিও এই পোস্টটায় দ্বিতীয় রকম দোকানের
প্রাসঙ্গিকতাই বেশি কিন্তু মুদির দোকান মনে পড়তেই কীরকম মনটা উদাস হয়ে এসেছে, একটা
দুটো প্যারাগ্রাফ উৎসর্গ না করলে চলছে না। কাজেই আপনারা ধৈর্য ধরে বসুন।
মুদি বলতে আমি মুদিই বোঝাচ্ছি কিন্তু, গ্রোসারি শপ বলছিনা। আমাদের রিষড়ার বাড়িটাকে একটা ত্রিভুজের মধ্যবিন্দু ধরলে ত্রিভুজের তিন কোণে তিনটে মুদির দোকান ছিল। গোপালের, স্বপনের আর জহরের। (আমার আগামীকাল একটা পেপার লেখার ডেডলাইন আছে কিনা, তাই আমি আপনাদের ছবিও এঁকে বুঝিয়ে দিচ্ছি, এই দেখুন।)
মুদি বলতে আমি মুদিই বোঝাচ্ছি কিন্তু, গ্রোসারি শপ বলছিনা। আমাদের রিষড়ার বাড়িটাকে একটা ত্রিভুজের মধ্যবিন্দু ধরলে ত্রিভুজের তিন কোণে তিনটে মুদির দোকান ছিল। গোপালের, স্বপনের আর জহরের। (আমার আগামীকাল একটা পেপার লেখার ডেডলাইন আছে কিনা, তাই আমি আপনাদের ছবিও এঁকে বুঝিয়ে দিচ্ছি, এই দেখুন।)
তিনতিনখানা দোকান আছে বলেই যে ব্যাগ দুলিয়ে যখন
যেটায় খুশি চলে গেলাম অতও সোজা ছিল না ব্যাপারটা। স্বপনের দোকান বাড়ির সবথেকে কাছে
ছিল কিন্তু সেখানে খালি মুড়ি চিঁড়ে খই ছাতু এইসব প্রোলেতারিয়েত জিনিসপত্র পাওয়া
যেত। ফ্যান্সি জিনিসপত্র, যেমন ধরুন চকোলেট ফ্লেভারড কমপ্ল্যান, পাওয়া যেত না।
সেটার জন্য যেতে হত জহরের কাছে। কিন্তু সেখানেও মুশকিল। জহর ভদ্রলোক ভয়ানক কুঁড়ে
ছিলেন। ধরুন মা সকালে উঠে রান্নাঘরে গিয়ে আবিষ্কার করেছেন যে কমপ্ল্যান ফুরিয়ে
গেছে। আমি খুব খুশি হয়ে সবে ভাবছি ব্রেকফাস্টে চানাচুর খেলে কেমন হয়, অমনি মা
ব্যাঘ্রকণ্ঠে আমাকে হুকুম করতেন, “যাও তো সোনা, জহরের দোকান থেকে কমপ্ল্যান নিয়ে
এস তো।” আমাদের সময় বাবামায়েদের সঙ্গে ছেলেপুলেদের সম্পর্ক অন্যরকম ছিল, মনের কথা
মুখে বলা যেত না। বললে সিরিয়াস কনসিকোয়েন্স ভোগ করতে হত। কাজেই আমি ব্যাজার মুখে পথে
নামতাম। জহরের দোকানে গিয়ে দেখতাম দোকানের ঝাঁপ পাটে পাটে ফেলা, জহরবাবু রাস্তার
কলে দাঁড়িয়ে দাঁত মাজছেন। অগত্যা গোপালের দোকানের দিকে হাঁটা দিতে হত। গোপালবাবু
খুবই উদ্যমী লোক ছিলেন, ততক্ষণে দোকান খুলে, ঝাঁট দিয়ে, মালক্ষ্মী আর লোকনাথবাবার
ছবির সামনে ধূপ জ্বালিয়ে রেডি। দোকানের সামনে মাঝে মাঝে নীলু, পটাই কিংবা টুকটুকির
সঙ্গে দেখা হয়ে যেত। আমার মতোই সক্কাল সক্কাল যে যার মায়ের ফাইফরমাশ খাটতে
বেরিয়েছে।
যাকগে। সেসব কথা থাক, এবার আসল প্রসঙ্গে আসা
যাক। মুদির দোকানের পরেই যে রকমের দোকানটায় আমি সবথেকে বেশি গেছি সেটা হল বইয়ের
দোকান। একটিমাত্র মিটমিটে টিউবজ্বালানো দশফুট বাই দশফুট বইয়ের দোকানেও যেমন গেছি
আবার হাজার হাজার স্কোয়্যারফিটের তিনতলা উঁচু বইয়ের দোকানেও গেছি। গিয়ে সংলগ্ন
কফিশপ থেকে দেদার খাবার কিনে খেয়েছি, নরম সোফায় ঠ্যাং তুলে ঘুমিয়েছি, ইচ্ছে হলে
শেলফ থেকে একখানা বই পেড়ে দু’চারপাতা উল্টেছি। কিন্তু এই সমস্ত বইয়ের দোকানের
মধ্যে সবথেকে স্মরণীয় যে দোকানটায় গেছি সেটা আছে আপনাদের কলকাতা শহরেই।
আমি নিশ্চিত আপনাদের মধ্যে অনেকেই দোকানটায়
গেছেন। কলেজস্ট্রিটের কফিহাউস? সেখান থেকে জঘন্য কফি খেয়ে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে না
নেমে এসে উল্টোদিকের দেওয়ালের ফুটোটা দিয়ে ঢুকে পড়ুন। একটা করিডর পাবেন। করিডরের
বাঁদিকে দোকানটা। দোকান না বলে গুদামঘর বলাই ভালো। প্রচুর বই। তাকে, মেঝেতে বইয়ের
পাহাড়। ঘোরো, ফেরো, বই নাড়োচাড়ো, কেউ কিছু বলবেনা। এটা খুব জরুরি ব্যাপার। আমি
দোকানে ঘুরছি আর বুকে “মে আই হেল্প ইউ” ব্যাজ আর মুখে কান-এঁটো করা হাসি মেখে
সেলসপার্সন আমার পেছনে ছায়ার মতো সেঁটে ঘুরছেন---ভয়াবহ। বহু দোকানে ঢুকতে গিয়ে---সে
বইয়ের কিংবা জিনসের---দোকানের ভেতর শিকারির মতো পায়চারি করতে থাকা সহকারীদের দেখে
আমি পিঠটান দিয়েছি, এমন বহুবার ঘটেছে।
এই দোকানে অ্যাকচুয়ালি উল্টোটা ঘটে। ধরুন আপনি উৎসাহের
চোটে তিনটের জায়গায় চারটে বই টানাটানি করে ফেলেছেন। অমনি কোনো একটা শেলফের আড়াল
থেকে তিতিবিরক্ত গলায় থেকে কেউ না কেউ আপনাকে বকে উঠবে, “দিদি এত বই যে নামাচ্ছেন,
যেখানেরটা সেখানে আবার রেখে দেবেন কিন্তু ঠিক করে।”
বাঙালি কিন্তু ব্যবসাটা জাস্ট ভালো জানে। বলুন?
গতবছর কলকাতা গিয়ে দোকানটায় আচমকাই যাওয়া হয়ে
গিয়েছিল। যাওয়ার প্ল্যান ছিল না, প্ল্যান ছিল কফিহাউসে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে
সেখান থেকে থ্রি ডি-তে কুংফু পাণ্ডা দেখতে যাওয়ার। কফি খেয়ে, আশপাশের টেবিলের লোক
দেখে আর মুখ টিপে হেসে, বিশ্বসুদ্ধু চেনা লোককে নিয়ে PNPC করে ফেলার পরেও যখন দেখি
সিনেমা শুরু হতে তিনঘণ্টা বাকি আছে, তখন আমরা অগত্যা বইয়ের দোকানটায় ঢুকে পড়লাম। এটা
টেনে ওটা টেনে, বকুনি খেয়ে, একে অপরকে লীলা মজুমদার সমগ্র আর ডমরুচরিত কিনে দিয়ে
যখন বেরতে যাচ্ছি তখন বইটার দিকে চোখ পড়ল।
“উফ আবার দাঁড়ালে কেন, এবার কিন্তু টিকিট পাওয়া
যাবে না, তখন দেখবে মজা” তাড়ার চোটে আমি বইটা ভালো করে দেখলামও না, তাক থেকে টেনে
নামিয়ে লীলা আর ত্রৈলোক্যর সঙ্গে ধাঁই করে কাউন্টারে জমা করে দিলাম।
তারপর সুটকেসে পুরে সে বই আমার সঙ্গে নিয়েও
এলাম, সুটকেস খুলে বুককেসে যত্ন করে রেখেও দিলাম, আরও দশটা বইয়ের পাহাড়ের তলায়
চাপা পড়ে সে বই কবে আমার দৃষ্টি আর স্মৃতির বাইরে চলেও গেল। গত সপ্তাহে হেডফোন তল্লাশি
করতে গিয়ে বইয়ের পাঁজায় হাত পড়তে বইটা বেরিয়ে পড়ল।
“ওমা এটা কার বই গো!”
কথাটা যাকে উদ্দেশ্য করে বলা তিনি দায়সারা ভাবে
একবার গলা বাড়িয়ে দেখে বললেন, “কেন পষ্ট লেখাই তো আছে, ভূতের।”
তা বটে। ধুলো পড়া মলিন বেগুনি মলাটের ওপর গোটা
গোটা অক্ষরে লেখা ‘আনন্দমেলা ভূতের গল্পসংকলন’। বই-ঝাড়া বন্ধ রেখে মেঝেতে থেবড়ে
বসে বইটা খুলতেই ঝপঝপিয়ে সেই সেদিনের কলেজস্ট্রিট, কফিহাউস, কুংফু পাণ্ডা সব কথা
মনে পড়ে গেল।
আপাতত বইটা বগলে করে চব্বিশ ঘণ্টা এদিক সেদিক
ঘুরছি। আনন্দমেলা তো আজকের পত্রিকা নয়, আর তাতে কম ভূতের গল্পও ছাপা হয়নি। কাজেই
বইয়ের বপুখানি নেহাত ফ্যালনা নয়। পড়ছি আর ভাবছি লীলা ঠিক কথাই বলেছিলেন, লিখতে হলে ভূতের গল্প লেখাই উচিত। কিংবা চোরের। আমি তো বলি পড়তে হলেও এই দুইরকমের গল্প ছাড়া পড়ে লাভ নেই। পড়তে পড়তে আরো একবার নতুন করে যে কথাটা টের পাচ্ছি, এত ঘাঘু লেখকেরা এত দিন ধরে ভূত নিয়ে এত ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন, কিন্তু ভূতেদের যদি কেউ সত্যি বাগ মানিয়ে উঠতে পারেন তবে তিনি শীর্ষেন্দু ছাড়া আর কেউ নন।
ব্রেক কষে কষে, রসিয়ে রসিয়ে, আরাম করে পড়ছি এখন বইখানা। ফস করে শেষ হয়ে গেলে আবার ‘আত্মঘাতী বাঙালি’র শেষ ক’টা পাতার চক্রব্যূহে প্রবেশ করতে হবে। সেটা যতদিন ঠেকিয়ে রাখা যায় ততদিনই মঙ্গল।
ব্রেক কষে কষে, রসিয়ে রসিয়ে, আরাম করে পড়ছি এখন বইখানা। ফস করে শেষ হয়ে গেলে আবার ‘আত্মঘাতী বাঙালি’র শেষ ক’টা পাতার চক্রব্যূহে প্রবেশ করতে হবে। সেটা যতদিন ঠেকিয়ে রাখা যায় ততদিনই মঙ্গল।
চক্রবর্তী-চ্যাটার্জি পৃথিবীর মধ্যে আমার অন্যতম প্রিয় দোকান... না না, অন্যতম প্রিয় জায়গা| কতদিন যে খাওয়া-দাওয়া মাথায় তুলে সকাল থেকে বিকেল ওই দোকানটায় ধুলো ঘেঁটে কাটিয়েছি কি বলব| আহা, নস্টালজিক করে দিলেন! ভূত এবং শীর্ষেন্দুর ব্যাপারেও ১০০% একমত| এ দেশের লোকেরা তো ভূতের গল্প লিখতেই জানেনা...
ReplyDeleteআপনাদের পাড়ার প্রলেতারিয়েত মুদির দোকানে কি বড় বড় কাঁচের বয়ামে বাপুজি কেক, নান্খাটাই টাইপের বিস্কুট, ঝাল ঝাল ডালমুট আর লাল-হলুদ লাড্ডু থাকত? আমার উইকেন্ডে ইংলিশ-ভিংলিশ দেখে থেকে ভীষণ লাড্ডু খেতে ইচ্ছে করছে| :-(
issh! comments ta pore amar gorom chaa aar nankhatai khete ichhe korlo :(
Deleteআমারও আমারও। সবাই মিলে বেশ নড়বড়ে সরু বেঞ্চিতে বসে ভাঁড়ে করে বেশি-মিষ্টি চা আর নানখাটাই আর প্রজাপতি বিস্কুট আর বাপুজি কেক খাওয়া গেলে কী মজা হত না? কেন যে হয় না এসব কে জানে। জঘন্য।
Deletepost ta pore parar mudi'r dokan aar gangtok er ekta boi er dokan er katha mone pore gelo. amader para'r laloo'r dokan er samne ricksho te boshe boshei phardo pora jay...aar sakal sakal gele dekha jabe je line diye thakur debota photo'r samne gada gada dhup diye pujo korchey laloo...shey ek drishho :)
ReplyDeletegangtok e ekta boi er dokan e giyechilam...ekkebare jake bole treasure trove. dokan ta besh choto 10 X 10...kintu majhkhane moi diye ota jay ekta mezzanine floor e, jekhane hazar hazar himalay bhraman er boi....shei younghusband's travels theke arambho kore madame blavatsky...ebong sange prochur tibotti bhut er golpe'r boi....lama bhut, tsampa bhut aar koto ki!
হাহাহাহা শম্পা আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তুমি রিকশায় পা ঝুলিয়ে বসে আছ আর তোমার পাশে বসে একজন বড় কেউ লালুবাবুকে চেঁচিয়ে ফর্দ পড়ে শোনাচ্ছেন। পুরো ড্রাইভ-থ্রু গ্রোসারি, কী বল?
Deleteআহাহা, তিব্বতি ভূত? শুনেই মনটা কেমন আনচান করছে। আমার না গ্যাংটক যাওয়ার খুব শখ। যদি যাই তোমার থেকে বইয়ের দোকানটার লংগি-ল্যাটি জেনে নিয়ে যাব।
thik hay....kintu bhuleo dokan er malik cha offer korle kheo na. yak er dudh tow, durgondher thelay paliye jete hobe :)
Deleteamake chuck-rabarty (oder naamer spelling ta ektu onno rokom chilo na?) and chatterjee-r dokaane prothombaar baba nie gechilo, tao jaano wren and martin kine dite :(
ReplyDeleteish college street je kottoooodin jawa hoeni, kini na kini boi-er modhdhe ghure beratei darun laage, shei moja ta crosswords-e gie paina.. bhooter golpo nie amar bishaal history aache, footpath er dokaan theke-o bhooter boi kinechi ami, aar ekbaar rother mela gie onno kichu (krishnonogor er putul) na kine roktochosha bhoot type er bhooter boi kinechilam, shei boi gulo ekhon kothae ke jaane? baarite gele to dekhte paina, nishchoi ma kothau pachaar kore dieche, khonj korte hobe aajkei!!
আরে তুমিও কৃষ্ণনগরের পুতুল কিনতে রথের মেলায়? আমিও কিনতাম। অবশ্য সবাই বোধহয় কেনে, আমার এত উত্তেজিত হওয়াটা ঠিক হচ্ছেনা।
Deleteভূতের বইগুলো ভূতে নিয়ে গেছে? কী সাঙ্ঘাতিক। শিগগিরি মা'কে ফোন করে খবর নাও পরমা।
ei tomar pora hoe gele amader o porte dao na go boi ta ... shune theke mon ta kemon kemon korche ...
ReplyDeleteইস সত্যি যদি দিতে পারতাম নিশ্চয় দিতাম পরমা। আমারও তো সর্বক্ষণ সমমনস্ক লোকেদের সঙ্গে বই চালাচালি করে পড়তে ইচ্ছে করে, সুযোগই হয়না।
Deleteআমার পিতৃদেবের প্রতি অগুণতি ধন্যবাদের মধ্যে একটা এই- তিনি আমায় কফি হাউসে প্রথমবার না নিয়ে গিয়ে চক্রবর্তী চ্যাটার্জিতে ঢুকিয়েছিলেন। প্রথমবার স্কলারশিপের টাকা ব্যাঙ্কে জমা হওয়ার পর কি করি কি করি বুঝতে না পেরে একাই চলে গেছিলাম ওখানে- ঘণ্টাদুয়েক আর বেশ কিছু টাকা খসানোর পরে প্রফুল্ল চিত্তে একটা ধামসা ব্যাগ বোঝাই বই নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঠিক করলাম, এবার আর বই মেলায় খরচ করবো না। স্বভাবতই, কথা রাখা হয়নি।
ReplyDeleteআহা বইয়ে খরচ খরচ নয় সুনন্দ।
DeleteEi boimelay nijeke control na korte parar bhoyei ami college life e haate alpo cash niye boimelay dhuktam. Takhon card nitona, kajei ekta nirdishto amount er beshi chaaileo kharoch kora jetona.
Deleteকফি হাউসের কফির নিন্দা করলে ভাল হবেনা কিন্তু
ReplyDeleteআচ্ছা আচ্ছা প্রি, কান মুলছি।
Deleteপৃথিবীর সব কোনায় বোধহয় একটা না একটা গোপাল বা স্বপনের আইদার মুদি অর চা-এর দোকান আছেই। আমার তো মনে হয় যেকোনো জায়গায় গিয়ে গোপালের দোকানটা কোথায় দাদা, বললে ঠিক একটা হদিশ পেয়ে যাব। তোমার মত আমিও কমপ্ল্যান খাওয়া পাবলিক। কোলকাতা জীবনে কমপ্ল্যান আবার দেশের বাড়ী থেকে আসত, কারন কোলকাতার মুদির দোকান কীর্নাহারের মুদির দোকানের চেয়ে কম করে ৫ টাকা বেশি দাম নিত। আর শীর্ষেন্দু - স্রেফ টু গুড। তোমার এই ভূতের বইটা পড়ার হেব্বি ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু কি আর করা। এ কি আর পাঠানো যাবে। পোষ্ট করে পাঠালে আমিও এবারের শারদীয়া আনন্দমেলাটা তোমায় পাঠাতে পারি। :) পরে আবার যে যার মত উল্টো পথে পোষ্ট করে দিলেই হবে। ধুস্, কি যা তা বকছি। তুমিই পড় এখন, আমি না হয় 'টু বাই' লিস্টে ঢুকিয়ে রাখলাম বইটার নাম।
ReplyDeleteআমি শারদীয়া আনন্দমেলা পড়ে ফেলেছি! অবশ্য তুমি পাঠালে আরো একবার পড়তে ক্ষতি নেই। কিন্তু সে বড় হুজ্জুত। তার থেকে এই ভালো।
Delete"কীর্ণাহারের কমপ্ল্যান" কিন্তু জটায়ুমার্কা গল্পের জন্য দুর্ধর্ষ শিরোনাম হতে পারে, বল?
ধুস্, আমিও যেমন। ব্যাঙের আধুলি দিয়ে লোভ দেখাতে গেছি। তা 'আনন্দমেলা' পড়ে কেমন লাগল? আমি এখনো শেষ করিনি। উপন্যাসগুলো পরছি আপাতত। একমাত্র 'মদন তপাদারের বাক্স' ছাড়া বাকিগুলো সাবস্ট্যান্ডার্ড লেগেছে। অবশ্য, রথের সময় পূজাবার্ষিকী বের করলে এর থেকে ভালো আর কি হবে!
Deleteহ্যাঁ, 'কীর্ণাহারের কমপ্ল্যান' টা গল্পই বটে। লরিবাহিত হয়ে সে আসত কোলকাতা থেকে কীর্ণাহার আর আমার সবুজ কিট-ব্যাগ বাহিত হয়ে আবার ব্যাক টু কোলকাতা। মাঝে শুধু টাকা পাঁচেক দাম কমে যেত।
শারদীয়া আনন্দমেলা pora hoye geche!!!?:((( amio porte chai!
DeleteThis comment has been removed by the author.
DeleteShirshendu'r prakton bhooter goppo dulo darun kintu bhoyer noi ekdom i. Oi rokom bhoot er kotha bhable bhobishyot tao bhalo lage.
ReplyDeleteLila Majumdar er ekta Bhooter goppor somogro chilo, khuje pachi na, gray ar black moton chok choke cover. Oitao darun.
Kintu shobcheye shir shir kora bhooter goppo porechi onek chotobelay, cholti golpo, lekhok mone nei kintu hottah kore thanda haath pither upor porlo bhabte ekhono gaaye kaanta dey
Amar meyera ba tader bondhuder modhye bhooter goppo porar dekchi chol nei.Ki byapar bujhchi na thik. Disembodied haat ba modhyo raat e faceless rickshawwala na janle ar jibone ki janbe.
এই কথাটায় আমি আপনার সঙ্গে একদম একমত বং মম। ভয় পাওয়ানো ভূতের গল্প ভীষণ ভীষণ অমিল। বেশিরভাগই ফিল গুড টাইপের গল্প।
Delete"ফেসলেস রিকশাওয়ালা" শব্দদুটো স্মৃতির ফ্লাডগেট খুলে দিল। যদি সত্যি এরকম কখনো হত, ভাবতে পারছেন? কী সাঙ্ঘাতিক।
amar priyo bhuter goppo ebong character holo monihara aar phonibhushan respectively :)
ReplyDeleteহ্যাঁ শম্পা আমারও খুব পছন্দ ওই গপ্পটা। বেশিরভাগ ভূতের গল্পই তো আসলে হাসির গল্প হয়, মণিহারা পড়ে সত্যি ভয় লেগেছিল।
Deleteaha ota to amar khub priyo jayga..oi dokan tar jonye ami college jibon e kokkhono konodin bore hoini...ami to borong beshir bhaag somoyei coffee house er dik ta total ignore kore oi dikei chole jai..jani na keno, okhane bhuter golper boi guloi sobcheye lobhoniyo jaygay rakha thake hoyto, ami akbar tana adh ghonta Count Drakula boita nebo ki nebo na bhebei katiyechilam, edike ami bhuter golpe bohut bhoy pai j..tobe ekhane akhon snyatsnyate meghla weather, gorom cha telebhaja murir songe bhuter golper boita thakle...ishhh
ReplyDeleteসত্যি স্বাগতা, ভূতের গল্পও আজকাল আমার জীবন থেকে ভূতের মতোই উধাও হয়ে গেছে। অনেকদিন পর বইটা পেয়ে একেবারে অভিভূত হয়ে পড়েছি। কাউন্ট ড্র্যাকুলা ফাইন্যালি কেনা হয়েছিল?
DeleteEta sanghatik nostalgia'r byapar. Schooler sheshe aami pratham oi paray boi kinte jai, seta chilo koner naam kora dokan ta ... etodin okhane jai ni je naam ta aar mone porche na. Kintu kichudin oi paray katatei aamar kache spashta hoye gelo je galper boi dekhar jayga hocche ei dokanta, aar pora shunar boi dekhar jaygata holo Sarat BookStore. Ei duto dokanei ei bisheshotto chilo je boi guli baire rakha thakto, joto icche pora jeto ... jeta sei samay amader colleger main library teo hoto na.
ReplyDeleteSe kaale je khub golper boi kena hoye uthto ta noy, jodio ja kintam okhan thekei. Kintu okhane dariye prachur boi porechi. Okhankar karmachari ra janten je colleger chatrara ei sab korbe, tai apatti korten korten na. Anekkhon dariye porle, etao shunechi: "Dada, boita kintu ardheker beshi ekdine pore neowa jabe na."
Sarat Book House e giye, subjecter boi hatre bujhtam ki boi kon topicer janya bhalo. Tobe sei samay boita kinleo, sekhan theke sadharanoto kintam na. Baire rastar dhare ponero theke kuri percent discounte paowa jeto , Onara shudu dash percent diten. Sekhaneo, je bayaska bhadralok dokan chalaten, tini nishchoy bujhten kintu konodin apatti koren ni. Borong jodi bujhten je aamra kono boi pacche na, tahale uni sei boi bhetorer ghare aache kina khonj korte lok pathaten, na pele kokhono aniye debar cheshta korten. Parabarti kale abashya lambda boiyer list niye gechilam sekhan theke boi kinte. Setao abashya amaar subidhei hoyechilo (boi boye niye jaowa chara), karan anya desher theke okhane boier daam onek kom ... tai thik purono anyay shudronor janya korechi ta bolte parbo na.
rgb, ওই কোণের দোকানটা বোধহয় ন্যাশনাল। খুব ভালো লাগল আপনার কমেন্ট পড়ে। আপনি একটুও অপরাধবোধে ভুগবেন না, ছাত্রাবস্থায় এইসব কাটিং কর্নারস সকলকেই করতে হয়। আপনি তো তবু পড়ার বইয়ে করেছিলেন, আমি তো চারখানা হ্যারি পটার বইয়ের দোকানে বসে পড়েছি।
DeleteShirshendur bhoot asole bhoot noy. Parar khyapa typer jethur moto. Chhotobelay Shirshendu khub bhalo lagto. Tarpor ekdin abishkar korlam je ekta golpeo kono major mohila character nei. Othoba kono chhoto meye kono golper heroine noy. Tokhon monta ektu kharap hoye galo. Jodio, bolai bahulyo, ekhono Shirshendur golpo bhaloi lage besh.
ReplyDeleteসেটা অবশ্য ঠিকই বলেছ বিম্ববতী।
Deleteএইটা না বলে পারছি না, তোমার নামটা কী টাইপ হচ্ছিল বলত এতক্ষণ? বিম্ববঁটি।)
Thik ei karonei Felud Mittir er upor amar ekta khobh ache. Bodhoy shudhu ekta golpe slightly imp meye char chilo, baki gulo fokka.
Deleteswapan ,gopal, ar jaharer mudir dokan sabar paray thakte pare ,kintu amader parar mudir dokaner naam chilo khokonmoy stores.....anek bhabar chesta korechi keno erakam holo,..baba mar bodhay anekgulo cheler naam rakhte gie naam kom porechilo!
ReplyDeleteযাহ, এটা বানাচ্ছিস। খোকনময়?! মানে কেন??
Deletearre !bhadroloker jarulola mukhtao amar mone ache!
Deleteহ্যাঁ আরেকজনও তোর হয়ে সাক্ষী দিয়েছে অবশ্য যে সত্যি নাকি ছিল। কাজেই মেনে নিচ্ছি।
Delete... ei eto bhoot chorchaar modhdhe ekta mojaar jinish mone porlo, shebaar Amityville horror boi ta library theke enechilam, die porte porte emon bhoe peyechi, raate oi boi ta-r snge ek ghore ghumoteo bhoe hoechilo, die, boi khana baba-ma r ghore rekhe eshe tobe raat-e ghumote perechilam! incidentally ekhon ami shei amityville-er kaachei thaaki, kintu je barita nie lekha golpo ta (apparently sotti golpo) shei barita te ekhon dibbi onno lokjon thaake, bhoot toot paliye geche! mone mone bolchi, bhaggish!
ReplyDeleteshuktara-teo onek bhoutik shonkha beroto aage, shei golpo gulo-o besh chilo, loadshedding e mombatir aloe, jhalmuri khete khete oi golpo gulo portam, oboshyoi paashe baba/ma thakto :P
kothae sheshob din!!
হাহাহাহা পরমা, ভূতের বইয়ের সঙ্গেও একঘরে না ঘুমোতে পারার ব্যাপারটা কিন্তু দুর্দান্ত। শুকতারা আমারও খুব প্রিয় বই জানো? বইয়ের ব্যাপারটায় তুমি আমার বেশ কাছের লোক মনে হচ্ছে, তাই না?
Deletebhuter boier songe akghore ghumote na parata amaro ache..:p ami aneksamay chador chapa die rakhi jate molatta dekhte na hoy.......tobe sharadindur kichu bhuter galpo ache segulo porle kintu besh ga shir shir kore..pratidhawni bole akta galpo ache,darun!
Delete