পাড়ার বাংলা বইয়ের দোকানঃ কী করে আমার সেখানে যাওয়া চিরদিনের মতো বন্ধ হয়ে গেল



আমাদের পাড়ায় একটা বাংলা বইয়ের দোকান আছে। ছোট, কিন্তু চকচকে। রিষড়ার টিমটিমে মাছি-তাড়ানো বিবেকানন্দ লাইব্রেরির তুলনায় একশোগুণ ভালো দেখতে। প্রথম যেদিন দোকানটা আবিষ্কার করেছিলাম, আনন্দে দুহাত তুলে লাফাতে ইচ্ছে করেছিল। দিল্লিতে বসে নিরবচ্ছিন্ন বাংলা বইয়ের সাপ্লাই পাওয়াটা বেশ কঠিন কাজ। একটা লাইব্রেরি যদিও আছে, তাতে বইও কম নেই, কিন্তু সেগুলো সত্যি বলছি, বড্ড পুরোনো ধাঁচের। ধুলোপড়া বিমল কর আর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রচনাবলী, গৌড়বাংলার ইতিহাস, ‘আইনের চোখে মেয়েরা’ জাতীয় বই সারি দিয়ে রাখা। ছাদ পর্যন্ত লম্বা লম্বা বইয়ের শেলফ এত কাছাকাছি রাখা যে মাঝখান দিয়ে অ্যাভারেজ অ্যামেরিকানের চলাফেরা করা মুশকিল। দেওয়ালে লাগানো টিউবের ময়লা সরু সাদা আলো সেসব শেলফ পেরিয়ে পুরো ঘরটায় পৌঁছোয়ও না। আর এসবের ওপর আবার পাশের কোন একটা ছোট ঘর থেকে ক্রমাগত টাইপিং-এর খটাখট শব্দ আসতে থাকে।

আমি ভুলেও রাতের বেলা লাইব্রেরিমুখো হই না।

যাই হোক, আমরা তো মহানন্দে দোকানে যাওয়া শুরু করলাম। সেভিং-এর উচ্চাকাঙ্ক্ষা যমের দোরে পাঠিয়ে আবোলতাবোল বই কিনে বাড়ি ভরানো শুরু হল। বাঙালিকে বইমুখো করার জন্যই হোক বা মুনাফা লোটার জন্যই হোক, বেশ কিছুদিন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ বইয়ের দামের ওপর ডিসকাউন্ট দিচ্ছিলেন। তিনশো টাকার বই কিনলে পঁচাত্তর টাকার বই ফ্রি, চারশো টাকার বই কিনলে আশি টাকার বই ফ্রি, পাঁচশো টাকার কিনলে একশো টাকার ফ্রি...ইত্যাদি।

সোজা টাকা ফেরৎ দিলেই হয়, তা না। সব জায়গায় একটা গেরো পাকিয়ে রাখা বাঙালির স্বভাব। বই পছন্দ করতে পাঁচ মিনিট লাগলে, ফাউ পছন্দ করতে চলে যেত পঁয়তাল্লিশ মিনিট। একে তো অত কম টাকার মধ্যে বই পছন্দ করা যায় না, ফাউ বই কিনেও আবার গাঁটের কড়ি খসাতে হয়। আর নয়তো ফাউ না নিয়েই বাড়ি চলে আসতে হয়।

দ্বিতীয় অপশনটা প্রাণ থাকতে নেওয়া যায় না বলে আমরা ফাউ হিসেবে যা খুশি তুলে আনতে লাগলাম। মনোজ মিত্রের লেখা পঞ্চাশ পাতার নাটকের বই, শীর্ষেন্দুর লেখা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গোয়েন্দা গল্পের বই, ধাঁধার বই, টবে বাগান করার বই, কী খেলে কী রোগ সারে সে সব নিদান দেওয়া বই---সব।

শেষে যখন আর বাড়িতে ফাউ বই রাখার জায়গা থাকল না, তখন আমরা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে আবার ফ্লিপকার্টে ফেরৎ গেলাম। মাথায় থাক আমার হাতে ধরে নেড়ে বেছে বই কেনার সুখ। সুখের থেকে স্বস্তি ভালো।

কিছুদিন বাদে বান্টি খবর আনল, দোকানের ফাউ পলিসি চেঞ্জ হয়েছে। ফাউ বই বাছার ভয়ে নাকি আমাদের মতো অনেক ক্রেতারাই বই কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন, দোকানের গণেশ প্রায় উল্টোব উল্টোব করছিল, শেষটায় কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। এখন তিনশো টাকার বই কিনলে সোজাসাপটা পঁচাত্তর টাকা ডিসকাউন্ট, অর্থাৎ কিনা দুশো পঁচিশ টাকা দিলেই খেল খতম।

বই কিনে পয়সা নষ্ট করার পথের শেষ কাটাটিও দূর হল ভেবে আমাদের আনন্দ আর বাধা মানল না।

কিন্তু কপাল যাবে কোথায়। সেদিন এক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনব বলে অফিসফেরতা দোকানে ঢুকেছিলাম। ঢুকে এবইসেবই নেড়েচেড়ে দেখছি, আমার পছন্দের সঙ্গে বন্ধুর পছন্দ মিলবে কি না ভেবে মাথাটাথা চুলকোচ্ছি। তারপর অনেক ভেবেটেবে দোকানি ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলাম,

“আচ্ছা ভ্রমণকাহিনি নেই?”

তিনি খুব লজ্জিত মুখ করে বললেন, “দেখেছেন, সবাই চায়, কিন্তু দিতে পারি না। কলকাতা থেকে পাঠায় না।”

এমন সময় পেছন থেকে একটা গম্ভীর গলা বলে উঠল, “ভ্রমণ পড়তে ভালো লাগে বুঝি?”

পেছন ঘুরে দেখি সেই ভদ্রলোক। ভদ্রলোককে আগেও দেখেছি। ওই দোকানেই। বেশ ভারভার্তিক চেহারা, শ্মশ্রুগুম্ফসম্বলিত, চোখে কালো ফ্রেমের চশমা আঁটা। দোকানে যতক্ষণ থাকেন প্রবন্ধ কিংবা কবিতার শেলফের সামনে থেকে নড়েন না।

ভদ্রলোক আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “ভ্রমণ পড়তে ভালো লাগে?”

“হ্যাঁ। তবে এটা উপহার দেব বলে কিনছি।”

“বন্ধুর ভ্রমণ ভালো লাগে?”

তখন ঝেড়ে কাশতেই হল। বললাম যে বন্ধু না বলে পরিচিত বলাই সংগত, আর তাঁর বইয়ের পছন্দ সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। তাই সেফসাইডে থাকার জন্য ভ্রমণকাহিনি খুঁজছি।

ভদ্রলোকের হাতে নির্ঘাত অনেক সময় ছিল, তাই তিনি আমার সমস্যা সমাধানে নেমে পড়লেন।

“বন্ধু পুরুষ না মহিলা?”

“মহিলা।”

“বয়স কত?”

“চল্লিশের কাছাকাছি।”

“তাহলে নিশ্চয়্ বাংলা উপন্যাস পড়ে।”

সেরেছে। চল্লিশ বছরের মহিলা বাংলা উপন্যাস পড়েন কিনা সে নিয়ে আমি চট করে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছি না দেখে ভদ্রলোকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটল।

“সুচিত্রা ভট্টাচার্য দিতে পারো। মেয়েদের মধ্যে খারাপ না।”

আমার মাথার ভেতর একগাদা কড়াকড়া কথা ঘোরাফেরা করছিল, কিন্তু সেগুলো গিলে ফেলে হাসিমুখে তাকিয়ে রইলাম। ভদ্রলোক তাতে দমলেন না।

“আরেকজনও লিখছে অবশ্য আজকাল...কী যেন ব দিয়ে নাম...”

“বাণী বসু।” আমার মুখ থেকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও বেরিয়ে এল।

“হ্যাঁ হ্যাঁ। কেমন লেখে বলোতো?”

আমি বললাম, “আমার ভালো লাগে।”

ভদ্রলোক একটা হতাশার হাসি হেসে বললেন, “সে অবশ্য যুগের সঙ্গে সঙ্গে রুচি পাল্টায়। আমাদের সময়ে ছিল সুনীল, শীর্ষেন্দু, সন্দীপন। কী সব লেখা, আহা।”

আমি বেগতিক দেখে আবার বই ঘাঁটতে শুরু করলাম। ভালো মন্দ যাই হোক, কোনওমতে বাজেটের মধ্যে একটা বই বাগিয়ে যত তাড়াতাড়ি দোকান থেকে কেটে পড়াটাই তখন আমার মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু ভোগান্তি তখনও বাকি ছিল। ভদ্রলোক এগিয়ে এসে বললেন,

“আচ্ছা দেশে কিছুদিন আগে দুই মহিলার উপন্যাস বেরোচ্ছিল না? পড়েছ?”

ভদ্রতার খাতিরে কথোপকথনটা চালিয়ে যেতেই হল। বললাম, “একটা পড়েছি, আরেকটা অর্ধেক পড়ে ছেড়ে দিয়েছি।”

“কে বেটার বলে মনে হয় তোমার?”

কী বিপদ। ভদ্রলোক কি আধুনিক মহিলা বাংলা লেখকদের নিয়ে পি এইচ ডি করছেন নাকি? আমি আমতা আমতা করছি দেখে নিজেই উত্তরটা দিয়ে দিলেন ভদ্রলোক।

“তিলোত্তমার লেখার গভীরতা সঙ্গীতার থেকে বেশি। তাই না? অবশ্য নবকুমার দুজনের থেকেই বেটার।”

এই না বলে ভদ্রলোক তিন লেখকের লেখার দোষগুণ উপকারিতাঅপকারিতা নিয়ে একটা লম্বা বক্তৃতা শুরু করে দিলেন।

আমি ততক্ষণে বই পছন্দ করে দোকানি ভদ্রলোকের হাতে চালান করেছি। সে ভদ্রলোকও আমার বিপদটা অনুধাবন করে ঝটাপট বিল বানিয়ে বই প্য্যাকেটে পুরে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।

“আচ্ছা তবে আসি?” বলে সাহিত্যবাজ ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে ঘাড় নেড়ে বেরোতে যাব, এমন সময়ে কফিনে শেষ পেরেক পড়ার মতো করে খ্যানখ্যান করে ব্যাগের ভেতর মোবাইল বেজে উঠল।

মা। জানতাম। যখনতখন যত্রতত্র ফোন করে আমাকে বিপদে ফেলার এত উৎসাহ আর কারই বা থাকবে।

ফোনটা ধরে চাপা গলায়, “মা, পরে করছি” বলে ব্যাগে পুরতে যাব, ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।

ভদ্রলোক নিজের ফোনটা বাগিয়ে ধরে হাসিহাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।

“তোমার ফোননম্বরটা দাও তো, আজকাল তো এসব নিয়ে আলোচনা করার লোকই পাওয়া যায় না। আমরা একটা সাহিত্যসভা আয়োজন করি প্রতি সপ্তাহে, সেখানে তোমাদের জেনারেশনের লোকের বড় অভাব। বল নম্বরটা।”

পালাবার কোনও পথই আর খোলা ছিল না বিশ্বাস করুন। নম্বরটা বলে রাস্তায় বেরিয়ে এলাম। রাস্তায় বেরিয়ে হাওয়া খেয়ে মাথাটা একটু ঠাণ্ডা হল।

সাহিত্যসভার কী হল? কী আবার হবে। পরের রবিবার সকালে বান্টি ফোন করে একথাসেকথার পর বলল, শনিবার সন্ধ্যেবেলা কে এক পাবলিক ওকে ফোন করে কী সব বাংলা সাহিত্যে মহিলাদের প্রভাব-ফভাব নিয়ে একগাদা চেটেছে।

আমি যথাসম্ভব সহানুভূতি দেখিয়ে ফোন রেখে ইউটিউবে ফের মনোনিবেশ করলাম। একটাই ক্ষতি হল, ওই দোকানে আর কোনওদিন যাওয়া যাবে না। দোকানবাজারেও একটু চোখকান খোলা রেখে চলাফেরা করতে হবে।

Comments

  1. ইকি, এসব সাহিত্যসভায় যেতে হয় তো। নইলে আপনার বই কিনবে কে, পড়বেই বা কে? অবান্তরের এই গুটিকয় পাঠকবৃন্দকে দিয়ে তো ফার্স্ট এডিশনের পারাবার পারাপার করা যাবে না।

    আপনার জ্ঞানপীঠ ফসকে গেল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইস, আমি তো কীরকম কায়দা করে কাটানো গেল ভেবে আনন্দে আত্মহারা হচ্ছিলাম, আপনি তো মন খারাপ করে দিলেন দেবাশিস।

      Delete
  2. Banti-r proti khub onnay korechen...ami tar tibro protibad janachhi..:P
    বাংলা সাহিত্যে মহিলাদের প্রভাব theke Taslima nasrin er kotha mathay elo...r sathe elo onar khub recent lekha ekti article...jothariti controversial...kintu amar bhalo legeche pore..bhabbar bisoy...dekhun porechen kina...

    http://www.anandabazar.com/archive/1130331/31rabipro1.html

    ReplyDelete
    Replies
    1. বান্টি শুনলে খুব খুশি হবে যে আপনি ওর সাইডে, সৌমেশ। তসলিমার লেখাটা পড়িনি, তবে পড়ব। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  3. 1. Arthat tumi nijer number-er badole bunty-r number die esechhile?
    2. ek jon niriho sahityo premi-r bhoi-e boi-er dokane jaoa chhere debe? dokanir sathe alap kore mishti kore bhadroloker timing ta jene nie seta avoid korlei to hoi! naki byapar ta arektu pyanchalo?

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার এঁকে কোনখানটায় নিরীহ মনে হচ্ছে রুচিরা? মানুষখেকো বাঘের থেকে কোনও অংশে কম ভয়াবহ নয়, আমি বলছি তোমাকে।

      তোমার আইডিয়াটা ভালো, কিন্তু তাহলে দোকানি ভদ্রলোক বুঝে যাবেন যে আমি ওই সাহিত্যওয়ালাকে এড়ানোর চেষ্টা করছি। সেটা ভালো হবে না। তিনি যদি আবার চুকলি কেটে দেন, কী দরকার।

      Delete
    2. ধুস, এখানে মাইরি নাবালিকাদের বড় ভিড়। দোকানি ভদ্রলোক চুকলি কেন কাটবেন? আপনি তো ওঁকে গিয়ে বলবেন যে ওই ভদ্রলোককে আপনার খুব দরকার, একটু সাহিত্য টাহিত্য নিয়ে গাইডেন্সের প্রয়োজন। তারপর উনি খুশি হয়ে টাইমিং জানাবেন, আর আপনি ওধার মাড়াবেন না। তবে এখানে একটি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, আপনার নিজের টাইমিংটা প্রেডিক্টেবল রাখা চলবে না, নইলে সেই ভদ্রলোক সেম স্ট্র্যাটেজি অ্যাপ্লাই করে আপনাকে পাকড়াও করে ফেলতে পারেন।
      কূটনীতি, বুঝলেন দিদি, বেঁচে থাকার জন্যে খুব দরকার।

      Delete
  4. ghor annyay korechish,na hoy sahityosobha jetish..amra aro mojar mojar galpo petam :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেটা নাও হতে পারত। অত সাহিত্যের চর্চা শুনে যদি মাথাটাই খারাপ হয়ে যেত?

      Delete
  5. হে হে এই সব মেকি আঁতেল দের পাল্লায় পড়েছ কি মরেছ । তবে সাহিত্য সভায় গেলে পারতে কিন্তু। একটি অনবদ্য লেখা থেকে আমরা বঞ্চিত হলাম ।তুমি বেশ রসিয়ে খেলিয়ে লিখতে আমাদের জন্য।

    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, তারপর নিজে পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ছুটে বেড়াতাম।

      Delete
  6. ish sahityosobha niye jobordost akta blog foske gelo :(
    bhodrolok er oseem khomota ar adhel somoy to! tilottoma ar songeeta r comparison korchen! sabdhane theko, tumi blog lekho janle onar "bangla sahitye meyeder probhaab" thesis e arekta chapter add hoye jabe :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. ব্লগকে উনি সাহিত্যের মধ্যে ফেলবেন না, বিশ্বাস কর স্বাগতা।

      Delete
  7. arre dhur...lukiye thakbe keno. bhadralokke dekhle prothomta chinte na parar bhan korbe, tarpor jodi uni aag bariye katha bolte ashen tahole bolbe je uni hoyto tomake tomar jomoj bon er sange tomake guliye felchen (golmaal). aaro bolbe aamio sahitya charcha kori kintu seta hindi sahitya. bangali ke bhaganor janne "hindi sahitya" excuse ta kintu daroon bhabe kaaj dey :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. যমজ বোনের ব্যাপারটা ভালো বলেছ শম্পা। আমি ভাবছি হিন্দির বদলে মৈথিলী সাহিত্য বলব, আরও বেশি কাজ দেবে, কী বল?

      Delete
  8. ha ha ha! ekta sunglass porey r scarf pechiye dhuke poro. bhodrolok dharekache gheshben boley mone hoy na. Bhodrolok tao kichu bolle mota gola'y surprised voice e 'Excuse me?' bole kete poro. Tobe sahityo sobha'y bhalo khaoa daoa hoy bole shunechilam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ছদ্‌মবেশের আইডিয়াটা ভালো দিয়েছ টিনা। খাওয়াদাওয়া ভালো দেবে না ছাই। ঠাণ্ডা শিঙাড়া আর দানাদার দেবে, জানা আছে।

      Delete
  9. ধুর্‌, ভুল নম্বর দিবি তো!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভাগ্যিস এই সাহিত্যপ্রেমী ভদ্রজোঁকটি আজকালকার কায়দা মতো বলেননি, "একটা মিস্‌ড্‌ কল দিয়ে দিই, আমার নাম্বারটা পেয়ে যাবেন!"

      Delete
    2. উফ, তোমরা ওই ভদ্রলোকের জায়গায় থাকলে আমার দুর্দশাটা কী হত আমি ভাবছি আর শিউরেশিউরে উঠছি। ভাগ্যিস ওঁর মাথায় এত দুরভিসন্ধি খেলেনি।

      Delete
  10. আমার এই রকম দু'বার হয়েছে জীবনে। মানে বই পছন্দ করতে গিয়ে মন্তব্য শোনা। তবে দু'বারই দারুন ঘটনা - নিদারুণ নয়। একবার পছন্দ করে দিয়েছিলেন সুবর্ণরেখার ইন্দ্রনাথ মজুমদার - কলকাতা বইমেলায়। অরুণ মিত্র-র বই পথের মোড়ে। আর একবার বুদ্ধদেব গুহ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পরশুরাম গ্রন্থাবলী। সেও বইমেলায়। তবে কারো সঙ্গেই সাহিত্য আলোচনা করতে হয় নি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি অনেকদিন ধরেই মনে মনে জানতাম বুদ্ধদেব গুহকে আমার পছন্দ হবে।

      কিন্তু কৌশিক, আপনি তো ভাগ্যবান। সত্যি মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা।

      Delete
  11. মজার গল্প। আমি ভদ্রলোকের চেহারাটা পরিচালক গৌতম ঘোষের মতন কল্পনা করে নিয়েছিলাম। তবে বলতেই হচ্ছে, ভদ্রলোক নেহাত আনাড়ি, কারণ আমায় সাধারণত যারা এরকম রাস্তায় গায়ে পড়ে চাটে (সাধারনত Amway'র ফাঁদে ফেলবে বলে) তারা নম্বর দেওয়া মাত্রই রিং ব্যাক করে দেখে নেয়। অবশ্য আমায় মুখ দেখেই মিথ্যেবাদী মনে হয় সেটাও হতে পারে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার মুখ দেখে যদি মিথ্যেবাদী মনে হয় তাহলে আমাকে দেখে দাউদ ইব্রাহিম মনে হওয়ার কথা। আসলে ভদ্রলোকই আনাড়ি। আর সেটাই হওয়া স্বাভাবিক। কোথায় অ্যামওয়ের লোক চরিয়ে খাওয়া সেলসম্যান আর কোথায় সাহিত্য কপচানো পেটরোগা বাঙালি।

      Delete
  12. darun mojar lokto... esob sottii galpe porechhi , oi lok dhore dhore sahitya sobha te nie jaoa. eirakom lokjon amader charidike sottii sottii ghure berai? ebar theke nijer number songe du ekta wrong number mone rekho , kimba nijer number tai ghurie phirie dio :-P

    ReplyDelete
    Replies
    1. সত্যি না তো কি মিথ্যে ইচ্ছাডানা? আশেপাশে যে কারা ঘুরে বেড়ায় চিন্তা করতে পারবেন না। তারা গল্প সিনেমার থেকেও একশোগুণ ভয়ংকর।

      Delete
  13. হ্যাঁ, এটা একেবারে একশো ভাগ সত্যি যে life is more interesting than fiction.


    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. একেবারে হক কথা মিঠু।

      Delete
  14. uff darun darun! aha re, bechara bunti! tobe tomar ato sundar phow wala dokan ta erom haatchara hoye gelo ei chakre :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে না না, ওপরে অনেকেই অনেক ভালো ভালো ফন্দি বাতলেছেন, যেমন ছদ্মবেশ নিয়ে যাওয়া, বা বিনা ছদ্মবেশেই যাওয়া আর ধরা পড়ে গেলে নিজেকে নিজের যমজ বোন বলে চালানো। কাজেই সেগুলো অ্যাপ্লাই করব। দোকান হাতছাড়া হতে দিচ্ছি না আত্রেয়ী।

      Delete

Post a Comment