Things I am Not Loving



১. বিয়ের কোল্যাটারাল ড্যামেজ। আমার বাবার গর্মিতে গলা বসে গেছে, মা কোমরের ব্যথায় শয্যা নিয়েছেন। কাকুকাকিমাও জেরবার। ডেডলাইন যত এগোচ্ছে, টু ডু লিস্টের সাইজ ততই সম্ভবের সীমা ছাড়াচ্ছে। আমপাকানো গরমে একএকদিনে পাঁচ থেকে ছ’টা বাড়ি ঘুরে নেমন্তন্ন। একএক ট্রিপে শ্যামনগর থেকে পাটুলি। তার ওপর ক্যাটারার, ডেকোরেটর এদের প্যাঁচপয়জারের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তো আছেই। সকলেই আমাদের থেকে বেশি বোঝে। “কাকু, লুচি আজকাল কোলেস্টেরলের ভয়ে কেউ খেতে চায় না, ফ্যাটফ্রি বেবি নান প্রেফার করে।” সকলেই আমাদের ভালো চায়। “কাকিমা, চারদিকে একগাদা ফ্যাটফেটে আলো দিয়ে কী হবে। স্রেফ ফালতু খরচ। ধুস্‌। বরং গাছের পাতার ফাঁকেফাঁকে টুকটাক টুনি গুঁজে দেব, আধো আলো আধো ছায়ায় বেশ রোম্যান্টিক আবহাওয়ার সৃষ্টি হবে। তারপর দেখতে না পেয়ে চিকেনবল্‌সের ওপরে বসা মশামাছিও টুথপিকে গুঁজে মুখে পুরে দেবেন, ক্ষতি কী, ওগুলোও তো প্রোটিন...”

একখানা বিয়ে করে ভালোবাসার লোকজনেদের এই হাঙ্গামার মধ্যে ফেলেছি ভাবতেই অপরাধবোধ হচ্ছে। ওদিকে টাকা, শরীর সব জলের মত ক্ষয় হচ্ছে আর এদিকে আমি রোজ ব্যাগ দুলিয়ে অফিসে এসেযেয়েই কূল পাচ্ছি না। কুলাঙ্গার আর কাকে বলে।

২. আমি ভেবেছিলাম শুধু মফস্বলের ট্রেনলাইনেই এই স্টেশনগুলো থাকে। যেখানে কেউ নামে না, কেউ ওঠে না, তবু ট্রেনগুলো রোজ নিয়ম করে থামে। শুধু থামেই না, অন্য ভিড়ভার্তিক স্টেশনগুলোয় যদি তিরিশ সেকেন্ড থামে তবে এগুলোয় কোনও কোনও দিন তিরিশ মিনিটও হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ঘোর অফিসটাইমে। ট্রেনশুদ্ধু লোকের যে ওদিকে উপস্থিতির খাতায় ঢ্যাঁড়া পড়ে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করেই। আমাদের লাইনে এই স্টেশনটার নাম হালুয়া। সাউথইস্টার্ন সাইডেও একখানা আছে শুনেছি। টিকিয়াপাড়ার ঠিক পরেই, একটু দাঁড়া

এখন দেখছি কেবল মফস্বলের ট্রেনলাইনেই নয়, খোদ রাজধানীর মেট্রোলাইনেও এই জাতীয় স্টেশনের আবির্ভাব হয়েছে। খান মার্কেট আর কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের মাঝখানে, রোজ সূর্য ওঠার মতো নিয়মানুবর্তিতায় মেট্রো পাঁচ মিনিট থেমে দম নিচ্ছে। ব্যাপারটা আমার মোটে পছন্দ হচ্ছে না, কারণ আমার আগে একজন অফিসে ঢুকে পড়ছেন। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়টা আরও পাঁচ মিনিট এগোতে হবে দেখছি। জঘন্য।

৩. পি ভি আর। সেদিন গয়নার বাক্স দেখতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটা ছোট কুরুক্ষেত্র বেধেছিল। আমার দোষ নেই। কী হয়েছিল শুনুন। আমি অনলাইনে শুক্রবারের বিকেলের শো-এর টিকিট কেটেছিলাম। শুক্রবার দুপুরবেলা একজন ফোন করে অত্যন্ত বিরক্ত স্বরে বললেন, “আপনে কোই বাংগালি মুভি কা টিকিট লিয়া হ্যায় কেয়া?” জানা গেল যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সে সিনেমা আজ দেখাবে না, তাই আমার টিকিট শনিবারে ট্রান্সফার করা হচ্ছে।

শনিবার হলে উপস্থিত হয়ে দেখি থিকথিক করছে ভিড়। সবাই আয়রনম্যান দেখতে এসেছে। গগল্‌স্‌ আঁটা, পেশীবহুল, স্টিলেটো-চড়া সে ভিড়ের কাছে ঘেঁষতে ভয় লাগে, পাছে কেউ ধমক দেয়। অতি কষ্টে ভয় জয় করে ভিড়ের ফাঁকফোকর গলে কাউন্টারের সামনে গিয়ে আশেপাশে দুচারজন নিরীহ বাঙালিকে দেখে বুকে বল এল। আমার সামনেই একজন মাসিমা গয়নার বাক্সের দুখানা টিকিট কিনলেন। আমি গিয়ে যেই না আমার ফোন এগিয়ে এস এম এস দেখিয়ে ব্যাপারটা খুলে বলতে গেছি, ওপাশের অসম্ভব চালিয়াৎ দেখতে ভদ্রলোক মোটা গলায় বললেন, “মুভি আজ ভি নেহি চল্‌ রহা হ্যায়। টেকনিক্যাল ডিফিকাল্টিজ। কাউন্টার ছোড় দিজিয়ে, নে-এ-এ-ক্সট্‌।”

তারপর ঠিক কী কী হয়েছিল আমার মনে নেই, কারণ রাগে আমার মাথা ভোঁভোঁ করছিল, হাত পা ঠকঠক করে কাঁপছিল, আর আমি গলা সপ্তমে তুলে “ইয়ার্কি পায়া হ্যায়” মর্মে কিছু একটা চিলচিৎকার করে বলে চলেছিলাম। আমার মূর্তি দেখে শেষে একজন ম্যানেজার ভেতর থেকে এসে বেরিয়ে এলেন। তাঁকে পুরো ব্যাপারটা আবার গোড়া থেকে বুঝিয়ে বলতে হল, তাতে তিনি ভয়ানক কৃপার হাসি হেসে বললেন, “আরে আরে রাগবেন না, বুঝতে পেরেছি আপনার সিনেমাটা খুবই দেখার ইচ্ছে, ভালো ডিরেকটরের বুঝি? ঘাবড়াবেন না, আমি টিকিট এনে দিচ্ছি। আপনি আমাকে শুধু টাকাটা দিয়ে দিন।”

বলে ভদ্রলোক হাসিহাসি মুখে হাত বাড়িয়ে তাকিয়ে রইলেন।

আমি জাস্ট তাকিয়ে রইলাম। ব্যাপারটা সত্যিসত্যি ঘটছে কি না বিশ্বাস হচ্ছিল না। ভাবলাম একবার বলি, ঘিলুর জায়গায় গোবর না থাকলে আজকাল বুঝি পি ভি আরে চাকরি দিচ্ছে না? কিন্তু নিজেকে সংবরণ করলাম। আবার সাতকাণ্ড রামায়ণ খুলে বসতে হল, বুকিং আই ডি দেখাতে হল, তারপর একটা আধাখ্যাঁচড়া সরি-র পর আমি অবশেষে হলে ঢোকার অনুমতি মিলল। কিন্তু ততক্ষণে আশেপাশের সবাই আমাকে চিনে ফেলেছেন। চেনাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে চেঁচানোর কারণ কেউ মনে রাখে না, যে চেঁচায় তাকে সবাই দেখে রাখে। হলের সামনে সকলেই আমার থেকে একটু তফাতে দাঁড়িয়ে রইলেন, কেউ কেউ আবার আঙুল দেখিয়ে ফিসফিসিয়ে কী সব বললেনও। আমি ভুরু কুঁচকে, যথাসম্ভব রাগী মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। এমন একটা ভাব করে, যেন কে কী বলল তাতে আমার কিস্যু এসে যায় না।

দুঃখের কথা হচ্ছে এর পরেও আমি পি ভি আরে সিনেমা দেখতে যাব। আরও দুঃখের কথা হচ্ছে যে অনলাইনে টিকিট কেটেই যাব। নিজের ওপর এত ঘেন্না হয়। মাকে সেটা বলতে মা খুব হোহো করে হাসলেন। বললেন, “ও মা, যাবি না তো কী? এইজন্য কেউ সিনেমা দেখা বন্ধ করে? আবার যাবি, আবার ওরা ভুল করবে, আবার তুই চেঁচাবি, আবার ওরা সরি বলবে না। তুই আবার যাবি। চোরের ওপর রাগ করে কেউ মাটিতে ভাত খায়, বোকা?”

Comments

  1. 3 number ta khub e mojar...চালিয়াৎ kotha ta prothom sunlam...

    ReplyDelete
    Replies
    1. এখন মজা লাগছে, তখন আমার একেবারেই মজা লাগছিল না সৌমেশ।

      Delete
    2. Aha..ek-adhkhan erom hat pa chure jhogra na korle erom mojar lekha berobe kikore...so ebar theke jokhun e jhogra jurben..bhabben Abantorer roshod toiri hochhe..

      Delete
    3. বাঃ এটা ভালো বলেছেন। মনে রাখব।

      Delete
  2. "আমাদের দেশে চেঁচানোর কারণ কেউ মনে রাখে না, যে চেঁচায় তাকে সবাই দেখে রাখে।"
    হাই ফাইভ দিলাম ।
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. আর কী বলব মিঠু।

      Delete
    2. Mithu/Kuntala - shoto-koti high five, amar thekeo.

      Delete
    3. এই তো, আমাদের দলের লোক।

      Delete
  3. আহা কি লেখো তুমি! নবনীতা দেবসেনের পর বাংলা সাহিত্যে এত্ত মজার লেখা কেউ লিখল! আহা! আমি তোমাকে ফলো করছি... :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. সর্বনাশ করেছে মনস্বিতা। কীসে আর কীসে। তবে তোমার অবান্তর ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  4. আরে এত ভালো লেগেছে যে একদিন বসে বসে অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে চুরি করে পড়তে গিয়ে ডাহা বকুনিও খেয়েছি... তবুও পড়ছি পড়ব :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই না না, সাবধানে থেক মনস্বিতা। বাড়ি গিয়েই পোড়ো না হয়।

      Delete
  5. hahaha! Barddhaman line e ekta station ache Belmuri. Daily passenger ra keu station er naam uchcharon kore na. naam korlei naki train dariye jay.

    Biye te sobcheye raag dhore amar photographer der pyach poijaar dekhle. Bichhiri bichhiri sob pose dite boley. Amar ek bondhu ke bolechilo, 'didi ek haate ghomta dhore dada'r katha bhabun'.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হোয়াট? মানে সিরিয়াসলি এই ডায়লগটা দিয়েছে? প্রতিভা।

      বেলমুড়ির নাম আমিও জানি টিনা। টিকিট কাটার সময় সবাই নাকি বলে, "ওই গ্রামের টিকিট দিন।" ভাবো।

      Delete
  6. Bujhlam na... Cinemata dekhano hochchhilo? Tahole hochchhena bollo keno?

    ReplyDelete
    Replies
    1. জানি না, হয়তো ওদের অনেক লাভ হয়ে গিয়েছিল, আর ফালতু লোকের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিল না।

      Delete
  7. PVR ta ki ? Onyo jaigay cinema dekha jaay na, mane regular hall e ? Ajkal ticket black kore na keu ? Ki kando

    ReplyDelete
    Replies
    1. PVR ekta multiplex chain. Amar dharona Delhi te Bangla cinema multiplex chhaRa emni hall e dekha jabena.

      Delete
    2. ek samay (setake once upon a time bolte hobe) choto hall gulo te sakal 11 tay purono bangla boi (uttam-suchitra types) dekhato. koyekbar school kete dekhte giyechilam :)

      Delete
    3. অ্যাঁ! ইশকুল কেটে! তুমি তো বিচ্ছু বাচ্চা ছিলে দেখতে পাচ্ছি শম্পা।

      বং মম, টিকিট ব্ল্যাকের সোনালি দিন অস্ত গেছে, এখন হোয়াইট টিকিটই কিনতে গেলে পকেট ছ্যাঁদা হওয়ার জোগাড়।

      Delete
  8. hya sotti bangla cinemar show nie bombayteo ja icche tai kore..tar upor ekhankar bangali darshak,seo ak ajob bastu !!
    amar boubhateo bagane patar fanke fanke tuni bulb jholano chilo.kintu prabal kalboisakhi hawai sei sobha keu bishesh najar korte pareni

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, কালবৈশাখীতে টুনি উড়ে গিয়েছিল নাকি? বাংলা সিনেমার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণের কথা আর বলিস না।

      Delete
  9. 'বিয়ের কোল্যাটারাল ড্যামেজ' eta darun kintu onekdin mone rakhbo. ar sujogmoton use o kore nebo :-).

    tobe best holo..'আমাদের দেশে চেঁচানোর কারণ কেউ মনে রাখে না, যে চেঁচায় তাকে সবাই দেখে রাখে।' ... ekebare ekmot.

    ReplyDelete
    Replies
    1. কী আর করা ইছাডানা, যস্মিন দেশে যদাচারেৎ।

      Delete
  10. ৩ নম্বরটা আবার not loving এর লিস্টে কেন? সিনেমা দেখার জন্য আপনি একটা দস্তুরমতো লড়াই করলেন, তাতে অনেক কষ্টের শেষে বিজয়ী হলেন- মধ্যপথ অবলম্বন না করে সিনেমাটা দেখেও ফেললেন- এতো বিশাল গর্বের ব্যাপার! ঘটনাটা বাদ দিন, এটা যে আপনাকে একজন জঙ্গি সিনেমাপ্রেমী বানিয়ে দিল, সেটাকে ভাল না লাগিয়ে কি করে থাকলেন!
    ১ নম্বরটা নিয়ে আমার বেশ ভাল রকম অভিজ্ঞতা আছে... আপনি ঠাণ্ডা মাথার দূরদর্শী মানুষ, কিন্তু বাজি ধরে বলতে পারি- বহু তৃতীয় পক্ষের অবস্থানে আপনার অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও আপনি ধারণাও করতে পারছেন না, ঠিক কি হতে চলেছে সে দিন... ‘প্রথাগত’ বিয়ে আমার না হলেও, দু’ দু’খানা রিসেপশন হয়েছিল- দুই বাড়ির পক্ষ থেকে। সে যে কি বিভীষিকা, এখানে লেখা সম্ভব না। দু’টো পরামর্শ দিতে পারি, প্রথমটা হল- যদি বিয়ের ভিডিও করার কথা থাকে কারুর, তবে সে যদি আপনার বন্ধুস্থানীয় উৎসাহী অ্যামেচার না হয়, তবে তাকে পরিষ্কার বলে রাখবেন, যেন আপনাকে raw ভিডিও ফাইলগুলো দিয়ে দেয়- এডিট করে ‘প্রোডাক্ট’ বানানোর চেষ্টা না করে। সে জিনিস দেখলে কমবয়সে অপঘাতে মরার সম্ভাবনা।
    আর দুই, দু’দিন-অন্তত একদিন আগে থেকে দুই গালে সেলোটেপ লাগিয়ে টেনে রাখবেন- যাতে অটোমেটিক মুখটা হাসি হাসি হয়ে থাকে- নইলে ‘বৌভাতের’ পরের বেশ কিছুদিন কিছু চিবিয়ে খেতে পারবেন না আগে থেকে বলে রাখলাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. বিয়ের হাসি নিয়ে সতর্কবার্তা আগেও পেয়েছি সুনন্দ। মাথায় রাখতে হবে দেখছি।

      Delete
    2. Ami Sunando-babur songe ekmot noi. Aami chai apni RAW file gulor sange oder edit kora videotao nin, niye sobta bose dekhun. Tar porer blog post gulo poRbar opekkhay roilam.

      Delete
    3. ও ভিডিও দেখার পর ব্লগ লেখার শক্তি থাকবে কি না সেটাও ভেবে দেখতে হবে অবশ্য।

      Delete
    4. আমার এক বন্ধুর বিয়ের অমনই ভিডিও দেখেছিলাম ... সূর্যমুখীর ক্ষেতে অল্প হাওয়ায় ফুলগুলো দুলছে ... পেছনে গান বাজছে "আর কত রাত একা থাকব ?" ... আর হঠাতই একটা সূর্যমুখীর কেন্দ্র থেকে স্পাইরালে পাক খেতে খেতে বেরিয়ে এল বর-বৌয়ের হাসিমুখের ভিডিও ...

      Delete
    5. সর্বনাশ করেছে, এ তো রীতিমত অ্যাডাল্ট ভিডিও, ফ্যামিলির সঙ্গে বসে দেখা মুশকিল।

      Delete
  11. তাহলে তো অমন ভিডিও দেখার পর অ্যাডাল্ট উপন্যাস লিখে ফেলাও অসম্ভব নয় :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এইটা কিন্তু ভালো পিয়াস। বিয়ের ভিডিও দেখে বটতলার উপন্যাসের আইডিয়া পাওয়া।

      Delete
    2. আমি তো সঙ্গীতা কি E. L. James ভাবছিলাম ... ছাদনাতলা থেকে বটতলা - এতটা ভাবতে পারিনি ... :-p

      Delete
    3. ও জিনিস ইন্সপিরেশন হলে বটতলা ছাড়া আর কিছু বেরোবে না বিশ্বাস কর।

      Delete
  12. ha ha ha... biyer video, shoshurbarir diker ta [biswas koro unbiased hoyei bolchhi] bhodrosomaje dekhanor upojogi koreni ora. ja ja animation jana chhilo sob proyog kore diyechhe. that includes megher opor diye amader ure chole jawa [jomaloye jibonto manush style e], jhornar joler songe jhore pora, paharer mathay sorjo hoye jholmol kora...emonki amader biyete kono alor gate hoyni bole chandannagar er jagadhhatri pujor alor ekta gate o tukli kore boshiye diyechhe. mane ota ekta comedy show e porinoto hoyechhilo.. echhara nana boka pose - 7 ta ami po-po kore ghurchhe, 5 ta bor-babaji flash in-out korchhe esob har jalane byapar to achhei... eto kichhur poreo video wala amar shashuri ke bole gechhe 'boudi apnar bouma kintu kono kotha sunte chay na, video kharap hole amader dosh deben na.'... oi orna dhore bhabuk mukhe "dadar kotha bhabte"raji hoini bole ei nalish...

    tumi oder specifically kono spl. effects dite baron koro jodi sotti e otake bhalo ekta smritir documentary kore rakhte chao. amar ta khub seriously spoil kore diyechhe. baperbarir ta chena lok bole bechechhi...

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইস্‌ তোমাকে ঝর্ণার জলের সঙ্গে ঝরে পড়তে দেখতে পেলাম না বলে আফসোস হচ্ছে সোহিনী।

      বাপেরবাড়িতে আমি অলরেডি ধমক দিয়ে রেখেছি, যেন ভিডিও না বানানো হয়। শ্বশুরবাড়িতে তো সেটা করা যায় না, তাই জানি না কী হবে।

      Delete
  13. আমার বিয়েতে ভিডিও হয় নি। অতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে শুষ্কং কাষ্ঠং গোছের হয়ে গেছিল । তুমি এতটা কর না যেন । শুষ্কং কাষ্ঠং না হয়ে সেটা অন্তত নীরস তরুবর হয়ে উঠুক ।
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. মিঠু, এই মুহূর্তে তো "দাদার কথা ভাবুন" কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ডে "আর কত রাত একা থাকব"-র থেকে বিপজ্জনক আর কিছু মনে হচ্ছে না। এগুলো না হলে পরে আফসোস হতে পারে বলছ? মহা ঝামেলা। কী যে করি।

      Delete
  14. গানগুলো বেছে দাও । বা শুধু বাজনা রাখতে পারো । সানাই,সেতার,বাঁশি ,পিয়ানো,সন্তুর

    মিঠু

    ReplyDelete
  15. tomar golpo pore mon bhalo hoye jai.

    ReplyDelete

Post a Comment