লানের তীরে লিমবুর্গ
গতকাল গিয়েছিলাম
লিমবুর্গ নামের এক বুড়ো থুত্থুড়ে শহরে। অফিসের সামনে জড়ো হয়ে রওনা দিতে দিতে এগারোটার
জায়গায় এগারোটা ছয় হয়ে গেল। অ্যালফন্সের কুড়ি বছরের চেনা বাস কোম্পানি এহ্ওয়াল্ড,
কোম্পানির প্রকাণ্ড লাল রঙের বাস চালিয়ে এসেছিলেন হের এহওয়াল্ড নিজেই। ধপধপে সাদা
ইস্তিরি করা শার্ট, কালো ট্রাউজার ঢাকা লম্বা চওড়া শরীর, মুখে অসময়ের বলিরেখা, আর্য
নাকের নিচে চাড়া দেওয়া মোটা সোনালি গোঁফ, গোঁফের ফাঁকে সদাশয় হাসি। ভদ্রলোককে
দেখেই আমার সেন্ট মেরি মিডের ইঞ্চের কথা মনে পড়ে গেল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যিনি সেন্ট মেরি মিডের কুচুটে বুড়িদের এদিকসেদিক পৌঁছে দিচ্ছেন।
বন থেকে বেরিয়ে বাস ফ্রাংকফুর্টের পথ ধরল। আমাদের ফ্রাংকফুর্ট পর্যন্ত যেতে হবে না অবশ্য, লিমবুর্গ এসে যাবে তার আগেই। জানালায় নাক ঠেকিয়ে পথের শোভা দেখতে দেখতে চললাম। আকাশ জঙ্গল খোলা সবুজ মাঠ মিলিয়ে সে শোভার কথা লিখে বোঝানো শক্ত। দিগন্তে সিবেনগেবার্গের (সেভেন মাউন্টেনস্) ছায়াছায়া রেখা আমাদের সঙ্গ দিচ্ছিল। ঘন জঙ্গলের মধ্যে পথ ঢুকছিল যখন, কাঁচের ভেতরে বসেও অরণ্যের পুরোনো গন্ধ নাকে আসছিল যেন। বহুদিন রোদের ছোঁয়া না পাওয়া মাটি, বাসি ঝরা পাতা, বুনো ফুলের সুবাস মেলানো সোঁদা সোঁদা একরকম গন্ধ। এ সব গাছের বয়সের গাছপাথর নেই। কবে থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে পথ পাহারা দিচ্ছে ভগবানই জানেন।
বন থেকে বেরিয়ে বাস ফ্রাংকফুর্টের পথ ধরল। আমাদের ফ্রাংকফুর্ট পর্যন্ত যেতে হবে না অবশ্য, লিমবুর্গ এসে যাবে তার আগেই। জানালায় নাক ঠেকিয়ে পথের শোভা দেখতে দেখতে চললাম। আকাশ জঙ্গল খোলা সবুজ মাঠ মিলিয়ে সে শোভার কথা লিখে বোঝানো শক্ত। দিগন্তে সিবেনগেবার্গের (সেভেন মাউন্টেনস্) ছায়াছায়া রেখা আমাদের সঙ্গ দিচ্ছিল। ঘন জঙ্গলের মধ্যে পথ ঢুকছিল যখন, কাঁচের ভেতরে বসেও অরণ্যের পুরোনো গন্ধ নাকে আসছিল যেন। বহুদিন রোদের ছোঁয়া না পাওয়া মাটি, বাসি ঝরা পাতা, বুনো ফুলের সুবাস মেলানো সোঁদা সোঁদা একরকম গন্ধ। এ সব গাছের বয়সের গাছপাথর নেই। কবে থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে পথ পাহারা দিচ্ছে ভগবানই জানেন।
প্রাচীনত্বের কথা
উঠলে অবশ্য লিমবুর্গও এমন কিছু পিছিয়ে থাকবে না। লিমবুর্গের প্রথম দুর্গ বানানো
শুরু হয়েছিল যখন তখন আমাদের ক্যালেন্ডারে সাল দেখাচ্ছে মোটে আটশো। লিমবুর্গের
প্রধান উপযোগিতা ছিল ব্যবসাবাণিজ্যে। লান্ নদীর ওপর কাঠের সেতু পাতা হয় এগারোশো
পঞ্চাশে। কোলোন থেকে ফ্রাংকফুর্টের মধ্যে বাণিজ্যের মূল রাস্তা ছিল এই সেতু। তারপর
এক প্রবল বান এসে সেতুটেতু সব উড়িয়ে নিয়ে গেলে তেরোশো সাল নাগাদ একটা জবরদস্ত
পাথরের ব্রিজ বানিয়ে নদীকে জব্দ করা হল। ব্রিজ যারপরনাই শক্তপোক্ত হয়েছিল সন্দেহ
নেই কারণ এখনও সেটা বহাল তবিয়তে বর্তমান।
ব্রিজের ওপর থেকে সেন্ট জর্জেস ক্যাথিড্রালের চূড়া
কিন্তু
মধ্যযুগের ব্রিজ নয়, আধুনিক লোকদের কাছে লিমবুর্গের মুখ্য আকর্ষণ হল মান্ধাতার
আমলের হাফ-টিম্বার্ড্ বাড়ি। মোটা টেঁকসই গাছের গুঁড়ি কেটে পেরেক মেরে ফ্রেম
বানানো হত, তারপর সেই ফ্রেমের ভেতর পুরো বাড়িটা গুঁজে দেওয়া হত। লিমবুর্গ হচ্ছে এই
ধরণের ঐতিহাসিক হাফ-টিম্বারড বাড়ির স্বর্গরাজ্য। তেরোশো সাঁইত্রিশ সালে বানানো
বাড়ি, রোমার ২-৪-৬, এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে লিমবুর্গে। এটাই জার্মানির
সবথেকে পুরোনো হাফ-টিম্বারড বাড়ির নমুনা।
দু’হাত চওড়া গলির
ভেতর কোনওমতে পিঠ ঝুঁকিয়ে কোমর বেঁকিয়ে বাড়ির ছবি তুলে ভাবছি আপনাদের এই রকম
তেঠ্যাঙা বাড়ির ছবি দেখিয়েই ক্ষান্ত দিতে হবে, এমন সময় শুনি টাকরায় জিভ দিয়ে কে
যেন টকাটক আওয়াজ করছে। ক্যামেরা চোখ থেকে নামিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে এদিকওদিক তাকাতে গিয়ে
দেখি একটা বাড়ির দোতলার জানালা থেকে এক দাদু গলা বাড়িয়ে হাসিমুখে আমার দিকে তাকিয়ে
আছেন। আমি ভয়ে ভয়ে সবে ভাবছি এইবার মানে মানে সরে পড়ব নাকি এমন সময় দাদু হাত নেড়ে
আমাকে কী সব ইশারা করতে লাগলেন। মনে হল পিছিয়ে আসতে বলছেন। আমি খানিকটা পিছোলাম। দাদুর
পছন্দ হল না বোধহয়, আরও হাত নাড়তে লাগলেন। আমি আরও পিছোলাম, দাদু আরও হাত নাড়লেন,
আমি আরও পিছোলাম। তারপর দাদুর আঙুল লক্ষ্য করে তাকিয়ে দেখি, ভয়লা! গোটা বাড়ির ভিউ
স্পষ্ট চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে।
বাড়ির লাগোয়া সমবয়সী কুয়ো
খচাখচ ছবি তুলে, নুয়ে
পড়ে “ডাংকে শোন” বলে দাদুকে টা টা করে চলে এলাম। তারপর থেকে দাদুর বাতলানো কায়দায়
ডাইনেবাঁয়ে ছবি তুলতে লাগলাম। আমার তো লাভই হল, কিন্তু আমার ধারণা আপনাদের বেজায়
বিপদ হল। দেখুন এখন লিমবুর্গের লক্ষলক্ষ হাফ-টিম্বারড বাড়ির ছবি বসে বসে।
বুড়ো শহরের মজা
হল, কোণে ঘুপচিতে গল্প জমে থাকে। যে বাড়িটার দিকেই আঙুল তুলে দেখাও না কেন, গাইড
বলেন, ওঃ দেখেছ ভুলেই গেছি বলতে, এটাই ছিল অমুক রাজার বাড়ি। মোড় ঘুরে যে
রাস্তাটাতেই পা দাও না কেন, সেখানেই পাঁচশো বছর আগে একটা কিছু বলার মতো ঘটেছিল।
যেমন ধরুন এই
দুটো বাড়ি। শুনলাম সে আমলে বাড়ির ট্যাক্স ধার্য হত কেবলমাত্র জমির মাপ অনুযায়ী। ট্যাক্স
ফাঁকি দেওয়ার জন্য তাই সবাই একতলাটা কিপটের মতো বানিয়ে দোতলা তিনতলা খেলিয়ে বানাত।
ফলে এই ব্যাপারের সৃষ্টি। লিমবুর্গের বেশ অনেক গলিতেই এই রকম বাড়ির নমুনা আছে।
গাইড বললেন এই সব গলিগুলোকে বলা হত “কিস্ অ্যালি”, অর্থাৎ কি না এমন গলিতে বাড়ি
হলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জানালা দিয়ে গাল বাড়িয়ে প্রতিবেশীর গালে গুড নাইট কিস্ দেওয়াও কিচ্ছু
অসম্ভব ব্যাপার নয়।
দুঃখের বিষয়
মানুষের ইতিহাসে আদর আর চুমুর থেকে রোগশোকতাপের ভাগটাই বেশি। লিমবুর্গও ব্যতিক্রম
নয়। চতুর্দশ শতাব্দীর ব্ল্যাক ডেথের কবলে পড়ে একদা বর্ধিষ্ণু লিমবুর্গ শ্মশানের
চেহারা নিয়েছিল। শহরের অর্ধেকের বেশি লোক মরে গেল। গুজব ছড়াল এ সবের পেছনে দায়ী ইহুদিরা।
বছর পাঁচেকের জন্য লিমবুর্গ ইহুদিদের জন্য আউট অফ বাউন্ডস্ ঘোষণা করা হয়েছিল। সে
কালো সময়ের কথা এখনও মনে করায় এই দুটি ভাঙা গুঁড়ি আর এই তাম্রফলক। অসংখ্য মৃত্যু, অপরিমেয় যাতনার পরও পৃথিবীকে আবার বাঁচার জন্য, আনন্দের জন্য তৈরি হতেই হবে। কারণ সেটাই নিয়ম। আর এ নিয়মের ব্যত্যয় নেই।
আমাদের হাঁটা
চলতে থাকল। পাথর বাঁধানো রাস্তা, রাস্তার পাশে ঝকঝকে রোদে গোলাপের গোছা ফুটে আছে।
সরু গলির দু’পাশে দোকানিরা তাঁদের পশরা সাজিয়ে বসেছেন। ছাতা মেলা রিস্টোরান্ট আর
পিৎজারিয়ার সামনে ছুটির দিনের ভিড়। বেহালাবাদকের ছড়ে বিষাদের বদলে আনন্দের টান।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা ওপরের বাড়িটার সামনে এসে পৌঁছলাম। অনেক বছর আগে এটা নাকি ছিল একটা কোতোয়ালি। আঠেরোশো দুই সালে এক ব্যাটা চোরকে গ্রেপ্তার করে এই কোতোয়ালিতে আনা হয়। যথানিয়মে একবছর বাদে, আঠেরোশো তিনে, তার মৃত্যুদণ্ডের দিনও ধার্য হয়। কিন্তু মানুষ ততদিনে সভ্য হচ্ছে। পাথর ছুঁড়ে কিংবা জ্যান্ত পুড়িয়ে অপরাধীকে খুনের কথা শুনলে তখন সে শিউরে উঠে কান চাপা দেয়। খবর এল, বছর বারো আগে বিপ্লবের সময় প্রতিবেশী ফ্রান্সে নাকি কী এক আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে যাতে মৃত্যুদণ্ড যথাসম্ভব মানবিক হওয়া সম্ভব। দ্রুত, বেদনাহীন। শহরে সেই শুরু গিলোটিনের ব্যবহার। গাইড হাতে ধরা ফাইলের পাতা খসখস করে উল্টে গিলোটিনের ল্যামিনেটেড ছবি বার করে দেখালেন আমাদের। চকচকে ব্লেডটা দেখে দলের মধ্যে আপনা থেকে ভয়ের গুঞ্জন উঠল। আজ থেকে দুশো বছর পর ফাঁসির দড়ির ছবি দেখেও এমন গুঞ্জন উঠবে কি? কে জানে।
মাছের বাজার
বাড়ির গায়ে লাগানো ঝাঁপ। এককালে মেলে বসে বিক্রিবাটা চলত।
একশো বছরের পুরোনো পোস্টবক্স। এর ঝাঁপ এখনও খোলা। আজ সকাল আটটাতেই পোস্টম্যান এসে চিঠি নিয়ে গেছেন।
এ যাবৎ যা দেখছি,
ক্যাথিড্রাল না দেখলে কোনও শহর ঘোরাই সম্পূর্ণ হয় না। লিমবুর্গের ক্যাথিড্রালের
ইতিহাসও জমজমাট। লিমবুর্গার রক নামে একটি বড়সড় পাথরের ওপর নশো দশ সালে প্রথম
চার্চের পত্তন। পুরোনো চার্চের কাঠামোর ওপর নতুন ক্যাথিড্রাল বানানো শুরু হয়
বারোশো সাল নাগাদ। এই ক্যাথিড্রাল রোমানেস্ক কায়দার স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন।
কিন্তু বারোশো পঁয়ত্রিশ সালে যখন ক্যাথিড্রাল বানানো শেষ হল ততদিনে রোমানেস্ক
কায়দা ব্যাকডেটেড হতে বসেছে। এসে গেছে হাল ফ্যাশনের গথিক স্টাইল। প্রতিবেশী কোলোন
লিমবুর্গকে টেক্কা দেওয়ার জন্য গথিক স্টাইলে তাদের ক্যাথিড্রাল বানানো শুরু করল।
অনেকটা সুভাষনগর আর মৈত্রীপরিষদের পুজো প্যান্ডেলের লড়াইয়ের মতো ব্যাপার আর কি।
ক্যাথিড্রালের
ভেতর বিয়ে চলছিল তাই ভেতরে ঢোকা গেল না। আশপাশটা দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। আসুন আপনাদেরও দেখাই।
ক্যাথিড্রালের প্রধান পুরোহিতের বাড়ি
এই জানালাটার বয়স কত বলুন দেখি? পাক্কা এক হাজার দু'বছর। এই যে ওলটানো অর্ধবৃত্ত প্যাটার্ন দেখছেন, এটাই হচ্ছে রোমানেস্ক স্টাইলের সিগনেচার।
এতক্ষণে আমাদের
সবার পেটেই ছুঁচো দৌড়োদৌড়ি করতে লেগেছিল। কী ভাগ্যিস অ্যালফন্স্ বলল যে ঘোরার
এখানেই সমাপ্তি। এবার লাঞ্চ খেয়ে বাসে উঠলেই ব্যস্। ক্যাথিড্রালের পেছনের একটা
ছোট ছায়াঢাকা রাস্তা দিয়ে মিনিট সাতেক হেঁটে গেলেই লান্ নদী। নদীর তীরে ফুলে ঢাকা বাগানের মাঝে আমাদের খাওয়ার জায়গা।
ব্যস্ হয়ে গেল ঘোরা। ফেরার সময় বাসের ভেতর মাল্টিলিংগুয়্যাল গানের লড়াই খেলতে খেলতে বনে ফিরে আসা হল। কিন্তু ফিরে এসে থেকে টের পাচ্ছি লিমবুর্গের অলিগলিতে খানিকটা মন ভুলে ফেলে রেখে এসেছি। আবার যদি কখনও সুযোগ হয় প্রিয়জনদের নিয়ে এ তল্লাটে আসার, সে মন ফেরৎ নিতে লিমবুর্গ
আমার টু-গো লিস্টের একদম প্রথমে থাকবে, গ্যারান্টি।
ashabhab sundar chobigulo ..half timbered bari bhari sundar ,ar barir gaye nakshagulo o darun,khawa dawa to bhaloi hoyeche mone hocche:-p
ReplyDeleteহাহা ঠিকই ধরেছিস। দুঃখের বিষয় অমন অমৃতের মতো স্যালাডটা পুরোটা খেয়ে শেষ করতে পারলাম না।
Deleteযেমন সুন্দর ছবি, তেমনি ছবির মতন বর্ণনা। সব যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম। আপনার সঙ্গে বেশ বিনা পয়সায় জার্মানি ঘোরা হয়ে যাচ্ছে আমাদের, চালিয়ে যান।
ReplyDeleteওই রকম বাড়ি এখানেও দেখেছি কিছু, ওটাকে হাফ-টিম্বারড বলে সেটা জানতামনা। ধন্যবাদ।
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সুগত।
Deletebha..koto chobi..porlam dekhlam..r salad ta dekhte kintu khasha..
ReplyDeleteDarun chhobi ar darun ghurlam. Khaoa daoao darun :-)
ReplyDeleteভীষণ ফ্রেশ লাগছে লেখাটা পড়ে ।
ReplyDeleteমিঠু
সৌমেশ, ইচ্ছাডানা, মিঠু---সবাইকে অনেক অনেক থ্যাংক ইউ।
ReplyDeleteKuntala ... onek din pore blogging e firlam. Last kodin dhore tomar blog ektaana porchi ... mon bhore porchi. :-)
ReplyDeleteEkhon tomar shonge tomar trip e o ghurchi ... khub shundor chobiguli ar lekha o. Oto bhalo noye amar bangla tai English er shoronaponno hocchi ... Congratulations and wishing you both a very happy married life. :-)
Ekta kotha abar o mone hocche ... tomar moton jodi likhte partam ... :-)
Bhalo theko.
আরে তুমি আমার থেকে ভালো লেখ শর্মিলা। তোমার রেসিপি পড়লেই মনে হয় রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে রান্না শুরু করে দিই। সেটা কি সোজা কথা? তোমার শুভেচ্ছার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তুমিও খুব ভালো থেক।
Deleteashadharan....jemon chobi sherakam lekha...
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ দেবশ্রী।
Deleteaha re! dada esober kichhui dekhte pachche na :(
ReplyDeleteহাহা, সেই, মনস্বিতা।
Deleteজার্মানি দেশটা ইতিহাসের চাদরে মোড়া। তাই অলিতে গলিতে গল্পের সন্ধান তো পাবেই। তোমার লেখা আমার না দেখার খেদ মিটিয়ে দিল। শুধু ব্লগ নয়,সফরশেষে একটা বই লেখো না এই নিয়ে?
ReplyDeleteক্যাথিড্রালের এই ধরণের চূড়া আমার খুব ভাল লাগে। বন-জঙ্গল-পাহাড়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।এই সঙ্গেই বলে ফেলি পোস্টবক্সের কথাটা। It's so--o cute and unique.খুব দুঃখের সঙ্গেই মনে আসে আমাদের দেশের কথা। এইভাবে সংরক্ষণের কথা আমাদের মাথায় আসে না কেন? আমাদের কি কিছু কম ছিল?
মজাও লাগল আর হাসিও পেল মাছের বাজার দেখে। মাছটা না ঝোলালে কি ওই বাড়িটার এফিকেসি বোঝা যেত না? তুমি হয়তো একমত হবে না, আমার কিন্তু হঠাৎ মনে হল সেই সব গায়কদেরকথা, যারা চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙ্গেছে গাইতে গেলে হাসি বোঝাতে মুখ ব্যাদিত করে, সুরে নয় হাত ঘুরিয়ে আলোকে উছলাতে চান।
তুমি একটা কাজ প্রায়ই কর, সেটা হল দারুণ সব খাবারের ছবি দেওয়া। এতে কি হয়? খালি না পাবার দুঃখ ছাড়া? এত রঙিন সব খাদ্য দেখে নিজে যখন রোজের রান্না করতে যাই, বিরক্ত লাগে সেই ভাত ডাল মাছ তরকারির ভাবতে। আমি আবার শুধু খেতেই ভালবাসি, রাঁধতে নয়।
ও, বাড়িগুলোর কথা তো মিস করেই যাচ্ছিলাম। তৈরীর প্রযুক্তি বা অলংকরণ - সবেতেই বাড়িগুলি অসাধারণ প্রশংসার্হ।
শেষ করি সেই লোভনীয় ক্রকারি সেটটার বলে। এই রকম একটা জিনিষ কিন্তু তোমার নতুন পাতা সংসারে অবশ্যই সংযুক্ত হওয়া উচিত। একটা যদি থাকে, তবে আরেকটা কিন্তু বাহুল্য নয়।
মেজাজ খারাপ করে ঘুম থেকে উঠে আপনার মন্তব্যটা পড়ে মন ভালো হয়ে গেল মালবিকা। থ্যাংক ইউ। আপনার সঙ্গে আমি একমত। গানের পরীক্ষা দেওয়ার সময় গায়কের গুণ-অবগুণের লিস্টে পড়েছিলাম মুখব্যাদান করে গাওয়াটা একটা মস্ত অবগুণ। আমিও রান্নার থেকে খেতে একশোগুণ বেশি ভালোবাসি। ক্রকারি সেটটা কিনে ফেলব বলছেন? এটা কেনা আমার সাধ্যে কুলোবে না, তবে এর টুকলি একটা কেনা যেতে পারে দেশে ফিরে গিয়ে। দেখি।
Delete