রাইন
জার্মানির অন্যান্য শহরের কথা জানি না, বন্-এ ছ’মাস থাকতে
হলে শুরুতেই নামধাম নথিভুক্ত করানোর একটা ব্যাপার থাকে। অ্যালফন্সের পিছু পিছু
প্যারেড করে আমরাও স্টাডহাউসে গিয়েছিলাম রেজিস্ট্রেশন করাতে। কুপন হাতে অপেক্ষা
করতে করতে অবশেষে মাথার ওপরের বোর্ডে আমার নম্বর ফুটে উঠল। নির্ধারিত টেবিলের
দিদিমণি আমার নাম আমার বরের নাম, আমার বয়স আমার বরের বয়স, আমার পাসপোর্টের ডিটেলস
আমার বরের পাসপোর্টের ডিটেল্স্ ইত্যাদি টুকে নিয়ে একগাল হেসে আমার দিকে
রেজিস্ট্রেশনের রসিদ আর একগোছা কাডবোর্ডের টিকিট এগিয়ে দিলেন।
টিকিটগুলো আর কিছুই না, ভাউচার। শহরের বিভিন্ন থিয়েটার,
মিউজিয়াম, বোট্যানিকাল গার্ডেন, বিখ্যাত লোকেদের বাড়ি, গানের অনুষ্ঠান, নাচের
ফাংশান ইত্যাদি ফ্রি-তে দেখে বেড়ানোর নেমন্তন্নপত্র। আদ্যোপান্ত ডয়েশে লেখা। পরের
শনিবার সকালে গুগল ট্রান্সলেটর খুলে ঝাড়া দু’ঘণ্টা খরচ করে প্রতিটি ভাউচারের মর্মার্থ
উদ্ধার করলাম। যেগুলো কাজে লাগবে---এই যেমন অপেরাহাউস, বিঠোভেনের বাড়ি,
বোটানিক্যাল গার্ডেন, লাখখানেক মিউজিয়াম ইত্যাদির ভাউচার আলাদা করে রাখলাম। যেগুলো
লাগবে না---যেমন জিমন্যাশিয়াম কিংবা সাপ্তাহিক কবিতাক্লাবের মেম্বারশিপ---সেগুলোও
প্রাণে ধরে ফেলতে পারলাম না। যতই হোক, ভালোবেসে দিয়েছে।
আর একটা ভাউচার, যত্ন করে ব্যাগে পুরে নিলাম। অবিলম্বে
ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টারে গিয়ে খোঁজখবর করব বলে। রাইনবক্ষে বোটভ্রমণের ভাউচার।
শম্পা বলার পর থেকেই বুকের ভেতর রাইনভ্যালিতে বোটভ্রমণের
ইচ্ছে চাঁদের কলার মতো বাড়ছিল। রাইন ইউরোপের নামকরা লম্বা নদী। সুইজারল্যান্ড থেকে
শুরু হয়ে অস্ট্রিয়া, লিখেনস্টাইন, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস্ ইত্যাদি দেশ
ও দেশের সীমানা ছুঁয়ে নর্থ সি পর্যন্ত তার বিস্তার। রাইনভ্যালি অথবা মিড্ল্ রাইন
হল এই দীর্ঘ যাত্রাপথের একটা অংশ। যেমনতেমন অংশ নয়, সবথেকে সুন্দর অংশ। এতটাই
সুন্দর যে জার্মানির কোব্লেনজ্ আর মাইন্জ্ নামের দুই শহরের মাঝের রাইনভ্যালি
ইউনেস্কোর বিশ্ব হেরিটেজ সাইট। অনেকে একে রোম্যান্টিক রাইন বলেও ডাকে।
যাচ্ছিযাব করে গড়িমসি করছিলাম, একের পর এক উইকএন্ড নাকের
সামনে দিয়ে হুশহুশ করে আসছিলযাচ্ছিল, এমন সময় ইনবক্সে অ্যালফন্সের মেল এসে জানাল
যে আগামী আঠাশে জুলাই রাইনভ্যালি বোটট্রিপের দিন ধার্য হয়েছে। যারা যেতে ইচ্ছুক
তারা যেন কাঁটায় কাঁটায় সকাল ন’টা পঁয়তাল্লিশে ইউনিভার্সিটির পেছনের মাঠে জড়ো হয়। যারা
অনিচ্ছুক তারাও যেন আসে, কারণ এমন সুযোগ পায়ে ঠেলার থেকে গাধামো আর কিছু হয় না।
অ্যালফন্সের অনেক গুণের পরিচয় পেয়েছি এই ক’দিনে, কিন্তু সে যে অন্তর্যামী, এইটা জানা ছিল না।
নীলসাদা ইউনিফর্ম পরা গার্ডবাবুর হাতে টিকিট ধরিয়ে আমরা
ছোট্ট একটা জেটি পেরিয়ে ধবধবে সাদা রঙের দোতলা লঞ্চে গিয়ে উঠলাম। লঞ্চের একতলা
দোতলা জুড়ে সুসজ্জিত বসার জায়গা, রেস্টোর্যান্ট, বাথরুম ইত্যাদি। সারা গায়ে
কাঁচের দেওয়াল, যাতে বসে ব্রাটউর্স্ট আর সাওয়ারক্রাউট খেতে খেতে নদীর ধারের শোভা
অবলোকন করা যায়। তবে শোভার আনন্দ একশো শতাংশ লুটেপুটে নিতে হলে, ছাদের থেকে ভালো
আর কিচ্ছু নেই।
আমরা সোজা ছাদে চলে এলাম। রেলিং-এর ধারে কাঠের বেঞ্চি পেতে
সেখানেও দিব্যি সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা আছে। সবাই মিলে বসে ঠাট্টাতামাশা লেগপুলিং
করছি, এমন সময় মৃদু একখানা ভোঁ দিয়ে হেলেদুলে লঞ্চ চলতে শুরু করল।
চিৎকার চেঁচামেচি ক্রমে নিভে এল, ফোটো তোলার উৎসাহে ক্রমে
ভাঁটা পড়ল। ছাদের মাঝে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে গজল্লা করছিল যারা, তারা গুটিগুটি রেলিং-এর
পাশে এসে চুপটি করে দাঁড়াল। আমিও বক্বকানি বন্ধ করে বেঞ্চিতে এসে বসলাম। নদীর ধার
ঘেঁষে সরু রাস্তা। লোকে হন্হনিয়ে সে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে, শন্শনিয়ে সাইকেল
চালাচ্ছে। এই তো কাল বিকেলে আমিই চালাচ্ছিলাম। একটু পরে মাথিয়াস্ আঙুল তুলে
জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে একটা সাদা থামওয়ালা সাদারঙের বাড়ি দেখিয়ে বলল, “বল তো ওটা কী?”
হাঁ করে তাকিয়ে আছি দেখে শেষে বেচারা নিজেই উত্তরটা দিয়ে
দিল। জার্মানির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ভবন, অর্থাৎ চ্যান্সেলরি। বার্লিন দেওয়াল
ভাঙার সময় কাগজে কাগজে খুব হেলমুট কোলের নাম বেরোচ্ছিল মনে আছে? হেলমুট কোল তখন এই
বাড়িতেই থাকতেন, অফিস করতেন। শুক্রবার বিকেলে আমরা সে অফিস দেখতেও গিয়েছিলাম। বাগানের
রেলিং-এর কনুইয়ের ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকিয়েছিলাম। আর আজ লঞ্চের রেলিং-এর
পাশে বসে চ্যান্সেলরির দিকে তাকিয়ে আছি। বাড়িটা যে বাইরে থেকে আসলে এ’রকম দেখতে
সেটা সেদিন বুঝতেই পারিনি।
পার্সপেক্টিভ ব্যাপারটাই আসলে গোলমেলে।
পার্সপেকটিভের কথা উঠলেই আমার একটা গল্প মনে পড়ে যায়। আগেও
অবান্তরে গল্পটা বলেছি, কিন্তু আবার বলতে ইচ্ছে করছে। আমাদের পাড়ার এক দিদির বিয়ে
হয়েছিল পাড়ারই এক দাদার সঙ্গে। দিদির বাপেরবাড়ি ছিল রাস্তার এ ধারে, আর শ্বশুরবাড়ি
ওধারে। এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি কোণাকুণি হেঁটে যেতে সময় লাগত গুনে গুনে ঠিক সাড়ে তিন
মিনিট। কিন্তু সে তো ঘড়ির মাপ, মনের মাপে হয়তো ওই দূরত্বটাই দিদির কাছে সাত সমুদ্র
তেরো নদীর সমান মনে হত। কে জানে। বিয়ে হওয়ার পরপর আমরা দেখতাম বিকেলবেলা দিদি গা
ধুয়ে চুল বেঁধে ইয়াব্বড় একখানা সিঁদুরের টিপ পরে শ্বশুরবাড়ির গ্রিলগেট ধরে দাঁড়িয়ে
লোক দেখছেন। আমরা হয়তো তখন দল বেঁধে শিঙাড়ার দোকানে যাচ্ছি। দিদির দিকে তাকিয়ে খুব
হেসে হেসে হাত নাড়তাম কিন্তু দিদি ফ্যালফেলিয়ে তাকিয়ে থাকতেন। খানিকক্ষণ পরে
চেঁচিয়ে উঠে বলতেন, “ও হরি, তোরা? উল্টোদিক থেকে দেখছি তো, চিনতেই পারিনি।”
দিদি আমাদের আজন্ম দেখে এসেছিলেন, আর আমি চ্যান্সেলরি
দেখেছি মোটে একবার, তাও ওপর ওপর, বুড়ি ছুঁয়ে। কাজেই আমি যে সেটা উল্টোদিক থেকে
দেখে চিনতে পারব না তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে।
কিছুক্ষণ পর আমাদের লঞ্চ শহরকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল। নদীর
দু’তীরের চেহারাও নিমেষে বদলে গেল। সবুজের ওপর সবুজ, তার ওপর আকাশের নীল, নীলের ওপর
থরে থরে জমতে থাকা ধূসর মেঘ। বৃষ্টি আসতে পারে। ঘন জঙ্গলের মাঝে একটা দু’টো
দুর্গগোছের বাড়ি দেখা যাচ্ছিল। বেশ কয়েকটা রোয়িং বোট চোখে পড়ল। ছুটির দিন, তাই
মাছও ধরতে বেরিয়েছিলেন কেউ কেউ। মাঝে মাঝে লাল টুকটুকে ট্রেন ছুটে যাচ্ছিল লাগোয়া
রেললাইনের ওপর দিয়ে।
এইসব দেখছি, ছবি তুলছি, এমন সময় দেখি বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি
নেমেছে। ছাতালাঠি নিয়ে নিচে নেমে আসা ছাড়া গতি রইল না। আমার বন্ধুরা দোতলায় গিয়ে
বসল, আর আমি সোজা নেমে এলাম একতলায়।
চা তেষ্টা পাচ্ছিল
অনেকক্ষণ থেকে। তেষ্টা না লোভ কে জানে। এমন সুন্দর জানালার পাশে বসে চায়ে চুমুক
দিতে দিতে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকার লোভ। কাউন্টারের সামনে গিয়ে অবশ্য মিনিটখানেক
ধরে তন্নতন্ন করে মেনুবই খুঁজেও Tee বলে কোনও বস্তুর দেখা না পাওয়ায় শেষে কফি অর্ডার করতে
হল। কাপপ্লেট হাতে নিয়ে ভালো দেখে একটা জানালার পাশে এসে বসলাম।
জানালার বাইরে বৃষ্টি তখনও অবিরাম
চলছে। লঞ্চের ধাক্কায় রাইনের কালো জল ফুলে উঠে ছিটকে যাচ্ছে। কতরকম সাইজের ঢেউ।
বিরাট থেকে মাথায় দু-তিনটে বিন্দুবিন্দু ফেনার মুকুটওয়ালা পুঁচকে ঢেউ। একের পর এক
গড়ছে আর ভাঙছে। তাকিয়ে থাকতে থাকতে নেশা ধরে যায়। বেথুন থেকে ফেরার সময় মাঝেমাঝে
দু’শো উনিশের যমযন্ত্রণা এড়াতে আহিরিটোলা দিয়ে লঞ্চে করে হাওড়া ফিরতাম। তখনও
লঞ্চের রেলিং-থেকে ঝুঁকে পড়ে ফেনার ভাঙাগড়া দেখতে একই রকম নেশা লাগত। কলেজটলেজ
কবেকার স্মৃতি হয়ে গেল, ভাবা যায়?
লঞ্চের ভেতরটাও দেখার
মতো। জানালার পাশের টেবিলগুলো মোটামুটি ভর্তি করে লোকজন বসে গল্প করছে। বেশিরভাগই
বুড়োবুড়ি। অবশ্য বেশ কয়েকটা ফ্যামিলিও এসেছে। দাদু ঠাকুমা, মা বাবা, ছেলেমেয়ে।
বোর্ড্ মুখের সদ্য টিনএজার। লিখে দেওয়া যায় এটাই শেষবার। এর পর থেকে হাতে পায়ে
ধরেও তাকে রবিবার দুপুরে হোলফ্যামিলির সঙ্গে বোটিং ট্রিপে আসতে রাজি করানো যাবে
না। সোনালি চুলের গুটি গুটি হাঁটা টড্লার। প্র্যামে হাতপা ছড়িয়ে এলিয়ে আধশোয়া হয়ে
থাকা শিশু। মাথায় চুল প্রায় নেই বললেই চলে, মোটা মোটা গাল, গোল গোল চোখ। গাম্ভীর্য
দেখলে মনে হয় বিসমার্কের বাবা। দেখলেই ইচ্ছে করে জিভ বার করে ভেংচে দিই।
বোট হেলেদুলে চলল। লঞ্চ মাঝে মাঝে
থামছে, লোক উঠছে নামছে। মাথার ওপর থেকে আমার কোলিগদের হাহাহিহি কানে আসছে। একটু
পরে হোয়্যার ইস্ কুন্তলা কথাটা দু-চারবার কানে আসতে ওপরে এসে বসলাম। মাথিয়াস্
খুব হাতপা নেড়ে কাকে যেন একটা জার্মান হিস্ট্রি বোঝাচ্ছে।
অবশেষে আমাদের স্টপ এসে গেল। লিন্জ্ আম রাইন। এখানকার শহরের নামের এই কায়দাটা আমার খুব ভালো লাগে। লিমবুর্গ আন্ ডের লান, লিন্জ্ আম রাইন। কতশত বছর ধরে নদীই তো শহরগুলোকে লালনপালন করে এসেছে। তাই এরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নদীর নামটা শহরের নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। ঠিকই করেছে। দেওয়াই উচিত।
অবশেষে আমাদের স্টপ এসে গেল। লিন্জ্ আম রাইন। এখানকার শহরের নামের এই কায়দাটা আমার খুব ভালো লাগে। লিমবুর্গ আন্ ডের লান, লিন্জ্ আম রাইন। কতশত বছর ধরে নদীই তো শহরগুলোকে লালনপালন করে এসেছে। তাই এরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নদীর নামটা শহরের নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। ঠিকই করেছে। দেওয়াই উচিত।
খাওয়ার পর প্ল্যানমতোই হাঁটাহুঁটি
শুরু হল। পুরোনো লিন্জ্ নেহাতই ছোট শহর। মাঝারি স্পিডে মিনিট পনেরো হাঁটলেই
শহরের এই সিংহদ্বার থেকে ওই সিংহদ্বারে পৌঁছে যাওয়া যায়। এখানেও বেশ কয়েকটা বাড়িতে
লিমবুর্গের মতো হাফ-টিম্বার্ড্ স্থাপত্য নজরে পড়ল। হাঁটতে হাঁটতে আর ছবি তুলতে
তুলতেই দেখি আবার খিদে খিদে পেয়ে গেছে। তখন রাস্তার পাশের একটা দোকানে ঢুকে
আইসক্রিম কিনে খেতে হল।
আর কী। ঘোরা শেষ। এবার ঘরে ফেরা।
তবে নৌকোর বদলে ট্রেনে চেপে। অ্যালফন্সের পিছু পিছু আবার লাইন দিয়ে মনখারাপ করা
খাঁ খাঁ লিন্জ্ স্টেশনে এসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। একটু পরে বনে যাওয়ার ট্রেন এসে
গেল।
কুন্তলার লেখা মানেই তো এক নিঃশ্বাসে পড়ে নেওয়া। না, খুব ঠিক হল না। শেষের পর তো আবার একটু করে পিছিয়ে যাওয়া। প্রথমেই আইস্ক্রিমের ছবি। ওঃ, ইয়াম্ বলে স্কুপের ওপরটা একবারেই মুখের ভিতর পাঠিয়ে দেওয়া (মনে মনে)। ফাঁকা স্টেশনের শূন্যতাটা সঙ্গে সঙ্গে উধাও। তারপর ভর্তি প্লেট আমায় আর অত উৎসাহিত করল না। বাড়ি ঘর দেখতে দেখতে পৌঁছলাম মেঘের কাছে। পথে অবশ্য সবুজের সমারোহ আমায় বেশ তাজা করে দিয়েছে। কিন্তু নদীবক্ষে ভ্রমনের সময় মেঘের সঙ্গে মাখামাখি! এটা বোধহয় আজকের পোস্টটার সবচেয়ে ভাল অংশ।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ মালবিকা। কাল দিনটা সত্যি বড় সুন্দর কেটেছে।
DeleteEi lekha ta amar khub khub bhalo legeche, aager koyekta lekha'r cheyeo beshi. Perspective er golpo ta porey khub haschi. R "যতই হোক, ভালোবেসে দিয়েছে।" - eta toh story of my life!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ টিনা। তুমি খুব জিনিস জমিয়ে রাখো সেটা বোঝা গেল।
Deleteপার্সপেক্টিভের গল্পটা মনে বড় বাজল গো। ছবিগুলো দেখেও মনটা কীরকম ব্যাথা ব্যাথা হয়ে গেল। তোমার মত যদি লিখতে পারতাম!
ReplyDeleteআরে ধুর কী যে বল প্রিয়াংকা। পার্সপেকটিভের গল্পটা ভালো না? সত্যি কথা কিন্তু, একটুও বানিয়ে লিখিনি।
Deleteশেষ ছবিটা সাদা কালো । নির্জন ,মন কেমন করা । খুব ভালভাবে মুড টা ধরা পড়েছে।এতগুলো রঙিন ছবির পরে।
ReplyDeleteমিঠু
স্টেশনটা বলাই বাহুল্য ছবির থেকে অনেক অনেক বেশি সুন্দর ছিল। ফাঁকা প্ল্যাটফর্ম ব্যাপারটার মধ্যেই একটা কেমন বিষণ্ণতা মাখামাখি হয়ে থাকে না মিঠু?
Deleteতোমার বেড়ানোর দলটি বেশ ভালো হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। সপ্তাহান্তে নিয়ম করে বেড়িয়ে পরে। তোমায় ধরেবেঁধে নিয়ে যায়। শুধু তাই না, 'হোয়্যার ইস্ কুন্তলা' বলে খোঁজ-ও করে। ভাগ্য করে এরকম দল পাওয়া যায় কিন্তু দি।
ReplyDeleteসে বন্ধুভাগ্য আমার চিরকালই ভালো আবির। তোমাদের দেখেও তো সে কথা প্রমাণ হয়ে যায়।
Deletebaro bhalo berano ar khawadawa hocche :-)
ReplyDeleteতা হচ্ছে বটে। ঠিকই বলেছিস তিন্নি।
DeleteTumi ki shundor amader o shonge kore niye beraccho ... thank you so much. Mon bhore gelo. :-)
ReplyDeleteআরে থ্যাংক ইউর কিছু নেই শর্মিলা। তোমরা যে আমার প্রতি সপ্তাহান্তের বেড়ানোর গল্প ভালোবেসে শুনছ, সে জন্য আমারই তোমাদের থ্যাংক ইউ দেওয়ার কথা। থ্যাংক ইউ। খুব ভালো লাগল।
Deletepratham ar ditiyo chabita khub bhalo...lekhatao :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সায়ক।
Deletechhobir moton sahor ar tar upor nodi die bhromon dutoi darun, ar chhobigulo bhari bhalo hoechhe.Nil pahar ar lal tuktuke train... osadharon . 'মনখারাপ করা খাঁ খাঁ লিন্জ্ স্টেশনে' - ki rakom ekta onyorakom bhalo laga.. . :-) Dhonyobad Kuntala, eto jatno nie chhobisaho sahor ghorabar jonye. :-)
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ ইচ্ছাডানা। আমার খুব ভালো লাগছে আপনাদের বেড়ানোর গল্প বলতে পারে।
Deleteeta to besh: kolkata an der ganga!! khasa shunte :)
ReplyDeletekhub sundor laglo pore..chhobi gulo bhaari mon kamon.. amar mote nodi ke taar asol rupe dekhte hole meghla akashei dekha uchit..
কিংবা রিষড়া আন ডের হুগলি। আমিও ভেবেছি স্বাগতা, আমার শহরের নাম আর নদীর নাম মিশিয়ে দিলে কেমন হয়।
Deleteতোমার সঙ্গে হায়েস্ট ফাইভ। মেঘ আর নদীর কম্বোটা মেড ইন হেভেন।