এই পৃথিবী সেই পৃথিবী



সেদিন কথা উঠেছিল কেন আমরা সবাই বাইরে সেট্‌ল্‌ করে যাচ্ছি না। না করার প্রধান কারণটা তো সকলেই জানে, চাইছি কিন্তু পারছি কই। কিন্তু আরেকটা অপ্রধান কারণও আছে। চলে গেলে বাবামাকে কে দেখবে? তাঁদের বয়স তো বাড়ছে বই কমছে না।

ধাঁ করে প্রত্যুত্তর ছিটকে এল। কেন, বাবামা-কে নিজের কাছে নিয়ে গেলেই হয়?

আমি সাধারণত এই সব আলোচনায় নাক গলাই না। নিজের রক্তচাপ বাড়ানো ছাড়া আর কোন লাভ হয় না তাতে। চুপ করে বসে অরেঞ্জসাফ্‌টে চুমুক দিতে দিতে দু’পক্ষের সওয়ালজবাব শুনছিলাম। যিনি বাবামার দোহাই দিয়েছিলেন তিনি বললেন, বা রে, চল বললেই বাবামা যাবেন নাকি? এ কি টবে পোঁতা ফ্যান্সি গাছ, যে টান মেরে তুলে শিকড় প্লাস্টিকে পেঁচিয়ে নিয়ে গিয়ে নিজের বাড়ির বারান্দার নতুন টবের মাটিতে ফের পুঁতে দেব?

তাতে অন্যপক্ষ বললেন, তুমি কেন ভাবছ ওই গরিব উন্নতিশীল টবে বছরের পর বছর, দশকের পর দশক বসে বসে পচতে বাবামা’র ভালো লাগছে? বিদেশের ঝিংচ্যাক, ঝকঝকে তকতকে জীবনযাপনের স্বাদ তাঁরা পেলে হয়ত বর্তে যাবেন, দেখ গে’।

আমার সাফ্‌ট্‌ শেষ হয়ে গিয়েছিল। আকাশে আলোও কমে এসেছিল। চলি ভাই, বলে রওনা দিলাম। জিনিসপত্র গুছিয়ে ব্যাগে পুরতে পুরতেই টেবিলের আলোচনা ঘুরে উইকএন্ডের ট্রিপে চলে গেল। কোথায় নাকি এই শনিবার তারাবাজি হবে খবর পাওয়া গেছে। কে কে যাবে, কীভাবে যাওয়া হবে, ফেরার পথে অ্যালফন্‌সের বাড়িতে চড়াও হওয়া হবে কি না। আমি টা টা বলে হাঁটা শুরু করলাম।

এই সামান্য বাপারটা ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে পড়ে গেল আজ সন্ধ্যেবেলায় বাড়িতে ফোন করে। আমার মা’র কেন যেন ধারণা এখান থেকে ফোন করা ভীষণ খরচের ব্যাপার, আমি হ্যালো বলার তিন সেকেন্ডের মধ্যে দু’দিকের কুশলসংবাদ নিয়ে আর দিয়ে তিনি তড়িঘড়ি ফোন ছেড়ে দেওয়ার তালে থাকেন। আজ আর সেটা অ্যালাউ করলাম না। বললাম, গল্প কর, না হলে ছাড়ব না।

বেকায়দায় পড়ে মা গল্প শুরু করলেন। মামাবাড়িতে সবাই কেমন আছে। ঠাকুমা নতুন কী বললেন। নাতনির কথা জিজ্ঞাসা করছেন নাকি এখনও নাতজামাই-এর নাম জপে চলেছেন। বিকেলটা কী করে কাটল।

শুনলাম দিব্যি কেটেছে বিকেল। রথ ছিল কি না। পাড়ার এক কাকুকাকিমা এসেছিলেন চা খেতে। মা বাবার বহুদিনের বন্ধু। যখন আমার চিহ্নমাত্র ছিল না, তখনকার। রথ বলে মা পাঁপড় ভাজিয়েছিলেন, আর ঘুগনিও বানানো হয়েছিল। চায়ের সঙ্গে খেতে খেতে চারজন বসে বসে অনেক গল্প করেছেন, আমার বিয়ের ছবি, ভিডিও দেখেছেন। তারপর আরেকজন বিশেষ অতিথিও এসেছিলেন শুনলাম। বুচিদিদির মেয়ে রথ নিয়ে বেরিয়ে ঘণ্টা বাজিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে পাঁপড়ভাজা খেয়ে, গুজিয়া প্রসাদ দিয়ে গেছে।

একসময় ওই বিকেলগুলোতে সশরীরে উপস্থিত থাকতাম বলেই হয়ত আমি মাবাবার আজকের বিকেলটা এতদূর থেকে স্পষ্ট দেখতে পেলাম। বাবাকে দেখলাম, সামনের ঘরের তক্তপোষে বাবু হয়ে বসে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বাগকাকুর সঙ্গে তর্ক করছেন। তর্কটা রাজনীতি নিয়েও হতে পারে, ট্যাক্স নিয়েও হতে পারে। কাকিমা ভীষণ শান্ত মানুষ, এত চেঁচামেচিতে তাঁর মাথা ধরে যায়। মা আর কাকিমা উঠে ভেতরের ঘরে চলে আসছেন, আসার পথে ঠাকুমার ঘরে উঁকি দিয়েছেন কাকিমা। ঠাকুমা ভীষণ খুশি হয়েছেন। কাকিমাকে পাকড়াও করে আবার নাতজামাইয়ের গপ্প ফেঁদেছেন নির্ঘাত। বেগতিক দেখে মা কাকিমাকে উদ্ধার করে ভেতরঘরে নিয়ে এলেন। এইবার সুখদুঃখের গল্প হবে।

একটু পরে ঘণ্টার মিষ্টি টুংটাং আর খলবল গলার আওয়াজ দরজার কাছে। বুচিদিদি চেঁচিয়ে ডাকছে, কাকিমা, দেখ কে এসেছে তোমাদের বাড়ি। মা হাসিমুখে দৌড়ে বাইরে বেরোচ্ছেন। বাগকাকু হাঁ হয়ে গেছেন। ওরে বাবা বুচি, তোমার মেয়ে এত বড় কবে হল? যাকে নিয়ে এত কথা সে ততক্ষণে রথের দড়ি হাত থেকে নামিয়ে রেখে বাবার পাশে বসে টিভির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ঠাকুমা ওঘর থেকে চেঁচাচ্ছেন, বুচি বুচি, মেয়েকে নিয়ে এদিকে আয়। একটু দেখি।  

রান্নাঘরে মীরামাসি নতুন এক ব্যাচ পাঁপড় ভাজতে শুরু করেছেন সবে। বাড়ির সব কোণা থেকে ছ্যাঁকছোক আওয়াজ আর গরম তেলের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বুচিদিদির মেয়ের কী একটা কথায় সবাই হো হো করে হেসে উঠেছে। আজকালকার ছেলেমেয়েরা কী পাকা হয়েছে ভাবা যায়? আমরা এদের বয়সে ভয়ে কথা বলতে পারতাম না।

বিকেলটাকে সিনেমার মতো চোখের সামনে ফুটে উঠতে দেখছিলাম আর মনে হচ্ছিল, কোথায়, কোনওদিক থেকেই তো দৃশ্যটাকে দুঃখের দেখতে লাগছে না। দৃশ্যটার ভেতর যাঁরা চলেফিরে বেড়াচ্ছেন, সংলাপ বলছেন, তাঁদের কাউকেই তো অসুখী, অতৃপ্ত মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে না এক্ষুনি এই দৃশ্যটা থেকে বেরিয়ে কস্টিউম গা থেকে টেনে খুলে অন্য একটা দৃশ্যে ঢুকে পড়ার জন্য তাঁদের তর সইছে না। সে দৃশ্যটা যতই ঝলমলে আর দামি হোক না কেন।

আমার বাবামা তাঁদের গোটা জীবন দিয়ে তিলে তিলে নিজেদের জন্য একটা জায়গা তৈরি করেছেন। এই বিরাট পৃথিবীর মধ্যে নিজেদের আরেকটা ছোট্ট পৃথিবী। শুধু একটা বাড়ি, কয়েকটা ঘর, ঘরের সামনে বাগান নয়। জীবনভরের বন্ধু, প্রতিবেশী, বাজারহাট, দরাদরি, রাস্তাঘাট, রাস্তার পাশের ওপচানো ভ্যাট, রেললাইন, রেললাইনের পাশের বেআইনি ঝুপড়ি, সারি সারি তালগাছ, তালগাছের ওপরের তারাভরা আকাশ---সব রয়েছে তাঁদের সেই পৃথিবীতে। আমি তাঁদের গিয়ে বলার কে, যে তোমাদের এই পৃথিবীটা যথেষ্ট ভালো নয়, চল তোমরা আমার সঙ্গে নতুন পৃথিবীর সন্ধানে?

সবথেকে বড় কথা যখন আমি নিজেই নিশ্চিত নই আমার পৃথিবীটা তাঁদের পৃথিবীটার থেকে ভালো কি না। আজকের বিকেল দিয়ে যদি বিচার করতে হয় তাহলে তো নিশ্চয় নয়। যেখানেই যতদূরেই যত দামি পৃথিবীতেই থাকি না কেন, রথের বিকেলে আমার চুপিচুপি তাঁদের পৃথিবীটাতে, আমার ছোটবেলার পৃথিবীটাতে, গুটিসুটি মেরে ঢুকে পড়তে ইচ্ছে করবে। আজীবন।


Comments

  1. বাজে প্রশ্ন করি? তেনারা অবান্তর পড়েন? না পড়লে বদনবইতে শেয়ার করে দাও- তোমার পরবর্তী অরেঞ্জসাফ্‌ট্‌ গুলো আরামে খাওয়া হবে :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. না ভাই, পড়েন না। সেই ভরসাতেই তো লিখি।

      Delete
  2. Tumi erokom shotti kothagulo eto gnu hoye ki kore lekho boloto?

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেরেছে পৌষালি, "gnu" টা কী বুঝলাম না যে...

      Delete
    2. ebaba! apel er jinish gulo ekhono thik bangla bhashata ropto korte pareni..lojjito :) "shundor" likhte gechi..auto correct er "gnu" hoye geche, bojho!

      Delete
    3. থ্যাংক ইউ পৌষালি। আরে যন্ত্র তো আফটার অল, কত আর বুদ্ধিমান হবে।

      Delete
  3. khub bhalo laglo post ta. amar aajker markini jibon dhara'r cheye amar chotobelar prithibi anek beshi colorful.
    hyan hoyto ektu rustic chilo (aami thatta kore boli je aami baajubandh theke baazuband e eshe dnariyechii)...kintu oi informal/laid back lifetsyle tar o anek plus point achey. ekhane boshe desher diwali aar ramzaan je ki miss kori bolar na :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. রং যে আমাদের অনেক বেশি সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই শম্পা।

      Delete
  4. হায়েস্ট ফাইভ ... একটাই ছোট্ট তফাত আপনার সাথে ... আমি কিন্তু নিশ্চিত যে আমার পৃথিবীটা তাঁদের পৃথিবীটার থেকে ভালো না ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. গুড পিয়াস। অন্তত তোমার মনে দোটানাটা নেই।

      Delete
  5. ' বুচিদিদির মেয়ে রথ নিয়ে বেরিয়ে ঘণ্টা বাজিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে পাঁপড়ভাজা খেয়ে, গুজিয়া প্রসাদ দিয়ে গেছে। ' chhobita khub khuub chena. ar lekhatao bhari bhalo laglo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. একসময় আমিও যেতাম ইচ্ছাডানা। বুচিদিদি আসত। এখন ওর মেয়ে আসছে। কিছু কিছু জিনিস একইরকম থেকে গেলে কী আশ্বস্ত লাগে না?

      Delete
    2. Kichhu jinish paltaina bolei Prithibita eto sundor :-) thiki bolechho.

      Delete
  6. হায়েস্ট ফাইভ আমার তরফেও
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা মিঠু, হায়েস্ট ফাইভ হায়েস্ট ফাইভ।

      Delete
  7. Ekdom amar moner kothata likhechho. Ei niye loker songe je amar ki torko hoy, bhaba jay na! Amar gorom ghemo Kolkata chhere je amar baba-ma kotthao giye aramey thakte parbei na, ei kothata kano je loker mathay dhoke na, ke jane.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার এখনও বয়স কম কিনা বিম্ববতী, তাই তর্কের এনার্জি আছে। আমি অনেকদিন ও পাট চুকিয়ে দিয়েছি।

      Delete
  8. Kal Rath chilo tai na? Ekhono rathjatra byaparta kintu amader chhotobelar motoi ache anekta. Shei chhotoder rath tana r papor bhaja.

    Aamar baba-maa er khoj khobor protibeshi ra rakhe jenei ami nischinte tader chhere royechi. Aar emniteo tader ekdomi 'nijeder bari' chhere onyo kothao thakbar ichhe nei.

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রতিবেশী ব্যাপারটা যে কী দামি, এবং কী দ্রুত লুপ্ত হয়ে আসছে, ভাবা যায় না টিনা।

      Delete
  9. কী আর বলি? এই স্পর্শকাতর টপিকটা উঠলে আমিও তোমার মতই আজকাল অরেঞ্জসাফট জাতীয় কিছু শেষ করে নির্বিকারে উঠে যাই। একসময়ে তর্ক করার সাহস আর উদ্যম ছিল, আজকাল কোনোটাই পাই না। বাবা মারা যত বুড়ো হচ্ছেন, আমরা তত অসহায় হচ্ছি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমরাও বুড়ো হচ্ছি বলে বোধহয় প্রিয়াংকা।

      Delete
  10. খুব সুন্দর লেখা...পুরোটার সাথেই নিজের মিল পাই...সময়ের সাথে, প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন পৃথিবী গড়ে উঠেছে...সবসময় যে এই পৃথিবীটা খারাপ লাগে তা বলব না তবে পুরোনো পৃথিবীকে সবসময়েই মিস করি...

    ReplyDelete
    Replies
    1. না না, নতুন পৃথিবী আমাকেও টানে দেবশ্রী। কিন্তু আমার বাবামা'কে যে টানে না সে নিয়ে আমি নিশ্চিত। তাঁদের জোর করে আমাদের পৃথিবীতে বাস করানো মানে একরকম শাস্তি দেওয়া।

      Delete
    2. সেটা একদম ঠীক বলেছ

      Delete
  11. amar roj bari fire jete ichchhe kore. 24/7. sarakkhon. kiser jonyo kano ekhane pore achhi ke jane. amar oi 'bari' ta chhara prithibir je kono konei to ami refugee. bas, maar kachhe fire jete ichchhe kore, sabsamay.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তুমি একদম আমার মায়ের মতো বললে মনস্বিতা। আমার মা যুধিষ্ঠিরের কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। প্রবাসীর থেকে বড় অভাগা আর কমই আছে।

      Delete
  12. amar khub sojasapta jiboner upolobdhi..olpete sontushto na hote parle r life e happy(tothakothito materialistic happiness)hote chaile sarthopor hote hobe..ai post er bisoybostu nia onek bolar chilo..karon eta puropuri amar life er dotanar bisoy..apatoto aituku e thakuk.. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রথম লাইনটার সঙ্গে একেবারে একমত সৌমেশ, কিন্তু মানা খুব শক্ত।

      Delete
  13. তুমি নতুন আর আমি পুরোনো, কিন্তু দেখ,আমাদের ছেলেবেলাটা কি ভীষণ এক। এটা আমি আগেও খেয়াল করেছি। তাই আজ আমার আর কিছুই বলার নেই। বড্ড নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছি, মন চাইছে তোমার থেকে আরো কথা শুনতে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ্‌ এই নিয়ে তো আমার একটা রীতিমত থিওরি আছে মালবিকা। পৃথিবীর সমস্ত নতুন পুরোনো, সাদা কালো, লম্বা বেঁটে, রোগা মোটা লোকের ছোটবেলা এক ও অবিকল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে তো আমার আপনার অমিলের থেকে মিল হাজার গুণে বেশি। ছোটবেলা তো মিলবেই।

      Delete
  14. Nostalgia beshir bhaag shomoy tei boro sundor, tai na?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক বলেছেন বংমম।

      Delete
  15. তোমার এই ধরনের লেখাগুলো কি করে জানো? ঢেকেঢুকে, চেপেচুপে রাখা কান্নাটা ভ্যাঁ করে বাইরে নিয়ে চলে আসে। গলার কাছাকাছি চলে এলে চারিদিকে তাকিয়ে চক্ষুলজ্জার দোহাই দেখিয়ে সেটাকে আবার সটান ফেরত পাঠিয়ে দিই বটে, কিন্তু এই খারাপ খারাপ ভালো লাগার রেশটা অনেকক্ষণ থেকে যায়। এখন যতই চেপে যাই না কেন, তোমার এই লেখাগুলো সব একসাথে করে একদিন কোনো কাজ না রেখে পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসব। তাতে করে আশা করি, কান্না আঁটকে আঁটকে গলা ধরার হাত থেকে রেহাই পাবো। মাকে এই লেখাটা পড়ে শোনাতে পারলে কি ভালো হত। কিন্তু সে হওয়ার নয়, এটা পরতে গেলে আমি যত কাঁদব মা কাঁদবে তার চেয়ে ঢের বেশি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা রে আবির। বাড়ির কথা ভেবে এত মন খারাপ কি করতে আছে?

      Delete
  16. Ek soptaho, office er chap e tomar lekha gulo pora hoeni... tai weekened e somoy peyei tomar blog khule bosechhi... nijer motoi porchhilam bujhle, kintu etae comment na kore parlam na... goto 15 maas dhore Kolkata r baire eka achhi... ma der jotobar i Bangalore e aste bolechhi prothom 6 maas... Ma, oi mondir, para, bari bondho eisob bole katie diyeche... ekhon bujhi, tai ar bolio na... oder shikor tae taan deoya ekdom uchit noe... Khub ichche achhe Kolkata e ferar... sarakhkhon taka ar career niye ghyan ghyan ar poshchche na!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. কেরিয়ার হচ্ছে স্বার্থপরের ঝাড় তপোব্রত, যতই সময় দাও না কেন অকৃতজ্ঞের মতো আরও চায়, আরও চায়। কিন্তু তবু তার মুখ চেয়ে সারাজীবন কাটাতে হয়, এ এক দুর্বিষহ ব্যাপার সত্যি।

      Delete
  17. আপনার লেখাটা পড়ে অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছে করল। তারপর ভাবলাম, কি লাভ? আমি আর আপনি তো একই পৃথিবীর মানুষ, আমাদের বাবা মায়েরা আরও বেশিরকম তাই। আমি যা যা লিখব সে সবই আপনি জানেন, আমি যা যা লিখবনা সে সবও আপনার জানা। শুধু এটুকু বলতে পারি, আমার এ পৃথিবীটা যে কখনোই ভালো লাগেনা তা নয়, কিন্তু বাবা-মা যে পৃথিবীতে আছে সেটা আমার অবশ্যই বেশি পছন্দের। আর ওনারা সেখান থেকে বেরিয়ে এখানে এসে বাকি জীবনটা কাটাতে চাইবেন সেটা মনে করাও পাগলামি।

    বয়স তো বাড়ছে বই কমছেনা। রক্তচাপ বাড়ানো আমিও বন্ধ করে দিয়েছি। এখন শুধু শুনি, আর মুচকি মুচকি হাসি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাসা ছাড়া আর কিছু করা মানে বাঁদরের গলায় মুক্তোর মালা পরানো। ঠিকই করেন।

      Delete
  18. onekkkkkk din por tomar blog e elam. tumi biye korecho?! kobe?? jai hok. many many congratulations!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ কুহেলি। তা হল মাস দুয়েক।

      Delete

Post a Comment