হাতে কলমে
দোতলার বি-নম্বর ক্লাসরুমের রংচঙে দেওয়াল আর সিলিং দেখিয়ে দেখিয়ে রেখ্ট্ (ডান), লিংক্স্ (বাঁ), ওবেন (আপ), উন্টেন (ডাউন) পাঁচশো বার দেখানোর পরেও যখন আমরা বেমালুম রেখ্ট্কে লিংক্স্ আর ওবেনকে উন্টেন বলে চালাতে লাগলাম তখন ফ্রাউ শ্প্রিংগার মার্কার পেনের মুখে ঢাকনার প্যাঁচ কষে কোমরে হাত দিয়ে বললেন,
“গেনুগ!”
যথেষ্ট হয়েছে। এবার কড়া না হলে চলছে না। পরীক্ষার দিন শুক্রবার ধার্য হল,
অর্থাৎ কি না আজ।
অবান্তর তাকে তুলে রেখে বুধবৃহস্পতি কোমর বেঁধে পরীক্ষার রিভিশন দিতে বসলাম। যত পড়লাম তার থেকে একশোগুণ বেশি ভুললাম। অনভ্যাসে রাত জেগে পরীক্ষার পড়া পড়তে গিয়ে চোখের তলায় র্যাকুনের মতো কালি পড়ে গেল। এত কষ্ট সয়ে, রাতে ঘণ্টা দেড়েক ঘুমিয়ে সকালে উঠে দেখলাম মাথার ভেতরটা উইকডেজের গড়ের মাঠের মতো ফাঁকা।
কাঁপতে কাঁপতে ক্লাসে পৌঁছে দেখি ক্লাসের সবাই থমথমে মুখে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে
রয়েছে।
কী ব্যাপার? পরীক্ষা ক্যান্সেল বুঝি? আনন্দে আমার প্রায় নাচ পেয়ে যাচ্ছিল এমন
সময় হেবা সমস্ত উৎসাহে জল ঢেলে দিল। পরীক্ষা হবে, কিন্তু ডেস্কে বসে খাতা পেনসিল
দিয়ে নয়। প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা। আমাদের সকলকে দু-তিনজনের টিমে ভাগ করে দেওয়া হবে,
প্রত্যেক টিমের কাছে প্রশ্নপত্র দেওয়া থাকবে। প্রশ্নপত্র অর্থাৎ ডিরেকশন।
আগাপাশতলা ডয়েশে লেখা। সেই ডিরেকশন দেখে দেখে হেঁটে হেঁটে এক জায়গায় পৌঁছতে হবে।
শুধু অন্ধের মতো হেঁটে গেলেই হবে না, রাস্তার দুপাশের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে
প্রশ্ন লেখা আছে, সেগুলোর উত্তরও লিখতে হবে। উত্তর কিছুই লিখলাম না
বা সব ভুলভাল লিখলাম অথচ দৌড়ে সবার আগে গন্তব্যে
পৌঁছলাম---ডাহা ফেল।
দেখেশুনে হাঁ করে আছি, এমন সময় ফ্রাউ শ্প্রিংগার হনহনিয়ে এসে প্রত্যেক টিমের
হাতে একটা কমলা রঙের থলি ধরিয়ে দিলেন। বললেন থলি কখন খুলতে হবে সে নির্দেশও
প্রশ্নপত্রেই দেওয়া আছে। এখন খোলা চলবে না।
পরীক্ষা শুরু হল। ফ্রাউ শ্প্রিংগার মোটেই বোকা নন, একটা টিম হাঁটতে শুরু করার
পর যতক্ষণ না দৃষ্টির বাইরে চলে যাচ্ছে ততক্ষণ অন্য দলকে শুরু করতে দিচ্ছিলেন না।
একে অপরের ল্যাজ ধরে চলার চোট্টামো যাতে কেউ করতে না পারে। আমার টিমে ছিল ইন্দোনেশিয়ার
ফৌসি আর ইজিপ্টের হেবা। ফ্রাউ শ্প্রিংগারের অনুমতি পেয়ে আমরা দুর্গা বলে হাঁটা
শুরু করলাম।
কিছুক্ষণ চলার পর এক রেললাইন এল। আমাদের দেশে লেভেল ক্রশিং-এর দুধারে হলুদ
কালো ডোরাকাটা ডাণ্ডা দেওয়া থাকে, এখানে লাল সাদা। আমাদের দেশে ডাণ্ডার দুপাশে শত
শত বাস ট্রাক রিকশা মোটরবাইক দাঁড়িয়ে হর্ন দিতে থাকে, এখানে ডাণ্ডার এপারে আমরা
তিনজন দাঁড়িয়ে ওপারের ঘন বনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। মিনিটখানেক পর বুক
কাঁপিয়ে একটা ট্রেন গেলে পর ডাণ্ডা উঠল, আমরা ক্রসিং পেরিয়ে বনের ভেতর ঢুকে পড়লাম।
নুড়ি বিছানো সরু পথ বনের বুক চিরে গেছে। যা বুঝলাম, মূলত সাইকেলআরোহীরা এই
রাস্তা দিয়ে শর্টকাট করেন। পথের পাশে পাশে আপেল গাছে কুঁড়ি ধরে এসেছে, ছোট ছোট লাল
ফলের ভারে চেরি গাছের ডাল নুয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে কাঠের নিচু দরজা দেওয়া ব্যক্তিগত বাগান
চোখে পড়ছিল। ফ্রাউ শ্প্রিংগারের মুখে আগেই এ সব বাগানের কথা শুনেছিলাম। রিয়েল
এস্টেটের মতো বাগানও এখানে প্লট করে বিক্রি হয়। বাগানের মালিক হয়তো থাকেন শহরের
উল্টোপ্রান্তে, এইখানে একখানা বাগান কিনে রেখেছেন। সপ্তাহে দু-তিনবার নিয়ম করে এসে
গাছের যত্ন করেন, আগাছা নিড়োন, পাকা ফলের গায়ে নরম কাপড় মুড়ে দেন। যাতে পাখিতে
ঠুকরে নষ্ট না করতে পারে। ফ্রাউ শ্প্রিংগারেরও আছে একখানা বাগান। সে বাগানের
মিষ্টি প্লাম ফল আমরা অলরেডি খেয়েছি।
একটু পরে ছোট রাস্তা একটা বড় রাস্তায় গিয়ে পড়ল। দূর থেকে কচি গলার চিৎকার ভেসে
আসছে। প্রশ্নপত্রের দিকে তাকিয়ে দেখি, একেবারে ঠিক রাস্তায় এসেছি। আর পাঁচশো পা
হাঁটলেই স্কুল, স্কুলের মোড় থেকে আমাদের বাঁ দিকে যেতে হবে। বনজঙ্গল দেখে এতক্ষণ
ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলাম, নির্ঘাত ভুল পথে এসেছি, মুহূর্তে আত্মবিশ্বাস ঝট্ করে বেড়ে
গেল। হেবা আর ফৌজির সঙ্গে হাই ফাইভ বিনিময় করে সবে সামনে তাকিয়ে দেখি দূর থেকে
একটা সাইকেলে চেপে কে যেন আমাদের দিকেই আসছে।
ফ্রাউ শ্প্রিংগার। শুনলাম উনি সাইকেল চেপে গোটা রাস্তায় নজর রেখে বেড়াচ্ছেন, পাছে কোনও দল ভুল পথে গিয়ে পড়ে। আমরা ঠিক রাস্তায় যাচ্ছি দেখে নিশ্চিন্ত হয়ে আবার সাইকেলে উঠে রওনা দিলেন। প্রশ্নপত্র বলল আমাদের তখন থলি খোলবার সময় হয়ে এসেছে। ছায়ায় দাঁড়িয়ে কমলা রঙের থলি খুলে দেখি ভেতরে লালনীল গামি বিয়ার্সের প্যাকেট আর পাপড়ির মতো দেখতে বিস্কুট। ভাগাভাগি করে খেয়ে আবার রাস্তা চলা শুরু হল। রাস্তার দুপাশে সিংহের মুখ আঁকা বাড়ি পেরোলাম, বাড়ির জানালায় ঝাড়ন হাতে জার্মান মহিলা, বাড়ির সামনে বাগানে ল্যাভেন্ডারের বাগান, উজ্জ্বল বেগুনি রঙের ফুলের ওপর হলুদ কালো ডোরাকাটা মৌমাছির দল ভোঁভোঁ করে উড়ে বেড়াচ্ছে। মোড় পেরোলাম, মোড়ের মাথায় ছোট্ট একটা ক্রশ পেরোলাম। প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন ছিল, ক্রশের গায়ে কী লেখা আছে? কাছে দেখি ১৭৪৮ সালে কোন বেচারা হাইনরিখ বেয়ার দেহরক্ষা করেছেন, তাঁরই কবর। খস্খস্ করে উত্তর লিখে ফেলা হল।
ফ্রাউ শ্প্রিংগার। শুনলাম উনি সাইকেল চেপে গোটা রাস্তায় নজর রেখে বেড়াচ্ছেন, পাছে কোনও দল ভুল পথে গিয়ে পড়ে। আমরা ঠিক রাস্তায় যাচ্ছি দেখে নিশ্চিন্ত হয়ে আবার সাইকেলে উঠে রওনা দিলেন। প্রশ্নপত্র বলল আমাদের তখন থলি খোলবার সময় হয়ে এসেছে। ছায়ায় দাঁড়িয়ে কমলা রঙের থলি খুলে দেখি ভেতরে লালনীল গামি বিয়ার্সের প্যাকেট আর পাপড়ির মতো দেখতে বিস্কুট। ভাগাভাগি করে খেয়ে আবার রাস্তা চলা শুরু হল। রাস্তার দুপাশে সিংহের মুখ আঁকা বাড়ি পেরোলাম, বাড়ির জানালায় ঝাড়ন হাতে জার্মান মহিলা, বাড়ির সামনে বাগানে ল্যাভেন্ডারের বাগান, উজ্জ্বল বেগুনি রঙের ফুলের ওপর হলুদ কালো ডোরাকাটা মৌমাছির দল ভোঁভোঁ করে উড়ে বেড়াচ্ছে। মোড় পেরোলাম, মোড়ের মাথায় ছোট্ট একটা ক্রশ পেরোলাম। প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন ছিল, ক্রশের গায়ে কী লেখা আছে? কাছে দেখি ১৭৪৮ সালে কোন বেচারা হাইনরিখ বেয়ার দেহরক্ষা করেছেন, তাঁরই কবর। খস্খস্ করে উত্তর লিখে ফেলা হল।
এরপর সামান্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি হল। ডানদিকে গিয়ে একটা হলুদ রঙের প্রাসাদ
থাকার কথা, সেটার দেখি কোথাও চিহ্ন নেই। একটা বড় বাড়ি মতো দেখছিলাম, সেটাকে যদি
প্রাসাদ বলে ধরেও নেই, কোনও যুক্তিতেই তাকে হলুদ বলা চলে না। বড়জোর ঘিয়ে রং। ফৌজি
বলল, আরে জার্মানরা নিশ্চয় এটাকেই হলুদ বলে। আমি আর হেবা বললাম, ভ্যাট্, একটা
গোটা জাত কি কালার ব্লাইন্ড হতে পারে? এসব তর্কবিতর্ক চলছে এমন সময়
লাঠি ঠুকঠুকিয়ে এক ঠাকুমা সামনে এসে পড়লেন। ঠাকুমার কাছে ইংরিজি ডয়েশ মিলিয়ে জানা
গেল, লোকে এখন ওই বাড়িটাকেই প্রাসাদ বলে জানে বটে, কিন্তু একসময় ওটা ছিল বাংকার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন অর্ধেক বন শহর বোমা পড়ে উড়ে গিয়েছিল তখন বাকি
অর্ধেকের বাসিন্দারা ও’রকম বাংকারেই মাসের পর মাস বাস করেছে। ঠাকুমার মাও নাকি
তাদের মধ্যে ছিলেন। বলে ঠাকুমা মিষ্টি হেসে আবার নিজের পথে চলে গেলেন।
যুদ্ধের কথা এসে পড়ায় আমরা তিনজনেই কী রকম ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আমরা কেউই কখনও
যুদ্ধ দেখিনি, দেখব যে সে আশাও করি না, কাজেই বাংকার-টাংকারের নাম শুনলে বুক
কাঁপে। চুপচাপ রাস্তা চলতে লাগলাম। ক্লান্তও লাগছিল। প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে হাঁটছি।
এর মাঝে আরও একবার ফ্রাউ শ্প্রিংগার চলন্ত সাইকেল থেকে হাত নেড়ে গেছেন, কিন্তু
বাকি ক্লাসমেটদের চিহ্নমাত্র নেই। কাঁধের ব্যাগটা ক্রমশ অসহ্য ভারি হয়ে উঠছিল।
সত্যি বলতে, আর ভালো লাগছিল না। মনে হচ্ছিল এবার পৌঁছলে বাঁচি।
দুপাশে বাড়ির সংখ্যা কমে গাছের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছিল। দেখতে দেখতে আমরা বনের
ভেতর ঢুকে পড়লাম। এবার নুড়িও নয়, স্রেফ মাটির পথ। নরম কাদায় পা সামান্য দেবে
যাচ্ছিল। পথের পাশে গাছের ছায়ায় কাঠের বেঞ্চি পাতা। দেখলেই বসে পড়তে লোভ হয়।
কিন্তু বসলে চলবে না। প্রশ্নপত্র ক্রমশ শেষ হয়ে এসেছে। এত কষ্ট করে শেষটায় হাল
ছেড়ে ফেল মারার মানেই হয় না।
এইসব ভাবতে ভাবতে, একে অপরকে উৎসাহ দিতে দিতে চলেছি, এমন সময় দেখি উল্টোদিক
থেকে এক হিপি আসছে। নোংরা চেহারা, জটা পাকানো চুল, পিঠে একটা প্রকাণ্ড রুকস্যাক।
আমাদের দেখে মিষ্টি হেসে হিপি বলল, সে নাকি সুদূর রেগেন্স্বার্গ থেকে এসেছে।
জার্মানির দক্ষিণ পূর্বের বাভারিয়া জেলার নাম কি শুনেছি আমরা? রেগেন্স্বার্গ হল
সেই বাভারিয়ার এক শহর। হাইকিং করতে বেরিয়ে রাস্তা গুলিয়ে ফেলেছে, জঙ্গলের বাইরে
বেরোনোর রাস্তা যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে সে বর্তে যায়।
বুঝুন অবস্থা। আমাদের রাস্তা কে দেখায় তার নেই ঠিক, আমরা আবার লোককে রাস্তা
দেখাব। কিন্তু এতখানি পথ একা একা পেরিয়ে এসে আমাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল, কাজেই
আমরা তিনজনে মিলে হিপিকে গুছিয়ে পথ বাতলে দিলাম।
রেশ্ট্? ডেন লিংকস্। ফুস্ ফুর ফুন্ফ্সেন মিনুটেন। উন্ড সি কানেন ডি
স্ট্রাসে সেহেন।
মাত্র পনেরো মিনিট? হিপির মুখ আশায় জ্বলজ্বল করে উঠল। না জানি কতক্ষণ ধরে
হাঁটছে বেচারা। আমরা হ্যাঁ হ্যাঁ বলে, হিপির পিঠটিঠ চাপড়ে দিলাম। সে আবার হাঁটা
লাগাল।
আমাদের রাস্তাও ফুরিয়ে এসেছিল। আরও মিনিট দশেক হাঁটার পর বাকিদের সঙ্গে দেখা
হয়ে গেল। আমরা যেখানে এসেছিলাম সেটা হচ্ছে একটা অরগ্যানিক ফার্ম। ভেতরে ঢুকে
ফোটোটোটো তোলা হল। প্রাইজ হিসেবে ফ্রাউ শ্প্রিংগার আমাদের সবাইকে চকোলেট আর
বিস্কুট খেতে দিলেন। খেয়েদেয়ে, ছবিটবি তুলে আমরা সবাই বাড়ি চলে এলাম।
খুব ভালো কাটল দিনটা। শারীরিক কষ্টের মধ্যে যে একটা আনন্দ থাকে, সেটা তো টের
পাওয়ার সুযোগ হয় না আর আমাদের, অনেকদিন পর সেই আনন্দের স্বাদ পেয়ে মন ভালো লাগছে
বেশ। তাছাড়া পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়ার ভালোলাগাটাও আছে। মনের কোণে শুধু
একটাই আবছা দুশ্চিন্তা মাঝে মাঝে ঘুরে ঘুরে আসছে, বাভারিয়ার হিপি বন থেকে বেরোনোর
রাস্তা খুঁজে পেয়েছিল কি না।
চোট্টামো kothata kotodin bade sunlam.. :)
ReplyDeleteএই শব্দটা আমাদের ছোটবেলার প্রধান পাঁচটা শব্দের মধ্যে পড়বে, বলুন সৌমেশ। ছোঁয়াছুঁয়ি, কুমিরডাঙা, লুডো, চাইনিজ চেকার, যাই খেলা হোক না কেন, এই শব্দটার হাত এড়িয়ে পালানো মুশকিল ছিল।
Deletebah!ki darun porikkha :-) chocolategulo to just fatafati ..
ReplyDeleteচকলেটটা খেতে যা ভালো ছিল না রে তিন্নি...আমি কিন্তু পুরো বাক্সটা খাইনি। শুধু ছবি তোলার জন্য পুরো বাক্সটা কোলে নিয়ে বসেছিলাম। (আমি মোটে চারটে খেয়েছি।)
Deleteuff abar lobh dekhacche :-(
Deleteআমি যখন অবান্তরের জন্য হেদিয়ে মরছি আর শেষ পর্যন্ত ভাবছি মেয়েটার কি অসুখ করল? তখনই এই অদ্ভুত পরীক্ষা বিবরণ। প্রথমেই মনে হল, ওরে বাবা!কিন্তু পরে? কি অসাধারণ এই পরীক্ষা পদ্ধতি!যদিও দেড়্ঘন্টা্র ওপর ধরে তোমার স্নায়ু নিয়ে বেশ ধ্বস্তাধ্বস্তি হল,কিন্তু সত্যি বল, বনের পথ, আপেলের কুঁড়ি - এসব কি বাকি জীবন মনে রাখার মত নয়? আর এইরকম পরীক্ষা কি কখনও দিয়েছ? তারপর চলার পথে বা শেষে আমাদের দেশের কোন টিচার ছাত্রদের পেটের কথা মনে রাখেন? তবে পুরো প্রক্রিয়াটা কি হ্যাপার রে বাবা। আমি হলে কি সব ছেড়ে দৌড় লাগাতাম? মনে হয়।
ReplyDeleteযার পাশে দাঁড়িয়ে এত উজ্জ্বল মুখে ছবিটা তুললে, সে ছাড়া কি আর কেউ ছিলনা সেখানে তোমাকে ধন্য করার জন্য? তোমার কি বৃষ রাশি? যাই হোক, ছবিগুলি খুব ভালো লেগেছে। তোমার বাকি দিনগুলিতেও আরো নানারকম সুখস্মৃতি জমা হোক, এই চাই।
মালবিকা, আমি আপনাদের জন্য কী রকম হেদিয়ে মরছিলাম যদি জানতেন। আমারও পরীক্ষাটা খুব ভালো লেগেছে। কতকিছু শেখা হয়ে গেল, অথচ শেখার কষ্টটুকু করতে হল না। দায়ে পড়ে রাস্তা জিজ্ঞাসা না করতে হলে তো আর আমি যেচে জার্মান ঠাকুমার সঙ্গে কথা বলতে যেতাম না, যেতাম কি? না জানি কে কী মনে করবে ভেবে বাসে জানালার দিকে তাকিয়ে বসে থাকতাম। আমি ভেবেছিলাম জার্মানরা মোটে কথা বলতে চায় না, কাল আমার সে ভুল ভেঙে গেছে। যাকে যা জিজ্ঞাসা করেছি, একের বদলে দশটা কথা বলে তাঁরা সাহায্য করেছেন।
Deleteআমার বৃষরাশি নয় মালবিকা। কিন্তু এই বৃষটির এমন রাগী মুখখানা ছবিতে ধরে রাখতে ইচ্ছে হল। আর মানুষ ছাড়া ছবি আমার ভালো লাগে না, তাই নিজেও দাঁড়িয়ে পড়লাম।
ami tomar porikkha poddhoti ar porikkhoker fan hoe gechhi
ReplyDeleteআমিও সোহিনী, হাই ফাইভ।
Deleteপরীক্ষা পাশের অভিনন্দন, আমার তরফ থেকে একটা আইসক্রিম খেয়ে নেবেন। আপনার ডয়েশ ক্লাসের গল্প গুলো পড়ে Mind Your Language-এর এপিসোডগুলোর কথা মনে পড়ে! একটা শোনাই -
ReplyDeleteমিস্টার জেরেমি ব্রাউন (শিক্ষক)ঃ Max, please construct a sentence using the word indisposition
ম্যাক্স (ছাত্র)ঃ Every Sunday, I play football. I play as the goalkeeper, because I like to play indisposition
আপনাদের ক্লাসের কিছু মজার ঘটনা একদিন শোনান না!
হাহাহা, থ্যাংক ইউ দেবাশিস। আচ্ছা শোনাব নিশ্চয়।
Deletehan, eta besh english-vinglish movie tar moto ekta series hobe... bhalo hobe.
Deleteউফ আমি পাগল হয়ে যাবো পুরো ব্যাপারটাই জমে ক্ষীর।
ReplyDeleteমিঠু