ওদের কথা



ওদের একজনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল অ্যাডমিশন অ্যাসিস্ট্যান্স বুথে, একজনের সঙ্গে এয়ারপোর্টে ঢোকার মুখে, একজনের সঙ্গে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে, একজনের সঙ্গে আবছা আলো জ্বলা দুপাশে সারি সারি বন্ধ দরজাওয়ালা গ্র্যাজুয়েট ডর্মের একটা সরু করিডরে।

আরেকটা কাকতালীয় মিল, ওদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল একটা না একটা ক্রাইসিসের মুহূর্তে। টেনশন, বুক ধুকপুক, ঘামে শার্টের কলার স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাওয়া মুহূর্ত। সীবলীকে আমি প্রথম দেখতে পাইনি, ও আমাকে দেখেছিল। একগাদা মার্কশিট বুকে জাপটে ধরে দাঁড়িয়ে ঘামছিলাম, এগিয়ে এসে শান্ত হেসে জিজ্ঞাসা করেছিল, “বাঙালি?”

সুদীপ্তর সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্ল্যানপ্রোগ্রাম করে। একই বছরে একই জায়গায় যখন যাচ্ছি, তখন এক প্লেনে গেলেই তো হয়। একসঙ্গে টিকিট কাটা হল। তারপর ফোনে ঠিক হল এয়ারপোর্টে দেখা হবে। “কী করে চিনব?” “হুমমম” বলে মিনিটখানেক ভেবে সুদীপ্ত বলেছিল, “নীল রঙের জিনস পরে যাব আমি”। যদিও নীল জিনস দেখে চেনার দরকার হয়নি। ওপচানো ট্রলির সামনে দাঁড়ানো চশমার আড়ালে একজোড়া ঝকঝকে চোখ দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম। পনেরো ঘণ্টার যাত্রায় দুবার কথা হয়েছিল আমাদের। প্রথমবার “তুমি টমেটোটা খাবেনা? তাহলে আমি খেয়ে নেব।” আর দ্বিতীয়বার তর্জনী দিয়ে খোঁচা মেরে আমার ঘুম ভাঙিয়ে জানালা দেখিয়ে বলেছিল, “গ্রিনল্যান্ডের ওপর দিয়ে যাচ্ছে।” ঘাড় বাড়িয়ে দেখেছিলাম ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের নিচে যতদূর চোখ যায় সাদার মধ্যে ছোপ ছোপ বাদামি। এখনও ভ্যানিলা আইসক্রিমের ওপর চকোলেট সস ঢাললেই আমার গ্রিনল্যান্ডের কথা মনে হয়।

সোমশ্রী আমাদের নিতে এসেছিল। এয়ারপোর্টের বাইরে অপেক্ষারত একটা গাড়ির ভেতর থেকে মিষ্টি মুখ বার করে বলেছিল, “তুই নিশ্চয় কুন্তলা? আমি সোমশ্রী। আসতে অসুবিধে হয়নি তো।” হয়নি আবার? শিকাগোয় সবার লাগেজ এসে বুড়ো হয়ে গেল, আমারটার পাত্তা নেই। অন্যদের লাগেজ হারানোর রোমাঞ্চকর গল্প শুনেছি এতদিন, তা বলে কি আমারটাও হারাতে হবে? প্রথমবারেই? আমি এক্সরে দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে কনভেয়ার বেল্টের প্রতিটি খাঁজ ভাঁজ মুখস্থ করে ফেলছিলাম আর সুদীপ্ত নিশ্চিন্ত হয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। বলছিল, “আরে আসবে ঠিকই, যাবে আর কোথায়? ভেবনা।” সুদীপ্ত এখনও বলে, “ভেবনা। সব ঠিক হয়ে যাবে।”

এই পর্যন্ত লিখে আমি বান্টির দিকে তাকালাম। হাসিহাসি মুখে খটাখট চ্যাট করছে। বললাম, “ভেবে দেখছি একমাত্র তোর সাথেই প্রথম দেখা হওয়ার সময় আমার ধারেপাশে কোনো ক্রাইসিস ছিলনা।” বান্টি টাইপ না থামিয়েই বলল, “সে তোমার না থাকতে পারে, কিন্তু আমার ছিল। সবে প্লেন থেকে নেমেছি, মনে হচ্ছে রাস্তাতেই শুয়ে পড়ে পাঁচ মিনিট ঘুমিয়ে নিই, তখন সবাই চেপে ধরে বলছে এখন ঘুমোলে রাত্তিরে ঘুমোতে পারবিনা তার থেকে চল এক সিনিয়রের সঙ্গে দেখা করিয়ে আনি। ক্যাম্পাস উজিয়ে তোমার ডর্মে যেতে যেতে মনে মনে কত গালি যে দিয়েছিলাম তোমাকে যদি জানতে।”

আমি আর বললাম না যে আমিও দিয়েছিলাম। শনিবার দুপুরের কাঁচা ঘুম ভেঙে সদ্য আসা ফার্স্ট ইয়ারের সঙ্গে খেজুরে আলাপ করতে হলে যে কেউ দেবে। অনেকদিন পর্যন্ত আমি বান্টিকে মনে মনে আমাদের গ্রুপে জায়গা দিইনি। তারপর একদিন কালবেলা ভালো না কালপুরুষ সেই নিয়ে গলাবাজি করে যখন টার্গেটসুদ্ধু লোকের ঘাড় ঘুরিয়েছিল বান্টি, সেদিন ওর পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলেছিলাম, জিতে রহো বাচ্চু। মনে মনে অফ কোর্স।

তারপর তো কত স্প্রিং এল, কত স্প্রিং গেল, কত ফুটবল গেমের আগে কত লোকে বরফজমা লেকে ঝাঁপ দিল, আমরা মাঙ্কিক্যাপ পরে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে তাদের উৎসাহ দিতে দিতে ফ্রিতে কত হট চকোলেটে চুমুক দিলাম, কত সরস্বতী পুজোর ফাংশান দেখতে গিয়ে হেসে খুন হলাম, কত ভেতো বাঙালি বাড়ির নিউ ইয়ার্স ইভের পার্টিতে গিয়ে চোখ কপালে তুললাম। আর এই করতে করতে আমাদের চারপাশের বৃত্তটা ক্রমশ ছোট হতে হতে আমাদের আষ্টেপৃষ্টে জাপটে ধরল। তাতে ক্ষতি কিছু নেই অবশ্য। আমাদের সত্যি সত্যিই একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ। বছরের পর বছর। এ এক অদ্ভুত আরাম। চুপচাপ বসে যে যার ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকি, মাঝে মাঝে কেউ উঠলে সবাই তাকে দিয়ে যার যা দরকার, কোকজিরো বা কাঠিভাজা হাতের কাছে আনিয়ে নিই, ব্যস, আবার যে যার খোলসে ঢুকে যাই। তবু ওইটুকু পাশাপাশি থাকার জন্য সারাসপ্তাহ অপেক্ষা জেগে থাকে। সময়ের সাথে সাথে একটুও কমে তো না-ই, বরং বাড়ে।

আসলে বয়স হচ্ছে তো, নতুন করে লোকজনকে ইমপ্রেস করে বন্ধুত্ব পাতানোর শক্তি, ধৈর্য, ইচ্ছে সবকটাই উধাও হয়েছে। যাদের হয়নি তারা শুক্রবার রাত্তিরে ক্লাবিং করতে যাক, আর্টগ্যালারি হপিং-এ বেরোক, কিংবা ক্যাফেতে বসে আলমোদোভর নিয়ে একে অপরকে সেমিনার দিক---আমরা ক্লান্ত ক’টি প্রাণ শুধু নিভুনিভু আলোতে কাছাকাছি বসে থাকব। চুপ করে থাকতে ভালো না লাগলে সিলিং-এর দিকে চেয়ে নিরুত্তাপ গলায় প্রশ্ন করব, “আচ্ছা টম ক্রুজ নেক্সট কাকে বিয়ে করবে বলে মনে হয়?

আঃ কী শান্তি।

Comments

  1. "আসলে বয়স হচ্ছে তো, নতুন করে লোকজনকে ইমপ্রেস করে বন্ধুত্ব পাতানোর শক্তি, ধৈর্য, ইচ্ছে সবকটাই উধাও হয়েছে" - আমার আপনার মত বয়স হয়েছে কিনা জানি না, কারন দাঁতে এখনও জোর আছে, এখনও পাঞ্জা লড়ায় গেঁড়ে-বল্টুকে হারাতে পারি, এখনও হাঁটতে গেলে লাঠি লাগেনা...কিন্তু এই নতুন বন্ধু পাতানোর ব্যাপারে ব্যাপারে আমি আপনার সঙ্গে এক্কেবারে একমত!

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক বাঁচা গেল, অমিত।

      Delete
  2. এরকম হওয়া দরকার... খুব দরকার। মন থেকে বলছি। হয়তো হবেও, সেরকমই চাই। বন্ধুরা আছে, এখনও ঘিরেই আছে, চারপাশে। কিন্তু কতজন আর কদ্দিন থাকবে তা তো জানি না। এদিকে বয়সটা বড্ডো দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে... ভাবিয়ে তুললেন দেখছি :(

    লেখাটা শেয়ার করলাম আমাদের দলে... পড়ে পাব্লিকের মন খারাপ হবে, আর আমায় গাল পাড়বে, তা পাড়ুক...

    আর শেষের এমন বোমা ফাটানো খবরটা বেমালুম মিস করে গেছি! এঃহে...

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই তো, তোমরা রাজনীতির খবর নিয়ে মাথা ঘামাবে, তেলচকচকে রঙচঙে সাপ্লিমেন্ট গুলো মুখ ভেচকে "কারা পড়ে বস" বলে চিমটি দিয়ে ধরে সরিয়ে রাখবে, আর টম ক্রুজের ডিভোর্সের খবরও পাবে, সব কী করে একসঙ্গে হবে বল সুনন্দ?

      Delete
    2. আরে না না, আমি খুব মন দিয়ে ওইগুলো পড়ি...পড়ি বললে ভুল হবে, দেখি :) রাজনীতি মোটেই পড়ি না... তাও কি করে জানি মিস করে গেছি... :(

      Delete
  3. বাহ্‌ বাহ্‌ বেশ ... ওদের কথা বললে না 'আমাদের'(মানে আমি ও আমার শুক্রবার রাতে আড্ডা দেওয়ার বন্ধুরা) কথা মাঝে মধ্যে গুলিয়ে যাচ্ছিল...

    ReplyDelete
    Replies
    1. সব কাছের বন্ধুত্বই একরকম দেখতে হয় কিনা সংহিতা, তাই বোধহয়।

      Delete
  4. Sesh ta kemon mone hochhe old age home-er katha hochhe. Fireworks-er dine e kemon depressing end?

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেকি রুচিরা তোমার বৃদ্ধাশ্রম ভালো লাগে না? আমি তো মুখিয়ে আছি কবে যাব।

      ডিপ্রেসিং লাগল? আমি তো পিসফুল বোঝাতে চেয়েছিলাম। আমার বন্ধুরা খুবই ইন্টারেস্টিং, প্রাণবন্ত, হাসিখুশি। কাজেই ডিপ্রেসিং লিখে তাদের ওপর অবিচারই করলাম হয়ত। অবশ্য ওরাই তো, কিচ্ছু মনে করবে না।

      Delete
    2. Klanto nibhu nibhu pran katha ta bhalo lageni! jader protyek saptahe ek jaigay jamayet hoar enthu achhe (ebong Tom Cruise-er bie bhangar khabor obdi rakhe) tader ke thik klanto tanto bhabte ichhe korlo na, nibhu nibhu to noi-i. Ei je clarify kore dile interesting, pranbanto, hasikhusi - byas nischinto!
      Cha-er cup tene boso, du mutho dalmut chanachur khao, jomie adda maro! Shanti-r jonno to sara jeebon pore achhe!

      Delete
    3. চায়ের সাথে ডালমুট পেলে অবশ্য ক্লান্তিটান্তি সত্যি সত্যি উড়ে যাবে রুচিরা।

      Delete
  5. eeish, bechara tom cruz khali divorce ar divorce.........kichudin oke nie rosikota na kuntala.......serious byapaar:P

    amar bondhuta suru hoy jhogra die..e kemon abichaar balo dekhi?

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ তার ওপর তিনি আবার সায়েন্টোলজিস্ট, কুপিত হয়ে হিংস্র এলিয়েন-দের লেলিয়ে দিলেই গেছি আরকি।

      বন্ধুত্ব শুরু করার ওর থেকে শিওর শট রাস্তা আর হয়না সঙ্ঘমিত্রা। রাগ থেকে যেমন অনুরাগ, বিবাদ থেকে তেমনি বন্ধুত্ব। (চরম খারাপ হল লাইনটা কিন্তু কিছু মনে করোনা।)

      Delete
    2. Ke "kupito hoye hingsro alien der" lelabe seta ami bujhlam na jodio, kintu ei montobyo ta korar jonye tomay onek ashirbad korlam :D Ami ekhon loker opor "kupito" holei "hingsro alien" lelabo.... darun hobe byapar ta. Etodin ami sudhu "Bunip" (Ref: Chander pahar) diyei kaaj sharchilam. Kintu unlike Bunip, alien ra air cover ditey parbe :D

      Delete
    3. আরে সায়েন্টোলজি বলে একটা ধর্ম আছে না? টম ক্রুজ যে ধর্মে দীক্ষিত? সেই ধর্মে বলে এই যে চারদিকে যা যা দেখছ, পৃথিবী মানুষ সভ্যতা এ সবই এসেছে এলিয়েনদের দয়ায়। অবশ্য সায়েন্টোলজিস্টদের নিজেদের ধর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা মানা তাই এর থেকে বেশি কিছু জানা যায়না। তাই বললাম টম ক্রুজ যদি জানতে পারে আমি ওর ডিভোর্স নিয়ে মশকরা করছি তাহলে রেগে গিয়ে হিংস্র এলিয়েনদের লেলিয়ে দিতে পারে।

      বুনিপও লেলিয়ে দেওয়ার জন্য ভালো চয়েস তবে তুমি ঠিকই বলেছ রিয়া। এয়ার কভারের জায়গাটায় বেচারা মার খেয়ে যাবে।

      Delete
  6. এবাবা, কীর'ম সেই "ইন্টু দ ওয়ইল্ড" সিনেমাটার শেষটার কথা মনে পড়িয়ে দিলি। কি ভয়ানক! আমি এই বয়সেও, চরম অন্তর্মুখী হওয়া সত্ত্বেও চালিয়ে যাচ্ছি নতুন বন্ধুত্ব-টন্ধুত্ব নিয়ে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. গুড। তার মানে তোমার জীবন একেবারেই বোরিং নয়।

      Delete
  7. Eder modhye amar sobtheke pochhondo hoyechhe Sudipto ke. Karon amio tomato khete bhalobashi. :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা বিম্ববতী, পছন্দের লোক বাছার ভালো তরিকা তো।

      Delete
  8. Eki sudhu era charjon keno. Oder ki holo ? Oi jara tomar Friday addar sangi.

    Tomar last para'r sathe ekdom ek mot. Amar mone hoy shobar i ek byapar, eita mokkhom bujhechilo amader Mark. Duto status likhe impress korar moton nirjhonjhat upar ar ki ache.

    ReplyDelete
    Replies
    1. একমত হওয়াই তো ভালো বং মম।

      Delete
  9. Ami bhabchilam amar erokom situation guloy kader sange dekha hoyechilo...ami plan kore ticket na katleo, ekti meyer sange same flight e ashbo jantam. Chicago obdi tar sangei chilam...amar suitcase thik i ashchilo oboshyo, majhe er Iranian bhadrolok er suitcase ashchilo na bole ami take besh sahosh dichhilam :P Amake jara airport theke nitey gechilo tara oti bhalo lokjon - Pune'r ekti husband-wife juti, oto bhalo, helpful manush ami khub kom dekhechi. "Bangali?" bole ekjoner sange alap hoyechilo pore, shey kintu amay khete dakbe bole khete dakeni konodin. International student der sange erokom achoron oti gorhito aporadh. Aro onek odbhut somoye oneker sange dekha, ekjon er sange cycle er chakay haoya bhora theke bondhutwo, karur sange airport e suitcase dekhe, keu abar plane e katha bole, kader sange "badminton group" banano...onek sob lokjon. Tobe amar lokjon bhalo lagey bole boyesh-toyesh er patta dii na. Kalkeo to paray July 4th grill holo "neighborhood block party" te...tateo besh onek notun lok paoya gelo alap korbar :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাপরে রিয়া, তুমি একেবারে প্রথমবার গিয়েই বাকি সবাইকে সাহস দিচ্ছিলে! আমি তো বোবার মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম। হ্যাঁ অ্যাডমিশনের সময় লোকে যে কী পরিমাণ সাহায্য করে না দেখলে ভাবা যায় না। পরের ঘটনাটাতেও একমত। এ আবার কী অসভ্যতা। গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টকে নেমন্তন্নের গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া? দেখ না কী হয় ওর।

      বাঃ ব্লক পার্টিতে খুব মজা হল নিশ্চয়। গুড গুড।

      Delete
    2. Or ki holo seta ami jante parlam na jodio, kintu asha kori or besh kharap kichui hobe (pa mochke jabe, pet e byatha, daant konkon, esob hobe).
      Ami to sahosh deyar jonye bikhyato. Amay dekhei naki loke mone sahosh paye, bhorsha paye, loker office ashte bhalo lagey :D Amay dekhe na amar daant keliye hashi dekhe, seta jani na oboshyo :P Tobe ami nije majhe majhe sahosh chai. Ekhon jemon, kichudin ektu subdued achi.
      Block party byapok holo. Paal paal lok elo...amader ek FBI agent neighbor sobar jonye mangsho grill korlo. Amra gola porjonto theshe khelam tarpor raat 10:45 obdi baji porano dekhlam footpath e boshe boshe. Baji poralo bomb squad er t-shirt pora ek police kaku shey abar "explosive expert". Amader paray kara thake bujhtei parcho! Tobe eder modhye star attraction chilo ekjon 6 months boyesh er bhadrolok. Shey sobar bhishon priyo, tar naam Nolen :)

      Delete
    3. Oh ha, bolte bhule gechi - "Dhono dhanye pushpe bhora" ar "aye mere watan ke logon" type gaan er markini songoshkoron shunlam boshe boshe... bhaloi laglo :D

      Delete
    4. সর্বনাশ, FBI এজেন্ট আর explosive expert! কাদের মধ্যে থাক গো রিয়া! নিশ্চয় রাতে শান্তির ঘুম আসে? নোলেন নামটাই এত মিষ্টি লোকটা না জানি কত মিষ্টি হবে।

      এত দূর থেকে পাঠানো সাহস তোমার কাজে লাগবে কিনা রিয়া জানিনা, তবু বলছি, Chin up, chest up রিয়া। তোমাকে এছাড়া আর কিছু মানায় না। সব কেটে যাবে।

      Delete
    5. Hmm...sahosh sob jayga theke elei kaje ashe...ashole amar nijer haate e kichui nei...thakle chinta kortam na. Ja ja amar korar ache tai kori, tarpor ar "pholer asha korbo na"... :)

      Delete
    6. একদম রিয়া। আমার শুভেচ্ছা রইল।

      Delete

Post a Comment