জোলার গল্প
-মা, একটা গল্প বল না।
-এক দেশে মালতী নামের এক মেয়ে ছিল।
-না না, মালতীর গল্প বিচ্ছিরি, অন্য গল্প বল।
-আচ্ছা, এক দেশে দুই বন্ধু ছিল। তাদের একজনের নাম সেরিবা আর আরেকজনের নাম সেরিবান।
-তারা মাথায় ঝুড়ি চাপিয়ে বাসনকোসন ফেরি করে বেড়াত, আর সেরিবা যেমন বদমাশ ছিল, সেরিবান তেমন ভালো লোক ছিল। ও গল্পটাও আমার মুখস্থ আছে। নতুন গল্প বল।
-উম্ম্ম্, আচ্ছা শোন্। অনেককাল আগে এক দেশে এক বোকা জোলা ছিল।
-জোলা কী?
-মুসলমান তাঁতিকে জোলা বলে। এটাও জানিস না? রামোঃ।
-আচ্ছা আচ্ছা, তারপর সেই জোলার কী হল বল।
-জোলা একদিন বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে...
-কোথায়?
-সে আমি কী জানি, যাচ্ছে কোথাও একটা। হয়তো মহাজনের থেকে টাকা ধার নিয়েছিল, শোধ দিতে যাচ্ছে। কিংবা রাজবাড়িতে রানিমার মসলিন শাড়ির অর্ডার সাপ্লাই দিতে যাচ্ছে।
-তারপর?
-বন বেশি বড়ও নয়, আবার বেশি ছোটও নয়। এই ধর্ মাঝারি সাইজের। হেঁটে পেরোতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। জোলা সেদিন সকালে উঠে বউকে বলল, “বউ, আমাকে কয়েকটা পিঠে বানিয়ে দিয়ো তো, যদি পথে যেতে যেতে খিদে পায় তো গাছের তলায় আরাম করে বসে খাব।” বউ আকাশ থেকে পড়ে বলল, “ওমা, এইটুকু তো পথ, যাবে আর আসবে। এর মধ্যে আবার টিফিন লাগবে নাকি?” জোলা কিছু না বলে গম্ভীর মুখে ব্যাগ গোছাতে লাগল। জোলার বউও আর কথা না বাড়িয়ে গজরাতে গজরাতে যেমনতেমন করে চারটে গোলারুটি বানিয়ে পুঁটলি বেঁধে জোলার ব্যাগে পুরে দিল।
-গোলারুটি কী মা?
-সেকি রে? গোলারুটি খাসনি কখনও? আচ্ছা সামনের শনিবার তোকে টিফিনে দিয়ে দেব। দারুণ খেতে। গোল গোল, মিষ্টি মিষ্টি।
-আচ্ছা, তারপর কী হল?
-হ্যাঁ। জোলা তো স্নানটান করে, ভাতটাত খেয়ে, টিফিনবাক্স ব্যাগে মনে করে ঢুকিয়েছে কিনা ভালো করে পরীক্ষা করে দেখে, খুশি হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বনের পথ ধরল।
-জোলাটার ভয় করল না?
-আরে ধুর, বন নামেই বন, বাঘভালুকও নেই, চোরডাকাতও না। দিব্যি গাছেগাছে পাখি ডাকছে, ডালেডালে ফুল ফুটেছে, চারদিক আলোয় ভেসে যাচ্ছে। জোলা মহাফুর্তিতে হাঁটছে হাঁটছে, হঠাৎ সিকিভাগ পথ পেরোনোর পর......সিকি মানে কী বল্ দেখি?
-পঁচিশ পয়সা, মা?
-গুড। তবে সিকির আসল মানে একের চার ভাগ। এক টাকায় একশো পয়সা, আর একশোকে চার দিয়ে ভাগ করলে হয় পঁচিশ। তাই পঁচিশ পয়সাকে সিকি বলে। হ্যাঁ, যা বলছিলাম। গোটা বনটাকে চারভাগ করলে যতটা হয়, তার একভাগ পথ পেরিয়ে এসে জোলার হঠাৎ কেমন কেমন মনে হতে লাগল।
-মাআআআ, ভূতের গল্প কেন বলছওওওও?
-আঃ সোনা, ঘোর সকালে ভূত আসবে কোত্থেকে। আসলে জোলাটা ছিল ভীষণ পেটুক। একথালা ভাত খেয়েছে এই মিনিটকুড়ি আগেই, কিন্তু মনেমনে যেহেতু জানে যে ব্যাগের ভেতর গোলারুটি আছে, তাই তার কেবলি মনে হতে লাগল, উফ্ কতটা পথ রোদ্দুরে হেঁটে ফেললাম, এখন একটু কিছু পেটে না পড়লে আর চলছে না।
-হি হি।
-যেই না ভাবা, অমনি জোলা একটা গাছের তলায়, ফর্সা একটুখানি মাটি দেখে বাবু হয়ে বসে কাঁধের ব্যাগ থেকে টিফিনবাক্স বার করল। তারপর সেই টিফিনবাক্স খুলে একখানা নরম দেখে গোলারুটি হাতে তুলে, চক্ষু মুদে, ইয়াব্বড় দুই কামড়ে রুটিখানা পেটে পুরে ফেলল।
-হি হি হি।
-একটা রুটি খেয়েও তার শখ মিটল না। টপ করে আরেকটা রুটি তুলে গপগপ করে খেয়ে ফেলল। খেয়ে ফেলেই তার ভয়ানক আফসোস হল। ইস, এখনও কতটা পথ যেতে হবে, দুটো রুটি অলরেডি ফুরিয়ে গেল। যাওয়ার বাকি পথটুকু আর ফেরার পুরো পথটুকু মাত্র দুটো রুটি দিয়ে তাকে চালাতে হবে। ভাবতেই বউয়ের ওপর জোলার ভয়ানক রাগ ধরে গেল। কিপটে বউ, হাত খুলে একটু গোলারুটি পর্যন্ত টিফিনে দিতে পারে না।
-তারপর কী হল?
-জোলা বিরসবদনে টিফিনবাক্স ব্যাগে পুরে, ব্যাগ কাঁধে ফেলে হাঁটতে শুরু করল। যত হাঁটে, রোদ যত বাড়ে, জোলার রাগ তত চড়ে। আর রাগ হলেই খিদে পায় জানিস তো?
-কই আমার তো পায় না?
-বড় হলে পাবে, দেখবি। শেষে খিদের চোটে জোলা আর এক পাও চলতে পারল না, রাগে ফোঁসফোঁস করতে করতে টিফিনবাক্স খুলে আরও একটা রুটি বার করে হাঁউমাঁউ করে খেয়ে ফেলল। কিন্তু...
-আমি জানি আমি জানি তারপর কী হল...
-কী হল বল্ তো?
-এই তিননম্বর রুটিটা খেয়েও জোলার রাগ পড়ল না, তখন ও বাকি রুটিটাও হালুমহুলুম করে খেয়ে ফেলল।
-ভেরি গুড। উফ্ আমার সোনার কী বুদ্ধি। কিন্তু যেই না খাওয়া অমনি জোলার পেট এমন ভরে গেল যে জোলা আর একটি পাও চলতে পারল না। তখন সে ওই বনের মধ্যেই ধপাস্ করে বসে পড়ে হাত পা ছড়িয়ে, জলহস্তীর মতো হাঁ করে, ভ্যাঁ কান্না জুড়ল।
-কাঁদল কেন মা?
-কেন বুঝতে পারছিস না তো?
-উঁহু।
-জোলাটা হাপুসনয়নে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল, ইস্স্ আমি কী বোকা, আগের রুটিগুলো খেয়ে আমার একটুও পেট ভরল না, যেই এটা খেলাম অমনি ভরে গেল। আমি যদি বুদ্ধি খাটিয়ে এই রুটিটা আগে খেতাম তাহলে আমার পেটও ভরে যেত, আর বাকি রুটিগুলোও বাজে খরচ হত না, ভ্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁ......ব্যস গল্প শেষ। এবার ঘুমোও সোনা, অনেক রাত হয়েছে।
*****
আজ যখন মার্কেটের মুখে অটো থেকে এসে নামলাম, তখন আমার অবস্থা প্রায় জোলারই
মতো। খিদে পাওয়ার কোনও কারণ নেই, বেলা চারটের সময়ই পার্লে জি দিয়ে চিকুর বানানো কফি
খেয়েছি, অথচ খিদের চোটে মাথা ঘুরছে। মা থাকলে বলতেন, এ হল দুষ্টুখিদে। এ খিদে জব্দ
করার উপায় হচ্ছে, এক বড় গ্লাস দুধে কমপ্ল্যান গুলে মুখের সামনে এনে ধরা। খিদের
ঠাকুরদারও টিকিটি ত্রিসীমানায় দেখা যাবে না আর।
আমার কপাল খারাপ, আর দুষ্টুখিদের কপাল ভালো যে দুধের গ্লাস হাতে মা সামনে
দাঁড়িয়ে নেই। উল্টে মার্কেটের এদিকেওদিকে ঝালমুড়ি, ফুচকা, ঘুগনি, রোল নিয়ে সবাই
উদগ্রীব হয়ে যেন আমার অপেক্ষাতেই দাঁড়িয়ে আছে।
অটোতে বসেই আলুকাবলির কথা মনে পড়ে জিভে জল এসে যাচ্ছিল, কাজেই আমি প্রথমে
সেদিকেই পা বাড়ালাম। দেখি ফুচকাওয়ালা এক ব্যাচ ফুচকা দেওয়া সবে শুরু করেছেন, সে
সবের পাট চুকিয়ে আলুকাবলি বানিয়ে আমাকে দিতে দিতে তাঁর ঢের দেরি আছে। আমি আর তর
সইতে না পেরে ফুচকার লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম।
ফুচকা খাওয়া হল। আলুকাবলিও বাদ পড়ল না। কিন্তু দুষ্টুখিদে তখনও ভুরু কুঁচকে,
বুকের ওপর দুইহাত কাটাকুটি করে দাঁড়িয়ে পায়ে তাল ঠুকছে। আমি আমতাআমতা করছি দেখে সে
আমার কান ধরে গোপালের রোল কর্নারের সামনে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিল।
আর যেই না আমি এগরোলটা শেষ করে টিস্যু দিয়ে মুখটুখ মুছে সেটাকে মুড়িয়ে তাক করে
ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলেছি, অমনি দেখতে দেখতে আমার পেট ভরে প্রায় জয়ঢাক হয়ে উঠল। আমি
আর ওইটুকু পথ হেঁটে বাড়ি ফিরতে পারি না। কোনওমতে নিজেকে টেনেহিঁচড়ে,
সিগন্যালমিগন্যাল ভেঙে, গাড়ি চাপা পড়তেপড়তেও বেঁচে গিয়ে বাড়ির গলিটায় ঢুকে আমার
লক্ষকোটি বছর আগে শোনা জোলার গল্পটা মনে পড়ে গেল। এগরোলটা আগে খেলেই হত, ফুচকা আর
আলুকাবলিটা মিছিমিছি খেয়ে পেটের বারোটা বাজাতে হত না।
ভেবে আমার অত কষ্ট আর হাঁসফাঁসের মধ্যেও ভীষণ জোরে হাসি পেয়ে গেল। হাসিহাসি
মুখে দরজার তালা খুলে ঢুকতে গিয়ে একটাই আফসোস হচ্ছিল। মা আমাকে সেদিন অমন সুন্দর
জোলার গল্পটা শুনিয়েছিলেন, আর আজ সেই গল্পটার এমন সুন্দর, লাগসই উদাহরণ পেয়েও আমি
গল্পটা তাঁকে শোনাতে পারব না।
ish kuntala di, tomar blog aar porbo na jao :((
ReplyDeleteekta-e khali shantona, delhi r phuchka alu kabli nishchoi kolkata r dhare kache hobe na ..!
সেকিইইই কেনওওও...এ রকম করলে আমি তো দুঃখে বিছানা ছেড়ে উঠতে পারব না পরমা। অন গড ফাদার মাদার। আহা, সে কলকাতার মতো আর কী করে হবে...তবে ওই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আরকি।
Deleteishh....momo, dry chilly chicken aar notun gurer payesh er pala sharte na shartei hurmuriye eshe porlo egg roll phuchka aar alu kabli!! achha, jara bagel-cream cheese aar soup khete khete eishob porchey tader proti "bahut na-insafi" hochhe na ki?!!!
ReplyDeleteকিচ্ছু না-ইনসাফি হচ্ছে না। তুমি যে পিটার্সবার্গ আর প্যারিস ঘুরছ, সে বেলা কী? কিন্তু তুমি আজকাল আমাকে আর নতুন গোয়েন্দা বইয়ের সন্ধান দিচ্ছ না শম্পা, এটা কি ভালো হচ্ছে? শিগগিরি একটা বই বল তো ক্ষমা করে দিতে পারি।
Deleteachha achha, bujhlam!
Deletepayesh nei tow ki hoyechey, petersburg tow achey,
aar pyanji nei kintu paris achey...
tobe bhabo tow paris e seine e dhare boshe pyanji khele kemon hoy...ba petersburg e thanday, bairer borof dekhte dekhte, hotel room e payesh in phulkata steel bati!!
notun goyenda muzzafar ali....boi madhulika liddle 'r "engraved in stone." tobe parle muzzafar ali ke an englishman's cameo aar eight guest e dekhe nio.
arekjon goyenda britisher Joseph Sandilands, posted in Calcutta (yes, sir) in the year 1922. Parle pore dekho, in "the last kashmiri rose"!
Deleteদাঁড়াও দাঁড়াও, টুকে নিই। কলকাতার গপ্পটা তো পড়তেই হচ্ছে। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ শম্পা।
Deletehahaha...modern mohila jola..
ReplyDeleteসেটাই।
Deleteha ha ha, darun lekha.
ReplyDeleteeirakom dustu khide ami kichhutei katie uthte na pere ojon bariei cholechhi .
ও ঠিক আছে, ইচ্ছাডানা।
Deleteei dustu khide to amar sarakhhon i pay. er kobole pore amar notun abishkar holo office er pashe Lamarts er samne bosha kul-dadu. besh black black kul er achar dey with lots of noon... aaahhh.. besh pet dhaush hoy na but mon bhore...
ReplyDeleteবাঃ বাঃ, দারুণ স্ন্যাকস্ তো সোহিনী, হেলদি অ্যান্ড টেস্টি।
Deletekhub bhalo lekha..:-).roj sandhebela amaro ei dushtukhide pay...samner bakery theke cake pastry kheye mon shanto kori,roll to paoa jayna :-(tabe kakhono kakhono barapao,parar dokaner narkel kulfi kimba hangla theke order kara mutton roll esabo chale :-)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ তিন্নি। কেক পেস্ট্রিও গোলারুটি হিসেবে ভালোই।
DeleteAmar bikel e 3:30 r pore ekta "chips khide" paye. Tokhon ami ek tolar vending machine theke lays er classic salted ta niye khai. Ar konodin ota na thakle haat-pa chhure emon ragaragi kori je amar office er lokjon ebar jonmodine ekta boro bag er lays diyechilo :) Seta sesh hoye geche, ekhon nijei ekta boro bag kine enechi. Seta cabinet theke ber kore kutkut kore khai :)
ReplyDeleteহাহা রিয়া, হাই ফাইভ। আমারও এক্স্যাক্টলি ওই সময়টাতেই 'কুড়কুড়ে খিদে' পায়। তোমার কোলিগরা কিন্তু রসিক লোক মনে হচ্ছে।
Delete"Dushtu khide".......fatafati diyecho......shotti koto kichur jonnoi to amader dushtu khide paye....shei Je ekadhik prem namanor golpo bolbe bolechili.....bhishon "dushtu khide" pacche....;-p...
ReplyDeleteদুষ্টুখিদেকে ফাইট দিয়ে লাভ নেই রণিতা। আমি তো অবধারিত হারি। তুমিও কিছু খেয়ে নাও।
Deleteওহো প্রেমের গপ্প বলব বলেছিলাম, না? দাঁড়াও দেখি কী করা যায়। আসলে মুশকিল কী বল তো, এক হাতে তো তালি বাজেনি, লিখতে হলে অন্য হাতগুলোর কথাও লিখতে হবে। তারপর তাঁরা যদি আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠোকেন তাহলেই গেছি আরকি। দেখি রেখেঢেকে যদি লিখতে পারি, নিশ্চয় লিখব।
আমার যে খিদেটা পায়, তার নাম ডানপিটে ওরফে বদ ওরফে মহাশয়তান খিদে। আকারে প্রকারে দুষ্টুরে সঙ্গে এর মিল থাকলেও, পার্থক্য হলো, কোন রোলেই এর শান্তি হয় না। বোকা জোলা 'মোটা' জোলায় অতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকে। তারপর একদিন ডাক্তার বলেন- এতদিন 'বদ' সঙ্গ করায় 'ভাল', 'শান্ত' কোন খিদেই আর ভাল নেই। সব
ReplyDeleteশরীর-সমাজবিরোধী খিদে হয়ে গেছে। অতএব অতীতের রোগা, আপাত-ভদ্র, নিরুপায় জোলা গডফাদারের পাচিনোর মত কুখ্যাত খাবার-মাফিয়ায় রূপান্তরিত হয়। সিনেমার শেষে দেখা যায়, বার বার "আর খাবিনা তো?" প্রশ্নের উত্তরে বৌকে "নাহ্ " উত্তর দেওয়া জোলা মধ্যরাত্রে ফ্রিজের দরজা খুলে দাঁড়িয়ে, গুচ্ছের হাই-ক্যালোরি খাবার তার হাতে চুমো দিচ্ছে, আর হতবাক বৌ সেই দৃশ্য চিত্রার্পিত হয়ে দেখে চলেছে।
The End
:P
বাঃ দারুণ গল্প তো সুনন্দ। মাথায় রেখে দাও, পরে কোনওদিন সময়মতো একটা স্ক্রিপ্ট নামিয়ে ফেলো।
DeleteKhub bhalo galpo. Kintu poRe monta dukhi-dukhi hoye gelo, karon oi dushtu-khideta amaro paay, ar thik oi samayta tei ami gym jaai, ar tarpor rakkhoser moton khide peleo dinner er aage kichhu khaaina. Ojon komanor jonyo ki na korte hochchhe! Jaghonyo.
ReplyDeleteআরে আরে কষ্ট করুন কেষ্ট মিলবে সুগত। আপনার প্রতি আমার সমবেদনা রইল।
Deleteধুত কেষ্ট দিয়ে কি হবে? রাধা হলে তাও মানে ছিল ...
Delete