Things I am Loving
১. তালাশ সিনেমায় রাম সম্পথের সংগীত। সিনেমাটা হলে গিয়ে দেখেছি, রানি মুখার্জিকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি, লাস্ট সিনে করিনা কাপুরের ভূত মৎস্যকন্যা হয়ে এসে আমির খানের প্রাণদান করছে দেখে হোহো করে হেসেওছি, কিন্তু এতসব করতে গিয়ে গানগুলোর দিকে আর ঠিক করে নজর দেওয়া হয়নি। তারই প্রায়শ্চিত্ত করতে এখন সারাদিনরাত সে গান কানের ভেতর লুপে বাজছে। চেনা লোকেরা আমার আদিখ্যেতা দেখে ঠোঁট বেঁকাচ্ছে। বলছে এর থেকে ভালো কত গান তো হয়েছে হিন্দি সিনেমায়, আরও কত হবে। হয়তো ঠিকই বলছে, কিন্তু আমার এতেই মন মজেছে। রাম সম্পথের নিজের গলায় “লাখ দুনিয়া কহে” আর সোনা মহাপাত্র এবং রবীন্দ্র উপাধ্যায়ের দ্বৈতকণ্ঠে “জিয়া লাগে না” বিশেষ করে ছুঁয়ে গেছে। আপনারা নিশ্চয় গানগুলো শুনে ফেলেছেন, তবুও একটা গানের লিংক নিচে দিলাম।
২. আমাদের পাড়ার দোকানে চায়ের সঙ্গে যে বিস্কুটটা
দেয় সেটা। কোনওদিন গোল হয়, কোনওদিনও আয়তাকার কিংবা বর্গক্ষেত্র, কিন্তু
প্রত্যেকদিনই সমান ভালো খেতে লাগে। কালোজিরে দেওয়া, ফুসকো মতো। বাড়িতে আরাম করে
বসে মহার্ঘ লপচু চায়ের সঙ্গে মহার্ঘতর ব্র্যান্ডেড বিস্কুট খেয়ে যে আরাম হয় না,
ওপচানো ডাস্টবিনের পাশে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত বেশি মিষ্টি, আদার গন্ধে ভুরভুরানো চায়ের
সঙ্গে ওই নামনাজানা বিস্কুটে কামড় বসিয়ে সে আরাম কোত্থেকে হয় আমার মাথায় ঢোকে না।
ভাবছি ব্রিটানিয়া, ম্যাকভিটিসমিটিস ছেড়ে এবার থেকে চাওয়ালার থেকেই পাইকারি দরে
বিস্কুট কিনতে শুরু করব।
৩. আলাপি, উপকারী প্রতিবেশী। আমার পাড়ায় কমবেশি সবাই
আলাপি। তার মধ্যে একজন আমাকে রাস্তায় দেখলেই কোথায় কী ক্ষতিকারক খাবার পাওয়া যায়
তার তত্ত্বতালাশ দেন। “অমুক দোকানের মোগলাইটা খেয়েছ? আর ওর ঠিক পাশের দোকানটার
চিলি চিকেন? সেকি! শিগগিরি খাও। যেমন ভালো খেতে, তেমন পয়সা সাশ্রয়কারী। সন্ধ্যের
মুখে খেয়ে ঢকঢক করে বড় এক গ্লাস জল খেয়ে নেবে, ব্যস, অম্বলের চোটে পরেরদিন ডিনারের
আগে পর্যন্ত আর কিচ্ছুটি খেতে হবে না।”
৪. বিচ্ছু বাচ্চা। মেট্রোয় যেতে আসতে এই প্রজাতিটির
সঙ্গে আমার দু’বেলা দেখা হয়। কেউ কামরা ফাঁকা পেয়ে ধাঁইধাঁই ছোটে, কেউ স্টিলের রড ধরে বাঁইবাঁই ঘোরে, কেউ বোমা আছে নাকি পরীক্ষা করার জন্য মস্ত
অ্যালসেশিয়ান নিয়ে জওয়ান ট্রেনে উঠলে ছুটে সে কুকুরের গলা জড়াতে যায়। কুকুরগুলোরও
বলিহারি ট্রেনিং, চুপটি করে থাকে, ঘ্যাঁক পর্যন্ত করে না। সেদিন এক শিশুকে দেখলাম,
বাবার কোলে চড়ে সিলিঙের দুই হ্যান্ডেলে দুই হাত পাওয়া মাত্র কোল থেকে লাফ
মেরে বেরিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই পা সাইকেল চালানোর মতো বনবন করে ঘোরাচ্ছে। আমি
বসে বসে দেখি আর টাইমপাস করি। আর বাবামায়ের গলদঘর্ম অবস্থা দেখে মনে মনে হাঁফ
ছাড়ি।
৫. পুলিৎজার বিজয়ী অ্যামেরিকান লেখক Herman Wouk-এর নিম্নলিখিত টোটকাটি।
When in danger or in doubt, run in circles, scream and shout.
'Talaash' cinemar oi duto gaan i amar khub priyo. ar oi cha-er dokaner suji mishano biscuit, or kono tulona hoina.
ReplyDeleteKolkata r metro te din rattri eto bhir je bachhader bachhamo korar kono space nei :-(
মতের মিল হয়েছে দেখে খুশি হলাম ইচ্ছাডানা। কলকাতায় সবেতেই বড় বেশি ভিড়, সেটা মানতেই হবে।
DeleteDelhi metro-r galpo shune shune respect bere jachhe! Ar sei upokari protibeshee-r gota din khabar kharoch banchanor upay ta pore khub haslam!
ReplyDeleteদিল্লি মেট্রোর সত্যি জবাব নেই রুচিরা।
Deleteganta bhalo..quotationta aro bhalo
ReplyDeleteহ্যাঁ, আমি ভাবছি কোটেশনটা বাস্তব জীবনেও মেনে চলব।
Deletehaha,khub bhalo
DeleteHehe.. bichhu bachha der amio khubi pachhondo kori. Tobe shunechi manusher nijer bachha hoyar agey porjonto ei bhalo laga ta thake, tarpore sei baba-ma ra "trahi madhusudan" bole daak chhare. Bhut boleche amay eta tai ami ar e bishoye beshi katha baralam na :D
ReplyDeleteসে তো বটেই রিয়া, আমার বাচ্চা ও রকম করলে আমি ঠ্যাং ভেঙে দেব।
DeleteO maa! Oi bishkut gulo toh 'bakery'r bishkut' bole kini ami... sokal bela'y gari kore cha'er dokane supply deye jokhon, tokhon kini... jemni khete bhalo, temni veriety!
ReplyDeleteআমাকেও তাই করতে হবে মনে হচ্ছে টিনা। ভ্যারাইটির কথাটা একদম ঠিক বলেছ।
Deletebichhu bachha dekhte bhalo lagchhey !! ektai kotha bolar achhe "ghute pore gobor hashe"...
ReplyDelete(দুঃখী মুখ)
Deleteki gaan shonale. loop e shune jachi eita particularly. cinema dekha hoyna temon tai jana chilo na gaan gulo.
ReplyDeleteগানটা আমিও গত তিনদিন ধরে লুপে শুনছি বং মম।
Delete